Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - taslima

Pages: 1 [2] 3 4 ... 33
16
Food / যষ্টিমধুর গুণ
« on: October 01, 2019, 01:34:51 PM »
আলসার নিরাময়ে

ক্লিনিক্যাল ও এক্সপেরিমেন্টাল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন ও গ্লাইসিরাটিক অ্যাসিড আলসার সৃষ্টিকারী ১৫ হাইড্রোক্সিপ্রোস্টাগ্লান্ডিন ডিহাইড্রোজিনেস ও প্রোস্টাগ্লান্ডিন রিডাকটেজ এনড্রাইমের কার্যকারিতা প্রতিরোধ করে এবং পাকস্থলীতে আলসার বা ক্ষত নিরাময়ে সহায়ক এনজাইম প্রোস্টাগ্লান্ডিল ই এবং এফ নিঃসরণ বৃদ্ধির মাধ্যমে পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেনকে সুরক্ষা করে।
যষ্টিমধু পাকস্থলীর মিউকাস মেমব্রেন হতে মিউসিন নিঃসরণ উদ্দীপ্ত করে, পাকস্থলীর এপিথেলিয়াল কোষসমূহ শক্তিশালী করে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পেপটিক আলসার নিরাময় করে।

ফুটন্ত পানিতে যষ্টিমধু ভিজিয়ে ঠাণ্ডা করে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়।

যকৃত (লিভার) সুরক্ষায়

যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিন বিষাক্ত পদার্থের কবল থেকে লিভারকোষসমূহ সুরক্ষা করে।

টিউমার প্রতিরোধক

গ্লাইসিরাইটিনিক অ্যাসিড টিউমার সৃষ্টিকারী ‘এপস্টাইন বার ভাইরাস’ কার্যকারীতা প্রতিহত করে।

কফ নিঃসারক ও কাশি কমায়

যষ্টিমধু তরল আকারে কফ বের করে দেয় এবং কাশি ভালো করতে পারে। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস, টনসিলাইটিস ও কণ্ঠনালীর প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে।
অ্যালার্জি প্রতিরোধক

যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক অ্যাসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।

অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে যষ্টিমধু

গ্লাইসিরাইজিন বিভিন্ন কঠিন রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার রোধ করে। এছাড়াও যষ্টিমধু রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া এবং বিভিন্ন ছত্রাক প্রতিরোধ করতে পারে।

https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article936607.bdnews

17
Food / আদার স্বাস্থ্যগুণ
« on: October 01, 2019, 01:33:41 PM »
আদার স্বাস্থ্যগুণ

হজমশক্তি: বহুবছর ধরে পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, লালারসের উৎপাদন বাড়ানো এবং মল তৈরিতে সহায়ক হিসেবে সুপরিচিত আদা।

সোজা কথা, খাবার হজম করতে এবং পেটের গোলমাল সামলাতে অত্যন্ত উপকারী এই মসলা।

বমিভাব: গর্ভবতীর জন্য অমৃত আদা। কাঁচা-আদা চিবালে কিংবা আদা-লেবু দেওয়া চা পান করলে বমিভাব দূর হয়। দুরপাল্লার যাত্রায় যাদের বমির সমস্যা আছে তাদের জন্যও উপকারী।

গলা ব্যথা: আদার রসের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে গেলে গলা ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। দিনে এই মিশ্রণ তিন থেকে চার চা-চামচ পরিমান খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোপুরি নিরাময় হবে। গর্ভবতী এবং যারা উষ্ণ এলাকায় বাস করেন তারা এই মিশ্রণ খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আদা গুরুপাক খাবার।

প্রদাহ কমায়: প্রদাহ কমাতে বিশেষ কার্যকর আদা। বাতের সমস্যার যারা ভুগছেন তাদের জন্য আদা বেশ উপকারী। গর্ভাবস্থায় শরীর ফুলে যাওয়ার নিরাময়ে সহায়ক এই মসলা।

পেশি ব্যথা: কুসুম গরম আদা চা মাংস পেশির ব্যথা সারাতে কার্যকর। ঋতুস্রাব চলাকালীন ব্যথাতেও উপকার মেলে এই চা পান করলে। গর্ভাবস্থায় পিঠ ও তলপেটে ব্যথার নিরাময়েও কাজে আসে আদা চা।

কোলেস্টেরল: আদা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ধমনিতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার ঝুঁকি কমায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদযন্ত্রের পরম বন্ধু এই মসলা।

খেয়াল রাখতে হবে

আদা কেনার সময় খেয়াল রাখতে তা যেন চুপসে না থাকে, বাইরের খোসা টানটান থাকে এবং গন্ধটা হয় কড়া। আদা ভাঙলে ভেতরের অংশ কুড়মুড়ে হবে এবং কোনো পশম থাকবে না। পশম আছে এমন আদা এড়িয়ে চলতে হবে।

আদার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

দৈনিক এক থেকে তিন গ্রাম আদা গ্রহণ করা গর্ভাবস্থায় এবং সন্তান প্রসবের পরও অনেক উপকার আনে। তবে পরিমাণ নিয়ে সতর্ক হতে হবে।

এটি গুরুপাক-জাতীয় খাবার। তাই গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তপাত হলে সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের আদা খাওয়া নিষেধ। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস গর্ভপাতের আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসময় আদা কম খাওয়াই নিরাপদ।

যেসব নারী ‘জেস্টেশনাল’ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের আদা খাওয়ার পরিমাণ নিয়ে সাবধান থাকতে হবে। কারণ তা রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলে।

আগে গর্ভপাত, ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা, রক্তক্ষরণ, ‘ভ্যাজাইনাল স্পটিং’ বা যোনিতে রক্তফোঁটা দেখা দেওয়া- এমন নারীদের আদা খাওয়া একেবারে বন্ধ করা উচিত। খালি পেটে আদার রস পান করলে বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে।

খাওয়ার পন্থা

আদা চা: আদার প্রচলিত ব্যবহারগুলোর মধ্যে অন্যতম হল চায়ে আদা দেওয়া যা স্বাদে ভিন্নমাত্রা এনে দেয়।

দিনের শুরুতে এক কাপ আদা চা বেশ সুখকর অনুভুতি। গর্ভবতী নারীদের বমিভাবেও অনেক উপকারী হবে এটি।

আদা-লেবুর চা: চা বেশি ঝামেলা মনে হলে বিশুদ্ধ পানিতে আদা ফুটিয়ে নিয়ে তাতে লেবুর রস ও মধু মিশিয়েও পান করা যায়। পেটে তো আরাম বোধ হবেই, গলায় ব্যথা থাকলে তাও সেরে যাবে।

পিঠ ও পেটের ব্যথাতেও তা সামান্য উপকারী। গর্ভবতী নারীদের দৈনিক পানির চাহিদা পূরণেও সহায়ক এটি।

রান্নায় ও আচার হিসেবে: শাকসবজি, মাছ, মাংস ইত্যাদি রান্নায় সব ঘরেই কমবেশি আদার ব্যবহার হয়।

আদার আচারও হয়। তাজা আদা ছোট করে কেটে তাতে লবণ ও লেবুর রস মিশিয়ে রেখে দিলে গোলাপি বর্ণ ধারণ করবে।

