Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mafruha Akter

Pages: 1 ... 19 20 [21]
301
Thanks for very important topics. I wish it will be continue.

302
Food Habit / Crash diet tied to gallstone risk
« on: June 18, 2013, 12:45:43 PM »

People who go on an extremely low calorie diet are more likely to develop gallstones than people on a moderately low calorie diet, according to a new study.

Dr. Michael Jensen, a professor of medicine at the Mayo Clinic, said dieters typically end up with similar weight loss in the long run whether they use extreme calorie restriction or more moderately restricted diets.

"You're going to end up in the same place (weight-wise), so why take the risk of ending up in the hospital with a gall bladder problem just to lose weight faster?" said Jensen, who was not part of the study.

Gallstones affect as many as 20 million people in the US.

Dr. Kari Johansson, the lead author of the study and a researcher at the Karolinska Institute in Sweden, said quick weight loss from very low calorie diets is thought to impact the salt and cholesterol contents of bile and the emptying of the gallbladder, both of which can contribute to gallstones.

To see how these diets affect gallstone risk in a real-world setting, Johansson and her colleagues collected information on customers' progress from a weight loss company in Sweden called Intrim.

Some of the study authors have worked for the company or serve on its scientific advisory board.

Their study included 6,640 dieters, half of whom went on a crash diet and the other half of whom went on a low calorie diet.

The crash diet involved liquid meals of just 500 calories a day for six to 10 weeks, followed by the gradual introduction of normal food, and then nine months of a weight maintenance regime of exercise and healthy eating.

The other dieters ate 1,200 to 1,500 calories a day, including two liquid meals, for three months, followed by the nine month weight maintenance period.

Health coaches at Intrim collected weight and body size information, which the researchers linked to a national health database that has records on gallstone treatments.

After three months in the weight loss program, the crash dieters lost about 30 pounds, compared to roughly 17 pounds lost among people on the low calorie diet.

One year out from the start of the diet, the extremely low calorie group had lost an average of 24.5 pounds, while the other group lost about 18 pounds.

Among those on the crash diet, 48 people developed gallstones requiring hospital treatment, and 16 people in the other group developed gallstones, Johansson and her colleagues report in the International Journal of Obesity.

They could not determine why gallstones were more common among people in the extremely low calorie group.

"One contributing factor was that they lost more weight during follow-up... another may be that they may have had a lower fat intake," Johansson said in an email to Reuters Health.

Jensen said people should have doctors supervise their health when going on a very low calorie diet, something that is recommended in the US.

"They should be informed about the risk/benefit tradeoff compared to using the less intensive, but also less effective, (low calorie diet) alternative," Johansson said.

303
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ভালো মানের কাজের জন্য দিনের সবচেয়ে উপযুক্ত আর অনুপযুক্ত সময়। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অনেকেই হয়তো জানেন না, অফিসে কাজের জন্য সবচেয়ে ভালো সময় সকাল ১০টা ২৬ মিনিট।

অফিস কর্মচারীদের কার্মক্ষমতাকে কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটি জানার জন্যই গবেষণাটি করা হয়েছিল। তবে কর্মক্ষমতা হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে সময়ের বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে পারেননি গবেষকরা।

চার শতাধিক ব্যক্তির উপর গবেষণাটি করা হয়। এতে জানা গেছে, সকাল ১০টা ২৬ মিনিট অফিসের কাজের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এ সময়টিতেই কর্মীদের কর্মক্ষমতা উচ্চ পর্যায়ে থাকে এবং তাদের কাজের মান ভালো হয়।

গবেষণায় আরও জানা যায়, কর্মীর কাজের জন্য সবচেয়ে অনুপযুক্ত সময় দুপুর দুইটা ৫৫ মিনিট। এ সময়টিতে কর্মীরা অন্যমনস্ক থাকে এবং তাদের কাজের মান সে কারণে খারাপ হয়। পুরো বিষয়টিই মনস্তাত্ত্বিক বলে ধারণা করছেন গবেষকরা

304
Health Tips / Re: গোড়ালি মচকালে
« on: June 13, 2013, 09:24:14 AM »
Thanks for important sharing

305
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও প্রভাবশালী নারী অপরাহ উইনফ্রে। মাত্র নয় বছর বয়সে নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজ বস্তি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কে জানত এ নারী একদিন বিশ্বে সফল নারীর দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবেন। অপরাহ উইনফ্রে নিজেও বোধহয় এমনটা অনুম‍ান করতে পারেননি।

