Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - A-Rahman Dhaly

Pages: 1 [2] 3 4 ... 6
16
একটি ভুল ধারণা : মেয়েদের জন্যও কি পায়ে মেহেদী লাগানো নিষেধ?
কিছু মানুষ মনে করে, মেয়েদের জন্যও পায়ে মেহেদী লাগানো নিষেধ। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়। মেয়েদের জন্য পায়ে মেহেদী লাগানো জায়েয। এতে দোষের কিছু নেই।



-মাসিক আলকাউসার ।

17
একটি ভুল কথা : জানাযার নামাযের কাতার কি বেজোড় হওয়া জরুরি?
কোনো কোনো মানুষের ধারণা, জানাযার নামাযের কাতার বেজোড় হওয়া জরুরি। ফলে তারা জানাযার নামাযের কাতার জোড় সংখ্যা হলে তা বেজোড় করে দেন। তাদের এ ধারণা ঠিক নয়।
একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছেÑ “মালেক ইবনে হুবায়রা রা. যখন দেখতেন জানাযায় উপস্থিতির সংখ্যা কম তখন তিনি তাদেরকে তিন কাতারে ভাগ করে দিতেন। এবং বলতেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে মৃতের উপর তিন কাতার মুসল্লী জানাযা পড়বে তার জন্য (জান্নাত) অবধারিত”। Ñজামে তিরমিযী, হাদীস ১০২৮; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩১৬৬
এ হাদীসের ভিত্তিতে ফকীহগণ বলেছেন, জানাযার নামাযে মুসল্লী সংখ্যা কম হলে তাদেরকে তিন কাতারে বিভক্ত করে দাঁড় করানো উত্তম। Ñশরহুল মুনইয়াহ ৫৮৮; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৬১৩; ফাতহুল বারী ৩/২২২; রওযাতুত্তালেবীন ২/১৩১
এ থেকে হয়তো কেউ কেউ বুঝেছেন এর দ্বারা বেজোড় উদ্দেশ্য। আসলে এ দ্বারা জানাযার নামাযে তিন কাতারের কম না করা এবং অন্তত তিন কাতার করা যে মুস্তাহাব তা প্রমাণিত হয়। কিন্তু কাতার তিনের অধিক হলে বেজোড় করা জরুরিÑ এ কথা প্রমাণিত হয় না। তাই তিনের অধিক কাতারের ক্ষেত্রে বেজোড়ের প্রতি লক্ষ রাখা জরুরি নয়।
মুসল্লী সংখ্যা বেশি হলে তিন বা তিনের অধিক জোড় বা বেজোড় যত প্রয়োজন কাতার করা যাবে।



-মাসিক আলকাউসার ।

18
একটি ভুল ধারণা : এশার নামাযের মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হয় কি রাত ১২টার পর থেকে?

কিছু মানুষের ধারণা, এশার নামাযের মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হয় রাত ১২টার পর থেকে।
এ ধারণাটি ঠিক নয়। কারণ, এশার নামাযের মাকরূহ ওয়াক্ত শুরু হয় মধ্যরাতের পর থেকে। আর মধ্যরাত শুরু হয় সূর্যাস্ত ও সুবহে সাদিকের মাঝামাঝি সময় থেকে। আমাদের দেশে মওসুম ভেদে মধ্যরাত শুরু হয় কখনো এগারটা থেকে কখনো সাড়ে এগারটা থেকে বা তার দু-দশ মিনিট আগে পরে। যেমন, কোনো মওসুমে যদি সূর্যাস্তের সময় হয় ৫ : ১৪ মি: এবং পরের দিন সুবহে সাদিকের সময় হয় ৪ : ৪৯ মি: সে হিসেবে মধ্যরাত শুরু হবে ১১ : ০২ মি: থেকে। তেমনি কোনো মওসুমে যদি সূর্যাস্তের সময় হয় ৬ : ০২ মি: এবং সুবহে সাদিকের সময় হয় ৫ : ০৫ মি: সে হিসেবে মধ্যরাত শুরু হবে ১১ : ৩৪ মি: থেকে। সুতরাং রাত ১২টা থেকে মধ্যরাত শুরু হয়- এ ধারণা ঠিক নয়। বরং কোনো মৌসুমে ১১টা বা তার পর থেকে শুরু হয় আবার কোনো মৌসুমে ১১ : ৩০ মি: বা তার দু-দশ মিনিট আগে পরে।
(এটা ঢাকার সময় হিসেবে। অন্যান্য জেলার হিসেবে পাঁচ দশ মিনিট কমবেশি হবে। যে এলাকার জন্য দশ মিনিট যোগ করতে হয় সে এলাকা হিসেবে সর্বোচ্চ সময় পৌনে বারটাও হয়।)