যারা ঝাল বেশি খেতে চান তারা এতে কাঁচামরিচ যোগ করতে পারেন।

সবকিছু একসঙ্গে মিশিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়ে হয়ে যাবে আদার আচার।

জিঞ্জার অ্যাল: এক কাপ আদা-কুচির সঙ্গে আধা কাপ চিনি ও আধা কাপ পানি মিশিয়ে চুলায় ফুটান। রস বের হয়ে টেনে আসবে। তারপর এক কাপ লেবুর রস ও এক লিটার সাধারণ সোডা-পানি মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে জিঞ্জার অ্যাল। এই পরিমাণ কমপক্ষে আট জনের জন্য যথেষ্ট।

আদার শরবত: যে কোনো শরবত বা জুসে আদা-কুচি মেশানো যায়। যা স্বাদ বাড়াবে, দেবে আলাদা তৃপ্তি।

https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1608996.bdnews

18
তুলসির জল

উপাদান: তুলসি-পাতা ও পানি

দুই কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে ১০/১৫টি তুলসি-পাতা দিয়ে ফুটান। পানি ফুটে অর্ধেক হয়ে আসলে নামিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। এই পানীয় গলাব্যথা ও খুশখুশে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

ভেষজ ক্যাফেইন ছাড়া চা

উপাদান: তুলসি-পাতা, গুড়, পানি ও লেবুর রস
https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1294092.bdnews

একটি পাত্রে এক কাপ পানিতে এক টেবিল-চামচ গুড়, পাঁচ ছয়টি তুলসি-পাতা, অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে ফুটিয়ে  গরম গরম পান করতে হবে।

ভেষজ তুলসির জল

উপাদান: আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসি-পাতা, দারুচিনি, এলাচ

এক কাপ পানিতে এক টেবিল-চামচের চার ভাগের এক ভাগ গোলমরিচ, দুটি লবঙ্গ, এলাচ ও দারুচিনি আধা টেবিল চামচ করে, আদার টুকরা ও পাঁচ ছয়টি তুলসি-পাতা দিয়ে ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রা বা কুসুম গরম অবস্থায় পান করুন। ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া থেকে সুস্থ হতে এটি সাহায্য করবে।

ভেষজ জুস

উপাদান: আজওয়াইন, তুলসি-পাতা, জিরা, আমচুর পাউডার, লবণ ও পুদিনা-পাতা

এক কাপ পানিতে এক টেবিল-চামচের চার ভাগের এক ভাগ আমচুর পাউডার, আধ টেবিল-চামচ আজওয়াইন, আধ টেবিল-চামচ জিরা, এক টেবিল চামচের চার ভাগের একভাগ লবণ, পাঁচ ছয়টি তুলসি-পাতা ও চার পাঁচটি পুদিনা-পাতা একসঙ্গে নিয়ে দশ থেকে পনের মিনিট ফুটাতে হবে। কুসুম গরম অবস্থায় এটি পান করুন। পানি স্বল্পতা থেকে রক্ষা পেতে এই পানীয় সহায়তা করে।   

ছবি: রয়টার্স।

19
Food / দারুচিনির যত গুণ
« on: October 01, 2019, 12:07:49 PM »
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে দারুচিনি। যারা টাইপ টু ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ঘরোয়া উপাদান হিসেবে দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।

ব্যাক্টেরিয়া জনিত পেটের অসুখ থেকে বাঁচতে

দারুচিনিতে আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। যা পেটে ব্যাক্টেরিয়া কারণে যে সব অসুখ হতে পারে তা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে। দারুচিনির চা, দারুচিনির তেল, দারুচিনিগুঁড়া ইত্যাদি পেটের বিভিন্ন সমস্যা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

অন্ত্রে অস্বস্তি কমাতে

‘ইরিটেবল বাউয়াল সিন্ড্রম’ বা পেটের ভিতরে অন্ত্রের যে কোন অস্বস্তিকর অনুভূতি কমাতে কার্যকর দারুচিনি। গ্যাস্ট্রোনমিকাল অংশে ক্ষত ভালো করা এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে ‘গ্যাস্ট্রিক জুস’য়ের কার্যপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। তাছাড়া যাদের পেট ব্যথার সমস্যায় ভুগেন তারা যদি দিনে দুই থেকে তিনকাপ দারুচিনি চা খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে উপকৃত হবেন।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর

গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সার ও টিউমার, মেলানোমা বা ত্বকের মেলানিন কোষ মিলে যে টিউমার হয় তার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে দারুচিনি। লিউকোমিয়া ও লিমফোমা ক্যান্সারের কোষগুলোর প্রভাব কমাতেও সাহায্য করে এই মসলা।

বাত ও অস্টিওপোরোসিস

দারুচিনিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, যা হাড় গঠন, রক্ত ও শরীরের অন্যান্য কোষ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যাদের শরীরে খনিজ উপাদানের অভাব থাকে তাদের বাত ও অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা হতে পারে। ব্যাথার স্থানে দারুচিনির তেল লাগালে এবং দারুচিনি চা পানের অভ্যাস গড়ে তুললে উপকার পাওয়া যায়।


স্মরণ শক্তি বাড়াতে
মানুষের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য দারুচিনির কিছু উপাদান। যারা প্রতিদিন দারুচিনি খেয়ে থাকেন তাদের স্মরণশক্তি তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট

পৃথিবীর সেরা সাত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মসলা বেশ কার্যকর।

ওজন কমাতে সহায়ক

যারা ওজন কমাতে চান তাদের খাবারের তালিকায় দারুচিনি রাখা খুবেই জরুরি। কারণ দারুচিনি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে এবং হজমেও সাহায্য করে। আর তাই এই উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পেশীর ব্যথা উপশমে সাহায্য করে

হঠাৎ টান বা অন্য কোন কারণে পেশীতে ব্যথা হলে আহত স্থানে দারুচিনি তেল দিয়ে মালিশ করলে উপকার হওয়া যায়।

অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান

শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে দারুচিনি।

দাঁত ক্ষয় ও মাড়ির সমস্যায় দারুচিনি

চুইংগাম, মিন্ট চকলেট, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট ইত্যাদি তৈরিতে বহুল প্রচলিত একটি উপাদান হল দারুচিনির তেল। এই উপাদান দাঁত ও মাড়ির ক্ষতি করে মুখের ভিতরে এমন ব্যাক্টেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে।

 প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রম

দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, যা প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রম বা পিএমএস-এর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। মাসিকের আগে মেয়েদের শরীরে হরমোনের ভারসম্য পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। দারুচিনি এর প্রভাব কিছুটা কমাতে সাহায্য করে।