সম্প্রতি বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে বিশেষ বক্তা হিসেবে অপরাহ উইনফ্রে আমন্ত্রিত হন। তবে তার বক্তৃতার বড় অংশজুড়ে ছিল ব্যর্থতার গল্প। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, তুমি যত উপরেই উঠে যাও। একদিন অবশ্যই আসবে যখন তোমাকে সেই উচ্চতা থেকে পড়ে যেতে হবে। জীবনে একবার হলেও তোমাকে ব্যর্থ হতে হবে। এটা জীবনেরই অংশ।

অপরাহ তার বক্তৃতায় বারবার নিজের প্রসঙ্গই নিয়ে আসেন। জনপ্রিয় টেলিভিশন উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রে টক শো দিয়ে ২৫ বছর জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। তবে তার আগের গল্প খুবই ভয়াবহ। ক্যারিয়ারের শুরুতে তার প্রতিটি অনুষ্ঠানকে ‘ফ্লপ শো’ হিসেবে উল্লেখ করা হতো।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে তিনি হয়ে উঠেছেন গণমাধ্যম ধনকুবের। আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় টক শো ‘দ্য অপরাহ উইনফ্রে শো’ তাকে একাধিক এমি অ্যাওয়ার্ড এনে দিয়েছে। এ শো টেলিভিশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রচারিত বলে বিবেচনা করা হয়।

এ সম্পর্কে উইনফ্রে হার্ভার্ডের সমাবর্তন বক্তৃতায় বলেন, জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল সেটি। কঠিন সময় পার করাটাই জীবনের প্রধান যুদ্ধ। এ যুদ্ধে জয়ী হলেই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়। যার সূত্র ধরেই আজ আমি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। একটি কথা মনে রেখ- কঠিন সময় বা বিপদই শেষ না। এ মুহূর্ত অতিক্রম করবেই। যখন তুমি ব্যর্থ হবে, তাকে ব্যর্থতা মনে করবে না। ব্যর্থতা মানেই জীবন তোমাকে নতুন আরেকটি নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছে।

তুমি জীবনের সাফল্য এবং আনন্দময় মুহূর্ত তখনই পাবে যখন তোমার একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকবে। একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য। যেখানে তোমার সর্বোচ্চ শক্তি, শ্রম, মেধা বিলিয়ে দেবে। তোমার মানবতাবোধ কাজে লাগাবে। মনুষ্যত্ববোধ অর্জন করাটাই আসল। সেই সঙ্গে তোমার সর্বোচ্চ বিলিয়ে দাও তোমার পরিবারের জন্য। এমনকি তোমার আশেপাশের মানুষের জন্য। তবেই তুমি জীবনের আনন্দ খুঁজে পাবে।

তোমাদের কাছে হার্ভার্ড নামটি আছে। তোমাদের কাগজে এ নাম বিরাট একটি ভূমিকা পালন করবে। এটা তোমাদের জন্য কলিং কার্ডের মতো। কিন্তু তোমাদের প্রত্যেকে নিজের কাছে একটি আলাদা সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে।

কোনো টাইটেল দিয়ে এর পরিমাপ করা সম্ভব না। যুদ্ধ করতে হবে। মানুষের জন্য, জাতির জন্য কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। কারণ যেদিন তুমি কোনো কাজে পরাজিত হবে। হতাশায় নিমজ্জিত হবে। তখন সেই ছোট ছোট গল্পগুলো হতাশার গর্ত থেকে তোমাকে তুলে আনবে।

হর্ভার্ডের পড়াশোনা করার যোগ্যতা তোমাদের সৌভাগ্য করে তুলেছে। তোমাদের ওপর সারা বিশ্বের মানুষের দোয়া আছে। তোমরাই পারো এ দুঃখী পৃথিবীর মুখে হাসি ফোটাতে। এ কাজটি তোমরা করতে পারবে। আমি বিশ্বাস করি। তোমরাই পারবে।

কোনো অনুষ্ঠানে যখন কোনো পারফর্মার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমাকে প্রশ্ন করে, সব ঠিক আছে? সেই একই প্রশ্ন আমি তোমাদের করতে চাই। সব ঠিক আছে? এর অর্থ হলো- তোমরা কি আমাকে শুনতে পাও? আমাকে দেখতে পাও? আমি যা বললাম তার গুরুত্ব কি তোমরা বুঝতে পেরেছ?

