Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Zakaria Khan

Pages: [1] 2 3 ... 7
1
Islam / Islamic Discussion
« on: January 04, 2024, 08:05:24 AM »
মানুষের অধিকার :
হাদীসে আরো এসেছে: আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তোমরা কি জান দরিদ্র অসহায় ব্যক্তি কে? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, আমাদের মধ্যে দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিতো সে যার কোনো টাকা পয়সা বা সম্পদ নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমার উম্মতের মধ্যে সত্যিকার দরিদ্র অসহায় হলো সেই ব্যক্তি যে কিয়ামতের দিন সালাত, সিয়াম ও যাকাতসহ অনেক ভালো কাজ নিয়ে উপস্থিত হবে, অথচ দুনিয়াতে বসে সে কাউকে গালি দিয়েছিল, কারো প্রতি অপবাদ দিয়েছিল, করো সম্পদ আত্নসাত করেছিল, কারো রক্তপাত ঘটিয়েছিল, কাউকে মারধোর করেছিল ফলে তার নেক আমলগুলো থেকে নিয়ে তার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাওনা আদায় করা হবে। এভাবে যখন তার নেক আমলগুলো শেষ হয়ে যাবে ক্ষতিগ্রস্তদের দেওয়ার জন্য আর কিছু থাকবে না তখন তাদের পাপগুলো তাকে দেওয়া হবে ফলে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে”।[2]
এ হাদীস দুটো থেকে আমরা যা শিখতে পারলাম:
এক. গুনাহ, পাপ বা অপরাধ দু প্রকার। প্রথম প্রকার হলো যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার অধিকার বা হক ক্ষুন্ন হয়। যেমন শির্ক করা, সালাত পরিত্যাগ করা, হজ আদায় না করা ইত্যাদি। আর দ্বিতীয় প্রকার হলো যা দ্বারা মানবাধিকার বা হুকুকুল ইবাদ ক্ষুন্ন হয়। যেমন, করো সম্পদ দখল করা, গালি দেওয়া, মারধোর করা ইত্যাদি। প্রথম প্রকারের পাপগুলো ক্ষমা করা আল্লাহর দায়িত্বে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা ইচ্ছা করলে এগুলো ক্ষমা করে দিতে পারেন। আর দ্বিতীয় প্রকার পাপগুলো আল্লাহ তা‘আলা ক্ষমা করবেন না। যতক্ষণ না ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ক্ষমা না করে।
দুই. দুনিয়াতে বসে মৃত্যুর পূর্বেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। বা তার কাছ থেকে দাবী ছাড়িয়ে নিতে হবে।
তিন. যার মাধ্যমে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার নেক আমল বা সৎকর্ম থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। এমনি পাওনা পরিশোধ করতে করতে যদি নেক আমলগুলো শেষ হয়ে যায় তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পাপগুলো তার উপর চাপিয়ে দিয়ে তার পাওনা পরিশোধ করা হবে।
চার. আলোচিত ব্যক্তি আসলে ধনীই ছিল। তার অনেক নেক আমল ছিল। কিন্তু এগুলো এমনভাবে আর এমন সময়ে নিঃশেষ হয়ে গেল যে, তা অর্জন করার আর কোনো পথই থাকলো না। এ জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ব্যক্তিকে সত্যিকার অসহায় বলেছেন। কারণ দুনিয়াতে কেউ নিঃস্ব হয়ে গেলে সে আবার পরিশ্রম করে সম্পদ অর্জন করতে পারে। কিন্তু বিচার দিবসে কেউ নিঃস্ব হয়ে গেলে তার সামনে আর সম্পদ অর্জনের সুযোগ থাকে না।
পাঁচ. রাসূলুল্লা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ হাদীস আমাদেরকে মানুষের অধিকার রক্ষার ব্যাপারে যত্নবান হতে নির্দেশ দেয়। মানুষের সম্মান, সম্পদ, শরীর সবকিছু আমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। এগুলোর কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত করলে মানবাধিকার লংঘিত হয়।
[1] সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৪৪৯।
[2] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮১।

2
ফজিলত ও করণীয়ঃ

জিল হজ্জ্ব- আরবি বার মাসের শেষ মাস। বছরের বার মাসের মধ্যে “নিষিদ্ধ মাস” মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ্জ (অর্থাৎ এ মাসগুলোতে কোন প্রকার যুদ্ধ বিগ্রহ করা যাবে না)। আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ যে, তিনি তার পাপিষ্ট বান্দাদেরকে এমন কিছু মৌসুম দিয়েছেন যেগুলোতে তারা বেশি বেশি নেকীর কাজ করে সওয়াব অর্জন করতে পারে। এই মৌসুমগুলোর মধ্যে অন্যতম মাস হলো, যিলহজ্জ মাসের প্রথম দশ দিন।
আল্লাহ তা‌’আলা কোরআনে বলেনঃ
"কসম ভোরবেলার। কসম দশ রাতের।" (সূরা ফাজর : ১-২)।
ইবনে কাসীর রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন : এর দ্বারা উদ্দেশ্য জিলহজ মাসের দশ দিন। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
“যিলহজ্জের প্রথম দশকের চেয়ে উত্তম এমন কোন দিন নেই, যে দিনগুলোর সৎ আমল আল্লাহ্‌র নিকট অধিক পছন্দনীয়।” সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন: আল্লাহ্‌র পথে জিহাদও নয় হে রাসূলুল্লাহ্‌? তিনি বললেন: “আল্লাহ্‌র পথে জিহাদও নয়। অবশ্য সেই মুজাহিদের কথা ভিন্ন, যে জান-মাল নিয়ে জিহাদে বেরিয়ে পড়ে, কিন্তু আর কোন কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না (অর্থাৎ আল্লাহর পথে শহীদ হয়ে যায়)।” (বুখারী)

[উলামায়ে কেরাম বলেছেন : জিলহজ মাসের দশদিন সর্বোত্তম দিন, আর রমযান মাসের দশ রাত, সব চেয়ে উত্তম রাত]

আক্ষেপের বিষয় হলো--কোরআন-হাদিসে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া এই ইবাদতের সময় সম্পর্কে সমাজের খুব স্বল্পসংখ্যক মানুষই ধারণা রাখেন। জিলহজ মাসের প্রথম দশকের উল্লেখযোগ্য ১০টি আমল হলো-

