Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sharifmajumdar

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
আগেই বলে রাখি এটা কোন ভুং-ভাং পোস্ট না। এটা নিয়ে লাইফহ্যাকারে ফলো-আপ হয়েছে আর ইতিমধ্যে পোস্টটা স্প্যানিশ ও চাইনিজ ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বলে রাখা ভাল, এটা আমার মৌলিক কোন লেখা নয়। Yevgeniy (Jim) Brikman এর বিখ্যাত আর্টিকেল Don't learn to code. Learn to think. এর বাংলা অনুবাদ করেছি আমি। না চিনে থাকলে Brikman সাহেবকে কে একটু পরিচয় করিয়ে দিই। ভদ্রলোক আগে লিংকডইনের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বাকিটা এখানে পাবেন।

ব্যাপারটা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে সবাই কোডিং শিখতে চেষ্টা করছে। বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ আর ক্রিস বোশের মত code.org এর সেলেব্রিটিরা বরাবরই বলছেন, যে কেউই কোডিং করতে পারে। CoderDojo সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে, UK তাদের স্কুলের বাচ্চাদের কারিকুলামে কোডিংকে অফিসিয়ালি অন্তর্ভুক্ত করেছে।

আমার মনে হয় বিষয়টা একটু মিসগাইডেড, ভুলপথে চালিত আর কি! আমাকে ভুল বুঝো না - সবাই কোডিংয়ের সাথে পরিচিত হলে দুনিয়া ভালোর দিকে আগাবে এটা আমিও বুঝি - কিন্তু কোডিং নিজে কখনো লক্ষ্য হওয়া উচিত না। কম্পিউটার আর প্রোগ্রামিং টুলস ছাড়া কিছুই না।

আসল লক্ষ্য হওয়া উচিত - লোকদের একটা নতুন পথে চিন্তা করতে শেখানো। অন্য কথায়, আমাদের উচিত কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা, শুধু কোডিং নয়। আমার এই ব্লগ পোস্টে আমি দুইটা বিষয়ের ভিতর পার্থক্য ব্যাখ্যা করব। আর সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কেন সঠিক বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দেওয়া জরুরী তাও তুলে ধরব।

যদি তুমি ভিডিও এক্সপ্লানেশন পছন্দ কর, তবে আমি তোমাকে সাইমন পিটন জোনসের Teaching Creative Computer Science ভিডিওটা দেখার জন্য সুপারিশ করছি। আর বলা ভাল, এই ভিডিওটাই এই পোস্টের অনুপ্রেরণা।

ভিডিওটা দেখার পরও আমার লেখা পড়তে আগ্রহী? গ্রেট! একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে আলোচনা শুরু করা যাক: তোমার কি কোডিং নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত নাকি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে?

উত্তরটা জানার জন্য, আমরা সামনের দিকে আগাব।

বাস্তব জগতে স্বাগতম

তুমি সম্ভবত এই ব্লগ পোস্টটি ক্রোম অথবা ফায়ারফক্সে পড়ছ, যেটা উইন্ডোজ অথবা OSX এ কোন ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপে চলছে। আমি আন্দাজ করছি যে তুমি আজকে ইমেইল পড়ে কিছু সময় ব্যয় করেছ, ফেসবুকে তোমার বন্ধুদের স্টাটাস চেক করেছ অথবা ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখেছ। তোমার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই এখন কম্পিউটারকে ঘিরে ঘুরপাক খায় – তোমার মেডিকেল রেকর্ড এখন ডাটাবেজে, তোমার রিজিউমি এখন লিঙ্কডইনে, গুগল আর ফেসবুক ব্যবহার করে তুমি তোমার পণ্যের বিপণন করছ, এমাজন থেকে পণ্য কিনছ, তুমি অনলাইনে তোমার ট্যাক্স পরিশোধ করছ, একটা ওয়েবসাইট থেকেই তুমি তোমার ব্যাঙ্ক একাউন্ট পরিশোধ করছ, সম্ভবত তুমি ডিজিটাল কারেন্সিতে লেনদেন করছ।

এখন, কম্পিউটার ছেড়ে তোমার পকেটে, পার্সে বা ডেস্কে তাকাও। তোমার হয়ত একটা স্মার্টফোন আছে। এটাতে জিপিএস, ক্যামেরা, টাচ স্ক্রীন আর হাজার হাজার অ্যাপ্স আছে। যদি তুমি তোমার শোয়ার ঘরে থাকো, তাহলে হয়ত সেখানে এলসিডি টিভি, ডিভিআর, ডিভিডি প্লেয়ার, এপল টিভি, এক্সবক্স, প্লেস্টেশন এইসবও আছে। এইসব ডিভাইসে তুমি যে মুভি দেখ, গান শোন বা গেমস খেল তা হয়ত কম্পিউটার গ্রাফিক্স আর ডিজিটাল অডিও প্রসেসিংয়ে ভর্তি।

এবার একটু বাহিরে তাকানো যাক। তুমি কি তোমার গাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে? আধুনিক মটরগাড়িগুলো সফটওয়্যার দিয়ে ডিজাইন করা হয়, রোবোট দ্বারা নির্মিত হয় আর ফ্যাক্টরি কম্পিউটারে পরিপূর্ণ থাকে। তুমি যদি নিজে গাড়ি চালাও, তবে হয়ত গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে তোমার রাস্তা খুঁজে বের কর। Yelp এ খাবার জায়গা খুঁজে পাবে আর TripAdvisor এ খুঁজে পাবে থাকার জায়গা। এবার, উপরের দিকে তাকাও – তোমার উপরে কোথাও দিয়ে একটা প্লেন উড়ে গেল, এটা অটো-পাইলট কন্ট্রোল করছে, যেটাতে ইন-ফ্লাইট ওয়াইফাই আর বিনোদনের ব্যবস্থা আছে আর প্রতিনিয়ত অন্যান্য প্লেন, ট্রাফিক আর এটার ম্যানুফ্যাকচারারের সাথে যোগাযোগ করছে। আরো উপরে কোথাও হয়ত স্যাটেলাইট আর স্পেশ স্টেশন পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরপাক খাচ্ছে, ছবি তুলছে, আবহাওয়া পরিমাপ করছে আর ফোন কল রাউট করছে।

সফটওয়্যার পুরো দুনিয়া খেয়ে ফেলছে। কিন্তু এটা কেবলই শুরু মাত্র। আগে-ভাগেই জেনে রাখ, ভবিষ্যতে তোমাকে প্রযুক্তি পরে ঘুরতে হবে, কম্পিউটার দিয়ে দরজা বন্ধ করতে হবে, রোবোট ব্যবহার করে মালপত্র ডেলিভারি দিতে হবে আর বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করতে হবে, নিজের ইলেক্ট্রনিক্স নিজেকেই বানাতে হবে, নিজের ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট চালাতে হবে, ভার্চুয়াল বাস্তবতায় বাস করতে হবে, সেল্ফ-ড্রাইভিং কারে ভ্রমণ করতে হবে আর মহাকাশে উড়তে হবে।

ম্যাট্রিক্স সর্বত্র

এইমাত্র আমি যত প্রযুক্তির কথা বললাম অবশ্যই সবগুলো সফটওয়্যার পাওয়ার্ড। তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তুমি কোড দ্বারা বেষ্টিত। আর ভবিষ্যতে কোডের পরিমাণ শুধু বাড়তেই যাচ্ছে।

এখন একটা প্রযুক্তি শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী বলে যে সেটা স্কুলে শিখতে হবে এরকম কোন কথা নেই। যেমন: আমরা সবাই এয়ারপ্লেনে চড়ে আকাশে উড়ি, কিন্তু পাইলট হিসেবে লাইসেন্স পাওয়াটা কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর কারিকুলামের কোন অংশ নয়।

তারপরও এয়ারপ্লেনে আকাশে ওড়ার ব্যাপারটা বোঝার জন্য তোমার যা যা জানা দরকার তা কারিকুলামের অংশ:

(১) ফিজিক্স আর ম্যাথ তোমাকে মাধ্যাকর্ষণ, বল, চাপ, বেগ, ঘর্ষণ ও উড্ডয়ন বুঝতে সাহায্য করে।

(২) উঁচু জায়গায়, অক্সিজেন স্বল্পতায় আর চরম ঠান্ডায় মানবদেহে কি প্রভাব পড়ে তা বায়োলজি তোমাকে শেখায়।

(৩) হিস্টোরি তোমাকে বুঝায় কিভাবে এয়ারপ্লেন আবিষ্কার হয়েছিল, কিভাবে এটার বিকাশ ঘটেছিল এবং পরিবহন, বাণিজ্য ও যুদ্ধবিগ্রহে এটার ভূমিকা কি।

যখন তুমি মাধ্যমিকে পাশ কর তখন প্লেন কি, প্লেন কিভাবে কাজ করে ও প্লেন কিভাবে নিরাপদে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে তোমার একটা ধারণা থাকে। ফিজিক্স, ম্যাথ, বায়োলজি ও হিস্টোরিের মত সাধারণ ক্লাসগুলোতে তোমাকে এয়ারপ্লেনের মত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে চিন্তা করতে শেখানো হয়। যেসব ক্লাসে তোমাকে কোন বিশেষ টুলস ব্যবহার করতে শেখানো হয় এটা সেগুলোর বিপরীত, যেমন: কিভাবে একটা নির্দিষ্ট প্লেন চালাতে হয়।

একই কারণে আমাদের উচিত কম্পিউটার সায়েন্সের উপর দৃষ্টিপাত করা, শুধুমাত্র কোডিং নয়। প্রথমটা হল চিন্তা-ভাবনার বহুমুখী পথ আর শেষেরটা একটা নির্দিষ্ট টুল। এই সূক্ষ্ম পার্থক্যটাকে আরো ভালভাবে বোঝার জন্য কন্পিউটার সায়েন্সকে আরো কাছ থেকে দেখা যাক।

কম্পিউটার সায়েন্স কি?

কম্পিউটার সায়েন্স হল গণনা নিয়ে পড়াশুনা: মানে, কিভাবে তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত ও উপস্থাপন করতে হয়। এখানে কিছু বিষয় তুলে ধরা হল যেগুলো নিয়ে তুমি পড়াশুনা করতে পার।

(১) প্রব্লেম সলভিং (সমস্যা সমাধান): তুমি অ্যালগরিদম শিখবে – সাধারণ কৌশল যেমন: divide and conquer, recursion, heuristics, greedy search এবং randomized algorithms – যেগুলো তোমাকে যেকোন প্রব্লেম বিশ্লেষণ করতে ও সমাধান করতে সাহায্য করবে।

(২) লজিক (যুক্তি): তুমি অ্যাবস্ট্রাকশন, বুলিয়ান লজিক, নাম্বার থিওরি আর সেট থিওরির মত চিন্তা-চেতনার সুনির্দিষ্ট ও আনুষ্ঠানিক পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করা শুরু করবে যাতে কঠিন চাপের ভিতরেও তুমি সমস্যা সমাধান করতে পার।

(৩) ডাটা (উপাত্ত): তুমি ইনফরমেশন থিওরি নিয়ে পড়াশুনা করবে আর প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা শুরু করবে। যেমন: তথ্য কি? কিভাবে তুমি তথ্য উপস্থাপন কর? তুমি কিভাবে বাস্তব জগতের নকশা তৈরি করবে?