306
Islam / পবিত্র শবে বরাত
« on: June 12, 2013, 03:28:58 PM »
দিন-রাত-মাস-বছর সবই আল্লাহর। তারপরও কিছু কিছু দিন ও রাতের মর্যাদার মধ্যে তারতম্য আছে। সে সকল দিন বা রাত অশেষ মহিমান্বিত, সওয়াব ও বরকতের অমিয় ধারায় প্লাবিত। শবে বরাত এমনি এক মহিমান্বিত ও বরকত, সওয়াবপূর্ণ রজনী। এ সময় ইবাদত-বন্দেগীর সওয়াব অনেক বেশি। শব ফারসি শব্দ-এর অর্থ রজনী বা রাত। আর বরাত শব্দের অর্থ ভাগ্য বা সৌভাগ্য, শব্দটির অন্য অর্থও আছে। শবে বরাতকে আরবীতে বলে লাইলাতুল বারায়াত। লাইলা অর্থ রাত বা রজনী, আর বারায়াত অর্থ মুক্তি, নিষ্কৃতি অর্থ লাইলাতুল বারায়াত মানে মুক্তি রজনী বা নিষ্কৃতি রজনী। শবে বরাত আল্লাহর ইবাদত বা উপাসনার রাত। পরম করুণাময়ের দরবারে নিজের সারা জীবনের দোষ-ত্রুটি, পাপ কাজ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার রাত। এ রাতে পবিত্র মনে, একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করলে আল্লাহর কাছে নিজের পাপ-গোনাহ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে তিনি তা কবুল করেন এবং অনুতপ্ত বান্দাহকে গোনাহ থেকে মুক্তি দিয়ে তাকে মাফ করে দেন। এ কারণেই এ রাত মুক্তি রজনী বা নিষ্কৃতি রজনী তবে আমাদের দেশে বারায়াত শব্দটি বরাত অর্থাৎ ভাগ্য রজনী বা সৌভাগ্য অর্থেই বেশি প্রচলিত। এ কারণে এ দেশে শবে বরাত সাধারণ অর্থে ভাগ্য রজনী বা সৌভাগ্য রজনী হিসেবেই বেশি পরিচিত। আরবি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত অর্থাৎ ১৫ শাবান পবিত্র শবে বরাত বা সৌভাগ্য রজনী। রাসূল (সাঃ) বলেছেন- যখন শাবান চাঁদের ১৫-এর রাত আসবে তখন তোমরা জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত করবে। আর পরদিন রোজা রাখবে । কেননা আল্লাহ এ রাতে সূর্যাস্তের পরই সর্বনিম্ন আসমানে নেমে আসেন এবং তার বান্দাদের ডেকে বলেন, ওহে আছো কোন ক্ষমা প্রার্থী? আমি তোমাকে ক্ষমা করব। আছো কোন রিজিক প্রার্থী? আমি তোমাকে রিজিক দেব। আছো কোন বিপদগ্রস্ত? আমি তোমাকে বিপদমুক্ত করব। আছো কোন তওবাকারী? আমি তোমার তওবা কবুল করব। এভাবে সুবহে সাদেক পর্যন্ত আল্লাহ আহবান করতে থাকেন (ইবনে মাজাহ)। অন্য এক হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেন- শবে বরাতে আল্লাহ স্বীয় রহমতের তিনশত দ্বার খুলে দিয়ে প্রথম আসমানে আসেন এবং সূর্যাস্ত হতে সূর্যোদয় পর্যন্ত তাঁর বান্দাহদেরকে এ বলে আহবান করতে থাকেন, হে আমার বান্দাহগণ আজ তোমরা কে কি চাও? কে রোগ মুক্তি চাও? কে মনোবাসনা পূর্ণ করতে চাও? কে সারা জীবনের গুনাহর ক্ষমা চাও? কে অফুরন্ত সুখের জান্নাত চাও? আজ যে-যা চাও তা পাবে। পবিত্র শবে বরাতের ফজিলত ও মাহাত্ম বর্ণনায় আরো অনেক হাদীস আছে যা স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব হলো না। শবে-বরাতের রাতে আল্লাহর বিশেষ রহমত অনিঃশেষ ধারায় বর্ষিত হতে থাকে তার বান্দাহদের ওপর। এ রাতে মানুষের ভালোমন্দ কাজ-কর্ম হিসাব-নিকাশ আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। সারা বছরের যাবতীয় ফয়সালা হায়াত, মওত, রিজিক, দৌলত, আমল ইত্যাদির সহিত সম্পর্কযুক্ত আদেশ-নিষেধসমূহ উক্ত রাত্রিতে লওহে মাহফুজ হতে উদ্ধৃত করে কার্যনির্বাহক ফেরেশতাদের নিকট সোপর্দ করা হয়। প্রিয় নবী (সাঃ)-এর নির্দেশনাযায়ী এ পবিত্র রাতে সাধারণত ইবাদত-বন্দেগীর মাঝে নিমগ্ন থাকাই প্রতিটি মুসলমানের প্রধানতম কাজ।