১. সামর্থ্যবান হলে হজ্ব পালন করা। -সূরা আল ইমরান: ৯৭‍

২. কোরবানি করা। -সূরা কাউসার ও তিরমিজি

৩. অধিক পরিমাণে আল্লাহতায়ালার নামের জিকির করা। -সূরা হজ্ব : ২৮
বর্ণিত আয়াতে অবশ্য নির্দিষ্ট দিনসমূহে আল্লাহর নামের জিকির করার কথা বর্ণিত হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ তাফসিরবিদ উলামায়ে কেরামের অভিমত হলো- ‘নির্দিষ্ট দিনসমূহ’ বলতে জিলহজের প্রথম দশ দিনকে বুঝানো হয়েছে।

৪. অধিক পরিমাণে নেক আমল করা। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
৫. পাপের পথ না মাড়ানো। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
৬. কোরবানি করতে ইচ্ছুক ব্যক্তির এই দশদিন- নখ, চুলসহ শরীর থেকে কোনো কিছু কর্তন না করা। -সহিহ মুসলিম

৭. বেশি বেশি তাকবির, তাহমিদ ও তাহলিল পাঠ করা। যেমন- আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। – আবু দাউদ

৮. আরাফার দিন ফজর হতে আইয়ামে তাশরিকে (ঈদের দিন ও তার পরে আরো তিন দিন) প্রতি নামাজের পর উল্লেখিত তাকবিরটি পাঠ করা। -আবু দাউদ

৯. আরাফার দিনে রোজা রাখা। সহিহ মুসলিমের এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি মনে করি, তার বিনিময়ে আল্লাহতায়ালা এক বছর পূর্বের ও এক বছর পরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। আরাফার দিন ছাড়াও ঈদের দিন ছাড়া প্রথম দশকের বাকি দিনগুলোতেও রোজা রাখাকে মোস্তাহাব বলেছেন ইমাম নববি (রহ.)। কেননা নফল রোজাও নেক আমলের শামিল। হাদিসে এই দশকে সাধারণভাবে নেক আমলের প্রতি উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। অবশ্য হাদিসে স্বতন্ত্র নির্দেশ থাকায় আরাফার দিনের রোজা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

১০. ঈদের দিনের যাবতীয় সুন্নতসমূহ পালনে সচেষ্ট হওয়া।

Collected

3
কুরআন দিয়ে আপনার হৃদয় নিরাময় করুন, এটি এমন একটি ওষুধ যা শেষ হয় না। এটি চাপ, উদ্বেগ হতাশা এবং দুঃখ যা-ই হোক না কেন হৃদয় থেকে সরিয়ে দেয়।

সর্বদা আপনি কোরআনের সাথে আপনার সম্পর্ক জোরদার করুন , এবং দৈনিক কুরআন পড়ার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করুন।

নিঃসন্দেহে এই পবিত্র কুরআন আপনাকে পৃথিবীতে সেরা মোটিভেশন ও অনুপ্রেরণা দিতে সক্ষম হবে।

দৈনিক কম-করে হলেও কোরআনের একটি আয়াত হলেও অর্থসহ বুঝার জন্য আন্তরিকতার সাথে চেষ্টা করুন।

আপনি যখন ফজরের নামাজের পরে এবং পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আপনি আপনার দিনটি শুরু করেছেন ...

আপনার পুরো দিনটি একদম ভাল সুন্দর ও দুর্দান্ত হয়ে উঠবে ..
মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে নামাজ ও পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে আমাদের দিনটি শুরু করার তৌফিক দান করুন আমীন ....

4
Health & Medication / করোনাভাইরাস/COVID-19
« on: November 25, 2020, 03:36:59 PM »
করোনাভাইরাস/COVID-19 নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট(আইইডিসিআর), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কিছু উপদেশ দিয়েছে যা আমাদের মেনে চলা উচিত।

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫ পরামর্শ

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নোভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পাঁচ ধরনের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যা করণীয়

ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে
হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা
হাঁচি–কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা
অসুস্থ পশু বা পাখির সংস্পর্শে না আসা
মাছ, মাংস ভালোভাবে রান্না করে খাওয়া
যেভাবে করোনাভাইরাস ছড়ায়

আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি–কাশির মাধ্যমে
আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্পর্শ করলে ছড়ায়
পশু, পাখি বা গবাদিপশুর মাধ্যমে ছড়ায়
করোনাভাইরাস

করোনা একধরনের সংক্রামক ভাইরাস। ভাইরাসটি পশু-পাখি থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর শতাধিক দেশে বর্তমানে (মার্স ও সার্স সমগোত্রীয় করোনাভাইরাস) এর সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। কেউ যদি এসব দেশ ভ্রমণ করে থাকেন এবং ফিরে আসার ১৪ দিনের মধ্যে জ্বর ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে, গলাব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, তাহলে তাঁর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