খাদ্যের বিষক্রিয়া

খাদ্য-বিষক্রিয়া থেকে আক্রান্ত হলে দারুচিনি খেলে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এই মসলা পাকস্থলির ব্যাক্টেরিয়া ও ফাংগাস দমন করতে সাহায্য করে।

 https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article892921.bdnews

20
Food / রসুনের উপকারিতা
« on: October 01, 2019, 12:06:35 PM »
রক্ত পরিষ্কার করতে: ব্রণের সমস্যা দূর করতে ব্যর্থ হলে তা গোঁড়া থেকে নির্মুল করার চেষ্টা করুন। দুই কোয়া রসুন হালকা গরম পানির সঙ্গে খেয়ে নিন, এটি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে: ঠাণ্ডা-কাশি যদি কখনও আপনার পিছু না ছাড়ে তবে রসুনের সাহায্য নিন। প্রতিদিন মধু ও আদার সঙ্গে দুতিন কোয়া রসুন খান। এতে ঠাণ্ডা-কাশির প্রকোপ কমে যাবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধে: গবেষকদের মতে, রসুন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় যা বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার যেমন- মূত্রাশয়, স্তন, পাকস্থলি ইত্যাদি বিরূদ্ধে কাজ করে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়: রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন খেলে রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সংক্রমণ দূর করতে: রসুনের রয়েছে ঔষধি গুণ। এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানের জন্য বেশ সুপরিচিত। মুখের ক্ষতসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে রসুন সহায়তা করে।

https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1290078.bdnews

21
Food / পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ
« on: October 01, 2019, 11:09:12 AM »
- পেঁয়াজে ক্যালরির পরিমাণ কম। তবে রয়েছে নানান পুষ্টি উপাদান। দৈনিক মাঝারি মাপের একটা পেঁয়াজ শরীরের দৈনিক পুষ্টি সরবারহ করতে সক্ষম। এটা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা শরীরে উৎপন্ন হতে পারেনা এবং এই ভিটামিন বাইরের উৎস থেকে গ্রহণ করতে হয়। ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষকলা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।   

- পেঁয়াজ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, উন্মুক্ত ‘রেডিকেল’য়ের বিরুদ্ধে কাজ করে কোষের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।

- ‘কুয়ারসেটিন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পেঁয়াজে পাওয়া যায় যা হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ভালো রেখে রক্তের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভালো অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। এটা কোলেস্টেরল ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে। পেঁয়াজে ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম থাকে যা শরীর কার্যকর রাখতে সাহায্য করে।

- পেঁয়াজ নিয়মিত খাওয়ার আরেকটা সুবিধা হল এটা ক্যান্সার থেকে দুরে রাখতে সাহায্য করে। কারণ এতে আছে সালফারের যৌগ ও ফ্লাভানয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

- খাবারে নানাভাবে পেঁয়াজ যোগ করা যায়। যেমন- সালাদ, সুপ, পিউরি এবং ওমলেট তৈরি করতে পেঁয়াজ ব্যবহার করে শক্তিশালী সকালে নাস্তা তৈরি করা যায়।

https://bangla.bdnews24.com/lifestyle/article1670958.bdnews

22
Children / শিশুদের দাঁতের যত্ন
« on: October 01, 2019, 11:04:36 AM »
শিশুদের দাঁতের যত্ন
ডা. তাজিন রফিক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমআপডেট: ২০১৯-০৯-২৬ ১০:৩০:১৬ এএম


শিশুর মুখে প্রথম দাঁত আসে পাঁচ থেকে ছয় মাস বয়সে। নিচের মাড়ির সামনের দিকে দুটি দাঁত প্রথম ওঠে। এর পর ধীরে ধীরে বাকি ১৮টি দুধ দাঁত অর্থাৎ মোট ২০টি দুধ দাঁত বা Deciduous teeth শিশুর মুখে আসে। এসময় থেকেই শিশুদের দাঁতের যত্ন প্রয়োজন।

চলুন জেনে নিই শিশুর দুধদাঁতের যত্নে কী কী করতে হবে:

কখন থেকে দুধ দাঁত ব্রাশ করা উচিত

শিশুর মুখে যখন প্রথম দাঁত আসে তখন শিশুরা হাতের কাছে যা পায় তাই কামড়ে দিতে চায়। এসময় থেকেই দাঁত ব্রাশ করে দিতে হবে। বাচ্চাদের ছোট দাঁতব্রাশ দিয়ে টুথপেস্ট ছাড়াই শুধু পানিতে ভিজিয়ে আলতো করে দাঁতগুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে। শিশুরা যেহেতু মায়ের বুকের দুধ পান করে, তাই দাঁতে এবং মাড়িতে যেন দুধের সর বা ময়লা লেগে না থাকে তাই দাঁতের পাশাপাশি মাড়ির অংশ পাতলা সুতি কাপড় বা গজ ভিজিয়ে মুছে দিতে হবে।

বাচ্চার কত বছর বয়স থেকে টুথপেস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে
শিশুর বয়স ১বছর ৬ মাস হলে থুথু ফেলা বা কুলি করা শেখানো শুরু করাতে হবে এবং একটি চালের দানার পরিমাণ টুথপেস্ট ব্রাশে লাগিয়ে আস্তে আস্তে ব্রাশ করে দিতে হবে। এই সময় বাচ্চাদের উপযোগী ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দেয়া যেতে পারে।

বাচ্চার বয়স ২-৫ বছরের মধ্যে টুথপেস্টের পরিমাণ বাড়িয়ে মটরদানা সমান টুথপেস্ট দেয়া যেতে পারে।

শিশুদের জন্য টুথব্রাশ
শিশুদের জন্য ছোট মাথার নরম ব্রিসল বা লোম এর টুথব্রাশ উপযোগী। বাজারে ০-৫ বছর এবং ৫ থেকে ১২ বছরের আলাদা সাইজের ব্রাশ পাওয়া যায়।


বাচ্চাদের দাঁত কয় বার ব্রাশ করা উচিত?
বাচ্চাদের দাঁত অবশ্যই দুইবার ব্রাশ করা উচিত। রাতে ঠিক ঘুমানোর আগে লক্ষ্য রাখতে হবে যেনো ব্রাশ করার পর অন্য কোনো খাবার সে না খায় এবং সকালে নাস্তার পর।


শিশুদের দাঁতের জন্য ফ্লসিং কতটুকু জরুরি

শিশুদের দুধদাঁত গুলোর মাঝে খাবার খুব সহজে আটকে যায় যা সাধারণ ব্রাশ করে  পরিষ্কার হয় না। বরং এই খাবারগুলো জমে থাকতে থাকতে ক্যাভিটি বা গর্ত তৈরি করে। তাই দুই দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবার নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে।

শিশুদের দুধদাঁত কতদিন পর্যন্ত থাকে
শিশুদের মুখে থাকা ২০টি দুধ দাঁত ৬বছর থেকে শুরু করে ১২ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ে গিয়ে নতুন স্থায়ী দাঁত আসে।

দুধ দাঁততো পরেই যাবে তাহলে ক্যাভিটি বা গর্ত হলে দাঁত কি আগেভাগেই ফেলে দেওয়া যাবে?

প্রতিটি দুধ দাঁত এর একটি জীবনকাল রয়েছে এর পূর্বে দাঁতটি ফেলে দিলে অথবা ক্যাভিটি বা গর্ত থেকে দাঁতের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে, এর নিচে তৈরি হওয়া স্থায়ী দাঁতটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

শিশুর দাঁতে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

লেখা: ডা. তাজিন রফিক
পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড ফ্যামিলি ডেন্টিস্ট
নিওস্মাইল – চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলি ডেন্টাল ওয়েলনেস

23
Diabetics / ডায়াবেটিস ও খাদ্য
« on: September 25, 2019, 11:15:30 AM »
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কি?

