Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mousumi Rahaman

Pages: [1] 2 3 ... 15
1
Faculty Sections / ঘুরে এসে ত্বকের যত্ন
« on: December 24, 2018, 02:39:30 PM »
চলছে অগ্রহায়ণ মাস। ভোরের কুয়াশা আর সন্ধ্যার শীতল বাতাস বলে দিচ্ছে শীত এসে গেছে। শীত শুষ্ক, তবে উৎসবের আমেজে হয়ে ওঠে উষ্ণ। সাধারণত নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীত পড়তে শুরু করে। এ সময় বেশির ভাগ স্কুলের পরীক্ষা শেষ হয়। ছুটি থাকে শিশুদের। বিয়ের অনুষ্ঠান, দাদা-নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া অথবা রীতিগত নানা উৎসবে মেতে ওঠে সবাই।

নগরজীবনে এসেছে শৌখিনতার ছোঁয়া। কেবল আত্মীয়–পরিজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎই এখন মুখ্য নয়, স্রেফ ভ্রমণের নেশায়ও ঢাকা ছাড়েন অনেক মানুষ। সত্যি কথা বলতে কি, এই আধুনিক সময়ে ভ্রমণ ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই শীতের পুরো সময় সুন্দরবন, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা, জাফলং, বিছনাকান্দি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ বিভিন্ন জায়গায় আনাগোনা বাড়ে পর্যটকদের।

ভ্রমণে যাওয়ার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলে প্রস্তুতি। ফিরে এসেও কাজ শেষ হয় না। শীতে সমুদ্র এলাকা বা পাহাড়ি অঞ্চল থেকে ঘুরে এসে ত্বকের পোড়াভাব কিছুটা ম্লান করে দেয় আনন্দ। প্রফুল্ল মন নিয়ে ফিরে এসে আয়নায় তাকাতেই গম্ভীর হয়ে যাক মুখ।

মাস্টার্স পরীক্ষা শেষে সেন্টমার্টিন বেড়াতে গিয়েছিলেন কণা। ফিরে এসেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছিল তাঁর। তবে সাগরতীরে রোদে পুড়ে চেহারার যে হাল হয়েছিল, তা নিয়ে বেশ মন খারাপ হয়েছিল তাঁর। বললেন, শিক্ষাজীবনের এই বিশেষ দিনে চেহারার অবস্থা আসলেই মন খারাপ করে দিয়েছিল।

তাই শুধু ভ্রমণ নিয়ে ভাবলে হয় না, ভ্রমণ থেকে ফিরে আসার পর শুষ্ক-রুক্ষ, নির্জীব ত্বকের যত্ন নেওয়াও জরুরি হয়ে পড়ে। আসলে বেড়াতে গেলে ঘরের বাইরে থাকা হয় বেশি। বাইরের রুক্ষ বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া ও লোনা পানি শুষে নেয় ত্বকের নমনীয়তা। শীতের আর্দ্রতা ছেলে বা মেয়ে মানে না; বরং ভ্রমণের পর ছেলেদের ত্বক হয় বেশি রুক্ষ। তাই ঘুরে এসে নিতে হবে সঠিক যত্ন। তা না হলে ত্বকের সমস্যা স্থায়ী হতে পারে।

রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেশ কয়েকটি ধাপে ত্বক পরিচর্যার কথা বললেন তিনি। প্রথমত, ছেলেমেয়ে উভয়কেই সকালে ও রাতে ফেসওয়াশ বা ভালো মানের ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে। ক্লিনজার ত্বকে জমে থাকা ময়লাগুলো ভেতর থেকে পরিষ্কার করে, বাইরের স্তরকে কোমল রাখে। ফলে ত্বকে সক্রিয় ভাব ফিরে আসে। ক্ষারধর্মী সাবান দিয়ে মুখ ধোয়া ঠিক নয়, সাবান ত্বককে আরও বেশি শুষ্ক করে ফেলে। ফেসওয়াশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে শৌখিন হওয়ায় ভালো।

দ্বিতীয়ত, ত্বকে স্ক্রাব ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে আলতোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে ত্বকে জমে থাকা ‘ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডস’ দূর হবে। এ ক্ষেত্রে চালের গুঁড়ো স্ক্রাব হিসেবে ভালো কাজ করবে। তা না হলে বাজারে অনেক ভালো ব্র্যান্ডের স্ক্রাব পাওয়া যায়। ত্বকের ধাঁচ বুঝে তা বেছে নিতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তৃতীয়ত, শুষ্ক ও মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে রোদে পোড়াভাব কমাতে কাঠবাদামের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তা ত্বকে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য শসার রস, টক দই, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ত্বকে লাগানো যেতে পারে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে।

