Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - arifsheikh

Pages: 1 [2] 3 4
16
১. ‘থ্রি স্কয়ার’ মিল
আমরা সাধারণত তিন বেলায়, অর্থাৎ সকাল, দুপুর এবং রাতে খাবার খেয়ে থাকি। এই পদ্ধতিকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় থ্রি স্কয়ার মিল বলা হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, এমন নিয়ম মেনে খাবার খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই তিন সময়ে ঠিক মতো খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
২. সারা দিনের খাবারকে কয়েক ভাগে ভাগ করে নিন
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, তা হল সারা দিনের যে পরিমাণ খাবার খাচ্ছেন তাকে তিন বা আরও বেশি ভাগে ভাগ করে নিয়ে খান। অর্থাৎ একেক বারে অনেক পরিমাণে না খেয়ে অল্প অল্প করে বারে বারে খান। এমনটা করলে শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা কমে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে প্রতিটি মিলের মধ্যে যেন কম করে ২ ঘন্টার ব্যবধান থাকে।
৩. শরীরচর্চার পরে কার্বোহাড্রেট মাস্ট!
মেদ ঝরাতে শরীরচর্চা করতেই হবে। সেই সঙ্গে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। তা হল, এক্সারসাইজের পর পরই দেখবেন খুব ক্ষিদে পাবে। সে সময় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ভাত অথবা রুটি খেয়ে নেবেন। এমনটা করলে পেশির গঠনে উন্নতি ঘটবে, এনার্জির ঘাটতি দূর হবে, সেই সঙ্গে ভুঁড়ি বাড়ার সম্ভাবনাও কমবে।

৪. মাংসকে ভুলতে হবে
বেশি বেশি করে ফল এবং সবজি খাওয়া শুরু করুন। কমান মাংস খাওয়া। বিশেষত লাল  মাংস তো একেবারেই খাওয়া চলবে না। আর একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, সন্ধ্যা ৬টার পর রাতের খাবার খাওয়া চলবে না। যদি রাতের দিকে একান্ত ক্ষিদে পেয়ে যায় তাহলে অল্প করে খাবার খেতেই পারেন, তবে বেশি মাত্রায় খাওয়া চলবে না। কারণ রাত যত বাড়তে থাকে, তত আমাদের পরিপাকতন্ত্রের সক্রিয়তা কমে যায়, ফলে ডিনারে হালকা খাবার না খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়।

৫. সপ্তাহে দুবার উপোস করতেই হবে
দ্রুত ওজন কমাতে চান তো সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টা না খেয়ে থাকতেই হবে। কোনও উপায় নেই! দুদিন উপোশ করে বাকি দিন ইচ্ছা মতো খেতেই পারেন। তবে অবশ্যই পরিমিত হারে। এই নিয়মটি মানলে দেখবেন হাতে নাতে ফল পাবেন।
৬. রাতের খাবার কেমন হবে?
খেয়াল রাখবেন রাতে যাই খান না কেন, তা যেন প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ হয়, তাহলে সারা রাত আর ক্ষিদে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। সেই সঙ্গে ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও কমবে।

17
এর আগের বেশির ভাগ গবেষণায়ই উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যের স্বাস্থ্যগত উপকারিতা খতিয়ে দেখা হয়েছে। সে সব গবেষণায় এবং বর্তমান গবেষণায়ও সাধারণত কম মাংস খাওয়া এবং বেশি বেশি ফল, সবজি এবং দানাদার খাদ্যশস্য খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যকর এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় বলে বলা হয়েছে।
কিন্তু নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, মাংস কম খেয়েও যদি বেশি হারে পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটস খাওয়া হয় এবং চিনিযুক্ত পানীয় পান করা হয় তাহলে উল্টো ফল আসতে পারে।

নতুন এই গবেষণাটি গতকাল ১৭ জুলাই জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান কলেজ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত হয়। গত প্রায় তিন দশক ধরে পরিচালিত এই গবেষণায় গবেষকরা উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যের সম্ভাব্য তিনটি সংস্করণ তৈরি করেন। এবং প্রতি সংস্করণের খাদ্য লোকের স্বাস্থ্যের ওপর কী প্রভাব ফেলে তা পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রথম সংস্করণে প্রাণিজ খাবার বাদ দিয়ে যেকোনো ধরনের উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যকে তালিকাভুক্ত করা হয়। দ্বিতীয় সংস্করণে শুধু স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য যেমন, পূর্ণ খাদ্য শস্য, ফল ও সবজি রাখা হয়। আর তৃতীয় সংস্করণে অস্বাস্থ্যকর উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য যেমন, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটস, আলু এবং চিনিজাতীয় পানীয় অন্তুর্ভুক্ত করা হয়।

এই গবেষণায় গবেষকরা ১ লাখ ৬৬ হাজার নারীর তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। যারা যুক্তরাষ্ট্রের নার্সেস হেলথ স্টাডি এবং নার্সেস হেলথ স্টাডি টু-তে অংশগ্রহণ করেছেন। আর হেলথ প্রফেশনাল ফলোআপ স্টাডি থেকে ৪৩ হাজার পুরুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এই তিনটি গবেষণাই ছিল দীর্ঘমেয়াদি। এবং এগুলোর মাধ্যমে লোকের স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এসব তথ্য-উপাত্তের ভিত্তি করে পরিচালিত নতুন এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো আম্বিকা সাতিজা।

২৮ বছর ধরে পরিচালিত ওই পর্যবেক্ষণের সময়কালে ওই নারী-পুরুষদের ৮৬০০ জনেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে যারা সাধারণভাবে সব ধরনের উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্যই খায় তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৮% কম থাকে।

আর যারা শুধু স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদভিত্তিক খাবার খায় তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২৫% কম থাকে।

অন্যদিকে, যারা শুধু অস্বাস্থ্যকর উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য গ্রহণ করেন তাদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩২% বেশি থাকে।

এই গবেষণা থেকে প্রমাণিত হয়, শুধু স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য যেমন, পূর্ণ শস্য, ফল, সবজি এবং বাদাম এই জাতীয় খাদ্য খেলেই চলবে না বরং অস্বাস্থ্যকর উদ্ভিদভিত্তিক খাদ্য যেমন, মিষ্টি, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটস এবং চিনিযুক্ত পানীয়ও ত্যাগ করতে হবে।

18
১। ডিম

শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো ডিম। প্রতিদিন একটি ডিম খাদ্যতালিকায় রাখুন। তা সিদ্ধ হতে পারে আবার ওমলেট করেও খাওয়াতে পারেন।

২। দুধ

দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ দিন আপনার শিশুকে। আপনার শিশুটি যদি ২ বছরের নিচে হয় তবে ফুল ক্রিম দুধ খাওয়াবেন। দুধে থাকা ফ্যাট তার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া দুধের তৈরি খাবারও দিতে পারেন শিশুকে।

৩। সয়াবিন

শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সয়াবিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা শিশুর হাড় এবং পেশি মজবুত করে তোলে। সয়াবিন সবজির মত করে রান্না করে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।

৪। ওটমিল

প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস কিন্তু লো-ফ্যাটযুক্ত এই খাবারটি শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।  সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর ওটমিল।