রক্তে শর্করার পরিমাপক হিসেবে এটি কাজ করে। শর্করার মাত্রা কি পরিমাণে বাড়ছে বা কমছে তা এর মাধ্যমে জানা যায় । বিভিন্ন খাবারে কি পরিমাণ শর্করা থাকে তা নিরূপণ করা হয় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স দ্বারা। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সচেতন হোন। ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (GI )জানা জরুরী, কম  GI যুক্ত খাবারে এর মাত্রা থাকে ৫৫ এর কম, মধ্যম GI যুক্ত খাবারে ৫৬–৬৯ ও উচ্চ GI যুক্ত খাবারে ৭০ এর বেশি, ডায়াবেটিক আক্রান্ত ব্যাক্তিদের কম GI  যুক্ত খাবার খাওয়া আবশ্যক।

অবশ্য, সত্যিকার অর্থে– এ ব্যপারে এখন পর্যন্ত কোন সুন্দর ধারনা তৈরি হয়নি, দেখা যায় অনেকে কম জি আই ভুক্ত ওষুধ সেবন করছেন যা হয়ত আরো খারাপ কোন অবস্থার সৃষ্টি করছে। বিভিন্ন রিসার্চে দেখা গেছে জি আই এর উপরে নির্ভর না করে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে দেয়া খাবারের তালিকা অনুযায়ী চললে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেশি ভূমিকা রাখে।

 

আশ যুক্ত খাবার সনাক্তকরণ

কি পরিহার করবেন   কি খাবেন
সাদা চালের ভাত   বাদামি বা লাল চাল এর ভাত
গোল আলু– ভর্তা, ভাজি   মিষ্ট আলু, ফুলকপি
রেগুলার পাস্তা   গমের পাস্তা, স্পেগেটি
সাদা পাউরুটি   গমের রুটি, লাল আটার রুটি
চিনিযুক্ত সেরিয়াল   উচ্চ আশ ও কম চিনি যুক্ত সেরিয়াল
ইনস্ট্যান্ট ওট মিল   গোল ওটস
করনফ্লেক্স   কম চিনি যুক্ত করনফ্লেক্স
ভুট্টা   সিম বা সবুজ শাক।
 

শর্করা জাতীয় খাবারে সাবধানী হোন–

 

ডায়াবেটিক খাবার মানে এই না যে এটি আপনার শরীরের শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করবে বা নিঃস্বরন করবে। আপনি যদি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে সাধারণ সকল শর্করা জাতীয় খাবার খেতে পারবেন, কিন্তু নিয়ম মাফিক ও পরিমিত আকারে।

যেমন–

অল্প পরিমাণে দৈনিক খাবারের তালকায় চিনিযুক্ত খাবার রাখতে পারেন।
খাবারের তালিকায় মিষ্টি থাকলে, সাদা পাউরুটি, ভাত বা পাস্তা খাবেন না। ডেজারট খেতে পারেন।
অল্প পরিমাণে সুষম চর্বি সমৃদ্ধ খাবার রাখতে পারেন, চর্বি ধীরে ধীরে খাবার হজমে সাহায্য করে। এ জাতীয় খাবারের মধ্যে পিনাট বাটার, পনির, টক দই বা বাদাম রাখতে পারেন।
অন্যান্য সুষম খাবারের সাথে চিনি জাতীয় খাবার খান, শুধু মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ শুধু মিষ্টি খেলে এটি হটাত করে রক্তের শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
খাবারকে উপভোগ করুন, যাই অল্প পরিমাণ মিষ্টি জাতীয় খাবার খান না কেন তার প্রতিটি বাইট কে উপভোগ করুন, পাশাপাশি লক্ষ্য রাখুন কি খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন ও কতবার খাচ্ছেন।
 

কিভাবে চিনি জাতীয় খাবার কমাবেন?

কোমল পানীয় ও জুস – প্রতিদিন এক বোতল ( ২৫০ মিলি) কোমল পানীয় বা জুস পানে রক্তের শর্করার মাত্রা প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। এর বদলে লেবুর শরবত বা কমলার রস পান করতে পারেন। চিনিযুক্ত দুধ চা এর বদলে চিনিহীন রঙ চা পান করতে পারেন।
 

সম্পৃক্ত চর্বি ও চিনি– আপনার দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রাখা সম্পৃক্ত  চর্বি জাতীয় খাবার, যেমন– সরযুক্ত দুধ এর বদলে চিনি সমৃদ্ধ খাবার পরিহার করুন। আমরা অনেকেই ভাবি দুধের বদলে মিষ্টি খাবার খেলে এর চাহিদা পূরণ হবে, কিন্তু এটি ভুল ধারনা। দৈনিক এক গ্লাস দুধ শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করে।
 

নিজেই খাবারে মিষ্টি যোগ করুন– টক দই, রঙ চা, ওট্মিল ইত্যাদি খাবারে সাধারণ চিনি থাকেনা। আপনি চাইলে অল্প পরিমাণ মিষ্টি কোন ফল, বা অল্প পরিমাণ চিনি মেশাতে পারেন এসকল খাবারে।
 

প্রক্রিয়াজাত খাবার নির্বাচন– বাইরের প্যাকেটজাত খাবারের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন এর গায়ে শর্করার মাত্রা কত। কম শর্করাযুক্ত খাবার নির্বাচন করুন। বিশেষ করে চিপস, কোমল পানীয়, বিস্কিট ইত্যাদি। সবচে ভাল হয় ঘরে তৈরি করা খাবার গ্রহণ।
 

খাবারে চিনির বদলে ফ্লেভারকে গুরুত্বদান– খাবারে চিনির মাত্রা এক তৃতীয়াংশ বা চতুর্থাংশ কমিয়ে এনে এতে পুদিনা, ভ্যানিলা, জলপাই ইত্যাদি ফ্লেভার যুক্ত করুন।
 

অন্যভাবে খাবারে পূর্ণ স্বাদ উপভোগ করুন– যেমন আইসক্রিমের বদলে ফ্রোজেন কলা, কালো চকলেট ইত্যাদি।
 

চর্বি জাতীয় খাবার নির্বাচন–

চর্বি যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তেমনি রয়েছে এর অনেক গুন, তাই চর্বি যুক্ত খাবার নির্বাচনে সাবধানী হোন–

অস্বাস্থ্যকর চর্বি– সবচে খারাপ চর্বি হল এটি ( প্রক্রিয়াজাত ট্রান্স ফ্যাট) । প্রক্রিয়াজাত প্যাকেট খাবার , প্রাণীজ তেলে ভাজা খাবার এছাড়া– চিপস, বার্গার ইত্যাদি খোয়া থেকে বিরত থাকুন।
 

স্বাস্থ্যকর চর্বি– অসম্পৃক্ত চর্বি সবচেয়ে ভাল, এটির প্রধান উৎস হল মাছ ও উদ্ভিদ; যেমন– অলিভ অয়েল, বাদামের তেল ইত্যাদি। মাছের তেলে থাকে ওমেগা–৩ ফ্যাটি এসিড যা, বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করার পাশাপাশি মগজ ও হৃদপিণ্ডকে সবল রাখে।
 

সম্পৃক্ত চর্বি– সাধারণত বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য, লাল মাংস, ট্রপিক্যাল তেল এর উৎস। এটি খাওয়া যেতে পারে , কিন্তু হিসেব করে।
 

কি ভাবে অস্বাস্থ্যকর চর্বি পরিহার করবেন?

