Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Psychological Disorder => Topic started by: Karim Sarker(Sohel) on March 22, 2016, 01:46:17 PM

Title: ছোট্ট মণির ঘরটা
Post by: Karim Sarker(Sohel) on March 22, 2016, 01:46:17 PM
শিশুর রাজ্য দিগন্তেরও সীমা ছাড়ানো। কল্পনার রাজ্যকে ছোট্ট ঘরে আটকে রাখার সাধ্যিই বা আছে কার! শিশুর ঘর সাজানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে ওর বয়স, চাহিদা আর মানসিক বিকাশের প্রতি।
রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের প্রধান ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলসান নাসরীন চৌধুরী বললেন, ‘প্রথম কথা হলো ঘরটা শিশুর জন্য যেন আরামদায়ক হয়। দরকারি প্রতিটি জিনিস যেন সে হাতের কাছে পায় এবং ঘরের কোনো আসবাবের কারণে সে যেন আঘাত না পায়।’
ঘরের আসবাবের কোনাগুলো তীক্ষ্ণ রাখা যাবে না। এতে শিশুর আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে, জানালেন গুলসান নাসরীন চৌধুরী।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা আখতারও জানালেন, শিশুর প্রয়োজন ও নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রেখে শিশুর ঘর সাজানো উচিত। শিশুর ঘরের অন্দরসাজ শিশুর চারিত্রিক ও মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে প্রভাব ফেলে। ঘর সাজাতে শিক্ষার উপকরণও ব্যবহার করা যেতে পারে।

দেয়াল কিংবা ছাদে
শিশুর ঘরের অন্দরসাজে হলুদ, লাল বা এ রংগুলোর সংমিশ্রণ কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মনে করেন সেলিনা আখতার। হলুদ দেয়ালের সঙ্গে ছাদে যদি থাকে কমলা আভা আর বিছানার চাদরটা হয় আবির রঙে রাঙানো—শিশু এক আরামদায়ক উষ্ণতা পাবে ওর ঘরে। আবার শীতলভাব আনতে চাইলে হালকা নীল বা উজ্জ্বল সবুজ রং ব্যবহার করতে পারেন।
নীল রং ব্যবহারের একটি উদাহরণ দিলেন গুলসান নাসরীন চৌধুরী। ঘরের ছাদ আর যেকোনো এক পাশের দেয়ালে নীল ব্যবহার করা হলে বাকি তিনটি দেয়াল সাদা রাখতে পারেন। হালকা নীল, গাঢ় নীল বা আকাশি থাকতে পারে দেয়ালে।
বিশেষ পেইন্ট ব্যবহার করে ছাদের সাদা রঙের মধ্যেই সাদার ব্যবহারের মাধ্যমে বৈচিত্র্য আনা যেতে পারে। এ ছাড়া ছাদে রেডিয়ামের চাঁদ, তারা, গ্রহ-নক্ষত্র লাগিয়ে রাখা যেতে পারে বলে জানালেন তিনি। এসব পেইন্ট দিয়ে ঘরের দেয়ালে শিশুর পছন্দমতো স্পাইডারম্যান, ব্যাটম্যান, সিনড্রেলা বা স্লিপিং বিউটি চরিত্রগুলোর যেকোনটিই রাখতে পারেন। এ ছাড়া দেয়ালে গোলাপি, হালকা বেগুনি বা হালকা কমলা রংসহ বর্ণিল নানান রং ব্যবহার করা যেতে পারে।
এ ছাড়া দেয়ালে বর্ণমালা, ফুল-পাতা-গাছের ছবি, নিজের দেশের মানচিত্র বা প্রকৃতির ছবি রাখা যেতে পারে বলে জানালেন সেলিনা আখতার।

পর্দায় বৈচিত্র্য
নীল পর্দার সঙ্গে সাদা পেলমেট থাকলে যেমন ভালো লাগবে, তেমনি সাদা পর্দার সঙ্গে নীল পেলমেটও মানিয়ে যাবে। পর্দায় দুটি রং চাইলে স্ট্রাইপের কাপড়ও ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া পেলমেটে লেসের ব্যবহারও করা যায়। এমনটাই পরামর্শ দিলেন গুলসান নাসরীন চৌধুরী।

সেলিনা আখতারের কয়েকটি পরামর্শ
* শিশুর ঘরে ভারী কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘর একেবারে অন্ধকার করে ফেলা যাবে না।
* লতা-পাতা-ফুলের নকশা পর্দা লাগাতে পারেন।
* পর্দায় পুঁতি, কাঠ বা এমন ছোট কোনো জিনিস দিয়ে নকশা করা থাকতে পারে।
* পর্দার বিস্তৃতি এমন হতে হবে যেন ঘরের আয়তন বড় দেখায়।