৫। মুরগির মাংস

মুরগির মাংস প্রায় সব শিশুরা পছন্দ করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি তাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তবে প্রতিদিন মুরগির মাংস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না করাই ভাল। 

৬। মাছ

মাছ খাবারটি শিশুরা পছন্দ না করলেও এটি শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ভিটামিন ডি, প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো মাছ। তবে সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা, স্যামন, সার্ডিন ইত্যাদি মাছ বেশি উপকারী।

৭। পালং শাক

পালং শাককে সুপার সবজি বলা হয়ে থাকে। এটি আপনার শিশুর হাড় মজবুত করার পাশাপাশি আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শিশুকে লম্বা করতে সাহায্য করে।

৮। ফল

ফল স্বাস্থ্যের অনেক উপকারী। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ফল যেমন মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, টমেটো, কলা, পিচ ফল ইত্যাদি উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এই ফলগুলো নিয়মিত আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন।

৯। টকদই

ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস হলো টকদই। এটি শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। আপনার শিশ টকদই খেতে পছন্দ না করলে ফ্রুট সালাদ কিংবা শরবত তৈরি করে দিতে পারেন। এছাড়া টকদইয়ের পরিবর্তে চিজ, পনির দিতে পারেন।

১০। গাজর

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে গাজরের ভূমিকা সবার জানা। গাজর রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়া বেশ উপকারী। কাঁচা গাজর সালাদ করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এমনকি শিশুকে গাজরের রস দিতে পারেন, এটি শিশুর উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি করে

19
গলায় অবস্থিত এই গ্রন্থি থেকে তৈরি রস শারীরিক বৃদ্ধি ও কর্মতৎপরতাকে প্রভাবিত করে। আর এই গলগ্রন্থি সুস্থ রাখতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি।

স্বাস্থবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয়, প্রজাপতি আকৃতির এই গ্রন্থি গলার ভেতর সামনের দিকে অবস্থিত। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন- তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদ-কম্পন, শরীরের ওজন এমনকি নারীদের রজঃচক্র নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে। তাই সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই থাইরয়েড গ্রন্থিও সুস্থ রাখা সম্ভব।

দই: এটা ভিটামিন ডি এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা থাইরয়েডের সুস্থতা রক্ষা করে। থাইরয়েডের অসমতা প্রতিরোধে সহায়তাকারী ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করতে দই সাহায্য করে।

জলপাইয়ের তেল: শরীরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড ঠিকভাবে চলতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া প্রয়োজন। সঠিক ধরনের চর্বি ও তেল খাওয়া হলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে।

জলপাইয়ের তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন রোগ যেমন- ক্যানসার, অস্টিওপোরোসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং রক্তে সেরোটোনিন (এক ধরনের হরমোন যা সন্তুষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত) বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি: আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে চর্বি কমায়। এছাড়াও যকৃতের চর্বি কমিয়ে সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে বিপাক বৃদ্ধি পায়। ভালো ফলাফলের জন্য দৈনিক দুএক কাপ গ্রিন টি পান করুন।

আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, পালংশাক, রসুন এবং তিলের বীজের পাশাপাশি সামুদ্রিক সবজি এবং মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হবে।

সেলেনিয়াম: এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এর পরিমাণ বাড়াতে খাদ্য তালিকায় মাশরুম, মাংস, সুর্যমুখীর বীজ এবং সয়াবিন যোগ করুন।

জিংক: থাইরেয়েড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডাল, আখরোট, শষ্য, কাঠবাদাম প্রতিদিনকার খাবারের যুক্ত করে জিংকের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

লৌহ: তাই ঝিনুক, ডাল, কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর ‘আয়রন’। যা থাইরয়েডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

20
গাজর
গাজরে বিটা ক্যারোটিন নামে এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা চোখের জন্য ভালো। খাবারটি চোখের জ্যোতি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া মিষ্টি আলুতেও যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। চোখের সুরক্ষায় এটিও খাওয়া ভালো। 

সবুজ শাকসবজি
সুস্থ থাকতে সবুজ শকসবজি খাওয়ার বিকল্প নেই। চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও এই খাবারটি প্রয়োজন। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লুটিন রয়েছে যা কোনো নীল আলো বা লাইটকে চোখের রেটিনার ওপর প্রভাব ফেলা থেকে বিরত রাখে।

টমেটো
টমেটোতে লাইকোপিন থাকায় তা অতিরিক্ত আলোতে কাজ করার ফলে যে সমস্যা হয় তা কমায়। চোখের জন্য নানা প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন আঁশ, খনিজ ক্যারোটিন – সবই রয়েছে রসালো টমেটোতে।

মুরগির মাংস
মুরগির মাংসে প্রচুর জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি রয়েছে, যা চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। কাজেই এটিও প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখা ভালো। 

কমলালেবু
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এর ভিটামিন সি চোখের দৃষ্টি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

ডিমের কুসুম
ডিমের কুসুমে যথেষ্ট পরিমাণে জিংক থাকায় তা চোখকে ‘মাসকুলার ডিজেনারেশন’ সমস্যা থেকে বাঁচায়৷ এ সমস্যা সাধারণত ৫০ বছর বয়সের পরে দেখা দেয়।

ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ যেমন-স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকরেল, কড, টুনা প্রর্ভতি মাছে প্রচুর ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যেগুলো চোখের জন্য বেশ উপকারী। এসব মাছ চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে এবং চোখকে নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে।

রঙিন ফল ও সবজি
হলুদ, সবুজ, কমলা রঙের, অর্থাৎ গাজর, কমলা, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ভুট্টা ইত্যাদি বিভিন্ন রঙের ফলমূল ও শাকসবজিতে ভিটামিন এ রয়েছে। এগুলো রাতকানা রোগ থেকে চোখকে সুরা দেয়। কাজেই এগুলোও খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

বাঁধাকপি
বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি  রয়েছে যা চোখের জন্য ভালো। বাঁধাকপি দামে সস্তা এবং সব জায়গায় পাওয়া যায় তাছাড়া সহজে নষ্ট হয় না
। 

21
Public Health / ওজন কমাতে রসুন
« on: April 26, 2016, 06:57:30 PM »
- রসুন শক্তিশালী বিষাক্ত পদার্থ অপসারক। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে যা ‘ডি-টক্সিফায়িং’ নামে পরিচিত। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের ফলে দেহের কার্যক্রম ভালোভাবে চলে। ফলে প্রাকৃতিক ভাবেই শরীর ছিপছিপে এবং শক্তিশালী থাকে।

- শরীরে জমে থাকা পানির ফলে গা-গুলানো, পেট ভারি লাগা, শরীর ফুলে থাকা, অতিরিক্ত ওজনের মতো সমস্যা দেখা দেয়। এসব রসুন খুব সহজেই কমিয়ে আনে। কারণ রসুন মূত্রবর্ধক। এটা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি নিঃসরণ করে। ফলে শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত পানি জমে থাকে না।

- রসুন স্নায়ুকে উত্তেজিত করে অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসরণ ঘটায় যা শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি করে। এতে অধিক ক্যালোরি খরচ হয় এবং ওজন কমে যায়।

- রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রসুন এটা ওটা খাওয়ার ইচ্ছাও কমিয়ে রাখে। এতে ডায়বেটিকদেরও উপকার হয়।

