Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mafruha Akter

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21
286
Nutrition and Food Engineering / অলিভচর্চা
« on: February 13, 2014, 12:43:50 PM »

সৌন্দর্য সুরক্ষায় অলিভ বা জলপাই ব্যবহার হচ্ছে অনেক আগ থেকেই। কেবল ত্বকের যত্ন নয়, চুল এমনকি মেইকাপ সামগ্রী হিসেবেও ব্যবহৃত হয় অলিভ থেকে নিঃসৃত তেল।


বিশেষ করে এই শুষ্ক আবহাওয়ায় অলিভ অয়েল দারুণ কার্যকর। সাধারণত তিনধরনের হয়ে থাকে এই তেল। এক্সট্রা ভার্জিন, ভার্জিন এবং রিফাইনড। অলিভ অয়েল টাইমস ডটকমের মতে খাওয়া ছাড়াও সৌন্দর্য সুরক্ষায় এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের ব্যবহারই সর্বৎকৃষ্ট।

ত্বকের যত্নে

ত্বক উজ্জ্বল এবং নরম রাখতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। ভারতের অন্যতম সৌন্দর্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘স্টাইল কেয়ার’ জানাচ্ছে, শরীর বা মুখের ত্বক— যেখানেই ব্যবহার করা হোক না কেনো এ তেল শরীরের সবজায়গার জন্যই আদর্শ। নিয়মিত সারা শরীরে অলিভ অয়েল মাখলে ত্বক-সংক্রান্ত নানান সমস্যার থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাদের ত্বক শুষ্ক তারা শীত-গ্রীষ্ম সবসময়ই এ তেল ব্যবহার করতে পারেন।

স্কিন ময়েশ্চারাইজার

প্রতিদিন গোসলের পর কিংবা রাতে শোবার আগে ময়শ্চারাইজার হিসেবে বেছে নিতে পারেন এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল। ত্বকের শুষ্কতা এবং বিবর্ণভাব রোধে এটি দারুণ কাজ করে। ‘ডেইলিগ্লো ডটকম’ বলছে, বেশি কার্যকর ও ত্বকে সতেজভাব বাড়িয়ে তোলার জন্য অলিভে অয়েলের সঙ্গে মেশাতে পারেন অল্প পরিমাণ লেবুর রস। এরসঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন সবধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী একটি ময়শ্চারাইজার।

এক্সফোলিয়েটর হিসেবে

দি প্যাশোনেট অলিভ ডটকম জানাচ্ছে— শুষ্ক ও খসখসে ত্বকের জন্য অলিভ অয়েলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। সমপরিমাণ অলিভ আয়েল এবং লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে স্কার্ব তৈরি করে ত্বকের উপর ধীরে ধীরে ভালভাবে ম্যাসাজ করুন। কয়েকদিনেই ত্বক নরম হয়ে উজ্জ্বল আভা চলে আসবে। কিংবা প্রতিদিনকার গোসলের পানিতে ৩ টেবিল-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক বা দু’ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। শরীরের ক্লান্তি কাটিয়ে ফুরফুরে হয়ে উঠতে এর জুড়ি নেই।

নখের যত্নে

ভঙ্গুর নখ এবং নখের চামড়ার বাইরের স্তর সুস্থ, সুন্দর এবং কোমল রাখার জন্যও অলিভ অয়েল আদর্শ। স্টাইল কেয়ার ডটকমের এর তথ্য অনুসারে কয়েক ফোঁটা একস্ট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল হাতের আঙুলে নিয়ে নখের উপরে এবং চারপাশের কিউটিকলে ভালোভাবে মালিশ করলে নখ শক্ত ও উজ্জ্বল হয়। পাশাপাশি নখের চারপাশ থাকবে নরম এবং আদ্র।

আই মেইকাপ রিম্যুভার

সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চোখের মেইকাপ তোলার জন্য সবচেয়ে ভালো হচ্ছে অলিভ অয়েল। অ্যাবাউট ডটকমের তথ্য মতে চোখ অনেক সংবেদনশীল বলেই এর মেইকাপ তুলতে সাবধানতা খুবই জরুরি। তাই বাজারের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার না করে তুলার মধ্যে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল নিয়ে আস্তে আস্তে ঘষে ভালোভাবে মেইকাপ তুলে ফেলুন। চোখের পাপড়িতে লাগানো মাশকারা ওঠাতে কিংবা চোখের নিচের কালো দাগ এবং রিঙ্কল দূর করতেও এটি কাজ করে।

চুলের যত্নে

চুল এবং মাথার ত্বকের পরিচর্যাতেও অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। রিডার’স ডাইজেস্ট জানাচ্ছে ডিপ কন্ডিশনার এবং ড্যানড্রাফ কন্ট্রোলার হিসেবে এই তেল বেশ ভালো কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর সমপরিমাণ পানি এবং অলিভ অয়েল নিয়ে সারা মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। পাঁচ মিনিট এভাবেই রেখে দিন যাতে চুল ও মাথার ত্বক ভালোভাবে তেল শুষে নেয়। তারপর শ্যাম্পু করে প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে মাথার ত্বকের শুষ্কভাব দূর হবে। চুলও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

