Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mohammad Nazrul Islam

Pages: [1] 2 3 ... 12
1
এখন ভালবাসা চলে মেসেঞ্জার কিংবা হোয়্যাটসঅ্যাপে। নির্জনে ঘরের পিছন, পড়ার টেবিল ঘেষা জানালারদ্বার কিম্বা স্কুল ফেরার পথে ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার দিন শেষ।

এখন ভালবাসার প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতি সহজ ও সস্তায় ‘আই লাভ ইউ’ বলায়। পরিবর্তনের এই ধারায় অন্তত আমাদের দেশে ভালবাসা এখন সস্তা, ও  নিদিষ্ট দিনে ‘ভালবাসা দিবস’ উদযাপন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।

অসভ্য যুগ থেকে মানুষ সভ্য যুগে প্রবেশ করেছে ভালবাসাকে আশ্রয় করে।বহুকাল থেকেই ভালোবাসাকে আশ্রয় করে মানুষের সঙ্গে মানুষের মেলবন্ধন গড়ে উঠেছে। ভালোবাসার শক্তিতে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। আবার এই ভালোবাসার অভাবেই মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই মানব জীবনে ভালবাসার গুরুত্ব এককথায় অপরীসিম।

এ গুরুত্বকে পরিস্ফুটন করতে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে মানুষ ভালো-বাসার জন্য একটি নিদিষ্ট দিবস উদাপন করে আসছে যার নাম ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’। আজ ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে,। আমার শুভার্থী সকলকে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ এর শুভেচ্ছা ও অভিবাদন।

আজকের দিনটি আবালবৃদ্ধবনিতা সবার হলেও, প্রধানত তারুণ্যের জয়জয়কারই সর্বত্র। এই দিনটি নিয়ে আমার লেখার দেরী হলেও ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো নানা ধরনের ট্রলে এবং স্ট্যাটাসে ভরে গেছে।

অনেকের আবার বক্তব্য, এই ভালোবাসা দিবসে তাদের কোনো সঙ্গী না থাকায় তারা অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। ভাবতেই পারছেন না কিভাবে তারা এই দিবসটি পালন করবেন।

‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ ঐতিহাসীক বর্ননায় মতান্তর রয়েছে। ঠিক কবে, কখন, কোথা থেকে এ ভালোবাসা দিবস উদযাপনের সূচনা তা বলা মুশকিল।

কেউ কেউ মনে করেন, ভালোবাসা দিবস পালিত হয় প্রাচীন রোমের প্রেমের দেবী জুনোকে স্মরণ করে। আবার কারো কারো মতে ভালোবাসা দিবস উদযাপিত হয় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর করুণ হৃদয়- বিদারক প্রেমের কাহিনীকে স্মরণীয় করে রাখতে।

জানা যায়, ভ্যালেন্টাইন ছিলেন রোমের এক সাহসী ও হৃদয়বান বীর।  তার জীবদ্দশায় রোমের রাজা ক্লোডিয়াস ছিলেন এক নিষ্ঠুর শাসক। হঠাৎ তার ভ্রম হয়েছিল যে, বিবাহিত সৈন্যদের চেয়ে অবিবাহিত সৈন্যরা বেশি কর্মঠ ও শক্তিশালী। এমন মনোভাব থেকে তিনি তরুণ বীরদের বিবাহ নিষিদ্ধ করে দেন।

তাঁর এই নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে ভ্যালেনন্টাইন্স তরুণদের গোপনে বিয়ে দেয়া শুরু করলে রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ভ্যালে-ন্টাইনের এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল আজকের এই তারিখে অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে।

ঘটনা প্রসঙ্গে লোকশ্রুতিতে রয়েছে যে, কারাগারে থাকা অবস্থায় ভ্যালেন্টাইন এক কারারক্ষী নারীর প্রেমে পরেন। মৃত্যুর ঠিক আগ মুহূর্তে সে তাঁর প্রেমিকাকে একটি মিষ্টি চিঠি লিখেছিলেন যার শেষে লিখেন – ‘ইতি তোমার ভ্যালেন্টাইন’। সেই থেকেই পালিত হচ্ছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে”  বা ভালবাসা দিবস।

গবেষণা বলে প্রেমে পড়লে মানুষের আত্মঃবিশ্বাস  বহুগুণে বেড়ে যায়। এর জন্য হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াও সচল হয় যা জীবনে সফলতার ছোঁয়া বয়ে আনে। তাই জীবনের সাফল্যের জন্য একবার হলেও প্রত্যেকটি মানুষ কে প্রেমে পরা প্রয়োজন।