-মাসিক আলকাউসার ।

19
একটি কুসংস্কার : গর্ভাবস্থায় আগের সন্তানের খৎনা করানো যাবে না
কোনো কোনো এলাকার মানুষ মনে করে, মা যদি গর্ভাবস্থায় থাকেন তাহলে তার আগের সন্তানের খৎনা করানো যাবে না। করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হবে। এটি একটি কুসংস্কার মাত্র। এগুলো বিশ্বাস করা যাবে না।
কোনো কোনো মানুষ তো এও মনে করে যে, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের সময়ও গর্ভবতী নারী কিছু কাটাকাটি করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হয়। এ সবই কুসংস্কার।
-মাসিক আলকাউসার ।

20
একটি মনগড়া রসম : দেনমোহরের ক্ষেত্রে জোড় সংখ্যা রাখা যাবে না, বেজোড় সংখ্যা হতে হবে
কারো কারো ধারণা, জোড় সংখ্যায় দেনমোহর ধার্য করা ঠিক নয়, বেজোড় সংখ্যা হওয়া জরুরি। ফলে দেনমোহর ধার্য করার সময় দেখা যায়, যত টাকাই দেনমোহর ধরা হোক, সাথে এক টাকা যোগ করে দেওয়া হয়- এক লক্ষ এক টাকা বা পাঁচ লক্ষ এক টাকা ইত্যাদি। এটি একটি মনগড়া রসম। এগুলো বিশ্বাস করা ঠিক নয়।
এটি একটি বানোয়াট কিসসা। এর কোনো দালীলিক ভিত্তি নেই।
-মাসিক আলকাউসার ।

21
একটি  বানোয়াট কিসসা : কা‘বা ঘর নির্মাণের পর বেঁচে যাওয়া বালু/পাথর যেখানে পড়েছে সেখানে মসজিদ হবে
কোনো কোনো মানুষকে বলতে শোনা যায়, ইবরাহীম আলাইহিস সালাম কা‘বা ঘর নির্মাণের পর কিছু বালু বেঁচে যায়। (কেউ কেউ বলে, পাথর বেঁচে যায়)  তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে বললেন, তুমি একটি পাহাড়ে উঠে এ বালু/পাথর ছিটিয়ে দাও। তখন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম তাই করলেন এবং আল্লাহর কুদরতে সেগুলো পৃথিবীর আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ল। পৃথিবীর যে যে স্থানে এই বালুকণা পড়েছে কিয়ামতের আগেই কোনো না কোনো একদিন সেখানে মসজিদ হবে।
এটি একটি বানোয়াট কিসসা। এর কোনো দালীলিক ভিত্তি নেই।
-মাসিক আলকাউসার ।

22
একটি কুসংস্কার : প্রথম সন্তান মারা গেলে কি পরের সন্তানের কান ফুটো করে দিতে হয়!

কিছু মানুষের ধারণা, প্রথম সন্তান যদি মারা যায়, তাহলে পরবর্তী সন্তানের কান ফুটো করে দিতে হয়; তাহলে সে আর মরবে না বা দীর্ঘজীবি হবে। অনেককে দেখা যায় কান ফুটো করে কানে একটি রিং পরিয়ে দেয়। এটি একটি কুসংস্কার। এর কোনো ভিত্তি নেই।

সন্তান দেওয়া না দেওয়া যেমন আল্লাহর ইচ্ছা, তেমনি দেওয়ার পর বেঁচে থাকা না থাকাও আল্লাহর ইচ্ছা। সন্তানের দীর্ঘ হায়াতের জন্য আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করতে হবে; তিনিই হায়াত মওতের মালিক। এর সাথে কান ফুটো করা না করার কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং এ ধরনের জাহেলী রসম থেকে বেঁচে থাকতে হবে এবং সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছেই প্রার্থনা করতে হবে।
-মাসিক আলকাউসার

23
একটি ভুল রসম : তিনবার কবুল না বললে কি বিবাহ সহীহ হবে না?


কোনো কোনো এলাকায় এ রসম চালু আছে যে, বিবাহের ইজাব পেশ করার পর পাত্রকে তিনবার কবুল বলতে হবে। তারা মনে করে তিনবার কবুল না বললে বিবাহ সহীহ হবে না। এটি একটি মনগড়া রসম মাত্র। এটি পরিহার করা জরুরি। এজাতীয় মনগড়া বিষয়ের কারণে অনেক সময় বড় ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়।

শরীয়তের দৃষ্টিতে ইজাবের (প্রস্তাবের) পর সাক্ষীদের শুনিয়ে একবার কবুল করলেই বিবাহ হয়ে যাবে। Ñফাতাওয়া শামী ৩/৯; ফাতাওয়া আলমগিরী ১/৩৭০
--মাসিক আলকাউসার

24
একটি ভুল প্রচলন : কুরআন মাজীদ পড়ে গেলে কি তা ওজন করে চাল সদকা করতে হয়?

