Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Anuz

Pages: 1 ... 39 40 [41] 42 43 ... 47
601
প্রথম বন্ধু: আমি ফেসবুকের সর্বোত্তম ব্যবহার করতে চাই। কীভাবে করতে পারি?

দ্বিতীয় বন্ধু: প্রথমে অ্যাকাউন্টের সিকিউরিটি সেটিংসে যাবি; তারপর ডিঅ্যাকটিভেট ইয়োর অ্যাকাউন্ট অপশনে গিয়ে আইডি ডিঅ্যাকটিভেট করবি। অতঃপর লাইফের আসল কাজগুলো করায় মন দিবি!

602
Jokes / বিয়ের আগে এবং পরে
« on: March 20, 2016, 03:18:24 PM »
বিয়ের আগে
বিয়ের কথা ভাবা হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার বিপক্ষে কল্পনার জয়।
দুজনই বলে, তারা একে অন্যের জন্য নরকে পর্যন্ত যেতে রাজি।
তারা এমনই ভালোবাসে, যে ভালোবাসা অন্ধ!
মনে হয় অনেক ঝক্কিঝামেলা পেরোনোর পর বিয়ে করতে হবে।
ছেলেরা ভাবে, তাদের জীবনে কোনো ভুল নেই।

বিয়ের পরে
দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবা হচ্ছে অভিজ্ঞতার বিপক্ষে আশাবাদের জয়।
তাদের সে আশা পূর্ণ হয়েছে, তারা একসঙ্গেই সংসার করে।
তাদের চোখ খুলে যায়।
মনে হয় বিয়ের পরই আসলে অনেক ঝক্কিঝামেলা শুরু হতে যাচ্ছে।
থাক সে কথা! এটা ছাপা হওয়ার দুই দিন পরে হলেও তো আমাকে বাসায়ই ফিরতে হবে। তাই না?

603
ফিলিপাইনের আর্থিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ী কিম ওয়ংকেই মূল পরিকল্পনাকারী বলে মনে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ফিলিপাইনের সিনেটর সেরগে ওসমেনা।
ওসমেনা গত শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাকাতি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া সান্তোস-দেগুইতো ওই অর্থ চুরির ঘটনায় সর্বোচ্চ দোষী নন। গত বৃহস্পতিবার সিনেট শুনানিতে তাঁর কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। চুরি যাওয়া অর্থ আরসিবিসির যে কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়েছিল, ওয়ংই সেগুলো খোলার জন্য দেগুইতোকে বলেছিলেন। মুদ্রা রূপান্তরকারী প্রতিষ্ঠান ফিলরেমের সেবা নেওয়ার নির্দেশও দেন ওয়ং।
ওসমেনা আরও বলেন, সিনেট কমিটির সামনে ওয়ংকে হাজির হতে হবে এবং তিনি তখন ওই চুরির ঘটনায় নিজ ভূমিকা বর্ণনা করার সুযোগ পাবেন।
নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ আরসিবিসির মাধ্যমে চীনের কয়েকজন কম্পিউটার হ্যাকার সে দেশের একাধিক ক্যাসিনোয় স্থানান্তর করেন।
ওসমেনা বলেন, চুরির পুরো প্রক্রিয়ায় একজন সমন্বয়কারী ছিলেন। মনে হচ্ছে কিম ওয়ংই সেই ব্যক্তি। তবে তাঁকে এ বিষয়ে নিজ বক্তব্য উপস্থাপনের সুযোগ দিতে হবে। তিনি ওই চুরির ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণালাভের জন্যই তাঁর কথা শুনতে হবে।
ওয়ং এখন চিকিৎসার জন্য ফিলিপাইনের বাইরে অবস্থান করছেন বলে তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন। দেগুইতো কেন ওয়ংয়ের কথামতো কাজ করেছিলেন—এ প্রশ্নের জবাবে ওসমেনা বলেন, তাঁরা পরস্পরকে চিনতেন। ডলারের পাঁচটি ব্যাংক হিসাব খোলার জন্য দেগুইতোকে অনুরোধ করেন ওয়ং। মিদাস হোটেলে এক বৈঠকে তিনি ওই হিসাবগুলো খোলার জন্য পাঁচ ব্যক্তির নাম ও তথ্য দেন। দেগুইতো তাঁদের পরিচয়পত্র যাচাই করেন এবং পরে তাঁর কাছে এসব ব্যাংক হিসাবের জন্য আড়াই হাজার ডলার পাঠানো হয়। বাংলাদেশের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় ওই পাঁচটি ব্যাংক হিসাবের মধ্যে চারটি ব্যবহার করা হয়েছে। সিনেট কমিটির শুনানিতে ওই চারটি ব্যাংক হিসাবধারী ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা উপস্থাপন করলে দেখা যায় সেগুলো ভুয়া। আরসিবিসির চারটি হিসাবে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পৌঁছার পর সেগুলো অন্যান্য ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর আগে পেসোতে রূপান্তরের জন্য ফিলরেমকে ব্যবহার করতে দেগুইতোকে নির্দেশ দেন ওয়ং।
আরসিবিসির আরও দুই কর্মকর্তা ওই চুরিতে জড়িত থাকতে পারেন বলে গত বৃহস্পতিবার মন্তব্য করেন সিনেটর তেওফিস্তো গিংগোনা (তৃতীয়)। তিনি বলেন, সিনেটের রুদ্ধদ্বার শুনানিতে দেগুইতো এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। স্পষ্টত একটি চক্র ওই চুরির ঘটনায় জড়িত। কোনো এক ব্যক্তির পক্ষে এটা সম্ভব হতো না।
ওসমেনা বলেন, দেগুইতো শুনানিতে বলেছেন যে আরসিবিসির জুপিটার শাখায় সরাসরি ওই অর্থ জমা হয়নি। সেগুলো প্রথমে ব্যাংকের ট্রেজারিতে গিয়েছিল। সিনেট কমিটি এখন আরসিবিসির কোনো কর্মকর্তার অব্যাহতি নয়, বরং ঘটনার পুরোটা জানতে চায়।
রুদ্ধদ্বার শুনানিতে দেগুইতো কেমন জবাব দিয়েছেন—জানতে চাইলে ওসমেনা বলেন, তাঁকে বেশ শান্ত এবং বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। তিনি নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন এবং সবগুলো প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেছেন, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর পরোয়া না করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ফিলিপাইনের বিচার বিভাগের তদন্তে দেগুইতোকে গত শুক্রবার তলব করে। আরেকটি নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী ১২ ও ১৯ এপ্রিল তাঁকে প্রাথমিক শুনানিতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বিচার বিভাগ নির্ধারণ করবে, অর্থ চুরির ওই ঘটনায় দেগুইতোর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা যায় কি না।