(৪) সিস্টেম: তুমি কিভাবে একটা জটিল সিস্টেম ডিজাইন ও তৈরি করবে যেটা কিছু প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে আর কিছু সীমাবদ্ধতা দূর করবে? মোটামুটি সব ব্যবসাতেই সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং একটা গুরুত্বপূর্ণ টপিক।

(৫) থিংকিং (চিন্তা-ভাবনা): মানব মনকে বুঝতে পারার সবচেয়ে সেরা উপায় হল এটাকে রেপ্লিকেট করতে চেষ্টা করা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, কম্পিউটার ভিশন আর ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিংয়ের মত টপিকগুলো শুধু কম্পিউটার বিজ্ঞানেরই নয়, বায়োলজি, মনোবিজ্ঞান, দর্শন আর ম্যাথেরও সামনের সারিতে রয়েছে।

বলে রাখা ভাল যে, উপরের তালিকাটা আসলে কোডিং বা প্রোগ্রামিংকে বুঝায় না। কারণ: এগুলো আসলে টুলস যা গুণতি-গণনা করতে পারে : আসলে তারা নয়, মূলত কম্পিউটার সায়েন্স।

    Computer science is no more about computers than astronomy is about telescopes, biology about microscopes, or chemistry about beakers and test tubes. Science is not about tools.

    Michael Fellows and Ian Parberry

আরেকটা টুল রয়েছে, গণনার জন্য আমরা যেটার উপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করি : ব্রেইন! কম্পিউটার সায়েন্সের উদ্দেশ্য হল ব্রেইনকে নতুন, সাধারণ ক্ষেত্রে এবং বহুলভাবে প্রযোজ্য চিন্তা-ভাবনার উপায় শেখানো। যেহেতু প্রযুক্তি আরো এবং আরো সর্বব্যাপী হচ্ছে, চিন্তা-ভাবনার এই নতুন উপায় ফিজিক্স, ম্যাথ, বায়োলজি আর হিস্টোরির মতই গুরুত্বপূর্ণ হবে।

যা কিছু বললাম, একাকী চিন্তা যথেষ্ট নয় : আমাদের জানা দরকার কিভাবে এটাকে প্রয়োগ করতে হয়। ফিজিক্সে, তুমি স্কেল, প্রিজম, চুম্বক নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট কর; বায়োলজিতে, তুমি টেস্টটিউব, গাছপালা নিয়ে কাজ কর; কম্পিউটার সায়েন্সে, তুমি প্রোগ্রামিং শেখ।

প্রোগ্রামিং কি

প্রোগ্রামিং, অথবা কোডিং করা হল কিভাবে তুমি কম্পিউটারকে কোন অপারেশন করতে নির্দেশ দেও। ইতিপূর্বে তুমি কখনো কোড লিখে না থাকলেও, সম্ভবত তুমি কোন অ্যাপ নিয়ে গুঁতাগুঁতি করেছ। এই অ্যাপ কোডের দাড়িয়ে আছে, যা কম্পিউটারকে বলে দেয় কিভাবে অ্যাপ্লিকেশনটাকে ডিসপ্লে করতে হবে, কোথা থেকে ডাটা নিতে হবে, কোথায় ডাটা স্টোর করতে হবে আর কিভাবে তোমার প্রতিটি ক্লিকে রি-অ্যাক্ট করবে।

উপরে আমরা কম্পিউটার সায়েন্সে যেসব থিওরি নিয়ে আলোচনা করলাম এগুলোই হল প্রোগ্রামিংয়ের ভিত্তি। এটা লক্ষ্যনীয় যে একই রকমের ধারণা - লজিক, অ্যালগরিদম, ডাটা, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং - ব্যবহার করে একটা ওয়েব ব্রাউজার, যেটাতে তুমি এই পোস্ট পড়ছ, থেকে শুরু করে এয়ারপ্লেনের অটোপাইলট সফটওয়্যার সবকিছুই তৈরি করা সম্ভব। যদিও প্রোগ্রামিং হল প্রচুর ম্যাথ আর স্ট্রাকচারের সমাহার, তারপরও এটা একটা উল্লেখযোগ্য সৃজনশীল চর্চাও বটে : এক লাইন কোড মানে হল আপনার প্রোডাক্টের একটু একটু করে আত্মপ্রকাশ।

কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনার অংশ হিসেবে প্রোগ্রামিং শেখার ক্ষেত্রে কতগুলো সুবিধা পাওয়া যায়:

(১) নিজে কর (DIY): যদি তুমি কোড করতে পার, তবে তুমি নিজের জিনিস নিজেই তৈরি করতে পার। সিম্পল কিছু থেকে শুরু করতে পার : এক গোছা ট্রাভেল ফটো রিনেম করার জন্য একটা স্ক্রিপ্ট লিখতে পার অথবা তোমার ট্যাক্স হিসেব করার জন্য এক্সেল ফর্মুলা লিখতে পার। তারপর, ছোট খোকা বড় হ : তোমার পোর্টফোলিওর জন্য একটা ওয়েবসাইট বানাও, তোমার কোম্পানির জন্য একটা মোবাইল অ্যাপ বানাও, তোমার দোস্তের সাথে খেলার জন্য একটা গেইম বানাও।

(২) সমস্যা নিবারণ (ট্রাবলশ্যুটিং): নিজে নিজে এরকম কয়েকটা অ্যাপ্স বানাবার পর দেখবে অন্যান্য অ্যাপ্স বানানো অনেক সহজ মনে হচ্ছে। একবার তুমি কম্পিউটারকে ভয় পাওয়া বন্ধ করতে পারলে - অজানাকে ভয় পাওয়া বন্ধ করতে পারলে - তুমি হবে টেক সাপোর্টের মাস্টার। যেহেতু টেকনোলজি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি অংশ জুড়ে রয়েছে, তাই এটাকে কিভাবে নেভিগেট করতে হবে তা লিখতে-পড়তে জানার মতই গুরুত্বপূর্ণ।

(৩) ক্যারিয়ার: কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশুনার লক্ষ্য প্রফেশনাল প্রোগ্রামার হওয়া নয়। স্কুলে আমরা সবাই ম্যাথ, ফিজিক্স আর কেমিস্ট্রি পড়ি। কিন্তু আমরা সবাই প্রফেশনাল ম্যাথম্যাটিশিয়ান (ম্যাথবিদ), ফিজিসিস্ট (পদার্থবিদ) বা কেমিস্ট (রসায়নবিদ) হই না। যাহোক, যদি তোমার ঐ ধরনের প্যাশন থাকে তবে তুমি দেখবে যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল আর সবচেয়ে বেশি রেট ও বেতনের চাকরিগুলোর মধ্যে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং একটা।

লাখ কথার এক কথা

একনজরে দেখা যাক:

(১) কম্পিউটার সায়েন্স হল চিন্তা-ভাবনার একটা নতুন ধারা। টেকনোলজীর এই দুনিয়ায় এর কনসেপ্টগুলো প্রতিটি মানুষের জন্যই বিশেষ দরকারি।

(২) চিন্তা-ভাবনার এই নতুন ধারাকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়াশুনার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রোগ্রামিং। যাহোক, প্রোগ্রামিং নিজে, সাধারণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার মত কিছু নয়।

কনফিউজিং এই দুইটা কনসেপ্ট 'কোড করতে শেখ' আন্দোলনে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। Maybe Not Everybody Should Learn to Code শিরোনামে স্লেট একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছে; Should Journalism Schools Require Reporters to ‘Learn Code’? No শিরোনামে আটলান্টিক একটা আর্টিকেল প্রকাশ করেছে; Please Don’t Learn To Code শিরোনামে Jeff Atwood একটা আর্টিকেল লিখেছেন যেখানে তিনি একটা প্রশ্নের মাধ্যমে এই কনফিউশনের সারমর্ম পরিষ্কারভাবে তুলে ধরেছেন:

    How [would] Michael Bloomberg be better at his day to day job of leading the largest city in the USA if he woke up one morning as a crack Java coder?

এটা অবশ্যই ভুল প্রশ্ন। এটা পাবলিক ক্যাম্পেইনের ফলাফল যা তুলে ধরে যে কোড শেখাই সর্বশেষ লক্ষ্য, 'চিন্তা করতে শেখ' এই আন্দোলনের বিপরীত। যেখানে Jeff Atwood এর মত একজন অভিজ্ঞ ও সম্মানিত প্রোগ্রামারও এই কনফিউশনে কনফিউজড হতে পারেন, সেখানে জনসাধারণ এটাকে ঠিকভাবে বুঝবে এরকম কোন সম্ভাবনাই নাই। যে প্রশ্নটা আমাদের জিজ্ঞেস করা উচিত:

    Would Bloomberg—or anyone else—be better at their job if they improved their ability to think by learning new problem solving strategies and developing a better grasp of logic?

আমার মনে হয় এই প্রশ্নটা ঠিক আছে। যেহেতু পুরো দুনিয়া বেশি বেশি করে টেকনোলজিতে ভরে যাচ্ছে, আমার মনে হয় এই প্রশ্নটা আরো সুস্পষ্ট হতে পারে। এই কারণেই আমাদের কম্পিউটার সায়েন্স শেখানোর উপর জোর দেয়া উচিত, শুধু কোডিংয়ের উপর নয়।

গুরু, তোমার নামেই শুরু

এই মুহূর্তে তুমি কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশুনা শুরু করতে পার – তবে এই সুখবরটার জন্য code.org এর জন্য অপেক্ষা করার কোন প্রয়োজন নাই। আসলে, আসলে এটা সহজতম সাবজেক্টগুলোর একটা। তোমার শুধু একটা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট কানেকশন দরকার। আর যেহেতু তুমি এই পোস্টটা পড়ছ তাই ধরে নিলাম তোমার দুটোই আছে।

এখানে কিছু রিসোর্স দিলাম:

ইউনিভার্সিটি কোর্স

    Coursera
    Udacity
    MIT OpenCourseWare
    Stanford Engineering Everywhere
    Academic Earth

অনলাইন টিউটোরিয়াল

    Khan Academy
    Treehouse
    MIT Scratch
    Codecademy
    Code School

কমিউনিটি ও ক্লাব

    CoderDojo

    Girls Who Code

    Girl Develop It

    Code.org

    Coding meetup Groups

source: http://bn.maateen.me/dont-learn-to-code-learn-to-think/

2
Life Style / Wake up an hour early to live an hour more
« on: June 19, 2016, 02:58:43 PM »
Mornings hold the key to taking control of our schedules.
If we use mornings wisely, we can build habits that will allow us to lead happier, more productive lives.
While many of us are still in bed, some folks are scoring daily victories to improve their health, careers, and personal lives without sacrificing their sanity.

Every successful man in this world understands the importance of time. This is the only reason they get up early. Once they are up early, they have a few extra hours to contemplate before the day begins.

