Daffodil International University

Entertainment & Discussions => Life Style => Topic started by: Jasia.bba on February 28, 2020, 08:15:17 PM

Title: করোনাভাইরাস
Post by: Jasia.bba on February 28, 2020, 08:15:17 PM
২০১৯-২০ সালে উহানে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব সম্পর্কিত নিবন্ধের জন্য, উহান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০) দেখুন।
করোনাভাইরাস
Coronaviruses 004 lores.jpg
ভাইরাসের শ্রেণীবিন্যাস
গ্রুপ:   ৪র্থ গ্রুপ ((+)ssRNA)
বর্গ:   নিদুভাইরাস
পরিবার:   করোনাভাইরদা
উপপরিবার:   করোনাভাইরিনা
গণ:   
আলফাকরোনাভাইরাস
বেটাকরোনাভাইরাস
ডেল্টাকরোনাভাইরাস
গামাকরোনাভাইরাস
আদর্শ প্রজাতি
করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস হলো নিদুভাইরাস শ্রেণীর করোনাভাইরদা পরিবারভুক্ত করোনাভাইরিনা উপগোত্রের একটি সংক্রমণ ভাইরাস প্রজাতি।[১][২] এ ভাইরাসের জিনোম নিজস্ব আরএনএ দিয়ে গঠিত। এর জিনোমের আকার সাধারণত ২৬ থেকে ৩২ কিলো বেস পেয়ার (kilo base-pair) এর মধ্যে হয়ে থাকে যা এ ধরনের আরএনএ ভাইরাসের মধ্যে সর্ববৃহৎ। করোনাভাইরাস শব্দটি ল্যাটিন করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ মুকুট। কারণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে ভাইরাসটি দেখতে অনেকটা মুকুটের মত। ভাইরাসের উপরিভাগে প্রোটিন সমৃদ্ধ থাকে যা ভাইরাল স্পাইক পেপলোমার দ্বারা এর অঙ্গসংস্থান গঠন করে। এ প্রোটিন সংক্রামিত হওয়া টিস্যু বিনষ্ট করে। সকল প্রজাতির করোনাভাইরাসে সাধারণত স্পাইক (এস), এনভেলপ (ই), মেমব্রেন (এম) এবং নিউক্লিওক্যাপসিড (এন) নামক চার ধরনের প্রেটিন দেখা যায়।[৩]


পরিচ্ছেদসমূহ
১   ইতিহাস
১.১   করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ
১.২   করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০)
২   তথ্যসূত্র
ইতিহাস
করোনাভাইরাস ১৯৬০-এর দশকে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। প্রথমদিকে মুরগির মধ্যে সংক্রামক ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাস হিসেবে এটি প্রথম দেখা যায়। পরে সাধারণ সর্দিকাশিতে আক্রন্ত রোগীদের মধ্যে এরকম দুই ধরনের ভাইরাস পাওয়া যায়। মানুষের মধ্যে পাওয়া ভাইরাস দুটি ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ২২৯ই’ এবং ‘মনুষ্য করোনাভাইরাস ওসি৪৩’ নামে নামকরণ করা হয়।[৪] এরপর থেকে বিভন্ন সময় ভাইরাসটির আরো বেশ কিছু প্রজাতি পাওয়া যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২০০৩ সালে ‘এসএআরএস-সিওভি’, ২০০৪ সালে ‘এইচসিওভি এনএল৬৩’, ২০০৫ সালে ‘এইচকেইউ১’, ২০১২ সালে ‘এমইআরএস-সিওভি’ এবং সর্বশেষ ২০১৯ সাল চীনে ‘নোভেল করোনাভাইরাস’। এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ ভাইরাসের ফলে শ্বাসকষ্টের গুরুতর সংক্রমণ দেখা দেয়।[৫]

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাথমিক লক্ষণ
জ্বর
অবসাদ
শুষ্ক কাশি
শ্বাস কষ্ট
গলা ব্যাথা
কিছু রোগীর ক্ষেত্রে উপরোক্ত সকল উপসর্গ দেখা গেলেও জ্বর থাকেনা।[৬]
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০)
মূল নিবন্ধসমূহ: উহান করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০) এবং দেশ অনুযায়ী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব (২০১৯-২০২০)
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে চীনের১১ উহান শহরে করোনাভাইরাসের একটি প্রজাতির সংক্রামণ দেখা দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটিকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘২০১৯-এনসিওভি’ নামকরণ করে। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনের সাথে সাথে ১২টি দেশে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় যাতে ১১১৮ জনের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে।[৭][৮][৯] নিশ্চিতভাবে বিভিন্ন দেশে আরো ৪৫০০০ রোগী এ ভাইরাসে আক্রন্ত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। উহানে দেখা দেওয়া ভাইরাস প্রজাতিটি ‘এসএআরএস-সিওভি’ প্রজাতির সাথে ~৭০% জিনগত মিল পাওয়া যায়।[১০] অনেকেই অনুমান করছেন নতুন এ প্রজাতিটি সাপ থেকে এসেছে যদিও অনেক গবেষক এ মতের বিরোধীতা করেন।