604
আজকাল অপেক্ষাকৃত কম বয়সেই অনেকের হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে। এদের অনেকেই পুরোপুরি কর্মক্ষম ব্যক্তি। হৃদ্যন্ত্রের এই গুরুতর অসুখ মানে মধ্যবয়সেই ছন্দপতন। তাই হার্ট অ্যাটাকের পর কর্মজীবনে ও সংসারজীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। হৃদ্রোগকে আর আপনার ওপর শাসন করতে দেওয়া যাবে না, বরং আপনিই শাসন করবেন আপনার রোগকে। এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
* ধূমপানকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে। পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার ১০ বছরের মাথায় ধূমপানের যাবতীয় প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
* চর্বিযুক্ত খাবারও একেবারে বাদ দিন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যোগ করুন পর্যাপ্ত শাকসবজি, ফলমূল। অফিসের ক্যানটিন বা অফিসের পাশের রেস্তোরাঁকে বিদায় জানানোর সময় এখন। বাড়ি থেকে নিন স্বাস্থ্যকর দুপুরের খাবার। মাঝে খিদে পেলে ফলমূল বা বাদামজাতীয় হালকা কিছু খান।
* আগে কী ছিল না ভেবে এবার পরখ করে দেখুন আপনার ওজন, রক্তের শর্করা ও রক্তচাপ আদৌ নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা। রক্তে চর্বির পরিমাণ যাচাই করুন। সঠিক ওজনে ফিরে আসতে সচেষ্ট হন।
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রক্তে চর্বি ও শর্করার পরিমাণও নির্ধারিত মাত্রার নিচে থাকবে। বছরে অন্তত দুবার রক্তে চর্বি ও শর্করার গড় এইচবিএওয়ানসি পরীক্ষা করতে হবে। ওষুধপত্রের কোনো পরিবর্তন দরকার কি না, চিকিৎসকের কাছে জেনে নিন।
* সাধারণত হার্ট অ্যাটাকের এক থেকে দেড় মাস পর থেকেই নিয়মিত ব্যায়াম ও হাঁটা শুরু করা যায়। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস করুন।
* হার্ট অ্যাটাকের পর অনেকেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হন। কাজের চাপ ও মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন। পরিবার, স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটান।
হার্ট অ্যাটাক মানেই এমন নয় যে আপনি হেরে গেলেন। হার্ট অ্যাটাকের পরও সুশৃঙ্খল সুন্দর জীবনযাপন আপনাকে আরও অনেক দিন সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