- খাবারের রুচি কমিয়ে দিতেও রসুন ভূমিকা রাখে। এটি মস্তিষ্ককে সংকেত পাঠায় যে পেট ভরাই আছে। ফলে ক্ষুধা ভাব কমে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

- সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শরীরে তৈরি হওয়া চর্বির কোষ রসুন নিয়ন্ত্রণ করেও ওজন কমানোর কাজে সাহায্য করে।

- মাত্র এক,দুটি মাঝারি আকারের কোয়া খেয়েই এইসব উপকার পাওয়া যায়।

22
রিল্যাক্সেশন: নুন পানিতে স্নান করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, পেশী শিথিল হয়। ফলে আপনাকে রিল্যাক্সড রাখে।

ত্বক: লবণ পানিতে স্নান করলে শরীরে রোমকূপের মধ্যে দিয়ে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম ত্বকে প্রবেশ করে। ফলে ত্বক স্বাস্থ্যজ্জ্বল দেখায়।

ডিটক্স: লবণ পানিতে স্নান শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
শরীর থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও টক্সিন সম্পূর্ণ দূর করে আপনাকে ঝরঝরে রাখে লবণ পানিতে স্নান।

বয়স: নিয়মিত লবণ পানিতে স্নান করলে ত্বকের বলিরেখা, বয়সের ছাপও দেরিতে পড়ে। আর্দ্রতা বজায় থাকায় চেহারায় গ্লো আসে।

আর্থারাইটিস: লবণ পানিতে স্নান করলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি কিছুটা মেটে। নিয়মিত এটা করলে বাতের ব্যথা কমে যায়।ফলে বয়স দেখতে অনেক কম

ইনফেকশন: লবণ পানির হিলিং গুণ রয়েছে। নিয়মিত নুন জলে স্নান করলে শরীরে ইনফেকশন, ত্বকের সমস্যা অনেকটাই দূরে রাখতে পারবেন

স্ট্রেস: শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেশী শিথিল করে। ফলে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। গরম কালে রোজ বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে স্নান করলে অনেক হালকা লাগবে নিজেকে।

ইনসমনিয়া: বাড়ি ফিরে লবণ পানিতে গোসল করলে স্ট্রেস কমে, শরীর, মন হালকা লাগে। ফলে রাতে ঘুম ভাল হয়। অনিদ্রা দূরে থাকে।

এনার্জি: রাতে লবণ পানিতে গোসল করলে যেমন ইনসমনিয়া দূরে থাকে, সকালে নুন জলে স্নান করলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়ার ফলে কাজের এনার্জিও বাড়ে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রতি দিন লবণ পানিতে স্নান শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা বেড়ে যায়।

23
রসুনের রস চুল পড়া কমায়, মাথার ত্বকের ইনফেকশন ও খুশকি দূর করে। এমনকি এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তেলের মতো করে চুলে ও মাথার তালুতে রসুনের রস লাগালে অনেক দ্রুত আপনার মাথায় নতুন চুল গজাবে। কারণ রসুনের রসে প্রচুর পরিমাণে এলিসিন থাকে। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিন সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রসুনে প্রচুর পরিমাণে কপার রয়েছে, যা চুলকে ঘন ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।

কীভাবে চুলে রসুনের রস ব্যবহার করা যেতে পারে সে ব্যাপারে তিনটি ধাপের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর বোল্ডস্কাইয়ের।প্রথমে রসুন পেস্ট করে এর রস বের করে নিন। একটি এয়ার টাইট বোতলে এই রস সংরক্ষণ করতে পারেন। তেলের মত করে এই রস চুলে ব্যবহার করতে পারবেন।যাদের চুল শুষ্ক তারা গোলাপজলের পানিতে চুল আধাঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। গোলাপজল চুলের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে। এবার ভালো করে চুলে ও মাথার তালুতে রসুনের রস লাগান।
রসুনের রস লাগানোর পর আধাঘণ্টা রেখে দিন। এবার চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এরপর চুলে ভালো করে মাইল্ড শ্যাম্পু লাগান। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ১৫ মিনিট পর কন্ডিশনার লাগিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ
.যাঁদের চুল বেশি পড়ে, তাঁরা রসুনের রস সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যবহার করুন। দেখবেন এক মাসের মধ্যে আপনার মাথায় নতুন চুল
গজাবে।

.আপনার মাথার তালুতে যদি ক্ষত থাকে, তাহলে রসুনের রস ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ এটি ব্যবহারে ক্ষত আরো বেড়ে যেতে
পারে।

.রসুনের রস লাগানোর আগে যাদের চুল তৈলাক্ত, তাদের চুলে তেল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

24
১। গরুর মাংস
ঘাস খাওয়ানো হয় যে গরুকে সেই গরুর মাংসে ভালো ফ্যাট থাকে। নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায় যে, ঘাস খাওয়া গরুর মাংসে উচ্চমাত্রার ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড থাকে যা হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি কমায়। ঘাস খাওয়া গরুর মাংস চর্বিহীন ও খুবই কম ক্যালরিযুক্ত।
২। অলিভ ওয়েল
অলিভ ওয়েল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার উপাদান পলিফেনল এবং হৃদপিণ্ডকে সুদৃঢ় করার মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ। স্থূলতা বিষয়ক সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, উচ্চমাত্রার শর্করা ও প্রোটিন জাতীয় খাবারের চেয়ে ও অলিভ ওয়েলে উচ্চমাত্রার অ্যাডিপোনেক্টিন থাকে। অ্যাডিপোনেক্টিন এক ধরণের হরমোন যা শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে। তাই রান্নায় অন্য তেলের পরিবর্তে জলপাই তেল ব্যবহার করুন।
৩। নারিকেল তেল
নারিকেল স্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ যা অর্ধেকের বেশিই লরিক এসিড থেকে আসে।  লরিক এসিড একটি স্বতন্ত্র লিপিড যা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং কোলেস্টেরলের স্কোর উন্নত করে। লিপিড জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, নারিকেল তেল পেটের মেদ কমাতে পারে। এই গবেষণাটির জন্য অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে বিভক্ত করা হয়। একটি দলের অংশগ্রহণকারীদের প্রতিদিন ২ টেবিলচামচ নারিকেল তেল খেতে দেয়া হয়। অপর দলটিকে সয়াবিন তেল। উভয় দলের অংশগ্রহণকারীদেরই ওজন কমতে দেখা যায়। তবে শুধুমাত্র নারিকেল তেল গ্রহণকারীদেরই কোমর সঙ্কুচিত হতে দেখা যায়।