চতুর্থত, ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে, সব ধরনের ত্বকেই চন্দন কাঠের গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। মিশ্রণটি ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিতে হবে। আর প্রতিবার মুখ পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজার বা অ্যালোভেরা জেল অবশ্যই লাগাতে হবে। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখে।

আসলে বাইরে বের হলে সব সময়ই ভালো ব্র্যান্ডের ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত বলে জানান রাহিমা সুলতানা।

2
রানি ক্লিওপেট্রা থেকে শুরু করে ব্রিটিশ রাজবধূ মেগান মার্কেল, হলিউড অভিনেত্রী মিলা কুনিস, ক্যামেরন ডিয়াজ—সবার সৌন্দর্যচর্চার অন্যতম উপাদান গোলাপজল। ত্বকের সুস্থতা ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তাঁরা তো বটেই, অনেকেই নিয়মিত প্রাকৃতিক এই উপাদান ব্যবহার করেন।
গোলাপজলের ব্যবহার ছিল মোগল আমলেও। তখন সুগন্ধি হিসেবে, আবার খাবারেও বাড়তি স্বাদ আনতে ব্যবহার করা হতো এটি। সে ধারা এখনো চলছে। ইরানে প্রথম বড় বড় গোলাপের পাপড়ি পানিতে বাষ্পীভূত করে বিশুদ্ধ করে নেওয়া হয়। এরপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই বাষ্পকে পানিতে রূপান্তর করে বোতলজাত করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ আমাদের দেশে যুগে যুগে কেন গোলাপজলের এত কদর, তা একবার দেখে নেওয়া যাক।

ত্বকের সুস্থতায়: ত্বকের জন্য সবচেয়ে ভালো টোনার হলো গোলাপজল। প্রাকৃতিক এ উপাদান ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক রাখে। এর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদানের কারণে ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। তৈলাক্ত ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রণ, একজিমা, ত্বকের র‌্যাশসহ বিভিন্ন সমস্যাকে কমিয়ে আনে।
একই সঙ্গে ত্বক পরিষ্কার রাখে এবং লোমকূপ খুলে দেয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লেবুর রসের সঙ্গে ১ চা–চামচ গোলাপজল মিশিয়ে দিলে ভালো হয়।

Merilচোখের আরামে: একরাশ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফিরলেন। একটু তুলায় গোলাপজল ভিজিয়ে চোখের ওপর আলতো করে রাখুন। একনিমেষে ক্লান্তি চলে যাবে। চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।

গোলাপের মতো ঠোঁট: অনেকের ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকে। একটুতেই শুষ্ক হয়ে যায়। গোলাপজলে তুলা বা নরম কাপড় ভিজিয়ে আলতো করে ঠোঁটে চেপে নিন। মরা ত্বক দূর হয়ে যাবে। নিয়মিত গোলাপজল ব্যবহারে গোলাপি আভা তৈরি হয়।
দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ধরে রাখে: মেকআপ করার আগে চোখ ও ঠোঁট বন্ধ করে স্প্রে করে গোলাপজল দিতে পারেন। সেটা সম্ভব না হলে তুলায় ভিজিয়ে নিয়ে মুখে একবার ব্যবহার করে শুকিয়ে নিন। এরপর পছন্দমতো মেকআপ ব্যবহার করবেন। মসৃণভাবে দীর্ঘক্ষণ মেকআপ ঠিক থাকবে।

মন ভালো রাখতে: মন খারাপ হলে গোলাপজলের তৈরি হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করলে মন ফুরফুরে হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অ্যান্টি–ডিপ্রেসেন্ট হিসেবে এটি কার্যকর।
কাটাছেঁড়ায়: ত্বকে অল্প কাটা, পোড়া বা ক্ষত হলে গোলাপজল ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে তার উপসম হয়। কারণ, এটি অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

কখন ব্যবহার করবেন
সকালে মুখ পরিষ্কার করে গোলাপজল দিয়ে আরেকবার ত্বক মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। রাতে ঘুমানোর সময় একই নিয়মে করতে পারেন।

কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে ও কয়েকটি ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে লিখেছেন তৌহিদা শিরোপা