5
১০ জিনিস যেটা কখনোই আপনার সন্তানের সাথে করা উচিৎ নয়
১.চিল্লাচিল্লি করা
অনেকে বলেন যে এটি শারিরীক ভাবে আঘাত করার চাইতেও ক্ষতিকর কারণ এটি অন্তরে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি করে।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনোই কোন বাচ্চার সাথে জোরে কথা বলেন নি এমনকি কোন নারী,কোন বন্ধু বা কারো সাথেই এমনটি করেন নি।
২.দোষ দেওয়া
এটি সম্পর্কের গভীরতা কমিয়ে দেয়,আত্মমর্যাদা কমিয়ে দেয় এবং বাচ্চাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যায় যখন বাচ্চা দোষ করুক বা না করুক নিজেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে
আনাস ইবন মালিক(রাঃ) যখন ১০ বছর বয়স তখন বলেন"আমি ৯ বছর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমত করেছি।আমি কিছু করলে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কখনোই বলেন নি আমি কেন এটা করেছি বা কিছু না করলে কখনোই এটা বলেন নি যে আমি কেন এটা করলাম না"
৩.অনবরত আদেশঃ
বাচ্চাকে প্রথমে না বুঝিয়ে আদেশ এবং দিকনির্দেশনা দিলে তা তাঁকে রোবটে পরিণত করে বাড়ন্ত বয়সে যেটা স্বাস্থ্যের জন্য  মোটেও ভাল নয় তাঁরা সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে অন্ধ অনুকরণ করে
৪.ভীতিপ্রদর্শন
বাচ্ছাদের ভয় প্রদর্শন করা হয় কারণ কোনকিছুতে বাধা দেওয়ার জন্য এটি একটি সহজ উপায় তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী কোন সমাধান নয়।যে কোন আচরণ যেটা ভয়ের কারণে পরিবর্তিত হয় সেই পরিবর্তন  দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
৫.বিদ্রুপ করা
বাচ্চাদের নিয়ে হাসিতামাশা করা ইসলামের গ্রহনযোগ্য নয়।
Surah Al-Hujraat, Verse 11:
মুমিনগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে।
বাচ্চাদের নিয়ে হাসিতামাশা করলে এটা তাঁদের আত্মমর্যাদায় আঘাত করে।
৬.অভিশাপ দেওয়াঃ
বাচ্চাদের অভিশাপ দিলে তাঁরা অভিশাপ দেওয়া শিখে এবং তাঁরা অন্যান্যদের অভিশাপ দেয় এমনকি তাঁদের আত্মীয়স্বজন,বন্ধু এবং মা বাবাকেও অভিশাপ দেয়।
হাদিসে এসেছে:মুমিন কখনোই কুৎসারটনাকারী নয় ,অভিসম্পাতকারীও নয়,কর্কশআচরনকারী নয়,নোংরা শব্দ/কথা ব্যবহারকারীও নয়।
৭.তুলনা করাঃ
আপনার সন্তানদের কারও সাথে তুলনা করবেন না বিশেষ করে আপনার অন্যান্য সন্তানদের সাথে।তুলনা করা শুধু হিংসা এবং ক্রোধের সৃষ্টি করে।
৮.অনবরত উপদেশ দেওয়াঃ
একটি বাচ্চার মনোযোগ প্রতি বছর ৩ থেকে ৫ মিনিট করে বৃদ্ধি পায় এবং ২ বছরের একটি বাচ্চা নূন্যতম ৬ মিনিট মনোযোগ ধরে রাখতে পারে এবং সদ্য ভর্তি কিন্ডারগার্টেনের একজন বাচ্চা ১৫ মিনিট মনোযোগ ধরে রাখতে পারে।
হাদিসে এসেছেঃ
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দিনের বেলা আমাদের শিক্ষা দিতেন এবং তিনি ভয় করতেন যে আমরা বিরক্ত হয়ে যেতে পারি।
৯.অবিশ্বাস করাঃ
বাচ্চাদের দ্বিধার সুবিধা না দিলে এটা নিজেদের মধ্যে বিশ্বাসে ফাটল ধরায়, মনখোলে কথা বলা বন্ধ করে দেয় এবং আত্মবিশ্বাসেও ঘাটতি দেখা দেয়।
১০.সংঘাতঃ
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় বাবা মায়েরা ভালভাবে বাচ্চাদের আচরনগত শিক্ষা না দিয়ে নিজেদের রাগ প্রকাশ করেন।এটা আসলে ব্যথানাশক এর মত কাজ করে তবে এটা হলো সাময়িক সময়ের সমাধান কোন দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়।এটা আসলে একটা কাপুরুষোচিত ব্যাক্তিত্ব  তৈরী করে কেউ যদি কিছু না দেখে তাহলে সে ঐ  খারাপ কাজ করতেই থাকবে।
হিসাম আল আওয়াদী children around the prophet বই এর লেখক How Muhammad(s) raised the young companions
-collected

6
দাঁড়িয়ে পানি পান করলে যা ক্ষতি

 মানুষের জীবনে পানি পানের কোনও বিকল্প নেই। পানি কিডনির মাধ্যমে আপনার শরীরের সব ক্ষতিকারক উপাদান দূর করে দেয়। তবে পানি পান করার নিয়মও আছে। অনেকেই দাঁড়িয়ে পানি পান করে থাকেন। কিন্তু জানেন কী দাঁড়িয়ে পানি পান করলে আপনার নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে চলুন জেনে নিই দাঁড়িয়ে পানি পান করলে যেসব ক্ষতি হতে পারে।
১. যখন আপনি দাঁড়িয়ে পানি পান করেন তখন পানি সরাসরি আপনার পাকস্থলিতে চলে যায়। তারপর খুব দ্রুতই প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এর মাধ্যমে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে।   
২. দাঁড়িয়ে পানি পান করলে আপনার শরীরের  জয়েন্টে ব্যথা হতে পারে।
৩. এই অভ্যাসটি আপনার শরীরের অক্সিজেন সরবরাহকে বাধা দেয়। এতে করে আপনার ফুসফুসের ক্ষতি হতে পারে।
৪. দাঁড়িয়ে পানি খেলে নার্ভে প্রদাহ বেড়ে যায়। ফলে কোনও কারণ ছাড়াই দুশ্চিন্তা এবং মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে।
৫. বদহজমের সমস্যা হয়।
৬. এসিড লেভেলে তারতম্য ঘটে দাঁড়িয়ে পানি খেলে। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় পানি খেলে শরীরে ক্ষরণ হতে থাকা অ্যাসিডকে তরল করতে পারে না। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।

7
বর্তমান বিশ্বে ‘ড্রোন’ অত্যন্ত আলোচিত একটি শব্দ। মানবহীন পাখিসদৃশ এই যন্ত্রবিশেষ চালাতে কোনো পাইলটের প্রয়োজন হয় না। দূর থেকেই তারহীন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মাধ্যমে অথবা আগে থেকে নির্ধারিত প্রগ্রামিং দ্বারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত নানা কাজে ড্রোনের ব্যবহার লক্ষণীয়। বর্তমানে বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা তাদের অফিস থেকেই বিভিন্ন ভবনের ছাদ এবং অন্যান্য উঁচু ভবন ড্রোনের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ নজরদারির আওতায় রাখছে।

বর্তমানে গুগল, অ্যামাজনের মতো বড় বড় কম্পানি পণ্য পরিবহন, যোগাযোগ রক্ষা, তথ্য পরিবহনসহ নানা কাজে সার্থকতার সঙ্গে ড্রোনকে কাজে লাগাচ্ছে। মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়ও আজকাল ড্রোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়া সিনেমা, নিউজ ও বিভিন্ন ডকুমেন্টারি তৈরি করতে মিডিয়াগুলোও ড্রোন ব্যবহার করছে। বাংলাদেশেও প্রতিরক্ষাসহ নিরাপত্তাজনিত নানা কাজে দিন দিন ব্যবহার বাড়ছে পাখিসদৃশ এই যন্ত্রটির।