৪। ডার্ক চকলেট
হ্যাঁ, ভুঁড়ি কমতে সাহায্য করে ডার্ক চকলেট। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে যে, যখন একজন মানুষ খাওয়ার ২ ঘন্টা পূর্বে ডার্ক চকলেট খায় তখন মিল্ক চকলেট যারা খান তাদের চেয়ে ১৭% ক্যালোরি কম গ্রহণ করে। গবেষকেরা বিশ্বাস করেন যে এটি হওয়ার কারণ ডার্ক চকলেটে বিশুদ্ধ কোকোয়া বাটার থাকে। কোকোয়া বাটার স্টেয়ারিক এসিড সমৃদ্ধ যা পরিপাক প্রক্রিয়াকে ধীর করে।   অপরদিকে অন্য চর্বিকে দ্রুত অন্ত্র নালীর মধ্য দিয়ে বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেটে হজম হতে সময় লাগে তাই ক্ষুধা কম লাগে এবং ওজন কমতে সাহায্য করে।
৫। কাঠবাদাম
উচমাত্রার ফ্যাট থাকা সত্ত্বেও কাঠবাদাম ওজন কমতে সাহায্য করে বলে অসংখ্য গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি এন্ড রিলেটেড মেটাবলিক ডিজঅর্ডারস এর এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ছয়মাস যাবত দুটি দলে দুই ধরণের খাদ্যতালিকা অনুযায়ী খাবার দিয়ে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তা হল- কম চর্বিযুক্ত ও কম ক্যালরিযুক্ত খাদ্য ( ১৮% ফ্যাট) এবং অন্য দলটিকে মধ্যম মানের চর্বিযুক্ত (৩৯% ফ্যাট)খাবার দেয়া হয় যাতে কাঠবাদাম যুক্ত করা হয়। প্রথম দলটির চেয়ে দ্বিতীয় দলটির অংশগ্রহণকারীদের ওজন অধিক পরিমাণে কমতে দেখা যায়। এছাড়াও কাঠবাদাম ভক্ষণকারীদের কোমর ৫০% বেশি সংকুচিত হয়


25
যেভাবে করবেন:
১। ঘাড় এবং কাঁধ সোজা রেখে মাটিতে দৃঢ়ভাবে হাত রাখুন।
২। এই ব্যায়ামের সম্পূর্ণ মনো্যোগ পেটের দিকে রাখবেন, কিন্তু এই ব্যায়ামের প্রেশারটি পা দিয়ে দিতে হবে। পায় হিল করে চাপ পায়ের আঙুল হতে থেকে স্থানান্তর করা যা উরুর পেশীতে টান অনুভব করে দিয়ে থাকে।
৩। এটি পা থেকে মাথা পর্যন্ত সমস্ত শরীর সমতল থাকবে। না ত্রিকোণ আকৃতির অথবা কোন আকৃতির মত নয়।
৪। ব্যায়ামটি সহজ করার জন্য আপনি গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন।
৫। কিংবা মনে করতে পারেন আপনার পিঠের উপরে এক গ্লাস পানি রাখা আছে। এটি আপনাকে একদম সোজা থাকতে সাহায্য করবে।
৬। আপনার পায়ের আঙুল এবং হাত মাটিতে থাকবে এবং আপনার পিঠ অব্যশই সমান থাকতে হবে।
৭। পায়ের আঙ্গুল উপর চাপ প্রয়োগ করুন, এবং প্রথমে ডান পায়ে তারপর বাম পায়ে একইভাবে পুনরাবৃত্তি করুন। এটি করার সময় আপনার মনে করা উচিত আপনার শরীরের সম্পূর্ণ ওজন আপনার পায়ের আঙ্গুল এবং হাত উপর নির্ভর করছে।
৮। এভাবে ২০-৬০ সেকেন্ড থাকুন।
৯। আস্তে আস্তে এই ব্যায়াম করার সময়টি বৃদ্ধি করুন। প্রথম যারা করছেন তারা ১৫ সেকেন্ড, তারপর ৩০ সেকেন্ড এবং সবশেষ ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত করার অভ্যাস তৈরি করুন।
এটি নিয়মিত এক থেকে দুই মাস করুন, এটি আপনার পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।সম্ভব হলে দিনে তিনবার এই ব্যায়াম করুন, আর এক মাসের মধ্যে পেয়ে যান সমান পেট।


26
আমাদের সমাজে অনেকেই মুখে সালাম দেওয়ার চেয়ে কদমবুসীকে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেন। অনেকে আবার কদমবুসীকে সালাম করা বলি। অনেকে মুখে সালাম করি-না শুধু কদমবুসী করি। অথচ একজন মুসলমানের সাথে অন্যের দেখা হলে মুখে সালাম দেওয়া ও উত্তর প্রদান করা ইসলামী সুন্নাত। রসূলুল্লাহ (সা.) -এর দরবারে তাঁর ২৩ বৎসরের নবুয়াতী জীবনে তাঁর লক্ষাধিক সাহাবীর কেউ কেউ দুই একবার এসেছেন। কেউ কেউ সহস্রাধিকবার এসেছেন। এ সকল ক্ষেত্রে তাঁদের সুন্নাত ছিল সালাম প্রদান।

কখনো কখনো দেখা হলে তাঁরা সালামের পরে হাত মিলিয়েছেন বা মুসাফাহা করেছেন। দু' একটি ক্ষেত্রে তাঁরা একজন আরেকজনের হাতে বা কপালে চুমু খেয়েছেন বা কোলাকুলি করেছেন। আবু বাকার, উমার, উসমান, আলী, ফাতিমা, বিলাল (রা.) ও তাঁদের মত অগণিত প্রথম কাতারের শত শত সাহাবী প্রত্যেকে ২৩ বছরে কমপক্ষে ১০ হাজার বার রসূলুল্লাহ (সা.)-এর দরাবারে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু কেউ কখনো একবারও রসূলুল্লাহ (সা.) কদম মুবারক চুমু খাননি বা সেখানে হাত রেখে সেই হাতে চুমু খাননি।

পা ছুয়ে সালাম করা অমুসলিমদের কাজ। আর তা সালাম নয়, তা আসলে প্রনাম। সুতরাং তা মুসলিমদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহ ছাড়া কারও জন্য মাথা নত করা বৈধ নয়। সালাম ও মুসাফাহাহ করার সময় মাথা নত করা বৈধ নয়। সালামের পর বিশেষ শ্রদ্ধাভাজনের দুই চোখের মাঝে কপালে চুম্বন করা বৈধ। জাফর (রাঃ) হাবশা থেকে ফিরে এলে রাসুল(সাঃ) তার সাথে মুআনাকা করে তার দুই চোখের মাঝে কপালে চুম্বন দিয়েছিলেন। [ইবনে উসাইমিন; সিলসিলাহ সহিহাহঃ ৬/১/৩৩৮।]

পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা শরী‘আত সম্মত নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে? তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহ’লে কি কেবল হাত ধরবে ও মুছাফাহা করবে? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ’। [তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা অনুচ্ছেদ-৩।]


