আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানীরা। জিতে নিয়েছেন সেরা পুরস্কার। ৮টি দেশের কলেজ পড়ুয়া নবীন বিজ্ঞানীদের মধ্যে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনার ইউনিভাসিটির (ডিআইইউ) প্রধান ক্যাম্পাসে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, একাদশ এশিয়ান-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের ক্ষুদে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মো. মাহমুদুন্নবী ও ফাইরুজ ইশরাক সেরা ফলাফল অর্জন করেছেন। তবে সেরা তত্ত্বীয়ের পুরস্কার জিতেছেন কাজাকিস্থানের আগিশেভ দামীর।শনিবার ঢাকার আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।একাদশ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মি. আলেকজান্ডার এ নিকোলাভ।অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াডের চেয়ারম্যান ড. এম জি গেবরিলোভ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘরের মহাপরিচালক স্বপন কুমার রায়, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম।এছাড়াও সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ রাশিয়ান বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মি. আলেকজান্ডার পি ডেমিন ও বাংলাদেশ এস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জনাব মাশহুরুল আমিন।অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের ৩ জন, কাজাকিস্থানের ৪ জন, শ্রীলংকার ৩জন ও রাশিয়ার ১জনকে ডিপ্লোমা সনদ প্রদান করা হয়।বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যাদুঘর এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাংস্কৃতিক বিভাগ যৌথ উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।আয়োজকরা জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রোনমি অলিম্পিয়াড চলতি মাসের ১৩ তারিখ শুরু হয়। এ অলিম্পিয়াডে রাশিয়া, কাজাকিস্তান, শ্রীলংকা ও বাংলাদেশসহ মোট ৮টি দল অংশগ্রহণ করে। জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়েই এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা মধ্যে ছিল: মহাশূন্য পর্যবেক্ষণ, আকাশের তারাদের অবস্থান নির্ণয়, তাদের নাম জানা, তাদের চিহ্নিত করা।হাতে কলমে কিছু ব্যবহারিক কাজের পাশাপাশি ছিল কিছুটা পড়াশুনা ও ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ন স্থান ও স্থাপনাসমূহ পরিদর্শন।সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মি. আলেকজান্ডার এ নিকোলাভ বলেন, মহাকাশের রহস্য উম্মোচনে জ্যোতির্বিজ্ঞান হচ্ছে মজার এক বিষয়। যা সবসময় শিক্ষার্থীদের মাঝে গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করে থাকে।তিনি এ অলিম্পিয়াডের অর্জিত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আগামী শতাব্দীতে মহাকাশ গবেষণায় নিয়োজিত থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. সবুর খান বলেন, অলিম্পিয়াড জ্ঞান বাড়ায়। অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হয়। বিভিন্ন দেশের এই মানুষেরাই হয়তো এক সময় হয়ে উঠবেন একে অন্যের সহকর্মী।তিনি বলেন, আমরা যদি বড় বড় বিজ্ঞানী চাই, তাহলে স্কুল পর্যায় থেকেই কাজ শুরু করতে হবে।এই জানার প্রতি ভালোবাসাই মহাশূণ্য নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরী করবে। মহাকাশের রহস্য উদঘাটনে এ ধরনের অলিম্পিয়াডের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং এ ধরনের আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গৌরবান্বিত।আগামীতেও এ ধরনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি ঘোষণ দেন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।
ডিআইইউ// ২১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// এইচএস
- See more at:
http://www.campuslive24.com/campus.148139.live24/#sthash.Gn5YjndF.dpuf