বিশ্ব শাসনকারী নবী হজরত সুলাইমান (আ.)-এরও একটি পাখি ছিল, যার নাম হুদহুদ। পাখিটি ছিল বর্তমান যুগের ড্রোনের চেয়েও শক্তিশালী। এ যুগের এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দিতে না পারলেও হুদহুদের ছিল আল্লাহ প্রদত্ত পূর্ণ বুদ্ধিমত্তা। আল্লাহ প্রদত্ত শক্তিশালী জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে হুদহুদ এনে দিতে পারত সুলাইমান (আ.)-এর বিশাল রাজ্যের খোঁজখবর। শুধু তা-ই নয়, মহান আল্লাহ এই পাখিটিকে এমন সেন্সর দান করেছেন, যার মাধ্যমে সে ভূগর্ভের বস্তুসমূহ এবং ভূগর্ভে প্রবাহিত পানি হাজার ফুট ওপর থেকে শনাক্ত করতে পারত। তার চোখগুলো ছিল বর্তমান যুগের ডিজিটাল ক্যামেরার চেয়ে হাজার গুণ শক্তিশালী। সুলাইমান (আ.) তাঁর বিশাল সেনাবাহিনী নিয়ে যে এলাকায় থাকতেন, সেখানে যেহেতু পানি ছিল না, তাই হজরত তিনি সব সময় পানির খোঁজখবর রাখার জন্য ওই পাখি কাছে রাখতেন। পবিত্র কোরআনের সুরা নামলে এই পাখির বর্ণনা পাওয়া যায়। সেখানে পাখিটি হজরত সুলাইমান (আ.)-কে তাঁর অগোচরে বেড়ে ওঠা শক্তি ‘সাবা’ রাজ্যের সংবাদ দিয়েছিল।

ঐতিহাসিক এই পাখিটি একবার দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ২০০৮ সালের মে মাসে পাখিটিকে দেশের জাতীয় পাখির স্বীকৃতি দিয়েছে ইসরায়েল। (ওয়াইনেট নিউজ)

উপমহাদেশে পাখিটি বেশি দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিটি দেশ, মিসর, চাদ, মাদাগাস্কার, এমনকি ইউরোপের কোনো কোনো দেশেও এর দেখা পাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং আমাদের দেশেও মাঝেমধ্যে এই পাখির দেখা পাওয়া যায়। আমাদের দেশের মানুষ এটিকে মোহনচূড়া বা কাঠকুড়ালি হিসেবে চেনে। যেহেতু হুদহুদ পাখির অনেক উপপ্রজাতি আছে, তাই আমাদের দেশের মোহনচূড়াই সুলাইমান (আ.)-এর হুদহুদ কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। ইংরেজিতে একে হুপো বা হুপি বলে ডাকা হয়। আরবি ও উর্দুতে একে ডাকা হয় হুদহুদ নামে।

পাখিটির শরীর বাদামি এবং ডানা ও লেজে সাদা-কালো দাগ রয়েছে। মাথায় আছে রাজমুকুটের মতো সুন্দর একটি ঝুঁটি। সেই ঝুঁটির হলদে-বাদামি পালকের মাথাটা কালো রঙের।

সাধারণত এই পাখিটি ২৫ থেকে ৩২ সেন্টিমিটার (৯.৮ থেকে ১২.৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের পাখাগুলো ছড়ালে বিস্তৃত হয় ৪৪ থেকে ৪৮ সেন্টিমিটার (১৭ থেকে ১৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত। ওজন ৪৬ থেকে ৮৯ গ্রাম পর্যন্ত। এরা সাধারণত মরুভূমিসংলগ্ন এলাকায় থাকতে ভালোবাসে। মাটিতে ঠোঁট ঢুকিয়ে পোকা খেয়ে জীবন ধারণ করে। এদের পর্যবেক্ষণক্ষমতা অসাধারণ।

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

muftimortoj a@gmail.com

8
ছোট ছোট আমল কিন্তু অশেষ ফযীলত।
🌾আমল : ১
প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ (আশ্হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা- শারী কা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) । এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৩৪।
🌾আমল : ২
প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন। সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ৯৭২।
🌾আমল : ৩
প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ১২২৮। সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে। সহিহ মুসলিম, মিশকাত হাদিস নং- ১৮০৩) ।
🌾আমল : ৪
প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম হাদিস নং- ৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ, হাদিস নং- ১১৪০।
🌾আমল : ৫
রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন। তবরানি, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫৬ ।
🌾আমল : ৬
সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পরলে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দেওয়া হবে। সহিহ আবু দাউদ, হাদিস নং- ৫০৯১। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি 'সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি' পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুরগাছ রোপণ করা হয়। (তিরমিজি : ৩৪৬৪)
🌾আমল : ৭
সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করলে কিয়ামতের দিন তার চেয়ে বেশী সওয়াব আর কারো হবে না। সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ২৬৯২।
🌾আমল : ৮
সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর পাঠ করলে অগণিত সওয়াব হবে। নাসাই, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৬৫১।
🌾আমল : ৯
বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আওয়াহদাহুলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। তিরমিজি, হাদিস নং- ৩৪২৮,৩৪২৯।
🌾আমল : ১০
বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইবনু হিব্বান, হাদিস নং- ৪৯৯, সহিহ তারগিব, হাদিস নং- ৩১৬
আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল বোনদের সদা সর্বদা উক্ত আমলগুলো করার তৌফিক দান করুক।আমিন


9
মঙ্গলের ভূমিকম্পের তথ্য থেকে গ্রহটির অভ্যন্তরের কাঠামো সম্পর্কে ধারণা পেতে চলতি সপ্তাহে নতুন মিশনে নামছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
ট্যাটিক ল্যান্ডার যন্ত্রটি মঙ্গলে নামার পর সেখানকার মাটিতে সিসমোমিটার স্থাপন করবে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

সিসমোমিটারে যুক্তরাজ্যের তৈরি একটি সেন্সরও থাকছে। এই ভূমিকম্প মাপার যন্ত্রই মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মঙ্গলের ভূমিকম্প‘মার্সকোয়াক’ সম্বন্ধে তথ্য দেবে।

পৃথিবীর সঙ্গে তুলনার পর মিলবে মঙ্গলের অভ্যন্তরীণ কাঠামোতে থাকা পাথরের স্তর সংক্রান্ত তথ্যও।

“যখন সিসমিক তরঙ্গ মঙ্গলের চারপাশে প্রবাহিত হবে, তখন (যন্ত্রটি) বিভিন্ন স্তরের পাথরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত তরঙ্গগুলোর তথ্য জোগাড় করতে পারবে। সিসমোগ্রাফে এ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই বিজ্ঞানীরা সেখানকার পাথরের গঠন জানতে পারবেন। বিভিন্ন মার্সকোয়াক থেকে যখন আমরা নানান তথ্য পাবো, সব মিলিয়ে আমরা মঙ্গলের অভ্যন্তরের ত্রিমাত্রিক চিত্রটি নির্মাণ করবে পারবো,” বলেন ইনসাইট মিশনের প্রধান গবেষক ড, ব্রুস বেনার্ডট।