যাদের চুল পাতলা, তারা চুল ঘন কালো করতে আধা কাপ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মাথায় ম্যাসাজ করে নিন। তারপর একটি তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে ভালোভাবে নিংড়ে নিয়ে সারা মাথায় জড়িয়ে ৩০ মিনিট রাখুন।

যাদের চুল ভঙ্গুর বা অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা তেলের সঙ্গে একটি ডিম ভালোভাবে ফেটে মেশান। মিশ্রণটি সারা মাথায় মেখে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট রাখুন। সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি পালন করতে পারলে একমাসেই চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

ছেলেদের ত্বক

শেইভিং ক্রিমের খুব ভালো বিকল্প হতে পারে অলিভ অয়েল। রিডার’স ডাইজেস্ট জানাচ্ছে, এই তেল দাড়ি নরম করে। পাশাপাশি নিখুঁত ও নরম শেইভ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শেইভিং ক্রিম ব্যবহারে অনেক সময় এলার্জির আশংকা থাকে, অলিভ অয়েলে সে ভয় থাকেনা। এমনকি যারা দাড়ি রাখেন তারাও দাড়ি ভালো রাখার জন্য নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

287
নিয়মিত দাঁতের যত্ন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মেইলম্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথ’ এর নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মুখ, দাঁত ও মাড়ির যত্ন আথারোস্ক্লেরসিস-এর ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। এতে করে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক ও মৃত্যু ঝুঁকি কমে আসে।

দাঁতে প্লাক জমে গেলে হৃৎপিণ্ডের ধমনী সংকুচিত হয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা দেখা দেয়।

গবেষকরা বলছেন, দাঁতের বিভিন্ন রোগ ও মাড়িতে ব্যাকটেরিয়ার অবস্থান ও প্রকৃতির ওপর আথারোক্লেরোসিসের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কার যোগসূত্র আছে।

‘ওরাল ইনফেকশনস এন্ড ভাসকুলার এপিডেমিওলোজি স্টাডি’ (আইএনভিইএসটি) শীর্ষক এই গবেষণা চালানো হয় উত্তর ম্যানহাটনের ৬০ থেকে ৭৬ বছর বয়সী ৪২০ জনের ওপর। তাদের দাঁতে কোন সংক্রমণ আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয় এতে।গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের দাঁত থেকে ৫০০০ এর বেশি প্লাক নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর দাঁতের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী ১১ প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করা হয়।

এছাড়া দাঁতের মাড়ির চারপাশের জলীয় অংশে থাকা ইন্টারলিউকিন- ১এ’র মাত্রাও পরিমাপ করা হয়।

এতে দেখা যায়, যারা নিয়মিত দাঁতের যত্ন নিয়েছেন তাদের দাঁতে প্লাকের পরিমাণ কমেছে।ফলে তাদের ক্ষেত্রে আথারোক্লেরোসিসে আক্রান্তের হারও অনেক কমে গেছে।

288

পঞ্চাশোর্ধ মানুষেরা প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে বছরে হৃদরোগ এবং স্ট্রোক থেকে প্রাণে বাঁচতে পারে ৮ হাজার ৫শ’ জন। যুক্তরাজ্যের গবেষকদের নতুন এক গবেষণায় একথা বলা হয়েছে।
Print Friendly and PDF
0
 


3
 

36
 


আপেল ওষুধের মতোই হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। তাছাড়া, এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকবে না- ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে বলেছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

তারা বলছেন, আপেল খেয়ে ডাক্তার দূরে রাখার এ মন্ত্র বিশেষত পঞ্চাশোর্ধদের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বয়সের মানুষদেরই হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

পঞ্চশোর্ধ মানুষদের জন্য কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ কিংবা দিনে একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে গবেষকরা হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকে মৃত্যুর সাধারণ কারণগুলোর ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করেছেন।

দেখা গেছে, ওই পরামর্শ মেনে চলা প্রতি ১০ জনে অন্তত ৭ জনের ক্ষেত্রে ওষুধ সেবনে বাঁচানো সম্ভব ৯ হাজার ৪শ’ প্রাণ। আর দিনে একটি আপেলে বাঁচানো সম্ভব ৮ হাজার ৫শ’ প্রাণ।

হাজার হাজার রোগীর ওপর পরীক্ষামূলক চিকিৎসা এবং পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গবেষক ডাক্তার ব্রিগস বলেন, “খাদ্যাভ্যাসে ছোট্ট একটি পরিবর্তন কি বিরাট ফল বয়ে আনতে পারে এ গবেষণায় সেটিই দেখিয়ে দিয়েছে। ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বেঁচে থাকাটাও হৃদরোগ এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে সত্যিই কাজে আসে”।

