Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Allah: My belief => Topic started by: Md. Zakaria Khan on November 19, 2011, 01:43:08 PM
-
[আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
“আল্লাহর জন্য ভালোবাসা†সম্পর্কে জাহেলী যুগে মানুষের কোন ধারণা ছিল না। স্বাদেশিকতা বংশ সম্পর্ক বা অনুরূপ কিছু ছিল তাদের পরস্পর সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আল্লাহর বিশেষ দয়ায় ইসলামের আলো উদ্ভাসিত হল। পরস্পর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় উৎকর্ষতা আসল। ধর্মীয় সম্পর্ক সর্বোচ্চ ও সুমহান সম্পর্ক হিসেবে রূপ লাভ করল। এ-সম্পর্কের উপরেই প্রতিদান, পুরস্কার, ভালোবাসা ও ঘৃণা সাব্যস্ত হল। ইসলামের বিকাশের সাথে সাথে ইসলামি ভ্রাতৃত্ব ও আল্লাহর জন্য ভালোবাসা ইত্যাদি পরিভাষা চালু হল।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসা-এর অর্থ হচ্ছে, এক মুসলিম ভাই অপর মুসলিম ভাইয়ের কল্যাণ ও আল্লাহর আনুগত্য কামনা করা। সম্পদের মোহ, বংশ বা স্থান ইত্যাদির কোন সংশ্লিষ্টতা এক অপরের সম্পর্কের ও ভালোবাসার মানদণ্ড হবে না।
আল্লাহর জন্য ভালোবাসার কতিপয় ফজিলত :
১. আল্লাহর জন্য ভালোবাসা স্থাপনকারীদেরকে আল্লাহ ভালোবাসেন :-আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন -
عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم أن رجلا زار أخا له في قرية أخرى، فأرصد الله له على مدرجته ملكا، فلما أتى عليه قال أين تريد؟ قال: أريد أخا لي في هذه القرية، قال:هل لك عليه من نعمة تربها ؟ قال:لا، غير أني أحببته في الله عز وجل، قال:فإني رسول الله إليك أن الله قد أحبك كما أحببته فيه . (رواه مسلم:4656)
এক ব্যক্তি অন্য গ্রামে বসবাসকারী নিজ ভাইয়ের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হল। মহান আল্লাহ তার জন্য পথে একজন ফেরেশতা মোতায়েন করে রাখলেন। যখন সে ফেরেশতা সে ব্যক্তির নিকটবর্তী হল, বলল তুমি কোথায় যাও ? সে বলল, এই গ্রামে বসবাসকারী আমার এক ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করা আমার উদ্দেশ্য। ফেরেশতা বলল, তার কাছে তোমার কোন পাওনা আছে কি-না ? সে বলল, না। কিন্তু আমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। তখন ফেরেশতা বলে উঠল, নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত দূত। মহান আল্লাহ অবশ্যই তোমাকে ভালোবেসেছেন যে রকম তুমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালোবেসেছ। (সহীহ মুসলিম:৪৬৫৬) হাদিসে কুদসীতে আছে মহান আল্লাহ বলেন :—
وجبت محبتي للمحتابين فيّ ، والمتجالسين فيّ، والمتزاورين فيّ، والمتباذلين فيّ ( رواه أحمد:21717)
আমার জন্য পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারী, পরস্পর উঠা-বসা-কারী, পরস্পর সাক্ষাৎকারী, পরস্পর ব্যয়কারীদের জন্য আমার ভালোবাসা অবধারিত। (আহমদ:২১৭১৭)
২. মহান আল্লাহর জন্য পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারী আল্লাহর আরশের ছায়াতলে অবস্থান করবে, যে দিন তাঁর আরশের ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :-
سبعة يظلهم الله في ظله يوم لا ظل إلا ظله ....... ورجلان تحابا في الله ، اجتمعا عليه ، وتفرقا عليه. (رواه البخاري:620)
“সাত ব্যক্তি, আল্লাহ তাদেরকে তাঁর ছায়াতলে ছায়া দিবে, যে দিন তাঁর ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না...এবং দুজন ব্যক্তিকে, যারা আল্লাহর জন্য তারা পরস্পর পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা স্থাপন করেছে, তাঁর ভালোবাসায় তারা একত্রিত হয়েছে, এবং তাঁর ভালোবাসায় তারা পৃথক হয়েছে। (বুখারী:৬২০) রাসূলুল্লাহ সা: আরো বলেন :—
إن الله يقول يوم القيامة: أين المتحابون بجلالي، اليوم أظلهم في ظلي يوم لا ظل إلا ظلي. ( رواه مسلم:4655)
আল্লাহ কিয়ামত দিবসে বলবেন, আমার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে পরস্পর ভালোবাসা স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ - যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- আমি তাদের ছায়া দেব। (সহীহ মুসলিম:৪৬৫৫)
৩. আল্লাহর জন্য ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের বিশেষ মাধ্যম: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :-
لاتدخلون الجنة حتى تؤمنوا، ولاتؤمنوا حتى تحابوا.... ( رواه مسلم:81
“ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। পরস্পর ভালোবাসা স্থাপন না করা পর্যন্ত তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না। (সহীহ মুসলিম:৮১)
এক সাথি আরেক সাথির উপর প্রভাব বিস্তার করে বিধায় প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে সাথি গ্রহণের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করা। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন :—
الرجل على دين خليله، فلينظر أحدكم من يخالل... (رواه الترمذي:2300)
মানুষ তার বন্ধুর রীতি-নীতির উপর পরিচালিত হয়, সুতরাং তোমাদের প্রত্যেকের উচিত, কে তোমাদের বন্ধু হবে এ ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা। (তিরমিজি:২৩০০)
ভাল সাথির বেশ কিছু গুণাবলি
• দীনদার ও তাকওয়াবান হওয়া : তাকওয়াবানের কিছু আলামত নিচে উল্লেখ করা হল।
• আল্লাহ প্রদত্ত অকাট্য বিধি-বিধান পালনে যত্নবান হওয়া। যেমন সালাত কায়েম, জাকাত প্রদান-ইত্যাদি।
• গালিগালাজ, অভিশাপ, গীবত ইত্যাদি। থেকে নিজের জিহ্বাকে পরিচ্ছন্ন রাখা।
• নিজ সাথিকে ভাল উপদেশ দেওয়া।
• সজনদেরকে ভালোবাসা।
• অশ্লীলতা ও পংকিলতা থেকে দূরে থাকা।
• ভাল কাজে সহযোগিতা প্রদান, পাপের কাজে নিরুৎসাহিত করা।
আল্লাহ তাআলা বলেন :—
الأخلاء يومئذ بعضهم لبعض عدو إلا المتقين.الزخرف:
“বন্ধুরা সেই দিন হয়ে পড়বে একে অপরের শক্র, মুত্তাকীরা ব্যতীত। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন :—
لا تصاحب إلا مؤمنا، ولا يأكل طعامك إلا تقي. (رواه الترمذي:3218)
“ঈমানদার ব্যতীত সাথি গ্রহণ করো না, মুত্তাকী ব্যতীত কেহ যেন তোমার খাবার ভক্ষণ না করে। (তিরমিজি:৩২১৮)
২. বুদ্ধিমান হওয়া : নির্বোধকে সাথি হিসেবে গ্রহণে কোন কল্যাণ নেই। কেননা সেই লাভ করতে গিয়ে ক্ষতি করে বসবে।
৩. সুন্দর চরিত্রবান হওয়া: কেননা দুশ্চরিত্রবান সাথির অশুভ কর্মে তুমি আক্রান্ত হয়ে পড়বে, কষ্টে নিপতিত হবে।
৪. সুন্নত মোতাবেক চলা : সাথি বিদআতী হলে তোমাকে বিদআতের দিকে নিয়ে যাবে, তোমার চিন্তা চেতনাকে কলুষিত করবে,
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের আদবসমুহ :
ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু আদব রয়েছে যা মেনে চললেই আল্লাহর জন্য ভালোবাসার দাবি যথার্থ প্রমাণিত হবে। নীচে কতিপয় আদব উল্লেখ করা হল।
• সালাম প্রদান ও হাসি-মুখে সাক্ষাৎ করা: রাসূলুল্লাহ সা: বলেন :-
لاتحقرن من المعروف شيئا، ولو أن تلقى أخاك بوجه طلق. رواه مسلم:4760
কোন ভাল কাজকে কখনো তুচ্ছ জ্ঞান করনা, এমনকি তা যদিতোমার ভাইয়ের সাথে হাসোজ্জ্বল চেহারায় সাক্ষাৎ করা ও হয়। (সহীহ মুসলিম:৪৭৬০)
• উপঢৌকন প্রদান: ভালোবাসা বৃদ্ধি ও মনোমালিন্য দূরীকরণে এর রয়েছে বিরাট প্রভাব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:
تهادوا تحابوا ( موطأ مالك:1413)
তোমরা একে অপরকে উপহার প্রদান কর, তোমাদের পরস্পর ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। (মুয়াত্তা:১৪১৩)
• এক ভাই অপর ভাইয়ের জন্য দুআ করা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :-
ما من عبد مسلم يدعو لأخيه بظهرالغيب، إلا قال الملك: ولك بمثل (رواه مسلم:4912)
কোন মুসলিম বান্দা যখন তার ভাইয়ের পিছনে তার জন্য দুআ করে তখন ফেরেশতা বলে উঠে তোমার জন্য ও অনুরূপ।(সহীহ মুসলিম:৪৯১২)
আর ইহা তার সারা জীবন এমনকি মৃত্যুর পরে ও অব্যাহত থাকবে।
• অপর ভাইয়ের নিকট ভালোবাসার কথা প্রকাশ করা: রাসূলুল্লাহ সা: বলেন :—
إذا أحب الرجل أخاه، فليخبره أنه يحبه. رواه أبوداود:4459
মানুষ যখন তার ভাইকে ভালোবাসে সে যেন তাকে অবহিত করে যে, সে তাকে ভালোবাসে।†এবং তাকে বলবে:
إني أحبك في الله
নিশ্চয় আমি তোমাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি। জওয়াবে সে বলবে:
أحبك الذي أحببتني له
যে ব্যাপারে তুমি আমাকে ভালোবেসেছ সেটা তোমার নিকট পছন্দ হয়েছে। (আবুদাউদ:৪৪৫৯)
• দেখা-সাক্ষাতের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করা: যাতে কমও না হয় আবার বেশিও না হয় কম হলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে, বেশি হলে বিরক্ত হয়ে পড়বে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :-
زر غباً تزدد حباً
“বিরতি দিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ কর, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। কবি বলেন :—
زرغباً تزدد حباً فمن أكثر التكرار أقصاه الملل
বিরতি দিয়ে দেখা-সাক্ষাৎ কর, ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে, যে বার বার দেখা-সাক্ষাৎ করে অস্বস্তিবোধ তাকে দূরে সরিয়ে দিবে।
• সাহায্য করা ও প্রয়োজন মেটানো: ইহা তিন পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়।
১- সর্বোচ্চ পর্যায়: নিজের প্রয়োজনের উপর অপর ভাইয়ের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেওয়া।
২- মধ্যপর্যায়: আবেদন ছাড়া অপর ভাইয়ের এমন প্রয়োজন মেটানো যা নিজের প্রয়োজনের সাথে সাংঘর্ষিক হয় না।
৩- নিম্ন পর্যায়: আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপর ভাইয়ের প্রয়োজনে সাড়া দেওয়া।
• অপর ভাইয়ের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখা, তার গোপনীয় বিষয় প্রকাশ না করা, উত্তম পন্থায় তাকে উপদেশ দেয়া, তার ইজ্জত-আব্রু সংরক্ষণ করা, ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখা, তার সাথে সুন্দর আচরণ করা।
[/b]
-
Love to Allah means, Love to all peoples and every thing that created by the GOD and take proper care about those the thing.
-
If we love the creation of Almighty then we can love Allah.
-
We should love Allah. May Allah bless us for our success.
-
হযরত আবু যর (রাঃ) বলিয়াছেন, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যাক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই ) বলিয়াছে এবং ইহার উপর মৃত্যু বরণ করিয়াছে (অর্থাৎ এই বিশ্বাস নিয়া মৃত্যু বরণ করিয়াছে) , সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করিবে । আবু যর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করেন, যদি সে ব্যাভিচার করে এবং চুরি করে । রাছূল (সাঃ) বলেন, হ্যা, যদি সে ব্যাভিচার করে এবং চুরিও করে । আবু যর (রাঃ) দ্বিতীয়বার একই প্রশ্ন করেন । রাসূল (সাঃ) আবার একই জবাব দেন । আবু যর (রাঃ) তৃতীয়বার একই প্রশ্ন করেন । রাসূল (সাঃ) একই জবাব দেন এবং বলেন, যদি আবু যরের অপছন্দ হয় তবুও সে ব্যাক্তি জান্নাতে প্রবেশ করিবে । (বোখারী)
-
হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, রাসূল (সাঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলিয়াছে এবং যাহার অন্তরে যবের দানার ওজন পরিমাণ ঈমান থাকিবে, সে জাহান্নাম হইতে বাহির হইবে । তারপর এমন সকল ব্যক্তিও জাহান্নাম হইতে বাহির হইবে যাহাদের অন্তরে গমের দানা পরিমাণ ঈমান থাকিবে । তারপর এমন সকল ব্যক্তি জাহান্নাম হইতে বাহির হইবে যাহার অন্তরে অণূ পরিমাণও ঈমান থাকিবে । (বোখারী)
-
মহানবী (সাঃ) একদিন মসজিদে বসে আছেন।
সাহাবীরা তাঁকে ঘিরে আছেন। এমন সময় মহানবী (সাঃ) বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”
একথা শুনে উপস্থিত সব সাহাবী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রইলেন মসজিদের প্রবেশ মুখে। সবার মধ্যে জল্পনা কল্পনা চলছে, হয়তো হজরত আবু বকর (রাঃ) বা হজরত উমর (রাঃ) অথবা এমন কেউ আসছেন যাঁদের বেহেশতের সুসংবাদ আল্লাহপাক ঘোষণা করেছেন।
সবাইকে অবাক করে দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করলেন একজন সাধারণ আনসার সাহাবী। এমনকি তাঁর নাম পরিচয় পর্যন্ত জানা ছিল না অধিকাংশের।
এরপরের দিনেও সাহাবীরা মসজিদে বসে আছেন নবীজি (সাঃ) কে ঘিরে। নবীজি (সাঃ) আবার বললেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন,তিনি বেহেশতের অধিবাসী।” সেদিনও মসজিদে প্রবেশ করলেন সেই সাহাবী।
তৃতীয় দিন নবীজি(সাঃ) সাহাবীদের লক্ষ্য করে আবার ঘোষণা দিলেন, “এখন যিনি মসজিদে প্রবেশ করবেন, তিনি বেহেশতের অধিবাসী।”এবং সাহাবীরা দেখলেন সেই অতি সাধারণ সাহাবী মসজিদে প্রবেশ করলেন।
পরপর তিনদিন এই ঘটনা ঘটার পর,সাহাবীদের মধ্যে কৌতূহল হলো সেই সাধারণ সাহাবী সম্পর্কে জানার জন্য। তিনি কেন অন্যদের চেয়ে আলাদা তা জানতে হবে।
বিখ্যাত সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর আল আ’স (রাঃ) ভাবলেন, এই সাহাবীর বিশেষত্ব কী তা জানতে হলে তাকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তিনি সেই সাহাবীর কাছে গিয়ে বললেন,“আমার বাবার সাথে আমার মনোমালিন্য হয়েছে, তোমার বাড়িতে কি আমাকে তিন
দিনের জন্য থাকতে দেবে?’’
সেই সাহাবী রাজী হলেন। হজরতআবদুল্লাহ (রাঃ) তাঁকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকলেন,খুঁজতে থাকলেন কী এমন আমল তিনি করেন। সারা দিন তেমন কোন কিছু চোখে পড়ল না। তিনি ভাবলেন হয়তো তিনি রাত জেগে ইবাদত করেন। না, রাতের নামায পড়ে তো তিনি ঘুমাতে চলে গেলেন।
উঠলেন সেই ফজর পড়তে। পরের দুটি দিনও এভাবে কেটে গেল। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কোন বিশেষ আমল বা আচরণ আবিষ্কার করতে পারলেন না যা অন্যদের চেয়ে আলাদা।
তাই তিনি সরাসরি সেই সাহাবীকে বললেন, “দেখ আমার বাবার সাথে আমার কোন মনোমালিন্য হয় নি, আমি তোমাকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য তোমার বাড়িতে ছিলাম। কারণ নবীজি (সাঃ) বলেছেন
যে তুমি জান্নাতি। আমাকে বল তুমি আলাদা কী এমন আমল করো?’’