Drawing on real-life anecdotes and scientific research that shows why the early hours of the day are so important, Laura Vanderkam reveals how successful people use mornings to help them accomplish things that are often impossible to take care of later in the day.
What the Most Successful People Do before Breakfast is a fun and practical guide that will inspire you to rethink your morning routine and jump-start your life before the day has even begun. Laura poled 20 executives, in which 90% said that “getting up before 6 am is good.” They even told what their priorities are after they get up.
Let’s look at how they start their morning  and what most of the successful people of the world do first after they get up.
 
Jack Ma- Founder, Alibaba Group

I always tell myself that we are born here not to work, but to enjoy life. We are here to make things better for one another, and not to work. If you are spending your whole life working, you will certainly regret it.
This sentiment lies at the heart of Jack Ma’s lifestyle. That is why; he gets up early around 6 to 7 am and utilizes every single second by enjoying it. He does work for half an hour and then spends time with family.

Also read: How an English teacher conquered China : Wisdom of Jack Ma condensed into 33 quotes

 
Jeff Bezos-  CEO, Amazon
His deep focus on customer service has become legendary, but if you think Jeff Bezos is a workaholic, think again. The CEO places a high priority on a good night’s sleep, even when deadlines loom and pressure is high. So he has no definite time but generally wakes up early and sleeps early.
 
Tim Cook, CEO, Apple

Tim Cook is known for sending out company emails at 4.30 in the morning, according to Gawker’s Ryan Tate. By 5 am, he can be found in the gym. And he works late too, priding himself on being the first in the office and the last out.
 
Bill Gates, Co-founder, Microsoft

Bill Gates takes out atleast one hour for exercise. During which he works on treadmill and cardio. For this, he follows the instruction video of teaching company.

You may also like: This is the most useful thing Bill Gates ever learned

 
Mark Zuckerberg- Co-Founder and CEO, Facebook

Mark Zuckerberg usually makes his first move at 6:00 am in the morning, gets ready, and goes straight to the office. According to www.sleepypeople.com website, earlier Mark was known for starting his day with very little sleep as his chatting with programmers used to go on till 6:00 am sometimes.
 
Jack Dorsey- Co-Founder, Twitter
Jack Dorsey put’s his shoulder to the wheel at 5.30 am. He meditates and then jogs  for five miles.
 
Richard Branson- Founder, Virgin Group

Richard Branson swims on his island early in the morning. After that, he goes to play tennis and then has a healthy breakfast.
 
Warren Buffett- CEO, Berkshire Hathaway

Warren Buffett gets up in the morning by 6.45 am and reads six newspapers. But otherwise, he does not have any fixed schedule. He spends 80% of his time reading.

Related read: Lessons from Legends — Warren Buffett

 
Ratan Tata-  Chairman Emeritus, Tata Sons

Routinely, Ratan Tata attends the meetings of various companies of TATA Sons starting from 6 am, and in the weekends he either drives his cars or his own Falcon private jet early in the morning.
 
Mukesh Ambani- Chairman, Reliance Industries Limited

Mukesh Ambani wakes up between 5 and 5.30 am every morning. He works out in the gym located on the second floor of Antilia. This also includes swimming followed by reading a couple of news papers.
 
Oprah Winfrey- Actress, Host and Author

Oprah’s day starts with a 20-minute meditation session for keeping her mind at peace. Thereafter, she exercises in her gym.
 
Indra Nooyi- CEO, PepsiCo

Waking up with (or before) the sun, allows executives like General Motors’  Mary Barra and Pepsi’s Indra Nooyi to get a head start, knocking out tasks before the rest of the world has rolled out of bed.
 
Padmasree Warrior- CEO NextEV, U.S.
Though she doesn’t run straight to the office after  waking up at 4.30 am, Warrior spends an hour on email, reads the news, and works out. And she is still in the office by 8.30 am at the latest, according to Yahoo Finance.
 
Narendra Modi, Indian Prime Minister
According to the website www.narendramodi.in, PM Narendra Modi’s morning starts at 5:00 am. He performs pranayama, sun salutation, and yoga.
 
Barack Obama President of the USA
US President Barack Obama gets up around 6:30 am and does weight training and cardio in the gym. Later, he has breakfast with his family.
 
David Cameron,  British Prime Minister
PM David Cameron starts his morning at 6 am. Until 8 am, he completes his important work of government business and consecutively has breakfast with his family. During this time, no one is allowed to switch on the television.
 
Virat Kohli- Cricketer

He gets up early in the morning at 6.00 am. His workout pattern includes a wide combination of weights as well as cardio exercises. This combination has helped him develop muscles in a most appropriate way to suit his batting(hitting).
 
Schultz- CEO, Starbucks
He starts his day with a workout, which is usually a bike ride with his wife, but still gets to the office by 6 am, according to Portfolio.com.
 
Jeff Immelt- CEO,  GE
Immelt gets up at 5:30 in the morning every day for a cardio workout, during which he reads the papers and watches CNBC, he told Fortune magazine. He claims to have worked 100 hour weeks for 24 straight years.
 
Dan Akerson- CEO, General Motors
Dan Akerson told the AP he will “rarely sleep past 4.30 or 5 am,” waking up so he can talk to GM Asia before it gets too late. He calls it the best job he’s ever had,
It’s complex and interesting and exciting.
 
Bob Iger- CEO, Disney

Bob Iger told The New York Times that he gets up at 4.30 every morning. He takes the quiet time to do a number of things, claiming to read the papers, exercise, listen to music, look at email, and watch TV all at once. Even though it’s a quiet time, he’s “already multitasking.”


3
Multimedia Section / MICROSOFT BUYS LINKEDIN FOR $26.2 BILLION
« on: June 19, 2016, 02:56:14 PM »
Microsoft is buying LinkedIn for $26.2 billion.

Microsoft will pay $196 per share for the company.

LinkedIn CEO Jeff Weiner will remain CEO of the social network for professionals, reporting directly to Microsoft CEO Satya Nadella.

Under the terms of the acquisition, LinkedIn will maintain its "distinct brand, culture, and independence" — similar to how Facebook handled its acquisition of WhatsApp — and Microsoft says LinkedIn cofounder and chairman Reid Hoffman and Weiner "both fully support" the purchase, with both boards signing off.

The deal is expected to be completed this calendar year.

LinkedIn shares jumped more than 47% following the news when the markets opened. Microsoft shares, which were halted in pre-market trading pending the news, have since reopened and fallen about 4%.

Nadella announced the news to Microsoft employees in an email Monday morning, which you can read here. LinkedIn CEO Jeff Weiner also sent an email to staff, which you can read here.

jeff weiner
LinkedIn CEO Jeff Weiner.Chip Somodevilla/Getty

Integrating LinkedIn into existing Microsoft software
"This deal brings together the world’s leading professional cloud with the world’s leading professional network," Nadella wrote in the email. "I have been learning about LinkedIn for some time while also reflecting on how networks can truly differentiate cloud services. It’s clear to me that the LinkedIn team has grown a fantastic business and an impressive network of more than 433 million professionals."

Nadella went on to mention how Microsoft's Office software suite could be combined with LinkedIn's network in the future, such as the ability for Microsoft to serve up suggestions for a specialized expert through LinkedIn when its software recognizes you're trying to complete a specific task.

LinkedIn will also be able to plug into Office to detect the kind of project you're working on, which the social network will then use to surface relevant articles to infuse into your LinkedIn news feed.

"We are in pursuit of a common mission centered on empowering people and organizations. Along with the new growth in our Office 365 commercial and Dynamics businesses this deal is key to our bold ambition to reinvent productivity and business processes," Nadella wrote.

"Think about it: How people find jobs, build skills, sell, market and get work done and ultimately find success requires a connected professional world. It requires a vibrant network that brings together a professional’s information in LinkedIn’s public network with the information in Office 365 and Dynamics. This combination will make it possible for new experiences such as a LinkedIn newsfeed that serves up articles based on the project you are working on and Office suggesting an expert to connect with via LinkedIn to help with a task you’re trying to complete.

"As these experiences get more intelligent and delightful, the LinkedIn and Office 365 engagement will grow. And in turn, new opportunities will be created for monetization through individual and organization subscriptions and targeted advertising."

4
১. যত দ্রুত সম্ভব, শুরু করুন: বুড়ো বয়সে ‘যৌবনে কী-ই না করতে পারতাম!’—এই আফসোস যেন আপনাকে না ভোগায়। তাই বিল গেটস সব সময় বলেছেন, ‘শুরু করুন।’ যে ‘আইডিয়া’ আপনি মাথায় নিয়ে বসে আছেন, সেটা কাজে লাগিয়ে হয়তো কয়েক বছর পর অন্য কেউ সফল হবে। ছাত্রজীবন থেকেই স্বপ্নপূরণের শুরুটা হলে আপনার সফলতার সম্ভাবনা যতটুকুই থাকুক, অন্তত হাল ছেড়ে দেওয়ার আশঙ্কা কম থাকবে।
২. প্রতিদিন নিজের সেরাটা দিতে হবে: বিল গেটস বলছেন, ‘জীবনটা সেমিস্টার হিসেবে ভাগ করা নেই, যে দশ সপ্তাহ পর পর আপনি ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এমনকি এখানে “ব্রেক” বলেও কিছু নেই।’ অতএব, প্রতিদিন আপনাকে আপনার সেরাটাই দিতে হবে।
৩. নিজেই নিজের বস হোন: আপনি নিজেই যদি নিজের স্বপ্নপূরণের কাজে না নামেন, অন্য কেউ তাঁর স্বপ্ন পূরণে আপনাকে নিয়োগ করবে। তার চেয়ে বরং এই শ্রম নিজের স্বপ্নপূরণের পেছনে খরচ করুন।
৪. ‘না’ বলা শিখুন: আপনি যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, দিনে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আপনি পাচ্ছেন না। এই ২৪ ঘণ্টা কে কীভাবে ব্যবহার করে, সেটাই সফল এবং অসফল মানুষের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তব্যে একবার বিল গেটস বলেছিলেন, ‘জীবনের সেরা উপদেশ আমি পেয়েছি আমার বন্ধু ওয়ারেন বাফেটের কাছ থেকে। সে বলেছিল, তোমাকে “না” বলতে জানতে হবে।’ বিল গেটস মনে করেন, কখনো কখনো ‘না’ বলতে পারা আপনাকে লক্ষ্যে অবিচল থাকতে সাহায্য করবে।
৫. প্রতিজ্ঞ হোন, প্রত্যয়ী হোন: সব সফল উদ্যোক্তাই জোর দিয়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। যে কাজটি করছেন, তার প্রতি ভালোবাসা থাকতেই হবে। সফল মানুষেরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই কঠিন কাজটাকে সহজে করেন।
৬. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয়, জীবনই সেরা স্কুল: যত বই-ই পড়েন না কেন, শিক্ষাজীবনে যত পরীক্ষাই দেন না কেন—এসব কখনোই পুরোপুরি আপনাকে সত্যিকার জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শেখাবে না। নিজের জীবন থেকে শিখেই তৈরি হতে হবে।
৭. আশা হারাবেন না: লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী হলে চলবে না। বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে। ২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিল গেটস বলেছিলেন, ‘আশাবাদ অনেক সময় মিথ্যে আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, “মিথ্যে হতাশা” বলেও কিছু আছে।’