289
Its a very very important topics so thanx.

290
Life Style / বাচ্চার খাবার সমাচার
« on: September 29, 2013, 09:41:16 AM »
‘আমার বাচ্চা একদমই খেতে চায় না’, ‘কিছুদিন ধরে কিছু খাচ্ছে না আমার ছেলে’— প্রায় সব মায়ের এমন অভিযোগ থাকেই। শিশুর এই ‘না খাওয়া’টা মায়ের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। আবার শিশুর চিকিৎসকও যখন এই বিষয়টা খুব একটা আমলে নেয় না, তখন মায়ের জন্য সেটা হয়ে যায় অসহায়ত্বের বিষয়। এই দুশ্চিন্তা কি তাহলে অহেতুক? অভিযোগ অমূলক? এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ আসফিয়া আজিম।


বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিটা শিশুই আলাদা আর তাদের খাবারের চাহিদাও ভিন্ন। এমনকি একথাও বলা হয়ে থাকে, দিনভেদে একই শিশুর খাবারের প্রতি চাহিদা বা আগ্রহের রকমফের ঘটে। মাঝেমধ্যে শিশু কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই তার জন্য বরাদ্দ খাবার খেয়ে ফেলে। আবার অন্যদিন হয়তো একদমই খেতে চায় না। এতে মা-বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েন। আশংকাবোধ করেন শিশুর এই ‘না খাওয়া’টা হয়তো তার স্বাভাবিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত করছে।

আসলে শিশুর এই খেতে না চাওয়াটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। বাচ্চাদের খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে ডব্লিউএইচও'র ‘ইনফ্যান্ট অ্যান্ড ইয়াং চাইল্ড ফিডিং’সহ বেশ কিছু চাইল্ড কেয়ার গাইডলাইন বা দিকনির্দেশনা দিয়েছে। তারা বলছে—

১. শিশু বসতে শেখার পরপরই তাকে নিজে নিজে খাবার খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। বিভিন্ন খাবারের রং, ধরন, গন্ধ শেখার পাশাপাশি হরেক রকম খাবার ধরতে ও খেতে শেখার মাধ্যমে শিশু খাবারের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।

২. শিশুকে কখনও জোর করে কিংবা বকা দিয়ে বা মারধর করে খাওয়ানো যাবে না। উৎসাহ দিয়ে, প্রশংসা করে শিশুকে খাওয়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, কোনো কোনো সময় শিশুর বৃদ্ধির গতি কিছুটা কমে আসে, অথবা শিশু মাঝেমধ্যে খেলাধুলা কমিয়ে দেয় (inactive থাকে)। সেসব সময় শিশুর খাবারের চাহিদাও কমে আসে।

৩. শিশুকে সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের মূল খাবারের মাঝে দুবার হালকা নাস্তা দেওয়া প্রয়োজন। তবে লক্ষ রাখতে হবে, নাস্তা যেন খুব ভারি না হয়। মূল খাবারের কাছাকাছি সময়ে যেন শিশুকে নাস্তা দেওয়া না হয়। ভারি নাস্তা বা মূল খাবারের অল্প আগে কোনো খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই শিশুর ক্ষুধাভাব কমে যাবে।

৪. অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবক একই পরিমাণ নাস্তা ও মূল খাবার শিশুকে দিয়ে থাকেন। যা শিশুর শরীরে ক্ষুধামন্দা তৈরি করে। তাই নাস্তার পরিমাণ কম ও মূল খাবারের পরিমাণ বেশি দেওয়া কতর্ব্য।

৫. শিশুর পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি তার খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। যেমন শিশুকে বলা যেতে পারে, ‘আপেল নাকি আম কোনটা খেতে চাও?’

শিশু যেটা খেতে চাইবে সেটাই তাকে দিতে হবে।

৬. শিশুকে ফলের রস বা জুস না খাইয়ে আস্ত ফল খাওয়ান। খুব বেশি পরিমাণে তরল খাওয়ালে শিশুর পেট ভরে যাবে। তবে পুষ্টির চাহিদাতে ঘাটতি দেখা দেবে।

৭. শিশুকে চকলেট, পিটস, জুস— ধরনের খাবার যত কম দেওয়া যায় ততই ভালো। এসবে মিষ্টিজাতীয় উপাদান বেশি থাকে বলে শিশুর ক্ষুধা নিবৃত্ত হয়ে যায় এবং মূল খাবারের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

৮. বিভিন্ন ধরনের খাবার শিশুকে দিন। একই ধরনের খাবার বারবার না খাইয়ে খাবারে বৈচিত্র্য আনা জরুরি।

৯. শিশুকে তার খাওয়ার সময় বেধে দিন ২০ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে। ওই সময়ের মধ্যে শিশু তার বরাদ্দ পরিমাণ খাবার শেষ করতে না পারলে জোর করবেন না। শিশুকে আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে খাওয়ালে শিশুর মধ্যে অরুচি তৈরি হয় ও হজমে ব্যাঘাত ঘটে।