চিপস বা ক্র্যাকারস এর বদলে বাদাম বা বীজ জাতীয় খাবার খতে পারেন। সাধারণ বাটার বা মাখনের পরিবর্তে পিনাট বাটার বেশ ভাল।
খাবার কড়া করে ভাজার পরিবর্তে হালকা তেলে ভাজি, সিদ্ধ খাবার বা সেকা খাবার খেতে পারেন।
প্যাকেটজাত খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার পরিহার করুন।
লাল মাংসের ( যেমন– গরুর মাংস) বদলে চামড়াবিহিন মুরগির মাংস, মাছ, কুসম ছাড়া ডিম ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খেতে পারেন।
পাস্তা, সবজি ও সালাদে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
স্যান্ডউইচ, বার্গার ইত্যাদির মাংসে থাকে অসম্পৃক্ত চর্বি, এগুলোতে মাংসের বদলে সবজি যোগ করলে খাবারে ভিন্নমাত্রা আসবে।
পরিমিত দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ।
 

নিয়মিত খাবার গ্রহণ ও খাবারের তালিকা প্রস্তুতি

মজার ব্যাপার এই যে মাত্র ৭% শরীরের ওজন কমালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অর্ধেক কমে যায়। এর জন্য অতিমাত্রার সচেতনতার দরকার নেই। শুধুমাত্র নিয়ম করে খাবার গ্রহণ ও কি খাচ্ছেন তার তালিকা প্রস্তুতি বা সচেতন হওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব।

দিনটি শুরু করুন সুসাস্থ্যকর নাস্তা দিয়ে– এটি সারাদিনের শক্তি যোগাবে পাশাপাশি রক্তের শর্করা নিয়মিত রাখবে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকালের নাস্তা হিসেবে ২/৩ পিস লাল আটার রুটি, ১ টি সিদ্ধ ডিম ও পরিমাণ মত সবজি ছাড়াও ১ কাপ দুধ যথেষ্ট।
দুপুরের খাবার হিসেবে ১ কাপ ভাত, ১/২ কাপ সবজি ,মাছ বা মাংস ১ পিস ও পরিমাণ মত সালাদ যথেষ্ট।
রাতের খাবার হিসেবে ২/৩ পিস রুটি, ১ কাপ সবজি ও মাছ বা মুরগি ১ পিস যথেষ্ট।
অল্প অল্প খাবার গ্রহণ– সরবোচ্চ ৬ বারের বেশি খাবেন না। এভাবে খাবার গ্রহণে সহজে হিসেব রাখতে সুবিধা হয়।
ক্যলরি নিয়মিতকরন– নিয়মিত চাহিদানুযায়ি খাবার গ্রহণ করুন। কোন এক বেলার খাবার পরিহার করা থেকে বিরত থাকুন। ধরুন রাতে না খেয়ে পরেরদিন সকালে বেশি খেলেন, এটা কাম্য নয়। খাবার পরিহারে রক্তের শর্করার মাত্রার তারতম্য হয়।
 

খাবারের ডায়েরি

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা খাবারের ডায়েরি তৈরি করেছেন, তাদের ওজন হ্রাসের হার, যারা করেন নি তাদের থেকে প্রায় দ্বিগুণ। খাবারের ডায়েরি তৈরিকরণের মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোন খাবারে আপনার ঘাটতি রয়েছে ও কোন খাবার বেশি খাওয়া হচ্ছে। এভাবে আত্ম সচেতনতা তৈরি করে নিজেই খাবারের তালিকা প্রস্তুত করতে পারেন।

কর্মমুখর হোক প্রতিদিন–

সকালটি শুরু হোক ব্যায়ামের দ্বারা। পরদিন ৩০ মিনিট করে জোরে হাটা বা ১০ মিনিট বিরতিতে মোট ৩০ মিনিট হাটা শরীরের ইনসুলিন এর কর্মপ্রক্রিয়া অনেক বাড়িয়ে দেয়। হাঁটাহাঁটি ছাড়াও, ব্যায়াম, সাতার, সাইকেল চালানো, দড়ি লাফ ইত্যাদি মধ্যম মাত্রার কায়িক শ্রমের মাধ্যমে রক্তের শর্করার মাত্রা থাকে সহনীয় পর্যায়ে।

সুতরাং, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শর্করা সমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি চর্বি ও আমিষ জাতীয় খাবারে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, একটি সুন্দর খাবারের তালকা প্রস্তুতি বা ডায়েরির মাধ্যমে কি খাচ্ছেন তার তালিকা তৈরির মাধ্যমে তা লিপিবদ্ধ করে ওজন নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত নিয়ম মাফিক ব্যায়ামের মাধ্যমে যে কেউ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বা ডায়াবেটিস এর মাত্রা  বহুলাংশে কমিয়ে আনতে পারেন।

https://cmed.com.bd/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B8-%E0%A6%93-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A7%A8-copy/

24
বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ডায়াবেটিসের ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইনসুলিন উৎপাদনে অক্ষম হয়ে পড়ে। ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় অস্বাভাবিক হারে। এই রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, ওষুধ, শরীরচর্চা এবং খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু তা কোনোভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা সম্ভব নয়।

ডায়াবেটিস ধরা পড়লে প্রথমেই মিষ্টি জাতীয় খাবার বন্ধ করার কথা বলেন চিকিৎসকরা। একই সঙ্গে একেবারে বদলে যায় প্রতিদিন খাবারের রুটিন। চিকিৎসকের পরামর্শে ইনসুলিন ইনজেকশনই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। তবে রোজ রোজ ইনসুলিন ইনজেকশন না নিয়েও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন এই ঘরোয়া উপায়ে, একেবারে সামান্য খরচে। এমন চারটি খাবার রয়েছে যা খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা থাকবে একেবারে নিয়ন্ত্রণে। চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, এমন কিছু খাবার সম্পর্কে।

করলা : গবেষণায় দেখা গেছে, করলার মধ্যে এমন উপাদান রয়েছে যা অ্যান্টি-ডায়াবেটিক এবং ইনসুলিন ইনজেকশনের থেকেও বেশি কার্যকর। চিকিৎসকরা বলছেন, কাঁচা করলা বা করলার রস নিয়মিত খেতে পারলে ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

গম : যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁদের জন্য গম খুবই উপকারী। আটার রুটি খেতে পারলে ডায়াবেটিসের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সবুজ শাক-সবজি : চিকিৎসকদের মতে, যেকোনো সবুজ শাক, যেমন সর্ষে শাক-সবজি, পালং শাক, মুলা শাক ইত্যাদি রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে খুবই উপকারী। যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, তাঁরা নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খেতে পারলে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