৮. সমালোচনাকে স্বাগত জানান: বিল গেটস তাঁর বিজনেস অ্যাট দ্য স্পিড অব থট বইয়ে সমালোচনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, অভিযোগ আর অসন্তুষ্টি আপনাকে আরও ভালো করার সুযোগ করে দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘আপনার সবচেয়ে অসন্তুষ্ট কাস্টমাররাই আপনার শেখার সবচেয়ে বড় উৎস।’

৯. সাফল্যের হিসাব করুন: ২০০৩ সালে বিল গেটস দ্য মোস্ট পাওয়ারফুল আইডিয়া ইন দ্য ওয়ার্ল্ড নামে একটা বই থেকে তাঁর শিক্ষা কী, তা বলেছেন। ‘আপনি যদি একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে সব সময় হিসাব করেন, আপনি কতটুকু এগোলেন, তাহলেই লক্ষ্যে অবিচল থাকতে পারবেন।’ সঙ্গে তিনি এ-ও যোগ করেছেন, ‘এটা বলা যত সহজ, করা ততটাই কঠিন।’

১০. জীবনটা সহজ নয়, এটা মেনে নিন: আপনি যতই কঠোর পরিশ্রম করেন না কেন, এমন একটা সময় নিশ্চয়ই আসবে, যখন সবকিছু আপনার মনমতো হবে না। সবকিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আপনি পড়ে যাবেন, কিন্তু আপনাকে আবার দাঁড়াতে হবে।

source: prothom alo

5
বলতে পারেন, বিশ্বের কোন দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমায় আর কোন দেশের নাগরিকরা জেগে ওঠেন সবার আগে? স্লিপ প্যাটার্নের ওপর করা সাম্প্রতিক বৈশ্বিক একটি গবেষণায় দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ানরা অন্যসব দেশের নাগরিকদের তুলনায় রাতে আগে ঘুমাতে যান।

অ‍াবার ডাচরা সবচেয়ে বেশি সময় ঘুমান। এরা গড়ে ঘুমান আট ঘণ্টা ১২ মিনিট। মিশিগান বিশ্ববিদ্যলয়ের এ গবেষণা পরিচালিত হয় মোট একশোটি দেশের পাঁচ হাজার চারশো মানুষের ওপর।

গবেষণার ফলাফলে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে মানসম্পন্ন ঘুমের পারস্পরিক সম্পর্ক দেখেছেন গবেষকরা। দেশভিত্তিক সমীক্ষায় দেখা যায়, স্পেনের নাগরিকরা ঘুমাতে যান রাত পৌনে বারোটায়। টানা আটঘণ্টা এরা ঘুমান। অন্যদিকে সিঙ্গাপুর ও জাপানের নাগরিকরা সবচেয়ে কম সময় অর্থাৎ, গড়ে সাতঘণ্টা ২৪ মিনিট ঘুমান।

সংযুক্ত আবর অ‍ামিরাতের নাগরিকরা আমেরিকানদের তুলনায় দীর্ঘতম ঘুম উপভোগ করেন। কারণ তারা গড়ে সকাল পৌনে আটটা পর্যন্ত ঘুমান। অন্যদিকে আমেরিকানরা ঘড়িতে অ্যালার্ম দেন সকাল পৌনে সাতটায়। 

শুরুতে বলা হয়েছিলো অস্ট্রেলিয়ানদের কথা। বেশিরভ‍াগ অস্ট্রেলিয়ানরা রাত পৌনে ১১টায় শোবার ঘরের বাতি বন্ধ করেন, যেখানে বেলজিয়ানরা অস্ট্রেলিয়ানদের ১৫ মিনিট পর বাতি নেভান। মানে তারা ঘুমান রাত ১১টায়।

যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীরা সাধারণত রাত ১১টা ১০ এ ঘুমাতে যান ও সকাল সাতটা ১০টা বাজে ঘুম থেকে জাগেন। প্রায় আটঘণ্টাই ঘুমান তারা। 

জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সেসে প্রকাশিত  এ গবেষণার সহ-রচয়িতা ডানিয়েল ফোর্জার বলেন, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার পেছনে দেশগুলোর ঐতিহ্যগত চাপ রয়েছে।


গবেষণ‍ার ফলাফলে বলা হয়, সমাজ ঘুমানোর সময় নিয়ন্ত্রণ করে। আর ব্যক্তির দেহঘড়ি নিয়ন্ত্রণ করে তার ওঠার সময়। ফলে দেরিতে ঘুমাতে যাওয়ার সঙ্গে কম ঘুম নষ্ট বা কম ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে।

ফোর্জার আরও বলেন, ঘুম থেকে ওঠার সময় নির্ভর করে দেহঘড়ির ওপর, অ্যালার্ম ঘড়ির ওপর নয়। শরীরের নিজস্ব প্রাকৃতিক ঘড়ি রয়েছে। একে সার্কাডিয়ান ক্লক বলে। এটি ২৪ ঘণ্টার রুটিন মেনে চলে ও পরিবেশ থেকে দৈনন্দিন সংকেতগুলো সিনক্রানাইজ করে রাখে। বিশেষ করে আলো ও অন্ধকারের ব্যাপারগুলো। 

6
কানে জমা ময়লা, সোজা বাংলায় যাকে বলে ‘খইল’। কানের এই খইল পরিষ্কার করার অভ্যাস আছে আপনার? তাহলে খবরটা আপনার জন্য সুখের নয়। কারণ, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, কানের খইল (ময়লা) পরিষ্কার না করে ‘পুষে’ রাখুন।
ভাবছেন, তাহলে তো ময়লা জমে কানের ক্ষতি হতে পারে! অথবা কান চুলকাবে, শিরশির করবে! এই ধারণা পুরোপুরি ভুল। ল্যাবএইড হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ সাবাহ উদ্দিন আহমেদ বললেন, কানের ময়লা সাধারণত কোনো ক্ষতি করে না। বরং এটি কানকে সুরক্ষিত রাখে। কানের ভেতরে পাইলোসেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত সেরুমিনই হচ্ছে এই খইল বা ‘ময়লা’, যা ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে কানকে সুরক্ষিত রাখে।
কানের নালিতে সামনের দিকে থাকা এই পাইলোসেবাসিয়াস গ্ল্যান্ডের ক্ষরণের পাশাপাশি এর সঙ্গে বাইরের ধুলাময়লা মিশে যায়। এর ফলে কানে জমা হয় খইল। এটা আসলে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষারই অংশ। চলাফেরার সময়ে বাইরে থেকে কোনো ধরনের পোকামাকড় কানে ঢুকতে গেলেও এই খইল বাধার সৃষ্টি করে। সাধারণত কানে যখন খইল বেশি জমে যায়, তখন কান সেটা আপনা-আপনি বাইরের দিকে ঠেলে দেয়। কোনো কোনো সময় খইল বাইরে না-ও আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে তা বের করে আনা যায় বলে জানালেন সাবাহ উদ্দিন আহমেদ।

তবে অনেক সময় খইল বেশি শক্ত হয়ে যায়। তখন সহজেই কান থেকে বের হয় না। সে ক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে অলিভ অয়েল দিয়ে কটনবাটের মতো নরম কিছুর সাহায্যে আলতো করে বের করে নিতে পারেন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তবে হুটহাট করে কানের মধ্যে খোঁচানো একেবারেই ঠিক নয়। অনেকেই রাস্তার পাশে বসে দিব্যি কান পরিষ্কার করিয়ে নেন। এটা ভীষণ বিপজ্জনক! কান যদি পরিষ্কার করতেই হয়, নিজে করুন বা বাসার কারও সাহায্য নিন। তবে শেষ কথা একটাই—কান নিজেকে নিজেই পরিষ্কার রাখে। কানের ময়লার ক্ষেত্রে ওই গানটা খুব প্রযোজ্য, ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও

source: prothom alo

7
আপনি কি জানেন রাগ বা ক্রোধ আপনার স্বাস্থ্যের উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। সব মানুষেরই রাগ আছে। কিন্তু কারো কারো ক্ষেত্রে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। “ডেডলি ইমোশন্স” বইটির লেখক ডা. ডন কোলবারট  এর মতে, “রাগ আপনার স্বাস্থ্যের প্রভূত ক্ষতিসাধন করে”। ড. কোলবারট সতর্ক করে বলেন, “বিষণ্ণতা, রাগ, অপরাধবোধ, দোষারোপ, আত্মবিশ্বাসের অভাব এগুলো প্রাণঘাতী টক্সিনের নামান্তর”। তিনি তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দিয়েছেন।  রাগের প্রভাবে মানুষ যে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা হল যুদ্ধ বা যুদ্ধ। প্রাচীনকাল থেকেই  মানুষ যখন খাদক প্রাণীর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে তখন থেকেই যুদ্ধ বা যুদ্ধ এই প্রতিক্রিয়াই মানুষকে রক্ষা করেছে হরমোন ও রাসায়নিকের নিঃসরণের মাধ্যমে যা জ্বালানী হিসেবে শারীরিক ক্রিয়াকে উজ্জীবিত করেছে। কিন্তু বর্তমানে এই প্রকারের প্রতিক্রিয়া ৯৯ শতাংশই অপ্রয়োজনীয়। “ইউ কান্ট এফোরড দ্যা লাক্সারি অফ এ নেগেটিভ থট: এ বুক ফর পিপল উইথ এনি লাইফ-থ্রেটেনিং ইলনেস-ইনক্লুডিং লাইফ” বইটির লেখক পিটার এমসিউইলিয়াম এর মতে, “সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে যুদ্ধ বা  যুদ্ধ আমাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়”। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে শারীরিক ও মানসিক স্ট্রেস কমানোর উপায় জানাটা অত্যন্ত জরুরী।             

যখন মানুষ খুব রেগে যায় তখন অনুভূত হুমকির জবাব দেয়ার জন্য শরীর নিজেকে প্রস্তুত করে। এর ফলে শরীরের পেশী টান টান হয়, পরিপাক প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় ও মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোতে আগুন লাগার মত কাজ শুরু হয়ে যায়। যারে ফলে মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। এর প্রতিফলনে জিনগতভাবে সংকলিত প্রতিক্রিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করে। বর্তমানে এই শক্তিশালী রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া ছোটখাট বিরক্তিতেই অযথার্থভাবে আলোড়িত হয় যেমন- নির্দয়ভাবে কথা বলা, ট্র্যাফিক মেনে না চলা ইত্যাদি। আধুনিক অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই এমন যুদ্ধংদেহী আচরণ দেখা যায়। যার ফলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পরিপাক, কোষের বৃদ্ধি, দেহের রক্ষণাবেক্ষণ, সংবহন, নিরাময় ও প্রতিরোধমূলক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলো স্থগিত হয়ে যায়।     
রাগের উন্মত্ততার ফলে দীর্ঘস্থায়ী যে প্রভাব লক্ষ করা যায় তা হল:

নিয়মিত রাগ স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। ন্যাচারাল হেলথ প্রেক্টিশনার ড. মারকোলার মতে, স্বয়ংক্রিয় রাগের প্রতিক্রিয়ায় শারীরিক যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা হল-
·         মাথাব্যথা
·         হজমের ভারসাম্যহীনতা
·         ইনসমনিয়া
·         অ্যাংজাইটি
·         ডিপ্রেশন
·         উচ্চরক্তচাপ
·         ত্বকের সমস্যা ও এক্সিমা
·         হার্ট অ্যাটাক
·         স্ট্রোক

রাগের প্রভাবের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে হৃদপিণ্ড। ওয়াশিংটন ষ্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৫০ বছর ও তার চেয়েও অধিক বয়সের মানুষদের উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করেন। সেখানে দেখা যায় যে, মাত্রাতিরিক্ত মেজাজের মানুষদের ধমনীতে অন্যদের তুলনায় ক্যালসিয়াম জমা হয় বেশি। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করার প্রাথমিক কারণ। এই গবেষণার লেখক ব্রুস রাইট বলেন, রাগে ফেটে পড়লে স্ট্রেস হরমোন তরঙ্গায়িত হয় এবং রক্তনালীর আবরণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু রাগ দমিয়ে  রাখাটাও বিপদজনক।
   
গতবছর নেদারল্যান্ডের টিলবারগ ইউনিভার্সিটির ড.জোহান ডেনোলেট হৃদরোগে আক্রান্তদের নিয়ে একটি গবেষণা করেন এবং দেখতে পান যে, “রাগ চেপে রাখলে  হৃদরোগের ঝুঁকি তিনগুণ বৃদ্ধি পায়”। ৮৫% অসুখ আবেগীয় অবস্থার সাথে সম্পর্কিত। ওহাইয়ো ষ্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক, পিএইচডি, মেরী  ফ্রাস্টেড বলেন, রাগ প্রকাশের সঠিক উপায়টি শিখলে আপনি রাগকে কাজে লাগাতে পারবেন। যদি কেউ আপনার অধিকার উলঙ্ঘন করে তাহলে তাদেরকে আপনার বলা উচিৎ আপনি কি চান, আপনার কি প্রয়োজন। তাছাড়া রাগ কমানোর জন্য মেডিটেশন করতে পারেন, নিয়মিত ব্যয়াম করুন এবং প্রয়োজন মনে করলে একজন কাউন্সেলর বা মনোবিজ্ঞানীর সহযোগিতা নিতে পারেন।   
- Source: priyo.com

8
খুব পছন্দ করে দেখে-শুনে একটা সাদা পোশাক কিনলেন আপনি পরবেন বলে। কিন্তু কিসের কী! গরমকালের প্রচন্ড গরম আর সেই গরম থেকে তৈরি হওয়া আপনার শরীরের অত্যাধিক ঘাম একদিনেই যেন পাল্টে দিল পোশাকের চেহারা। ঘামের হলদেটে ভাব আর সেইসাথে সাদা পোশাক- বিতিকিচ্ছিরি এই অবস্থা থেকে আপনাকে মুক্ত করতেই আজ দেওয়া হল সাদা পোশাক থেকে ঘামের দাগ দূর করার অত্যন্ত কার্যকরী ও সহজ এই উপায়টি।

 যা যা লাগবে
১ কাপ ভিনেগার
আধা কাপ বেকিং সোডা
১ টেবিল চামচ লবন
১ টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ( পপসুগার )

 পদ্ধতি ১. অনেকেই মনে করেন যে আমাদের পোশাকে ঘামের হলদেটে দাগগুলো ঘাম থেকেই সরাসরিভাবে হয়ে থাকে। কিন্তু বাস্তবে এর জন্যে দায়ী আমাদের শরীরের সাথে অ্যালুমিনিয়াম নির্ভর অ্যান্টিপার্সপিরেন্টসের বিক্রিয়া। এদের বিক্রিয়ার দ্বারা সৃষ্ট এই দাগকে দূর করতে প্রথমেই একটি বাটিতে দুই কাপ পানি গরম পানি নিয়ে তাতে ভিনেগার মিশিয়ে নিন আর সেই মিশ্রণে টানা ২০ মিনিট ধরে দাগযুক্ত কাপড়টি ভেজান।

২. বেকিং সোডা, লবন আর হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড পরিমাণ অনুসারে একসাথে পেস্ট করুন। এরপর এতক্ষণ ধরে ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখা পোশাকটিকে তুলে এনে হালকাভাবে চেপে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এরপর সেটাকে তোয়ালে বিছানো একটি স্থানের ওপরে রাখুন আর দাগযুক্ত স্থানগুলোতে এর আগে তৈরি করে রাখা পেস্টটি লাগিয়ে নিন। হাইড্রোজেইন পারঅক্সাইড প্রাকৃতিকভাবে কাপড়কে সাদা করতে সাহায্য করবে ( হাফিংটনপোস্ট )। আর সেই সাথে লবন আর বেকিং সোডার নিজস্ব গুণাবলী তো রয়েছেই। পরের ২০ মিনিট এভাবেই কাপড়টিকে পেস্ট লাগানো অবস্থায় রেখে দিন।

৩. এরপর আপনার প্রিয় সাদা রংএর পোশাকটিকে ভালো করে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রচুর পরিমাণ পরিষ্কারকের সাথে ভালোভাবে ধৌত করুন। আর এরপর? একটু তাকিয়ে দেখুন। আপনার কাপড়ের ওপরে থাকা ঘামের হলদেটে দাগ একেবারেই নেই!

Source: priyo.com

9
ওজন কমানোর জন্য অনেক ধরণের সম্পূরক খাদ্য এখন বাজারে পাওয়া যায়। এদের অনেকগুলোই তেমন কার্যকরী নয় আবার কিছু আছে ক্ষতিকর। এজন্য বর্তমানে মানুষ ওজন কমানো ও স্থূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করছে। ন্যাচারোপ্যাথিক চিকিৎসকরা দেখিছেন যে, গুল্ম, ফলমূল ও শাকসবজি শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে। এই স্বাস্থ্য কুশলীরা জানিয়েছেন যে, মানুষের এমন পরিকল্পিত ভাবে গঠিত যে সে তার স্বাভাবিক ওজনে ফিরে যেতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞদের কয়েকজন দেখেছেন যে, কলা এবং আদার স্মুদি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। আসুন তাহলে জেনে নেই ওজন কমানোর জন্য কলার স্মুদি তৈরির কৌশল।

প্রথম পদ্ধতি:
উপকরণ:
·         ১টি কলা
·         ১টি কমলা
·         আধা কাপ লো ফ্যাট দই
·         ১ চামচ নারিকেল তেল
·         সিকি চামচ আদা গুঁড়া
·         ২ টেবিল চামচ শণ বীজ(ফ্ল্যাক্স সিড)
·         ২ টেবিল চামচ ঘোল

প্রস্তুতপ্রণালী:
সবগুলো উপকরণ একত্রে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। সকালে খালি পেটে এই পানীয়টি পান করুন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য এই পানীয়টি খাওয়ার পূর্বে এক কাপ কুসুম গরম পানি পান করে নিন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি :
উপকরণ:
·         ১টি অরগানিক কমলা
·         ১টি অরগানিক কলা
·         ১টি অরগানিক আপেল
·         ১ চামচ অরগানিক লেবুর রস
·         বিশুদ্ধ পানি

প্রস্তুতপ্রণালী:
সবগুলো উপাদান একসাথে ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। যতটুকু প্রয়োজন পানি মিশান। চাইলে মিশ্রণটি ঘন রাখতে পারেন আবার তরল করেও নিতে পারেন আপনার যেমন পছন্দ। যেকোন এক বেলার খাবারের পরিবর্তে এই পানীয়টি পান করুন। এই পানীয়টি খাওয়ার পর শারীরিক কসরত করুন।

কলার পুষ্টি উপাদান: 
কলাতে পটাশিয়াম, ফাইবার, চিনি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা পুষ্টি প্রদান করে, শক্তি প্রদান করে এবং রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে। কলা পরিপাকেও সাহায্য করে।
কলা ও এর সাথে যুক্ত অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান গুলো শরীরের জন্য উপকারী যা দীর্ঘমেয়াদি ওজন হ্রাসে সহায়তা করে।  যারা জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে এই পানীয়টি পান করেন তাদের ক্ষেত্রে এই স্মুদি অনেক কার্যকরী হয়।     

- Source: priyo.com

10
মানসিক চাপ, অস্থিরতা, টেনশন থেকে যতই দূরে থাকতে চান না কেন, এর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়। সাধারণ দৃষ্টিতে একে মারাত্নক কিছু মনে না হলেও, যেকোন বড় রোগের শুরু হয়ে থাকে অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে। অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়, যা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে। অনেকেই মানসিক চাপ হ্রাস করার জন্য ওষুধ খেয়ে থাকেন। যা সাময়িকভাবে মানসিক চাপ কমিয়ে দিলেও অন্যান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়ে থাকে। ওষুধ না খেয়ে মানসিক চাপ দূর করুন সহজ কয়েকটি নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করে।

১। Sama Vritti or “Equal Breathing”

শ্বাস প্রশ্বাসের দ্বারা শরীরে ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। নাক দিয়ে চার পর্যন্ত গণনা করতে করতে শ্বাস নিন, আবার চার পর্যন্ত গণনা করতে করতে শ্বাস ছাড়ুন। এটি আপনার স্ট্রেস লেভেল কমিয়ে দিবে। যোগব্যায়ামে প্রতি শ্বাসে ছয় থেকে আট পর্যন্ত গণনা করা হয়। এটি আপানর নার্ভকে শান্ত করে, স্ট্রেস কমিয়ে দেয় এবং কাজে মনযোগী করে তুলে।
যেকোন সময় আপনি এটি করতে পারেন। তবে সবচেয়ে ভাল হয় রাতে  ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে এটি করলে।  Pacheco বলেন “ আপনার ঘুমের সমস্যা থাকলে এই ব্যায়ামটি তা দূর করে দিবে অথবা যা আপনাকে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে থাকে তা দূর করে দিবে”।  এই ব্যায়ামটি যেকোন বয়সী মানুষে করতে পারে। যোগব্যায়ামের শুরুতে এই এটি করা হয়।

২। Abdominal Breathing Technique

একটি হাত পেটের উপরে আরেকটি হাত বুকের উপর রেখে নাক দিয়ে শ্বাস নিন। এটি ফুসফুসে বাতাস প্রসারিত করে থাকে। প্রতি মিনিটে আস্তে আস্তে এইভাবে ছয় থেকে দশ বার শ্বাস গ্রহণ করুন। এভাবে প্রতিদিন ১০ মিনিট এই ব্যায়াম করুন। McConnell মনে করেন এটি ছয় থেকে আট সপ্তাহ করুন, দীর্ঘমেয়াদি উপকার পাবেন এর মাধ্যমে।

৩। Breath Counting

সহজ এবং ছোট এই ব্যায়ামটি আপনার স্ট্রেস দ্রুত কমিয়ে দিয়ে থাকবে।  কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরুর সময় এটি আপনি করতে পারেন। জেন অনুশীলনের সময় এই যোগ ব্যায়ামটি বেশি করা হয়। সোজা হয়ে বসুন। চোখ বন্ধ করে শ্বাস গ্রহণ করুন। তারপর শ্বাস গ্রহণের সময় এক গণনা করুন, এরপর শ্বাস বের করার সময় দুই গণনা করুন। তারপর আবার শ্বাস গ্রহণের সময় এক বলে শুরু করুন। আস্তে আস্তে জোর না করে শ্বাস প্রশ্বাস নিন। এভাবে পাঁচ পর্যন্ত করুন।  এটি ১০ মিনিট করুন।
এই তিনটি সহজ ব্যায়াম আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা, স্ট্রেস কমিয়ে দিবে।

- Source: priyo.com

11
এক.