ক্যালিফোর্নিয়ার ভেন্ডেনবার্গ বিমান ঘাঁটি থেকে অ্যাটলাস রকেটের সাহায্যে ইনসাইডের এ ‘ল্যান্ডারটি’ পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৫ মিনিটে অ্যাটলাসের যাত্রা শুরুর কথা, যদিও কুয়াশার কারণে তা বিলম্বিতও হতে পারে।

গত শতকের ৭০ এর দশকেও নাসা বেশ কয়েকটি ভাইকিং ল্যান্ডারে মঙ্গলে সিসমোমিটার পাঠিয়েছিল। যদিও গঠনের কারণে সেগুলো তেমন সফলতা এনে দিতে পারেনি।

ইনসাইটের এবারের ল্যান্ডারটি তিন মাত্রার নিচের ভূমিকম্পও সণাক্ত করে, সে বিষয়ে তথ্য পাঠাতে পারবে। এই যন্ত্র বছরে ঠিক কতগুলো কম্পন সনাক্ত করতে পারবে, তা জানাতে না পারলেও বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের আশা ল্যান্ডারটি থেকে অন্তত কয়েক ডজন ভূমিকম্পের তথ্য পাওয়া যাবে।

মৃদু ভূমিকম্পগুলোর তথ্য থেকেও যে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাবে তা দিয়ে মঙ্গলের গঠন এবং এর গভীরতা নির্ণয় করা যাবে বলেও ধারণা তাদের।

Source- নিউজ ডেস্ক  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

10
ক্যালসিয়াম নামের খনিজ উপাদানটি আমাদের হাড় ও দাঁত শক্ত করে, ক্ষয় রোধ করে। স্নায়ু, হৃৎস্পন্দন, মাংসপেশির কাজেও লাগে। এর অভাবে হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরাসিস রোগ হতে পারে। হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রধানত প্রবীণদের হয়ে থাকে। হরমোনজনিত কিছু তারতম্যের কারণে প্রবীণ নারীদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কিছু অসুখের কারণে অনেক সময় তরুণেরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। কৈশোরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম-জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে পরবর্তী সময়ে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলো কম হবে।

অনেক সময় কিছু কিছু রোগে তরুণেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। যেমন কিছু বাতজনিত সমস্যা। কোমরের বাত, আবার অন্ত্রের প্রদাহের কারণে এগুলো ব্যক্তি ঠিকমতো গ্রহণ করতে পারেন না। শরীরের যে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো থাকে যেমন: ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, খনিজ বা মিনারেল—এগুলো ভালোভাবে গ্রহণ করতে না পারলে অনেক আগেই হয়তো শরীরে অস্টিওপোরোসিস হয়ে যায়।

কেউ বললেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাবে?

একটু হাত-পা ব্যথা, জোড় বা জয়েন্টের ব্যথা, শরীর ম্যাজম্যাজ করছে বা বয়স হয়েছে বলেই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কেননা, দৈনন্দিন নানা খাবারেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে। প্রতিদিন এ রকম খাবার থেকেই ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করা যায়। অনেকে আবার নিজে নিজেই ওষুধের দোকান থেকে কিনে ক্যালসিয়াম বড়ি খান, যা ঠিক নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধটি সেবন করতে হবে।

শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাব থাকলে কিন্তু ক্যালসিয়াম থেকে উপকার পাওয়া যাবে সামান্যই। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণে কিডনিতে পাথর পর্যন্ত হতে পারে। আবার যাঁদের আগে কখনো কিডনিতে পাথর হয়েছিল, তাঁদের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণে পুনরায় পাথর হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি। তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার সময় তথ্যটি সবার আগে জানবেন। কারণ ওষুধের মাত্রা ঠিক করতে এবং সমস্যাটির জন্য বাড়তি যেসব সতর্কতা প্রয়োজন তা নির্ধারণে তথ্যটি ভূমিকা পালন করবে।

দৈনন্দিন কতটুকু ক্যালসিয়াম প্রয়োজন?

একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি হলে চলে। রজর্নিবৃত্তির (মেনোপজ) পর নারীদের এবং সত্তরোর্ধ্ব পুরুষদের ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দরকার হয়। গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান যে মায়েরা তাঁদের লাগে একটু বেশি। ভিটামিন ডি-ও খেতে হবে কেননা এটি শরীরে ক্যালসিয়ামকে শোষণ করতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে এবং দুধজাতীয় খাবার থেকে আসে ক্যালসিয়াম। এ ছাড়া সবুজ শাকসবজি, বাদাম, টফু, কমলা ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।

ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট ছাড়া কীভাবে সমাধান পেতে পারি?

দুধ, দই, পনির, কাঁচা বাদাম, সয়াবিন, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ, কাঁটাযুক্ত ছোট মাছ, কালো ও সবুজ কচুশাক, শজনেপাতা, পুদিনাপাতা, সরিষাশাক, কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, চিংড়ি শুঁটকি, ডুমুর ইত্যাদি হলো উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার। ১০০ গ্রাম দুধে ক্যালসিয়াম আছে ৯৫০ মিলিগ্রাম, একই পরিমাণ পাবদা মাছে ৩১০ মিলিগ্রাম, সামুদ্রিক মাছে ৩৭২ মিলিগ্রাম, শজনেপাতায় ৪৪০ মিলিগ্রাম, ট্যাংরা মাছে ২৭০ মিলিগ্রাম। এক কাপ টকদইয়ে থাকে আরও বেশি ৪০০ মিলিগ্রামের মতো। আধা বাটি রান্না করা সবুজ পাতা আছে এমন শাক খেলে ১০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া হবে। এক গ্লাস কমলার রসে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম।

তবে অন্ত্রে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয় কিছু জিনিস, যেগুলো ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের সঙ্গে না খাওয়াই ভালো। যেমন উচ্চমাত্রার চর্বি ও অক্সালিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার। চকলেট, পালংশাক, কার্বোনেটযুক্ত পানীয় ইত্যাদিও ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। কিন্তু ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে ভিটামিন এ, সি এবং ডি। আয়রনও ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবারও ক্যালসিয়ামের কাজে সাহায্য করে।

এরপরও প্রয়োজন হলে...