কুমড়ার বীজ : ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের মধ্যে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ কুমড়ার বীজ রোদে শুকিয়ে নিয়ে নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। যখনই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করবে, তখনই দু'একটা কুমড়ার বীজ মুখে রাখলে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাও কমবে এবং একই সঙ্গে রক্তে সুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

http://www.arthosuchak.com/archives/152707/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%B8-%E0%A6%A0%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%A6-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE/

25
ডায়াবেটিস ঠেকাতে ১০ খাবার
অর্থসূচক ডেস্ক । ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ৫:৩৬ অপরাহ্ণprint this page

শরীরে অগ্ন্যাশয় যদি যথার্থ ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীরে ইনসুলিনের সঠিক কাজ ব্যাহত হয় তাহলে সেটাকে ডায়াবেটিস বলা হয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয়; অধিক তৃষ্ণার্ত অনুভব করে এবং বার বার মুখ শুকিয়ে যায়।আক্রান্তরা অতিশয় দুর্বলতা, সার্বক্ষণিক ক্ষুধা, স্বল্প সময়ে দেহের ওজন হ্রাস, চোখে ঝাপসা দেখাসহ নানান সমস্যায় ভোগে।

Green Tea
ডায়াবেটিস নির্দিষ্ট মাত্রার বাইরে গেলে তা শরীরের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে রাখাই সর্বোত্তম পস্থা। এ জন্য প্রয়োজন কঠোর নিয়মানুবর্তিতা। এর পাশাপাশি কিছু খাবারও ডায়াবেটিস রোগীকে সুস্থ্য থাকতে সহায়তা করে। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো ডায়াবেটিস প্রতিরোধও করে। যেমন:

সবুজ চা:

সবুজ চা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের মতো কাজ করে; ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে এটি।

ওয়াইল্ড স্যামন:

Fish
ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অন্যতম একটি ঔষধি খাদ্য ওয়াইল্ড স্যামন। এতে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা-৩ রয়েছে। ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি বড় উৎস এটি। ডায়াবেটিস রোগের পাশাপাশি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকিও কমায় ওয়াইল্ড স্যামন।

মাছ:

গবেষণায় দেখা যায়, মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি গ্লুকোজের ঘনত্ব কমিয়ে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এতে চর্বিহীন প্রোটিন রয়েছে।

Lemon
টক দই:

টক দই একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। এটি রক্তে চিনির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা বিকেলের নাস্তায় স্যান্ডউইচের সঙ্গে টক দই খাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ডিমের সাদা অংশ:

ডিম পেশি গঠনকারী খাদ্য। এতে উচ্চ মানের প্রোটিন রয়েছে। ডিমের সাদা অংশে উচ্চ মানের চর্বিহীন প্রোটিন এবং কম মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা ২ ধরণের ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Vegelables
লেবু:

লেবু ও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ভিটামিন সি এর অভাবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়েছে। তবে লেবু জাতীয় ফল খেলে ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। জাম্বুরা, কমলা, লেবু এবং লাইমস ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের মতো কাজ করে।

সবুজ শাক সবজি:

সবুজ শাক সবজি ২ ধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমায়। পালং শাক, পাতা কপি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লেটুস পাতা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম। গবেষণায় বলা হয়, সবুজ শাক সবজি খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে।

শস্য দানা:

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শস্য দানা মানুষের শরীরের রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা কমে। আবার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে শস্য দানা।

Nuts
বাদাম:

গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিসের ঝুকি প্রায় ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমায় চীনাবাদাম। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১ আউন্স আখরোট বা কাজুবাদাম ডায়াবেটিস প্রতিরোধে বিস্ময়করভাবে কাজ করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।

মটরশুটি:

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য মটরশুটি। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১ কাপ মটরশুটি খেলে ২ ধরনের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। এতে উচ্চমাত্রায় শর্করা, চর্বিহীন প্রোটিন এবং আঁশ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তে চিনি কমাতে সাহায্য করে; হৃদরোগের সম্ভাবনাও কমায়।

এআরএস/এইউ নয়ন/এমই/

 print this page


সম্পর্কিত
সর্বশেষ
পঠিত
আলোচিত
ডায়াবেটিস-সহ নানা রোগ নিয়ন্ত্রণ করে জলপাই পাতা   
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ফের চিরুনি অভিযানের ঘোষণা
ভোটাভুটিতে হেরে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ হারালেন জনসন
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ
এডিস মশা আমরা নিজেরাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো: আতিকুল
ট্যাগঃ ডায়াবেটিস, নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ


26
Informative post.

27
Thyroid / থাইরয়েড কি?
« on: September 25, 2019, 10:26:40 AM »
থাইরয়েড হল আমাদের একটি গ্রন্থি যা আমাদের গলার সামনের দিকে অবস্থিত। এই গ্রন্থি থেকে কিছু প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসৃত হয়। এই হরমোন আমাদের বিপাক সহ আরো বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই হরমোন তৈরির জন্য এই গ্রন্থিটির প্রয়োজনীয় পরমাণে আয়োডিনের দরকার হয়। উক্ত হরমোন আমাদের বিপাক ক্রিয়া সহ বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

থাইরয়েড গ্রন্থি
থাইরয়েড গ্রন্থি
থাইরয়েড গ্রন্থি সাধারণত দুই ধরণের হরমোন নিঃসরণ করে।

ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন(T3)
থাইরক্সিন(T4)
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে জন্মের সময় এই গ্রন্থি ঠিকভাবে তৈরি না হলে কিংবা প্রয়োজনমত হরমোন তৈরি করতে না পারলে বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

আমাদের শরীরে যতটুকু হরমোন প্রয়োজন তার চেয়ে কম কিংবা বেশি পরিমাণে এই হরমোন তৈরি হলে তখন নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণে এই হরমোন তৈরি হলে হাইপোথাইরয়ডিজম হতে পারে। আবার প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণে এই হরমোন উৎপন্ন হলে হাইপারথাইরয়ডিজম হতে পারে। উভয়ই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়াও উক্ত গ্রন্থিতে আরো বিভিন্ন রকমের রোগ হতে পারে। সাধারণত বেশি হয় এমন কিছু রোগ নিয়ে আলোচনা করা যাকঃ

হাইপোথাইরয়ডিজম(Hypothyroidism)
হাইপারথাইরয়ডিজম(Hyperthyroidism)
গয়েটার(Goiter)
নডিউল(Nodule)
থাইরয়েড ক্যান্সার(Thyroid Cancer)
গ্রেভস ডিজিজ(Graves' disease)
হাইপোথাইরয়ডিজম(Hypothyroidism ) ঃ
থাইরয়েড গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় কম হরমোন উৎপাদন করে তখন হাইপোথাইরয়ডিজম হবার সম্ভাবনা আছে। যদিও অনেক সময় এর চোখে পড়ার মত লক্ষণ দেখা যায়না, যার ফলে অনেকে বুঝতেই পারেন না তারা হাইপোথাইরয়ডিজম এ আক্রান্ত।

তবে হাইপোথাইরয়ডিজম হলে সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হলঃ