ঢাকায় আমরা একটি ছোট সফটওয়্যার কোম্পানি তৈরির কাজে হাত দিয়েছি। টার্গেট হলো, ভালো মানের সফটওয়্যার বানানো যা মানুষের কাজে লাগবে। সেই কারণে ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার খুঁজে বের করা একটি বড় কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ইন্টারভিউ করা হচ্ছে; এবং কাউকে পছন্দ হলে তাকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার খুঁজতে গিয়ে যে বিষয়টি নজরে পড়ল, ঢাকায় অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ-আউট। এই গেল সপ্তাহেই একটি ছেলেকে আমাদের টিমের সবাই খুব পছন্দ করেছে। কিন্তু শেষ পর্যায়ে গিয়ে দেখা গেল, ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ-আউট। লেখাপড়া এখনও শেষ করেনি। তবে ৩/৪ বছর ধরে কাজ করছে। আমরা তাকে নিতে পারিনি।

এমন যে একটি ঘটনা তা নয়। এই বিগত কয়েক মাসেই বেশ কিছু ছাত্রকে পেলাম যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করে ডিগ্রি নেয়নি। এর কারণটি কি জানার চেষ্টা করলাম। অনেকেই অনেক কারণে লেখাপড়া শেষ করছে না। একটি বড় অংশ হলো, ছাত্রাবস্থায়ই উপার্জন করার সুযোগ তৈরি হয়ে গেছে। বিশেষ করে আউটসোর্সিং করে তারা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে। ফলে অনেকেই টাকা উপার্জনের দিকে মন চলে যায়। লেখাপড়া কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ড্রপ-আউট হয়ে যায়। এবং তার যে কোর্সওয়ার্ক করার কথা, যেই বিষয়গুলো শেখার কথা, সেটা আর হয়ে ওঠে না।

যারা কম্পিউটার বিজ্ঞানে লেখাপড়া করে, তাদের জন্য আউটসোর্সিং করা খুব সহজ। তারা দেশের বাইরে (ইন্টারনেটের মাধ্যমে) যেমন কাজ খুঁজে পেতে পারে, আবার দেশের ভেতরও অন্যান্যদের সাথে কাজ করে (যারা বাইরের কাজটি দেশে বসে করার ব্যবসা নিয়েছে) বেশ ভালো উপার্জন করতে পারে। ফলে হাতে কাঁচা পয়সা চলে আসে। ওই বয়সে মনে হতে পারে, জীবনের উদ্দেশ্য তো টাকা উপার্জন করাই। তো সেটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে শুরু হলেই বা ক্ষতি কি?

পাশাপাশি কেউ কেউ নিজে নিজে প্রতিষ্ঠান দিতে শুরু করে। তারা সেই কাজে অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়। মনে মনে স্বপ্ন দেখে বিল গেটস হয়ে যাবে। নয়তো মার্ক জাকারবার্গ। তাই তাদের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ড্রপ-আউট হলে সমস্যা তো নেই। সেটা বরং ফ্যাশন; খ্যাতির বিষয়। তারা আর লেখাপড়াটা শেষ করতে পারে না। কেউ কেউ সার্টিফিকেট সংগ্রহের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকে। সেমিস্টার গুণে ফি দেয়। সার্টিফিকেটটা নিয়ে টেবিলের তলায় রেখে দেয় যে, তার একটা ডিগ্রি আছে। লেখাপড়ায় তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ তো নেইই, বরং চরম অভক্তি। তারা বিশ্বাস করে, সার্টিফিকেটটা নিয়ে রাখি। যদি কখনও কাজে লেগে যায়।

আমি কয়েকজন সহকর্মীকে জিজ্ঞেস করি, বাংলাদেশে এই ড্রপ-আউটের সংখ্যা কেমন? সহকর্মীরা বলে, খারাপ না। আশেপাশে অনেক পাওয়া যাবে। অনেকেই আবার মা-বাবার কষ্টার্জিত টাকায় সেমিস্টারের পর সেমিস্টার টাকা খরচ করে যাচ্ছে, কিন্তু ভালোভাবে লেখাপড়া শেষ করছে না। তারা নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করছে। দেশে এখন ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা তৈরির হিড়িক। সেই মিছিলে যোগ দিতে চাইবে না কে! রাতারাতি যদি মার্ক জাকারবার্গ হওয়া যায়, সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে কে?

এমন ড্রপ-আউট ছেলেমেয়ে দেখলে আমার বেশ মন খারাপ হয়। আমার সাথে কাজ করে শামসিল আরেফিন। বুয়েটে আমার বিভাগেরই ছাত্র। অসম্ভব মেধাবী এবং কমিটেড ছেলে। মানুষ হিসেবেও চমৎকার। এই দেশে যদি ভালো মানুষের একটা তালিকা করা হয় তাহলে আরেফিনের নাম সেখানে উপরের দিকে থাকবে। একদিন আরেফিনকে বললাম, ড্রপ-আউটদের কী আমরা নিব?
আরেফিন হাসতে হাসতে উত্তর দেয়। বলে, ভাইয়া এই ব্যাপারে আমার একটা থিওরি আছে।
আমি উৎসাহ নিয়ে জিজ্ঞেস করি, বলো তো থিওরিটা।

আরেফিন বলে, শুধু ড্রপ-আউট হলেই হবে না; দেখতে হবে কোথা থেকে ড্রপ-আউট। আমাদের দেশের ছেলেরা ড্রপ-আউট বললে মনে করে স্মার্ট। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না, এটা হার্ভার্ড থেকে ড্রপ-আউট, নাকি ঢাকার কোনোও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ-আউট। আরেফিনের কথায় আমার চোখ খুলে যায়।

দুই.

বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা বুঝতে পারে না, বিল গেটস কিংবা মার্ক জাকারবার্গ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ড্রপ-আউট ছিলেন। এই গ্রহের কিছু কিছু কম্পিউটার জিনিয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করেননি বটে, তবে তারা সত্যিকার অর্থেই জিনিয়াস এবং স্মার্ট। তবে সকল জিনিয়াসরা যেমন ড্রপ-আউট নন, আবার ড্রপ-আউট হলেই তিনি জিনিয়াস নন। এটা একান্তই ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করছে। বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা যদি সেটা না বুঝেই মনে করেন তারাও বিল গেটসের মতো ড্রপ-আউট হয়ে পৃথিবীকে পাল্টে দেবেন, তাহলে বিশাল ভুল করা হবে।

বিল গেটসের উদাহরণ যেহেতু এলোই, তাহলে দেখে নেয়া যাক কেমন স্মার্ট বিল গেটস। এখনও তিনি বিশ্বের সবচে’ ধনী মানুষ, যার সম্পদের পরিমাণ ৮৭ বিলিয়ন ডলার। কেউ কেউ মনে করতে পারেন, বিল গেটসের ভাগ্য সুপ্রসন্ন; তাই সবকিছু তার কপালে চলে এসেছে। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। মাইক্রোসফটকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য তাকে প্রচুর শত্রুও তৈরি করতে হয়েছে। সেই গল্প হয়তো আমরা অনেকেই জানি না।

১৯৫৫ সালের ২৮ অক্টোবরে জন্ম নেয়া বিল গেটসের বাবা ছিলেন আইনজীবী, আর মা ছিলেন বিখ্যাত ব্যাংকার। এবং তার মা সেই সময়ে আই.বি.এম-এর সিইও জন ওপেলের সাথে একটি বোর্ডে একসাথে কাজ করতেন। পারিবারিক এই অবস্থান তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহজে প্রবেশাধিকার দিয়েছিল, যা একটি সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার অর্থ কিন্তু এই নয় যে, বিল গেটস মা-বাবার সহযোগিতায় বড় হয়েছেন। মূল বিষয়টি হলো, তিনি পরিবার থেকেই অনেক কিছু অন্য অনেকের চেয়ে আগেই শিখে ফেলেছিলেন।

তার মা-বাবা তাকে আইনজীবী বানানোর জন্য চেষ্টা করছিলেন। এবং ছোট বেলায় তাকে সিয়াটলের একটি প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন, যেখানে তার সাথে ঘনিষ্ঠতা হয় মাইক্রোসফটের আরেক প্রতিষ্ঠাতা পল এলেনের সাথে। বাংলাদেশে প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়া যেমন ব্যয় সাপেক্ষ বিষয়, আমেরিকার প্রাইভেট স্কুলে লেখাপড়ার খরচ তুলনামূলকভাবে আরো অনেক বেশি। বিল গেটসের মা-বাবা সেই পরিমান টাকা খরচ করছিলেন। এবং বিল গেটসের পরবর্তী পার্টনার পল এলেনও ধনী পরিবারের সন্তান।

সেই স্কুলে ওই সময়ই ছাত্রছাত্রীদের জন্য কম্পিউটার ছিল যা জেনারেল ইলেক্ট্রিকের মেইনফ্রেমের সাথে যুক্ত ছিল। ওই সময়েই বিল গেটস কম্পিউটারের প্রেমে পড়েন। পল এলেন এবং বিল গেটস তখনই স্কুলের কম্পিউটার সিস্টেমের খুঁত বের করে বাড়তি সময়ে কম্পিউটার ব্যবহার করতেন। সেটা ধরা পরে গেলে তাদেরকে স্কুলের কম্পিউটার ল্যাব ব্যবহার থেকে ব্যান করা হয়। সেই স্কুলের ক্লাস রুটিন করা হতো কম্পিউটারে। বিল গেটস তখন হ্যাক করে ক্লাসের রুটিন এমনভাবে পরিবর্তন করে দিতেন যেন সবচে’ সুন্দরী মেয়েরা তার ক্লাসে পড়ে। স্কুল ছাড়ার আগেই পল এলেন এবং বিল গেটসের প্রথম কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার নাম ছিল ট্রাফট-ও-ডাটা। যদিও ওই প্রতিষ্ঠানটি খুব একটা ভালো করেনি, তবে ওটার শিক্ষাই পরবর্তিতে মাইক্রোসফট তৈরিতে কাজে লেগেছিল।

১৯৭৩ সালে এস.এ.টি (SAT) পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরের ভেতর ১৫৯০ নম্বর পেয়ে বিল গেটস হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। যদিও তিনি কোন বিষয়ে লেখাপড়া করবেন সেটা ঠিক করে উঠতে পারেননি, তবে বেশিরভাগ সময়ই তিনি কম্পিউটার নিয়ে নানান রকমের কাণ্ডকারখানা করতেন। একবার ভেবে দেখুন তো, ১৫৯০ মার্ক পাওয়া কতটা কঠিন। (তবে ২০১৩ সালে ভারতীয় বংশোদ্ভুত ক্যালিফোর্নিয়ার ১৪ বছরের বালক ‘বরুন জেইন’ পুরো পারফ্যাক্ট স্কোর পেয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছ।) ওই রকম স্কোরের কাছে আমাদের অবস্থানটা কোথায়?

