Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: fatemayeasmin on April 18, 2019, 12:51:30 PM

Title: মৃতের মস্তিষ্ক আংশিক সচল!
Post by: fatemayeasmin on April 18, 2019, 12:51:30 PM
(https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/640x359x1/uploads/media/2019/04/18/1c42ba9d253b013c5208bbcbfc84732b-5cb80202e5268.png?jadewits_media_id=1432722)

প্রাণী মারা গেলে তার মস্তিষ্ক বা ব্রেন দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে বলেই ধারণা ছিল। গবেষকেরা এবার মারা যাওয়ার চার ঘণ্টা পর একটি প্রাণীর মস্তিষ্কের আংশিক সক্রিয় করতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। গবেষকেরা মৃত শূকরের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা করেন। এ গবেষণার ফলাফল জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে বাধা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্ট করতে পারে। অবশ্য এটি আলঝেইমারের মতো রোগের ক্ষেত্রে নতুন গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করতে পারে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষকেরা তাঁদের গবেষণায় দেখিয়েছেন, মস্তিষ্কের কোষ মারা যাওয়ার বিষয়টি বন্ধ করা যেতে পারে এবং মস্তিষ্কের মধ্যে কিছু সংযোগ আগের অবস্থায় নেওয়া যায়। তবে ওই মস্তিষ্কের সচেতনতা বা চেতনার কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি।

এ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হচ্ছে তা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা অপরিবর্তনীয় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে প্রচলিত এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পেরেছে।
গবেষকেরা কসাইখানা থেকে ৩২টি শূকরের মস্তিষ্ক সংগ্রহ করেন। চার ঘণ্টা পরে তা ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকেদের তৈরি একটি সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত করেন। ওই সিস্টেমটি বিশেষভাবে তৈরি রক্তের অনুরূপ কৃত্রিম তরল নাড়ির গতির মতো ছন্দে মস্তিষ্কে পাম্প করতে থাকে। ওই তরলের মধ্য সিনথেটিক রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও ওষুধ পাঠানো হয়। এতে মস্তিষ্কের কোষ মারা যাওয়ার গতি কমে যায় এবং কোষগুলো জীবিত হতে শুরু করে। মস্তিষ্কে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত ওই বলকারক ককটেল তরল দেওয়া হয়।

গবেষকেরা দেখতে, মস্তিষ্কের মধ্যকার যোগাযোগব্যবস্থা সাইন্যাপস কাজ করতে শুরু করেছে।

গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে গবেষকেরা বলেছেন, মস্তিষ্ককোষগুলোর মধ্যে সাইন্যাপস যোগাযোগে ক্ষেত্রে সাড়া দিচ্ছে। স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মতোই একই পরিমাণ অক্সিজেন ব্যবহার করছে এবং ওষুধেও সাড়া দিচ্ছে।

শূকরগুলো হত্যার ১০ ঘণ্টা পরেও এ সাড়া পাওয়া যায়। তবে ইসিজি ব্রেন স্ক্যানে ‘ব্রেন-ওয়াইড ইলেকট্রিক অ্যাকটিভির’ কোনো সংকেত পাওয়া যায়নি, যা মস্তিষ্কের চেতনা নির্দেশ করে। অর্থাৎ মৌলিকভাবে এগুলো মৃত মস্তিষ্কের অনুরূপ।

ইয়েল ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্সের অধ্যাপক নেনাদ সেসটান বলেছেন, ‘আমরা আগে ভাবতাম মস্তিষ্কের কোষের মারা যাওয়ার ঘটনা দীর্ঘ সময় ধরে ঘটে থাকে। এখন আমরা দেখেছি, কোষ মারা যাওয়ার ঘটনা ধীরে ধীরে ও ধাপ অনুযায়ী ঘটে। এসব প্রক্রিয়ার কোনো কোনোটা আটকে দেওয়া যায়, তা সংরক্ষণ করে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।’

দীর্ঘ মেয়াদে ভবিষ্যতে স্ট্রোক বা জন্মের সময় অক্সিজেনের স্বল্পতার মতো ঘটনার ক্ষেত্রে আরও উন্নত সুরক্ষাব্যবস্থা পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন গবেষকেরা।