সেই সাহাবী বললেন, “তুমি আমাকে যেমন দেখেছ আমি তেমনই,আলাদা কিছুতো আমার মনে পড়ছে না।”
এ কথা শুনে হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ)তাঁকে বিদায় জানিয়ে চলে যেতে থাকলেন। এমন সময় সেই সাহাবী হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) কে ডেকে বললেন,
‘আমার একটা অভ্যাসের কথা তোমায় বলা হয়নি –
"রোজ রাতে ঘুমাতে যাবার আগে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই, যারা আমাকে কষ্ট দিয়েছে বা আমার প্রতি অন্যায় করেছে। তাদেরুপ্রতি কোন ক্ষোভ আমার অন্তরে আমি পুষে রাখি না”
হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) এ কথা শুনে বললেন, “এ জন্যই তুমি আলাদা, এ জন্যই তুমি জান্নাতি”। রাসূল (সাঃ)বলেছেন, যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।
[বুখারী ও মুসলিম]
সংগ্রহে -মুসলিম উম্মাহ -Muslim Ummah
-
মন্দ বিষয় প্রকাশ করাও নিন্দনীয়
৪৮. আল্লাহ মন্দ কথার প্রচারণা পছন্দ করেন না; তবে যার ওপর জুলুম করা হয়েছে, তার কথা আলাদা। আল্লাহ ভালোভাবেই শোনেন, জানেন।
১৪৯. ভালো কাজ তোমরা প্রকাশ্যে করো কিংবা তা গোপনে করো, অথবা যদি তোমরা (কারো) অপরাধ ক্ষমা করে দাও, তবে (জেনে রেখো) আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, মহাশক্তিশালী।
- সুরা : আন-নিসা, আয়াত : ১৪৮, ১৪৯
-
Thank you, Mr. Zakaria Khan, May Allah Sobhan Watala bless you.
Emran Hossain
-
প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-র বৈশিষ্টঃ
=========================
= তিনি আদম সন্তানের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও তাদের নেতা। রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আমার পালনকর্তার নিকট আদম-সন্তানদের মধ্যে আমিই সর্বাধিক সম্মানিত, এতে অহংকারের কিছু নেই। (তিরমিযী)
= তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই। (বুখারী ও মুসলিম)
= তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সকলের আগে আমিই কবর থেকে উত্থিত হব। অতঃপর আমাকে জান্নাতের একজোড়া পোশাক পরানো হবে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে একত্রিত হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশা গ্রস্থ হবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী হব। সেদিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। (তিরমিযী)
= তিনি সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন।
= তিনি হাশরের মাঠে সর্ব প্রথম শাফায়াত করবেন এবং সর্ব প্রথম তাঁর শাফায়াত গ্রহণ করা হবে।
= আল্লাহ তাআলা যেমন করে ইবরাহীম (আঃ)কে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে নির্ধারণ করেছিলেন। তেমনি নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কেও ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
= তিনি এবং তাঁর উম্মতকে ছয়টি বিষয় দ্বারা সম্মানিত করা হয়েছে, যা অন্যান্য নবীদেরকে দেয়া হয়নি। “আমাকে ছয়টি জিনিস প্রদান করে অন্যান্য নবীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে।
১) অল্প কথায় অধিক অর্থপ্রকাশ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
২) ভীতি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে।
৩) গনীমতের সম্পদ আমার জন্য বৈধ করা হয়েছে।
৪) পৃথিবীর মাটি আমার জন্য মসজিদ ও পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম করা হয়েছে।
৫) আমাকে সৃষ্টিকুলের সকলের জন্য রাসূল করে পাঠানো হয়েছে।
৬) আমার মাধ্যমেই নবীদের ধারাবাহিকতা শেষ করা হয়েছে। (মুসলিম)
= হাশরের মাঠে নবী (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর হাউয সর্ববৃহৎ। আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয় আমি আপনাকে হাউযে কাওছার প্রদান করেছি। (সূরা কাওছার-১
= তিনি নিষ্পাপ। তাঁর পূর্বের এবং পরের সমস্ত- ত্রুটি মার্জনা করা হয়েছে। لِيَغْفِرَ لَكَ اللَّهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِكَ وَمَا “যাতে আল্লাহ আপনার অতীত ও ভবিষ্যৎ ত্রুটি সমূহ মার্জনা করে দেন এবং আপনার প্রতি তাঁর নেয়ামত পূর্ণ করেন ও আপনাকে সরল পথে পরিচালিত করেন। (সূরা ফাতাহ-২) وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ “আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা। (সূরা শারাহ-২)
= আল্লাহর নিকট তিনি ছিলেন সৃষ্টিকুলের মধ্যে সর্বাধিক সম্মানিত।
= নবী সা এর কথা মেনে চলা মানেই আল্লাহকে মানা। আল্লাহ বলেন, “যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। (সূরা নিসা- ৮০)
-
মুসাফাহার মর্যাদা:
হুযায়ফা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
إنَّ المؤمنَ إذا لقِيَ المؤمنَ فسلَّم عليه وأخذ بيدِه فصافَحَه تناثرَتْ خطاياهما كما يتناثرُ ورقُ الشجرِ
الراوي: حذيفة بن اليمان المحدث:الألباني - المصدر: السلسلة الصحيحة - الصفحة أو الرقم: 2/60
خلاصة حكم المحدث: إسناده جيد
‘‘একজন মুসলিম যখন আরেকজন মুসলিমের সাথে স্বাক্ষাত করে তার হাত ধরে মুসাফাহা করে তখন তার গুনাহগুলো এমন ভাবে ঝরে যায় যেভাবে
গাছ থেকে পাতাগুলো ঝরে যায়।’’
(সিলসিলা সহীহাহ ২/৬০)
-
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, " দু'টি কলেমা (বাক্য) রয়েছে,
যে দু'টি দয়াময় আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়,
জবানে (উচ্চারণে) খুবই সহজ ,
আমলের পাল্লায় অত্যন্ত ভারী |
তা হচ্ছে, 'সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহী, সুবহানাল্লাহিল আযীম |'
অর্থাৎ, আমরা আল্লাহ তাআলার প্রশংসা সহকারে তার পবিত্রতা ঘোষণা করেছি, মহান আল্লাহ অতীব পবিত্র |"
( বুখারী ৬৪০৬, ৬৬৮২ ,৭৫৬৩ , মুসলিম ২৬৯৪ ,
-
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
(সূরা ক্বাদরঃ ০৩)
রসূল (স) বলেছেন তোমরা রামাযানের শেষ দশকের
বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের অনুসন্ধান কর
[বুখারী]
আসুন আমরা ক্বাদর এর রাতে বেশী বেশী করে ইবাদাত করার চেষ্টা করি। আল্লাহ আমাদের কে তওফিক দান করুন। আমীন।
-
আবূ সাঈদ আলখুদরী রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাআহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: “যে বান্দা আল্লাহর রাস্তায় একদিন মাত্র রোযা রাখবে সেই বান্দার চেহারাকে আল্লাহ্ (ঐ রোযার বিনিময়ে) জাহান্নাম থেকে সত্তর বছরের পথ পরিমাণ দূরত্বে রাখবেন।”
[বুখারী: ২৮৪০, মুসলিম: ১১৫৩, তিরমিযী, নাসাঈ]
-
মহান আল্লাহ তায়া’লা ইরশাদ করেন্ঃ ‘‘যারা নামায কায়েম করে এবং আমার দেয়া রিযিক থেকে ব্যয় করে। তারা হল সত্যিকার ঈমানদার। তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে রয়েছে মর্যাদা, ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযিক | [ সূরা আনফাল-৩-৪]
আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলে "আর যারা তাদের নামায সমূহের হিফাযত করে তারাই হবে অধিকারী। অধিকারী হবে জান্নাতুল ফেরদাউসের তাতে চিরকাল থাকবে। [সূরা মুমিনুন -৯ -১১]
হাদীসে কুদসীতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, আল্লাহ তায়া’লা বলেন ঃ আমি আপনার উম্মতের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছি এবং আমি আমার নিজের সাথে অঙ্গীকার করেছি যে, যে ব্যক্তি যথা সময়ে নামায সমূহের পূর্ণ হিফাযত করবে, আমি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাব। আর যে নামায সমূহের হিফাযত করবে না, তার জন্য আমার কাছে কোন অঙ্গীকার নেই। [আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ]
-
বর্তমান মাজার মানেই শিরিক এর কারখানাঃ
আপনি মাজারে মৃত ব্যাক্তিকে কেন টাকা দিতে যাবেন?? মৃত মানুষ টাকা দিয়ে কি করবে?? সবার কাছে একটা অনুরোধ, মাজারে গিয়ে সেখানে কিছু চাওয়াতো দুরেরে কথা, কখনো একটা টাকা পয়সাও সেখানে ফেলবেন না। টাকা যদি দান করতেই হয়, তবে মসজিদে দান করুণ, গরিব দুঃখীদের দান করুণ, এতিম খানায় দান করুণ আর হ্যাঁ তা অবশ্যই হতে হবে একমাত্র আল্লাহকে খুশী করার উদ্দেশ্যে। আর মাজারে আপনি যেটা করতে পারেন সেটা হল, মাজারে শায়িত মৃত ব্যাক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন, যেন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, তাকে জান্নাত দান করেন। কখনোই মাজারে গিয়ে টাকা দিবেন না এবং মৃত ব্যাক্তির কাছে কিছু চাবেন না।
মনে রাখবেন, মাজারে গিয়ে মৃত ব্যাক্তির কাছে কিছু চাওয়া, এটা জঘন্য ধরণের শিরক। আর শিরকের ভয়াবহতা অনেক কঠিন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তারা শিরক করত তবে তাদের আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যেত’ (আন‘আম৮৮)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম। আর অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই’ (মায়েদাহ ৭২)। একই মর্মে হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক না করে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে মৃত্যুবরণ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে (মুসলিম হা/২৬৬৩)।
নিজে সতর্ক হন এবং পরিবার পরিজনদের এ বিষয়য়ে সতর্ক করুন। আল্লাহ, আমাদের সবাইকে শিরক থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুক। আমিন।
-
বর্তমান মাজার মানেই শিরিক এর কারখানাঃ
আপনি মাজারে মৃত ব্যাক্তিকে কেন টাকা দিতে যাবেন?? মৃত মানুষ টাকা দিয়ে কি করবে?? সবার কাছে একটা অনুরোধ, মাজারে গিয়ে সেখানে কিছু চাওয়াতো দুরেরে কথা, কখনো একটা টাকা পয়সাও সেখানে ফেলবেন না। টাকা যদি দান করতেই হয়, তবে মসজিদে দান করুণ, গরিব দুঃখীদের দান করুণ, এতিম খানায় দান করুণ আর হ্যাঁ তা অবশ্যই হতে হবে একমাত্র আল্লাহকে খুশী করার উদ্দেশ্যে। আর মাজারে আপনি যেটা করতে পারেন সেটা হল, মাজারে শায়িত মৃত ব্যাক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন, যেন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন, তাকে জান্নাত দান করেন। কখনোই মাজারে গিয়ে টাকা দিবেন না এবং মৃত ব্যাক্তির কাছে কিছু চাবেন না।
মনে রাখবেন, মাজারে গিয়ে মৃত ব্যাক্তির কাছে কিছু চাওয়া, এটা জঘন্য ধরণের শিরক। আর শিরকের ভয়াবহতা অনেক কঠিন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তারা শিরক করত তবে তাদের আমলসমূহ নষ্ট হয়ে যেত’ (আন‘আম৮৮)। আল্লাহ আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থাপন করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন এবং তার বাসস্থান হবে জাহান্নাম। আর অত্যাচারীদের কোন সাহায্যকারী নেই’ (মায়েদাহ ৭২)। একই মর্মে হাদীছে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক না করে মৃত্যুবরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি তাঁর সাথে কাউকে শরীক করে মৃত্যুবরণ করবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে (মুসলিম হা/২৬৬৩)।
নিজে সতর্ক হন এবং পরিবার পরিজনদের এ বিষয়য়ে সতর্ক করুন। আল্লাহ, আমাদের সবাইকে শিরক থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুক। আমিন।
-
পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে। بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
যাবতীয় প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বানীঃ ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি
৭। উবায়দুল্লাহ্ ইবনু মূসা (রাঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি।
১। আল্লাহ্ ছাড়া ইলাহ্ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল-এ কথার সাক্ষ্য দান।
২। সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করা
৩। যাকাত দেওয়া
৪। হাজ্জ (হজ্জ) করা এবং
৫। রামাদান এর সিয়াম পালন করা।
-
কাজী (বিচারক) প্রসঙ্গে
১৩২২। আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, উসমান (রাঃ) ইবনু উমার (রাঃ)-কে বলেন, যাও! লোকদের মাঝে বিচার-ফায়সালা কর। তিনি বললেন, হে মু’মিনদের নেতা! আমাকে কি মাফ করবেন? তিনি বললেন, এ পদটি তুমি কেন অপছন্দ করছ, অথচ তোমার পিতা বিচার-ফায়সালা করতেন? তিনি উত্তরে বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি কাযী (বিচারক) নিযুক্ত হয়ে ইনসাফের উপর বিচার-ফায়সালা করলেও সে বরাবর আমল নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে (না তার কোন গুনাহ আছে আর না তার কোন সাওয়াব আছে)। এরপর আমি আর কি আশা করতে পারি?
যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৩৭৪৩)। তা’লীকুর রাগীব (২/১৩২) তা’লীক আলা আহাদীস মুখতারাহ (৩৪৮, ৩৪৯)
১৩২২/২। বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাজীগণ তিন প্রকারের হয়ে থাকে। দুই প্রকারের কায়ী (বিচারক) হচ্ছে জাহান্নামী এবং এক প্রকার কায়ী হচ্ছে জান্নাতী। জেনেশুনে যে লোক (বিচারক) অন্যায় রায় প্রদান করে সে হচ্ছে জাহান্নামী। সত্যকে সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি না করেই যে লোক (বিচারক) মানুষের অধিকারসমূহ নস্যাৎ করে সে লোকও জাহান্নামী। আর যে লোক ন্যায়সঙ্গতভাবে ফায়সালা প্রদান করে (বিচারক) সে জান্নাতের অধিবাসী ।
সহীহ, ইরওয়া (২৬১৪), মিশকাত (৩৭৩৫)
-
কোরআন এবং বিজ্ঞানের আলোকে ভূমিকম্পের কারণ
বিশ্ব আজ মহাবিপদের সম্মুখীন। মানব সভ্যতা এই হুমকির মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বে উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে। সেই সঙ্গে আরো রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিকভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলতে থাকার কারণগুলো।
বৈজ্ঞানিকরা এখন এই সমস্যার কথা বললেও আজ থেকে সাড়ে চৌদ্দশ’ বছর পূর্বে আল্লাহ তায়ালা বিশ্ববাসীকে এসব বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন পৃথিবী বিপন্ন। এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কি দেখে না যে, ক্রমেই আমরা তাদের জমিনকে এর বহিঃপরিসরের দিক দিয়ে সঙ্কুচিত করছি।’ -সূরা রাদ: ৪১
স্থলভাগের পরিসর ক্রমান্বয়ে কমে আসছে সমুদ্রের বিস্তারের মাধ্যমে। বিপদ এখানেই শেষ নয়, সমুদ্রের তলদেশ বাইরের দিকে প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি বেড়ে গেছে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা। বর্তমান সময়ের এসব সমস্যা নিয়ে সপ্তম শতাব্দীতে কেউ স্বপ্নেও ভাবত না অথচ তখনই কোরানে এ ব্যাপারে বর্ণিত হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘যখন মহাসমুদ্রগুলো উত্তাল করে তোলা হবে’ (সূরা তাকবির: ৬)।
আরবিতে এটাকে ‘সুজ্জিরাত’ বলা হয়। ইবনে কাসির এর তাফসিরে বলেন, ‘যখন এটা রূপ নেবে প্রজ্বলিত অগ্নির।’ বিজ্ঞান-পূর্ব সেসব যুগে টগবগ করে ওঠা সাগরের পানির বিষয়টি কেউ বুঝে উঠতে পারেনি। কিন্তু এখন বিজ্ঞান কোরানের সত্যতাকেই তুলে ধরছে এবং সাগরতলে অগ্ন্যুৎপাতের সন্ধান পেয়েছে। বিজ্ঞানীদের ভয় পৃথিবী নামক গ্রহ উষ্ণতার কারণে খুব তাড়াতাড়ি ধ্বংস হয়ে যাবে।
অন্যদিকে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ পৃথিবীকে নাটকীয়ভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন করছে। এটা এক সময় চলে যেতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তখন মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জন্য বিরাট বিপদ সৃষ্টি হবে। বস্তুত পৃথিবীর প্রতি আমাদের কৃত অবিচারের দরুন এসব হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে স্থলভাগে ও সমুদ্রে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিণামে। -সূরা আর রুম: ৪১
এখন প্রশ্ন হলো, মানুষের যেসব কর্মকাণ্ড মানবজাতিকে বিপদাপন্ন করছে, সেগুলো কি আমাদের বিজ্ঞানীরা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন? যদি না হন, তাহলে পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। এ বিষয়েও কোরানে বলা হয়েছে, ‘যেদিন এই পৃথিবী অন্য এক পৃথিবীতে রূপান্তরিত হবে এবং আসমানগুলোতে ঘটবে পরিবর্তন, সে দিন…’ (সূরা ইবরাহিম: ৪৮)। কোরানে কারিমের অনেক আয়াতে এভাবেই বিশ্বজগতের ধ্বংসের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তবে যা অজানা, তা হলো কখন এটা ঘটবে।
-
#যে দুইটি কারণে মানুষ সবচেয়ে
বেশী জান্নাতে যাবে;
১. তাক্বত্তয়া (আল্লাহর প্রতি ভয়)
২. উত্তম চরিত্র।
#যে দুইটি কারণে মানুষ সবচেয়ে
বেশী জাহান্নামে যাবে;
১. জিহ্বা (গীবত,অপবাদ, মিথ্যা,কটু কথা দ্বারা মানুষ কে কষ্ট দেত্তয়া)।
২. লজ্জাস্থান (অশ্লীলতা,অবৈধ প্রেম/
ভালবাসা, জিনা/ব্যাভিচার)।
-
"মুসলমান যখন মসজিদের দিকে রওনা হয় সে
তার ঘরে ফিরে আসা পর্যন্ত তার প্রতি কদমে
আল্লাহ একটি নেকী দান করেন এবং একটি করে
গোনাহ মোচন করেন।”
=====বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ {সাঃ}
-
Thank ypu for your valuable post
-
যে ব্যক্তি কালেমা 'র দাওয়াত মানুষের নিকট
পৌঁছেদিবে, আমি তাকে সাথে করে জান্নাতে
নিয়ে যাব।_______হযরত মুহাম্মদ (সঃ)
-
Thanks for your invaluable post.