তারপরও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম বড়ি সেবন করা যাবে বটে, তবে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। সবচেয়ে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলো গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। বেশ কিছু ওষুধ অন্ত্রে ক্যালসিয়ামের শোষণ কমিয়ে দেয়, বিশেষ করে যেসব ওষুধ অ্যাসিডিটি কমাতে ব্যবহৃত হয়। একসঙ্গে ৫০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যালসিয়াম ওষুধ অন্ত্রে শোষিত হয় না, তাই বেশি মাত্রার ওষুধ খেয়ে লাভ হয় না। ক্যালসিয়াম অন্ত্রে শোষণ করতে ভিটামিন ডি লাগে, তাই ভিটামিন ডি কম থাকলে এটিসহ খেতে হবে। সূর্যালোকে আছে প্রচুর ভিটামিন ডি। ডিমের কুসুম, লোনাপানির মাছেও আছে ডি ভিটামিন।

বয়স একটু বেড়ে গেলেই যে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে সমস্যায় পড়তে হয়, তা এড়াতে কৈশোর থেকেই প্রয়োজন সচেতনতা। দুধ ও দুধজাতীয় খাবারের পাশাপাশি খেতে হবে কাঁটাসহ ছোট মাছও। বাড়ন্ত এই বয়সটায় এমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে একটি মেয়ের শরীরের হাড়ের মূল অংশটা ঠিকমতো তৈরি হবে। এভাবে ভবিষ্যতে হাড়ক্ষয় বা হাড়ে ফুটো হয়ে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

11
বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে হাসপাতালে ও চিকিৎসকদের কাছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা ভিড় করছেন। গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এ বছর তেমনটা নেই বললেই চলে।

বিগত বছরগুলোর মতো এবারও গলাব্যথা বা ডায়রিয়ার মতো পরিচিত কিছু ভিন্নধর্মী লক্ষণ নিয়ে ডেঙ্গু জ্বর দেখা দিচ্ছে। লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথম দিন থেকে প্রচণ্ড জ্বর, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, শরীরে ব্যথা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া এবং কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে র‍্যাশ বা দানা দেখা দেওয়া। কারও কারও বমি হতে দেখা যাচ্ছে।

তবে মনে রাখা উচিত, এ সময়ের জ্বর মানেই কেবল ডেঙ্গু নয়। কাছাকাছি ধরনের লক্ষণ নিয়ে অন্যান্য জ্বরও দেখা দিচ্ছে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বর ছাড়াও পানিবাহিত টাইফয়েড জ্বরও হচ্ছে। তাই জ্বর হলে লক্ষণ-উপসর্গ মিলিয়ে ও প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই চিকিৎসা নেওয়া ভালো।

এ সময় জ্বর এলেই ভয় পাবেন না। ফ্লু বা ডেঙ্গু—যেকোনো ভাইরাসজনিত রোগ আপনা থেকেই সেরে যাবে। জ্বর এলে পর্যাপ্ত পানি পান করুন, শরীর স্পঞ্জ করুন, বিশ্রাম নিন এবং মাথায় পানি দিন। জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করতে পারেন। আর কোনো ওষুধের দরকার নেই।

জ্বর প্রথম দিন থেকেই জটিল আকার মনে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নয়তো বাড়িতে তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। তিন দিনে জ্বর না কমলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। নিজে দোকান থেকে কিনে কোনো অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাবেন না, হিতে বিপরীত হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের অনুচক্রিকার মাত্রা বিপজ্জনক হারে কমে যেতে দেখা যাচ্ছে এবার। এটি ডেঙ্গু জ্বরের একটি জটিলতা। অনুচক্রিকা কমে গেলে দাঁত, ত্বকের নিচ, নাক ইত্যাদি স্থানে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বাড়ে। কখনো আরও মারাত্মক রক্তপাতও হতে পারে। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর হলেই বা অনুচক্রিকা কমে গেলেই রোগীকে রক্ত বা প্লাটিলেট দেওয়ার প্রয়োজন হয়—এমন ধারণার ভিত্তি নেই। ডেঙ্গু হলে হাসপাতালে ভর্তি করে শিরায় স্যালাইন দিতেই হবে—এ ধারণাও ভুল। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন। একেকজনের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে।

অধ্যাপক খান আবুল কালাম আজাদ

অধ্যক্ষ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বিভাগীয় প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

12
কাঁচা মরিচের ঝাল অনেকের প্রিয়। সকালের পান্তা ভাতে কিংবা গরম-গরম ভাজা মাছে কাঁচা মরিচে দু-চার কামড় দিয়ে ঝালে উহ্‌-আহ্‌ করার মজাই আলাদা। কাঁচা মরিচ ভিটামিনের এক চমৎকার উৎস। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। আধা কাপ পরিমাণ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। আর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভিটামিন কে রয়েছে এতে। সব ধরনের মরিচেই আছে ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান।

এই ক্যাপসেইসিন প্রদাহ ও বাতের ব্যথা কমায়, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ বলছে, টাটকা সবুজ কাঁচা মরিচে যে ক্যাপসেইসিন আছে, তা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নেই, আছে নানা উপকারও।

গবেষকেরা বলছেন, কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি তাপ, অতিরিক্ত আলো ও বাতাসের কারণে একটু একটু করে হারায়। তাই তাজা কাঁচা মরিচ না খেতে পারলে তা ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এ জন্য বাজার থেকে আনা তাজা কাঁচা মরিচ জিপার ব্যাগে মুখ আটকে ফ্রিজে রাখুন এবং তিন-চার দিনের মধ্যেই শেষ করতে চেষ্টা করুন।

কাঁচা মরিচের দাম হুটহাট করে বেড়ে যায় বলে অনেকেই ভাবেন, কীভাবে তা বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। কারণ, কাঁচা মরিচ কিনে বাড়িতে এনে ঠিকমতো রাখা হয় না বলে তা পচে গন্ধ হয়। কিন্তু কাঁচা মরিচ সহজে ও কম খরচে সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি পদ্ধতি আছে।

কাঁচা মরিচের ঝাল অনেকের প্রিয়। সকালের পান্তা ভাতে কিংবা গরম-গরম ভাজা মাছে কাঁচা মরিচে দু-চার কামড় দিয়ে ঝালে উহ্‌-আহ্‌ করার মজাই আলাদা। কাঁচা মরিচ ভিটামিনের এক চমৎকার উৎস। রয়েছে নানা পুষ্টিগুণও। আধা কাপ পরিমাণ কুচি কাঁচা মরিচে প্রায় ৮০০ ইউনিটের বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। আর ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়া ভিটামিন কে রয়েছে এতে। সব ধরনের মরিচেই আছে ক্যাপসেইসিন নামের একটি উপাদান।