27
শরীর হতে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রুহ কোথায় থাকে? সে বিশ্রামস্থলটি কোথায়? এ নিয়ে বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়। এ কারণে এক্ষেত্রে উলামায়ে কেরাম থেকে ভিন্ন ভিন্ন মতামত পাওয়া যায়। হাফেয ইবনে কাইয়িম রহ. সকল মতামত উদ্ধৃত করে বলেন, সৎ, অসৎ, নেককার ও বদকার প্রত্যেকের রুহ এক স্থানে থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের ঠিকানা যেমন ভিন্ন তেমনি তাদের রুহের বিশ্রামস্থলও ভিন্ন। কারো রুহ আলা ইল্লিয়্যিন তথা শিখরচুম্বী সর্বোচ্চ স্থানে, আবার কারো রুহ আসফালা সাফেলিন তথা নিম্নদেশের অন্তস্থলে রাখা হবে।
কারো রুহ হযরত আদম আ.-এর যামানতে, কারো রুহ হযরত ইবরাহিম আ.-এর যামানতে, কারো রুহ হযরত মিকাইল আ.-এর যামানতে থাকবে। কারো রুহ সবুজ পাখি হয়ে উড়ে বেড়াবে। কারো রুহ বেহেশতের বাগানে বিচরণ করতে থাকবে। কারো রুহ বেহেশতের ফটকের কাছে থাকবে। কারো রুহ আগুনের চুল্লিতে, কারো রুহ রক্তের নদীতে সাঁতার কাটতে থাকবে। মোটকথা, রুহের শ্রেণীভেদের তারতম্যের কারণে তাদের অবস্থানস্থলও ভিন্ন ভিন্ন হবে।
তবে যে রুহ যেখানেই থাকুক না কেনো সেগুলোর অবশ্যই নিজ নিজ কবরের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকবে। তবে এ সম্পর্কের প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনার সঠিক অবস্থা একমাত্র আল্লাহ তাআলাই জানেন। এর একটা উদাহরণ হলো, ঘুমমত্ম ব্যক্তির দেহের সঙ্গে রুহের একটি বিশেষ সম্পর্ক থাকে। এ সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি ও রূপরেখা কেমন? এটা কেউই বলতে পারবে না; এমনকি ঘুমন্ত ব্যক্তি নিজেও সেই সম্পর্ক অনুভব করতে পারে না। কবরের সঙ্গে রুহের সম্পর্ক অনেকটা সেরকমই। ইমাম কুরতুবি, হাফেয ইবনে হাজার আসকালানি ও শাইখ জালালুদ্দিন সুয়ুতি রহ. সহ বিদগ্ধ মনীষীগণ উপরোক্ত অভিমত প্রকাশ করেছেন। কাজেই এই অভিমত নির্দ্বিধায় গ্রহণযোগ্য। এ সম্পর্কে অধিকতর তথ্য পেতে হলে শরহুস সুদুর অধ্যয়ন করা যেতে পারে।

28
প্রতিদিন মাত্র আধা ঘণ্টা হাঁটলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়, সেই সঙ্গে কমে কোলেস্টেরল, রক্তচাপ আর রক্তের শর্করা।

সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ৪০ মিনিটের মাঝারি থেকে কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দেয় এএইচএ। এতে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ বিরতির পর শরীরচর্চা শুরু করার ক্ষেত্রে প্রথমে অল্প দূরত্বে হাঁটা উচিত। এরপর ধীরে ধীরে সময় ও দূরত্ব বাড়াতে হবে। হাঁটার ভঙ্গিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আঘাত এড়ানোর জন্য হাঁটার সময় মাথা ঝোঁকানো যাবে না, পেট চেপে রাখতে হবে এবং কাঁধ হতে হবে শিথিল।