ডা. শরদিন্দু শেখর রায়
জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল

605
গতকাল দুপুরে প্রথম দুঃসংবাদটি এল আরাফাত সানিকে ঘিরে। বাঁহাতি এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করেছে আইসিসি! সন্ধ্যায় এল আরেকটি দুঃসংবাদ—আইসিসি ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশনকেও বলেছে অবৈধ। তার মানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বের হল্যান্ড ম্যাচে আম্পায়াররা যে সন্দেহ করেছিলেন, দুজনের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা করে সেটাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। তাই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখানেই শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের এই দুই বোলারের।
বাঁহাতি স্পিনার সানির বিকল্প হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে আরেক বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীবকে। তবে তাসকিনের বিকল্প অফ স্পিনার ও ব্যাটসম্যান শুভাগত হোম চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুভাগতর অভিষেক হয়েছে আগেই। সাতটি টেস্ট ছাড়াও ওয়ানডে খেলেছেন চারটি ও টি-টোয়েন্টি দুটি। তবে সাকলাইন এখনো আছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের অপেক্ষায়, যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি যথেষ্টই অভিজ্ঞ। ৬৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ছাড়াও খেলেছেন ৫৯টি লিস্ট ‘এ’ ও ৩২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটেও সানির বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। তাঁর অ্যাকশনে ত্রুটি থাকাটা তাই অনুমিতই ছিল। কিন্তু ভারতে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বিসিবিসহ সবাই মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন যে, তাসকিনের অ্যাকশন চেন্নাইয়ের রামাচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগার থেকে শুদ্ধতার ছাড়পত্র নিয়ে ফিরবে। শেষ পর্যন্ত এক যাত্রায় দুই ফল হলো না তাসকিন-সানির। কাল সন্ধ্যায় আইসিসি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয়, দুজনের বোলিং অ্যাকশনই অবৈধ। অ্যাকশন শুদ্ধ প্রমাণিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না তাঁরা। আইসিসির সদস্যদেশগুলোর ঘরোয়া ক্রিকেটেও এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে। তবে বিসিবি চাইলে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁদের বোলিংয়ের সুযোগ দিতে পারে।
হল্যান্ড ম্যাচে আম্পায়াররা সন্দেহ প্রকাশ করার পর ১২ মার্চ স্পিন কোচ রুয়ান কালপাগের সঙ্গে সানি ও ১৫ মার্চ বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে তাসকিন চেন্নাইয়ে গিয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। কাল সেগুলোরই চূড়ান্ত রিপোর্ট আসে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বেশির ভাগ বলেই সানির কনুই ১৫ ডিগ্রির বেশি বাঁকা হয়ে যায়। তবে তাসকিনের ক্ষেত্রে সব বলে সমস্যাটা হয় না। কিছু কিছু বলে হয়।
নিয়ম অনুযায়ী তাসকিন-সানিকে এখন বিসিবির অধীনে বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করার কাজ করে আবারও পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা থাকে না। বোলিং অ্যাকশন শুদ্ধ করে কখন পরীক্ষা দেওয়া যাবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন সানি-তাসকিন এবং তাঁদের পুনর্বাসন পরিচালনা করা কোচরাই।
সানির বিকল্প মোটামুটি ঠিক করাই ছিল। আইসিসির ঘোষণা আসার পরই তাঁর জায়গায় বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজীবকে পাঠানোর কথা জানান নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘সানির বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছে। আমরা সাকলাইন সজীবকে তার বিকল্প হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কিন্তু পরে তাসকিনের অ্যাকশনও অবৈধ ঘোষিত হলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান নির্বাচকেরা। প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ দেশের বাইরে থাকায় টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে হাবিবুল এবং আরেক নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন শুভাগতকে তাসকিনের বিকল্প হিসেবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন।

606
যদিও অনুষ্ঠানে আরও অংশ নিচ্ছেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী আরতি মুখোপাধ্যায়, শ্রাবণী সেন, রেখা ভরদ্বাজ ও সাধনা সরগম, কিন্তু এরপরও আমাদের দেশের কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা যে অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে তো আলাদা আগ্রহ এই অঞ্চলের দর্শকদের থাকবেই। তাঁদের জন্যই বলে রাখা, আজ বুধবার দেখা যাবে রুনা লায়লাকে জি বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দাদাগিরি’তে।
দাদাগিরি অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। আজকের পর্বটি প্রচারিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।

607
তিনি কোনো দিন বাংলাদেশে যাননি। কিন্তু টেলিভিশনে বাংলাদেশের ক্রিকেট থাকলে হাঁ করে দেখেন। ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি অমিতাভ বচ্চন মনে করেন, এভাবে খেলতে থাকলে বাংলাদেশ একদিন বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করবে। তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসানদের জন্য আরও একটা খবর, আজ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের খেলা অমিতাভ বচ্চন কিন্তু আগ্রহ নিয়ে দেখবেন। বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য আমার শুভেচ্ছা রইল।’
অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় ও সুজিত সরকারের প্রযোজনায় পিংক সিনেমার শুটিংয়ের জন্য অমিতাভ এখন দিল্লিতে। মজার কথা, দিল্লির যে এলাকায় তাঁর বাবা কবি হরিবংশরাই বচ্চনবাড়ি করেছিলেন, এখনো দিল্লি এলে যে বাড়ি অমিতাভের ঠিকানা, পিংক-এর শুটিং হচ্ছে সেই পাড়াতেই। সেখানেই তাঁর ভ্যানিটিতে বসে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা শিল্পী ও ভারতীয় বিনোদন জগতের ‘ভীষ্ম পিতামহ’ প্রথম আলোকে বললেন, ‘বাংলাদেশকে যত দেখছি, ততই মুগ্ধ হচ্ছি। কী খেলছে ছেলেগুলো! কী প্যাশন! আহা, চোখ জুড়িয়ে যায়।’
এই ‘প্যাশন’ই অমিতাভকে মোহিত করে রেখেছে। বললেন, ‘দেশকে ভালো না বাসলে এই প্যাশন বোধ হয় আসতে পারে না। ঢাকায় এশিয়া কাপে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে ওই ছেলেগুলো যখন হারাচ্ছিল, আমি ওদের চোখমুখগুলো অবাক হয়ে দেখছিলাম। যেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আর কিছু নেই! বাংলাদেশের জয়ই যেন একমাত্র সত্য, বাকি সব মিথ্যা। মনে হচ্ছিল, জেতা ছাড়া ওদের আর কোনো লক্ষ্য নেই। যেন এই খেলার ওপরই নির্ভর করছে ১৬ কোটি মানুষের বাঁচা-মরা। এই প্যাশন আমি বহুদিন কোনো দেশের ১১ জনের চোখে-মুখে দেখিনি।’ভারতের দিল্লির গুলমোহর পার্কে পিংক ছবির শুটিংয়ে বলিউডের অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। ছবি: প্রথম আলোকী করে এই প্যাশন আসে?

