Daffodil International University

Faculties and Departments => Allied Health Science => Topic started by: snlatif on November 22, 2013, 10:48:14 AM

Title: ডায়াবেটিস
Post by: snlatif on November 22, 2013, 10:48:14 AM
ডায়াবেটিস মেলিটাস বা ডায়াবেটিস একটি সুপরিচিত অসুখ। এই অসুখে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করা বৃদ্ধি পায়। প্রধানত: “ইনস্যুলিন; নামে এক রাসায়নিক পদার্থের অভাবের জন্য এই অসুখটি হয় এবং যা অগ্নাশয় (প্যানক্রিয়াজ) থেকে নিঃসরণ হয়।

রোগের লক্ষন কি ?

(ক) বার বার প্রস্রাব করা; (পলিইউরিয়া)
(খ) অস্বাভাবিক তৃষ্ণা (পলিডিপসিয়া)
(গ) অস্বাভাবিক ক্ষুধা (পলিফ্যাগিয়া)
(ঘ) অল্প পরিশ্রমে ক্লান্তি
(ঙ) ওজন হ্রাস (Type-i)
(চ) স্হুলাকৃতি চেহেরা (Type-ii)
(ছ) ক্ষতস্থান দেরিতে শুকানো
(জ) পায়ে অসাড় অনুভূতি
(ঝ) চোখের দৃষ্টিশক্তি আবছা হওয়া।
(ঞ) চামড়ায় শুষ্কতা বা চুলকানি ভাব আসা

পরীক্ষা:
ডায়াবেটিসের দুটি অতি পরিচিত পরীক্ষা-
প্রথমটি খালি পেটে এবং দ্বিতীয়টি খাদ্য গ্রহণের পর দু ঘন্টার মধ্যে রক্তের গ্লুকোজের পরিমান নিধার্রন।

আরও কয়েকটি পরীক্ষা আছে। যেমন- রান্ডম ব্লাড সুগার পরীক্ষা; সিরাম গ্লাইকোসিলেটেড হিমোগ্লোবিন পরীক্ষা; ইউরিন সুগার পরীক্ষা; “সিরাম ফ্রুক্টোসেমাইন পরীক্ষা; “গ্লুকোজ টলারেন্স পরীক্ষা অথবা কীটোন বডির জন্য মুত্র পরীক্ষা ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
ডায়াবেটিস রোগের কোন ভাইরাস বা কোন এজেন্ট আছে কিনা তা আবিষ্কৃত হয়নি। তাই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করেই রোগীদের ভাল থাকতে হবে। এ জন্য পরিপূর্ণ শৃংখলাবদ্ধ জীবন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রোগী যদি নিজে চান যে তিনি ভাল থাকবেন, তবে ডায়াবেটিস সুনিয়ন্ত্রিত থাকবে এবং পরিপূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপণ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

খ্যাদ্যাভাস:
১. ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্যাভাস এমনভাবে গড়ে তোলা দরকার যাতে শরীরের ওজন কাম্য সীমার উপরে বা নীচে না যায়।
২. খাদ্য তালিকায় ভাত, রুটি ইত্যাদির পরিমান কমিয়ে পরিবর্তে শাকসব্জী বাড়িয়ে দিতে হবে; আঁশযুক্ত সাক শবজী প্রচুর পরিমানে খাওয়া যাবে।
৩. মিষ্টি জাতীয় খাবার (কেক, পেস্তি, জ্যাম, জেলি, মিষ্টি, ঘনীভূত দুধ, মিষ্টি বিস্কুট, সফট ড্রিক, চায়ে চিনি ইত্যাদি) খাওয়া যাবেনা।
৪. নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খেতে হবে। ঘি, মাখন, চর্বি, মাংস ইত্যাদি কম খেতে হবে।
৫. যথা সময়ে ঘুমাতে হবে এবং সকল ধরণের দুশ্চিন্তা হতে মুক্ত থাকতে হবে।
৬. ধূমপান, মদ পান এবং হোটেলের খাবার পরিপূর্ণভাবে পরিহার করতে হবে।

ব্যায়াম :
শরীর সুস্থ রাখতে হলে ব্যায়ামের কোন বিকল্প নেই। শরীরের জড়তা দূর, ধমনী-শিরায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি ও ইনসুলিন উৎপাদন ও ব্যবহারের বৃদ্ধি- ইত্যাদি কারণেই ব্যায়াম অতি জরুরী। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, যাঁরা দৈহিক কাজ করেন না এবং অলস জীবন যাপন করেন তাঁরা প্রায় ডায়াবেটিসে ভুগে থাকেন। এ জন্য যাঁরা ডায়াবেটিস আক্রান্ত তাঁদের দৈনিক কমপে ৪৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি বা হালকা ব্যয়াম করতে হবে। দৈনিক ৪৫ মি: হাঁটলে খাদ্যাভাস সঠিক থাকলে, এবং দৈহিক ওজন কাম্য সীমার মধ্যে থাকলে টাইপ-২ ভুক্ত ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।


সূত্রঃ:দেহ:: জীবনের ঠিকানা।