-
সূরা ইখলাসের ফজিলত ও বরকতঃ
১। যে ব্যক্তি একবার সূরা ইখলাস পাঠ করবে সেই ব্যক্তি কুরআনুল কারীম এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব লাভ করবে।
২। যে ব্যক্তি দশবার পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা নিজ কুদরতি হাতে জান্নাতের মধ্যে বিশেষ মর্যাদাশীল একটি মহল তৈরি করবেন।
৩। যে ব্যক্তি অধিক পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা আর জন্য জান্নাতে ওয়াজিব করে দিবেন।
৪। যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ্ তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য হয়রত জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।
সুবহানাল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সকলকে জানার এবং বুঝার তৌফিক এবং সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুক। আমীন।
-
কী বলছে ইসলাম, ‘বাড়িতে মাকড়সার জাল’ এর অর্থ কি?
অনেকের বাড়িতেই বিভিন্ন সময় মাকড়সা জাল বুনে থাকে। তবে অনেক মুসলমান ভাই-বোনরা মনে করেন ‘বাড়িতে মাকড়সার জাল’ অর্থ ওই বাড়িতে দারিদ্রতা বৃদ্ধি পাওয়া। এ বিষয়ে আসলে ইসলাম কী বলছে? ইসলামের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
আসলে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর কোনো প্রমাণ নেই। মূলত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি বেশ গুরুত্ব দিয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মানুষদের আল্লাহ তা’য়ালা পছন্দ করেন।
এ প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমের বিভিন্ন স্থানে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।’ –সূরা আল বাকারা: ২২২
‘বলো, অপবিত্র ও পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে বিস্মিত করে। অতএব, হে বুদ্ধিমানগণ, আল্লাহকে ভয় করো- যাতে তোমরা মুক্তি পাও।’ –সূরা মায়েদা:
-
আল্লাহ ‘ওয়াদূদ’! প্রেমময়। আন্তরিক। তার মানে তিনি আমাকে ভালোবাসেন। আমি তার অত্যন্ত প্রিয়।
হাদীসে কুদসিতে আছে:
হে আদম সন্তান! যতদিন পর্যন্ত আমার ক্ষমতা বাকি থাকে, তুমি দুনিয়ার কোনও ক্ষমতাবানকে একদম ভয় করবে না। আর আমার ক্ষমতা কখনো শেষ হবে না।
-
হে আদম সন্তান! তুমি রিযিকসংকটের ভয় করো না! আমার ভান্ডার সব সময় পরিপূর্ণ! আমার ভান্ডার কখনোই ফুরোবে না।
.
হে আদম সন্তান! আমি তোমাকে ইবাদতের জন্যে সৃষ্টি করেছি। তুমি হেলায় খেলায় সময় নষ্ট করো না। আমি তোমার রিযিকের ‘জামিন’! রিযিকের পেছনে ছুটে নিজেকে ক্লান্ড করো না!
.
তুমি সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করো। তবে হৃদয়ে আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল (ভরসা) রাখো!
.
হে আদম সন্তান! আমার ইজ্জত ও জালালের কসম! আমি তোমাকে যা দিয়েছি, তাতে যদি তুমি সন্তুষ্ট থাকো, আমি তোমার তনুমনকে আরামেই রাখবো! তুমি আমার কাছে প্রশংসিত হয়েই থাকবে!
আর আমি তোমাকে যা দিয়েছি, তা নিয়ে যদি তুমি সন্তুষ্ট না হও, তাহলে আমার ইজ্জত ও জালালের কসম! আমি তোমার ওপর দুনিয়াকে চাপিয়ে দিবো! তুমি তখন বন্য পশুর মতো খাবারের পেছনে মাথাকুটে মরবে! তখনো কী হবে? শতচেষ্টা করেও, আমি তোমার জন্যে যা লিখে রেখেছি, ততটুকুই পাবে! বিন্দু পরিমাণও বেশি কিছু উপার্জন করতে পারবে না।
.
হে আদম সন্তান! আমি আসমান যমিন সৃষ্টি করেছি! সেগুলো সংরক্ষণ করতে, আমাকে বিন্দুমাত্র বেগ পেতে হয় না! তোমার জন্যে রুজিরুটির বন্দোবস্ত করতে বুঝি বেগ পেতে হবে?
-
হে আদম সন্তান! আমার কাছে তুমি আগামী কালের রিযিক চেয়ে অস্থির হয়ে পড়ে না। ঠিক যেমন আমি তোমার কাছে আগামীকালের ‘ইবাদত’ দাবি করি না!
.
হে আদম সন্তান! আমি তোমাকে ভালোবাসি! আমি তোমার ‘মুহিব্ব’! প্রেমিক! তোমার প্রতি আমার সমস্ত আচরণই প্রেমিকের মতো হবে!
.
কেন এত দুশ্চিন্তা! কেন এত উৎকণ্ঠা! কেন এত দৌড়াদৌড়ি! শান্ত হয়ে আমার ইবাদতে লেগে থাকো! বাকিটা আমি দেখছি!
-
thank you for sharing this valuable post!
-
নামাজের ১১ টি উপকারিতা
১/ নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়।
২/ নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায় নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩/ নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪/ নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে। ৫ নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে।
ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
৬/ নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭/ নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮/ ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের
রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
৯/ কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।
১০/ নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১/ কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।
-
ইসলাম নারীদের কেমন চোখে দেখে ?
১)একটা নারীর যখন জন্ম হয়, ইসলাম বলে:
"যার ঘরে প্রথমে কন্যা সন্তান হয় সেইঘর বরকতময়"।
২)নারী যখন যুবতী হয়, ইসলাম ঘোষনা দেয় যে "তার মেয়েকে সঠিকভাবে লালন পালন করে ভালপাত্র দেখে বিয়ে দেয় তার জন্য
জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।"
৩) নারী যখন বিবাহিত, ইসলাম বলে "সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম"।
৪) নারী যখন সংসারী, ইসলাম বলে "স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানো সওয়াবের কাজ। এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক লোকমা
খাবার তুলে দেয়াও"।
৫) নারী যখন গর্ভবতী, ইসলাম বলে
"গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায় সে
শহীদের মর্যাদাপায়"।
৬) নারী যখন মা, ইসলাম বলে "মায়ের পদ তলে সন্তানের বেহেশত"।
তবুও নারীকে ইসলাম সন্মান দেয় না যারা বলেন, তারা কি টিক বলেন?
-
هجر الأقارب وتقطيع الأرحام
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং নিকট আত্মীয়দের পরিত্যাগ করা।
আল্লাহ বলেন-
فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ
(محمد: ২২-২৩)
‘‘ক্ষমতা লাভের পর স্মভবত: তোমরা পৃথিবীতে ফাসাদ করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এদের প্রতিই আল্লাহ অভিস্মপাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিহীন করেন।’’ (মুহাম্মদ:২২-২৩)
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
لايدخل الجنة قاطع رحم. . (رواه المسلم:৪৬৩৩)
‘‘আত্মীয়তার ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না।’’ ( মুসলিম:৪৬৩৩)
-
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী, আর আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচনা করে থাক এবং আত্মীয়- জ্ঞাতীদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন।’’ (নিসা:১)
-
১:- মন ভাল রাখে নামাজ।
২:- টেনশন দুর করে নামাজ।
৩:- মন পবিত্র করে নামাজ।
৪:- মনোসত্ববোধ শেখায় নামাজ। ৫:- ভাতৃত্ববোধ দৃঢ় করে নামাজ। ৬:- কল্যান বয়ে আনে নামাজ।
৭:- প্রশান্তি বয়ে আনে নামাজ। ৮:- সময়ের সদ্ব ব্যবহার শেখায় নামাজ। ৯:- আনুগত্য শেখায় নামাজ। ১০:- আল্লাহর প্রতি বান্দাকে অগ্রসর করে নামাজ।
১১:- খারাপ কাজ থেকে
দূরে রাখে নামাজ।
১২:- সবচেয়ে ভাল বন্ধু নামাজ। .
এর পরেও কি আমরা সজ্ঞানে অবহেলায় নামায ছেড়ে দিব...!!
-
আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা গোটা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রেরণ করেন। আল-কোরআনের ২১নং সূরা আম্বিয়ার ১০৭ আয়াতে মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেনঃ “আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত (আশীর্বাদ) স্বরূপ।”
তিনি আরো বলেছেন-“(হে নবী) আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য (জান্নাতের) সুসংবাদদাতা ও (জাহান্নামের) সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।” (সূরা সাবা, আয়াত-২৮)
রাসূল (সাঃ) তাঁর কথা, কাজ ও অনুমোদনের মাধ্যমে অর্থাৎ হাদিসের মাধ্যমে আমাদের ইসলাম পালন করার যেসব নিয়ম-কানুন, বিধি-বিধান, আচার-আচরণ ও রীতি পদ্ধতি জানিয়ে ও শিখিয়ে দিয়ে গেছেন তার নাম হলো ‘সুন্নাতে রসূল’ বা ‘রাসূলের সুন্নাহ্।’
মহান আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন- “রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তোমরা তা গ্রহণ কর আর যা থেকে তোমাদেরকে বারণ করেন, তা থেকে তোমরা বিরত থাক।” (সূরা হাশর : ৭)
বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন- “আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা তা শক্তভাবে ধারণ করবে, ততদিন তোমরা কিছুতেই পথভ্রষ্ট বা বিভ্রান্ত হবে না; সে দুটি জিনিস হলো “আল্লাহ্র কিতাব” ও তাঁর “রাসূলের সুন্নাহ্।”
“আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি” একথা শুধু মুখে দাবি করলেই চলবেনা, কর্মের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ্র দীদার লাভ করার আশা করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ্ স্পষ্টভাবে বলেছেন-
‘(হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।” (সূরা আলে ইমরান-৩১)
অসীম দয়াময়, প্রেমময় প্রভু আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, ইহকাল ও পরকালে মহা-সাফল্য অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।
-
হযরত বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "বিচারক তিন শ্রেণীর, তার মধ্যে দু'শ্রেণীর বিচারক জাহান্নামী এবং এক শ্রেণীর বিচারক
হবে জান্নাতী।
১.প্রথম প্রকার বিচারক তাঁরা, যারা সত্যকে জানে এবং সত্যের সাথেই বিচার
ফায়সালা করে, তাঁরা জান্নাতী।
২.দ্বিতীয় প্রকার সেসব বিচারক, যারা সত্যকে জানে কিন্তু তদানুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে না বরং জুলুম করে, তারা জাহান্নামী।
৩.তৃতীয় প্রকার বিচারক তারা, যারা সত্যকে জানেও না এবং সে অজ্ঞতা নিয়েই
মানুষের বিচার-ফায়সালা করে, তারা জাহান্নামী।"
(সুনানে আবু দাউদ; বুলুগুল মারাম, হাদীস নং-১৪০১)
-
পবিত্র আল- কুরআনে মহান আল্লাহর ঘোষণা-
مِنْ أَجْلِ ذَٰلِكَ كَتَبْنَا عَلَىٰ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهُ مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا ۚ وَلَقَدْ جَاءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم بَعْدَ ذَٰلِكَ فِي الْأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ﴾
এ কারণেই বনী ইসরাঈলের জন্য আমি এ ফরমান লিখে দিয়েছিলাম, নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো৷ আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো। কিন্তু তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, রসূলগণ একের পর এক সুস্পষ্ট হেদায়াত নিয়ে তাদের কাছে এলো, তারপরও তাদের বিপুল সংখ্যক লোক পৃথিবীতে সীমালংঘনকারীই থেকে গেলো৷
(সূরা মায়েদাঃ ৩২)
-
কে কে প্রবেশ করতে চান "রাইয়ান" দিয়ে ??
.
.
রোযা জান্নাত লাভের পথঃ
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
«إِنَّ فِى الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ يَدْخُلُ مَعَهُمْ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَدْخُلُونَ مِنْهُ فَإِذَا دَخَلَ آخِرُهُمْ أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ»
‘‘জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’ - কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না..... রোযাদারগণ প্রবেশ করলে এ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’’
-সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৬
-
হযরত মুসলিম তামিমি (রা) বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন- ''যখন তুমি মাগরিবের নামায শেষ কর তখন কারো সাথে কথা বলার আগেই এই দু'আ সাত বার পাঠ করো- ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺟِﺮْﻧِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
''আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার''
অর্থ :হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।
যদি তুমি তা পড়, আর ঐ রাতেই তোমার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে "মুক্তি" লেখে দেওয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও যদি অনুরূপ (কারো সাথে কথা বলার আগেই) এই দু'আ পড়, আর ঐ দিনই তোমার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে 'মুক্তি' লেখে দেওয়া হয়।
-
নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহ তায়ালার জবাবঃ
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেলনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : ”আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি। আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই পাবে।
বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।”
অর্থ :যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করল।”
যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির রাহীম”।
অর্থ :যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল”।
যখন বান্দাহ বলে “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন ”
অর্থ :যিনি বিচার দিনের মালিক।
তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গৌরব বর্ণনা করল”
যখন বান্দাহ বলে, “ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন
অর্থ :আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। তখন আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার বান্দাহর মাঝেই রইল। আর আমার বান্দাহর জন্য তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।
যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াললীন”
অর্থ: আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" তখন আল্লাহ বলেনঃ “এটা আমার বান্দাহর জন্যই রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে চাইল।”
সুবহানাল্লাহ।
-
কখন কি বলবেন ?