ক্লান্তি কিংবা অবসাদ অনুভব করা
কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা।
শুষ্ক ত্বক
কোষ্ঠকাঠিন্য
অল্পতেই শীত শীত লাগবে
পেশী এবং বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা অনুভূত হবে।
বিষণ্ণতা থাকবে
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত পরিমাণ রক্তক্ষরণ হতে পারে।
পালস রেট কম থাকতে পারে স্বাভাবিক এর তুলনায়।
হাইপারথাইরয়ডিজম(Hyperthyroidism ) ঃ
এক্ষেত্রে হাইপারথাইরয়ডিজম এর উল্টো ঘটনা ঘটে। থাইরয়েড গ্রন্থি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হরমোন উৎপাদন করলে হাইপারথাইরয়ডিজম হবার সম্ভাবনা থাকে।

থাইরয়েড গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি নামক এক গ্রন্থি। মস্তিষ্কের এই পিটুইটারি গ্রন্থি কে আবার নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক অংশ। এই হাইপোথ্যালামাস থাইরয়েড রিলিজিং হরমোন(TRH) নামক এক হরমোন নির্গত করে। এই TRH হরমোন এর কাজ হল পিটুইটারি গ্রন্থি কে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন(TSH) নামক এক হরমোন নির্গত করার জন্য সংকেত পাঠানো। এই TSH হরমোন উক্ত গ্রন্থি কে থাইরয়েড হরমোন নির্গত করার জন্য সংকেত পাঠায়। বোঝা গেল তাহলে এই হরমোন উৎপাদন এর জন্য শুধুমাত্র থাইরয়েড গ্রন্থি দায়ী নয়। হাইপোথ্যালামাস, পিটুইটারি গ্রন্থি এবং থাইরয়েড গ্রন্থির মিলিত প্রচেষ্টায় হরমোন নির্গমণ কাজ সম্পন্ন হয়।

এখন উক্ত ৩ টি গ্রন্থির যে কোনো একটি বা একাধিক গ্রন্থি যদি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কাজ করে ফেলে তখন ফলাফল হিসেবে যতটুকু হরমোন দরকার তার চেয়ে বেশি পরিমাণ হরমোন উৎপন্ন হয়। আর তখনই  বাঁধে সমস্যা। যেটা হাইপারথাইরয়ডিজম নামে পরিচিত।

হাইপারথাইরয়ডিজম হলে সাধারণত যে লক্ষণগুলো দেখা যায়ঃ

অতিরিক্ত ঘাম
গরম সহ্য না করতে পারা
হজমে সমস্যা
দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া।
অস্থিরতা অনুভব করা।
ওজন কমে যাওয়া
পালস রেট বেড়ে যাওয়া
ঠিকমত ঘুম না হওয়া
চুল পাতলা এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া
ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া
মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব অনিয়মত কিংবা খুব অল্প পরিমাণে হওয়া।
বয়স্ক রোগীদের ক্ষেত্রে হৃদস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। খুব খারাপ অবস্থা হলে এবং হাইপারথাইরয়ডিজম এর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না নেয়া হলে থাইরয়েড স্টর্ম(thyroid storm) হতে পারে। এতে রোগীর রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, জ্বর আসতে পারে এবং হৃদস্পন্দন বন্ধ ও হয়ে যেতে পারে।
গয়েটার(Goitar) ঃ
এছাড়াও থাইরয়েড গ্রন্থিটিই বড় হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে একে গয়েটার(Goiter) বা গলগন্ড বলা হয়ে থাকে। যেহেতু গ্রন্থিটি হরমোন তৈরির জন্য আয়োডিন এর প্রয়োজন পড়ে। সেহেতু আয়োডিনের অভাব হলে গ্রন্থিটি হরমোন তৈরি করতে পারেনা ঠিকভাবে। তবুও এটি চেষ্টা করে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি করতে। ফলস্বরূপ এটি নিজে বড় হয়ে যায় শরীরের হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে। এবং একটা সময় এটি আর পারেনা সেই স্বাভাবিক মাত্রায় হরমোন তৈরি করতে। ফলে হরমোন এর পরিমাণ কমে যায় প্রয়োজনের তুলনায়। এবং ফলাফল হিসেবে উক্ত ব্যক্তি হাইপোথাইরয়ডিজম এ আক্রান্ত হয়। এজন্য যেসব শিশু বা মানুষ আয়োডিন এর স্বল্পতায় ভুগে তাদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে বর্তমানে লবণের সাথে আয়োডিন গ্রহণের ফলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশেই কমে এসেছে।


গলগন্ড বা Goiter
নডিউল(Nodule) ঃ
এছাড়া এই গ্রন্থিতে টিউমার ও হতে পারে। যাকে নডিউল(Nodule) বলে। এক্ষেত্রে এই টিউমার সংখ্যায় এক বা একাধিক হতে পারে। এবং বিভিন্ন আকারের হতে পারে। তবে টিউমার হলেই সবক্ষেত্রে ক্যান্সার হয়না। তবে অবস্থা বেশি খারাপ হলে এবং কোনো চিকিৎসা না নেয়া হলে এটি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। যাকে বলা হয় থাইরয়েড ক্যান্সার।


টিউমার বা Nodule

28
থাইরয়েড এর বিভিন্ন রোগ সনাক্তকরণে সাধারণত নিচের পরীক্ষাগুলো করা হয়ঃ

রক্ত পরীক্ষাঃ

রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত নিচের টেস্টগুলো কতা হয়ঃ

Thyroid stimulating hormone(TSH): এই পরীক্ষায় রক্তে TSH এর মাত্রা পরীক্ষা করা হয়। রক্তে TSH এর মাত্রা কম হলে বুঝতে হবে হাইপারথাইরয়ডিজমে রোগী আক্রান্ত। আর বেশি হলে হাইপোথাইরয়ডিজমে আক্রান্ত।

Thyroxine hormone(T4): রক্তে উচ্চমাত্রার T4 এর উপস্থিতির অর্থ হাইপারথাইরয়ডিজম আর নিম্নমাত্রার T4 এর উপস্থিতির অর্থ হাইপোরথাইরয়ডিজম।

Tri-iodothyronine hormone(T3): রক্তে উচ্চমাত্রার T3 এর উপস্থিতির অর্থ হাইপারথাইরয়ডিজম আর নিম্নমাত্রার T3 এর উপস্থিতির অর্থ হাইপোথাইরয়ডিজম।

TSH receptor antibody(TSI): রক্তে TSI এর উপস্থিতির অর্থ রোগী গ্রেভস রোগ এ আক্রান্ত। এই রোগে চোখের চারপাশ ফুলে উঠে।

গ্রেভস রোগ
গ্রেভস রোগ
Anti-thyroid anti-body: রক্তে antithyroid antibody এর উপস্থিতির অর্থ রোগী  Hashimoto's এবং গ্রেভস রোগ এ আক্রান্ত। Hashimoto's এমন এক রোগ যেখানে পুরো থাইরয়েড গ্রন্থিটিই ধীরে ধীরে আক্রান্ত হয়ে যায়।