3
Faculty Sections / ধুলার মধ্যে বসবাস!!!
« on: December 24, 2018, 02:28:04 PM »
ঝরা পাতা আর রুক্ষ আবহাওয়ার দিন শুরু হচ্ছে সামনে। সামনের কয়েকটি মাস ধুলাবালিরও। অবশ্য এখনই সেই আগমন টের পাওয়া যাচ্ছে। ঘর পরিষ্কার করতে না–করতেই আবার নোংরা হয়ে যাচ্ছে। পুরোপুরি ধুলাবালিমুক্ত হতে না পারলেও তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় আছে।
ফারজানা’স ব্লিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা গাজী জানালেন, এ সময়টায় ধুলাবালির হাত থেকে পুরোপুরি পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় নেই। তবে চেষ্টা করতে হবে, সেই প্রকোপটা যেন একটু কম হয়। সে জন্য দরজা–জানালাটা একেবারে খোলা না রাখাই ভালো। পাপোশ, ম্যাট্রেস বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে, যেন ধুলা ঘরে আসার আগে বাধা পায়। এ সময় জানালায় একটু ভারী পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহার করা যায় দুই স্তরের পর্দাও। পেছনে হালকা আর ভেতরে ভারী পর্দা থাকলে ধুলাগুলো হালকা পর্দাতেই আটকে যাবে। তবে শুধু ব্যবহার নয়, নিয়মিত সেসব পরিষ্কার করার কথাও বললেন ফারজানা গাজী। নিয়মিত রোদে দেওয়াও দরকার। বাজারে নানা পরিষ্কারক পাওয়া যায়, সেসব ব্যবহার করলে পোকামাকড়ও কম হবে। জীবাণুনাশকের সুবাসে ময়লাও দ্রুত পরিষ্কার হবে।
কিছু যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরামর্শও দেন ফারজানা গাজী। যেমন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করে ঘর সহজেই পরিষ্কার রাখা যায়। নিয়মিত ফ্যান পরিষ্কারের দিকেও নজর রাখা উচিত। কারণ, সেটার ময়লা সহজেই সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই বাইরের জুতা নিয়ে ঘরে চলে আসে, সেটা এড়িয়ে চলতে পারলে ঘরে ধুলোর প্রকোপ অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ধুলাবালি থেকেই অনেকের অ্যালার্জি হয়। ৭ দিন বা ১০ দিনে একবার করে নিয়মিত বিছানার চাদর বদলানোতে গুরুত্ব দিন। সোফার কভার বদলাতে না পারলেও কুশনের কভার বদলানোর চেষ্টা করতে হবে। কম্বল বা মশারি যতটা সম্ভব কভারের ভেতরে রাখা উচিত। তবে গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যাপক সেলিনা আখতার মনে করেন, এই সময়ে কার্পেট একটু কম ব্যবহার করা উচিত। কারণ, তাতে ধুলা বসে বেশি। বলেন, বৃষ্টি থাকে না বলে এই সময়ে ধুলাবালি বেশি হয়। অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণে ধুলাবালি বড় কারণ হয়ে যায়। ফলে ম্যাট, কার্পেট, ভারী পর্দা, বিভিন্ন আসবাবে ধুলার আস্তরণ জমে। এর কারণে হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট হয়। এতে বেশি ভোগে শিশু ও বৃদ্ধরা।
দরজা খুলে রাখলে ময়লা আসবে, আবার বন্ধ রাখলে রোগ ছড়াবে। সে জন্য দরজা–জানালা খোলা রেখে দিনের ময়লা দিনেই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে বলে মনে করেন তিনি। ফ্লোর থেকে শুরু করে জানালার গ্রিল, পর্দা হালকা ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলে ভালো। তাতে ধুলা ওখানে স্থায়ী হতে পারবে না।
বিভিন্ন ধরনের পরিষ্কারক স্প্রে করে সবকিছু পরিষ্কার করা যায়। পাখির পালকের ডাস্টার, ঝাঁটা ব্যবহারের ফলে ধুলা আরও ছড়িয়ে যায়। এ সময় টবে কিছু গাছ রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, তাহলে পরিবেশে স্নিগ্ধতা আসবে। ধুলা পরিষ্কারে কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করার কথাও বলেন তিনি—এতে ধুলাটা চোখে, শরীরে সরাসরি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে না। প্রাকৃতিক কিছু জীবাণুনাশক যেমন নিম পাতার রস বা লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে ঘর পরিষ্কার করা যায়। এসব দিয়ে ঘর পরিষ্কার করলে জীবাণু ও ধুলাবালি কম হবে খানিকটা হলেও।

4

সারা দিনের হাজারো ঝক্কি–ঝামেলা সামলে বাড়ি ফিরে প্রশান্তির আমেজ পেতে একটু তো মন চায়। অন্দরসাজে মোমের আলো আর ফুলের ছোঁয়ায় একটু রদবদল, ভিন্ন আমেজ আনতে খানিকটা সাহায্য করে বৈকি।

