Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Md. Zakaria Khan

Pages: 1 [2] 3 4 ... 26
16
History / Re: History of Muslim'S
« on: August 03, 2023, 03:54:06 PM »
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা:
মুমিনদের লক্ষ করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ইমানদাররা! তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে যাও আল্লাহর সাক্ষীরূপে, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কিংবা বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।’ সুরা আন নিসা : ১৩৫
পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে যদিও নিকটাত্মীয়ের বিষয়ে হয়।’ সুরা আনআম : ১৫২
‘বলে দাও, আমি তো আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন তার প্রতি ইমান এনেছি আর তোমাদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমি আদিষ্ট।’ সুরা শুরা : ১৫
এসব আয়াতের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপন এবং পরের মধ্যে যেন কোনো পার্থক্য করা না হয়, যা সত্য তাই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই জীবনের সব ক্ষেত্রে সবার তরে ইনসাফ একান্ত জরুরি

17
History / Re: History of Muslim'S
« on: July 22, 2023, 10:47:42 AM »
অনেকেই বলে আল্লাহ হেদায়েত দিলে নামাজ পড়ব, পর্দা করবো, দাঁড়ি রাখবো।
আমার কথা হলো...,আল্লাহ কি আপনাকে এমনি এমনিই  হেদায়েত দিবেন?
 যদি আপনি নিজে খারাপ কাজ ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা না করেন!! কখনোই না। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন,
 ❝আমি তাকেই সাহায্য করি যে নিজেই নিজেকে সাহায্য করে❞
( সূরা হজ্জ আয়াত ৪০)
আপনি যদি জেনেও ইচ্ছে করেই খারাপ কাজ করেন তাইলে এমন কে আছে যে আপনাকে ভালো পথে ফিরে আনতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে  সূরা আস সাজদার ১৩ নাম্বার আয়াতে বলেন,
 ❝আমি চাইলে প্রথমেই মানুষকে হেদায়েত দিতে পারতাম কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত যে আমি অবশ্যই মানুষ ও জিন দাঁড়া জাহান্নাম পূর্ণ করব।❞
অর্থাৎ এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহতালা আমাদের পরীক্ষা করছেন।
 এ সম্পর্কে কোরআনে সূরা মূলকের দুই নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ জীবন ও মরণ তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে যে, কে  কোন কর্মে উত্তম। ❞
অর্থাৎ আমাদের স্কুলে যেমন স্যার রা একটা নিদিষ্ট সময় ধরে পরীক্ষা নেন ঠিক তেমনি আমরা যারা বেচে আছি আমাদের সবার পরীক্ষা নিচ্ছেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা  আর এ পরীক্ষার ফলাফল পাব কিয়ামতের দিন।
আর যারা মারা গেছে তাদের পরীক্ষার সময় শেষ হয়েছে ।তাদের আর ভালো বা খারাপ করার কিছুই নেই।
আর যারা বেচে আছি তাদের জন্য এখনো ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তাই আমাদের সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
তাই যে এই জীবনে যে ভালো কাজ করবে,আল্লাহর আনুগত্য করবে ও রাসুল (সাঃ)এর দেখানো পথে চলবে সে ই সফলকাম।
ভালো হওয়ার জন্য আপনাকে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হবে।
খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে তবেই আল্লাহ তাআলা আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ হে আদম সন্তান আমার জন্য দাঁড়াও, আমি তোমার দিকে হেঁটে হেঁটে আসবো। আমার দিকে হেঁটে হেঁটে এসো, আমি তোমার দিকে দৌড়ে যাব।
( মুসনাদে আহমদ -১৫৯২৫)
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে ভালো ও মন্দের জ্ঞান দিয়ে দিয়েছেন।আর এভাবেই আমাদের পরীক্ষা করছেন। যে ভালো কাজ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে সে আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করবেন আর যে খারাপ কাজ করবে সে পরীক্ষায় ফেল করবে।
মেইন বিষয় হল আপনার নফস। আপনি যদি নিজের নফসকে কন্ট্রোল করতে পারেন।তাইলেই আপনি সফল হবেন ও আল্লাহ তা'য়ালার কাছে প্রিয় হবেন।
তাই সবার আগে নিজের নফসকে দমন করতে হবে। নিজেকে চেষ্টা করতে হবে তবেই না আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে।
❝নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।❞(সূরা বাকারা-২:২১৪)

18
History / Re: History of Muslim'S
« on: July 10, 2023, 03:41:09 PM »
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ دَلّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ.
কেউ যখন কাউকে কোনো ভালো কাজের পথ দেখিয়ে দেয়, সে ব্যক্তি কাজটি করে যে সওয়াব পাবে, যে তাকে এর পথ দেখিয়ে দিল সেও অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে।
 -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫১৩১

19
History / Re: History of Muslim'S
« on: June 13, 2023, 03:00:34 PM »
জিল হজ্জের প্রথম ১০দিনের ফযিলত
১-.একদিনের রোজা ১ বছরের সমান
২.এক রাতের ইবাদাত ১ বছরের সমান
৩.পূর্বের ও পরের ১ বছরের সমান গোনাহ মাফ
৪.এক রাতের নামাজ কদরের নামাজের সমান