একথা সত্য যে, কর্মময় জীবনে আমরা সকলেই ব্যাতি-ব্যস্ত, সময় পার করি। আর ভালবাসার মানুষটি হলো সকল ক্লান্তি দূরীকরণের অসাধারন মেডিসিন। যার সংস্পর্শে  ও অতুলনীয় সৌন্দর্যে দিনশেষে মুগ্ধ হয় প্রিয়জনরা।

অনিন্দন যে, একজন মানুষ প্রেমিক/প্রেমিকা হলে অনায়েশেই সে নিয়মানুবর্তিতায় অভ্যস্ত হয়। ফলশ্রুতিতে তার জীবণে ধীর- স্থীরতা আসে এবং জীবনে সফলতা অনিবার্য হয়ে উঠে।

https://banglatopnews24.com/864/

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ-চাচীতারা বাজার জামে মসজিদ ও সদস্য- জাতীয় নাগরিক কমিটি, সাটুরিয়া উপজেলা শাখা

2
Common Forum / বিষাদ গদ্য
« on: December 14, 2024, 10:52:56 AM »
আফিমের নেশা করা
প্রতিক্ষায় প্রাণ,
এলোমেলো কথা মালায়-
গায় গীত গান।।

আকাশের অসীমতা
কূল-মানহীন যার,
বলি হরি, ঢলে পড়ি
আমি তারে পুজিঁবার।।

হাসিঁমাখা মুখে আমি
কালিন্দীর নাম লই,
পুজাঁর ঢালা সাজিয়ে
অভিরাম দুঃখ সই।।

স্বপ্ন দেখি, চাদেঁর আলো
অন্ধ কুটিরে আসি
সনাৎ ঘটিকায়
প্রেম ঢালে রাশি রাশি।।

নগ্নতায় আমার আশা
বুকের উপর বসি,
-গর্দান চেপে ধরে,
তিরস্কারের বলন কষি।।

নিঃশ্বাস ক্রমশই হয় ক্ষীণ
তবু. বেহায়া মন,
চয়নিকার পিছেই ছুটে,
করে নিলর্জ্জ পণ।।

দিন কাঁটে কোলাহলে
-অবুঝ বির্দীণতায়,
সন্ধ্যায় জেকে বসে,
যৌবিক জড়তায়।।

 দ্বি-প্রহর, রাত্রিতে
শুনি, অচেনা শব্দ,
-সময়ের ধীর চলা
এ-জীবনের জব্দ।।

দু,চোখে অশ্রু ঝড়ে
-কালের গভীরে,
স্মৃতি গুলো কুড়ে খায়
শতাব্দীর সমীরে।।

বেচেঁ আছি এখনো
এটাই নাকি সত্য !!
ভাল লাগার পথ ধরে
-বাচিঁতে-ই, মত্ত।।

মূলহীন- ভুল চলা
পঙ্কের পদ্ম,
বিনা তারে পরশন
- বিষাদের গদ্য।।

এটাই বুঝি ইতিকথা
-অসীমের চেনাপথ,
আশা নিয়ে উষা আসে
চিরচেনা অভিমত।।

3
Common Forum / ফেরিওয়ালা’
« on: November 01, 2024, 08:29:58 PM »
কামনা বিলাসী আমি
চলি, কল্পনার হাত ধরে,
অনাগত আশা-আবেগী ভাষা
ফ্রি‘তে, ফেরি করে।।

পরন্ত অবকাশের স্বর্ণালীছায়
দাঁড়িয়ে ভাঙ্গা কূলে
নিলীমার প্রসারনে এখনো-
মন উঠে দোলে।।

ভাবণার হাত ধরে
জীবনের ছবি আকিঁ,
উর্মিলার কুহুঁ ডাকে
বসন্ত উঠে জাগি।।

নীলাম্বর আকাশ হতে
নীল পরিরা এসে
চুপি চুপি কথা কয়
আবেগের ঢেউয়ে ভেঁসে।।

প্রাপ্তির ধার ঘেঁষে
চিন্তার গতি পথ-
থেকে থেকে জেগে উঠে,
প্রতিকূল অভিমত।।

তবু আছি বেশ-ঘুরে দশ-দেশ,
সময় শেষের বেলা,
প্রমিলারা ‘হাক-ডাকে-
দাঁড়াও, ‘দুঃখ ফেরিওয়ালা’।।

4
Common Forum / অনুভব !
« on: October 07, 2024, 03:07:36 PM »

আজ, অবেলা-অবসয়ে
তোমাকে মনে পড়ে,
বড় তৃষিত অভাগীর মন,
দেখিতে চাঁদবদন মুখ।।

মনে পড়ে আষাঢ়ের শেষ বিকেলে
বসিয়া, কদম তলে-
সারা গা লেপ্টে যেত উড়ানি
-ঢালা বৃষ্টির জলে।।

লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে
তুমি, ভেজা কোলে বসে
আদর-সোহাগে বলতে-
ভালবাসি প্রিয়তম, অবিরাম-অবিরত,
কি মধুর ছিল সেই চয়ণ!