এই যেমন ফুলের স্নিগ্ধ সুবাসে জড়িয়ে যায় মন। তবে সব ফুলই যে সুবাস ছড়ায় তা কিন্তু নয়, কিছু কিছু ফুল তার নিজ সৌন্দর্যে অন্যের মন দখল করে নেয়। এমনই কিছু ফুলের ব্যবহার অন্দরসজ্জায় আনে প্রশান্তির আবহ। এদিকে অন্দরে মায়াবিকতার ছোঁয়া আনতে মোমের আলোর ব্যবহার করতে পারেন । ঘর সাজানোয় মোম ও ফুলের—এ যুগলবন্দী ঘরে নিয়ে আসতে পারে এক মুঠো শান্তির আমেজ।



আর্ক ভিজের স্থপতি মেহেরুন ফারজানা বলছিলেন, ঘরের পরিবেশকে ঠান্ডা রাখতে স্থাপত্যবিদ্যায় সাধারণত ওয়ার্ম লাইট বা হালকা আলো ব্যবহারে কথা বলা হয়ে থাকে। যা মনকে প্রশান্ত রাখতে সাহায্য করে। স্পটলাইট বা ল্যাম্প শ্যাডের আলো এ ধরনের আবহ আনতে সাহায্য করে। এদিকে মোম সবার কাছে সহজলভ্য হওয়ায়, যে কেউই এর আলোর ব্যবহারেও ঘরে আনতে পারেন শীতল আমেজ। বাজারে এখন অনেক নান্দনিক নকশার মোম পাওয়া যায়।


শুধু বিশেষ কোনো দিনই নয়, ঘর সাজাতে ফুলের ব্যবহার এখন সব সময় জনপ্রিয়। অন্দরসজ্জাবিদ সাবিহা কুমু ঘর সাজাতে প্রায়ই ফুলের ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বললেন, ফুলের সঙ্গে যদি মোমের আলোর ব্যবহার করা যায়, তবে ভিন্নমাত্রায় সেজে উঠে ঘর। সাধারণত বসার ঘরকে সাধ্যমতো সবাই নান্দনিকভাবে সাজাতে চান। ঘরের যেকোনো একটি কোনা নির্ধারণ করে সেখানে মাটির পটারি রেখে দিন। পটারিতে টেবিল টপ হিসেবে গোলাকৃতির কাচ ব্যবহার করতে পারেন। এর ওপরে মোমের পাশাপাশি রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের দেশীয় মোটিফের শো–পিস। সামনে ছোট একটি বক্স টেবিলে প্লেট রেখে তাতে ছড়িয়ে দিন কিছু সুগন্ধি ফুল। এবার মেঝেতে মাটির ট্রে রেখে কিছু রংবেরঙের মোম বাতি জ্বালিয়ে রাখুন। যদি সম্ভব হয়, একপাশে কৃত্রিম পানির ফোয়ারা রাখতে পারেন। অল্প পরিসরের বসার ঘরে হালকা আসবাবের মাঝেও এ আয়োজনটি আনবে প্রশান্তির আমেজ।

এখন পদ্ম ফুলের সময়। এমনই ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন ঘর। বাসার অনেক দেয়ালই তো ফাঁকা পড়ে থাকে। তেমনই একটা দেয়ালে ঝুলিয়ে দিন কাঠের আয়না। নিচে টেবিল বা বক্স বসিয়ে নিতে পারেন। একটি ছোট গ্লাস বা কাপে পদ্ম ফুল রেখে দিন। এর পাশে ছোট ট্রেতে সাজিয়ে রাখতে পারেন নানা রঙের মোমবাতি। পেছনে ছোট মাটির ফুলদানি রাখতে ভুল হয় না যেন।

ঘরে থাকা খুব সাধারণ জিনিসের ব্যবহারই অন্দরসজ্জায় আসতে পারে ভিন্ন আবহ। এ যেমন খোপ খোপ দেওয়া বাঁশের ট্রে ব্যবহার করতে পারেন মোম সাজাতে। খোপে তিনটি সাদা কাচের গ্লাস রেখে এর ভেতর সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দিন লাল, হলুদ আর বেগুনি রঙের মোম। পাশে কাচের ফুলদানিতে থাকা সাদা জারবারা দেখুন না কেমন স্নিগ্ধতায় ভরিয়ে দিচ্ছে ঘর।

ঘর সাজাতে মোমের আলো শুধু রাতের বেলাই নয়, দিনের আলোতেও অন্দরে আনতে পারে বাড়তি শোভা। এ জন্য বারান্দার একটি কোণে বিভিন্ন পটারি ও মাটির পাত্রে গাছগুলো রেখে সামনে কিছু বড় পাথর ছড়িয়ে দিন। এর ওপর কালো মাটির পাত্রে কিছু গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে তার ওপর ছোট ছোট মোম বসিয়ে দিন। বারান্দায় এ ধরনের আয়োজন মুগ্ধ করবে যে কাউকে।

