Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Story, Article & Poetry => Topic started by: Mohammad Nazrul Islam on May 05, 2016, 01:13:03 PM

Title: ‘পেশাগত দক্ষতা ও মানবিক মূল্যায়ন’ শীর্ষক তিন দিন ব্যাপী এক আর্ন্তজাতিক সেমিনার
Post by: Mohammad Nazrul Islam on May 05, 2016, 01:13:03 PM
বধুবার বিকেল পাচঁটায় শেষ হল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত ‘পেশাগত দক্ষতা ও মানবিক মূল্যায়ন’ শীর্ষক তিন দিন ব্যাপী এক আর্ন্তজাতিক সেমিনার। এই সেমিনারে দেশী-বিদেশী বহু গুনী ব্যক্তি ছাড়াও অংশ গ্রহণ করেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও সচেতন সুধীজন। অনুষ্ঠান শোভাবর্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব সবুর খান। অনুষ্ঠান সঞ্চালক রাজু আহম্মেদের নান্দিক উপস্থাপনা ও আলোচকদের সু-চিন্তিত এবং সু-মহান অভিমত উপস্থিত সুধীজনকে ‘মানুষ ও মানবতার কল্যাণে’ দারুন ভাবে মোহিত করে।

আলোচনায় বক্তরা বলেন, আধুনা বিশ্বে পেশার সাথে মানবিক কল্যাণের যোগসূত্র দুর্বল গতিতে চলমান। যেহেতু জীবনের জন্য বেচেঁ থাকা, তাই বাঁচার সারাংশ আত্ম-তৃপ্তিতে পরিসমাপ্ত। স্রষ্ঠার বিধান অনুসারেই মানুষ জন্মগত ভাবে সততা ও মানবকল্যাণের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই কোন মানুষই স্বর্গসুখ বা আত্মতৃপ্তি পেতে পারে না, যদি সে তার কর্মের সাথে ‘মানবকল্যাণ’ কথাটি সংযোগ না করতে পারে।

বক্তারা বলেন, স্রষ্টার উপস্থিতি সৃষ্ঠির মাধ্যমে-ই। মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। তাই মানুষকে মানবিক কল্যাণে কাজ করে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমান করতে হবে। যার মূল কারণ- সৃষ্টি ও শ্রষ্টার সর্ম্পক চিরন্তন। মানুষকে বেচেঁ থাকার জন্য কাজ করতে হয়, যাকে আমরা ‘পেশা’ বলে থাকি। পেশার ধরণ ও পরিধি বিভিন্ন জনের কাছে বিভিন্ন রকম হতে পারে। পেশার ধরণ যাই হোক না কেন, পেশা যদি সাত্ত্বিক না হয়ে অতিরিক্ত বিলাস, ভাবনার মাপকাটি হয় তবেই সমাজ বা রাষ্ট্রে সুখ আসে না। জন্ম জীবন স্বার্থক হয় না।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সম্মনীত সদস্য জনাব প্রফেসর ড. ইউনূস আলী মোল্লা বলেন, আমাদেরকে পেশার সাথে মানবিক কল্যাণকে মূল উপজীব্য করে এক কল্যানমূখী সমাজ গড়ে তুলতে হবে। তিনি উপস্থিত সকলকে অর্জিত শিক্ষাকে মানব কল্যাণে সঞ্চালনা করে এক কল্যাণমুখী সমাজ গড়ে তুলার আহব্বান জানান।

অুষ্ঠানে বিশেষ বক্তব্য রাখেন অত্র বিশ্ববিদ্যালেয় প্রতিষ্ঠাতা ভিসি, প্রবীন, বিজ্ঞ-পন্ডীত জনাব প্রফেসর ড. আমিনূল ইসলাম। তিনি পেশাগত দক্ষতার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষন ও পেশাগত জীবনের স্বার্থকতাকে ‘মানুষ ও মানবকল্যাণে স্মরনীয় ইতিহাস বলে দাবি করেন।

অনুষ্ঠানে জন্ম-জীবনের স্বার্থকতাকে মানবকল্যাণে বিলিয়ে দেওয়ার আহব্বান জানান, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি জনাব প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান।

অনুষ্ঠানে এক আবেগ ঘন বক্তব্য রাখেন, আইন বিভাগের প্রধান প্রফেসর জনাবা ফারজানা হেলাল মাহবুব। তিনি মানব জীবনের রহস্যময় আগমনের বিস্তর ব্যাখ্যায় বলেন, জীবনের আগমন, অবস্থান, লোকান্তর সকল ক্ষেত্রেই মানূষকে মহান প্রভূর প্রেরিত দূত হিসাবে মানুষের কল্যাণের পথেই চলতে হবে। এই চলার মধ্যেই পেশাগত জীবনের দক্ষা ও স্বার্থকতা।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সির বর্ণিল আলোক উজ্বল হল রুমে অনুষ্ঠিত এই আন্তজার্তিক সেমিনারে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন প্রফেসর নাজনীন সুলতানা, সুবহানুর লতিফ, ও ইজাজুর রহমানসহ আরও অনেকেই।

পরিশেষে অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী এবং আগত অতিথিদের সম্মান সূচক ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি জনাব প্রফেসর ড. ইউসুফ এম ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব  ইঞ্জিনিয়ার প্রফেসর ড. এ কে এম ফজলুল হক।