29
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের কি কি পরিবর্তন আপনি নিজেই করতে পারবেন? * তথ্য পরিবর্তন * ঠিকানা পরিবর্তন * ভোটার এলাকা স্থানান্তর * পুনঃমূদ্রণ * ছবি পরিবর্তন *আবেদনপত্রের হাল অবস্থা   কিভাবে ছবি পরিবর্তন ও তথ্য হালনাগাদ ও আপনার সকল ডাটাবেজ দেখতে পারবেন? প্রথমে রেজিষ্ট্রেশন করতে এই লিংকে যান https://services.nidw.gov.bd/registration (এই সাইট https ফরম্যাটে হওয়াতে আপনার ফায়ারফক্স ব্রাউজারে এটা লেখা আসতে পারে This Connection is Untrusted সেক্ষেত্রে সমাধান হলো প্রথমে Understand the Risks ক্লিক করেন তারপর। * On the warning page, click I Understand the Risks. * Click “Add Exception‘…. The Add Security Exception dialog will appear. * Click “Confirm Security Exception” ক্লিক করুন সাইট চলে আসবে।   কারা অনলাইন সেবার জন্য রেজিষ্ট্রেশন করতে পারবেন আপনি ভোটার হয়ে থাকলে রেজিষ্ট্রেশন করে এই ওয়েবসাইটের সুবিধা নিন। রেজিষ্ট্রেশন করতে নিম্মের ধাপসমূহ অনুসরণ করুন- ১. প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী পূরণ করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন। ২. আপনার কার্ডের তথ্য ও মোবাইলে প্রাপ্ত এক্টিভেশন কোড সহকারে লগ ইন করুন। ৩. তথ্য পরিবর্তনের ফর্মে তথ্য হালনাগাদ করে সেটির প্রিন্ট নিয়ে নিন। ৪. প্রিন্টকৃত ফর্মে স্বাক্ষর করে সেটির স্ক্যানকৃত কপি অনলাইনে জমা দিন। ৫. তথ্য পরিবর্তনের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় দলিলাদি কালার স্ক্যান কপি অনলাইনে জমা দিন। এবার “রেজিষ্ট্রেশনফরম পূরণ করতে চাই” ক্লিক করুন।   এবার ফরমটি সঠিক ভাবে পুরণ করুন * এন.আই.ডি নম্বরঃ (আপনার এন.আই.ডি নম্বর যদি ১৩ সংখ্যার হয় তবে অবশ্যই প্রথমে আপনার জন্মসাল দিয়ে নিবেন উদাহরণঃ আপনার কার্ড নাম্বার ১২৩৪৫৬৭৮৯১০০০ ও জন্মসাল ১৯৯০ আপনি এভাবে দিবেন১৯৯০১২৩৪৫৬৭৮৯১০০০) * জন্ম তারিখঃ (কার্ড দেখে সিলেক্ট করুন) *মোবাইল ফোন নম্বরঃ (আপনার সঠিক মোবাইল নাম্বার দিন কারণ মোবাইলে ভেরিফাই কোড পাঠাবে) * ইমেইলঃ (ইচ্ছা হলে দিতে পারেন না দিলে সমস্যা নাই, ইমেইল আইডি দিলে পরবর্তীতে লগইন করার সময় ভেরিফাই কোড ইমেইলে সেন্ড করতে পারবেন যদি মোবাইল হাতের কাছে না থাকে) * বর্তমান ঠিকানা: বিভাগ জেলা উপজেলা/থানা সিলেক্ট করুন ভোটার হবার সময় যা দিয়েছিলেন। * স্থায়ী ঠিকানা: বিভাগ জেলা উপজেলা/থানা সিলেক্ট করুন ভোটার হবার সময় যা দিয়েছিলেন। * লগইন পাসওয়ার্ড: পাসওয়ার্ড অবশ্যই ৮ সংখ্যার হতে হবে বড় হাতের অক্ষর ও সংখ্যা থাকতে হবে যেমনঃ InfoPedia71 এবার সঠিক ভাবে ক্যাপচার পূরণ করুন ছোট হাতের বড় হাতের অক্ষর বা সংখ্যা যা দেওয়া আছে তাই বসান তবে স্পেস দিতে হবেনা । এবার “রেজিষ্টার” বাটন ক্লিক করে দ্বিতীয় ধাপে চলে যান। ফরম টি সঠিক ও সফল ভাবে রেজিস্টার করার পর দেখুন আপনার মোবাইলে ভেরিফাই কোড এসেছে ও ব্রাউজারে ঐ কোড সাবমিট করার অপশন এসেছে, নিচের ছবির মত স্থানে আপনার মোবাইলের ভেরিফিকেশন কোড বসান ও রেজিস্টার বাটনে ক্লিক করুন।   (২ মিনিটের মধ্যে মোবাইলে কোড না আসলে পুণরায় কোড পাঠান (SMS) ক্লিক করুন) সঠিক ভাবে কোড প্রবেশ করার পর আপনার Account Active হয়ে যাবে এবার একটি পেইজ আসবে আপনাকে লগইন করতে বলা হবে অথবা লগইন লিংক https://services.nidw.gov.bd/login লগইন করতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (১৩ সংখ্যার হলে অবশ্যই প্রথমে আপনার জন্মসাল দিয়ে নিবেন) জন্মতারিখ ও আপনার দেওয়া পাসওয়ার্ড দিয়ে ভেরিফাই কোড কিভাবে পেতে চান তা সিলেক্ট করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল নাম্বার আপনার হাতের কাছে থাকলে মোবাইলে তা না হলে ইমেইলে সিলেক্ট করুন। এবার “সামনে” ক্লিক করুন। এবার আপনার সিলেক্ট করা অপশন মোবাইলে বা ইমেইল থেকে ভেরিফাই কোড বসিয়ে লগইন করুন। দুই মিনিটের মধ্যে যদি কোড না আসে তবে “পুনরায় কোড পাঠান” বাটনে ক্লিক করুন। নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকা আপনার ডাটাবেজের সব তথ্য দেখা যাবে এবার। নিচের যেকোনো অপশনে চাহিদা অনুযায়ী ক্লিক করুন আর তথ্য হালনাগাদ করুন। এভাবেই আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সংশোধন কিংবা ছবি পরিবর্তন করতে পারবেন খুব সহজেই। কিভাবে অনলাইনে নতুন ভোটার হওয়া যাবে? অনলাইনে ভোটার হবার আবেদন করতে এই লিংকে যান https://services.nidw.gov.bd/newVoter আপনার ভোটার তথ্য পুরণ করুন। অনলাইনে ভোটার হতে নিচের শর্ত গুলো ভাল করে পড়ে নিন এবং “আমি রাজি ও নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে চাই” ক্লিক করুন।   নতুন ভোটার নিবন্ধন !! ১) নতুন ভোটার হিসাবে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাই। ক) ভূমিকাঃ * অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনি সঠিকভাবে ভোটার রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করতে পারবেন) * আপনি ইতোমধ্যে ভোটার হয়ে থাকলে পুনরায় আবেদন করার প্রয়োজন নেই। নিবন্ধিত ব্যাক্তি পুনরায় আবেদন করলে সেটি দন্ডনীয় অপরাধ * নতুন ১৮ বয়সের অধিক,  প্রবাসী বা বাদপড়া ভোটারগণ এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। * বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। খ। ধাপসমূহঃ * ধাপে ধাপে সকল তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। * নিজের পূর্ণনাম ছাড়া সকল তথ্য বাংলায় ইউনিকোডে পুরণ করুন। * সকল ধাপ সম্পন্ন হবার পরে প্রিভিউ এর মাধ্যমে সকল তথ্য পুনর্বার যাচাই করে নিন। * পিডিএফ ফাইল তৈরি করে সেটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে জমা দিন। *আপনার প্রদত্ত তথ্যাদি যাচাই এবং ঠিকানা যাচাইয়ের পরে তথ্যাদি সঠিক নিশ্চিত হলে আপনার কার্ড তৈরি হবে। *কার্ডের রশিদ জমা দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করুন। * ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের কপি জমা দিন জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন সংক্রান্ত ১।প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ২।প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করাহলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে? উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে। ৩।প্রশ্নঃ ভুল ক্রমে পিতা/স্বামী/মাতাকে মৃত হিসেবে উল্লেখ করা হলে সংশোধনের জন্য কি কি সনদ দাখিল করতে হবে? উত্তরঃ জীবিত পিতা/স্বামী/মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্র দাখিল করতে হবে। ৪।প্রশ্নঃ আমি অবিবাহিত। আমার কার্ডে পিতা না লিখে স্বামী লেখা হয়েছে। কিভাবে তা সংশোধন করা যাবে? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আপনি বিবাহিত নন মর্মে প্রমাণাদিসহ আবেদন করতে হবে। ৫।প্রশ্নঃ বিয়ের পর স্বামীর নাম সংযোজনের প্রক্রিয়া কি? উত্তরঃ নিকাহনামা ও স্বামীর আইডি কার্ড এর ফটোকপি সংযুক্ত করে NID Registration Wing/ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর আবেদন করতে হবে। ৬।প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এখন ID Card থেকে স্বামীর নাম কিভাবে বাদ দিতে হবে? উত্তরঃ বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত দলিল (তালাকনামা) সংযুক্ত করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। ৭।|প্রশ্নঃ বিবাহ বিচ্ছেদের পর নতুন বিবাহ করেছি এখন আগের স্বামীর নামের স্থলে বর্তমান স্বামীর নাম কি ভাবে সংযুক্ত করতে পারি? উত্তরঃ প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের তালাকনামা ও পরবর্তী বিয়ে কাবিননামাসহ সংশোধন ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে। ৮।