5
Faculty Sections / শীতে শিশুর হাঁপানি
« on: December 24, 2018, 02:16:56 PM »
বড়দের চেয়ে শিশুরা হাঁপানিতে কষ্ট পায় বেশি। শীতের শুরুতে হাঁপানির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দেয়। গবেষকেরা বলছেন, তাপমাত্রা মাত্র ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেলেই তা আর শিশুর সংবেদনশীল শ্বাসতন্ত্র সহ্য করতে পারে না। তখনই শুরু হয় কাশি, শ্বাসকষ্ট আর বাঁশির মতো শোঁ–শোঁ শব্দ। এসব হলো হাঁপানির লক্ষণ। এই লক্ষণগুলো আবার সকালে বা রাতে শোয়ার পরই বেশি হতে দেখা যায়। মূলত বংশগত, ইমিউনোলজিক্যাল কারণসহ আরও কিছু জটিল বিষয় হাঁপানির জন্য দায়ী। সহজ ভাষায় বলা যায়, শ্বাসনালির অতি সংবেদনশীলতাই হাঁপানি বা অ্যাজমার জন্য দায়ী। বাচ্চাদের হাঁপানি বেশি হওয়ার কারণ হলো তাদের শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বড়দের চেয়ে বেশি। এ সময় যখন স্বাভাবিক শিশুরা দিব্যি ঠান্ডার মধ্যে খেলতে পারে, ধুলাবালুতে গড়াগড়ি খেতে পারে বা যা ইচ্ছে খেতে পারে, হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুরা সংবেদনশীলতার কারণে তেমনটি করলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়।

চিকিৎসা

হাঁপানি মানেই সারাক্ষণ ঘরে বসে থাকা নয়। তবে অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। শিশুর সামনে ধূমপান করা যাবে না। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আঁশযুক্ত কার্পেটের পরিবর্তে সিনথেটিক কার্পেট ব্যবহার করুন। শিশুর বিছানায় লোমযুক্ত চাদর, কাঁথা, লেপ বা কম্বল ব্যবহার করবেন না। শিশুকে আঁশযুক্ত খেলনা, বল বা পুতুল দেওয়া যাবে না। কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেটি তাকে দেওয়া যাবে না।

হাঁপানির চিকিৎসা হিসেবে ইনহেলার ও ওষুধ দেওয়া হয়। ইনহেলার বা নেবুলাইজার ব্যবহারে শিশুর কোনো ক্ষতি হয় না। অনেকে মনে করেন, একবার ইনহেলার নিলে ওটার প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। ইনহেলার বরং মুখে খাওয়া ওষুধের চেয়ে নিরাপদ।

অনেক শিশুর প্রতি শীতেই হাঁপানির প্রকোপ বাড়ে। শিশু ঠিকমতো বেড়ে উঠবে কি না বা সফল হতে পারবে কি না, তা নিয়ে মা–বাবারা খুব উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। নিয়মকানুন মেনে চললে ও চিকিৎসা নিয়মিত নিলে হাঁপানিতে আক্রান্ত শিশুরা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ফুটবল খেলোয়াড় ব্যাকহাম কিংবা লেখক চার্লস ডিকেন্সেরও হাঁপানি ছিল। হাঁপানিকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখে তাঁরা সফল। মনে রাখবেন, হাঁপানি চিরতরে নিরাময়যোগ্য কোনো রোগ নয়, কিন্তু একে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

6
শীতকালে বাতাসে ধুলাবালি বেড়ে যায়। ত্বক হয়ে যায় খসখসে ও মলিন। এতে ত্বক ফেটে যাওয়া, চুলকানিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই ত্বকের যত্নে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা জানিয়েছেন—ত্বকের যত্ন কীভাবে নিতে হয়।

শীতকালে গোসলে সাবান কম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। তাঁর মতে, সাবান ব্যবহার করলেও ময়েশ্চারাইজিং সাবান ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের খসখসে ভাব কমে আসবে। এ ছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে রাতে ঘুমানোর আগে ও গোসলের পর নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করতে হবে। অলিভ অয়েলও মাখা যেতে পারে। তাতে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। এ তো গেলে স্বাভাবিকভাবে পুরো শরীরের ত্বকের কথা। এ ছাড়া আলাদাভাবে ত্বকের বিভিন্ন অংশের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।

চুলের যত্ন: শীতের সময় চুলে খুশকির উপদ্রব বেড়ে যায়। খুশকিমুক্ত থাকতে নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন কিটোকোনাজল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

হাতের তালু ও পায়ের তলার যত্ন: শীতে অনেকের পায়ের তলা ফেটে যায়। ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন ভালো সমাধান দিতে পারে।

মুখের যত্ন: ভালো ময়েশ্চারাইজারযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁরা ক্রিমের সঙ্গে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন। শীতে বাইরে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়।