আমি আড়োচোখে, চেয়ে
তোমার শ্যামল নগ্ন বুকে,
হাত বুলিয়ে দিতাম-
অশান্ত ধরনীর বুকে নেমে আসতো সন্ধ্যা
-ঝির ঝির বাতাসে।।

তারপর পৃথিবী ছিল ক্ষণকাল মৌন
হঠাৎ, খোলাকাশে দু‘হাত তোলে
উদাস মনে বলতে-প্রিয়তম
- বড় মধুর এই ছোয়া !

আমি লজ্জায় মুখ ছেঁপে,
শিহরে উঠতাম কেঁপে-
ছলছল নয়নে, অশ্রু ভেজা বদনে
হাত দুখানি ধরে, মিনতি করতাম
ভুলে যাবে না তো কোন দিন
-প্রিয়তম!

তারপর, বিদিশার নেশা..
সময়গত হলো, সবই রয়ে গেল-
স্মৃতির স্বাক্ষর, সেই চেনা পথ,
তুমি গেলে -দূর অজানায়
দিয়ে আখিঁ জল উপহার।।

আজও অনুভবে বুঝি, তাই সদা খোজি
হে, কামনা বিলাশী, বিনোদবর্মন
কি দোষ ছিল আমার ?
দুর্দান্ত আঘাতে, কেন ক্ষত-বিক্ষত করলে
-এই পাষাণী অহল্যার মন।।







5
Common Forum / বকুল তলা !
« on: August 26, 2024, 02:30:42 PM »
যা ছিল মোর
জীবনের কথা,
কল্পলোকের গল্প আজ
-শুধুই ব্যাকুলতা।।

কামনা-বাসনা ছিল যা
তৃষিত বুকে,
দারুন বাস্তবতা
-তা দিয়েছে রুখে।।

বিশ্বাস ছিল যাতে
অগাত-আমরণ,
বিনে সূতোর ফুড়ি’তা
-শুধুই অকারণ।।

বিষন্ন বিভূঁই আজ
রিদমের সুর,
দুর্গম গিরি পথ
-দূর বহু দূর।।

আজ নগ্নতায় দেহ-মন
অধর-অথৈই,
সিনানের সূচীতায়
-সদা চেয়ে রই।।

ক্ষণে ক্ষণে পড়ে মনে
সেই, বকুলের তলার
সান-বাধানো ঘাট,
আদর-সোহাগে কাঁটতো
-কত দিবস-রাত।।

দুটি হৃদয় কাছে এসে
তুমি-আমি ভালবেসে
বিগত হয়েছে
-কত মিলন-মালঞ্চ ।।

বলে ছিলে আরো-
অনিন্দ্য সাধ প্রিয়,
বুকে বুক রাখি-
জীবন যাবে, যা-আছে
-কাল-বাকী।।

তারপর অচেনা
এক দৈব হাওয়া এসে,
বানের স্রোতে
-তুমি গেলে ভেসেঁ।।

দিন গেল, মাস গেল
অচেনা হলে তুমি,
একাকিত্বের ধারাপতে
-বেঁচে রইলাম আমি।।

বহুকাল বহুযুগ
দিলে উপহার,
তারপর দ্রোপদির রুপ
-ফিরিলে আবার।।

ভেঙ্গে গেল ধ্যান
মোর-ছিল যা আশা,
বদির-বিপন্ন আমি
-কেড়ে নিলে ভাষা।।

বন্ধু, সেই থেকে
বড় বিষ, বড় জ্বালা-এই বুকে
বলে যাই সব
-যাহা আসে মুখে।।

আজও বন্ধু, তোমাকে
হেরি-নেশার ঘোরে,
অকথা- ছাই মাথা
-বলি, পাড়া জুড়ে।।

বিনয়-মিনতি, বন্ধু
রইল- তোমা দ্বার
মাতালের এই বুলি,
কর্ণে নিও না আর।।

ফিরে এসে,অলি-গলি
রাখিও পদ ধূলি,
-যদি মন চায়,
হারানো সেই বকুল তলায়।।
https://banglatopnews24.com/bokul-tola/

