অন্তরকে কলুষমুক্ত করে ভক্তি ও আশা-ইয়াকিনসহকারে নফল নামাজ, তিলাওয়াত-ই-কুরআন, দরূদপাঠ, দান-খয়রাত, দু’আ-মুনাজাত প্রভৃতি ইবাদতে নিজেকে মশগুল রাখতে হবে। শবে বরাতের নামাজের নির্ধারিত কোন নিয়ম নেই। দু’রাকাত হতে ২০ রাকাত পর্যন্ত নফল নিয়তে নামাজ পড়তে হয়। এ পবিত্র রাতের ইবাদত-বন্দেগীর মর্যাদা সম্পর্কে পরিবারের সদস্যগণকেও উৎসাহ ও গুরুত্ব অনুধাবন করাতে হবে। শেষ রাতের দিকে পরিবারের সবাইকে আল্লাহর রহমত ও বরকতের অংশীদার হওয়ার জন্য জাগায়ে ইবাদত ও দু’আ-মুনাজাতে মশগুল করায়ে দিতে হবে যেন ছোট-বড় সকলেই রহমতের অংশ নিয়ে সৌভাগ্যবান হতে পারে। করণীয় আমলের সাথে কতগুলো বর্জনীয় বিষয়ও জড়িত থাকে। সে বিষয় বর্জন না করলে শবে বরাতের বরকত হতে মাহরূম হতে হয়। সফলতার পরিবর্তে ব্যর্থতা, রহমতের পরিবর্তে গযব, সওয়াবের পরিবর্তে আযাবই নসীব হয়। তাই এ রাতে অপব্যয় ও অপচয় না করে অযথা আতশবাজীতে অনর্থক অর্থ অপচয় না করে সে অর্থ কল্যাণকর কাজে বা ফকির-মিসকিনের মাঝে দান করে দেয়া অনেক সওয়াব ও বরকতের কাজ। প্রকৃতপক্ষে শবে বরাতের বৈশিষ্ট্য অনুষ্ঠানের আড়ম্বরতার মধ্যে নয়, বরং চরিত্রবলের সাধনার মাধ্যমে করুণাময়ের করুণা লাভের প্রয়াসই এর তাৎপর্য। সর্বস্ব সম্পূর্ণ করে নিঃশেষে আত্মনিবেদনের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে ডাকাই এ পবিত্র রাতের প্রধান কাজ।

শবে বরাত মূলতঃ আল্লাহর ইবাদতের রাত, তাঁর রহমত ও পরম সৌভাগ্য তাঁর নিকট থেকে চেয়ে নেয়ার রাত। তাই এ রাতে এক মনে আল্লাহর ইবাদত করাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য। কেননা এ রাতে নিজের গোনাহ বা পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া হলে তিনি তা কবুল করেন। এ পবিত্র রাতে তাঁর রহমত অজস্রধারায় তাঁর বান্দাহদের ওপর বর্ষিত হতে থাকে। আসুন এ রাতে আমরা মুনাজাত করি, হে আল্লাহ আমাদের বরাত খুলে দাও এ পবিত্র রাতে, আমরা তোমার সাহায্য প্রার্থনা করছি, তুমি আমাদের সকল গুনাই মাফ করে দাও।

307

বিশ্বে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর ৪৫% শতাংশই ঘটে পুষ্টিহীনতার কারণে। ল্যানসেট চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, অপুষ্টির কারণে বিশ্বে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩১ লাখ শিশু মারা যায়।