ঠোঁটের যত্ন: ঠান্ডা বাতাসে ঠোঁট বারবার ফেটে যায়। কখনো এতটাই ফেটে যায় যে চামড়া উঠে আসে ও রক্ত বের হয়। কখনোই জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার একটি কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ঠোঁটে হালকা করে তিন-চারবার চাপ দিন। তারপর ভ্যাসলিন বা গ্লিসারিন পাতলা করে লাগিয়ে নিন। ঠোঁটের জন্য ভালো কোনো প্রসাধনী ব্যাগে রাখুন। দিনে তিন-চারবার লাগাতে পারেন।

নখের যত্ন: মাসে একবার ম্যানিকিউর ও পেডিকিউর করলে নখ ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

অতিরিক্ত গরম পানি ব্যবহার নয়: অতিরিক্ত গরম পানি দিয়ে মুখ, মাথা ধোয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসক শারমিন সুলতানা। গোসলের সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা জোজোবা বা বাদামতেল দিলে ত্বক আর্দ্র ও মসৃণ থাকবে।

চুলের যত্নে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন নাভীনস বিউটি পারলারের কর্ণধার বিউটিশিয়ান আমেনা হক। তিনি বলেন, শীতে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। বাতাসে আর্দ্রতার অভাবে চকচকে ভাব নষ্ট হয়ে যায় এবং সহজেই ভেঙে পড়ে। তিনি সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু না করার পরামর্শ দেন। আর্দ্রতা বজায় রাখতে চুলে ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে বলেন তিনি। দুই ঘণ্টা আগে তেল মাথায় ম্যাসাজ করে শ্যাম্পু করার পরামর্শ দেন তিনি। খুশকি কমাতে চুলে লেবুর রস ব্যবহার করার পরামর্শ দেন আমেনা হক।

(নাজিয়া হোসেন: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী সাংবাদিক)

7
Faculty Sections / তাহাজ্জুদ
« on: October 02, 2018, 10:41:39 AM »
পরিচ্ছদঃ ১৯/১. রাতের বেলায় তাহাজ্জুদ (ঘুম হতে জেগে) সলাত আদায় করা।
وَقَوْلِهِ عَزَّ وَجَلَّ }وَمِنْ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَكَ{

মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘আর আপনি রাতের এক অংশে তাহাজ্জুদ আদায় করুন, যা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য’’। (সূরাহ্ আল-ইসরা ১৭/৭৯)


8
Faculty Sections / কালো জিরা
« on: October 02, 2018, 10:40:10 AM »
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৭. কালো জিরা

৫৬৮৭. খালিদ ইবনু সা‘দ  হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের অভিযানে) বের হলাম। আমাদের সঙ্গে ছিলেন গালিব ইবনু আবজার। তিনি পথে অসুস্থ হয়ে গেলেন। এরপর আমরা মদিনা্য় ফিরলাম তখনও তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে দেখাশুনা করতে আসেন ইবনু আবূ ‘আতীক। তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা এ কালো জিরা সাথে রেখ। এত্থেকে পাঁচটি কিংবা সাতটি দানা নিয়ে পিষে ফেলবে, তারপর তন্মধ্যে যাইতুনের কয়েক ফোঁটা তৈল ঢেলে দিয়ে তার নাকের এ দিক-ওদিকের ছিদ্র দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা করে প্রবিষ্ট করাবে। কেননা, ‘আয়িশাহ আমাদের নিকট বর্ণনা করেছেন যে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ এই কালো জিরা ‘সাম’ ছাড়া সব রোগের ঔষধ। আমি বললামঃ ‘সাম’ কী? তিনি বললেনঃ মৃত্যু। আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৭২)

9
পরিচ্ছদঃ ৭৬/৪. মধুর সাহায্যে চিকিৎসা। মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘এর মধ্যে রয়েছে মানুষের জন্য নিরাময়।’’ সূরাহ আন-নাহলঃ ৬৯)

৫৬৮৪. আবূ সা‘ঈদ  হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললঃ আমার ভাইয়ের পেটে অসুখ হয়েছে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি দ্বিতীয়বার আসলে তিনি বললেনঃ তাকে মধু পান করাও। অতঃপর তৃতীয়বার আসলে তিনি বললেন তাকে মধু পান করাও। এরপর লোকটি এসে বললঃ আমি অনুরূপই করেছি। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ সত্য বলেছেন, কিন্তু তোমার ভাইয়ের পেট মিথ্যা বলছে। তাকে মধু পান করাও। অতঃপর সে তাকে পান করাল। এবার সে রোগমুক্ত হল। [৫৭১৬; মুসলিম ৩৯/৩১, হাঃ ২২৬৭, আহমাদ ১১১৪৬] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৬৯)


10
পরিচ্ছদঃ ৭৫/১. রোগের কাফফারা ও ক্ষতিপূরণ।
وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ}.

এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ ‘‘যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে তাকে সেই কাজের প্রতিফল দেয়া হবে।’’সূরাহ আন্-নিসা ৪/১২৩)

৫৬৪০. নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহধর্মিণী ‘আয়িশাহ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল বিপদ-আপদ আসে এর দ্বারা আল্লাহ তার পাপ দূর করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে ফুটে এর দ্বারাও। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭২, আহমাদ ২৪৮৮২] আধুনিক প্রকাশনী- ৫২২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১২৫)

11
Faculty Sections / যাকাত
« on: October 02, 2018, 10:27:23 AM »
পরিচ্ছদঃ ২৪/১. যাকাত ওয়াজিব হওয়া প্রসঙ্গে ।
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى {وَأَقِيمُوا الصَّلاَةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ}

আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ ‘‘সালাত কায়িম কর ও যাকাত আদায় কর।’’ (আল-বাকরাহঃ ৪৩, ৮৩, ১১০)

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنِي أَبُو سُفْيَانَ  tفَذَكَرَ حَدِيثَ النَّبِيِّ  فَقَالَ يَأْمُرُنَا بِالصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ وَالصِّلَةِ وَالْعَفَافِ

ইবনু ‘আববাস (রাঃ) বলেনঃ আবূ সুফইয়ান (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস উল্লেখ করে বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সালাত (প্রতিষ্ঠা করা), যাকাত (আদায় করা), আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও পবিত্রতা রক্ষা করার আদেশ দেন।

12
Faculty Sections / ওয়াহী
« on: October 02, 2018, 10:09:07 AM »
পরিচ্ছদঃ ১/১. আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কীভাবে ওয়াহী শুরু হয়েছিল।
وَقَوْلُ اللهِ جَلَّ ذِكْرُهُ }إِنَّا أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ كَمَا أَوْحَيْنَا إِلَى نُوحٍ وَالنَّبِيِّينَ مِنْ بَعْدِ­­هِ{

এ মর্মে আল্লাহ্ তা’আলার বাণীঃ ‘‘নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সেরূপ ওয়াহী প্রেরণ করেছি যেরূপ নূহ ও তাঁর পরবর্তী নাবীদের (নবীদের) প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করেছিলাম।’’ (সূরাহ্ আন-নিসা ৪/১৬৩)

13
মুখের দুর্গন্ধ থেকে রেহাই পেতে বাজারের মাউথওয়াশ, স্প্রে, কখনো নানা ধরনের মসলার ব্যবহার খুবই প্রচলিত। কিন্তু আসলে কি এসবে কোনো উপকার হয়? আবার বেশি মাউথওয়াশ ব্যবহারে কি কোনো ক্ষতি আছে?


অ্যালকোহলযুক্ত মাউথওয়াশ বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা মুখগহ্বরকে শুষ্ক করে তোলে। শুষ্ক মুখে ব্যাকটেরিয়া বেশি জন্মায়। তার চেয়ে প্রয়োজনে অল্প গরম লবণ মিশ্রিত পানি দিয়ে বারবার কুলকুচি করা ভালো। এ ছাড়া অর্ধেক পানি ও অর্ধেক হাইড্রোজেন পার–অক্সাইডের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড মুখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে দেয় না।


সজীব নিশ্বাসের জন্য টুথব্রাশে দাঁত ব্রাশ করার সময় কয়েক ফোঁটা চা-পাতার তেল অথবা পুদিনার তেল যোগ করতে পারেন। এটা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।


যাঁরা মুখের দুর্গন্ধ নিয়ে ভুগছেন, তাঁদের উচিত প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করা। এতে মুখের ভেতরের জমে থাকা খাদ্যকণা বের হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর কোনো সুযোগ পাবে না।


বেশির ভাগ মানুষ শুধু দাঁত পরিষ্কার করেন। কিন্তু জিহ্বা পরিষ্কার করাটাও জরুরি। বিশেষ টাং ক্লিনারের সাহায্যে এটা করা যায়। জিহ্বায় অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।


যাঁদের মুখগহ্বর বেশি শুষ্ক, তাঁরা মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় বেশি ভোগেন। তাই প্রচুর পানি পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করতে হবে। মুখের লালা নিঃসরণ বাড়াতে চিনিবিহীন গাম অথবা লজেন্স বা সুগার লেস চুইংগাম খেতে পারেন।


ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলও মুখের শুষ্কতার জন্য দায়ী। তাই এসব থেকে বিরত থাকতে হবে।