6
Common Forum / কাফেলা !
« on: July 30, 2024, 10:11:32 AM »

জাগরণি এক সুর উঠেছে
স্বাক্ষ্য দিতে সত্য,
আয়.রে অরুন, আয়.রে তরুণ
মরণে হই মত্ত।।

রাজাকারের গালিতে মাখা
পবিত্র দেহ আজ,
ঘিরে ধরেছে- স্বৈরাচারী
চিল-শকুনি-বাজ।।

আমার বক্ষ্য, আমার লক্ষ্য
স্বাধীন সূর্যের আলো,
-মুক্তির নেশায়, রাজপথে ঐ
প্রতিবাদী মশাল জ্বালো।

নিশি রাতের অন্ধকারে,
খেলতে মরণ খেলা,
মুক্ত পথের যুক্তিতে- হও
ক্ষুদি রামের চেলা।।

পরাধিনতার এই জীবনে
লাভ কি তরুন বেঁচে?
নন্দীতাতে নৃত্য আসুক
জীবন দিতে হেঁসে।।

নাইবা থাকুন, নাইবা রাখুন
শিকলে বাঁধা প্রাণ-
মুক্তপথে উড়ে বেড়াক,
-শহীদি কাফেলার গান।।


7
Common Forum / আধিরা !
« on: July 11, 2024, 10:29:40 PM »
 
আধিরা আমার কল্পলতা
দিনহীনা এক চয়ন,
হৃদিতার প্রাণ বায়ুকোষ,
পরম ব্রত স্বয়ং।।

আখি নীড়ের সখি, সে
-কল্প, তরু, মায়া,
অগ্নি ঝড়া নগ্ন দিনের
মেঘ, বৃষ্টি, ছায়া।।

জীবন চলার গতি ধারা
নিত্য সত্য, গিরি,
চিতায় পড়া ভস্মভুত
ধুম-স্বর্গের সিড়িঁ।।

ভাসাঁর ভেলায়,
-তুলসি তলা,
চিন্ময়ী এক ধরা,
জন্ম-মৃত্যুর চক্রবেদী
ভাঙ্গা খেলা গড়া।।


8
Common Forum / তিয়াসা
« on: February 25, 2024, 01:26:41 PM »

যমুনার এখন ভরা মৌসুম
নিত্য ডাকে বান,
চন্দ্র-পাক্ষিক আর্কষনে
মত্ত মিলনে ম্লান।।

পাড় ভেঙ্গে তার ধার ছুঁটেছে
অগাত পানির জল,
হাতরিয়ে, আমি স্বপ্ন  বিলাই
স্রোতের প্রতিকূল।।

গায়ে আমার নেংটি আটা
প্রাণের আকুতি যত,
দারুন স্রোতের করাল গ্রাসে
অঙ্গহানী-ক্ষত।।

নদীর পাড়ে মধুর মেলা
ভদ্রজনা কত,
দিক-ইশারা, আমার প্রাণে
হাসছে অবিরত।।

অভাগী আমি- লজ্জাহীনা
যমুনার স্রোত ধরে,
বন্ধুর, দেশে যাব- আশা
ঢেউ এর সারি চরে।।

বন্ধু আমার রঙ্গিলা ভাও
রঙ্গ সবার সনে,
সে, আমারে ভাসিঁয়ে-ডুবায়
আশার স্রোত-বানে।।

তবু, আমার ভাসতে সখ
সখি- নগ্ন যমুনায়,
তপ্ত জ্বালার- দারুন খড়ায়
তিয়াস মিটে নাই।।


9
Common Forum / ঐন্দ্রিতা
« on: February 14, 2024, 12:32:11 PM »
নিশ্চয় তুমি শাড়ী পড়েছ
-ভালবাসার এই দিনে,
নিশ্চিন্ত মনে, স্বর্গের ছবি আকঁছ’
জীবনের ক্যাফেটেরিয়াতে।।

কথা মঞ্জুরী আর অনাগত আশায়
জীবনের খেয়া তরীতে-‘দুল তুলেছ’
অনাগত ভবিষ্যতের চিন্তায়
ইন্দ্রের ইন্দ্রানী হয়ে।।

শুচী,কপালে টিপ, হাতে কাঁচের চূড়ি
হালকা লিপিস্টি আর ইরানী চোখে
চিরাচরিত শাড়ীর ভাজেঁ ভাজেঁ
আবেদন ছাপিয়েছ- প্রিতমের ঐন্দ্রিতা ।।