এই ক্যাপসেইসিন প্রদাহ ও বাতের ব্যথা কমায়, ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমেরিকার ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চ বলছে, টাটকা সবুজ কাঁচা মরিচে যে ক্যাপসেইসিন আছে, তা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। তাই কাঁচা মরিচে কেবল ঝালই নেই, আছে নানা উপকারও।

গবেষকেরা বলছেন, কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি তাপ, অতিরিক্ত আলো ও বাতাসের কারণে একটু একটু করে হারায়। তাই তাজা কাঁচা মরিচ না খেতে পারলে তা ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করুন। এ জন্য বাজার থেকে আনা তাজা কাঁচা মরিচ জিপার ব্যাগে মুখ আটকে ফ্রিজে রাখুন এবং তিন-চার দিনের মধ্যেই শেষ করতে চেষ্টা করুন।

কাঁচা মরিচের দাম হুটহাট করে বেড়ে যায় বলে অনেকেই ভাবেন, কীভাবে তা বেশি দিন সংরক্ষণ করা যায়। কারণ, কাঁচা মরিচ কিনে বাড়িতে এনে ঠিকমতো রাখা হয় না বলে তা পচে গন্ধ হয়। কিন্তু কাঁচা মরিচ সহজে ও কম খরচে সংরক্ষণ করে রাখার কয়েকটি পদ্ধতি আছে।

জিপার লক
পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই অল্প করে কাঁচা মরিচ কেনেন। যাঁরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে চান, তাঁরা জিপ লক ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা মরিচ বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখতে চাইলে বাতাস চলাচল করে না—এমন জিপার লক ব্যাগ দারুণ কার্যকর। তবে এতে মরিচ রাখার আগে অবশ্যই বোঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর তা জিপার লক ব্যাগে ভরে রাখতে হবে। এরপর সেই ব্যাগ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো সময়ে বের করে ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের বেশি সতেজ থাকে।

বায়ুরোধী পাত্র
কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? রেফ্রিজারেটরে রাখা মরিচ পচে যাওয়া ঠেকাতে বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। বায়ুরোধী পাত্রের মধ্যে দুই স্তরে কিচেন টাওয়েল (কিচেন টাওয়েল কিছুটা পেপার ন্যাপকিনের মতো, যেটি রোল করা অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়) রাখুন। মরিচের বোঁটা ছাড়িয়ে এর ভেতর রাখুন। এর ওপরে আরেক স্তরের কিচেন টাওয়েল রাখুন। এরপর ভালো করে পাত্রের মুখ আটকে দিন। মরিচের আর্দ্রতা শুষে নেবে টাওয়েল। এতে মরিচ দীর্ঘদিন সতেজ থাকবে। এভাবে ২০ থেকে ২৫ দিন মরিচ সংরক্ষণ করা যায়।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
কাঁচা মরিচ পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। একটি প্লেটে কাঁচা মরিচ রাখুন এবং পুরো প্লেট ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। ছয় থেকে সাত ঘণ্টা রাখার পর তা বের করে এনে হিমায়িত মরিচগুলো বায়ুরোধী কোনো পাত্রে রেখে দিন। ওই পাত্র রেফ্রিজারেটরে রাখুন। এভাবে মরিচ দুই মাস পর্যন্ত সতেজ রাখতে পারবেন। তথ্যসূত্র: নিউট্রিশন অ্যান্ড ইউ, এনডিটিভি।
জিপার লক
পচে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই অল্প করে কাঁচা মরিচ কেনেন। যাঁরা এক সপ্তাহ পর্যন্ত রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে চান, তাঁরা জিপ লক ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা মরিচ বেশি দিন সংরক্ষণ করে রাখতে চাইলে বাতাস চলাচল করে না—এমন জিপার লক ব্যাগ দারুণ কার্যকর। তবে এতে মরিচ রাখার আগে অবশ্যই বোঁটা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এরপর তা জিপার লক ব্যাগে ভরে রাখতে হবে। এরপর সেই ব্যাগ রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। সেখান থেকে প্রয়োজনমতো সময়ে বের করে ব্যবহার করতে পারবেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের বেশি সতেজ থাকে।

বায়ুরোধী পাত্র
কোথাও বেড়াতে যাচ্ছেন? রেফ্রিজারেটরে রাখা মরিচ পচে যাওয়া ঠেকাতে বায়ুরোধী পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। বায়ুরোধী পাত্রের মধ্যে দুই স্তরে কিচেন টাওয়েল (কিচেন টাওয়েল কিছুটা পেপার ন্যাপকিনের মতো, যেটি রোল করা অবস্থায় কিনতে পাওয়া যায়) রাখুন। মরিচের বোঁটা ছাড়িয়ে এর ভেতর রাখুন। এর ওপরে আরেক স্তরের কিচেন টাওয়েল রাখুন। এরপর ভালো করে পাত্রের মুখ আটকে দিন। মরিচের আর্দ্রতা শুষে নেবে টাওয়েল। এতে মরিচ দীর্ঘদিন সতেজ থাকবে। এভাবে ২০ থেকে ২৫ দিন মরিচ সংরক্ষণ করা যায়।

অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল
কাঁচা মরিচ পচে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়িয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারেন। একটি প্লেটে কাঁচা মরিচ রাখুন এবং পুরো প্লেট ফয়েল পেপারে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। ছয় থেকে সাত ঘণ্টা রাখার পর তা বের করে এনে হিমায়িত মরিচগুলো বায়ুরোধী কোনো পাত্রে রেখে দিন। ওই পাত্র রেফ্রিজারেটরে রাখুন। এভাবে মরিচ দুই মাস পর্যন্ত সতেজ রাখতে পারবেন। তথ্যসূত্র: নিউট্রিশন অ্যান্ড ইউ, এনডিটিভি।

13
চীনই বিশ্বের প্রথম দেশ, যে দেশটি চাঁদের অন্ধকার পাশে পৌঁছাতে একধাপ অগ্রসর হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে চীনের চেচিয়াও রিলে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। সিচুয়ান প্রদেশ থেকে লং মার্চ-৪সি রকেটে করে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।