১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)
২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা । -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)
৩. কারো হাঁচি আসলে ''আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা । -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)
৪. কোন হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে শুনলে- 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২২৪)
৫. আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে 'আল্লাহু আকবর' বলা । স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে 'সুবহানাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২১৮)
৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে 'মা-শা আল্লাহ' বলা । -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)
৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে 'ইন শা আল্লাহ' বলা । -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)
৮. কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে "না'উজু বিল্লাহ" বলা । -(বুখারীঃ ৬৩৬২)
৯. কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে 'ইন্না লিল্লাহ' বলা । --(মুসলিমঃ ২১২৬)
১০. কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলা । -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)
১১. উপরে উঠার সময় 'আল্লাহু আকবার' বলা এবং নিচে নামার সময় 'সুবহানাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ২৯৯৩)
১২. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে 'ওয়াল্লাহু আলুম' বলা । -(বুখারীঃ ৫৫৭০)
১৩. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলা । -(বুখারীঃ ৩৩৬)
-
‘উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেবর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি নাবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এস বলল , এই হতভাগা
স্ত্রী সহবাস করেছে রমজানে। তিনি বললেনঃ তুমি কিএকটি গোলাম আজাদ করতে পারবে? লোকটি বলল, না।তিনি বললেনঃ তুমি কি ক্রমাগত দু’মাস সিয়াম পালন
করতে পারবে? লোকটি বলল , না। তিনি বললেন :তুমি কিষাটজন মিসকীন খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না।এমতাবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর নিকট এক ‘আরাক অর্থাৎ এক ঝুড়ি খেজুর এল। নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এগুলোতোমার তরফ থেকে লোকদেরকে আহার করাও। লোকটি
বলল , ! আমার চাইতেও বেশী অবাবগ্রস্থ কে? অথচমদিনার উভয় লাবার অর্থাৎ হররার মধ্যবর্তী স্থলে আমারপরিবারের চাইতে অধিক অভাবগ্রস্থ কেউ নেই। নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃতাহলেতোমার পরিবারকেই খাওয়াও। সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অদ্যায় ২৩/ হাদিস নম্বর ১৮১৩,
-
কাউকে কষ্ট দিলে তার কাছ থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবেঃ
======================================
একবার রাসুলূল্লাহ (সাঃ) তাঁর পাশে উপবিষ্ট সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) কে বললেন- তোমরা কি জানো, প্রকৃত পক্ষে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে গরীব কে ?
_______________
সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বললেন-আমাদের মধ্যে তো গরীব তাদেরকে বলা হয়,যাদের কাছে ধন-সম্পদ,টাকা-পয়সা না থাকে। তখন রাসুলূল্লাহ (সাঃ)বললেন-"প্রকৃত পক্ষে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে গরীব সে,যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা, যাকাত, সবকিছু নিয়ে উঠবে,কিন্তু
_______________
তার এ কর্ম গুলো থাকবে যে,সে দুনিয়াতে কারো সাথে মন্দ আচরন করেছে,কারো নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে,কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে,কাউকে আঘাত করেছে,কাউকে খুন করেছে ইত্যাদি,
_______________
তাই এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন তার কিছু নেকী একে দিবে,কিছু নেকী ওকে দিবে। এভাবে দিতে দিতে বান্দার হক আদায়ের পূর্বে যদি তার নেকী শেষ হয়ে যায়,তাহলে এই হকদারদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।"(মুসলিম শরীফ)
_______________
আল্লাহ আরো বলেন-
• যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব: 58)
_______________
অর্থাৎ কোন মানুষকে যেকোন ভাবে কষ্ট দিলে তা আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। ক্ষমা কেবল সেই ব্যক্তিই করতে পারবেন।
_______________
এখন এই বান্দার হক নষ্ট করলে তা হতে ক্ষমা চাওয়ার উপায়?
যার হক নষ্ট করেছি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
_______________
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাই এর উপর যুলুম করেছে সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয়, তার ভাই এর পক্ষে তার নিকট হতে পূণ্য কেটে নেওয়ার আগেই।
_______________
কারণ সেখানে কোনো দীনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পূণ্য না থাকে তবে তার (মযলুম) ভাই এর গুনাহ এনে তার উপর চাপিয়ে নেয়া হবে। [বোখারী ৬৫৩৪
-
★ তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই। (বুখারী ও মুসলিম)
★ তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সকলের আগে আমিই কবর থেকে উত্থিত হব। অতঃপর আমাকে জান্নাতের একজোড়া পোশাক পরানো হবে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে একত্রিত হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশা গ্রস্থ হবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী হব। সেদিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। (তিরমিযী)
-
হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহকে বললেন-
আল্লাহ;
১) যদি জীবন হত, মৃত্যু না হত;
২) যদি জান্নাত হত, জাহান্নাম না হত;
৩) যদি ধনী হত, গরীব না হত; এবং
৪) যদি সুস্থতা থাকত, অসুস্ততা না থাকত;
তবে খুবই ভাল হত।
আল্লাহ এরশাদ করলেন,
"হে মুসা (আঃ)!
১) যদি মৃত্যু না থাকত, তবে আমার সাক্ষাৎ হত
না।
২) যদি জাহান্নাম না হত, তবে আমার আজাবের
ভয় করত না।
৩) যদি গরীবী না থাকত, তবে বান্দা আমার
শুকরিয়া আদায় করতোনা।
৪) আর যদি অসুস্হতা না থাকত, তবে বান্দা
আমায় স্বরণ করত না।
(আল্লাহুআকবার)
-
হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন,
''আমি অচিরেই লোকদের উপর এমন একটি সময় আসার আশংকা করছি, যখন কেবলমাত্র নাম ছাড়া ইসলামের আর কিছুই বাকি থাকবে না এবং কুরআনের লিখিত রূপটি ছাড়া তার বাস্তবায়ন থাকবে না। মসজিদগুলো চাকচিক্যে ভরপুর হলেও মানুষ
হেদায়াত থেকে বঞ্চিত হবে। ঐ সময়কার আলেমরা হবে আসমানের নিচে বিচরণকারী সর্বনিকৃষ্ট জীব।
তাদের থেকেই বিভিন্ন ফিতনা ছড়াবে এবং তারা নিজেরাও সেই ফিতনায় আবর্তিত হবে।''
(সুনানে বায়হাকী, হাদীসটি সহীহ)
-
__রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:-_______"কাতার সোজা করা নামাযের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ"।_______________________বোখারী__॥
__________নামাযে কাতার সোজা কর দাড়ানর উপর নবীজি অনেক তাকিদ দিয়েছেন__॥ আমরা যেন খেয়াল করে কাতার বন্দি হয়ে নামায আদায় করি!!
-
-প্রকৃতপক্ষে তারাই শান্তি ও নিরাপত্তার অধিকারী যারা ঈমান এনেছে এবং নিজেদের ঈমানকে যুলুমের সাথে সংমিশ্রিত করেনি এবং তারাই হেদায়েতপ্রাপ্ত।
_____(সূরা আনআমঃ ৮২)
-ইয়া আল্লাহ ! আমাদেরকে দীর্ঘ জীবি হায়াত দান করুন এবং নেক আমল করার তৌফিক দান করুন।
-
মহান তায়া'লা বলেনঃ-
তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন।
.
______সূরা শুরা আয়াত নং:-৩০
-
লূত (আঃ) এর জাতির ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
----------------------_-----------_------------_--------
হযরত লূত (আঃ) এর সম্প্রদায় বসবাস করত সাদ্দূম নগরীতে।। তারা ডাকাতি করত, প্রকাশ্য সভা বানিয়ে অশ্লীলতা বেহায়াপনা করত।। তারা সর্বপ্রথম এমন ১টি গর্হিত পাপ করে যা এর পূর্বে কোন আদম সন্তান করে নি।।
লূত (আঃ) এর পাপী সম্প্রদায়-ই প্রথম সমকামীতা (অর্থাৎ পুরুষ-পুরুষ এবং মহিলা-মহিলা যৌন আচরণ করা) শুরু করে।।
লূত (আঃ) যখন তাদের-কে ইসলামের দাওয়াত দেন, তখন তারা লূত(আঃ) কে নির্বাসন দিতে চায় এবং উপহাস করে বলে -"এরা নিজেদের বেশী পবিত্র রাখতে চায়।।"
তাফসীরে পাওয়া যায়, হযরত জিব্রাইল (আঃ), ইস্রাফীল (আঃ) ও মিকাঈল(আঃ)সুদর্শন পুরুষের রূপ ধরে হযরত লূত (আঃ) এর এলাকায় উপস্থিত হন, এবং মেহমান হন।। লূত(আঃ) গোপনে তাদের-কে আশ্রয় দেন, কিন্তু লূত(আঃ) এর এক স্ত্রী এই খবর পাপাচারী সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছে দেয়।।
পাপাচারী সম্প্রদায় তাদের বিকৃত রুচি চরিতার্থ করার জন্য লূত (আঃ) এর বাসস্থান আক্রমন করে।। শেষ পর্যায়ে লূত (আঃ) আল্লাহের কাছে দোয়া করেন তাঁর মেহমানদের সম্ভ্রম রক্ষার জন্য, তখন ফেরেশতাগণ বলে উঠেন-
"ফেরেশতাগন বলল-হে লূত (আঃ) আমরা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ হতে প্রেরিত ফেরেশতা।। এরা কখনো তোমার দিকে পৌঁছাতে পারবে না।। ব্যস তুমি কিছুটা রাত থাকতে থাকতে নিজের লোকজন নিয়ে বাইরে চলে যাও।। আর তোমাদের কেউ যেন পিছনে ফিরে না তাকায়।। কিন্তু নিশ্চয় তোমার স্ত্রী উপরও তা আপতিত হবে, যা ওদের উপর আপতিত হবে।। ভোর বেলাই তাদের প্রতিশ্রুতির সময়, ভোর কি খুব নিকটে নয়??"
[সূরা হুদঃ আয়াত-১১]
মুফাসসিরগন বলেন- এরপর প্রথম জীব্রাইল (আঃ) তাদের সামনে আসেন এবং তাঁর ডানা দ্বারা হালকা আঘাত করেন এতেই সকল পাপাচারী অন্ধ হয়ে যায়।। এরপর জিব্রাইল (আঃ) লূত(আঃ) এর নিরাপদে সরে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।। এরপর ডানা দিয়ে সমগ্র সাদ্দূম নগরীকেই গোড়া সহ তুলে ফেলেন, এত উচুতে নিয়ে যান যে প্রথম আসমানের রক্ষী ফেরেশতা-রাও সাদ্দূম নগরীর কুকুর আর মোরগের ডাক শুনতে পাচ্ছিল।।
এবার পুরো জনপদকে উল্টো করে সজোরে জমিনে ধ্বসিয়ে দেয়া হয়, এবার আল্লাহের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পাপীর নাম লেখা পাথর বর্ষণ করা হয়, এমনকি যেসব পাপী বাসিন্দা কোন কাজে সেই নগরীর বাইরে ছিল তাদের উপর-ও প্রস্তর খন্ড এসে পড়ে।। এরপর আল্লাহ সে স্থানে দূষিত পানির জলাধার প্রবাহিত করে দেন।।
সমকামীতার শাস্তিঃ
----------------------
১. ঈমাম এ আযম আবু হানিফা (রহঃ) এর মত সমকামিকে পাহাড় (বা উঁচু স্থান) থেকে ফেলে দিয়ে তারপর পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে হবে এটাই আল্লাহের বিধান।।
২. ঈমাম শাফিঈ(রহঃ), ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল(রহঃ) ও অন্যান্যদের মত কেবলমাত্র পাথর নিক্ষেপে হত্যা করাই যথেষ্ট।।
[আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া]
-
বেহেশ্ত দোযখ বিষয়ে বলা হয়েছে :-
~~~~~~`>>~~~~>>>>~~~~~~~
" দোযখকে চিত্তাকর্ষক বস্তুু দ্বারা এবং বেহেশ্তকে
কষ্টদায়ক জিনিস দ্বারা আবৃত করা হইয়াছে । "
:::::;;;বুখারী ও মুসলিম ::::::ঃ:
-
"তাওয়াক্কুল এর পুরষ্কার হল পাখির মত রিজিক"
================================
"হজরত উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি : তোমরা যদি আল্লাহর ওপর ‘তাওয়াক্কুল’ করার হক আদায় করতে, তাহলে তিনি পাখিকুলকে রিজিক দেয়ার মতো তোমাদেরও রিজিক দান করতেন। ‘তোমরা লক্ষ্য করে থাকবে’ পাখিকুল অতি প্রত্যুষে খালি পেটে বের হয়ে যায় এবং সন্ধ্যায় ভরা পেটে তারা বাসায় ফিরে আসে ( ইবনে মাজাহ্ : ৪১৬৪, তিরমিযি : ২৩৪৪)।
*
অপর এক হাদীসে রয়েছেঃ
------------------------------------
الرابع: عن أبي هريرة رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: "يدخل الجنة أقوام أفئدتهم مثل أفئدة الطير" ((رواهمسلم)).আবূ হুরাইরাহ্ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘জান্নাতে এমন লোক প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখীর অন্তরের মত।
(রিয়াযুস সালেহীনঃ ৭৮)
কারো নিকট এর অর্থ হল এই যে, তারা পাখীর মত আল্লাহর উপর নির্ভরশীলহবে। আর অনেকের নিকট এর অর্থ এই যে, (পাখীর অন্তরের মত) তাদের অন্তরনরম হবে।
*
পাখিরা আগামী দিনের জন্য খাবার মওজুত করে রাখে না। তারা যথাযথভাবেই আল্লাহর ওপর ভরসা করে—এ হাদিসগুলো তা-ই প্রমাণ করে। আল্লাহ্ বুঝার ও আমল করার তওফিক দান করুন। আমিন।।
-
রাগ হলে কী করবেন?
আবু হুরাইরা রা. বলেন, একদিন রাসূল সা. এর কাছে এক লোক এসে বললেন, “হে আল্লাহ্র রসূল, আপনি আমাকে কিছু ওয়াসিয়ত করুন।”
উত্তরে রাসূল সা. বললেন, “তুমি রাগান্বিত হয়ো না” লোকটি একথাটি কয়েকবার বলল। তিনি (প্রত্যেকবারই একই কথা) বললেন, “তুমি রাগান্বিত হয়ো না”। [সহীহ বুখারী ৫৬৮৬]
নবী করিম সা. আরও বলেন-
“সে প্রকৃত বীর নয়, যে কাউকে কুস্তীতে হারিয়ে দেয়। বরং সেই প্রকৃত বাহাদুর, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম।” [সহীহ বুখারী ৫৬৮৪]
নবী করিম সা. এই উপদেশটি দিয়েছিলেন কারণ তিনি জানতেন, কেউ রাগান্বিত হয়ে পড়লে তা তার এবং তার আশেপাশের লোকজনের জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে কতটা ক্ষতিকর ও বিপদজনক। কিন্তু তিনি এটাও জানতেন যে, রাগের মুহূর্তে এই উপদেশটা মেনে চলা এত সহজ নয়। তাই তিনি রাগ নিয়ন্ত্রণের উপায়ও শিখিয়ে দিয়েছেন আমাদেরকে।
তাঁকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “হে আল্লাহ্র রসূল(সঃ), তাহলে (রাগের) চিকিৎসা কি?” উত্তরে নবী করিম(সঃ) বললেন-
“কেউ যদি দাঁড়ানো অবস্থায় রাগান্বিত হয়ে পড়ে তার উচিত সাথে সাথে বসে পড়া, আর রাগ না কমা পর্যন্ত ওই অবস্থায় থাকা। অন্যথায় তার উচিত শুয়ে পড়া।” [আবু দাউদ ৪৭৬৪]
-
Thanks for sharing...
-
হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, 'যখন আমার উম্মত দশটি কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে।'
তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, 'হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! কাজগুলো কি কি?'
তখন তিনি বললেনঃ-
১. যখন রাষ্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পদ হিসেবে মনে করা হবে
২. যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)
৩. যখন যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে
৪. স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে
৫. যখন মানুষ বন্ধুর প্রতি সদাচারী এবং পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে
৬. মসজিদে হৈ চৈ হবে
৭. জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী
৮. যখন মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান প্রদর্শন করা হবে
৯. যখন গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে
১০. যখন উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে ....