১০. টেলিভিশন দেখতে দেখতে শিশুকে খাওয়ানো যাবে না। পরিবারের সবাই একত্রে বসে শিশুকে সঙ্গে নিয়ে খেলে খাওয়ার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে সে।
শিশুর বৃদ্ধির গতি স্বাভাবিক কি না বোঝার উপায়

শিশুর বুদ্ধি ও বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে কি না বা তার শরীরে পুষ্টির সরবরাহ যথেষ্ট কি না তা বোঝার সহজ উপায় হল, শিশুর গড় ওজন লক্ষ করা। জন্ম থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর ওজন বাড়ার পরিমাণ যদি হয় নিচের তালিকাটির মতো, তবে শিশুর বৃদ্ধির গতি নিয়ে চিহ্নিত হওয়ার কিছু নেই।
শিশুর প্রতি মাসে ওজন বৃদ্ধির হার

জন্ম থেকে ৬ মাস : ওজন বাড়বে ৬০০-৮০০ গ্রাম করে।

৭-১২ মাস : ওজন বাড়বে ৩০০-৪০০ গ্রাম করে।

১৩-২৪ মাস : ওজন বাড়বে ১৫০-২০০ গ্রাম করে।

তবে শিশুর বয়স ২ বছর পার হলে ওজন বৃদ্ধির এই গতি কিছুটা ধীর হয়ে আসে। ২ থেকে ৫ বছরের শিশুর ওজনের তালিকা :

২৫-৩৬ মাস : ১১.৭-১৪.৫ কেজি।

৩৭-৪৮ মাস : ১৪-১৬.৩ কেজি।

৪৯-৬০ মাস : ১৬.৩-১৮.৩ কেজি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই ওজন তালিকা ধরে আপনার শিশু বেড়ে ওঠে, সে যদি হাসিখুশি, সজীব ও প্রাণবন্ত থাকে, ঘন ঘন অসুখে আক্রান্ত না হয়, তবে শিশুর খাওয়া দাওয়া নিয়ে মা-বাবার উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই।

291

ফলের রস নয় বরং আস্ত ফল চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে। কিন্তু ফলের রস বা জুস পান করলে এ ঝুঁকি উল্টো বেড়ে যেতে পারে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।


কালোজাম, আঙ্গুর, আপেল ও নাশপাতির মতো ফল খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। কিন্তু ফলের রস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

ব্রিটেন, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের ‘হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথ’ এর একদল গবেষক দীর্ঘদিন গবেষণার পর একথা জানিয়েছেন। তারা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ওপর ফলের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন।

যুক্তরাজ্যের ‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে গবেষণার ফল উল্লেখ করে বলা হয়, সপ্তাহে তিনবার পর্যাপ্ত পরিমাণ কালোজাম খেলে তার টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২৬ শতাংশ কমে। আর জুস খেলে ঝুঁকি ৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

তবে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সব ফল একইভাবে কাজ করে না। কিছু ফলের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের হারে কমবেশি হতে পারে।

যেমন: আঙ্গুর খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে ১২ শতাংশ। কলা, পাম, পিচ ফল খেলে ঝুঁকি কমে ১১ শতাংশ। কিসমিস, খুবানিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ফলও ডায়াবেটিস সামান্য প্রতিরোধ করে বলে জেনেছেন গবেষকরা।

কালোজাম চিবিয়ে খেলে এ রোগের ঝুঁকি কমে ৩৩ শতাংশ। আর জুসের পরিবর্তে আপেল ও নাশপাতি চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে ১৪ শতাংশ।

292
Health Tips / ঘাম থেকে খাবার পানি
« on: July 23, 2013, 10:01:26 AM »

ইউনিসেফের যন্ত্রটিতে ঘর্মাক্ত কাপড় রাখলে তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়ে খাবার পানিতে পরিণত হয়।

খাবার পানিতে পরিণত হবে ঘাম, এ রকম একটি যন্ত্র সুইডেনে তৈরি হয়েছে। যন্ত্রটি সুইডেনে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের ক্যাম্পেইনে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ যন্ত্রটি তৈরিও করেছে ইউনিসেফ।
যন্ত্রটিতে ঘর্মাক্ত কাপড় রাখলে সেখান থেকে ঘাম সরিয়ে নিয়ে আর্দ্রতা পরিবর্তন করে খাবার পানিতে পরিণত করা হয় বলে জানা গেছে। ঘূর্ণন এবং উষ্ণতার সাহায্যে যন্ত্রটি ঘাম সরিয়ে নেয়। তারপর একটি বিশেষ পর্দার মধ্য দিয়ে বাষ্প প্রবাহিত করে। পরবর্তীতে তাপমাত্রা কমিয়ে আনলে খাবার পানিতে পরিণত হয় বাষ্প।
নির্মাতারা জানিয়েছেন, সোমবার যন্ত্রটি সবার জন্য উন্মুক্ত করার পর থেকে এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি মানুষ ঘাম থেকে পরিবর্তিত পানি খেয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন, যন্ত্রটির এ পানি ট্যাপের পানি থেকেও পরিষ্কার।

যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের শিশুকেন্দ্রিক চ্যারিটির জন্য। এর মাধ্যমে ইউনিসেফ তুলে ধরতে চেয়েছিল বিশ্বে ৭৮ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভোগে। যন্ত্রটি নকশা এবং নির্মাণ করেছেন প্রকৌশলী আন্দ্রেয়াস হ্যামার।

293
You need to know / বয়সকে আটকে দিন!
« on: July 08, 2013, 04:04:09 PM »
তারুণ্য ধরে রাখতে চান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে, চাইলে কী হবে? সময় চলে তার আপন গতিতে।
 
সময়ের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নেমে নিজেকে তরুণ দেখানোর জন্য কত ধরনের পাগলামিই না মানুষ করেন। কেউ খাদ্য তালিকায় যোগ করেন উল্টাপাল্টা খাবার। কেউবা আবার চিকিৎসকের ছুরির নিচে অবলীলায় নিজেকে সঁপে দেন।
 
স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েই যদি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তাহলে এতো কিছু করার দরকার কী?
 
কাজেই তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সব কসরত বাদ দিয়ে আপনার খাদ্য তালিকায় নিচের খাবারগুলো যোগ করুন। একইসঙ্গে জীবনেরও যোগ করুন কিছু বাড়তি সময়!
 
মাছ
মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাট আর আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি করে মাছ খায় তারা দীর্ঘ জীবন পান। এছাড়া তাদের হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি কম থাকে।
 
জলপাই তেল
জলপাই তেলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল যা বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। জলপাই তেল হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া জলপাই তেলে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের কুঁচকে যাওয়া রোধ করে।
 
দই
দইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমের জন্য ভালো। ব্যাকটেরিয়া বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
 
দইয়ের গুণের কথা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ত্বকে দই মাখালে ব্রণের উপদ্রুব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। নিয়মিত দই মাখলে ত্বক কোমল থাকে, অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ভাব, রোদে পোড়া ভাব ও শুষ্ক ভাব দূর হয়।
 
এছাড়া দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মরা চামড়া দূর করে।
 
ডার্ক চকলেট
কোকো দিয়ে তৈরি ডার্ক চকলেটে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ডার্ক চকলেট আছে ক্যাটেচিন, এটেচিন ও প্রোসাইনিডিনের মতো পলিফেনল। এসব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তপ্রবাহ সচল রাখে।
 
বাদাম
বাদামে আছে অসম্পৃক্ত চর্বি, প্রচুর ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া, বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়াতে সাহায্য করে।
 
টমেটো
বয়সকে আটকানো একটি সেরা অস্ত্র হলো টমেটো। টমেটোতে আছে লাইকোপেন যা হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি কমায়। লাইকোপেন কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। লাইকোপেন প্রাকৃতিক সানব্লক হিসেবে কাজ করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের শুষ্ক ও কুঁচকানো ভাব দূর করে ত্বককে রাখে সতেজ।
 
ব্রুকলি
ব্রুকলিও খুব বার্ধক্য প্রতিরোধে খুব কার্যকর খাবার। ব্রুকলিতে আছে ভিটামিন সি ও ফলিক অ্যাসিড যা ভিটামিন ডি এ কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ব্রুকলিতে আছে সালফোরাফেন যা শরীরের ভেঙে পড়া ও তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
 
তাহলে আর দেরি না করে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন এসব খাবার। রুখে দিন বার্ধক্যের আগমনীবার্তা।

294
You need to know / কোন দূষণে কোন রোগ
« on: July 08, 2013, 03:54:51 PM »
 দিনে দিনে বেড়েই চলেছে পরিবেশ দূষণ। বায়ু, পানি ও মাটি দূষণের কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
 
বায়ু দূষণ
বায়ু দূষণ মানুষের স্বাস্থ্য স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে আক্রান্ত হতে পারে। কেউ বায়ু দূষণ থেকে মুক্ত নয়। তবে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ক্ষতির শিকার। বায়ু দূষণের কারণে মানুষের অ্যাজমা, হার্ট ও ফুসফুসে সমস্যা দেখা দেয়।
 
স্বল্প মেয়াদে সমস্যা: বায়ু দূষণের কারণে স্বল্প মেয়াদে চোখ ও নাকে ব্যাথা হয়। এছাড়া ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়ার মতো মারাত্মক রোগ হয়।

দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যা: বায়ু দূষণের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুস ক্যান্সার, হার্টের সমস্যা এমনকি ব্রেইন, নার্ভ, লিভার ও কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
 