চাঁদের যে পাশে সূর্যের আলো পৌঁছায় না তা ভীষণ অন্ধকার। এখন পর্যন্ত চাঁদের ওই অন্ধকার পৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারেনি কোনো মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। চেচিয়াও স্যাটেলাইট পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনের সাথে চাঁদে পাঠানো যানের যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে ।

উৎক্ষেপণের ২৫ মিনিট পর স্যাটেলাইটটি রকেট থেকে আলাদা হয়ে যায়। এরপর সেটি পৃথিবী-চাঁদের ট্রান্সফার অরবিটে প্রবেশ করে। পৃথিবী থেকে ৪ লাখ ৫৫ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে কিছু দিনের মধ্যে সেটি প্রবেশ করবে চাঁদের কক্ষপথে। চেচিয়াও হবে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছানো পৃথিবীর প্রথম কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট।

এ বছরের শেষ দিকে পৃথিবী থেকে চাঁদে চাং’ই ৪ চন্দ্রযান পাঠাবে  চীন। এটি আলু ও ফুলের বীজ বহন করবে । চাঁদে কৃত্রিম পরিবেশে ওই বীজ থেকে চারা গজানোর পরীক্ষা করা হবে। নার প্যালেস’ তৈরির পর সেই ‘চাঁদের প্রাসাদে’ বসে গবেষণা করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।

চেচিয়াও স্যাটেলাইট সাথে নিয়ে যাচ্ছে একটি রেডিও অ্যান্টেনা, যেটা মহাবিশ্বের সূচনাপর্বের রহস্য জানার চেষ্টায় সহায়ক হবে

দ্য গার্ডিয়ান

14
সময়ের পার্থক্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন একদিন আগে-পরে হয়, তেমনি অঞ্চল ভেদে রোজার সময়ও কম-বেশি হয়ে থাকে। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা; কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সূর্যদয় ও সূযাস্তের পার্থক্যের কারণে  রোজার সময়ও কম বেশি হয়। কোন কোন অঞ্চলে সেটি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি আবার কোন অঞ্চলে অনেক কম।

এ বছর কোন কোন দেশে ২০ ঘণ্টার বেশি আবার কোন দেশে ১১ ঘণ্টারও কম সময় রোজা রাখাতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরেই সবচেয়ে বেশি সময় রোজা পালন করতে হচ্ছে ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডের মুসলিমদের। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের এই ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটিতে এখন সবচেয়ে বড় দিন। ঘড়ির কাটার হিসেবে যা ২০ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। দেশটির স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় সুবহে সাদিক হয়, আর ইফতার অর্থ সূর্যাস্ত হয় পৌনে এগারোটায়। এত দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে সমস্যায় পড়ছেন দেশটির অল্প সংখ্যক মুসলিম নাগরিক। দেশটির মুসলিম জনসংখ্যা আটশোর মতো।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোজার সময় আইসল্যান্ডের প্রতিবেশী ও ডেনমার্ক শাসিত দ্বীপ গ্রিণল্যান্ডে। দেশটিতে এ বছর রোজার সময় ১৯ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। আর বাল্টিক অঞ্চলের দেশ ফিনল্যান্ড আছে তৃতীয় অবস্থানে, দেশটির মুসলিমরা রোজা রাখছে ১৯ ঘণ্টা ২১ মিনিট। এরপর যথাক্রমে একই অঞ্চলের নরওয়ে(১৯ ঘণ্টা ১৯ মিনিট), সুইডেন (১৯ ঘণ্টা ১২ মিনিট)।

উত্তর মেরুর অন্যান্য দেশগুলোতেও এরকম দীর্ঘ সময় রোজা রাখতে হচ্ছে মুসলিমদের। অন্যদিকে এই গ্রহের অন্য প্রান্তে অর্থাৎ দক্ষিণ মেরুতে পাওয়া যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের দেশ চিলির মুসলিমরা সবচেয়ে কম সময় রোজা রাখছে। দেশটিতে এখন ১০ ঘণ্টা ৩৩ মিনিট দীর্ঘ হচ্ছে দিন। আইসল্যান্ডের তুলনায় যা প্রায় ১১ ঘণ্টা কম। এছাড়া নিউজিল্যান্ডে রোজা হচ্ছে ১১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট। ব্রাজিল আর অস্ট্রেলিয়ায় হুবহু একই সময় রোজা রাখতে হচ্ছে, ১১ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট।

15
খেজুর খেতে ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। শুধু স্বাদ ও পুষ্টিগুণ নয়, বরং রোগ নিরাময়ের জন্যও খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। এই খাবারে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর তন্তু, মিনারেল এবং ভিটামিন রয়েছে। এই উপাদানগুলো শুধু কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না, একই সঙ্গে ডায়রিয়া এবং অন্ত্রের নানা সমস্যার সমাধানেও সাহায্য করে।
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় তিনটি খেজুর রাখলে শরীরের কিছু পরিবর্তন ঘটে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডেভিডউলফ ডটকম তুলে ধরেছে সেই পরিবর্তনগুলো।
হজমশক্তি ভালো হয়
খেজুরে দ্রবণীয় তন্তু রয়েছে, যা হজমশক্তির উন্নতি ঘটিয়ে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় খেজুর। এতে পটাশিয়াম থাকায় তা বদহজম এবং ডায়রিয়া থেকেও রক্ষা করে। আসলে খেজুর আমাদের পাকস্থলীর মধ্যকার ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলোকে শক্তির জোগান দেয় বলেই এমনটি হয়ে থাকে।
রক্তস্বল্পতা রোধ
বেশিরভাগ মানুষই রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। এর চিকিৎসায় আয়রনের একটি চমৎকার উৎস হতে পারে খেজুর। ক্লান্তি দূর করতেও ভূমিকা রাখে খেজুর।
হাড়, রক্ত এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
খেজুরে ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। এদের মধ্যে সেলেনিয়াম ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। অন্য উপাদানগুলো হাড়কে মজবুত এবং রক্ত ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শক্তি বাড়ায়
খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বিশেষ করে গ্লুকোজ, সুক্রোজ, ফ্রুক্টোজ বিদ্যমান রয়েছে। এই উপাদানগুলো শক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কাজেই শক্তি বাড়াতে বিকেলের নাস্তায় খেজুর খেতেই পারেন।
হার্ট ভালো রাখে
কোলেস্টরল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। খেজুরে পটাশিয়াম বিদ্যমান থাকায় তা খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে আনে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমে যায়। কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিদিনের ডায়েটে তিনটি খেজুর রাখতেই পারেন।

Pages: [1] 2 3 ... 7