20
History / Re: History of Muslim'S
« on: May 30, 2023, 03:39:40 PM »
ইসলামে আইনের শাসন ও সুবিচার
নিসফ অর্থ সমান অর্ধেক। আর ইনসাফ অর্থ সমান দুই ভাগ করা, বেশি বা কম না করা। আল্লাহ তাআলার একটি নাম হলো ‘আদল’ অর্থাৎ ন্যায়বান, ন্যায়পরায়ণ। আদালত অর্থ ন্যায়ের স্থান। মুমিন জীবনের পূর্ণতার জন্য তাকওয়া বিশেষ শর্ত; তাকওয়ার পরিচায়ক হলো ন্যায়বিচার।

মানবজীবনে ন্যায়বিচারের গুরুত্ব অত্যধিক। পবিত্র কোরআন কারিমে প্রথম সুরা ফাতিহার তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তাআলার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, ‘তিনি বিচার দিবসের মালিক,’ যা আমরা প্রত্যহ দিবারাত্রি বহুবার পাঠ করে থাকি।

সভ্য সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের কোনো বিকল্প নেই। সুবিচারপ্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার এবং ন্যায়বিচার আল্লাহর হুকুম। এটি ফরজ ইবাদত। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে, তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক খবর রাখেন।’ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৮)।

21
সুরাঃ ৩৯, যুমার ৫৫-৫৯।
৫৫। অনুসরণ করো তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে উত্তম যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহার, তোমাদের উপর অতর্কিতে তোমাদের অজ্ঞাতসারে শাস্তি আসিবার পূর্বে -
৫৬। যাহাতে কাহাকেও বলিতে না হয়, 'হায়! আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যে আমি যে শৈথিল্য করিয়াছি তাহার জন্য আফসোস!  আমি তো ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।'
৫৭। অথবা কেহ যেন না বলে,'আল্লাহ আমাকে পথ প্রদর্শন করিলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম।'
৫৮। অথবা শাস্তি (কিয়ামতের) প্রত্যক্ষ করিলে যেন কাহাকেও বলিতে না হয়, ' আহা, যদি একবার পৃথিবীতে আমার প্রত্যাবর্তন ঘটিত তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হইতাম।'
৫৯। প্রকৃত ব্যাপার তো এই যে, আমার নিদর্শন তোমার নিকট আসিয়াছিল, কিন্তু তুমি এইগুলিকে মিথ্যা বলিয়াছিলে ও অহংকার করিয়াছিলে; আর তুমি তো ছিলে কাফিরদের একজন।
(আল্লাহ তাআলা আমাদের মাফ করুন।)

22
History / Re: History of Muslim'S
« on: May 09, 2023, 03:10:01 PM »
"হতাশ হয়ো না। উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"
--সূরা ত্বলাক : ৭
"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
--সূরা ইনশিরাহ : ৬
"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"
--সূরা বাক্বারা : ২১৪
"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৭
"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"
--সূরা বাক্বারা : ২৮৬
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৫
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৩
"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"
--সূরা মারইয়াম : ৪
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন--
"মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তার প্রতিটা অবস্থাই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর এটা কেবল মুমিনের জন্যই নির্ধারিত, অন্য কারো জন্য নয়। মুমিনের কাছে সুখের কিছু এলে শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। অনুরূপভাবে যখন কোনো দুঃখ তাকে স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্যধারন করে। আর এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।"
--সহীহ মুসলিম : ২৯৯৯
অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়। 'আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল।' (আমি সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করি।)

23
History / Re: History of Muslim'S
« on: May 02, 2023, 03:33:31 PM »
আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব! আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি?' সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ! কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি চারটি পাখি নাও। তারপর সেগুলোকে তোমার প্রতি পোষ মানাও। অতঃপর প্রতিটি পাহাড়ে সেগুলোর টুকরো অংশ রেখে আস। তারপর সেগুলোকে ডাক, সেগুলো দৌড়ে আসবে তোমার নিকট। আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" ❤️❤️
-----[সূরা বাকারাঃ ২৬০]

24
History / Re: History of Muslim'S
« on: March 27, 2023, 02:47:50 PM »
•হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর; তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পর্কেই অবগত। [ সুরা নিসা-১৩৫ ]

25
History / Re: History of Muslim'S
« on: March 16, 2023, 03:05:26 PM »
সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৮।
 লাক্বদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুম্ মিন আনফুসিকুম্ ‘আযীযুন্ ‘আলাইহি মা-‘আনিত্তুম্ হারীছুন ‘আলাইকুম্ বিল্মুমিনীনা রাঊর্ফু রহীম্।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৮
 নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৯।
 ফাইন তাঅল্লাও ফাকুল্ হাস্বিয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অহুঅ রব্বুল ‘র্আশিল্ ‘আজীম।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৯
 অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রবসূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৮।
 লাক্বদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুম্ মিন আনফুসিকুম্ ‘আযীযুন্ ‘আলাইহি মা-‘আনিত্তুম্ হারীছুন ‘আলাইকুম্ বিল্মুমিনীনা রাঊর্ফু রহীম্।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৮
 নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৯।
 ফাইন তাঅল্লাও ফাকুল্ হাস্বিয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অহুঅ রব্বুল ‘র্আশিল্ ‘আজীম।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৯
 অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব

26
History / Re: History of Muslim'S
« on: March 11, 2023, 02:39:54 PM »
অপচয় রোধে ইসলাম :
অপচয়ের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমরা  অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। ( সুরা আরাফ, ৩১)
কোরআনে আরো বলা হয়েছে,  ‘আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন, যারা ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যবর্তিতা অবলম্বন করে- প্রয়োজনের থেকে বেশী ব্যয় করে না এবং কমও করে না।’ (সূরা আল-ফুরকান, ৬৭)
 হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কেয়ামতের দিন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হওয়ার আগে কোনো বান্দার পা-ই নড়বে না-তার জীবন সে কীসে ব্যয় করেছে, তার ইলম অনুসারে সে কী আমল করেছে, তার সম্পদ সে কোত্থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে আর তার শরীর কীসে নষ্ট করেছে? -(জামে তিরমিজি, হাদীস ২৪১৭)

27
🔰রাগ নিয়ন্ত্রণের পুরস্কার:
🔶 রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি রাগ কার্যকর করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা দমন করে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে আহবান করে সকল মাখলুকের (সৃষ্টি) সামনে আনবেন এবং তাকে তার ইচ্ছামতো যে কোন হুর বেছে নেয়ার ক্ষমতা (স্বাধীনতা) দিবেন।
📜তিরমিযী (তাহকিককৃত): ২৪৯৩

28
History / Re: History of Muslim'S
« on: January 09, 2023, 01:35:01 AM »
হাসিমুখে কথা বলা: সুন্নাহ
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয় হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদিস: ২৬২৬)
অন্যত্র এক হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি ভালো কাজ সদকা স্বরূপ। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। (তিরমিজী শরীফ)

29
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমান :
যার যত বেশী সৎ আমল রয়েছে, সে ব্যক্তি ঈমানের দিক থেকে তত বেশী শক্তিশালী এবং এর ফলশ্রুতিতে জান্নাতেও তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। মহান আল্লাহ বলেন, أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَاتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ ‘তারাই সত্যিকারের ঈমানদার। এদের জন্যেই রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট উচ্চমর্যাদা। আরও রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা’ (আনফাল ৮/৪)।
পাপের কারণে মানুষের অন্তর থেকে ঈমান আস্তে আস্তে চলে যেতে থাকে। এমনকি তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ বলেন,كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ ‘না এটা কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরের উপর মরিচারূপে জমে গেছে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১৪)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘অবশ্যই কোন মুমিন ব্যক্তি যখন পাপ কাজে পতিত হয় তখন তার অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায়। অতঃপর সে পাপ থেকে তওবা-ইস্তেগফার করলে অন্তর থেকে দাগটি উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফলে তার অন্তর মসৃণ উজ্জ্বল হয়ে যায়। কালো দাগ বাড়তে থাকলে (পাপ বাড়লে) তার সম্পূর্ণ অন্তর ঘিরে ফেলে। এ মরীচিকা সম্পর্কেই আল্লাহ বলেন, ‘না এটা কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরিচারূপে জমে গেছে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১৪)।[21]

30
‘মা-শা আল্লাহ’ কখন ও কেন বলবেন?
বহুল প্রচলিত একটি বাক্য- ‘মা শা আল্লাহ’। আরবি- مَا شَاءَ الله ‘মা শা আল্লাহ’- শব্দটির অর্থ হলো- ‘আল্লাহ তাআলা যেমন চেয়েছেন’। কিন্তু ব্যাপক প্রচলিত এ কথাটি কখন এবং কেন বলতে হয়। এটি বলার উপকারিতাই বা কী?
প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ কিংবা ভালো যে কোনো কিছু দেখলে বলা- مَا شَاءَ الله
উচ্চারণ : ‘মা শা আল্লাহ’
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা যেমনটি চেয়েছেন’ (মুসলিম)

‘মা শা আল্লাহ’ কখন বলবেন?
সুন্দর কিছু দেখলে- ‘মা শা আল্লাহ’ বলতে হয়।
তবে ইসলামিক স্কলাররা মা শা আল্লাহ বলার তিনটি অবস্থা নির্ধারণ করেছেন। তাহলো-
১. যখন কারও সফলতা দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
২. যখন কাউকে ভালো কিছু করতে দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
৩. যখন কারো কোনো সুন্দর জিনিস দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।

‘মা শা আল্লাহ’ কেন বলবেন?
কারো সফলতা, ভালো কাজ ও সুন্দর জিনিস দেখে ‘মা শা আল্লাহ’ বলায় কোন বদ নজর লাগে না। বরং মাশা আল্লাহ বলায় রয়েছে বিশেষ উপকার। যে নিজিস বা যে কাজ দেখে ‘মা শা আল্লাহ’ বলা হয়; সে জিনিস বা কাজ থেকে শয়তানের প্রভাব চলে যায়। শয়তান তাতে আর প্রভাব ফেলতে পারে না।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 26