Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Women => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on February 01, 2021, 01:31:17 PM

Title: যে নারীকে বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি
Post by: Mrs.Anjuara Khanom on February 01, 2021, 01:31:17 PM
নেককার ঈমানদার স্ত্রী সব সময় স্বামীর অনুগত ও উপকারি হয়। তারা দুনিয়ায় জীবনে স্বামীর জন্য যেমন উপকারি তেমনি পরকালের চিরস্থায়ী জীবনের জন্যও হয় সহায়তাকারী। এ কারণেই কেমন নারীকে বিয়ে করতে হবে সে উপদেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি।

শুধু উত্তম স্ত্রী নির্বাচনের কথাই নয় বরং স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম আচরণের কথাও বলে বলেছেন তিনি। তাদের অধিকারের বিষয়ে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন। স্ত্রীদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা স্ত্রীদের ব্যাপারে স্বামীদের লক্ষ্য করে বলেন-
‘আর তোমরা (স্বামীরা) তোমাদের (স্ত্রীদের) সঙ্গে উত্তম জীবনযাপন কর।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১৯)

বিদায় হজের ভাষণে সবাইকে লক্ষ্য করে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা করেন-
‘সমবেত জনতা! শোন! নারীদের সঙ্গে উত্তম আচরণ কর। কেননা তারা তোমাদের (জীবনে/সংসারে) কাছে কয়েদির মতো আবদ্ধ। তাদের পক্ষ থেকে কোনো অবাধ্যতা প্রকাশ পাওয়া ছাড়া তাদের সঙ্গে তোমাদের নির্মম আচরণ করার কোনো অধিকার নেই।’

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় ধন-সম্পদ সঞ্চয় না করে পরকালের সহায়তাকারী মুমিন নারীকে বিয়ে করার উপদেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সোনা-রূপা (মূল্যবান সম্পদ) পুঞ্জীভূত করে রাখার সমালোচনায় কুরআনের আয়াত নাজিল হলে সাহাবায়ে কেরাম বলেন, তাহলে আমরা কোনো সম্পদ ধরে রাখবো?
(তখন) হজরত ওমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি তা জেনে তোমাদের বলে দেব। অতপর তিনি তাঁর উটকে দ্রুত হাঁকিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাক্ষাত পেয়ে গেলেন। আমিও তার পেছনে পেছনে গেলাম। তিনি বলেন-
‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কি কোনো সম্পদ সঞ্চয় করব?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেকেই যেন অর্জন করে কৃতজ্ঞ অন্তর, জিকিরকারী জিহবা আর তোমাদের প্রত্যেকের জন্য পরকালের কাজে সহায়তাকারী মুমিনা স্ত্রী গ্রহণ করা উচিত।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, তালিকুর রাগিব)

এ হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন ঈমানদার নারীকে গ্রহণ করতে বলেছেন, যিনি তার স্বামীর জন্য পরকালের সহায়তাকারী হবেন।

মুমিনা নারীকে বিয়ের পর আল্লাহর কাছে দুনিয়ার দাম্পত্য জীবন ও পরকালের সফলতা কামনায় আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য আল্লাহর কাছে এভাবে সাহায্য প্রার্থনা করবেন-
اَللّهُمَّ بَارِكْ لِىْ فِىْ أَهْلِىْ وَبَارِكْ لَهُمْ فِىَّ، اَللّهُمَّ اجْمَعْ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ بِخَيْرٍ و فَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লি ফি আহলি, ওয়া বারিক লাহুম ফিইয়্যা; আল্লাহুম্মাঝ্‌মা’ বাইনানা মা জামা‘তা বিখাইরিন ওয়া ফাররিক্ব বাইনানা ইজা ফাররাক্বতা ইলা খাইরিন। (আদাবুয যিফাফ, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দান কর এবং তাদের স্বার্থে আমার মাঝে বরকত দাও। হে আল্লাহ! তুমি যা ভাল একত্রিত করেছ তা আমাদের মাঝে একত্রিত কর। আর যখন কল্যাণের দিকে বিচ্ছেদ কর তখন আমাদের মাঝে বিচ্ছেদ কর’।

উল্লেখ্য, স্বামী-উভয়ে একসঙ্গে থাকাকালে স্বামী দোয়া করবেন আর স্ত্রী আমিন বলবেন। পরস্পরের জন্য এ দোয়া করা মোস্তাহাব।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে পরকালের কাজে সহায়তাকারী নারীদের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।