দিবস শেষে, একলাপথে যদি,
ভাবণার সূতোগুলো ঢিল হয়ে যায়
ফিরে দেখ, কালিন্দির ঘাটের পায়ের ছাপ
 এখনো মুছে যায়নি ।।

কাক চোখের স্বচ্ছ জলে
এখনো একটি অবহেলিত জীবন কথা বলে,
ভালবাসে, এই দিবসে-
অনন্ত যোজন ধরে মহাকালের পথে ।।

10
আবারও নতুনের ডাক নিয়ে ফিরে এলো আরও একটি নতুন বছর ইংরেজী ২০২৪ সাল। পুরাতনকে ছাপিয়ে নতুনের এই ডাক, সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ আর হাসি গান। পুরাতনের ক্লান্তি নাশিতে নতুনের উল্লাসে দুর হোক জীবনের সমস্ত জরা-ব্যাধি। ফুলেল সম্ভারে সুরভিত হোক জীবনের প্রতিটি অধ্যায়। ফেলে আসা কালিমা ধুয়ে-মুছে যাক নব-যৌবনের আরিফতায়।

বন্ধু, বিগত দিনে ভুল ছিল জোয়ারে জলে পা দেয়া। সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে মাথায় সিঁথি করা। হাতা কাঁটা জামা পড়ে কদম তলায় আখিঁ ঝড়ানো- সখি সে যে কেন এলো না...! ধূসর কূয়াশাকে ভালো লাগার দিন- ক্ষণ গণনায়। জীবনের প্রয়োজনে হিমালয়ের চূড়ায় আঘাত করে বিদীর্ণ হওয়া। বকুল ভরা ডালে ঢিল ছুড়া।

ভুল ছিল, শিমুল ফুলের রং দেখে মুগ্ধ হওয়া, স্বর্ণলতার মধুর চয়নে দিন পার করা। গভীর জলে- হারানো নথ খোঁজে ফেরা। গলদে বল-বিহারী খোঁজা। সুন্দর অক্ষিতে মুগ্ধ হওয়া। ধিক্কার-অবহেলাকে আলিঙ্গন করা। মন পচনে মলম খোঁজা কিম্বা হুতাশনের সাথে বন্ধুত্ব করা।

বন্ধু, পুরাতনকে ভুলে নতুনের আশায় এসো গড়ি খেলাঘর। ফিরে দেখি, জীবনের নতুন অলিন্দ। গান গাই হাসি মুখে, সংকর-সংর্কীণতায়। ভালবাসার বুকে ভগবানের ছবি আঁকি। পরিয়ে দেই প্রিয় জনের হাতে রাখিঁ। চঞ্চল-চপলতায় বুকে রাখি-প্রণয়-প্রয়াস। পবন নন্দনের হাত ধরে পথ চলি-আকাশের সিড়িঁ বেঁয়ে।।

নতুন বছরের এই দিনে তব রাঙ্গা পদে বন্ধু এই মিনতি-

নিশি অবসানপ্রায়, ওই পুরাতন বর্ষ হয় গত!
 আমি আজি ধূলিতলে এ জীর্ণ জীবন করিলাম নত।
বন্ধু হও, শত্রু হও,  যেখানে যে কেহ রও,
ক্ষমা করো আজিকার মতো
পুরাতন বরষের সাথে পুরাতন অপরাধ যত।
আজি বাঁধিতেছি বসি সংকল্প নূতন অন্তরে আমার,
 সংসারে ফিরিয়া গিয়া হয়তো কখন ভুলিব আবার।
তখন কঠিন ঘাতে  এনো অশ্রু আঁখিপাতে অধমের করিয়ো বিচার।
আজি নব-বরষ-প্রভাতে ভিক্ষা চাহি মার্জনা সবার।
যাহা-কিছু লয়ে গেলে সাথে তোমারে করিনু সমর্পণ।
ওই এল এ জীবনে নূতন প্রভাতে নূতন বরষ—
মনে করি প্রীতিভরে বাঁধি হাতে হাতে, না পাই সাহস।
নব অতিথিরে তবু  ফিরাইতে নাই কভু-- এসো এসো নূতন দিবস!
ভরিলাম পুণ্য অশ্রুজলে আজিকার মঙ্গলকলস।