608
ICT / পুরোনো ল্যাপটপে অফার
« on: March 16, 2016, 10:04:00 AM »
পুরোনো ল্যাপটপের বদলে নতুন ল্যাপটপ দেবে সিস্টেমআই টেকনোলজিস লিমিটেড। ২৬ মার্চ পর্যন্ত এ সুযোগ থাকবে। পুরোনো ল্যাপটপের মূল্য নির্ধারণ করে নতুন ল্যাপটপের সঙ্গে তা সমন্বয় করা হবে।

609
শচীন টেন্ডুলকারের চোখে ভারত ফেবারিট। কপিল দেব, ব্রায়ান লারাদেরও তা-ই। ভারতের বাইরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ের দৌড়ে বেশির ভাগ বিশ্লেষকের দ্বিতীয় পছন্দ অস্ট্রেলিয়া। যেকোনো বিশ্বকাপের শুরুতেই এমন ‘ফেবারিট-তত্ত্ব’ বেশ আলোচনায় আসে। তবে ইয়ান বোথাম একটু ব্যতিক্রম। সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্রিকেটের ‘লটারি’তে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখছেন না ইংল্যান্ড কিংবদন্তি। তাঁর চোখে ভারত আর ইংল্যান্ড এখানে একই সারিতে। এখানে অস্ট্রেলিয়ার যতটুকু সম্ভাবনা, ঠিক ততটুকুই সম্ভাবনা দেখছেন বাংলাদেশেরও।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইংলিশ দৈনিক ডেইলি মিরর-এ নিয়মিত কলাম লিখছেন বোথাম। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক লেখার শুরুতেই অবশ্য ভবিষ্যদ্বাণীতে নিজের ‘অক্ষমতা’ স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় লটারিতে স্বাগত। বিশ্ব টি-টোয়েন্টির বাউন্ডারি উৎসব চমক নিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে। তবে আমার কোনো ধারণাই নেই কে টুর্নামেন্টটা জিতবে। কীভাবে ধারণা থাকবে! এটা কি কেউ বলতে পারে নাকি?’
এই অনিশ্চয়তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ৬০ বছর বয়সী সাবেক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের পাঁচ আসর যেমন নাটকীয়তা উপহার দিয়েছে, তাতে কোনো দলকে সরাসরি ফেবারিট বলে দেওয়া আসলেই বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বোথাম সেই উদাহরণ টেনে এনেই লিখেছেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আকাশটা অনেক উন্মুক্ত। কে ভেবেছিল ২০১০ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ জিতবে? ২০১২-তে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই বা কে এগিয়ে রেখেছিল? এখানে কোনো একজন খেলোয়াড়ের ভালো দিন হলেই ম্যাচ জেতা যায়।’
এ কারণেই নিজ দেশকেও শিরোপার ঘোড়দৌড়ে রাখছেন ইংলিশ কিংবদন্তি, ‘ইংল্যান্ডও শিরোপার দাবিদার। তাঁদেরও অন্য যেকোনো দলের মতো সম্ভাবনা আছে। সেই দলটি অস্ট্রেলিয়া হতে পারে, শ্রীলঙ্কা হতে পারে, বাংলাদেশও হতে পারে।’

