Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Shahrear.ns on November 03, 2020, 07:47:20 PM
-
বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে করোনার টিকার জন্য অপেক্ষা করছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান করোনার টিকা পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। এখন অপেক্ষা টিকার নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা নিয়ে ফলাফল জানার। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান টিকার ফল জানিয়ে দিতে পারে। করোনার টিকা নিয়ে বেশ কিছু হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগবিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, নিরাপদ ও কার্যকর করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ সম্ভবত ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা জানুয়ারির শুরুতে কিছু উচ্চ-ঝুঁকিযুক্ত মার্কিনরা পাবেন।
বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক টিকাটি করোনা টিকার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে। বিশ্বজুড়ে সংস্থা ও সরকারগুলোর সঙ্গে সরবরাহ ও উৎপাদনসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অক্টোবরে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, টিকাটি বৃদ্ধ, যুবক উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আশা করছে, তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য আসন্ন সপ্তাহে প্রকাশ করবে।
গত এপ্রিলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার গবেষকেরা টিকাটি প্রস্তুত করেন। এরপর থেকে টিকাটি নিয়ে পরীক্ষা চলছে। শিগগির এটি নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অনুমোদন পেতে পারে।
অক্সফোর্ডের টিকাটির পাশাপাশি ফাইজার ও বায়ো এন টেকের টিকার ফলাফলও শিগগির জানা যাবে। টিকাগুলোও এ বছরের মধ্যেই নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে আশা করছেন এর উৎপাদনকারীরা।
এর আগে ৩ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের আগেই টিকা আনার কথা বলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। চলতি মাসেই কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের টিকার ফল জানাতে পারে।
করোনার টিকা নিয়ে আরেকটি সুখবর দিচ্ছে জার্মান প্রতিষ্ঠান কিওরভ্যাক। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কিওরভ্যাকের পরীক্ষামূলক টিকাটি মানুষের শরীরে প্রতিরোধী সক্ষমতা দেখিয়েছে। গতকাল সোমবার জার্মান প্রতিষ্ঠানটি এ তথ্য জানিয়েছে। এ বছরেই টিকাটির পরীক্ষা শুরু করতে যাচ্ছে কিওরভ্যাক।
জার্মানির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ফ্রানজ-ওয়ার্নার হ্যাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, টিকা পরীক্ষার প্রথম ধাপের অন্তর্বর্তীকালীন ফলাফল আমাদের উৎসাহ জোগাচ্ছে। তারা এমআরএনএ ভিত্তিক যে টিকাটি তৈরি করছে তার নাম সিভিএনকোভ। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৩০ হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
কিওরভ্যাকের টিকাটি তৈরিতে সহায়তা করছেন বিনিয়োগকারী দিমিতার হপ। তাঁর সঙ্গে রয়েছে গেটস ফাউন্ডেশন ও গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন। টিকাটির পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের ক্ষেত্রে যে পরিমাণ নিউট্রিলাইজিং অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে, তা রোগটি থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডির সমান।
রাশিয়ার করোনার টিকা নিয়েও সুখবর পাওয়া গেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস নাগাদ রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকাটির এক কোটি ডোজ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে।
আর্জেন্টিনা সরকার বলছে, আগামী মাসের শুরুতেই দুই ডোজের টিকাটি দেশে আসবে। আর্জেন্টিনার জন্য পাঠানো টিকাটি তৈরি হচ্ছে ভারত, কোরিয়া ও চীনে। আর্জেন্টিনার পাশাপাশি ব্রাজিলেও টিকাটি দেওয়ার জন্য প্রাথমিক নথিপত্র জমা দিয়েছে টিকায় অর্থায়ন করা রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)।
-
The whole world is waiting for a permanent solution!