পানি দূষণ
পানি দূষণের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যেমন: ডায়েরিয়া (পানিবাহিত), টাইফয়েড (ব্যাকটেরিয়াজনিত), কলেরা, প্যারাটাইফয়েড জ্বর ও বেসিলারি আমাশয় (সংক্রমণ), পোলিওমাইলিটিস হেপাটাইটিস সংক্রমণ [ভাইরাল সংক্রমণ (জন্ডিস) ],  অ্যামোবিক আমাশয় (প্রোটোজল সংক্রমণ)।
 
মাটি দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি: দূষিত মাটিতে খাদ্য উৎপাদন কম হয়। ফলে বিপুল জনসংখ্যার খাদ্যের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। ফলে খাদ্য ঘাটতি থেকে মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে এবং মানুষের স্বাস্থ্যহানি ঘটে। সূত্র: ইন্টারনেট।

295
One of the most important principles of Islam is that all things belong to God, and that wealth is therefore held by human beings in trust.

The word Zakat means both 'purification' and 'growth'. Our possessions are purified by setting aside a proportion for those in need, and, like the pruning of plants, this cutting back balances and encourages new growth.

Zakat is the amount of money that every adult, mentally stable, free, and financially able Muslim, male and female, has to pay to support specific categories people.
Zakat is obligatory when a certain amount of money, called the nisab is reached or exceeded. Zakat is not obligatory if the amount owned is less than this nisab. The nisab (or minimum amount) of gold and golden currency is 20 mithqal, this is approximately 85 grams of pure gold. One mithqal is approximately 4.25 grams. The nisab of silver and silver currency is 200 dirhams, which is approximately 595 grams of pure silver. The nisab of other kinds of money and currency is to be scaled to that of gold, 85 grams of pure gold. This means that the nisab of money is the price of 85 grams of 999-type (pure) gold, on the day in which Zakat is paid.
When is Zakat Due ?

1. Passage of One Lunar Year:
Zakat is obligatory after a time span of one lunar year passes with the money in the control of it's owner. Then the owner needs to pay 2.5% (or 1/40) of the money as Zakat. (A lunar year is approximately 355 days).
2. Deduction of Debts:
The owner should deduct any amount of money he or she borrowed from others; then check if the rest reaches the necessary nisab, then pays Zakat for it.
If the owner had enough money to satisfy the nisab at the beginning of the year, then the money increased (in profits, salaries, inheritance, grants...etc.), the owner needs to add the increase to the nisab amount owned at the beginning of the year; then pay Zakat, 2.5%, of the total at the end of the lunar year. (there are small differences in the fiqh schools here)
Each Muslim calculates his or her own Zakat individually. For most purposes this involves the payment each year of two and a half percent of one's capital.

296
Library of DIU / Take Care of Books
« on: July 02, 2013, 11:59:33 AM »
পড়ার পাশাপাশি বইয়ের নিয়মিত যত্নেরও প্রয়োজন। বই ভালো রাখার কিছু সহজ সমাধান জানানো

* সহজে খুঁজে পেতে হলে বইয়ে লেবেল ও ট্যাগ লাগানো ভালো। বিষয় অনুযায়ী আলমারিতে লেবেল লাগিয়ে নিন।

* বইয়ের র‌্যাক নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। কারণ ধুলোবালি জমলে বই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

* বুকসেলফের মাপ অনুযায়ী বই রাখুন। গাদাগাদি করে বই রাখা ঠিক না। বই সোজাভাবে রাখুন।

* শেলফ থেকে বই নামানোর সময় পুরো বই ধরে নামান। শুধু উপরের অংশ ধরে টানলে বই নষ্ট হয়ে যাবে।

* শেলফ থেকে বই নিয়ে ঠিক জায়গায় রাখুন। না হলে ভারী বইগুলো পড়ে গিয়ে র‌্যাক অগোছালো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

* অল্প জায়গার মধ্যে বুক শেলফ তৈরি করতে হলে খেয়াল রাখুন বাতাস চলাচলের জায়গা যেন থাকে। স্যাঁতসেঁতে ভিজে ঘরে বই যেন না রাখা হয়। তাহলে ড্যাম্প হয়ে যেতে পারে।

* বই বাঁধতে রাবার ব্যান্ড কিংবা শক্ত দড়ি ব্যবহার না করাই ভালো। এতে বইয়ের পাতা বা মলাট ছিঁড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। অন্য কোথাও বই পাঠাতে হলে বাক্সে ভরে অথবা বড় খামের মধ্যে পাঠাতে পারেন।

* বইয়ের আলমারিতে অবশ্যই ন্যাপথলিন এবং সিলিকা জেলের ব্যাগ রাখুন। এতে একদিকে যেমন আলমারিতে পোকামাকড় কম হবে তেমনি বইয়ে দুর্গন্ধ ছড়াবে না।