কিছু কিছু মানুষের ধারণা, হাত থেকে যদি কুরআন মাজীদ পড়ে যায় তাহলে ঐ কুরআন মাজীদের (মুসহাফের) ওজনে চাল সদকা করতে হয়। এটি কুরআনের প্রতি আযমত ও মুহাব্বতের কারণে হলেও তা একটি ভুল প্রচলন।

এছাড়াও এখানে আরেকটি আপত্তিকর ও কুরআনের প্রতি এক ধরনের অসম্মানের বিষয় রয়েছে। তা হল, কুরআন মাজীদ (মুসহাফ) ওজন করা। কুরআন মাজীদের সম্মান করতে গিয়ে মনগড়া পন্থা অবলম্বনের কারণে কুরআনের বেহুরমতি-অসম্মান হয়ে যাচ্ছে। চিন্তাশীল মানুষ মাত্রই তা উপলব্ধি করতে সক্ষম।

আমরা সাবধান থাকব, যাতে হাত থেকে মুসহাফ পড়ে না যায়। মুসহাফ এমনভাবে ধরব না বা এমন স্থানে রাখব না, যার কারণে তা পড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে। আর নিজের অসাবধানতার কারণে যদি পড়ে যায় তাহলে এস্তেগফার করব এবং চাইলে এমনিতেই কিছু সদকাও করতে পারি।

কুরআন মাজীদের প্রতি আজমত ও মুহাব্বত মুমিনের ঈমানী বৈশিষ্ট্য। কিন্তু এ আযমত ও মুহাব্বতের প্রকাশও হতে হবে শরীয়ত নির্দেশিত পন্থায়। তাহলেই তা নির্ভুল ও গ্রহণযোগ্য হবে। প্রসঙ্গত এটাও স্মরণ রাখি, কুরআন মাজীদের প্রতি আসল আজমত ও মুহাব্বত হল, কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করা, এর ইলম হাসিল করা এবং কুরআন নির্দেশিত পন্থায় জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করা। 
--মাসিক আলকাউসার
 

25
ভুল বিশ্বাস : কোনো ঘরে পেঁচা বসলে কি সে ঘরের কেউ মারা যাবে বা বিপদ আসবে?
কোনো কোনো এলাকার মানুষ মনে করে, যে ঘর-বাড়িতে পেঁচা বসবে সে ঘরের বা বাড়ির কেউ মারা যাবে বা বিপদ আসবে। এটি একটি ভুল বিশ্বাস।
পেঁচাকে কুলক্ষণে মনে করা জাহেলী যুগের ভ্রান্ত ধারণা। হাদীস শরীফে পেঁচা বা অন্য কোনো কিছুকে কুলক্ষণে মনে করতে নিষেধ করা হয়েছে। পেঁচা দেখা কুলক্ষণে নয়, পেঁচার অনিষ্ট করার কোনো ক্ষমতা নেই। লাভ-ক্ষতির মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা। এ ধরনের অলীক ধারণা-বিশ্বাস থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
- মাসিক আলকাউসার

26
একটি কুসংস্কার : বিয়ের পরে মেয়েরা চুড়ি বা নাকফুল না পরলে কি স্বামীর হায়াত কমে যায়?

কোনো কোনো এলাকার মানুষকে বলতে শোনা যায়, বিয়ের পর স্ত্রী চুড়ি বা নাকফুল না পরলে স্বামীর হায়াত কমে যায়। এটি একেবারেই মনগড়া ও ভিত্তিহীন একটি ধারণা, একটি কুসংস্কার; এগুলো বিশ্বাস করা যাবে না।

-মাসিক আলকাউসার

27
একটি ভুল পন্থা : ফরয নামাযের পরের তাসবীহ কি দ্রুত পড়াই নিয়ম!

ফরয নামাযের শেষে তাসবীহ-তাহলীল পাঠের অনেক ফযীলত রয়েছে। একটি হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَنْ سَبَّحَ الله فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاةٍ ثَلاثاً وَثَلاثِينَ، وَحَمِدَ الله ثَلاثاً وَثَلاثِينَ، وَكَبَّرَ الله ثَلاثاً وَثَلاثِينَ، فَتِلْكَ تِسْعَةٌ وَتِسْعُونَ، وَقَالَ تَمَامَ المِائَةِ: لا إلَهَ إلَّا الله وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الملْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَديرٌ غُفِرَتْ خَطَايَاهُ وَإنْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ البَحْرِ.

যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পর তেত্রিশ বার সুবহানাল্লাহ, তেত্রিশ বার আলহামদুলিল্লাহ, তেত্রিশবার আল্লাহু আকবার বলবে। এ মিলে হয় মোট নিরানব্বই। আর শত পূর্ণ করবে এই বলে-

لا إلَهَ إلَّا الله وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الملْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَديرٌ.

তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে যদিও তা সমুদ্রের ফেনা বরাবর হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫৯৭

এত বড় ফযীলতের এই আমলটি আমরা অনেকেই করি। কিন্তু কিছু মানুষকে দেখা যায়, এত দ্রুত গতিতে তাসবীহগুলো পাঠ করেন, যেন মনে হয়- এ তাসবীহগুলো দ্রুত পড়াই নিয়ম। তাসবীহ দানা বা যারা আঙুলে গনে পড়েন তাদের তাসবীহ বা আঙুল এত দ্রুত নড়াচরা করে, যেন তারা তাসবীহ পড়ছেন না, বরং কারো সাথে পাল্লা দিয়ে তাসবীহের দানা গুনছেন বা আঙুল নাড়ছেন। এটি একটি ভুল পদ্ধতি।

তাসবীহ স্পষ্ট উচ্চারণে ধীরে-সুস্থে সুন্দর করে পড়া উচিত। একটু চিন্তা করে দেখি, দ্রুত উচ্চারণের কারণে যেখানে আমি বলতে চাচ্ছি- ‘সুব্হা-নাল্ল-হ’, সেখানে হয়ে যাচ্ছে- ‘সুবানাল্লা’, যা অর্থহীন শব্দ।

আরো গভীরভাবে যদি চিন্তা করি- আমি কার তাসবীহ পাঠ করছি। মহান রাব্বুল আলামীনের। তো এভাবে তাঁর তাসবীহ পাঠ করা এক প্রকার বেআদবী নয় কি?
এর দ্বারা ফযীলতের স্থলে গুনাহ হয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। সুতরাং এ তাসবীহগুলোসহ সকল তাসবীহ-তাহলীল, তিলাওয়াত আমরা স্পষ্ট উচ্চারণে ধীরে-সুস্থে সুন্দর করে করব ইনশা আল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকল ভালো কাজ সহীহ তরীকায় করার তাওফিক দান করুন।
--মাসিক আলকাউসার

28
একটি ভিত্তিহীন বর্ণনা : যে যতবার লাব্বাইক বলেছে ততবার হজ্বে যাবে

-لَمَّا نَادَى إِبْرَاهِيمُ بِالْحَجِّ لَبَّى الْخَلْقُ فَمَنْ لَبَّى تَلْبِيَةً وَاحِدَةً حَجَّ حَجَّةً وَاحِدَةً وَمَنْ لَبَّى مَرَّتَيْنِ حَجَّ حَجَّتَيْنِ ...

যখন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম হজ্বের আহ্বান করলেন। তখন সকল সৃষ্টি লাব্বাইক বলেছে। তো যে একবার লাব্বাইক বলেছে সে একবার হজ্ব করবে, যে দুইবার বলেছে সে দুইবার... এভাবে যে যতবার লাব্বাইক বলেছে সে ততবার হজ্ব করবে।

বর্ণনাটি লোকমুখে প্রসিদ্ধ। কিন্তু কোনো  নির্ভরযোগ্য সনদে এটি বর্ণিত হয়নি।

ইবনে আররাক রাহ. জাল বর্ণনা বিষয়ক তাঁর কিতাব তানযীহুশ শরীয়াহ্য় (২/১৭৬) বলেন, এটি আহলে বাইতের নামে মুহাম্মাদ ইবনে আশআছের জালকৃত কিতাবের একটি বর্ণনা। এ বর্ণনাটি সে আলী রা.-এর নামে জাল করেছে।

আরো দ্রষ্টব্য : আলফাওয়াইদুল মাজমূআ, হজ্ব অধ্যায়, পৃ. ১০৯; তাযকিরাতুল মাউযূআত ১/৭৩; আদ্দুররুল মানছূর, সুয়ূতী ৪/৩৮৮

-মাসিক আলকাউসার
 

29
একটি কুসংস্কার : বিয়ের পরে মেয়েরা চুড়ি বা নাকফুল না পরলে কি স্বামীর হায়াত কমে যায়?


কোনো কোনো এলাকার মানুষকে বলতে শোনা যায়, বিয়ের পর স্ত্রী চুড়ি বা নাকফুল না পরলে স্বামীর হায়াত কমে যায়। এটি একেবারেই মনগড়া ও ভিত্তিহীন একটি ধারণা, একটি কুসংস্কার; এগুলো বিশ্বাস করা যাবে না।
-মাসিক আলকাউসার

Pages: 1 [2] 3 4 ... 6