তখন আগুনের বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।'
সুনানে তিরমিযী; সহীহ আত তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস ১৫৪১।
তাই আসুন, আমরা উপরোক্ত দশটি কাজ করা থেকে বিরত থাকি। যদি আমরা তা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে আমরা ইহকাল ও পরকাল ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।
-
ছোট্ট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দুয়া
আল্লাহ যখন কারো ভালো করতে চান তখন তাকে অনেক টাকা পয়সা, ভালো স্বামী বা স্ত্রী, দামী গাড়ি দেননা। যদিও আমরা এইগুলোকেই কল্যানের বিষয় মনে করি। পার্থিব সুখ স্বাচ্ছন্দ কখনো আল্লার নেয়ামত হতে পারে, কখনো বা আল্লাহর পরীক্ষা হতে পারে। কিন্তু আল্লাহ যখন কারো কল্যান করতে চান, তখন তাকে দ্বীনের গভীর জ্ঞান দান করেন।
আর সেই জ্ঞান চাওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শেখানো সুন্দর ছোট্ট একটা দুয়া আছে, আপনারা মুখস্থ করে নিতে পারেন।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نَافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস’আলুকা ই’লমান নাফিআ’ন, ওয়া রিযক্বান ত্বাইয়্যিবান ওয়া আ’মালাম মুতাক্বাববালান।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র জীবিকা ও গ্রহণযোগ্য আমল প্রার্থনা করছি।
[ ইবনে মাজাহ ]
-
Lots of thanks for this beautiful post...May Allah bless all of us
-
আবূ হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেন যে, আমরা দুনিয়ায় (আগমনের দিক দিয়ে) সর্বশেষ, কিন্তু ক্বিয়ামাতের দিন আমরা মর্যাদার ব্যাপারে সবার পূর্বে। ব্যতিক্রম এই যে, আমাদের পূর্বে তাদের কিতাব প্রদান করা হয়েছে। অতঃপর তাদের সে দিন যে দিন তাদের জন্য ইবাদত ফরজ করা হয়েছিল তারা এ বিষয়ে মতভেদ করেছে। কিন্তু সে বিষয়ে আল্লাহ্ আমাদের হিদায়াত করেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে লোকেরা আমাদের পশ্চাদ্বর্তী। ইয়াহূদীদের (সম্মানীয় দিন হচ্ছে) আগামী কাল (শনিবার) এবং নাসারাদের আগামী পরশু (রোববার)। (বুখারী ৮৭৬,২৩৮; মুসলিম ৭/৫, হাঃ ৮৫৫, আহমাদ ৭৩১৪)
-
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, "তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতায় পরিণত না হয়, তোমাদের ঘৃণা যেন ধ্বংসে পরিণত না হয়।"
তাকে প্রশ্ন করা হলো, "সেটা কীভাবে হয়?"
তিনি উত্তর দিলেন, "যখন তোমরা ভালোবাসো, তোমরা শিশুদের মতন নির্বোধ হয়ে যাও। আর যখন ঘৃণা করো, তখন তোমরা তোমাদের সঙ্গীদের ধ্বংস কামনা করতে ভালোবাসো।"
[আল-বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ -১৩২২]
-
ঈমানের অর্থ- বিশ্বাস করা, আস্হা স্হাপন, স্বীকৃতি দেওয়া, নির্ভর করা, মেনে নেওয়া ইত্যাদি।
অাল্লাহ্কে বিশ্বাস করা এবং তার আাদেশ নিষেধকে মেনে চলার নাম ঈমান।
ঈমান হচ্ছে- "অাল্লাহ, তার ফেরেশতাকুল, কিতাবসমুহ, রাসুলগন, পরকাল এবং তাকদিরের প্রতি বিশ্বাস স্হাপন করা।" -
( মুসলিম)।... See More
-
ক্রোধের সময় আ'ঊযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্বোয়ানির রাজীম বলা
-
আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় চারটি কথা হলো -
- 'সুবহানাল্লাহ' - আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা
- 'আলহামদুলিল্লাহ' - প্রশংসা সবই আল্লাহর জন্যে
- 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' - আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই
- 'আল্লাহু আকবার' - আল্লাহ সর্বশক্তিমান।
-
"অহংকারের বশবর্তী হয়ে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা কর না, আর পৃথিবীতে গর্বভরে চলাফেরা কর না, নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না।"
--[সূরা লুকমান ৩১, আয়াত ১৮]
-
রোগী দেখতে যাওয়ার ফযিলত:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন কোনো লোক তার মুসলিম ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে না বসা পর্যন্ত যেন জান্নাতে ফল আহরণে বিচরণ করতে থাকে।
অতঃপর যখন সে (রোগীর পাশে) বসে, (আল্লাহ্র) রহমত তাকে ঢেকে ফেলে।
সময়টা যদি সকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য ক্ষমা ও কল্যাণের দো‘আ করতে থাকে বিকাল হওয়া পর্যন্ত। আর যতি সময়টা বিকাল বেলা হয় তবে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার জন্য রহমতের দো‘আ করতে থাকে সকাল হওয়া পর্যন্ত।”
তিরমিযী, নং ৯৬৯; ইবন মাজাহ্, নং ১৪৪২; আহমাদ, নং ৯৭৫। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্ ১/২৪৪; সহীহুত তিরমিযী, ১/২৮৬। তাছাড়া শাইখ আহমাদ শাকেরও হাদীসটি বিশুদ্ধ বলেছেন।
-
“আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন- আমার সমস্ত উম্মত জান্নাতে যাবে তবে ঐ সমস্ত লোক ব্যতীত যারা অস্বীকার করে। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রাসূল! কে অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার নাফরমানী করে সে অস্বীকার করে।” (বুখারি, হাদীস নং ৭২৮০।)
-
চিঠি পাঠ করে হযরত উমর রা. এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেল।
হযরত উমর (রাঃ) এর খিলাফতের প্রথম দিকে হযরত আবু উবাইদা বায়তুল মাল দেখাশুনা করতেন। ঈদের আগের দিন খলীফার স্ত্রী বললেন, ‘আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে, কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’।
খলীফা বললেন, ‘আমার নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই’। খলীফা পত্নী উম্মে কুলসুম খলীফার আগামী মাসের বেতন থেকে অগ্রিম নেয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করলেন।
খলীফা উমর (রাঃ) হযরত আবু উবাইদাকে খলীফার এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন।
সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা যিনি, যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ ধরণের চিঠি পাঠ করে হযরত আবু উবাইদার চোখে পানি এসে গেল। উম্মতে আমীন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বাহককে টাকা না দিয়ে সিদ্ধান্ত চেয়ে চিঠি লিখলেন, ‘আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। প্রথমত আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না?
দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’
চিঠি পাঠ করে হযরত উমর এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো। আর হাত তুলে হযরত আবু উবাইদার জন্য দোয়া করলেন, ‘আল্লাহ আবু উবাইদার উপর রহম কর, তাঁকে হায়াত দাও’।
স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জাতির একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি আছেন, আমার উম্মতের বিশ্বস্ত ব্যক্তি হচ্ছেন আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ’।
-
জান্নাতের বাতাস
===================
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘জান্নাতে একটি বাজার হবে, যেখানে জান্নাতিগণ প্রত্যেক শুক্রবার আসবে। তখন উত্তর দিক থেকে বায়ু প্রবাহিত হবে, যা তাদের চেহারায় ও কাপড়ে সুগন্ধ ছড়িয়ে দেবে। ফলে তাদের শোভা-সৌন্দর্য আরও বেড়ে যাবে। অতঃপর তারা রূপ-সৌন্দর্যের বৃদ্ধি নিয়ে তাদের স্ত্রীগণের কাছে ফিরবে। তখন তারা তাদেরকে দেখে বলবে, ‘আল্লাহর কসম! আপনাদের রূপ-সৌন্দর্য বেড়ে গেছে!’ তারাও বলে উঠবে, ‘আল্লাহর শপথ! আমাদের যাবার পর তোমাদেরও রূপ-সৌন্দর্য বেড়ে গেছে!’’
[1] মুসলিম ২৮৩৩, আহমাদ ১৩৬২১, দারেমী ২৮৪১
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
-
জান্নাত প্রার্থনা করা ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়ার দুয়াঃ ৩ বার
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও”।
তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহ ৪৩৪০, শায়খ আলবানি এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামি ৬২৭৫।
***উল্লেখ্য – সকাল সন্ধ্যায় ৭ বার “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার” পড়ার হাদীসটা জয়ীফ বা দুর্বল, শায়খ আলবানী সিলসিলা জয়ীফাহঃ ১৬২৪।
সুতরাং সেটা না পড়ে এই দুয়া পড়বেন, কারণ এটাতে জান্নাত চাওয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া দুইটা দোয়া আছে আর এটা সহীহ। ঐটা থেকে এইদুয়াটা সহীহ।
-
রাসূল (সাঃ) বলেন!
সারা পৃথিবী অামার জন্য মসজিদ ( নামাজের জায়গা) এবং পবিত্রতার উপকরন বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং অামার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তির নিকট যে কোন স্থানে নামাজের সময় এসে উপস্থিত হবে,
সে যেন সেখানেই নামাজ পড়ে নেয়।
_______[ সহিহ বুখারী, মুসলিম ৪৩৮ ]_______
-
#প্রশ্নঃ কোন ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বলতে হবে না?
============================
#উত্তরঃ ভবিষ্যতের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলা উত্তম। আল্লাহ বলেন,
﴿وَلَا تَقُولَنَّ لِشَاْيۡءٍ إِنِّي فَاعِلٞ ذَٰلِكَ غَدًا ٢٣﴾ [الكهف: ٢٣]
“কখনই তুমি কোনো বিষয়ে বলোনা, আমি ওটা আগামীকাল করবো। তবে এভাবে বলবে যে, যদি আল্লাহ চান।” [সূরা আল-কাহাফ, আয়াত: ২৩-২৪]
অতীত হয়ে গেছে এমন বিষয়ের ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলার দরকার নেই। যেমন, কোনো লোক যদি বলে গত রবিবারে রামাযান মাস এসেছে ইনশাআল্লাহ। এখানে ইনশাআল্লাহ বলার প্রয়োজন নেই। কারণ, তা অতীত হয়ে গেছে। অনুরূপভাবে ইনশাআল্লাহ আমি কাপড় পরিধান করেছি। এখানেও ইনশাআল্লাহ বলার দরকার নেই। কারণ, কাপড় পরিধান করা শেষ হয়ে গেছে। সালাত আদায় করার পর ইনশাআল্লাহ সালাত পড়েছি বলার দরকার নেই; কিন্তু যদি বলে ইনশাআল্লাহ মাকবূল সালাত পড়েছি তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। কারণ, সালাত কবূল হলো কি না তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
-
“আর এটাই হচ্ছে আমার (দেখানো) সহজ সরল পথ, অতএব তোমরা একমাত্র এরই অনুসরণ করো, কখনো ভিন্ন পথ অবলম্বন করো না, কেননা (ভিন্ন পথ অবলম্বন করলে) তা তােমাদেরকে নিয়ে (আল্লাহর) সঠিক পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । এ সকল বিষয়ে আল্লাহ তোমাদেরকে জোরালোভাবে উপদেশ দিচ্ছেন ৷ আশা করা যায় , তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে৷”
--(সূরা ৬ : আনআম ১৫৩)
-
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা ধারণা থেকে বেঁচে থাক। কারণ ধারণা হচ্ছে নিকৃষ্টতম মিথ্যা। তোমরা আঁড়ি পেতো না, গোপন দোষ অন্বেষণ করো না, স্বার্থের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ো না, হিংসা করো না, বিদ্বেষ পোষণ করো না, সম্পর্কচ্ছেদ করো না, পরস্পর কথাবার্তা বন্ধ করো না, একে অপর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিও না, দাম-দস্ত্তরে প্রতারণা করো না এবং নিজের ভাইয়ের ক্রয়-বিক্রয়ের মাঝে ক্রয়-বিক্রয়ের চেষ্টা করো না। হে আল্লাহর বান্দারা! আল্লাহ যেমন আদেশ করেছেন, সবাই তোমরা আল্লাহর বান্দা ভাই ভাই হয়ে যাও।’
-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫১৪৩, ৬০৬৪, ৬০৬৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস : ২৫৬৩/২৮, ২৯, ৩০ ও ২৫৬৪/৩২, ৩৩
-
Thanks a lot for sharing Sir. A very nice post indeed.
-
জান্নাতিদের সম্পর্কে এক আয়াতে আল্লাহ-তাআলা বলেনঃ-
সেখানে(জান্নাতে) তোমাদের জন্য আছে যা তোমাদের মন চায় এবং সেখানে তোমাদের জন্যে আছে যা তোমরা দাবী কর।🙂🙂
(সূরা হা-মীম সেজদাহ,আয়াত ৩১)
অন্য এক আয়াতে জাহান্নামীদের সম্পর্কে আল্লাহ-তাআলা বলেনঃ-
অতএব যারা কাফের, তাদের জন্যে আগুনের পোশাক তৈরী করা হয়েছে। তাদের মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে দেয়া হবে।ফলে তাদের পেটে যা আছে, তা এবং চর্ম গলে বের হয়ে যাবে।তাদের জন্যে আছে লোহার হাতুড়ি।তারা যখনই যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই তাদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেয়া হবে। বলা হবেঃ দহন শাস্তি আস্বাদন কর।😥😥
(সূরা হাজ্জ্ব,আয়াত ১৯-২২)
-
এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম্মের সঙ্গী সাথী তথা সাহাবায় কিরাম রাদিয়াল্লাহুম আজমাঈন। যাঁদের মধ্যে অনেকে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। কিন্তু তাই বলে তাঁরা আরামে দিনাতিপাত করেন নাই। নিশ্চিত হয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগেন নাই, জান্নাত তো আমারই, এত আমলের কী দরকার! এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি-আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু সালাতে দাঁড়িয়ে এত পরিমান কাঁদতেন যে পেছন থেকে শোনা কষ্টকর হত উনি কি পড়ছেন। উনি প্রায় আফসোস করে বলতেনঃ হায়! আমি যদি গাছ পালা, তৃণলতা হতাম, আমি যদি ঘাস হতাম! হায় আমার যদি জন্মই না হতো! অথচ এই উম্মাহর মধ্যে আবু বকরই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন, রাদিয়াল্লাহু আনহু।
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর মত সাহাবী কবরের কাছে গিয়ে এত পরিমান কাঁদতেন উনার দাড়ি ভিজে যেত চোখের পানিতে।
.
দুনিয়ার সামান্য কোন নিয়ামত পেলে সাহাবীরা ভয়ে শংকিত হতেন। তাঁরা মনে করতেন, দুনিয়াতে যে টুকু ভালো কাজ করেছি দুনিয়াতে তার প্রতিদান দিয়ে দেওয়া হচ্ছে না তো? সাহাবীদের কেউ কেউ প্রশংসা শুনলে কেঁদে ফেলতেন। আল্লাহর কাছে দু'আ করতেন, ইয়া আল্লাহ! আমাকে এরা যা ভাবে তার জন্য তুমি পাকড়াও করোনা'।
-
#ফজরের_নামাজ_পড়ার_১০টি_ফজিলত....
হাদিসের আলোকে আমরা ফজরের নামাজের কয়েকটি ফজিলত লক্ষ করা যায়। চলুন জেনে নেই,
১, ফজরের নামাজ মুনাফিকদের জন্য কঠিন হয় ও ঈমানদারদের জন্য সহজ হয়। তাই ফজরের নামাজে উপস্থিত হওয়াটা ঈমানদারের লক্ষণ।
২, ফজরের নামাজ পড়লে সেই ব্যক্তি সারাটাদিন আল্লাহের হেফাজতে কাটায়, তার সারাদিনের দায়িত্ব আল্লাহ সুবানাওতালা নিজে নেন।
৩, ফজরের নামাজ পড়লে ফেরেশতাগণ আল্লাহের কাছে গিয়ে ওই ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করে, বলে যে অমুক ব্যাক্তি ভালো কাজ করছে, নামাজ আদায় করছে।
৪, ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়লে আল্লাহ তায়ালা তাকে সারারাত নফল নামাজ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সওয়াব দান করেন।
৫, ফজরের নামাজ যে নিয়মিত পরে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন আলোর ব্যাবস্থা করে দিবেন।
৬, নিয়মিত ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়া ব্যাক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবানাওতালা কে পূর্ণিমার চাঁদের মতো স্পষ্ট দেখতে পাবে, কোনো অসুবিধা হবেনা।
৭, যে ব্যাক্তি ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা পেয়ে যাবে।
এক হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ(স:) বলেছেন, তোমরা ফজর ও আসরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়ার চেষ্টা করো, কারণ তা হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ।
৮, এই ফজরের টাইমে রাসূলুল্লাহ(স:) বরকতের দোয়া করেছেন। তাই কেউ যদি এই ফজরের টাইমে উঠে নামাজ পড়ে, তাহলে বরকতের রাস্তা বের হয়ে যায়।
৯, ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম।
১০, ফজরের নামাজ পড়লে মন ভালো থাকে, মন ফ্রেস হয়ে যায়, মনে উত্তেজনা থাকে। তাই ফজরের নামাজ মন ভালো রাখার এক উত্তম উপায়।
👆👆👆ওপরিক্ত ফজিলত গুলি ছাড়াও একটা extra ফজিলত হলো, আপনারা দেখবেন যারা ফজরের নামাজ পড়ে তারা শরীর স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে খুব ভালো। তাদের কোনো অসুখ বিশুক কম হয়।।।
আল্লাহ আমাদের ফজরের নামাজের গুরুত্ব বুঝে তা নিয়মিত পালন করার তৌফিক দান করেন। আমিন।।
-
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:
‘‘আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন?’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযূ করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও সওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত।’’
(রিয়াযুস সলিহীন, হাদিস নং ১৩৩)
-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।
[সহীহ মুসলিমঃ৬৭০৭]
-
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন........
