Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Sultan Mahmud Sujon

Pages: [1] 2 3 ... 175
1
কর্মসংস্থানের দক্ষতা হলো এমন কিছু স্থানান্তরযোগ্য দক্ষতা যা প্রায় প্রতিটি কাজেই প্রয়োজনীয়। এই দক্ষতাগুলো এমন একটি দক্ষতার উন্নয়ন, জ্ঞানভাণ্ডার বা মানসিকতার বিকাশের সাথে সম্পর্কিত যা আপনাকে নিয়োগকর্তাদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। এ ধরনের দক্ষতাকে অনেক সময় কর্মদক্ষতা, সফট স্কিল, কর্মপ্রস্তুতি দক্ষতা বা মৌলিক দক্ষতা বলা হয়। এগুলো কর্মদক্ষতা বাড়াতে, ভুল কমাতে এবং সহকর্মীদের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক, ফলে আপনি আপনার কাজ আরো কার্যকরভাবে করতে সক্ষম হন।

কর্মসংস্থানের দক্ষতাগুলো সাধারণত চাকরির বিবরণীতে উল্লেখ না থাকলেও, এগুলো প্রয়োজনীয় দক্ষতা যা আপনাকে নিয়োগকর্তাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে। এই দক্ষতাগুলোর মূল সুবিধা হলো, এটি আপনাকে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে যারা একই পদে আবেদন করছেন। অনেক সময় অন্য প্রার্থীদের একই যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলেও আপনার কর্মসংস্থানের দক্ষতা যদি সেই ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী হয়, তবে আপনার নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বিভিন্ন শিল্পে নির্দিষ্ট কিছু কর্মসংস্থানের দক্ষতা বেশি চাহিদাসম্পন্ন। আপনি যেকোনো নির্দিষ্ট পদের জন্য প্রস্তুতি নিতে বা আপনার রেজুমে তৈরি করতে আপনার শিল্পের প্রয়োজনীয় কর্মদক্ষতার বিষয়ে গবেষণা করতে পারেন।

কর্মসংস্থানের দক্ষতার উদাহরণ
নিয়োগকর্তারা কর্মসংস্থানের দক্ষতাকে উচ্চ মূল্যায়ন করে কারণ সেগুলো চাকরির নির্দিষ্ট দক্ষতার তুলনায় শেখানো কঠিন। কিছু দক্ষতা স্বাভাবিকভাবে আসে, অন্যগুলো শিক্ষা, কাজ বা দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। আপনি ইতোমধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মদক্ষতা পেয়ে থাকতে পারেন, তবে এগুলো উন্নত করা এবং নতুন দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব।

এখানে এমন ১০টি সাধারণ কর্মসংস্থানের দক্ষতা রয়েছে যা নিয়োগকর্তারা খোঁজেন:

১. যোগাযোগ দক্ষতা
যোগাযোগ দক্ষতা প্রায় প্রতিটি কাজের জন্য অপরিহার্য, তাই এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্মসংস্থানের দক্ষতা। কার্যকর যোগাযোগের জন্য প্রেরক, প্রাপক, বার্তা, মাধ্যম এবং প্রতিক্রিয়া এই পাঁচটি উপাদানের সমন্বয় জরুরি। এই উপাদানগুলো সঠিকভাবে কাজ করলে ভুল বোঝাবুঝি কমে এবং সময় ও সম্পদের অপচয় কমায়, যা কর্মী হিসেবে আপনার কর্মদক্ষতা বাড়ায়। যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে আপনি সামাজিক মাধ্যমে কথা বলা, স্থানীয় ক্লাবে যোগদান বা মুখের অভিব্যক্তি ও অঙ্গভঙ্গির সচেতনতা অনুশীলন করতে পারেন।

২. দলগত কাজের দক্ষতা
ভাল দলগত কাজের দক্ষতা মানে হলো লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহকর্মীদের সাথে মিলেমিশে কাজ করার ক্ষমতা। দলগত কাজের দক্ষতা যেমন সহযোগিতা নিয়োগের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে কারণ এটি কর্মপরিবেশকে আরো ইতিবাচক করে তোলে।