 37
 0
 0      Print Friendly and PDF

আন্তর্জাতিক একটি গবেষকদল গর্ভাবস্থা এবং শৈশবে অপুষ্টির বিভিন্ন কারণ পর্যালোচনা করে দেখেছেন।তারা বলছেন, গর্ভধারণ খেকে শুরু করে দুই বছর বয়স পর্যন্ত – জীবনের প্রথম এই ১০০০ দিন সারা জীবনের জন্যই স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
অপুষ্টি, তা মাত্রাতিরিক্ত ওজন জনিত স্থূলতা কিংবা পুষ্টিহীন হওয়া- যা ই হোক না কেনো অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বৈকি।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুষ্টিহীনতার কারণে প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্যসেবা এবং কম উৎপাদনশীলতা বাবদ খরচ পড়ে ৫শ’ মার্কিন ডলার।এ হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে মোট খরচের অংক দাঁড়ায় ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের ‘জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ’ এর প্রফেসর রবার্ট
ব্ল্যাক এর নেতৃত্বে একটি গবেষক দল নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে মা ও শিশু পুষ্টি, এবং স্থুলতার ওপর ২০০৮ সাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যপ্রমাণ পর্যালোচনার মাধ্যমে গবেষণা পরিচালনা করেছেন।
গবেষণায় তারা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পুষ্টিহীনতা দূরীকরণ কর্মসূচির অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেছেন।এর ভিত্তিতে তারা বলছেন, এ কর্মসূচিতে সম্প্রতি কয়েক বছরে কিছুটা অগ্রগতি হলেও এখনো বিশ্বব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি শিশুর ওজন বয়সের তুলনায় কম।
ফলে বিশ্বব্যাপী পুষ্টির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় না নেয়া হলে বহু দেশই দারিদ্রের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।

308
আমরা অনেকে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে কতগুলো সাধারণ ভুল করে থাকি। অনেক আগে থেকে দেখে আসছি এই সাধারণ ভুলগুলো।

দীর্ঘদিন ধরে যারা নামাজ পড়েন তাদেরও অনেকে অবলীলায় এ ভুল করে থাকেন। ভুল করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছে যে এখন এ ভুলগুলোই তাদের কাছে নিয়মে পরিণত হয়েছে।

যদিও এগুলো শোধরানো সংশ্লিষ্ট ঈমামের দায়িত্ব। এই ভুলগুলো প্রতিটি সরাসরি আল্লাহর রাসুল (সা.) এর সুন্নতের খেলাফ।

যেমন:

দৃশ্য-১

ছেলে বুড়ো যে কেউই নামাজের জন্য মসজিদে যাচ্ছেন। ঘড়ি দেখলেন সময় হয়ে গেছে, তা ছাড়া দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে জামাত দাঁড়িয়ে গেছে। জামাতে নামাজ পড়তে হবে তাই দ্রুত হাঁটা শুরু, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দ্রুত হাঁটা দৌড়ের কাছাকাছি বা দৌড় দিয়েও অনেকে নামাজে পৌঁছেই হাঁপাতে হাঁপাতে কাতারে দাঁড়িয়ে যান। এই হাঁপানো অবস্থাতেই এক রাকাতের মতো চলে যায়। এটা আল্লাহর রাসুল (সা.) পছন্দ করেননি। তিনি নিষেধ করেছেন। আপনি হয় সময় নিয়ে নামাজ পড়তে যাবেন অথবা ধিরস্থির ও শান্তভাবে হেঁটে গিয়ে যতটুকু জামাতে শরীক হতে পারেন হবেন এবং বাকি নামাজ নিজে শেষ করবেন। হযরত আবু কাতাদা (র.) বর্ণনা করেছেন,একবার আমরা নবী (সা.) এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম, নামাজরত অবস্থায় তিনি লোকের ছুটাছুটির শব্দ অনুভব করলেন।

নামাজা শেষে জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কি করছিলে? তারা আরজ করলেন, ‘‘আমরা নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি আসছিলাম। আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, এরূপ কখনো করোনা। শান্তিশৃঙ্খলা ও ধীর স্থিরভাবে নামাজের জন্য আসবে,তাতে যে কয় রাকাত ইমামের সঙ্গে পাবে পড়ে নেবে, আর যা ছুটে যায় তা ইমামের নামাজের পর পুরা করে নেবে। (বোখারি শরীফ,খণ্ড-১,হাদিস নম্বর- ৩৮৭)