এছাড়া আরো কিছু পরীক্ষা যেমন নিউক্লিয়ার থাইরয়েড স্ক্যান, থাইরয়েড আল্ট্রাসাউন্ড, কম্পিউটারাইজড এক্সিয়াল টোমোগ্রাফি স্ক্যান (Computerized axial tomography scan) এর মত কিছু পরীক্ষার সাহায্যে ও থাইরয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন রোগ সনাক্ত করা যায়।

সার্জারি ঃ
হাইপারথাইরয়ডিজম, গয়েটার এবং নডিউল কিংবা টিউমার হলে সেটির ক্ষেত্রে রোগের মাত্রা অনুযায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির কিছু অংশ কিংবা পুরোটা কেটে ফেলতে হতে পারে অপারেশানের মাধ্যমে।

তবে ৭০ ভাগ ক্ষেত্রে এই গ্রন্থির অর্ধেক কেটে ফেললেও রোগী তার বাকি অর্ধেক দিয়ে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে। তবে যাদের পুরো গ্রন্থিটিই কেটে ফেলেতে হয় তাদের বাকি জীবন আলাদাভাবে বাহির থেকে প্রয়োজনীয় হরমোন গ্রহণ করতে হয়।

এছাড়া বিভিন্ন নিউক্লিয়ার মেডিসিন, তেজস্ক্রিয় আয়োডিন ব্যবহার করে আক্রান্ত হবার মাত্রা নির্ধারণ করে চিকিৎসকেরা পরবর্তী পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

সুতরাং কোনো লক্ষণ দেখলে সেটাকে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর সুস্থ থাকতে বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করে থাইরয়েড গ্রন্থির অবস্থা চেক করতে পারেন।

রেফারেন্সঃ

https://www.mayoclinic.org/diseases-conditions/hyperthyroidism/symptoms-causes/syc-20373659
https://www.endocrineweb.com/conditions/hyperthyroidism/hyperthyroidism-overview-overactive-thyroid
https://www.medscape.com/viewarticle/580420
https://www.radiologyinfo.org/en/info.cfm?pg=radioiodine
পরিমার্জনায়‍ঃ
ডাঃ মোঃ ইউসুফ কবির (এমবিবিএস)
মেডিকেল অফিসার
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশান
মিরপুর-২, ঢাকা-১২১৬

29
শীতের সময় একটি রোগ ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। সেটি হচ্ছে টনসিল। এই ব্যথা অনেক সময়ই যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ‍ওঠে।

শীতকাল ছাড়াও আবহাওয়া একটু ঠাণ্ডা থাকলে বর্ষাকালেও টনসিলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টনসিল ব্যথায় আমরা ছুটি ডাক্তারের কাছে। কিন্তু ঘরে বসেই টনসিল ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টনসিলের ব্যথা হয়ে থাকে। সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোই টনসিলের এ সংক্রামণের জন্য দায়ী।

টনসিল ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া ৫ প্রতিকার সম্পর্কে নিচে দেয়া হলো-

লবণ পানি

কুসুম কুসুম গরম পানিতে আলতো লবণ নিয়ে গড়গড়া করলে টনসিল ব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এটি টনিকের মতো কাজ করে। উষ্ণ লবণ পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণও দূর হয়ে থাকে।

চায়ে আদা কুচি

দেড় থেকে দুই কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর চা পাতা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ৪ থেকে ৫ বার এভাবে চা খেলে উপকার পাবেন। আদার অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল আর অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান সংক্রামণ ছড়াতে বাধা দেয়। ফলে টনসিলের ব্যথা কমে যায়।

গরম পানি ও লেবুর রস

এক গ্লাস সামান্য গরম পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি টনসিল ব্যথা দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান।

চা পাতা ও মধু

এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে।

হলুদ ও ছাগলের দুধ

ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। ছাগলের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আছে। তবে ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়।


https://vandar.info/bn/health-%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%b2%e0%a6%be-%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%8d%e0%a6%a5%e0%a7%8d%e0%a6%af-%e0%a6%9f%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%b8/%e0%a6%9f%e0%a6%a8%e0%a6%b8%e0%a6%bf%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%a5%e0%a6%be-%e0%a6%a6%e0%a7%82%e0%a6%b0-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%98%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a7%9f/

30
শিশুদের খাবারের তালিকা বড়দের খাবারের তালিকা থেকে অনেকটাই ভিন্ন হয়ে থাকে। কারণ শিশু বয়সটা একজন মানুষের সবদিক থেকে গড়ে ওঠার সময়। শিশুর শরীরে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অনেকসময় শিশুর আবদারের কারণে বাইরের খাবার কিনে দেওয়া হয়। যা একেবারেই ঠিক নয়। কিছু খাবার রয়েছে যা কখনোই শিশুকে খেতে দেওয়া উচিত নয়।

শিশু খাবার কেমন হবে:

রুটি এবং সবজি, ডাল ভাত, খিচুড়ির মতো খাবারে শরীরের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব। আমাদের সন্তানদের ক্রমবর্ধমান শারীরিক বিকাশ এবং মস্তিষ্কের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে এই খাবারগুলো। এই খাবার খেলে ঘুমও ভালো হয়। অনেকেই সপ্তাহের বেশিরভাগ রাতেই একই ধরণের খাবার দিয়ে থাকেন, শিশুদের কাছে তা একঘেয়ে মনে হয়। তাই শিশুর খাবার তালিকায় বৈচিত্র আনুন। এছাড়া মাঝে মাঝে রান্নায় স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যেমন ঘি, যোগ করতে ভুলবেন না।

যা খেতে দেবেন না:

প্রতিদিন আপনার শিশুকে নানা রকমের খাবার দেবেন না। বরং একেকদিন একেক রকম খাবার দিন।

শিশুদের জন্য বাড়িতে রান্না করা পুষ্টিকর খাবারই সবচেয়ে ভালো। আপনার সন্তানদের বাইরের খাবারে অভ্যস্ত করবেন না। এসব খাবারে শিশুর বিকাশের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নেই এবং বাচ্চাদের ঘুমের সমস্যাও হতে পারে।

নুডলস, পাস্তা এবং হিমায়িত খাবার শিশুদের দেওয়া বন্ধ করুন। এই জাতীয় খাবারে কোনো পুষ্টি হয় না, বরং এসব খাবার অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবারে চিনি এবং অন্যান্য সংরক্ষণ জাতীয় উপাদান রয়েছে যা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সপ্তাহে একবার আপনার সন্তানের জন্য রাতের খাবারে অন্যরকম কিছু তৈরি করুন। ছুটির দিনে খাবার মেন্যু অন্যরকম হতে পারে।

মাসে দুইবারের বেশি বাবা মায়েরা শিশুদের বাইরে হোটেলে খেতে নিয়ে যাবেন না। বাইরের খাবারে শিশুদের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় না।

https://vandar.info/bn/%e0%a6%b8%e0%a6%95%e0%a6%b2-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%b7%e0%a7%9f/%e0%a6%b6%e0%a6%bf%e0%a6%b6%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%af%e0%a7%87%e0%a6%b8%e0%a6%ac-%e0%a6%96%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%a6%e0%a7%87%e0%a6%ac%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%a8/

Pages: 1 [2] 3 4 ... 33