610
শিকারিকে নিয়ে অনিশ্চয়তা। শিকারকে নিয়েও!
সন্ধ্যা নাগাদ দ্বিতীয়টির উত্তর পাওয়া গেলেও প্রথমটি নিয়ে ধাঁধা থেকেই গেল।
সকালে পাকিস্তানের প্র্যাকটিসে নামা দূরে থাক, মাঠেই আসেননি শহীদ আফ্রিদি। জানা গেল, পাকিস্তান অধিনায়ক জ্বরে কাহিল। সেটি না খেলার মতো কি না, এই প্রশ্নটা গুঞ্জরিত হতে হতে ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে মিলিয়ে গেল। সন্ধ্যায় পাকিস্তান দলের মিডিয়া ম্যানেজার জানিয়ে দিলেন, আফ্রিদি খেলছেন।
বিকেলে বাংলাদেশের নেটে অনেকক্ষণ বোলিং করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। চোটের কারণে ১৪ দিন বিশ্রামে থাকার পর গত পরশু ধর্মশালায় ছোট্ট রানআপে কিছুক্ষণ বোলিং করেছেন। কালও সেভাবেই শুরু। একটু পরই অবশ্য পুরো রানআপে তেড়েফুঁড়ে বোলিং করলেন। মুস্তাফিজ কি তাহলে আজ খেলছেন?
কাল সারা দিন ইডেন গার্ডেনে এটি ‘কোটি টাকার প্রশ্ন’ হয়ে উড়ে বেড়াল। এর আগে কখনো বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার খেলছেন কি খেলছেন না, এ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার এমন আগ্রহ কি দেখা গেছে? মনে পড়ছে না।
প্রশ্নের উত্তরটা অবশ্য ম্যাচের আগের রাত পর্যন্তও অজানাই থেকে গেল। মাশরাফি মনেপ্রাণে এই ম্যাচে পেতে চাইছেন মুস্তাফিজকে। কোন অধিনায়কই না তা চাইবে! কিন্তু মুস্তাফিজের ফিটনেস নিয়ে সুনির্দিষ্ট উত্তর নাকি কালকের নেটেও পাওয়া যায়নি। আজ ম্যাচের আগে মাঠে আবার তাঁকে দেখে তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সংশয় জাগছে, দল থেকে দেওয়া এই অফিশিয়াল ভাষ্যই সত্যি, নাকি হিথ স্ট্রিকের ওই কথাটা! গত পরশু ধর্মশালায় বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ ওই যে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ‘মুস্তাফিজ খেললেও আমি তা আগে বলব না। পাকিস্তান ভেবে মরুক না!’ গত এপ্রিলে এই পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেই বিশ্ব ক্রিকেটে আবির্ভূত হয়েছিলেন ‘বিস্ময় বালক’। শহীদ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর প্রথম শিকার। লেখার শুরুতে ‘শিকারি’ ও ‘শিকার’ লেখার অর্থ পরিষ্কার হলো তো! সেই ম্যাচের পর আফ্রিদির সঙ্গে মুস্তাফিজের আর দেখা হয়নি। আজও হবে কি না অনিশ্চিত। হলে তা রোমাঞ্চকরই হবে।

বাংলাদেশের জন্য আসলে এই ম্যাচটাই রোমাঞ্চকর। টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর বিশ্বের বড় বড় সব মাঠেই খেলা হয়ে গেছে, অথচ ঘরের পাশে ইডেন গার্ডেনটাই বাদ ছিল। যেখানে বাংলাদেশের সর্বশেষ এবং একমাত্র ম্যাচটি প্রায় ২৬ বছর আগে। ১৯৯০ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচ একটা কারণে স্মরণীয়ও হয়ে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। বাংলাদেশ যে হেরেছিল, এটা উল্লেখ করার মতো কিছু নয়। বড় দলের বিপক্ষে হার-জিত নিয়ে তখন কে মাথা ঘামায়! তার পরও ম্যাচটা স্মরণীয়, কারণ ওই ম্যাচেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার ওয়ানডেতে প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন।
সেই ক্রিকেটার এখনো ক্রিকেটের সঙ্গেই আছেন। ধারাভাষ্যকার হয়ে। গত পরশু ধর্মশালা থেকে এক দিনের জন্য হংকং উড়ে গেছেন। বেঙ্গালুরু হয়ে আজ কলকাতায় আসার কথা। ধর্মশালা বিমানবন্দরে সেই সুখস্মৃতি রোমন্থন করতে করতে আতহার আলী খান বলছিলেন, ‘আমি লাকি ছিলাম, তাই ওদিন ওটা হয়ে গেছে। এই দল যেভাবে খেলছে, দেখুন না এবার ওরা কী করে ফেলে!’
বাংলাদেশ কিছু একটা করে ফেলতে পারে, এটা শুধু আতহারেরই কথা নয়। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই এমন একটা রব উঠে গেছে। মাশরাফির সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার সম্ভাবনা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন হলো। সেটিও করলেন বিদেশি সাংবাদিকেরা।
আফ্রিদির অনুপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন কোচ ওয়াকার ইউনিস। ম্যাচের আগের দিন প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ভালো কথা বলা মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সেটি ভুলে গিয়ে ওয়াকার বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। এমনও বললেন, শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এই উত্থান বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও ভালো।
পাকিস্তানের জন্য অবশ্য মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে নামা একটু কঠিনই। সীমিত ওভারের সর্বশেষ ৫টি ম্যাচেই বাংলাদেশের কাছে হারতে হয়েছে। এর মধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টিও আছে। একটা কথা অবশ্য বারবারই বললেন ওয়াকার। এটা বিশ্বকাপ এবং এখানে খেলাটা হবে ভিন্ন কন্ডিশনে। মাশরাফিও যা বিনা বাক্যে মেনে নিচ্ছেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক রেকর্ডের কথা তুলে যতবারই তাঁকে দিয়ে বাংলাদেশ ফেবারিট বলানোর চেষ্টা হলো, ততবারই তিনি বললেন, ‘ওতে কিছু আসে যায় না। ইতিহাস দেখুন, পাকিস্তান আমাদের চেয়ে অনেক ভালো দল।’
সেই ‘ভালো দল’কে যে হারানো যায়, গত এপ্রিলের আগে সেটিই অজানা ছিল বাংলাদেশের। একবার হারানো শুরু করার পর ছুটে চলা জয়রথ আর থামেনি। মাঠে শেষ পর্যন্ত যা-ই হোক, সুপার টেনে প্রথম প্রতিপক্ষ বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকলে বাংলাদেশ হয়তো পাকিস্তানকেই নিত।
মাশরাফির মতো সাকিবও অবশ্য মনে করিয়ে দিচ্ছেন, বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক ওলটপালটের মধ্যেও একটা ব্যাপার কখনো বদলায়নি। পাকিস্তান সেই আগের মতোই অননুমেয় দল হয়ে আছে। বিতর্ক যে এই দলের জ্বালানি, এটাও মাশরাফির খুব ভালো জানা। তা বিতর্ক তো এবারও কম হয়নি। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে আসা নিয়ে নাটক, এরপর শহীদ আফ্রিদির কথা নিয়ে তোলপাড়। সংবাদ সম্মেলনে আফ্রিদি বলেছিলেন, পাকিস্তানের চেয়ে ভারতেই নাকি তিনি বেশি ভালোবাসা পান। যেটিকে ভারতীয় দর্শকদের সমর্থন পাওয়ার জন্য বুদ্ধিদীপ্ত এক চাল বলে আফ্রিদির পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার।
কিন্তু পাকিস্তানিরা তা মানলে তো! একটা কিছু হলেই ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেওয়ার ‘রীতি’টা শুধু পাকিস্তান ক্রিকেটেই আছে। শহীদ আফ্রিদির বিরুদ্ধেও আদালতে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়ে গেছে এরই মধ্যে। ওটা পাকিস্তানিদের সমস্যা, ওরা সামলাক। বাংলাদেশের একটাই চাওয়া, ইডেন যেন আজ ‘মিরপুর’ হয়ে যায়!