11
বড় জেঠির মুখে শুনেছি, আমার বয়স যখন দেড়বছর তখন সেজু চাচি আমাকে দত্তক নিয়ে ছিলেন। সেজু চাচির নাম রাহেলা বেগম। মেজাজি হলেও সামাজিক ভাবে সচেতন এবং স্বাধীনচেতা মহিলা ছিলেন তিনি। চাচা মো. শাহজাহান মাষ্টারের কোন সন্তান- সন্তুতি ছিল না। চাচা ও চাচির ঘর বাচাঁতে আমার মা,  নানা (আদু বেপারী) ও দাদী (কাজুলী বেগমের) অনুরোধে আমাকে দত্তক দিতে রাজি হয়েছিলেন ।

সেই দেড়বছর অব্দি থেকে সম্ভবত পাচঁ বছর পর্যন্ত আমি আমার চাচিকেই মা বলে জানতাম। পাচঁ বছর বয়সে আমি আমার মায়ের কাছে ফিরে আসি। তখন আমার বুঝ-জ্ঞান কিছুটা হয়ে ছিল। প্রায় সাড়ে তিন বছর তিনি আমাকে লালন-পালন করেছেন একান্ত স্নেহভরে মাতৃত্বের স্নেহ দিয়ে।

জীবনের এই নাদান সময়ে উনার মাতৃত্বে পরশ এখনও আমার গায়ে লেগে আছে। অভাবের সংসারে আমার বেড়ে উঠা। কিশোর বয়সের অনেক অভাব-আবদারই মা-বাবা পুরণ করতে পারে নাই, যা চাচি পুরন করেছেন। মেলা কিম্বা হাট-বাজারে বেহাতি খেতে অনেক সময় দুই/পাচঁ টাকার জন্য কান্না করেছি। চাচি নির্ধিদায় হাতে গুজে দিয়ে আবদার মিটিয়েছেন।

বড় হবার পর অহেতুক বিড়ম্বনায় আমি জেল-হাজতে গেলে- তিনি আমাকে তাগদ নিয়ে বেচেঁ থাকার উৎসাহ যোগিয়েছেন। অকারণের আকারে সময় অসময়ে টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন। জীবন চলার পথে আকাঁ-বাকাঁ পথ চিনতে সাহায্য করেছেন।

আজ ২৯শে ডিসেম্বর তিনি না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার অসীম অজানা পথের- এই অনন্ত চলায় আল্লাহই একমাত্র ভরসা। প্রভু দয়াময়  মহান আল্লাহ তা’লা যেন তার আত্মাকে কবুল করেন এই কামনা করি।।

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাটপনিউজ২৪.কম।

12
জীবন মানেই অপ্রাপ্ত বাসনা- আরতি আর আরাধ্যের লীলা কীর্তন। এই কীর্তনে একবার তাল হারালে জীবন বেতালা। জীবনের ভাবনাগুলো সংকুচিত হয়। বিপর্যস্থ্য হয়, জীবন জিজ্ঞাসার। আমার দশাও এমনি। আমি লেখা-পড়া শেষ করে চাকুরী করেছি প্রায় একুশ বছর। শুধু বেতালায়- বেহালা বাজিঁয়েছি। বুঝতে পারিনি জীবন বিনিময়ে চলে। বিনিময় না বুঝে চলা এক-ধরনের পাগলামী।

লালন ফকির বলেছেন, সময় গেলে সাধন হবে না…। আমারও হয়নি। বরাবরই আমি সাদাকে সাদা, কালা কে কালা বলতে অভ্যস্ত ছিলাম। কিন্তু সমাজ অতো সোজা নয়। এখনকার সমাজ পাড়-ভেঙ্গে, ঘাট চিনে চলে। তথাকথিত ভদ্ররা সমাজে ম্যাকিয়াভেলীর সমাজতন্ত্র চালু করেছে।


চাকুরী জীবনে দেখেছি, ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্যকর্মসূচীর লোকেরা চির- দিনই নির্যাতিত। এখানে ধর্মদৃষ্টতায়- বলিষ্ঠতা, চাতুরতায়- সফলতা আর চামুচামীতে-পদন্নোতি ।


দেখেছি, বাকবর্ধিতায় কত নচ্ছার ম্যানেজার হয়। চপলতায় কত কুলংগার সুপারভাইজর হয়। কত ভাষাহীনরা ভাষাবিদ আর মূর্খরা প্রশাসনের অধিকর্তা- আর এ, বি, সি, ডি পড়ুয়ারা ব্যাক্তিত্ববান হয়।


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজে ইতিহাসের প্রভাষক পদে চাকুরী করেছি প্রায় পাচঁ বছর। শিক্ষিত হিসাবে শিক্ষকদের ভ্রান্ত আচরণ আমাকে দারুন ভাবে মর্মাহত করেছে।