‘বাবা-মার অবাধ্য, সদকাহ করে কৃপা প্রকাশকারী, মদ্যপায়ী এবং তকদীরকে অবিশ্বাসকারী জান্নাতে প্রবেশ লাভ করবে না।’
(মুসনাদ আহমাদ -৬/৪৪১, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ-৭/২০২, সুনান ইবনু মাজাহ-২/১১২০/৩৩৭৬)
-
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
💥আযান শেষ হলে মহানবী (সাঃ) এর উপর দরুদ পাঠ করে নিম্নের দুআ পড়লে কিয়ামতে তাঁর সুপারিশ নসীব হবে;
اَللّهُمَّ رَبَّ هذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَاماً مَّحْمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَّهُ।
💥 “আল্লাহুম্মা রাব্বাহা-যিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাতি অসসালা-তিল ক্বা-ইমাহ্, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা অলফাযীলাহ্, অবআসহু মাক্বা-মাম মাহ্মূদানিল্লাযী অআত্তাহ্।”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! হে এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠালাভকারী নামাযের প্রভু! তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে অসীলাহ্ (জান্নাতের সুউচ্চ স্থান) এবং মর্যাদা দান কর। আর তাঁকে সেই মাক্বামে মাহ্মূদ (প্রশংসিত স্থানে) প্রেরণ করো যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দান করেছ।
📖✒ (বুখারী ৬১৪নং, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্, সুনান)
-
Thank you for sharing.
-
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
اعتدلوا في السجود، ولا يبسط أحدكم ذراعيه انبساط الكلب.
“তোমরা সেজদার মধ্যে স্থির হও, তোমাদের কেউ তার বাহুদ্বয় কুকুরের ন্যায় বিছিয়ে রাখবে না”।[বুখারি: (৮২২), মুসলিম: (৪৯৩)]
-
মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আল্লাহর যিকরে উপস্থিত হও (খুতবা বা বয়ানে উপস্থিত থাকা)এবং ইমামের নিকটবর্তী হও। আর লোকে দূর হতে থাকলে বেহেশত প্রবেশেও দেরী হবে তার; যদিও সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।”
(আবূদাঊদ, সুনান ১১০৮নং)
-
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছে- কোন মোসলমান অপর মোসলমানকে গালি দিলে, সে ফাসেকের কাজ করিল বলিয়া সাব্যস্ত হয় এবং কোন মোসলমান অন্য মোসলমানের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারামারি, কাটাকাটি করিলে সে কাফেরের কাজ করিল বলিয়া সাব্যস্ত হয়।
বোখারী শরীফ - ১ম খণ্ড - হাদিস নং -৪৪
-
"আর আল্লাহকে যে ভয় করবে, তিনি তার পাপরাশি মোচন করবেন এবং তাকে দেবেন মহাপুরস্কার।"
--[সূরা তালাক ৬৫, আয়াত ৫]
-
Ameen ,,,!
-
রাসূল সা.-এর পানিপান বিধান
রাসুলুল্লাহ সা.-এর নির্দেশিত পানিপানের বিধান হলো : ১. বসে পান করা। ২. পানির পেয়ালা ডান হাতে নিয়ে পান করা। ৩. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা। ৪. পানি পানে কোনো সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার না করা। ৫. মাটির মাত্র যদি এমন হয়, যার ভেতরটা নজরে না আসে, তবে সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা (কারণ, তাতে বিষাক্ত ও অখাদ্য কিছু থাকতে পারে)। ৬. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা।
মহানবী সা.-এর পানিপান বিধি অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিপূর্ণ কল্যাণদায়ী। আমরা তার পানিপান বিধি অনুসরণ করলে সুস্বাস্থ্য ও সার্বিক কল্যাণের অধিকারী হতে পারব। রাসুল সা.-এর এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের তাওফিক আল্লাহ আমাদের সবাইকে দান করুন, এই কামনা করি।
-
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল ওয়াক্তমত নামায় আদায় করা।- বোখারী
-
|| রোগী দেখতে যাওয়ার অপরিসীম ফযিলত ||
.
হযরত সাওবান (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেন,
.
"কোন মুসলিম যখন তার অসুস্থ ভাইকে দেখতে যায়, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত জান্নাতের 'খুরফা' আহরণ করতে থাকে।
.
"জিজ্ঞেস করা হলঃ "জান্নাতের খুরফা কি??"
.
রাসূলুল্লাহ (স) উত্তরে বলেন, "এর (জান্নাতের) ফলমূল।"
.
[মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন, ৩য় খন্ড, হাদিস নং- ৮৯৮]
.
হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেন,
"কোন মুসলিম সকাল বেলা তার অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর সন্ধ্যায় কোন অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর তার জন্য জান্নাতে ১টি ফলের বাগান নির্ধারিত করে দেয়া হয়।"
.
[তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন, ৩য় খন্ড, হাদিস নং- ৮৯৯]
-
আল্লাহপাক স্পষ্ট ভাষায় বলেন অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক ।
(সুর যারিয়াত ১০)
তোমরা মন্দ ধারণা থেকে বেঁচে থাকো। কেননা মন্দ ধারণাই হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য মিথাচার।’-সহিহ মুসলিম শরিফ, হাদিস নং : ৬৭০১
‘হে মুমিনগণ! তোমরা অধিকাংশ (অহেতুক) অনুমান থেকে দূরে থাক। কারণ (অহেতুক) অনুমান কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাপ। (সুরা হুজরাত : আয়াত ১২)
অহেতুক মানুষের প্রতি কু-ধারণা পোষণ করার ফলে পরস্পরের প্রতি বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি হয়; সামাজিক সুসম্পর্ক ছিন্ন হয়। ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজে পারস্পরিক ঐক্য, সাম্য ও সম্প্রীতি নষ্ট হয়। আর এ অহেতুক ধারণা থেকেই মিথ্যার সৃষ্টি হয়।
-
রাসূল ﷺ বলেছেন, “হে যুব-সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে। কারণ বিবাহ চক্ষুকে অবনমিত করে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি ওই সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কেননা তা তার জন্য ঢালস্বরূপ (অর্থাৎ, কামভাব প্রশমনকারী)।” [সাহীহ বুখারী, হা/৫০৬৬; সাহীহ মুসলিম, হা/১৪০০]
-
"ইয়া মুকাল্লিবাল কুলুব, সাব্বিত কালবি আলা দ্বীনিক।"
অর্থ:- হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর সুদৃঢ় করে দাও।
[ তিরমিযী - ২১৪০]
-
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তারা (সাহাবাগণ) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! ইসলামে কোন্ জিনিসটি উত্তম? তিনি বললেনঃ যার জিহবা ও হাত হতে মুসলিমগণ নিরাপদ থাকে।
(মুসলিম ১/১৪ হাঃ ৪২, আহমাদ ৬৭৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১০)
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
-
রাসুল ﷺ বলেন,❤
আল্লাহর রহমত ছাড়া কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, (মিশকাত-২৩৭২)
সুবহানআল্লাহ্
-
যখন মূসা স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামত স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের মধ্যে পয়গম্বর সৃষ্টি করেছেন, তোমাদেরকে রাজ্যাধিপতি করেছেন এবং তোমাদেরকে এমন জিনিস দিয়েছেন, যা বিশ্বজগতের কাউকে দেননি। (সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত-২০)
হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভুমিতে প্রবেশ কর, যা আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং পেছন দিকে প্রত্যাবর্তন করো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। (সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত-২১)
তারা বললঃ হে মূসা, সেখানে একটি প্রবল পরাক্রান্ত জাতি রয়েছে। আমরা কখনও সেখানে যাব না, যে পর্যন্ত না তারা সেখান থেকে বের হয়ে যায়। তারা যদি সেখান থেকে বের হয়ে যায় তবে নিশ্চিতই আমরা প্রবেশ করব।’
(সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত-২২)
খোদাভীরুদের মধ্য থেকে দু’ব্যক্তি বলল, যাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেনঃ তোমরা তাদের উপর আক্রমণ করে দরজায় প্রবেশ কর। অতঃপর তোমরা যখন তাতে প্রবেশ করবে, তখন তোমরাই জয়ী হবে। আর আল্লাহর উপর ভরসা কর যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। (সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত-২৩)
তারা বললঃ হে মূসা, আমরা জীবনেও কখনো সেখানে যাব না, যতক্ষণ তারা সেখানে থাকবে। অতএব, আপনি ও আপনার পালনকর্তাই যান এবং উভয়ে যুদ্ধ করে নিন। আমরা তো এখানেই বসলাম। (সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত-২৪)
-
"নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা`আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি(আল্লাহ) বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।" (সূরা-আন’আম, আয়াত সংখ্যা-১৫৯)
-
হজরত আনাস (রা.) বলেন, যখন রজব মাসের আগমন হতো, তখন নবীজি সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দু'আ করতেন-
আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী- রজাবা ওয়া শা'বান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান
- অর্থাৎ 'হে আল্লাহ রজব ও শাবান মাসে আমাদের বরকত দান করো এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দাও।' (মুসনাদে আহমদ ১/৩৩৯, মেশকাত ১২১, বায়হাকী- শুআবুল ঈমান-৩/৩৭৫)
-
সূরা বাকারা-১৫৫
-১৫৫/ আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি এবং ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব । তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও ।
-
সালাতের ইহকালীন ও পরকালীন কতিপয় উপকারিতা, ফলাফল ও ফযীলত
১। সালাত হিফাযত বা সংরক্ষণকারীর জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হলো যে, তিনি তাকে জান্নাত দান করবেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ বান্দার ওপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করেছেন, যে তা হিফাযত করল তার জন্য আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হলো যে, তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন...।” (আবু দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ)
২। যে ব্যক্তি সালাতের হিফাযত করল তার জন্য সালাত জ্যোতি ও প্রমাণ হবে: অর্থাৎ সালাত তার ঈমানের দলীল হবে এবং কিয়ামতের দিন জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের কারণ হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে সালাতের হিফাযত করল সালাত তার জন্য জ্যোতি, প্রমাণ ও কিয়ামতের দিন মুক্তির কারণ হবে।” (ইতোপূর্বে পূর্ণ হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে)
৩। সালাত বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ক গড়ার মাধ্যম: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“আর সাজদাহ কর ও (আমার) নিকটবর্তী হও।” [সূরা আল-‘আলাক, আয়াত: ১৯]
অর্থাৎ আল্লাহর উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং সমস্ত সৎ কাজের মাধ্যমে তাঁর নৈকট্য লাভ কর, আর সৎ কাজের মধ্যে আল্লাহর জন্য সাজদাহ হচ্ছে সবচেয়ে বড়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “বান্দা স্বীয় রবের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় সাজদাহ অবস্থায়। অতএব, তোমরা সাজদায় বেশি-বেশি দো‘আ কর।” (সহীহ মুসলিম ও নাসাঈ)
দেখুন সালাতই হচ্ছে আপনার ও আল্লাহর মাঝে সম্পর্ক গড়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। অতএব, আপনি যদি চান তবে আল্লাহর উদ্দেশ্যে (সালাতের মাধ্যমে) বেশি-বেশি সাজদাহ ও রুকুর মাধ্যমে এ সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন। এ জন্যই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতে বেশি-বেশি দো‘আ করার ওসীয়ত করেছেন।
সালাত সর্বোত্তম আমলের অন্তর্ভুক্ত: আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেন: সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বলেন, “সময়মত সালাত আদায় করা”। আব্দুল্লাহ্ ইবন মাসউদ বলেন, তারপর কোনটি? তিনি বলেন, “পিতা-মাতার সাথে সৎ ব্যবহার করা”। আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ বলেন, আমি বললাম: তারপর কী? তিনি বললেন: “আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা।” (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম)
-
আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : পূর্ব ও পশ্চিম দিকে মুখ ফিরানোর মধ্যে নেক আমল বা সৎকাজ সীমাবদ্ধ নয়। বরং প্রকৃত সৎকর্ম পরায়ণ তারাই, যারা ঈমান আনয়ন করে আল্লাহ, আখেরাত, ফিরিশ্তা, আসমানী কিতাব ও নবীগণের প্রতি। আর আল্লাহর মহব্বতের প্রেরণার মাল-সম্পদ খরচ করে নিকটাত্মীয় ইয়াতীম, মিসকীন, অসহায় পথিক, অভাবীলোকজন এবং ক্রীতদাসদের মুক্তির জন্যে। আর তারা নামাজ কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং অঙ্গীকার পুরণ করে। আর সবর ও ধৈর্য ধারণ করে বিপদ-আপদে ও যুদ্ধের ময়দানে। তারাই প্রকৃত ঈমানদার এবং তারাই সত্যিকারের মুত্তাকী ও পরহেজগার। (সূরা আল বাকারাহ : আয়াত ১৭৭)।
-
রাসূল (সা:) বলেছেন, খেজুরের এক টুকরো দান করে হলেও জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর। যদি সেইটুকু সামর্থ্যও না থাকে, তবে ভালো কথার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষা কর।"
[বুখারী : খন্ড-১, ১৯০, খন্ড-২, ৮৯০]
-
ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ কিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে ; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।
সহীহ, সহীহাহ্ (৯৪৬) তিরমিযি হাদিস নং 2416
-
মাসয়ালা :
১. সামর্থ থাকলে দ্বিতীয় বিয়ে করা জায়েয৷ চারজন পর্যন্ত স্ত্রী একসাথে বিবাহবন্ধনে রাখা বৈধ৷ তবে সকলের মাঝে সমতা রক্ষা আবশ্যক। (সূরা নিসা-৩)
২. বিধবা মহিলাকে বিয়ে করা নবীর সুন্নত। আয়েশা রা. ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সকল স্ত্রী বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত ছিলেন। কুরআনে এ ধরণের মহিলাকে বিয়ে, সহযোগিতা, সদাচারণ করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে৷ অভিভাবককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন এমন নারীকে পুনরায় বিয়ে করতে বাঁধা না দেয়৷ (সূরা বাকারা-২৩৪, সূরা নিসা: ১৯)
৩. আন্দোলন, যুদ্ধ-বিগ্রহ বা কোন বেদনার বিষয় সামনে আসার কারণে স্ত্রীসঙ্গ থেকে দূরে থাকা ইসলামের শিক্ষা না। বরং এরূপ করা কাফেরদের কাজ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধ থেকে ফিরে মসজিদে দু রাকাত নামায পড়তেন। তারপর ঘরে যেতেন।
আওতাসের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামকে তিনদিনের জন্য নিকাহে মুতআর অনুমতি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বিদায় হজ্বের সময় তিনি মুতআ বিয়েকে চিরদিনের জন্য হারাম ঘোষণা করেন৷ (সহীহ মুসলিম- ১৪০৫)
৪. দ্বিতীয় বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রথম স্ত্রীর অনুমতি জরুরি না। তবে সাংসারিক মনোমালিন্য যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য প্রথম স্ত্রীকে জানানো উচিৎ। (ফতোয়া লাজনাতিত দায়ীমাহ লিল বুহুসিল ইলমিয়্যাহ ওয়াল ইফতা- ১৯/৫৩)
৫. শরঈভাবে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার জন্য দুজন সাক্ষীর সামনে বিয়ের উপযুক্ত স্বামী স্ত্রীর প্রস্তাব সম্মতিই যথেষ্ট। মোহরের উল্লেখ না থাকলেও বিয়ে হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে মেয়ের সমপর্যায়ের অন্যান্য মহিলাদের মোহর পরিমাণ টাকা/আসবাব/অলঙ্কার স্ত্রীকে মোহর হিসেবে দিতে হবে। (আল মুহীতুল বুরহানী- ৩/৫৬)
৬. কাবিননামা একটা ডকুমেন্ট মাত্র। শরঈ বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার জন্য কাবিননামা জরুরি না। (রদ্দুল মুহতার- ৩/৯)
৭. কোন সৎ নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া জঘণ্যতম অপরাধ। ইসলামী আইন অনুযায়ী কেউ যদি কোন মহিলাকে যিনার অপবাদ দেয়, তাহলে যিনা করতে দেখেছে এমন চারজন সাক্ষী তার কাছে তলব করা হবে। চারজন সাক্ষী উপস্থিত করতে না পারলে বা তিনজন সাক্ষী হলে তাদের সবাইকে ৮০টি করে চাবুকাঘাত করতে হবে।
শরীয়তে তারা ফাসেক বলে বিবেচিত হবে। তওবার আগ পর্যন্ত তাদের অন্য কোন সাক্ষ্য আদালতে গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
- রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহীম।
-‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’
[আবু দাউদ : ১৫১৬]
-
গীবত একটি জঘন্য গুনাহ
ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য,
নবীজি ﷺ গীবত নামক এ জঘন্যতম গুনাহর কথা সাহাবায়েকেরামের সন্মুখে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেছেন। এজন্য এই সুবাদে আলোচনা করতে গিয়ে একটি হাদিস সামনে রাখা প্রয়োজন, যেন এর ভয়াবহতা ও কদর্যতা আমাদের হৃদয়ে বসে যায়। আল্লাহ তাআলা আপন রহমতে গুনাহটির ভয়াবহতা আমাদের অন্তরে বসিয়ে দিন এবং জঘন্য গুনাহটি থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন। আমিন।
উল্লেখিত হাদীসের মাধ্যমে গীবতের ভয়াবহতা আপনারা নিশ্চয় অনুধাবন করেছেন যে, গীবতকারী আখেরাতে নিজের মুখমণ্ডল খামচাবে।
অপর এক হাদীসে এসেছে, হাদীসটি সনদের দিক থেকে তেমন মজবুত না হলেও অর্থের দিক থেকে বিশুদ্ধ। রসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, গীবতের গুনাহ জিনা-ব্যভিচারের গুনাহর চেয়েও মারাত্মক।
প্রশ্ন হল, এর কারণ কী?