নিকোটিন হচ্ছে সবচেয়ে বড় শত্রু। দাঁত ও জিহ্বায় এই নিকোটিন জমে। ধূমপান মুখগহ্বরকে অধিক পরিমাণে শুষ্ক করে তোলে, এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালাও তৈরি হয় না। তা ছাড়া পান, সুপারি, জর্দা ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে।

দন্ত বিভাগ, বারডেম হাসপাতাল

14
দুই ধরনের রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে। কখনো কখনো রিস্ক ফ্যাক্টর প্রতিরোধ করা যায়-যেমন: ধূমপান বর্জন করে, মদ্যপান না করে, শাকসবজি বেশি বেশি খেয়ে, চর্বি পরিহার করে হৃদ্‌রোগের কিছু রিস্ক কমানো যায়। কিন্তু যদি কারও পরিবারে হৃদ্‌রোগের ইতিহাস ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকে, সে ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। হার্ট সজীব ও শক্তিশালী করতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যেমন: স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিশুদের জাঙ্ক ফুড খাওয়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। হৃদরোগ প্রতিরোধে কায়িক পরিশ্রম, হাঁটাহাঁটি, সাঁতার, সাইকেল চালানো, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা এবং ছন্দোবদ্ধ জীবনযাপনের মাধ্যমে খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো ও প্রতিরোধ সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাক একটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা, যেখানে জীবন ও মৃত্যু খুব কাছাকাছি চলে আসে। কোনো ব্যক্তির হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। সাধারণত ECG, ECHO, রক্তের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যায়, রোগীর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না। হার্ট অ্যাটাকের চিকিৎসার প্রথম ধাপ হলো এসপিরিন গ্রুপের ওষুধ ও ইনজেকশন দিয়ে রক্ত পাতলা করা। এরপর প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসা যেমন- Primary Angioplasty করে জমাট বাঁধা রক্ত অপসারণ করা। যদি রোগীর Cardiac Arrhythmia বা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন হয়, তবে এই অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা মোটেও অবহেলা করা যাবে না। কেননা অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের ফলে আবার হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। তাই হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ৪৮-৭২ ঘণ্টা অনবরত ECG মনিটরিং করে দেখতে হবে, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দনের সমস্যা আছে কি না, সেদিকে নজর রাখতে হবে। সর্বোপরি হার্ট অ্যাটাকের পর ২-৩ দিন রোগীকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন। অবস্থা স্থিতিশীল হলে চিকিৎসকদের দায়িত্ব, রোগীকে কাউন্সেলিং করে খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা ও পরবর্তী চিকিৎসা যেমন- Angiogram কখন করাবে ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করা।

হৃদরোগ প্রতিরোধের উপায়

হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা ব্যয়বহুল অর্থাৎ Coronary Angiogam করে কখনো কখনো রিং পরানো বা বাইপাস সার্জারি করার প্রয়োজন হতে পারে, যার ব্যয়ভার সবার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তাই হৃদরোগ প্রতিরোধই উত্তম। এ জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, যাতে হৃদরোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। এ বছর ‘বিশ্ব হার্ট দিবস’-এর প্রতিপাদ্য বিষয়: My Heart, Your Heart। ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য হলো অসংক্রামক ব্যাধিজনিত মৃত্যুর হার হ্রাস করা এবং অল্প বয়সে হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। তাই বিশ্ব হার্ট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে হৃদরোগ সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলা এবং আমার, আপনার হার্টের সুস্থতা ধরে রাখা। কেননা, হার্টের প্রতিটি স্পন্দনই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

লেখক: অধ্যাপক, ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মহাসচিব, অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিসিয়ান্স অব বাংলাদেশ

15
বিশ্বজুড়ে এখন মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো হৃদরোগ। প্রতিবছর বিশ্বে যে পরিমাণ লোক মারা যায় তার ৩১ শতাংশ মারা যাচ্ছে হৃদরোগে। এখন যে হারে হৃদরোগ হচ্ছে, তাতে আগামী ২০৩০ সালে সারা বিশ্বে ২৩ মিলিয়ন লোক মারা যাবে। হৃদরোগের বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো। ভৌগোলিক কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ, ভারতসহ এ অঞ্চলে হৃদরোগে ঝুঁকি বেশি। কারণ আমাদের দেশের মানুষ অল্প বয়সে ধূমপান করে, চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খায়। কোন খাবার স্বাস্থ্যকর আর কোনটা অস্বাস্থ্যকর, সে বিষয়ে আমাদের দেশের অনেকেরই ধারণা কম। আবার ভৌগোলিক কারণে এ দেশের মানুষের উচ্চতা কম। এর ফলে তাদের হার্টের করোনারি আর্টারি (ধমনি) সরু থাকে, যা সাধারণত অল্পতেই কোলেস্টেরলে বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়।

Pages: [1] 2 3 ... 15