এই হাদিসে রাসুল (সা.) নামাজে আসার এবং নামাজে শামিল হওয়ার সুনির্দিষ্ট নিয়ম বলে দিয়েছেন যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে ধিরস্থিরভাবে হেঁটে মসজিদে আসতে হবে, কোনো তাড়াহুড়া করা যাবে না। মহান আল্লাহ্‌ আমাদের কৃত পূর্বের অজ্ঞতার জন্য ক্ষমা করুণ। আমীন।

দৃশ্য-২

ফজরের নামাজের সময় হয়ে গেছে। একামত হয়ে গেছে, ইমাম দাঁড়িয়ে নামাজ শুরু করে দিয়েছেন। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যথারীতি নামাজের জন্য দ্রুত হাঁটা অথবা ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি করে হাঁটা অথবা দৌড় দিয়ে মসজিদে পৌঁছা। কিন্তু এবার সরাসরি জামাতে শামিল নয়। কারণ ফজরের ফরজের আগে সুন্নত রয়েছে। হড়বড় করে রুকু সেজদা সংক্ষিপ্ত করে সুন্নত শেষ করে তারপর ফরজ জামাতে ইমামের সঙ্গে দাঁড়াতে হবে। ততোক্ষণে দেখা যায়, কেউ জামাতের হয় এক রাকাত পান বা শেষ রাকাতে বৈঠকে জামাতে শামিল হন। ফজরের জামাতের আগে এমন চিত্র হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু আল্লাহর রাসুলের (সা.) হাদিসে এর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে এবং এটাই মান্য।

যদি কেউ ফজরের জামাতের আগে মসজিদে যেতে পারেন তাহলে প্রথমে সুন্নত দুই রাকাত পড়ে জামাতের জন্য অপেক্ষা করবেন। আর যদি দেরি হয়েই যায় এবং জামাত শুরু হয়ে যায় তাহলে প্রথমে মসজিদে গিয়ে ইমামের সঙ্গে জামাতে শামিল হতে হবে এবং জামাতের পর বাকি নামাজ (যদি থাকে) শেষ করতে হবে।
 
মোনাজাত করে অপেক্ষা করবেন সূর্য উদয়ের জন্য এবং সূর্য উদয়ের পর নামাজের নিষিদ্ধ সময় (সাধারণত সূর্য উদয়ের পর ২০ মিনিট) পার হওয়ার পর আপনি ফজরের সুন্নত নামাজ আদায় করবেন। মধ্যবর্তী যে সময় সে সময় আপনি হয় মসজিদে বসে অপেক্ষা করতে পারেন অথবা ঘরেও ফিরে আসতে পারেন এবং সময় হওয়ার পরই আপনি ফজরের সুন্নত আদায় করে নেবেন। এটাই আল্লাহর রাসুল (সা.) নির্দেশিত নিয়ম। কিন্তু আমরা কয়জন সেটা করি? হযরত আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ফরজের পূর্বে পড়তে পারেনি সে সূর্য ওঠার পর তা পড়বে। তিরমিজি ১ম খণ্ড,হাদিস নম্বর-৩৯৮।

আব্দুল্লাহ ইবনে বোহায়না (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘‘একদিন আল্লাহর রাসুল (সা.) ফজরের নামাজের একামত হলে এক ব্যক্তিকে ভিন্ন নামাজ পড়তে দেখলেন। (ওই ব্যক্তি ফজরের দুই রাকাত সুন্নত পড়ছিলেন)। নামাজ শেষে যখন সবাই রাসুল (সা.) এর নিকটবর্তী হয়ে ঘিরে বসলো,তখন নবী (সা.) ওই ব্যক্তিকে বললেন, ‘‘ফজরের ফরজ নামাজ কি চার রাকাত হয়? অর্থাৎ একামতের পর ফরজ নামাজ ভিন্ন অন্য নামাজ পড়া যায় না, তুমি ভিন্নভাবে দুই রাকাত ও জামাতে দুই রাকাত পড়েছ, তুমি কি ফরজ চার রাকাত পড়লে? (বোখারি শরীফ,খণ্ড-১, হাদিস নম্বর-৪০২)।

আশা করি উপরোক্ত হাদিসগুলো না জানার কারণে এতোদিন যা যা ভুল করেছি তা শুধরে নিতে পারবো।

309
Library of DIU / voice library
« on: April 23, 2013, 03:54:02 PM »
DIU Library has introduce voice library. Student can listen voice of the content from anywhere of the world.So everybody is requested to visit our library website: http://library.daffodilvarsity.edu.bd/


Regards,

Mafruha Akter
Library officer
DIU

Pages: 1 ... 19 20 [21]