১৯৭৪ সালেই পল এলেন এবং বিল গেটস মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ‘বেসিক’ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ লিখে সেটা বিক্রি করেন। এটাই তার জীবনকে পাল্টে দেয়। হার্ভার্ড ছেড়ে তারা চলে যান আল বুকারকি নামের একটি শহরে। লেখাপড়া ওখানেই সমাপ্তি। হয়ে যান হার্ভার্ড ড্রপ-আউট।

আমাদের দেশে যারা লেখাপড়া ছেড়ে দিচ্ছেন, তাদের কতজনের এমন প্রতিভা এবং ক্ষমতা রয়েছে?

তিন.

শুধু ভালো ছাত্র হিসেবেই নয়, ভালো বিজনেস এক্সিকিউটিভ হিসেবেও বিল গেটসের খ্যাতি রয়েছে। ১৯৮০ সালে আইবিএম যখন তাদের পারসোনাল কম্পিউটার সিস্টেম বাজারে ছাড়ার প্রস্তুত নেয় তখন তাদের একটি অপারেটিং সিস্টেমের প্রয়োজন হয়। মাইক্রোসফট সেটা ৫০,০০০ ডলারের বিনিময়ে তৈরি করে দেয়। তবে আইবিএম সেটার কপিরাইট দাবি করার কথা ভাবেনি; আর মাইক্রোসফটও সেটা অফার করেনি। পরবর্তিতে সেই ডিস্ক অপারেটিং সিস্টমই (ডস) মাইক্রোসফট সবার জন্য বিক্রি করতে শুরু করে।

১৯৮৩ সালে মাইক্রোসফটের আয় ছিল ৫৫ মিলিয়ন ডলার। তখনই তা সবচে’ বড় কম্পিউটার কোম্পানিতে রূপ নিয়ে ফেলে। ১৯৮৬ সালে মাইক্রোসফট পাবলিকে যায় (প্রতি শেয়ার মূল্য ২১ ডলার)। দিনের শেষে তা ওঠে যায় ২৮ ডলারে। ১৯৮৭ সালেই বিল গেটস মাত্র ৩১ বছর বয়সে বিলিয়নিয়ার হয়ে যান। আর ১৯৯৫ সালে তিনি হয়ে যান বিশ্বের সবচে ধনী ব্যক্তি। ২০০৭ সাল পর্যন্ত এক টানা সেটা ধরে রাখেন। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আবার সেটা ফিরে পান। এখনও তাই আছে।

আমরা টিভি কিংবা মিডিয়াতে যেই বিল গেটসকে দেখি, মাইক্রোসফটের কর্মীরা সেই বিল গেটসকে দেখতে পান না। তাদের কাছে তিনি এক ভিন্ন বিল গেটস। তার এনার্জি, বুদ্ধিমত্তা, প্যাশন এবং জটিল বিষয়কে খুব সহজভাবে সমাধান করার যে ক্ষমতা রয়েছে, তা বিরল। তবে তার কাছের মানুষরা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন যে, বিল গেটস খুবই কঠিন মানুষ। তিনি সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পছন্দ করেন। এবং প্রথম দিকে অন্যান্য কর্মীদের লেখা কোড লাইনের পর লাইন নিজে পড়ে দেখতেন। তিনি তার সহকর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতেন; এবং প্রয়োজনে খুব খারাপ গালি কিংবা শব্দও ব্যবহার করতেন। প্রায়ই কোনোও মিটিং-এ গিয়ে সরাসরি বলতেন, ‘এমন স্টুপিড বিষয় আমি সারা জীবনে শুনিনি।’

একইভাবে তিনি কঠিন নেগশিয়েটর হিসেবে বিখ্যাত। তার বন্ধু পল এলেনকে নিয়ে যখন ব্যবসা শুরু করেন, তখন তিনি এমনভাবে নেগোশিয়েট করেছিলেন যে, পলকে খুব সামান্য শেয়ার দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে নেগোশিয়েশনের কাজটি বেশিরভাগ সময় বিল গেটস নিজে করতেন। কঠিন পরিশ্রমী মানুষ তিনি। সারা রাত জেগে কাজ করার অনেক উদাহরণ রয়েছে। একবার একজন সেক্রেটারি সকালে নতুন চাকরিতে যোগ দিয়ে দেখেন যে বিল গেটস মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন। তিনি ভেবেছিলেন বিল গেটস হয় অচেতন হয়ে পড়ে আছেন। কিন্তু মুহুর্তের মধ্যেই মেঝে থেকে উঠে তিনি জানালেন যে, গত দুইদিন উইকএ্যান্ডে দিন-রাত একটানা কাজ করেছেন, এখন একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেন।
উল্টা-পাল্টা গাড়ি চালানোর অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। একবার পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মাইক্রোসফট তৈরির প্রথম দিকে তিনি এতো বেশি জরিমানা খেয়েছিলেন যে, তার কোর্ট-কাচারি করতে বিশেষ আইনজীবী নিয়োগ দিতে হয়েছিল।

এতো কিছুর পরেও, এতো সম্পদের অধিকারী বিল এবং তার স্ত্রী মিলেন্ডা গেটস মানুষের সেবায় নেমেছেন। বিশ্বের সবচে বড় ফাউন্ডেশনটি পরিচালনা করেন তারা। সাথে নিয়েছেন আরেক ধনকুবের ওয়ারেন্ট বাফেটকে। তারা দরিদ্র দেশগুলোতে পানির সমস্যা, স্বাস্থ্যের সমস্যা, ক্ষুধার সমস্যা এবং জ্বালানির সমস্যা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন।
তোমরা যারা লেখাপড়া বাদ দিয়ে বিল গেটসের মতো হতে চাও, তাদের যেন বাকিটুকুও দেখার মতো চোখ থাকে। এই দেশে অনেক ব্রিলিয়ান্ট মানুষ লেখাপড়ার গণ্ডি পার হতে না পেরে সবশেষে কিছুই দিতে পারেনি এই দেশকে, এই সমাজকে। যাদের মাথায় ড্রপ-আউটের চিন্তা আছে, তাদের জীবনটা যেন তেমনটা হয়ে না যায়।

অনেকেই হয়তো বলবে, তাহলে কি আমরা কেরানির চাকরি করব? উদ্যোক্তা হব না? অবশ্যই হবে। তবে প্রথমেই বুঝতে হবে, সব চাকরি কেরানির চাকরি নয়। প্রফেশনালভাবে ভালো সেবা দিতেও প্রচণ্ড যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে নতুন কিছু তৈরি করতেও যথেষ্ঠ ইনোভেটিভ এবং এক্সিকিউটিভ যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। সেগুলো না থাকলে হুজুগে মাতাল হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে দিলে একটা সময়ে গিয়ে আটকে যেতে হতে পারে। জীবনে যেটা করতে চেয়েছিলে সেটা আর করা হয়ে উঠল না। তখন আবার আরেক ধরনের হতাশা কাজ করবে। সেটা যেন না হয়। গুড লাক।

source: priyo.com

12
ক্ষুধার্তরা নাকি কালে ভদ্রে অন্যের খাওয়া দেখে আনন্দ পান। আর আমরা যারা প্রায় সম্পদহীন লোক, তারা মাঝেমধ্যে সম্পদশালীদের সম্পত্তির খোঁজ-খবর নিয়ে বিশেষ মজা পাই। এজন্যই প্রতিবছর ফোর্বেস ম্যাগাজিনের করা ‘বিশ্বের শীর্ষ ধনী’র তালিকা পড়ি।
 
কার সম্পদ কত বেশি, কে কত বিলিয়ন ডলারের মালিক, কার বাড়িটা রাজপ্রাসাদের মতো, কার ব্যক্তিগত বিমান বা প্রমোদতরী আছে- এ নিয়ে আমাদের অনুসন্ধিৎসা বরাবরই বাড়াবাড়ি রকমের বেশি। র্বেস ম্যাগাজিন তো শুধু বর্তমান সময়ের শীর্ষ ধনীদের তালিকা করে, প্রতিবছর সেটা দেখে আর মন ভরে না। জানতে চাই, সর্বকালের সেরা ধনীদের বিষয়ে। আমার মতো যারা এ বিষয়ে জানতে চান, তাদের জন্য এ লেখা। 
 
১. মানসা মুসা
সম্রাট মানসা মুসা (১২৮০-১৩৩৭) ছিলেন ১৪ শতকের মালি সাম্রাজ্যের একজন মানসা বা সম্রাট। মালি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সান্দিয়াতা কেইতার ভাগ্নে ছিলেন তিনি। ১৩০৭ সালে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি প্রথম আফ্রিকান শাসক যিনি ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। তার সম্পদ এত বেশি ছিল যে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। প্রচলিত আছে, ১৩২৪ সালে তিনি যখন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যান, তখন তার হজবহরের ৬০ হাজার লোক ছিল শুধু রসদপূর্ণ ব্যাগ বহনের জন্য। সঙ্গে ছিল ৫০০ গোলাম, যারা প্রত্যেকে একটি করে সোনার দণ্ড বহন করছিল। ৮০ থেকে ১০০টি উট ছিল, যেগুলো প্রত্যেকটি প্রায় ১৪০ কেজি সোনা বহন করছিল। তার এই যাত্রাপথে তিনি প্রায় কয়েক শত কোটি টাকা মূল্যের সোনা বিতরণ করেছিলেন। কায়রোতে তিনি এত বেশি সোনা বিতরণ করেছিলেন যে, বেশ কয়েক বছর ধরে সেখানে সোনার দাম অনেক কম ছিল।
 
২. অগাস্টাস সিজার
অগাস্টাস সিজার (৬৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ-১৪ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন রোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বা ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। বর্তমান বাজারদরে বিশ্বের মোট সম্পদের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের মালিক ছিলেন তিনি। পুরো মিসর তার নিজস্ব সম্পদের তালিকায় ছিল।
 
৩. সম্রাট শেনজেন
শেনজেন ছিলেন চীনের সং সাম্রাজ্যের সম্রাট (১০৪৮-১০৮৫)। তার সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা সম্পদের পরিমাণ হবে বর্তমান বিশ্ব জিডিপির ২৫ থেকে ৩০ শতাংশের সমান। ওই যুগে নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও বিশাল অংকের কর আদায়ে সফলতা ছিল তার অর্থের মূল উৎস। বিপুল সম্পদের মালিক এ সম্রাট জীবিত ছিলেন মাত্র ৩৭ বছর।
 