দেখেছি, শিক্ষিত দানবদের ভয়ে- দেশ বরেন্য ব্যারিষ্টার রফিক-উল-হকরা কি ভাবে দিশেহারা হয়। পদ-পদবীর লোভে মানুষ কতটা অ-মানবিক হয়।

কিছু দিন আগে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণ প্রফেসর ড. গোলাম মওলা চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। আমি ওনার সেকশনে অনেকদিন চাকুরী করেছি। তা’ছাড়া আমি যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা-পড়া করেছি, ওনি সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ছিলেন।


অবসরের পরে ড্যাফোডিলে যোগদান করেছিলেন। পদ-পদবী ছোট হওয়ায় ওনার সাথে আমার তেমন কথা হয়নি। তবে উনি একজন বিচক্ষণ ও মেধাবী লোক ছিলেন। চামুচাদের ছাপিয়ে, সিদ্ধান্ত নিতে ও দিতে ব্যক্তিত্বে পরিচয় রাখতেন।

ওনি যখন শাররীক ভাবে ভেঙ্গে পড়েন তখন বাধ্য হয়ে অবসরে যেতে হয়। উনার সময় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ভালই চলছিল কিন্তু উনার অবসরের পর তোষামুদকারীরা অধিকর্তাদের নানান ভাবে ম্যাসেজ করে তালে মাল ঢেলে দেয়। সেই মাল খেয়ে যথাযথ কতৃপক্ষ বেসামাল।


জনাব মওলা, জীবদ্দশায় সম্ভত দুটি বই লেখে গেছেন। তার ভ্রমন কাহিনীর উপর লিখিত বইয়ের পান্ডলিপির শুদ্ধতা পড়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। বইটি প্রকাশিত হয়েছে কিনা জানি না। তবে এই বইটিতে উনার পরিবারসহ সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের নানান ঘটনাই স্থান পেয়েছে। সব ছাপিয়ে গিয়েছে, একক মওলার-ব্যক্তি জীবনের মৌলিক ভাবনা ও কর্ম- দর্শনের কথা।

জনাব মওলার ঘুরিয়ে প্যাঁচিয়ে কথা বলায় অভ্যস্ত ছিলেন না। আমাদের সময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে জহিরুল নামের একজন ষ্টাফ ছিল। অত্যন্ত চতুর ও কর্মদক্ষ। সে এখন আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে নেই। পর পর কয়েক বছর বেতন বৃদ্ধি আবেদন করে কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া না পেয়ে রাগে, দুঃখে ও অভিমানে চাকুরী ছেড়ে এখন সৌদি আরবে প্রবাস জীবন-যাপন করছে ।


সে সময় জনাব মওলা স্যার ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে-প্রিন্স প্লাজার অপজিটের একটি ছিমছাম বাসায় থাকতেন। প্রয়োজনের তুলনায় বাসায় জায়গা ছিল কম। তাই তিনি নতুন বাসায় উঠার মনস্থ করে, বাসার কিছু পুরাতন আসবাব পত্র বিক্রি করে দেন।

আমি জহিরুলের সহযোগিতায় স্যারের কাছ থেকে নামে মাত্র টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কিনে ছিলাম। স্যার আমাদের সাথে এ ব্যাপারে কোন রকম দরদাম করেন নাই। টাকা হাতে দেয়ার সময় তিনি কেবল একবার মাত্র আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।

তাতেই হাজার কথা বুঝে নিয়ে-ছিলেন। এটি-ই ছিল তার চরিত্রের অন্যতম দিক-দর্শন । মোট কথা একজন পরিপুর্ন শিক্ষিত লোকের যা থাকার দরকার তিনি ছিলেন তার শ্রেষ্ঠ উদাহারণ।

স্যারের দেয়া ফ্রিজটি আজও সচল আছে। আমি যত বার ফ্রিজটি খুলি- নড়াচড়া করি ততবার স্যারকে মনে পড়ে। বিশ্বাসী হয়না- স্যার আজ আর আমাদের মাঝে নেই। মহানজন- মহাজনি করে চলে গেছেন। খুচরা- ক্রেতাদের ঋণে ফেলে। মহান আল্লাহ পাক তার মহাজন- আত্মার প্রশান্তি দিন, এই কামনা নিরন্তর। (ড্যাফোডিল নিয়ে অনেক লেখার আছে পরবর্তী পর্বে ধারাবাহিকভাবে লিখব-ইনশাল্লাহ)

মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সাবেক সহকারী কর্মকর্তা, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি।

13
Common Forum / আগন্তুক
« on: November 29, 2023, 06:03:07 PM »
এখনো ভাবি তোমাকে, ‘উচ্চধরিত্রী’
মধ্য রাতে কিম্বা ভর-দুপুরে,
-জীবনের  তপ্ত একাকিত্বে,
ছায়া সঙ্গীনির অভিপ্রায়।।

জীবনের পথগুলো বড়ই পিচ্ছিল,
হৃদয়ের অতল গহ্ব্বরে
-বেদনার কালিনীগ্রদে,
এখনও, বারুদপুড়া গন্ধ পাই।।

আকাঁ-বাকাঁ পথে, খেই হারায়,
ভাবনার বিশুদ্ধতা ফিরতেই,
তোমার মুখছবিতে-
ঈশ্বর-ভগবানের ছবি আকিঁ।।

কত কাল গত হয়েছে
শিশিরে পা ভিজেঁনি আমার,
কিন্তু, প্রতিনিয়তই আখিঁ ঝরে
তোমার চিরাচরিত অবহেলায়।।

বন্ধু, কি পেয়েছ কর্মে?
-কেন ধর্মে পালিয়ে বেড়ানো
জীবন শ্রেফ একবারই আসে
ভাল লাগাকে ভালবাসিতে।।

এসো, হেথা ছায়া তলে,
ছোট্ট-বড় ভেদাভেদ ভুলে
সৌমিত্বের বানী তুলে
ভালবাসার জয়গান গায় ।।






14
Common Forum / স্পর্শ
« on: July 01, 2023, 01:34:30 PM »
আলো, সে-নয় আলেয়া
সকলেই জোসনার ভাগ পায়,
কোন দিন, কবে বল? সখি,
চাদেঁরে ছুতেঁ পারে
পতঙ্গ-প্রতিমায়।।

জোসনায় মন ভরে যার, প্রিয়!
তারে না দেখিলেও কভু,
মহিমায় ফোটে প্রনয় সাধ!
-চির অম্লান অক্ষয় প্রভূ্।।

সারা-দিন মান- ক্ষণ-ভরি
জাগিয়া উঠে, বাসনা যার,
অতি গোপনে,-এই-হিয়া তলে,
সাধ কি আছে বল! তারে ভুলিবার।।

চির অন্ধকারে থাকিয়া,পরবাসী
সাজিয়া দাস, আলেয়ার ঘর,
-বিজনের পরশ প্রিয়াসী-
চির কুঞ্চিতের অবসর ।।

ভালবাসা কারে কয়, চয়ণিকা?
জন্ম-জন্মান্তর গিরি-
জল-বাস্পে চির অম্লান, অক্ষয়
ফিরিতে জগৎ ঘুরি।।
[/size][/size]

15
Common Forum / কালাচাঁদ
« on: May 23, 2023, 05:49:01 PM »

যে আমারে ডুবিয়েছে, সখি
আশার কথা বলে,
অথৈই আধাঁরে সাতঁরিয়ে ফিরি
-অবুঝ প্রেমের ভুলে।।

অভিসারে খুজি তারে
ভিক্ষার ঝুলি ল‘য়ে,
দশ দ্বারে, ভিক্ষা মাঙ্গি
দানের আশা ব‘য়ে ।।

রোজ নিশিতে বন্ধু আমার
আসে, স্বপ্নের কাছাকাছি
প্রেম-সোহাগে মন বিনিময়
নিত্য মাখামাখি।।

স্বপ্ন ভাঙ্গতেই কেদে মরি
প্রাণের বন্ধু, কাছে নাই
শোক সাগরে ভেসেঁ ভেসেঁ
কেন্দে বুকঁ জুড়াই।।

আমারে কান্দাইয়া বন্ধু
হলো কালের মহারথি,
কথা ছিল, মহাকালের যাত্রা পথে
হবো সঙ্গের সাথী।।

আমার কালাচাঁদ আজ
বিজনের হাত ধরে
প্রেম গীতে মত্ত সখি
সপ্ত-সিন্ধু পারে।।

যে আমারে চায় না, সখি
আমি কেন তার লাগি,
-প্রেম আদরে সদা মত্ত
অবুঝ, অভাগি।।

দিন ফুরালো সন্ধ্যা হলো, সখি
কালের তরী ধায়
একলা আমি বসে কাঁদি
অকূল নদীর কিনারায়।।


Pages: [1] 2 3 ... 12