উত্তর হল, আল্লাহ না করুন, যদি কেউ ব্যভিচারের গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায় তাহলে পরবর্তীতে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে নিলে আল্লাহ চাহে তো গুনাহটি মাফ হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে গীবত এমন মারাত্মক গুনাহ যে, গুনাহটির ক্ষমা ততক্ষণ পর্যন্ত পাওয়া যাবে না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে ক্ষমা করে দেয়। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, বাবুল গীবাত খন্ড ৮ পৃষ্ঠা ৯২)
-
বৈজ্ঞানিকভাবে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার উপকারিতা
চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিকট এই বিষয়টি স্পষ্ট হইয়া গিয়াছে যে,হতাশা, নৈরাশ্য,অনিদ্রা ও মানসিক বিপর্যস্ত প্রভৃতি রোগীদের জন্য তাহাজ্জুদের নামাজ একটি কার্যকর চিকিৎসা।
মানসিক রোগীদের ওপর রাতের শেষভাগে সাময়িক নিদ্রা বর্জন আরপ করিয়া ভালো ফল পাওয়া গিয়েছে।
অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গিয়েছে, রমজান মাসে মুসলমানদের মধ্যে মানসিক রোগীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকে।
উহার কারণ অনুসন্ধান করিয়া চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, রমজান মাসে রাতে শেষ অংশে সেহরির জন্য সাময়িক নিদ্রা বর্জনের ফলেই ওই রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস পায়।
হতাশা ও মানসিক রোগীর যদি নিয়মিত তাহাজ্জুদ তাহাজ্জুদে অভ্যস্থ হয় তবে তাদের এই রোগ উপশম হইবে এবং সুস্থ লোকেরা ওই রোগের আক্রমণ হইতে নিরাপদ থাকবে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ তাহাজ্জুদের নামাজের যেসব উপকারিতার কথা বর্ণনা করিয়াছেন নিম্নে কয়েকটি উল্লেখ করা হইল-
তাহাজ্জুদের নামাজ মানসিক অশান্তি দূরীকরণ ও সুনিদ্রা আনয়নের অন্যতম মহৌষধ।
ইহা হৃদরোগের উত্তম চিকিৎসা।
রোগের খিঁচুনি এবং গ্রন্থি প্রদাহের রোগীদের জন্য উপকারী।
মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ উন্মাদ রোগের জন্য ইহা শেষ চিকিৎসা বটে।
চক্ষু রোগী বিশেষত যারা একটি বস্তুকে দুইটি দেখেন তাহাজ্জুদের নামাজ তাহাদের জন্য উত্তম চিকিৎসা।
তাহাজ্জুদের নামাজ মানুষের আত্ম প্রশান্তি উদ্দাম কর্মস্পৃহা ও শারীরিক শক্তি সঞ্চয় করে।
বৈজ্ঞানিক আলোকে তাহাজ্জুদ নামাজের উপকারিতা এই কারণে বর্ণনা করা হচ্ছে যে,যেন আমাদের আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিশ্বাস আরো বেশি জন্ম নেয়।
তার হুকুম আহকাম এরমধ্যেই আমাদের ইহলোক এবং পরলোক এর সফলতা এবং কামিয়াব রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন আমিন।
সূত্র: সুন্নত ও আধুনিক বিজ্ঞান
-
তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত।
[সূরা আন-আম, আয়াত-১০৮ ]
-
Dear Mr . Zakaria ,
Thanks a Lot for this Valuable Post.
My Best Regards.
-
আল্লাহ বলেন,
👉আর আমি তোমাদেরকে অবশ্যই পরিক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা। আর আপনি সুসংবাদ দিন ধৈর্যশীলদেরকে। সূরা বাকারা: ১৫৫
-
সরাসরি সাগর থেকে অজু করলেও অজুতে বেশি পানি খরচ করার অনুমতি ইসলাম দেয়নি।🚫🚫
মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না।’
(সূরা : আরাফ : আয়াত : ৩১)👈
👉 যারা অপব্যয় করে, তারা তো শয়তানের ভাই। আর শয়তান তার রবের প্রতি অতি অকৃতজ্ঞ।
(সূরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ২৭)
🚫 পানি ব্যবহারে রয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
‘তোমরা স্থির পানিতে পেশাব কোরো না, নাপাক বস্তু ফেলো না, কেননা তা তোমরা ব্যবহার করবে।’
(আবু দাউদ, হাদিস : ৬৯, ৭০)
অপ্রয়োজনে পানি নষ্ট করা যেমন পানির অপচয়, তেমনি প্রয়োজন পূরণের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি খরচ করাও পানির অপচয়। এমনকি সরাসরি সাগর থেকে অজু করলেও অজুতে বেশি পানি খরচ করার অনুমতি ইসলাম দেয়নি।
👉👉আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, একবার রাসুল (সা.) সাদ (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাদ (রা.) অজু করছিলেন। তাঁর অজুতে পানি বেশি খরচ হচ্ছিল। রাসুল (সা.) তা দেখে বলেন, কেন এই অপচয়? সাদ (রা.) জিজ্ঞেস করেন, অজুতেও কি অপচয় হয়? রাসুল (সা.) বলেন, হ্যাঁ, এমনকি প্রবহমান নদীতে অজু করলেও।’
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৫)
-
আযানের মধ্যে লুকিয়ে আছে অলৌকিক গনিতের খেলা।। আল্লাহর কসম এই আযানের এই তথ্যগুলো পড়ার পর আপনি বাকরুদ্ধ হবেন আর আল্লাহর উপর আপনার ঈমান বৃদ্ধি পাবে ইনশাআল্লাহ।।
১। আযানের ১ম শব্দ হল আল্লাহ এবং শেষ শব্দ ও হল আল্লাহ।। এর মানে আল্লাহই শুরু এবং আল্লাহই শেষ।।
২। আযান শব্দটি পবিত্র কুরআনে সর্বমোট রয়েছে ৫ বার।। আর আমরা প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।।
৩। আযানের মধ্যে সর্বমোট শব্দ রয়েছে ৫০টি। আর আল্লাহ মিরাজের সময় হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে সর্বপ্রথম ৫০ওয়াক্ত ফরজ নামাজ দিয়েছিলেন।। পরে তা কমিয়ে ৫ ওয়াক্ত করা হয়।। আর সহীহ হাদিস বলে একজন ব্যাক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তাকে ৫০ ওয়াক্তের সাওয়াব দিবেন।।
৪। আযানের মধ্যে সর্বমোট ১৭ টি ভিন্ন অক্ষর রয়েছে।। আর আমাদের প্রতিদিন ফরজ নামাজ হল ১৭ রাকাত।। ফজর ২ + জোহর ৪ + আসর ৪ + মাগরিব ৩ + এশা ৪ = মোট ১৭ রাকাত।।
৫। আযানের মধ্যে সবচেয়ে ব্যবহৃত শব্দ হল (আল্লাহ) আল্লাহ শব্দের আলিফ অক্ষরটি সম্পূর্ণ আযানে আছে মোট ৪৭ বার, লাম অক্ষরটি ৪৫ বার এবং হা অক্ষরটি ২০ বার।। সুতরাং ৪৭+ ৪৫ + ২০ = ১১২।। আর পবিত্র কুরআনের ১১২ নম্বর সূরা হল সূরা ইখলাস।। যে সূরায় আল্লাহ নিজের পরিচয় দিয়েছেন।।"
-
মহান আল্লাহ তা'য়ালা বলেছেন-
•হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং ধৈর্য ধারণে প্রতিযোগিতা কর। সূরা আলে ইমরান ২০০।
•কেবল ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেয়া হবে কোন হিসাব ছাড়াই। সূরা যূমার ১০।
•নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে কিছু ভয় ও ক্ষুধা দ্বারা এবং কিছু ধনপ্রাণ এবং ফলের (ফসলের) লোকসান দ্বারা পরীক্ষা করব; আর তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও। সূরা বাকারাহ ১৫৫।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন-
•মুসলিম ব্যক্তির ওপর যে কষ্ট-ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানি আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফোটে, এসবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন। বুখারি ৫৬৪১।
•যে ব্যক্তি ধৈর্য ধরতে চেষ্টা করবে, আল্লাহ তাকে ধৈর্য ধরতে সাহায্য করবেন। আর ধৈর্যের চেয়ে অধিক উত্তম ও ব্যাপক দান কাউকে দেওয়া হয়নি। হাদিস সম্ভার ১০
-
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন ‘প্রতি ফরজ নামাজের পর যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পড়বে তার জান্নাতে যাওয়ার পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না।’ (আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নাসায়ি, হাদিস : ১০০)।
উবাই বিন কাব থেকে বর্ণিত, মুহাম্মদ (সা.) উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মজীদের কোন আয়াতটি সর্বমহান? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুআল হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজ হাত দ্বারা তার বক্ষে (হালকা) আঘাত করে বলেন: আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক।(সুনানে আবু দাউদ ১৪৬০)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকালে আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে সে সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তান থেকে রক্ষা পাবে এবং যে সন্ধ্যায় পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে।
আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হলে ৭০০০০ ফেরেস্তা চর্তুদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।
মুহাম্মাদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, হুমায়দী (রহঃ) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বলেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা আসমান ও যমীনে আয়তুল কুরসী অপেক্ষা মহান (আজম) আর কিছু সৃষ্টি (খ্বলাক) করেননি। এর তাফসীরে সুফইয়ান (রহঃ) বলেনঃ আয়াতুল কুরসী হল আল্লাহর কালাম। আর আসমান ও যমীনে আল্লাহর সকল সৃষ্টি থেকে তাঁর কালাম তো মহান হবেই। (সুনান তিরমিজী,
-
জিবরাঈল (আঃ)কে আল্লাহ তায়ালা তৈরী করলেন।
জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালাকে জিজ্ঞাসা করলেন আল্লাহ আপনি কিসে খুশি হন??
আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হই আমার বান্দা যখন আমাকে সিজদা করে। অত:পর জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালা কে সিজদা করলেন ৩০ হাজার বছর ধরে।
জিবরাঈল (আঃ) মনে মনে খেয়াল করলেন আমার থেকে এত বড় দামি, এত বড় লম্বা সিজদা দুনিয়ার আর কেউ করতে পারবে না।
আল্লাহ তায়ালা নিশ্চয় আমার প্রতি খুশি হবেন।
জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালার দিকে মুতাহজ্জির হয়ে রইলেন কিন্তু আল্লা তায়ালার পক্ষ থেকে কোন খুশির বাণী জনান হল না, জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহ তায়ালা কে জিজ্ঞাসা করলেন আল্লাহ আমি যে এত লম্বা সিজদা করলাম আপনি কি আমার সিজদার প্রতি কোন খুশি হন নাই? আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিলেন - জিবরাঈল তোমার জবাব আমি দেব তার আগে তুমি একটু আরশে আজিমের দিকে তাকাও, জিবরাঈল (আঃ) তাকিয়ে দেখলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরশে আল্লাহর কুদরতী নূর দ্বারা লিখা রয়েছে- ''লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ''
জিবরাইল (আঃ) জিজ্ঞাসা করলেন- হে আল্লাহ্!! আমার সিজদার সংগে এই কালিমার কি মিল?? আল্লাহ তায়ালা বললেন, ও জিবরাইল শোন আমি আল্লাহ এ দুনিয়া তৈরী করব ওই দুনিয়ার মানব জাতি ও জিন জাতির হিদায়াতের জন্য লক্ষাধিক নবি-রাসূলগনকে পাঠাব সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ কে পাঠাব
এই নবীর উম্মতের উপরে আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরয করব আর প্রতি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে সতেরটা করে রাকাত আমার জন্য ফরয করব প্রত্যেকটা রাকাতের মধ্যে দুটি করে সিজদা হবে আর প্রত্যেকটা সিজদার মধ্যে ওই নবির উম্মত তিনবার করে "সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা-" পাঠ করবে। জিবরাইল তুমি জেনে রাখ আমার ওই মাহবুব নবীর উম্মত যখন সিজদায় গিয়ে "সুবহা-না রাব্বিয়াল আলা-" বলে আমাকে ডাক দিবে, জিবরাইল তুমি ৩০ হাজার বছর সিজদা করে যে নেকি পেয়েছ, আমি আল্লাহ্ আমার বান্দার আমল নামায় এর থেকেও ৪০ হাজার গুন বেশি নেকি লিখে দিব, সুবহানাল্লাহ...!!
এই জন্য মুসা (আঃ) কাঁদছেন, আল্লাহ!! আমাকে ওই নবীর উম্মত বানাইয়া দাও, যে নবীর উম্মত এক সিজদায় জিবরাঈল (আঃ) এর সারা জীবনের ৩০ হাজার বছরের সিজদার নেকি নিয়ে গেল।।
আমরা সেই নবীর উম্মত আমাদের কি করা উচিত আর আমরা কি করছি...?
আল্লাহ আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দিন।
আমিন.
