আইন বিভাগের ছাত্রদের বার কাউন্সিলের পরীক্ষা এবং আমার অনুভূতি...
সকাল থেকেই আজ নীরবপুরী অফিসে বসে আছি। আজ থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের সেমিস্টার ব্রেক। হেডদের যেহেতু সেমিস্টার ব্রেক নেই, তাই অফিসে বসে আসন্ন সেমিস্টারের প্ল্যান করছি। চা- বিরতিতে একটু খারাপ লেগেছে কেননা হাসান ভাই ও ছুটিতে ... এক কাপ চা খেতে পারলে ভালো হতো। প্রতি সেমিস্টার শেষেই এমন কিছু একাকী সময় কাটাতে হয় কিন্তু কী আশ্চর্য আমার আইনের ছেলেমেয়েগুলোর জন্য যখন কাজ করতে থাকি তখন একাকীত্বটা একেবারেই টের পাই না ... মনে হয় ওরা আমার চারপাশ ঘিরে আছে।
প্রিয় সন্তানেরা আমার,
প্রকৃতার্থে তোমাদের সাফল্যই আমাকে উদীপ্ত করে, তোমাদের ব্যর্থতা আমাকে বেদনার্ত করে। সকল মায়ের অনুভূতি একই রকম। ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই... ৪/৫ দিন আগের ঘটনা। একটা ব্যপারে মনটা খুব খারাপ ছিল ... তার কিছুক্ষণ পর তোমাদের প্রিলিমিনারির রেজাল্ট শুনলাম। আশ্চর্য এক অনুভূতি ... মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। শুকরিয়া জানালাম সৃষ্টিকর্তাকে । একে একে সবার মুখ মনে পড়ল Mahfuz Ur Rahman, Zahidur Rahaman Rajib, Shahriar Hossain. Ahsan Shajib, Nesar Jahid, Sobnom Khandoker, Mohiuddin Apu, Remy Luna ....
আমি ফেসবুক থেকে প্রায় মাস দেড়েক অনুপস্থিত ... একাঊণ্টটা এক্টীভ আর আমি প্যসিভ ... আজ বসে তোমাদের নিয়ে Shahadat এর স্ট্যাটাসটা পড়লাম, ভাল লাগলো। তোমাদের এই পরীক্ষাটির ফর্ম নেয়া থেকে রেজাল্ট পর্যন্ত কী এক দুশ্চিন্তায় ছিলাম তার একমাত্র নীরব সাক্ষী সে। বার কাউন্সিলের বিবিধ নিয়ম প্রয়োগে ল’ গ্রাজুয়েটদের নাম লিস্টে পাঠানো ছিল এক মহাযুদ্ধ! সেই যুদ্ধে জয়ী হয়েই অপেক্ষা করেছিলাম এই দিনটির জন্য। এখন শুরু হল আরেকটি অপেক্ষার প্রহর। আমার এই সন্তানগুলো ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে যেদিন বলবে, “আমি জিতলে জিতে যায় মা” ... সেই বিশেষ দিনটির অপেক্ষায় আছি ।
তোমাদের সবার জন্য আমার দোয়া আর শুভকামনা ।
Farhana Helal Mehtab
Head, Dept of Law