৩. নির্ভরযোগ্যতা
আপনি যদি নিয়মিত আপনার কাজ সময়মতো করতে পারেন, মানসম্পন্ন কাজ সরবরাহ করেন এবং ভুল কম করেন, তবে আপনি একটি নির্ভরযোগ্য কর্মী হিসাবে বিবেচিত হবেন। নির্ভরযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য দৈনিক কাজের তালিকা তৈরি করা এবং সময়মতো এগুলো সম্পন্ন করা প্রয়োজন।

৪. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
সমস্যা সমাধানের দক্ষতা হলো মূল সমস্যাগুলো সনাক্ত করে তার কার্যকর সমাধান নির্ধারণ করা। এই দক্ষতা আপনাকে অন্য চাকরিপ্রার্থীদের থেকে আলাদা করে তুলতে পারে কারণ এটি কোম্পানির লক্ষ্য অর্জন এবং কার্যক্রম সহজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক।

৫. সংগঠন ও পরিকল্পনা
কার্যকর সংগঠন এবং পরিকল্পনা দক্ষতা আপনাকে এবং আপনার নিয়োগকর্তাকে সময়, পরিশ্রম ও অর্থ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে। দৈনন্দিন কাজের জন্য একটি সময়সূচী তৈরি এবং তা অনুসরণ করা একটি ভাল সংগঠকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৬. উদ্যোগ গ্রহণের ক্ষমতা
উদ্যোগ নেওয়া মানে হলো কোনো সমস্যা চিন্হিত করে নিজে থেকে তার সমাধান করা এবং শেখার ইচ্ছা প্রকাশ করা। এর মাধ্যমে আপনি একটি কোম্পানির জন্য মূল্যবান কর্মী হয়ে উঠতে পারেন।

৭. আত্ম-পরিচালনা
আত্ম-পরিচালনার দক্ষতা মানে হলো কম নির্দেশনা পেয়ে সঠিকভাবে কাজ করা। আপনার যদি আত্ম-পরিচালনার দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি সম্ভবত নিয়োগকর্তার কাছে আকর্ষণীয় মনে হবেন।

৮. নেতৃত্ব
নিয়োগকর্তারা ভালো নেতৃত্বগুণসম্পন্ন কর্মীদের খোঁজেন কারণ তারা কোম্পানির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৯. শেখার দক্ষতা
শেখার দক্ষতার মানে হলো নতুন ধারণা এবং পদ্ধতি দ্রুত আয়ত্ত করা এবং পরিবর্তনে মানিয়ে নেওয়া। নিয়মিত শেখার অভ্যাস গড়ে তোলা একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা।

১০. প্রযুক্তি
প্রযুক্তি সম্পর্কিত দক্ষতা হলো যেকোনো নতুন প্রযুক্তি আয়ত্ত করার এবং কাজে প্রয়োগ করার ক্ষমতা।

2
অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করার সুবিধাগুলোকে আরও বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে। বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী চাকরি বা উদ্যোক্তা হওয়ার মাঝে দোটানায় পড়ে থাকেন। একদিকে চাকরি জীবনের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা, অন্যদিকে উদ্যোক্তা হওয়ার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার সমুদ্র। অনেকেই বয়সের কমতির জন্য আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন এবং মনে করেন যে ব্যবসায় নামার জন্য অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তবে বাস্তবতা হলো, অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করা প্রায়ই অনেক দিক দিয়ে উপকারী হতে পারে। নিচে অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করার প্রধান কিছু সুবিধা বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

১. প্রত্যাশার চাপ কম থাকে
অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করলে অধিকাংশ সময় সমাজ আপনাকে তেমন গুরুত্ব দেবে না। এটি প্রথমে নেতিবাচক মনে হতে পারে, কিন্তু এর একটি ইতিবাচক দিকও রয়েছে। যখন আপনার বয়স কম থাকে, তখন আশেপাশের মানুষ আপনাকে প্রায়শই অবমূল্যায়ন করে এবং আপনার থেকে বড় কোনো প্রত্যাশা রাখে না। এই কারণে আপনি সমাজ বা পরিচিতদের কাছে ব্যর্থতার ভয়ে চাপে থাকেন না, বরং আপনার জন্য একটি নির্ঝঞ্ঝাট পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই চাপমুক্ত পরিবেশে আপনি নির্দ্বিধায় নতুন আইডিয়া পরীক্ষা করতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার কৌশল পরিবর্তন করতে পারবেন।