৪. সম্রাট আকবর
জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর (১৫৪২-১৬০৫) ভারতবর্ষের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। আকবরের সময়ে মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে যে সম্পদ ছিল তা হবে বর্তমান বিশ্ব জিডিপির ২৫ শতাংশের সমান। তার রাজস্ব ব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মনে করা হয়। বাবা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেণ। বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে তিনি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। ১৫৬০ সালে বৈরাম খাঁকে সরিয়ে আকবর সব কিছু নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন। কিন্তু আকবর ভারতবর্ষ ও আফগানিস্তানে তার সাম্রাজ্য বিস্তারের কাজ চালিয়ে যান। ১৬০৫ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত উত্তর ভারত তার সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে।
 
৫. জোসেফ স্টালিন
জোসেফ স্টালিন (১৮৭৮-১৯৫৩)রুশ সাম্যবাদী রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯২২ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের এই শাসক সরাসরি অর্থ-সম্পদের মালিক না হলেও দেশের সমুদয় সম্পদের ওপর একচ্ছত্র ক্ষমতার কারণে সর্বোচ্চ ধনীদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তিন দশকের বেশি সময় দোর্দণ্ড প্রতাপে রাশিয়া শাসন করা স্টালিনের অধীনে সোভিয়েত ইউনিয়নের ৭ লাখ ৫০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পদ ছিল।
 
৬. অ্যান্ড্রু কার্নেগি
১৮৩৫ সালেস্কটল্যান্ডের নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন অ্যান্ড্রু কার্নেগি। জীবনের শুরুতে ক্ষুধা ও দারিদ্র ছিল তার পরিবারের নিত্যসঙ্গী। তার বাবা পরিবারের সবাইকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। এখানে সুতার কাজ দিয়ে কর্মজীবন শুরু। দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে সুতার কাজ করতেন কার্নেগি। এরপর সপ্তাহে আড়াই ডলার বেতনে টেলিগ্রাফ বাহকের কাজ শুরু করেন। অল্পদিনের মধ্যেই তার বেতন সপ্তাহে ৪ ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই তিনি ওই কোম্পানির অনেক ওপরের অবস্থানে ওঠেন। এভাবে ধীরে ধীরে একজন বিনিয়োগকারীতে পরিণত হন। অল্প অল্প বিনিয়োগ করেন অ্যাডামস এক্সপ্রেস কোম্পানিতে। এরপর কার্নেগি তার এক বন্ধুকে সাহায্য করতে তার গাড়ির ব্যবসার শেয়ার কেনেন। এই সুযোগে কার্নেগি তার সব টাকা রেলওয়েতে পুনর্বিনিয়োগ করেন। দেশে গৃহযুদ্ধ লাগলে ওই সময় তিনি যেসব বিনিয়োগ করেছিলেন তাতে আরো লাভবান হন এবং তার ভাগ্য খুলে যায়। ১৯০১ সালে নিজের মালিকানাধীন ইউএস স্টিল কোম্পানি ৪৮ কোটি ডলারে জেপি মরগ্যানের কাছে বিক্রি করেন। বর্তমান বাজারদরে অ্যান্ড্রু কার্নেগির সম্পদের পরিমাণ হবে ৩৭ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।  ১৯১৯ সালে মারা যান অ্যান্ড্রু কার্নেগি।
 
৭. জন ডি রকফেলার
জন ডি রকফেলার (১৮৩৯-১৯৩৭) বিখ্যাত মার্কিন শিল্পপতি, উদ্যোক্তা ও জনদরদী।  তিনি ১৮৬৩ সালে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। তিনি স্ট্যান্ডার্ড অয়েল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথম আমেরিকান হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক হন তিনি। ১৯১৮ সালে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেই সময়ের জিডিপির ২ শতাংশ। বর্তমান বাজারদরে তার মোট সম্পদের মূল্য ৩৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
 
৮. সম্রাট অ্যালান রুফুস
ব্রিটিশ সম্রাট রুফুস (১০৪০-১০৯৩) ছিলেন নরম্যান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট উইলিয়ামের ভাগনে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড, যা ছিল তৎকালীন ইংল্যান্ডের মোট জিডিপির শতকরা ৭ ভাগ। এটি বর্তমান সময়ের হিসাবে ১৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলার।
 
৯. বিল গেটস
টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (জন্ম: ১৯৫৫)। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৭ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তালিকায় তিনি বর্তমানে বিশ্বের সেরা ধনী। টাইম ম্যাগাজিনের করা সর্বকালের সেরা ১০ ধনীর তালিকার একমাত্র জীবিত সদস্য তিনি। অর্জিত সম্পদের ৯৫ শতাংশই জনহিতকর কাজের জন্য দান করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
 
১০. চেঙ্গিস খান
প্রধান মঙ্গোলিয়ান সামরিক নেতা। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি অন্যতম বিখ্যাত সেনাধ্যক্ষ। তিনি মঙ্গোল গোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে মঙ্গোল সম্রাজ্যের (১২০৬ - ১৩৬৮) গোড়াপত্তন করেন। নিকট ইতিহাসে এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সম্রাজ্য। চীন থেকে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল তার সাম্রাজ্য। তার অধীনে থাকা সাম্রাজ্যভুক্ত জমিই তার সম্পদের মূল উৎস ছিল। তবে এর বাজারদর সুনির্দিষ্ট করে পরিমাপ করা যায়নি।

source: bissoy.com

13
নানা কারণে পেসার কমে যেতে পারে । যেমন-অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা ইত্যাদি। প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, কান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা দেখা দেয়। তাই প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরি-

কফি :- স্ট্রং কফি, হট চকোলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ স্ট্রং কফি খেতে পারেন। তবে সব সময় লো প্রেসার হলে কোলা না খাওয়াই ভালো। কারণ এর অন্যান্য ক্ষতিকারক দিকও আছে।

লবণ-পানি :- লবণে আছে সোডিয়াম। তা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করতে হবে।

কিশমিশ :- হাইপার টেনশনের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিশমিশ। এক-দুই কাপ কিশমিশ সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো পানি খেয়ে নিন। এছাড়া পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন।

পুদিনা :- ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনাপাতা বেটে এতে মধু মিশিয়ে পান করুন।

যষ্টিমধু :- আদিকাল থেকেই যষ্টিমধিু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

বিটের রস :- বিটের রস হাই ও লো প্রেসার- উভয়টির জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

source: বিস্ময় ডট কম

14
জিরার যে এত জারিজুরি তা কি জানেন? না না, রান্নার কথা বলছি না। ঝোলে-ডালে-অম্বলে, সবেতেই সে আছে। কখনও পাঁচফোড়নে, কখনও তেজপাতার সঙ্গে ফোড়ন দিতে, কখন শুধুই জিরা বাটা, কখনও আবার আদার সঙ্গে একসঙ্গে বাটা। রান্নায় জিরার ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধুই যে রান্নায় সুগন্ধের জন্য জিরা ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও আমরা রান্নায় জিরা দিই। স্পাইসি এই মশালা যে আপনার শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাতেও ওস্তাদ, সে খোঁজ কি রাখেন? হাতের কাছে ক্যালেন্ডার থাকলে, জাস্ট দিনটি দেখে নিয়ে গোল্লা পাকান।

ধৈর্য ধরে ১৫টি দিন দেখুন। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। একদিনও বাদ দেবেন না। তার আগে আর একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। নিজের ওজন নিয়ে, লিখে রাখুন। ১৫দিন পর ফের ওজন নিন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন ঝরবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।

শুধু যে চর্বি বের করে দেয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, যারা ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। নিরাশ হবেন না। গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।


এ ছাড়াও জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গন্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠান্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। কী ভাবে জিরা খাবেন?

এক: একটা গেলাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।

দুই: যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।

তিন: কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে। চার: পাতিলেবু ও রসুনও ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।

15
প্রসঙ্গটা তুলেছিলেন ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকারবার্গই। মেনলো পার্কে উপস্থিত দর্শকদের সঙ্গে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথোপকথনের সময় জুকারবার্গ বলেন, “আপনিও তো আপনার পরিবারকে ভালবাসেন। শুনেছি আপনার মা-ই আপনার আদর্শ।”

এর আগেও বহু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন মোদী। এবং তা দিচ্ছিলেন বেশ স্বাভাবিকভাবেই। সেইমত এই প্রসঙ্গেও কথা বলা শুরু করেন। প্রথমেই তিনি দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমার দেশ ভারত বলেই একজন চা বিক্রেতাকে দেশবাসী তাদের নেতা বানিয়েছেন। আমি স্টেশনে চা বেচতাম।”

এরপরেই বলতে শুরু করেন মায়ের প্রসঙ্গে। বলেন, ‘আমার মা অন্যের বাড়িতে বাসন মাজতেন আমাদের পড়াশোনা করানোর জন্য। খুব গরিব পরিবারে আমি বড় হয়েছি।’ বলতে বলতে হঠাৎ থেমে যান মোদী। চারপাশে শয়ে শয়ে ক্যামেরার লেন্স তাঁর দিকে। সে কথা বিলক্ষণ জানেন মোদী। কিন্তু আবেগকে বাঁধ মানাতে পারলেন না দেশের তাবড় নেতাও। মায়ের কথা বলতে বলতে গলা ধরে এল।

কিছুক্ষণ বলার চেষ্টা করলেন, আমার বাবা আর নেই। মা’রও বয়স হয়েছে প্রায় ৯০। তিনি নিজেই নিজের সব কাজ করেন।” ব্যাস! আর গলা দিয়ে শব্দ বেরোচ্ছে না। কয়েক সেকেন্ড পার। পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন ক্যামেরাম্যান-উপস্থিত জনতা। তবে কি…! হ্যাঁ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চোখে জল। ক্যামেরা সে দৃশ্য ধরা পড়েছে স্পষ্ট। ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।

মোদী বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমার মা প্রতিবেশীর বাড়িতে বাসন মাজতেন। তাঁকে বাসন মাজতে হত। জল ভরতে হত। এমনকী, শ্রমিকের কাজও করতে হয়েছে। আমার মা তাঁর আস্ত জীবনটাই আমাদের জন্য পরিশ্রম করে গিয়েছেন।’ নরেন্দ্র মোদীর মা হীরাবেন এখন গুজরাতে থাকেন মোদী।

‘মোদী আরও বলেন, এটা শুধু একজন নরেন্দ্র মোদীর কথা নয়। আমার দেশ, ভারতে এরকম শয়ে শয়ে হাজার হাজার মা রয়েছেন, যারা তাদের জীবন সন্তানদের জন্য প্রাণপাত করে চলেছেন।’

জুকারবার্গ বিচক্ষণ ব্যক্তি। এরপর আর বেশিক্ষণ কথা বলা চলে না। থেমে গেল কথাবার্তা। মোদী মঞ্চ থেকে নেমে দেখা করলেন জুকারবার্গের অভিভাবকের সঙ্গে। তাঁরাও এসেছিলেন এদিনের অনুষ্ঠানে। তাদের সঙ্গে দেখা করে ছবি তোলার অনুরোধও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তবে যাওয়ার আগে বিলক্ষণ কথাটি বলে যান- ‘মার্ক, তোমার বাবা-মাও রত্নগর্ভা। যারা তোমার মত সন্তান পেয়েছেন যে গোটা বিশ্বের মানুষকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার মত মহৎ কাজ শুরু করেছে।’


source: prothom-news.com

Pages: [1] 2 3 ... 7