611
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ডলার লোপাটের প্রেক্ষাপটে গভর্নরের পদ ছাড়লেন আতিউর রহমান।
বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনার মধ্যে গভর্নর মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

এর আগে সকালে গুলশানে নিজের বাসায় কয়েকজন সাংবাদিককে আতিউর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলে’ তিনি পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত আছেন।

“আমি অপেক্ষা করছি, প্রধানমন্ত্রী কী বলেন। আমি পদত্যাগ করলে যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের ভালো হয়, দেশের ভালো হয়, তাহলে পদত্যাগ করতে আমার দ্বিধা নাই। আমি পদত্যাগপত্র লিখে বসে আছি। প্রধানমন্ত্রী বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি পদত্যাগ করব।”

এ সময় গভর্নরের হাতে পদত্যাগপত্র দেখা যায়।

612
বিশ্বকাপে লুইস সুয়ারেজের কামড়কাণ্ডের পর বছর দেড়েকের বেশি পেরিয়ে গেছে। এবার ইংল্যান্ডে সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনলেন ডিয়েগো কস্তা? প্রশ্নবোধক চিহ্নটা দেওয়ার কারণ কস্তা আসলেই কামড়ে দিয়েছেন কি না ঠিক স্পষ্ট নয়। ম্যাচ শেষে চেলসি স্ট্রাইকারের দাবি, এভারটনের গ্যারেথ ব্যারিকে মোটেই কামড়ে দেননি।
কাল এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ৮৪ মিনিটের ঘটনা। এভারটনের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে চেলসি। একটা ফাউল নিয়ে হঠাৎ ঠোকাঠুকি হয়ে গেল কস্তা-ব্যারির। ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে হঠাৎ কস্তা তাঁর মুখটা নিয়ে এলেন ব্যারির ঘাড়ে। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, কস্তা কামড় দেওয়ারই চেষ্টা করেছেন। এর আগে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন কস্তা। ওই ধাক্কাধাক্কির জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। এর আগে দুবার নিষেধাজ্ঞার খড়গে পড়লেও চেলসির হয়ে প্রথমবারের মতো লাল কার্ড দেখতে হলো বিতর্কিত এই স্ট্রাইকারকে। তবে যদি কামড়ের অভিযোগটা প্রমাণিত হয়, তাহলে শাস্তিটা আরও বাড়তে পারে।
ম্যাচ শেষে চেলসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কস্তা মেজাজ হারিয়ে ফেলার জন্য অনুতপ্ত, তাই তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু ব্যারিকে কামড়ে দেননি বলেই তাঁর দাবি। চেলসি কোচ গাস হিডিঙ্ক তো ব্যাপারটা হাসিঠাট্টা করেই উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, ‘আরে এসব নিয়ে (কস্তার রাগ সামলানো) তো হলিউডের ছবিই আছে। সেটা একসঙ্গে দেখা যেতে পারে।’ তবে হিডিঙ্কের দাবি, কস্তার ওই ঘটনা তাঁর চোখে পড়েনি, ‘আমি ওই ঘটনা দেখিনি। তবে কোনো রায় দেওয়া ছাড়া আমি এটুকু বলতে পারি, ওকেও (কস্তাকে) উত্তেজিত করে তোলার একটা চেষ্টা করা হয়েছিল।’
কাকতালীয়ই বটে, কস্তা বেরিয়ে যাওয়ার একটু পর ব্যারিও দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। তবে চেলসির তাতে লাভ হয়নি, শেষ পর্যন্ত এফএ কাপের শেষ আটের ম্যাচটা হেরে গেছে তারা ২-০ গোলেই।