* বছরে অন্তত দুবার সব বই বের করে খোলা জায়গায় রাখুন। পুরো আলমারি ভালো করে পরিষ্কার করুন।

সরাসরি রোদে বই রাখবেন না। এতে পাতা খারাপ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। বইয়ের পাতায় স্টিলের পেপার ক্লিপ লাগালেও পাতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

* শুকনো সুতির কাপড় দিয়ে ভালো করে সব বই মুছে নিন। এতে বইয়ের উপরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পড়তে পড়তে বই উল্টে রেখে কোথাও যাওয়া ঠিক নয়। আবার মুড়ে বই পড়াও উচিত না। এতে বইয়ের বাইন্ডিং ছিঁড়ে যেতে পারে।

* বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার সময় পাতার কোনার দিকগুলো মুড়ে পড়বেন না। বই ভালো রাখতে এবং নির্ধারিত পড়ার জায়গাটা মনে রাখতে শুকনো নিমপাতা রাখতে পারেন। তবে কোন ফুল না রাখাই ভালো। বইয়ের পৃষ্ঠায় ফুলের রং লেগে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

297
মুরগির মাংস শুধু খেতেই সুস্বাদু নয় বরং ক্যানসার প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সম্প্রতি ‘আমেরিকান জার্নাল অফ এপিডেমোলোজি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের খাদ্য তালিকায় কৈশোর থেকেই মুরগির মাংস থাকে তাদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেক কম।

ফক্স নিউজের সূত্রে জানা যায়, কৈশোরে অনেক বেশি মুরগির মাংস খেয়েছেন, এমন ২০ হাজার মহিলার ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, তাদের মধ্যে কোলন ক্যানসারের জন্য দায়ী ক্ষতিকর টিউমার ‘কোলোরেকটাল অ্যাদেনোমা’-য় আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কম। 
 
গবেষকরা জানান, কোলন ক্যানসারের জন্য দায়ী ‘কোলোরেকটাল’ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া, এমনকি কয়েক দশক থেকেই চলতে পারে। অল্প বয়স থেকেই মানুষ এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই যারা প্রতিদিন লাল মাংসের পরিবর্তে মুরগি বা মাছ খায় তাদের ‘রেকটাল এবং অ্যাডভান্স অ্যাদেনোমা’-র ঝুঁকি ৪০শতাংশ কমে যায়।

৩৪-৫১ বয়সের মোট ১৯ হাজার ৭৭১ জন মহিলা তাদের কৈশোরের ১০ বছরের খাদ্য তালিকা সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৪৯৪ জন ‘কোলোরেকটাল অ্যাদেনোমা’-য় আক্রান্ত।

298
Thanks for nice information, everybody helpful this task.

299
Diabetics / Skipping breakfast may up diabetes risk in obese women
« on: June 22, 2013, 12:35:25 PM »
Overweight women, who skip breakfast, experience acute, or rapid-onset, insulin resistance, a condition that, when chronic, is a risk factor for diabetes, a new study has revealed.

The study funded by the Endocrine Fellows Foundation in Washington, D.C., the National Institutes of Health and the Colorado Nutrition Obesity Research Center, suggested that regularly skipping breakfast over time may lead to chronic insulin resistance and thus could increase an individual”s risk for type 2 diabetes.

Elizabeth Thomas, MD, an endocrinology fellow at the University of Colorado School of Medicine in Aurora, and co-workers studied nine nondiabetic women, with an average age of 29, who were overweight or obese.

Subjects were randomly assigned to receive either breakfast or no breakfast at the first visit and the opposite at the second visit.

Four hours later, all subjects ate the same standardized lunch at each visit. They had blood samples taken every 30 minutes after lunch for three hours to test their insulin and glucose levels.

The researchers found that the women”s insulin and glucose levels after lunch were significantly higher on the day they skipped breakfast than on the day when participants ate breakfast.

According to Thomas, the higher levels demonstrated acute insulin resistance because of skipping breakfast.

The research was presented Sunday at the Endocrine Society’s 95th Annual Meeting in San Francisco.

300
Islam / What is wastage in the eye of Islam
« on: June 19, 2013, 02:52:55 PM »
যেমন বৈধভাবে সব ধরনের উৎপাদনকে সীমাহীন ও বিরামহীন রাখতে অদম্য প্রেরণা ও উৎসাহ দান করে, ঠিক তেমনি কঠোরভাবে যাবতীয় অপচয় আর অযথা খরচ বন্ধ করে সাম্য, ইনসাফ, আদালত প্রতিষ্ঠা করার পক্ষপাতীও। আল কোরআনে তাই অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই হিসেবে চিহ্নিত ও নিন্দিত করা হয়েছে। যে দেশে মানুষ হোটেল-রেস্তোরাঁর নিক্ষিপ্ত নোংরা খাবার খেয়ে বেঁচে-বর্তে আছে কোনো রকমে, সে দেশে অপচয় বন্ধ করা প্রথম কর্তব্য। অপচয় অনেকভাবেই হয়। আবার যাঁরা অপচয় করেন তাঁরা কিন্তু নিজে উৎপাদন করেন না। ওপরওয়ালার কৃপায় (?) তাঁরা বড়লোক। চলনে-বলনে, খাওয়াদাওয়ায় তাঁরা ১০ জনের চেয়েও বেশি অপব্যয় করে থাকেন।