প্রশ্নঃ আমি আমার পেশা পরিবর্তন করতে চাই কিন্তু কিভাবে করতে পারি? উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে প্রামাণিক কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। উলেখ্য, আইডি কার্ডে এ তথ্য মুদ্রণ করা হয় না। ৯।প্রশ্নঃ আমার ID Card এরছবি অস্পষ্ট, ছবি পরিবর্তন করতে হলে কি করা দরকার? উত্তরঃ এক্ষেত্রে নিজে সরাসরি উপস্থিত হয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। ১০।প্রশ্নঃ নিজ/পিতা/স্বামী/মাতার নামের বানান সংশোধন করতে আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে? উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সদন, চাকুরীর প্রমাণপত্র, নিকাহ্‌নামা, পিতা/স্বামী/মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়। ১১.প্রশ্নঃ নিজের ডাক নাম বা অন্যনামেনিবন্ধিত হলে সংশোধনে রজন্য আবেদনের সাথে কি কি দলিল জমা দিতে হবে? উত্তরঃ এসএসসি/সমমান সনদ, বিবাহিতদের ক্ষেত্রে স্ত্রী/ স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি, ম্যাজিট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, ওয়ারিশ সনদ,ইউনিয়ন/পৌর বা সিটি কর্পোরেশন হতে আপনার নাম সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র। ১২।প্রশ্নঃ পিতা/মাতাকে ‘মৃত’ উল্লেখ করতে চাইলে কিকি সনদ দাখিল করতে হয়? উত্তরঃ পিতা/মাতা/স্বামী মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত সনদ দাখিল করতে হবে। ১৩।প্রশ্নঃ ঠিকানা কিভাবে পরিবর্তন/ সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ শুধুমাত্র আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণেই ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে যে এলাকায় বসবাস করছেন সেই এলাকার উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসে ফর্ম ১৩ এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। তবে একই ভোটার এলাকার মধ্যে পরিবর্তন বা ঠিকানার তথ্য বা বানানগত কোন ভুল থাকলে সাধারণ সংশোধনের আবেদন ফরমে আবেদন করে সংশোধন করা যাবে। ১৪।প্রশ্নঃ আমি বৃদ্ধ ও অত্যন্ত দরিদ্র ফলে বয়স্কভাতা বাঅন্য কোন ভাতা খুব প্রয়োজন।কিন্তু নির্দিষ্ট বয়স নাহওয়ার ফলে কোন সরকারী সুবিধা পাচ্ছিনা।লোকে বলে ID Card –এ বয়সটা বাড়ালে ঐ সকল ভাতা পাওয়া যাবে? উত্তরঃ ID Card এ প্রদত্ত বয়স প্রামাণিক দলিল ব্যতিত পরিবর্তন সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, প্রামানিক দলিল তদন্ত ও পরীক্ষা করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ১৫।প্রশ্নঃ একই পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের কার্ডে পিতা/মাতার নাম বিভিন্ন ভাবে লেখাহয়েছে কিভাবে তাসংশোধন করা যায়? উত্তরঃ সকলের কার্ডের কপি ও সম্পর্কের বিবরণ দিয়ে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর পর্যাপ্ত প্রামাণিক দলিলসহ আবেদন করতে হবে। ১৬।প্রশ্নঃ আমি পাশনাকরে ও অজ্ঞতা বশতঃশিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তদুর্দ্ধ লিখেছিলাম এখন আমার বয়স বা অন্যান্য তথ্যা দিসংশোধনের উপায়কি? উত্তরঃ আপনি ম্যাজিট্রেট আদালতে এস.এস.সি পাশ করেননি, ভুলক্রমে লিখেছিলেন মর্মে হলফনামা করে এর কপিসহ সংশোধনের আবেদন করলে তা সংশোধন করা যাবে। ১৭।প্রশ্নঃ ID Card এ অন্য ব্যক্তির তথ্য চলে এসেছে। এ ভুল কি ভাবে সংশোধন করা যাবে? উত্তরঃ ভুল তথ্যের সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত দলিল উপস্থাপন করে NID Registration Wing/সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই করার পর সঠিক পাওয়া গেলে সংশোধনের প্রক্রিয়া করা হবে। ১৮।প্রশ্নঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভূক্ত বা সংশোধনের জন্য কি করতে হয়? উত্তরঃ রক্তের গ্রুপ অন্তর্ভুক্ত বা সংশোধন করতে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়কৃত ডায়াগনোসটিক রিপোর্ট দাখিল করতে হয়। ১৯।প্রশ্নঃ বয়স/জন্ম তারিখ পরিবর্তন করার প্রক্রিয়া কি? উত্তরঃ এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার সনদের সত্যায়িত ফটোকপি আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে। এসএসসি বা সমমানের সনদ প্রাপ্ত না হয়ে থাকলে সঠিক বয়সের পক্ষে সকল দলিল উপস্থাপনপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনে ডাক্তারী পরীক্ষা সাপেক্ষে সঠিক নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। ২০।প্রশ্নঃ স্বাক্ষর পরিবর্তন করতে চাই, কিভাবে করতে পারি? উত্তরঃ নতুন স্বাক্ষর এর নমুনাসহ গ্রহণযোগ্য প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে। তবে স্বাক্ষর একবারই পরিবর্তন করা যাবে। ২১।প্রশ্নঃ আমার জন্মতারিখ যথাযথ ভাবে লেখা হয় নি, আমার কাছে প্রামাণিক কোন দলিল নেই, কিভাবে সংশোধন করা যাবে? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ২২।প্রশ্নঃ একটি কার্ড কতবার সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ এক তথ্য শুধুমাত্র একবার সংশোধন করা যাবে। তবে যুক্তিযুক্ত না হলে কোন সংশোধন গ্রহণযোগ্য হবে না। ২৩।প্রশ্নঃ ID Card হারিয়ে গিয়েছে। কিভাবে নতুন কার্ড পেতে পারি? উত্তরঃ নিকটতম থানায় জিডি করে জিডির মূল কপিসহ সংশ্লিষ্ট উপজেল/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে অথবা ঢাকায় জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হবে। ২৪।প্রশ্নঃ হারানো আইডি কার্ড পেতে বা তথ্য সংশোধনের জন্য কি কোন ফি দিতে হয়? উত্তরঃ এখনো হারানো কার্ড পেতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না। তবে ভবিষ্যতে হারানো আইডি কার্ড পেতে/সংশোধন করতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি ধার্য করা হবে। ২৫।প্রশ্নঃ প্রাপ্তি স্বীকার পত্র/স্লিপ হারালে করণীয় কি? উত্তরঃ স্লিপ হারালেও থানায় জিডি করে সঠিক ভোটার আইডি নাম্বার দিয়ে হারানো কার্ডের জন্য আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। ২৬।প্রশ্নঃ প্রাপ্তিস্বীকারপত্র / ID Card হারিয়ে গেছে কিন্তু কোন Document নেই বা NID নম্বর/ভোটার নম্বর/স্লিপের নম্বর নেই, সেক্ষেত্রে কি করণীয়? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/ থানা/ জেলা নির্বাচন অফিস থেকে Voter Number সংগ্রহ করে NID Registration Wing/ উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে আবেদন করতে হবে। ২৭।প্রশ্নঃ জাতীয় পরিচয় পত্রে নেই কিন্তু তথ্য পরিবর্তিত হয়েছে এমন তথ্যাদিপরিবর্তন কি ভাবে সম্ভব? উত্তরঃজাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে এ সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি সহ আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে বিবেচনা করা হবে। ২৮।প্রশ্নঃ আমি যথাসময়ে ভোটার হিসেবে Registration করতে পারিনি। এখন কি করা যাবে? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করতে পারেন। ২৯।প্রশ্নঃ আমি বিদেশে অবস্থানের কারণে Voter Registration করতে পারিনি, এখন কি ভাবে করতে পারবো? উত্তরঃ সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে বাংলাদেশ পাসপোর্ট-এর অনুলিপিসহ জন্ম সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, এসএসসি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সনদ, ঠিকানার সমর্থনে ইউটিলিটি বিলের কপি বা বাড়ী ভাড়া বা হোল্ডিং ট্যাক্সের রশিদের কপিসহ আবেদন করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ফর্মসমূহ পূরণ করতে হবে। ৩০।