আসবাব-বৃত্তান্ত
গুলসান নাসরীন চৌধুরী জানালেন, দেয়াল আর ছাদের রঙের সঙ্গে মিল রেখে আসবাবের রং বেছে নেওয়া যেতে পারে। ফুল-পাতা, বারবি পুতুল বা কোনো কার্টুন আঁকা আসবাব রাখতে পারেন শিশুর ঘরে। শিশুর খাট এমনভাবে তৈরি করাতে পারেন, যেন সেটির আকৃতি গাড়ির মতো দেখায়। দুটি শিশু একই ঘরে থাকলে দোতলা খাট তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে খাটের আকৃতি গাড়ির মতো হতে পারে, আবার উড়োজাহাজের মতোও হতে পারে। তবে শিশুর ঘরে খুব বেশি আসবাব রাখা ঠিক নয়।

ছবি: নকশাসবটাই গুছিয়ে রাখি
যে বয়সে শিশু আলাদা ঘরে থাকতে পারে, সেই বয়স থেকেই ওর নিজের জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এ ব্যাপারে গুলসান নাসরীন চৌধুরীর পরামর্শ:
শিশুর আলমারির নিচের অংশে ড্রয়ার থাকতে পারে। যেখানে শিশু নিজের জুতা গুছিয়ে রাখতে পারবে।
কাপড় ঝুলিয়ে রাখার জন্য শিশুর নাগালের মধ্যেই হ্যাঙার রাখুন, যাতে শিশু সহজেই নিজের কাপড় রাখতে পারে। তবে উঁচু জায়গায় কাপড় গুছিয়ে রাখতে মা-বাবাকেই সাহায্য করতে হবে।
শিশুর পড়ার টেবিলে ব্যাগ রাখার মতো যথেষ্ট জায়গা থাকলে শিশু স্কুল থেকে ফিরে নিজের ব্যাগটা যেখানে-সেখানে না রেখে টেবিলে গুছিয়ে রাখতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
টেবিলের কাছে দেয়ালে শিশুর স্কুলের রুটিন টাঙিয়ে রাখার ব্যবস্থা রাখুন। শিশু নিজেই তা টাঙিয়ে রাখতে পারে। এ ছাড়া ওর টেবিলে পেনসিল-রাবার-রং সবকিছু গুছিয়ে রাখার ব্যাপারে ওকে উত্সাহ দিন। নিজের কিছু জিনিস আলাদাভাবে টেবিলের ড্রয়ারে গুছিয়ে রাখতে পারে ও।

জায়গাটা ছোট?
ঘর ছোট হলেও ঘরের প্রতিটি জায়গাই কাজে লাগাতে চেষ্টা করুন। খাটের নিচের অংশে ড্রয়ার রাখতে পারেন। এই ড্রয়ারে শিশু নিজের খেলনাও রাখতে পারে। ভাঁজ করে রাখা যায়, এমন টেবিল রাখতে পারেন ঘরে। পড়া শেষে দেয়ালের কাছে ভাঁজ করে রেখে দিন টেবিলটা। এতেও জায়গা বাঁচবে।

আলো-হাওয়া ঠিকঠাক
শিশুর ঘরে পর্যাপ্ত আলো-হাওয়ার ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিলেন গুলসান নাসরীন চৌধুরী। শিশুর জন্য খোলামেলা একটি ঘর বেছে নেওয়া ভালো। লেখাপড়া ও খেলাধুলার সময় যেমন পর্যাপ্ত আলো থাকা প্রয়োজন, তেমনি রাতে অবশ্যই শিশুর ঘরের ডিমলাইট জ্বালিয়ে রাখতে হবে। তাহলে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলেও শিশু অন্ধকারে ভয় পাবে না। ঘরের ছাদ থেকে ঝোলানো যায়, এমন কোনো ল্যাম্পশেড কিনে নিতে পারেন। ফুল বা প্রজাপতির নকশায় তৈরি ল্যাম্পশেড শিশুর ঘরে মানাবে বেশ। পছন্দসই যেকোনো রঙের ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন ওর ঘরে।

সজ্জায় আরও যা
শিশুর ঘরে ফুলের টব রাখতে পারেন। তবে যেখানে রাখলে শিশু এটি ভেঙে ফেলতে পারে, এমন জায়গায় রাখা যাবে না। ঘরের এক কোণে ছোট, লতানো কোনো গাছের টব ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘরে সজীবতা ও সবুজের প্রশান্তি থাকবে।
ফুলদানিও থাকতে পারে শিশুর ঘরে।
শিশুর ঘরে পুতুল ও খেলনা রাখার শেলফ রাখা যেতে পারে। বইয়ের শেলফও রাখতে পারেন। এতে বইয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ জন্মাবে। ছড়া-গল্প-ছবির বই নিয়ে শিশুর সময়টাও ভালো কাটবে।

Collected ---
http://www.prothom-alo.com/life-style/article/806185/%E0%A6%9B%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%AE%E0%A6%A3%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%98%E0%A6%B0%E0%A6%9F%E0%A6%BE
Title: Re: ছোট্ট মণির ঘরটা
Post by: Karim Sarker(Sohel) on March 22, 2016, 01:47:53 PM
Plz. see the picture