যখন অন্যরা আপনাকে কম গুরুত্ব দেয়, তখন আপনার কাজের ফলাফল দিয়ে তাদের চমকে দেওয়ার সুযোগ থাকে। আপনি যখন ব্যবসায় সফলতা অর্জন করবেন, তখন সেই লোকেরা আপনার প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবে, যা একটি প্রশংসনীয় এবং উদ্দীপনামূলক অভিজ্ঞতা হতে পারে।

২. মিডিয়ার আগ্রহ ও কভারেজ
আজকের যুগে মিডিয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রচুর আগ্রহী। আপনি যদি অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করেন, তাহলে প্রচুর মিডিয়া কভারেজ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একজন প্রবীণ ব্যবসায়ীর তুলনায়, একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে মিডিয়া বড় করে দেখাবে, কারণ তরুণদের সাফল্যের গল্প সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত অনুপ্রেরণাদায়ক মনে হয়।

মিডিয়া কভারেজ ব্যবসার জন্য দারুণ প্রচারের সুযোগ তৈরি করে। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে মিডিয়ার নজর কাড়া অনেকটা সুনামের ভিত্তি গড়ার মতো কাজ করে। এই প্রচারনা আপনার পণ্যের বা সেবার ব্র্যান্ড সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আরও গ্রাহক বা বিনিয়োগকারী আকৃষ্ট করতে সহায়ক হবে।

৩. সৃজনশীলতা ও যুগোপযোগী চিন্তাভাবনার সুযোগ
বয়স কম থাকলে মানসিকভাবে অনেক বেশি সৃজনশীল ও উদ্যমী হওয়া যায়। একজন তরুণ ব্যক্তি আধুনিক প্রযুক্তি, সামাজিক মিডিয়া এবং ডিজিটাল ট্রেন্ড সম্পর্কে সাধারণত প্রবীণদের তুলনায় বেশি সচেতন থাকেন। এজন্য তরুণ উদ্যোক্তারা প্রায়শই ‘আউট অফ দ্য বক্স’ চিন্তাভাবনার মাধ্যমে নতুন ও সৃজনশীল ব্যবসায়িক কৌশল তৈরি করতে পারেন, যা বাজারে তাদের আলাদা অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করে।

অল্প বয়সীরা সাধারণত প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে আরও দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হয়। প্রযুক্তির এই যুগে, তরুণ উদ্যোক্তারা সহজেই নতুন প্ল্যাটফর্ম এবং ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে ব্যবসার সাফল্য বাড়াতে পারেন। অল্প বয়সের উদ্দীপনা এবং উদ্ভাবনী মানসিকতা একজন উদ্যোক্তার জন্য অনেক বড় একটি শক্তি।

৪. পরিবার ও আর্থিক দায়িত্বের চাপ কম থাকে
অল্প বয়সে সাধারণত সংসার বা পরিবারের দায়িত্বের চাপ খুব কম থাকে। ফলে এই সময়ে আপনি আপনার সম্পূর্ণ সময় ও অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন। একজন মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি যেখানে সংসার, ঋণ এবং পারিবারিক চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত থাকেন, সেখানে তরুণ উদ্যোক্তা পুরোপুরি তার ব্যবসার দিকে মনোনিবেশ করতে পারেন।

এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা। যখন আপনার কোন বড় দায়িত্ব থাকে না, তখন আপনি ঝুঁকি নিতে আরও সাহসী হতে পারেন। ব্যবসার ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেওয়া প্রায়শই সাফল্যের চাবিকাঠি। আপনি যদি শুরুতেই বড় কোনও ঝুঁকি নেন এবং সেটা সফল হয়, তবে আপনার সাফল্য দ্রুত আসতে পারে। এমনকি যদি প্রথম ঝুঁকি ব্যর্থও হয়, তাহলেও আপনার সামনে আরও অনেক সুযোগ থাকবে।

৫. ভুল থেকে শেখার সুযোগ
অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করলে ভুল করা স্বাভাবিক এবং এটি ব্যবসায়িক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। জীবনের শুরুতেই ভুল করলে সেগুলি থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রচুর সময় থাকে। প্রথম দিকে করা ভুলগুলি ভবিষ্যতে আপনাকে আরও সতর্ক ও দক্ষ করে তুলবে।