613
৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফটের বার্তা বা সংকেত ব্যবহার করে ৩৫টি অর্থ স্থানান্তরের পরামর্শ বা অ্যাডভাইস পাঠানো হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে। ব্যাংলাদেশ ব্যাংকে সুইফট পদ্ধতি ব্যবহারের ব্যাক অফিসে কর্মরত আট কর্মকর্তা ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারও কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের জন্য এসেছিলেন। ওই কার্যালয়ে এসে তাঁরা কম্পিউটার খুলতে পারেননি। কম্পিউটারের সঙ্গে সংযুক্ত প্রিন্টারগুলোও অকেজো দেখতে পান। কিন্তু তাঁরা ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে এই ‘বিপৎসংকেতটি’ পৌঁছাননি। আর এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়ে চলে যায় শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে। তাই ব্যাক অফিসে ছুটির দিনেও দায়িত্বে থাকা আট কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সামগ্রিকভাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি নিরাপত্তার ঘাটতির কারণেই রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনা ঘটেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম আসলাম আলম নিজেও এই অদক্ষতার কথা গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন।
পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তদন্ত শেষ হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মো. রাজি হাসান। গত রাত ১১টায় ব্যাংকিং সচিব এম আসলাম আলম প্রথম আলোকে বলেছেন, এ ঘটনার জন্য সরকারিভাবে তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থমন্ত্রী শিগগিরই তদন্ত কমিটির বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা যেমন বিষয়টি সময়মতো জানাননি, তেমনি বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লুকিয়ে রেখেছে সরকারের প্রায় সব পক্ষের কাছ থেকেই। অর্থমন্ত্রীকে জানানো হয়নি, জানতেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও। ফলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় মুখোমুখি অবস্থানে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল রোববার সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এ ক্ষেত্রে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিষয়টি যেভাবে হ্যান্ডল করেছে, তাতে তিনি খুব আনহ্যাপি (অসুখী)। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

এ নিয়ে অর্থমন্ত্রী গতকাল বিকেলে গণভবনে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সন্ধ্যায় অর্থমন্ত্রী আবার সচিবালয়ে ফেরেন। গণভবনে কী আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবারের নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেবল অর্থমন্ত্রী নন, বিষয়টি জানতেন না বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাও। ব্যাংকিং সচিব এম আসলাম আলম পদাধিকারবলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য। তিনিও গতকাল বলেছেন যে রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনাটি জেনেছেন প্রায় এক মাস পর। অথচ ওই এক মাসের মধ্যে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ও নিরীক্ষা (অডিট) কমিটির তিনটি বৈঠকে ছিলেন। এম আসলাম আলম জানিয়েছেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্ষদ সভা এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চের নিরীক্ষা কমিটির সভায় তিনি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক কোনোভাবেই অর্থ চুরির বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনাটি ঘটেছে ৪ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত প্রায় সাড়ে ১২টায়। তাই এটিকে ৫ ফেব্রুয়ারি হিসেবেও ধরা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ঘটনাটি ঘটলেও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও ব্যাংকিং সচিব এম আসলাম আলম তা জানতে পারেন মার্চের প্রথম সপ্তাহে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অর্থ চুরির ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় প্রথম আলোচনা হয় ৯ মার্চ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক পরিচালক জানিয়েছেন, ৯ মার্চের পর্ষদ সভার আগে পত্রপত্রিকার মাধ্যমে প্রথম তাঁরা ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে পারেন। অর্থমন্ত্রীও ৭ মার্চ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পত্রিকার মাধ্যমেই তিনি প্রথম অর্থ চুরির বিষয়টি জেনেছেন।

অর্থ চুরির ঘটনাটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জরুরি পর্ষদ সভা ডাকা হয়েছে। কাল মঙ্গলবার এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে গতকাল সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্ষদকক্ষে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ‘জরুরি সভা’ ডাকার এ তথ্য জানান পর্ষদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম আসলাম আলম। ভারত সফরে থাকা গভর্নর আতিউর রহমানের অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে জরুরি এ সভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