প্রশ্নঃ আমি ২০০৭/২০০৮ অথবা ২০০৯/২০১০ সালে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছি কিন্তু সেইসময় আইডি কার্ড গ্রহণ করিনি।এখন কিভাবে আইডিকার্ড পেতে পারি? উত্তরঃ আপনি আপনার ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রদত্ত প্রাপ্তি স্বীকার পত্রটি নিয়ে যে স্থানে ভোটার হয়েছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। যদি সেখানেও না পাওয়া যায় তাহলে প্রাপ্তি রশিদে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের মন্তব্যসহ স্বাক্ষর ও সিল দিয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে যোগাযোগ করা যাবে। ৩১।প্রশ্নঃ ভোটার তালিকার নামের সাথে বিভিন্ন খেতাব, পেশা, ধর্মীয় উপাধি, পদবী ইত্যাদি যুক্ত করা যাবে কি না? উত্তরঃ ভোটার তালিকার ডাটাবেজে শুধুমাত্র নাম সংযুক্ত করা হয়, কোন উপাধি বা অর্জিত পদবী তাতে সংযুক্ত করার অবকাশ নাই। ৩২।প্রশ্নঃ কোথা হতে ID Card সংগ্রহ করা যাবে? উত্তরঃ যে এলাকায় ভোটার রেজিস্ট্রেশন করেছেন সেই এলাকার উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ID Card সংগ্রহ করা যাবে। ৩৩।প্রশ্নঃআমি বিদেশে চলে যাব। আমার কার্ডকি অন্য কেউ উত্তোলন করতে পারবে? উত্তরঃ হ্যাঁ। আপনার ক্ষমতা প্রাপ্ত প্রতিনিধির যথাযথ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (Authorization Letter) নিয়ে তা সংগ্রহ করাতে পারবে। ৩৪।প্রশ্নঃ কার্ডে ইচ্ছাকৃ তভুল তথ্য দিলে কিহবে? উত্তরঃ জেল বা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দণ্ডিত হতে পারে। ৩৫।জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ১৩ আবার কারো ১৭ কেন? উত্তরঃ ২০০৮ এর পরে যত আইডি কার্ড প্রিন্ট করা হচ্ছে বা পুণঃ তৈরি হচ্ছে সে সকল কার্ডের নম্বর ১৭ ডিজিট হয়ে থাকে। ৩৬।প্রশ্নঃ বিভিন্ন দলিলে আমার বিভিন্ন বয়স/নাম আছে। কোনটা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে? উত্তরঃ এসএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষার সনদে উল্লেখিত বয়স ও নাম। ভবিষ্যতে ৫ম/৮ম সমাপনী পরীক্ষার সনদ ও গ্রহণযোগ্য হবে। লেখাপড়া না জানা থাকলে জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে ও আবেদন করা যাবে। ৩৭।প্রশ্নঃ আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে কি ডুপ্লিকেট এন্ট্রিসনাক্ত করা সম্ভব? উত্তরঃ হ্যাঁ, সনাক্ত করা সম্ভব। ৩৮।প্রশ্নঃ এক ব্যক্তির পক্ষেকি একাধিক নামেও বয়সে একাধিক কার্ডপাওয়া সম্ভব? উত্তরঃ না। একজন একটি মাত্র কার্ড করতে পারবেন। তথ্য গোপন করে একাধিক স্থানে ভোটার হলে কেন্দ্রীয় সার্ভারে আঙুলের ছাপ দ্বারা তা ধরা পড়বে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। ৩৯।প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ পত্রাদি প্রয়োজন? উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, এস,এস,সি বা সমমানের পরীক্ষা পাসের সনদ (যদি থাকে), ঠিকানা প্রমানের জন্য কোন ইউটিলিটি বিলের কপি, নাগরিক সনদ, বাবা-মা এবং বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর NID কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, TIN নম্বর (যদি থাকে)। ৪০।প্রশ্নঃ আমি খুব দরিদ্র ও বয়স ১৮বছরে রকম।১৮ বছরে রউপরে বয়স দেখিয়ে একটি ID Card পেলে গার্মেন্টেস ফ্যাক্টরিতে বা অন্য কোথাও চাকুরী পেতে পারি।মানবিক কারণে এই পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায় কি? উত্তরঃ না। ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।মানবিক বিবেচনার কোন সুযোগ নেই। ৪১।প্রশ্নঃ আমি ভুলে দু’বার রেজিস্ট্রেশন করে ফেলে ছি এখন কি করবো? উত্তরঃ যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা জানান। বর্তমানে Finger Print Matching কার্যক্রম চলছে। অচিরেই সকল Duplicate Entry সনাক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ৪২।প্রশ্নঃ ID Card আছে কিন্তু ২০০৮ এর সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় নাম ছিল না।এরূপ সমস্যা সমাধানের উপায় কি? উত্তরঃ অবিলম্বে NID Registration Wing/ উপজেলা/ জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন। ৪৩।প্রশ্নঃ এক জনের কার্ডঅ ন্যজন সংগ্রহ করতে পারবে কি না? উত্তরঃ ক্ষমতাপত্র ও প্রাপ্তিস্বীকার রশিদ নিয়ে আসলে সংগ্রহ করা যাবে। ৪৪।প্রশ্নঃ আপনারা বিভিন্ন ফরমের কথা বলেছেন? এগুলো কোথায় পাওয়া যাবে? উত্তরঃ NID Registration Wing/উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে সংগ্রহ করা যাবে অথবা Website : http://www.ecs.gov.bd বা http://www.nidw.gov.bd থেকে ডাউন-লোড করা যাবে। ৪৫।প্রশ্নঃ এইসমস্ত ফরমের জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হয় কি না? উত্তরঃ না। জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে করণীয় ৪৬।প্রশ্নঃ কার্ডের তথ্য কিভাবে সংশোধন করা যায়? উত্তরঃ এনআইডি রেজিস্ট্রেশন উইং/উপজেলা/থানা/জেলা নির্বাচন অফিসে ভুল তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হবে। সংশোধনের পক্ষে পর্যাপ্ত উপযুক্ত দলিলাদি আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।   ৪৭।প্রশ্নঃ কার্ডে কোন সংশোধন করা হলে তার কি কোন রেকর্ড রাখা হবে? উত্তরঃ সকল সংশোধনের রেকর্ড সেন্ট্রাল ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকে।   উল্লেখ্য, ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নবায়ন এবং হারানো বা নষ্ট হলে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র নেয়ার জন্য আলাদা আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বর্তমানে লাগেনা।   পরিচয়পত্র নবায়ন করতে সাধারণ ১শ’ টাকা ও জরুরি ১৫০ টাকা দিতে হবে। হারিয়ে ফেললে বা নষ্ট হলে নতুন পরিচয়পত্র নিতে প্রথমবার আবেদনে ২শ’ টাকা, জরুরি ভিত্তিতে ৩শ’ টাকা। দ্বিতীয়বার আবেদনে ৩শ’ টাকা জরুরি ভিত্তিতে ৫শ’ এবং পরবর্তী যে কোনো ৫শ’ টাকা ও জরুরি প্রয়োজনে ১ হাজার টাকা দিতে হবে ।   বর্তমানে ৯ কোটি ৬২ লাখেরও বেশি ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। তাদেরকে বিনামূল্যে লেমিনেটে পরিচয়পত্র দেয়া হয়। এর মেয়াদ রয়েছে ১৫ বছর। এ সময়ের পরেই নবায়ন করা যাবে এ পরিচয়পত্র। তবে হারানো বা নষ্ট হলে গেলে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র সংগ্রহে ইসির পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে আবেদন করতে হয়। এ আবেদনের মাধ্যমে এতদিন বিনামূল্যে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা যেত। এখন থেকে নির্ধারিত ফি ইসি সচিব বরাবর পে অর্ডার বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। 

30


১) এলাচ এবং আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

২) দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।

৩) রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।

৪) এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।

৫) মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।

৬) নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।

৭) গবেষণায় দেখা যায় নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।

৮) এলাচের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল, ফ্রি র্যাহডিকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক।

Pages: 1 [2] 3 4