ইসলাম চায় মানুষের চিন্তা-চেতনা চলমান কাজের দুনিয়ায় বাস্তবের মাটিতে প্রোথিত হোক। ইসলাম নিরেট বিশ্বাসনির্ভর কোনো মতবাদ নয়; বরং এ মর্মে বিশ্বাসকে মেনে আরব্ধ কাজের এক আপসহীন ফিরিস্তি পেশ করার নির্দেশ দেয়। মহান খলিফা হজরত ওমর তাঁরই এক রাজ্য অধিকর্তাকে মাথায় লাঠি তুলে দিলেন প্রহার করার জন্য। এ শাস্তি এ জন্য যে খাবার টেবিলে একটি সবজির স্থলে ওই গভর্নর দুটো সবজির নির্দেশ জারি করেছিলেন। পরে গভর্নর জানালেন, একটি তরকারিই তিনি নেবেন আর অপরটি হাফিসের নির্দেশিত এক দাওয়াই হবে।

সাম্যের একচ্ছত্র অধিনায়ক দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর বলতেন, আমি আটা না চেলে খাই অর্থাৎ ভুসিসহ খাই। তিনি আরো বলতেন, আমি চর্বি খাই না, যেদিন আমার দেশের সব নাগরিক চর্বিসহ খেতে পারবে, সেদিন তা আমিও খাব। তিনি (ওমর) দরজায় ও ঘরের মেঝেতে অতিমূল্যবান কাপড় শয্যায় প্রসারিত করাকে অপচয় ভাবতেন, এটি করতে নিষেধ করতেন এবং নিজেও তা করতেন না। সবচেয়ে বেশি অপব্যয়, অপচয় ও অযথা খরচ হয়ে থাকে বিবাহ অনুষ্ঠানগুলোতে। ইসলামে অপচয়সংক্রান্ত এত বেশি নিষেধ থাকার পর মুসলমানদের সামান্যতম অপচয় করার মানসিকতা তথা অভ্যাসে অভ্যস্ত থাকার কথা
যে সমাজে ৮০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে, যে সমাজে আজও অনেক দম্পতি মশারিবিহীন মশার কামড়ে রাত যাপন করে, অনেক লোক পাঁচ টাকার ওষুধ কিনে খেতেও দিশেহারা, যে সমাজে ৫০ শতাংশ কিশোর স্কুল ছেড়ে দৈনিক মাত্র ৫০ টাকার জন্য রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করছে, সে সমাজে শখ করে এমন অপচয় রীতিমতো লজ্জার ব্যাপার। সাম্য-সমতার নবী তাই শিক্ষা দিয়েছিলেন- 'অপ্রয়োজনে তুমি যে খাদ্য নষ্ট করবে, খাদ্যের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে তোমাকে অবশ্যই এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে।' এমনকি পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত পানিও না। সাম্যের বার্তাবাহক হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজ মসজিদখানা পর্যন্ত পাকা ও সুরম্য করেননি। কারণ তখন সমাজে যথেষ্টভাবে অভাব বিদ্যমান ছিল। যে মসজিদ সব সমাজকে এমনকি রাষ্ট্রকে পর্যন্ত পরিচালনা করত, সে মসজিদ তখন তৈরি হতো খেজুর পাতার ছাউনি দিয়ে। মহানবী বললেন, 'জমিকে অনাবাদি বা পতিত হিসেবে ফেলে রেখো না, যদি তুমি তাতে ফসল না ফলাও, তবে তোমার কৃষক ভাইকে দিয়ে দাও।' এভাবে মহানবী একদিকে উৎপাদন আর অন্যদিকে অপচয় রোধ করেন। যার প্রয়োজন তাকে দিতে চেয়েছেন এবং

হজরত আবু বকর (রা.) জানালেন, আমার মৃত্যুর পর আমার ব্যবহৃত কাপড় দিয়েই আমাকে কবরস্থ করবে, কারণ নতুন কাপড়ের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে নবাগতদের। এ ছিল ইসলামের তথা ইসলামের অমর বীর সেনানীদের কাঙ্ক্ষিত বিচিন্তিত প্রতিষ্ঠিত সাম্য। রাসুলুল্লাহ প্রায়ই প্রাণাধিক প্রিয় স্ত্রী আয়েশাকে বলতেন রান্নায় বেশি পরিমাণ পানি ঢেলে দিতে, যাতে কম সামগ্রীতে বেশি লোকের খাওয়া হয়।

মাওলানা শফিকুল ইসলাম

Pages: 1 ... 18 19 [20] 21