-
আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না
‘অবশ্যই বিশ্বাসীরা সফল হয়েছে’ (সূরা মুমিনুন-০১)। মুমিন কখনোই হতাশ হতে পারে না। হতাশা মুমিনের কাজ নয়। সব সময় আল্লাহর অনুগ্রহ, করুণা এবং দয়ার যে আলোকধারা মুমিনের ওপর বর্ষিত হচ্ছে তা থেকে আপনি (মুমিন) কীভাবে নিরাশ হবেন? ইহকালীন ব্যর্থতা, পরাজয়ে আপনার কি আসে যায়! আল্লাহর ওপর নির্ভর করে মুমিন কখনো হতাশ হন না। দুনিয়ার অপূর্ণতা তাদের আঘাত দেয় না। বরং তারা প্রতীক্ষার প্রহর গুনে মহাসফলতার। সেই সফলতা, যার ওয়াদা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। আল্লাহ বলেন, ‘বলে দাও, হে আমার বান্দারা যারা নিজের আত্মার ওপর জুলুম করেছ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু। (সূরা জুমার-৫৩)।
দুনিয়া একটি পরীক্ষাগার। আল্লাহ বলেন, আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা এবং তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন (সূরা বাকারা-১৫৫)। মুমিনদের জন্য পরীক্ষা আসবেই। পরীক্ষা দিয়েছেন নবি-রাসূলরাও।
আমরা যদি প্রিয় নবি (সা.)-এর পবিত্র জীবনের দিকে তাকাই তাহলে দেখব-তার তিন তিনটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন- সবাই শিশু অবস্থায়ই ইন্তেকাল করেন। তিনি তো হতাশ হননি। যে মক্কাবাসী তাকে আল-আমিন উপাধি দিয়েছিল তারাই তো তাকে শিয়াবে আবু তালেবে বন্দি রেখেছিল তিন তিনটি বছর। তাদের জুলুম নির্যাতন এতটাই তীব্র ছিল যে, শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে আল্লাহর হুকুমে জন্মভূমি থেকে হিজরত করতে হয়েছিল তাকে। তারপরও তো তিনি হতাশ হননি।
আমরা যদি মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাই, তিনি আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন-‘হে আমার প্রভু! আমাকে এক সৎ ছেলেসন্তান দান করুন।’ (সূরা সাফফাত-১০০)। তখন আল্লাহ তাকে সুসংবাদ দিলেন, ‘সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।’ (সূরা সাফফাত-১০১)।
যার নাম ইসমাইল (আ.)। প্রাণাধিক প্রিয় পুত্রসন্তান যখন তার সঙ্গে চলাফেরার বয়সে উপনীত হলেন, তখন তাকে কুরবানি করার নির্দেশ করা হলো। তিনি হতাশ হননি বরং তিনি রবের ওপর ভরসা করে পুত্র ইসমাইলকে স্বপ্নের কথা বললেন। ইসমাইল (আ.) বললেন, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা পালন করুন।
হজরত জাকারিয়া (আ.)-এর ঘটনা আমাদের সবারই জানা, তিনি মারইয়াম (আ.)-এর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি যখনই মারইয়ামের কক্ষে প্রবেশ করতেন তখনই তার কাছে আনসিজনে বিরল খাদ্যদ্রব্য দেখতে পেতেন। তিনি জিজ্ঞেস করতেন, হে মারইয়াম! এসব তুমি কোথায় পেলে? তিনি বলতেন, ‘এসব আল্লাহর কাছ থেকে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অপরিমিত জীবনোপকরণ দান করেন’ (সূরা ইমরান-৩৭)।
তখন পর্যন্ত জাকারিয়া (আ.)-এর কোনো সন্তানসন্ততি ছিল না। তিনি মনে মনে ভাবলেন আর বললেন, যে আল্লাহ আনসিজনে ফল দিতে পারেন, সে আল্লাহ বৃদ্ধ বয়সে আমাকে সন্তানও দিতে পারবেন। তখন তিনি হতাশ না হয়ে দোয়া করলেন, ‘হে আমার পালনকর্তা!
তোমার কাছ থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সূরা ইমরান-৩৮)। আল্লাহর ওপর ভরসা করে তার কাছে চাইলে তিনি কাউকে কখনো হতাশ করেন না। অতএব, যারা প্রকৃত মুমিন বান্দা তাদের উচিত দুনিয়াতে দুঃখ-কষ্টে কখনো হতাশ হবে না।
( সংগৃহীত )
-
‘মা-শা আল্লাহ’ কখন ও কেন বলবেন?
বহুল প্রচলিত একটি বাক্য- ‘মা শা আল্লাহ’। আরবি- مَا شَاءَ الله ‘মা শা আল্লাহ’- শব্দটির অর্থ হলো- ‘আল্লাহ তাআলা যেমন চেয়েছেন’। কিন্তু ব্যাপক প্রচলিত এ কথাটি কখন এবং কেন বলতে হয়। এটি বলার উপকারিতাই বা কী?
প্রশংসার বহিঃপ্রকাশ কিংবা ভালো যে কোনো কিছু দেখলে বলা- مَا شَاءَ الله
উচ্চারণ : ‘মা শা আল্লাহ’
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা যেমনটি চেয়েছেন’ (মুসলিম)
‘মা শা আল্লাহ’ কখন বলবেন?
সুন্দর কিছু দেখলে- ‘মা শা আল্লাহ’ বলতে হয়।
তবে ইসলামিক স্কলাররা মা শা আল্লাহ বলার তিনটি অবস্থা নির্ধারণ করেছেন। তাহলো-
১. যখন কারও সফলতা দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
২. যখন কাউকে ভালো কিছু করতে দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
৩. যখন কারো কোনো সুন্দর জিনিস দেখবেন; তখন- ‘মা শা আল্লাহ’ বলা।
‘মা শা আল্লাহ’ কেন বলবেন?
কারো সফলতা, ভালো কাজ ও সুন্দর জিনিস দেখে ‘মা শা আল্লাহ’ বলায় কোন বদ নজর লাগে না। বরং মাশা আল্লাহ বলায় রয়েছে বিশেষ উপকার। যে নিজিস বা যে কাজ দেখে ‘মা শা আল্লাহ’ বলা হয়; সে জিনিস বা কাজ থেকে শয়তানের প্রভাব চলে যায়। শয়তান তাতে আর প্রভাব ফেলতে পারে না।
-
কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ঈমান :
যার যত বেশী সৎ আমল রয়েছে, সে ব্যক্তি ঈমানের দিক থেকে তত বেশী শক্তিশালী এবং এর ফলশ্রুতিতে জান্নাতেও তার মর্যাদা বৃদ্ধি করা হবে। মহান আল্লাহ বলেন, أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُؤْمِنُونَ حَقًّا لَّهُمْ دَرَجَاتٌ عِندَ رَبِّهِمْ وَمَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ ‘তারাই সত্যিকারের ঈমানদার। এদের জন্যেই রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট উচ্চমর্যাদা। আরও রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা’ (আনফাল ৮/৪)।
পাপের কারণে মানুষের অন্তর থেকে ঈমান আস্তে আস্তে চলে যেতে থাকে। এমনকি তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেয়া হয়। মহান আল্লাহ বলেন,كَلَّا بَلْ رَانَ عَلَى قُلُوبِهِم مَّا كَانُوا يَكْسِبُونَ ‘না এটা কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরের উপর মরিচারূপে জমে গেছে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১৪)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ‘অবশ্যই কোন মুমিন ব্যক্তি যখন পাপ কাজে পতিত হয় তখন তার অন্তরে কালো দাগ পড়ে যায়। অতঃপর সে পাপ থেকে তওবা-ইস্তেগফার করলে অন্তর থেকে দাগটি উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফলে তার অন্তর মসৃণ উজ্জ্বল হয়ে যায়। কালো দাগ বাড়তে থাকলে (পাপ বাড়লে) তার সম্পূর্ণ অন্তর ঘিরে ফেলে। এ মরীচিকা সম্পর্কেই আল্লাহ বলেন, ‘না এটা কখনও নয়; বরং তাদের কৃতকর্মই তাদের অন্তরে মরিচারূপে জমে গেছে’ (মুতাফফিফীন ৮৩/১৪)।[21]
-
🔰রাগ নিয়ন্ত্রণের পুরস্কার:
🔶 রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি রাগ কার্যকর করার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা দমন করে, আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন তাকে আহবান করে সকল মাখলুকের (সৃষ্টি) সামনে আনবেন এবং তাকে তার ইচ্ছামতো যে কোন হুর বেছে নেয়ার ক্ষমতা (স্বাধীনতা) দিবেন।
📜তিরমিযী (তাহকিককৃত): ২৪৯৩
-
সুরাঃ ৩৯, যুমার ৫৫-৫৯।
৫৫। অনুসরণ করো তোমাদের প্রতি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে উত্তম যাহা অবতীর্ণ করা হইয়াছে তাহার, তোমাদের উপর অতর্কিতে তোমাদের অজ্ঞাতসারে শাস্তি আসিবার পূর্বে -
৫৬। যাহাতে কাহাকেও বলিতে না হয়, 'হায়! আল্লাহর প্রতি আমার কর্তব্যে আমি যে শৈথিল্য করিয়াছি তাহার জন্য আফসোস! আমি তো ঠাট্টাকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।'
৫৭। অথবা কেহ যেন না বলে,'আল্লাহ আমাকে পথ প্রদর্শন করিলে আমি তো অবশ্যই মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হইতাম।'
৫৮। অথবা শাস্তি (কিয়ামতের) প্রত্যক্ষ করিলে যেন কাহাকেও বলিতে না হয়, ' আহা, যদি একবার পৃথিবীতে আমার প্রত্যাবর্তন ঘটিত তবে আমি সৎকর্মপরায়ণ হইতাম।'
৫৯। প্রকৃত ব্যাপার তো এই যে, আমার নিদর্শন তোমার নিকট আসিয়াছিল, কিন্তু তুমি এইগুলিকে মিথ্যা বলিয়াছিলে ও অহংকার করিয়াছিলে; আর তুমি তো ছিলে কাফিরদের একজন।
(আল্লাহ তাআলা আমাদের মাফ করুন।)
-
মুগিরা ইবনু শুবা (রা) বলেন, ‘রাসুল (সা.)-এর পুত্র ইবরাহিমের মৃত্যুর দিনটিতেই সূর্যগ্রহণ হয়। তখন আমরা সবাই বলাবলি করছিলাম যে, নবীপুত্রের মৃত্যুর কারণেই এমনটা ঘটেছে। আমাদের কথাবার্তা শুনে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর অগণিত নিদর্শনগুলোর মধ্যে দুটি নিদর্শন, কারোর মৃত্যু বা জন্মের ফলে চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণ হয় না।’
[বুখারি, হাদিস : ১০৪৩; মুসলিম, হাদিস : ৯১৫]
-
সূরাঃ আন-নিসা | An-Nisa | سورة النساء - আয়াতঃ ৮৫
مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً حَسَنَۃً یَّکُنۡ لَّهٗ نَصِیۡبٌ مِّنۡهَا ۚ وَ مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً سَیِّئَۃً یَّکُنۡ لَّهٗ کِفۡلٌ مِّنۡهَا ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ مُّقِیۡتًا ﴿۸۵﴾
যে ভাল সুপারিশ করবে, তা থেকে তার জন্য একটি অংশ থাকবে এবং যে মন্দ সুপারিশ করবে তার জন্যও তা থেকে একটি অংশ থাকবে। আর আল্লাহ প্রতিটি বিষয়ের সংরক্ষণকারী
বিশ্লেষণ (Analysis):
এ আয়াতে শাফা’আত অর্থাৎ সুপারিশকে ভাল ও মন্দ দু’ভাগে বিভক্ত করার পর এর স্বরূপ বর্ণনা করে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক সুপারিশ যেমন মন্দ নয়, তেমনি প্রত্যেক সুপারিশ ভালোও নয়। আরো বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি ভালো সুপারিশ করবে, সে সওয়াবের অংশ পাবে এবং যে ব্যক্তি মন্দ সুপারিশ করবে, সে আযাবের অংশ পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি কারো বৈধ অধিকার ও বৈধ কাজের জন্য বৈধ পন্থায় সুপারিশ করবে, সেও সওয়াবের অংশ পাবে।
তেমনিভাবে যে ব্যক্তি কোন অবৈধ কাজের জন্য অথবা অবৈধ পন্থায় সুপারিশ করবে, সে আযাবের অংশ পাবে। অংশ পাওয়ার অর্থ এই যে, যার কাছে সুপারিশ করা হয়, সে যখন এই উৎপীড়িতের কিংবা বঞ্চিতের কার্যোদ্ধার করে দেবে তখন কার্যোদ্ধারকারী ব্যক্তি যেমন সওয়াব পাবে, তেমনি সুপারিশকারীও সওয়াব পাবে। এমনিভাবে কোন অবৈধ কাজের সুপারিশকারীও গোনাহগার হবে। তবে সুপারিশকারীর সওয়াব কিংবা আযাব তার সুপারিশ কার্যকরী ও সফল হওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়; বরং সর্বাবস্থায় সে নিজ অংশ পাবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “যে ব্যক্তি কোন সৎকাজে অপরকে উদ্বুদ্ধ করে, সেও ততটুকু সওয়াব পায়, যতটুকু সৎকর্মী পায়।” [মুসলিমঃ ১৮৯৩]
এতে জানা গেল যে, সৎকাজে কাউকে উদ্ভুদ্ধ করা যেমন একটি সৎকাজ তেমনি অসৎ ও পাপ কাজে কাউকে উদ্ভুদ্ধ করা কিংবা সহযোগিতা প্রদান করা সমান গোনাহ। এ সবই হচ্ছে দুনিয়ার সুপারিশের বিষয়। আখেরাতের সুপারিশের আলোচনা অন্যত্র করা হয়েছে
-
~~~~~~~~~~~~~~মুনাফিক কাকে বলে ? ~~~~~~~~~~~~~
ණ: বিশর ইবন খালিদ (রঃ)……আবদুল্লাহ ইবন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (সাঃ) বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে, এ চারটি স্বভাবের কোন একটি থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটি স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে।
(১) সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে।
(২) যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে।
(৩) যখন চুক্তি করে তা লঙ্ঘন করে।
(৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে।
(সহীহ বুখারী শরীফঃ- ২২৯৭, খণ্ডঃ- ০৪)
-
নবী (সাঃ)আরও ইরশাদ করেন – “ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করে।” (তিরমিজী শরিফ)
তিনি মহানবী (সাঃ) আরও বলেন, “যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং-২০৫৬)
اللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبَيِّنَا مُحَمَّدٍ
বাংলা উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়্যিনা মুহা’ম্মাদ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবী মুহাম্মাদের উপর সালাত ও সালাম বর্ষণ করুন।
-
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
قُلۡ یٰعِبَادِیَ الَّذِیۡنَ اَسۡرَفُوۡا عَلٰۤی اَنۡفُسِهِمۡ لَا تَقۡنَطُوۡا مِنۡ رَّحۡمَۃِ اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یَغۡفِرُ الذُّنُوۡبَ جَمِیۡعًا ؕ اِنَّهٗ هُوَ الۡغَفُوۡرُ
বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু
SAY, "O MY SERVANTS WHO HAVE TRANSGRESSED AGAINST THEMSELVES [BY SINNING], DO NOT DESPAIR OF THE MERCY OF ALLAH. INDEED, ALLAH FORGIVES ALL SINS. INDEED, IT IS HE WHO IS THE FORGIVING, THE MERCIFUL.
সূরাঃ আয-যুমার- আয়াত নং - ৫৩
তাফসীর :
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, কিছু লোক ছিল, যারা অন্যায় হত্যা করেছিল এবং অনেক করেছিল। আরও কিছু লোক ছিল, যারা ব্যভিচার করেছিল এবং অনেক করেছিল। তারা এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আরজ করল: আপনি যে ধর্মের দাওয়াত দেন, তা তো খুবই উত্তম, কিন্তু চিন্তার বিষয় হল এই যে, আমরা অনেক জঘন্য গোনাহ করে ফেলেছি। আমরা যদি ইসলাম গ্রহণ করি, তবে আমাদের তওবা কবুল হবে কি? এর পরিপ্রেক্ষিতেই আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয় ৷ [বুখারী: ৪৮১০, মুসলিম: ১২২]
-
ভাগ্যিস বিজ্ঞান এসব আবিষ্কার করেছিল; নইলে জানাই যেত না যে কোরানে আগেভাগেই এতকিছু বলা আছে!!!
১ – বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
২ – বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে
চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে... সূরা
আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৩ – সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।
৪ - ‘ বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র
চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৫ – পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি... সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৬ – বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না। সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।
৭ – ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে।
৮ – বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে। কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয়।
৯ – ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে , চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর।
১০ – ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
১১- রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে। সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে।
১২ - মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে
বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে। সূরা আলাকে কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে।
১৩ - ভ্রন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে
পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে। ভাবা জায়... কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
( সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা
কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত)
১৪ - একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার। ভাবা যায়?
১৪০০ বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত !
( সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ )
১৫ – পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল... কোরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়ে
গেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।
১৬ – পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশ বছর আগে। সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে !!
......আমাদের সমস্যা হল আমরা সব কিছুই জানি... যারা নাস্তিক তারাও জানে... পার্থক্য টা হল ' বোধ' যেমন ধরুন একজন নেশাকর জানে যে নেশা করলেই তার জীবন নষ্ট হয়ে যাবে, যে ছেলে বাবা কে খুন
করেছে সে জানে যে এই মানুষটি তাকে জন্ম
দিয়েছে... সব জেনে শুনেই আমরা সব থেকে খারাপ কাজ গুলো করি... ব্যাপারটা অজ্ঞানতার না ব্যাপারটা ' বোধ' এর। আল্লাহ্ বলেন.. ঐ ব্যাক্তির কথার চেয়ে কার কথা উওম যে নিজে সৎকর্ম করে এবং অন্যকে সৎকর্মের জন্য আহবান করে।____ সূরা হা-মিম সিজদাহ্--(৩৩)......। নবী সা.বলেন. আমার পরে সবচেয়ে বড় দানশীল ব্যাক্তি তিনি,যে কোন বিষয়ে জানলো এবং অন্যকে তা জানালো.....( বায়হাকী)(সংগৃহীত)