614
ম্যাচের আগে কত সংশয়, কত দুশ্চিন্তা। যতটা না প্রতিপক্ষকে নিয়ে, তার চেয়েও বেশি আশঙ্কা জাগাচ্ছিল প্রকৃতি। যদি খেলাটা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়, যদি বৃষ্টি আইনে কোনো বেমক্কা সমীকরণের সামনে পড়ে যায় বাংলাদেশ!
শঙ্কাটা সত্যি হয়েছে, আবার হয়ওনি। বৃষ্টি ঠিকই বাগড়া বাঁধিয়েছে, ম্যাচ মাঝপথে বন্ধও হয়ে গেছে, তবে কোনো উল্টো-পাল্টা হিসেবের প্যাঁচে পড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ওমানকে ৫৪ রানে হারিয়ে সুপার টেনে উঠে গেল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ১৮০ রানের পুঁজি পেয়েছিল​ তামিম ইকবালের ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে। দুই দফায় নতুন লক্ষ্যটা ছোট হয়ে আসাতেই আরও বড় হার এড়াতে পারল ওমান। ১২ ওভারে ১২০ রানের নতুন লক্ষ্যের জবাবে ওমান ৯ উইকেটে করতে পারল ৬৫।
ব্যাট হাতে ৯ রানে ১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। বল হাতেও ৩ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট। সাকিব আল হাসান সুপার টেনের আগে নিজের ছন্দে ফিরলেন। এটাও বাংলাদেশের জন্য সুখবর। একটি রান আউট। বাকি চারটি উইকেট তাসকিন, আল আমিন, সাব্বির ও মাশরাফি বিন মুর্তজার। ফেবারিটদের বার্তা দিয়েই সুপার টেনে চলে গেল বাংলাদেশ।
কত সহজে বলা হয়ে গেল, 'সুপার টেনে উঠে গেল বাংলাদেশ।' জয় নিয়ে হয়তো সংশয় ছিল না, পরের রাউন্ডে যাওয়া নিয়েও সংশয় ছিল কমই। তবুও একটু যদি, একটু কিন্তু, একটু 'বলা তো যায় না' ঘিরে ধরছিল। সেটি অবশ্য টুর্নামেন্টের আগে। কিন্তু গত এক মাসে বাংলাদেশ যেন টি-টোয়েন্টির ধাঁধার জটও খুলে ফেলতে শুরু করেছে। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি সামর্থ্য নিয়েই সব সময় প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এবার এশিয়া কাপে ফাইনালে খেলেছেন মাশরাফিরা। বাছাই পর্বের সব জটিলতা একে একে মুছে দিয়ে দারুণ প্রত্যয় নিয়ে উঠে গেল আসল বিশ্বকাপে।
এবারের ফরম্যাটের কারণেই একটা সংশয় তো ছিলই। সেই সংশয় আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল ধর্মশালার আবহাওয়া। কিন্তু তিন ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই দাপটের সঙ্গে খেলেছে বাংলাদেশ প্রতিটি মুহূর্তে। সব সংশয়, সব শঙ্কা, সব ডর-ভয় এক ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। সঙ্গে একটা বার্তাও কী দিতে চাইল, ‘শুধু ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও আমরা রঙিন। সুপার টেনে কঠিন গ্রুপে পড়েছি ঠিকই, কিন্তু সেটি আমরা আছি বলেই কঠিন!'

সুপার টেনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ এখন অস্ট্রেলিয়া, ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ১৬ মার্চ প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিপক্ষে, কলকাতায়।

615
বিশ্বকাপের ইতিহাসে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের ইতিহাসটা ওই বিজ্ঞাপনের মতোই। ওয়ানডে বলুন কিংবা টি-টোয়েন্টি—এখনো পর্যন্ত কোনো বিশ্বকাপেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। সেই ১৯৯২ বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু। ২০১৫ পর্যন্ত ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে ১০টি ম্যাচ খেলে ৯টিতেই হেরেছে পাকিস্তান। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেবল দুদলের একটি ম্যাচ ‘টাই’য়ের উত্তেজনায় শেষ হয়েছিল।
আগামী মাস থেকে ভারতে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরের প্রথম ম্যাচেই ভারতের মুখোমুখি পাকিস্তান। এবার বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে এই গোরোটা খুলতে চায় তারা। পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনুসের বিশ্বাস, এবারই গোরোটা খুলে ফেলবে তাঁর তরুণ দল।
বিশ্বকাপের আগে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধর্মশালার ম্যাচটির পরে নক আউট পর্যায়েও যে এই দুই দল মুখোমুখি হতে পারে। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন লড়াইগুলোর আগে ওয়াকারের মাথায় খুব ভালো করেই আছে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের যাচ্ছেতাই রেকর্ড, ‘আমি খুব ভালো করেই জানি ভারতের বিপক্ষে বড় মঞ্চে আমরা খুব ভালো করি না। বিশেষ করে আইসিসি বিশ্বকাপে আমাদের ফল খুবই খারাপ। কিন্তু এবার আমাদের দলটা তরুণ। তারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে যেকোনো দলকেই হারানো সম্ভব।’
ভারত অভিজ্ঞ দল। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম সেরা। কোহলি-রায়না-রোহিতের মতো ক্রিকেটাররা দলটিকে পরিণত করেছেন বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট হিসেবে। ভারতের মাটিতে খেলা বলেই শক্ত লড়াইয়ের জন্য তৈরি থাকতে হবে পাকিস্তানকে। ওয়াকার সে ব্যাপারটি খুব ভালো করেই জানেন। তিনি তাঁর দলের খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে চান, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের খেলা। উইকেটও এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নির্দিষ্ট দিনে কী ধরনের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আপনি খেললেন, উইকেটটাকে কেমন বুঝতে পারলেন, সেটার ওপরই কিন্তু নির্ভর করে অনেক কিছু।

Pages: 1 ... 39 40 [41] 42 43 ... 47