যখন আপনি কম বয়সে ভুল করবেন, তখন সেই ভুলের পরিণতি বড় হবে না, এবং আপনি তুলনামূলক সহজে সেগুলি কাটিয়ে উঠতে পারবেন। যেমন, একটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করে যদি লোকসান হয়, তাহলেও আপনি অন্য একটি উদ্যোগে নতুনভাবে বিনিয়োগ করার সময় ও সুযোগ পাবেন। এই পুনরুদ্ধারের সুযোগগুলো অল্প বয়সে আরও বেশি থাকে, কারণ তখন আপনার সামনে পুরো জীবন পড়ে থাকে।

৬. দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের সম্ভাবনা
অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করলে আপনাকে তুলনামূলক বেশি সময় সফলতা উপভোগ করতে দেয়। তরুণ বয়স থেকেই ব্যবসা শুরু করলে জীবনের অনেক আগেই আপনি একটি প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারেন। এটি শুধুমাত্র অর্থনৈতিকভাবে নয়, সম্মান ও সামাজিক অবস্থান হিসেবেও আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে। আপনি যখন অন্যরা এখনও ক্যারিয়ার তৈরি করছে, তখন আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন।

একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে দীর্ঘ সময়ের জন্য ব্যবসা পরিচালনা করার সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি প্রথম থেকেই সফলতার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান, তবে কিছু বছর পরেই আপনি আপনার জীবনের বেশিরভাগ সময় আরামদায়কভাবে কাটাতে পারবেন এবং যেটি আপনার জীবনকে আরও অর্থবহ করে তুলবে।

৭. উদ্যোক্তা মানসিকতার বিকাশ
অল্প বয়স থেকেই ব্যবসায় নামলে আপনার মধ্যে উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে উঠবে। এই মানসিকতা শুধু ব্যবসায়িক জগতে নয়, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও সফলতা অর্জনে সহায়ক হবে। আপনি সমস্যা সমাধান, নেতৃত্ব প্রদান এবং ঝুঁকি নেওয়ার মতো গুণাবলির চর্চা শুরু করবেন, যা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

আপনি নিজের কাজের নিয়ন্ত্রণে থাকবেন, এবং তা আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। এই মানসিকতা আপনার ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

উপসংহার
অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করা অনেক চ্যালেঞ্জিং হলেও এর অনেক সুবিধা রয়েছে, যা পরবর্তীতে লাভ করা কঠিন হতে পারে। আপনি যদি সাহস নিয়ে অল্প বয়সে ব্যবসায় নামেন, তবে আপনার সামনে সুযোগের দরজা খোলা থাকবে। প্রতিযোগিতার চাপ কম থাকা, মিডিয়া কভারেজ পাওয়া, সৃজনশীল চিন্তাভাবনা, আর্থিক চাপ কম থাকা এবং ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ—এই সবগুলোই অল্প বয়সে ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে বিশাল সুবিধা।

তাই যারা অল্প বয়সে ব্যবসায় নামতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এই সুযোগগুলো কাজে লাগানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাহস, স্থিরতা এবং মানসিকতা থাকলে অল্প বয়সের সীমাবদ্ধতা কোনো বাধা নয়, বরং তা আপনাকে সফলতার পথে আরও শক্তি যোগাবে।

3
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে ‘কালেকশনস’ নামের নতুন একটি সুবিধা যুক্ত করতে যাচ্ছে গুগল। এ সুবিধা চালু হলে বিভিন্ন অ্যাপে থাকা একই ধরনের প্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো স্মার্টফোনের হোমস্ক্রিনে একসঙ্গে দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ফলে কোনো অ্যাপ চালু না করেই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য দ্রুত জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর এ সুবিধার কার্যকারিতা পরখ করছে গুগল। 

গত মে মাসে নিজেদের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে ‘কালেকশনস’ সুবিধা তৈরির ঘোষণা দিয়েছিল গুগল। কিন্তু সে সময় সম্মেলনে উপস্থিত ডেভেলপারদের নতুন এ সুবিধার কাজের ধরন সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি গুগল প্লে স্টোরে কালেকশনস নামের একটি উইজেট যুক্ত করা হয়েছে। উইজেটটির বাঁ দিকে ক্রিয়েট, ওয়াচ, রিড, লিসেন, শপ এবং সোশ্যাল নামের একাধিক অপশন রয়েছে। নিজেদের পছন্দের অ্যাপ যুক্ত করার জন্য রয়েছে আলাদা অপশনও রয়েছে উইজেটটিতে।

গুগলের তথ্যমতে, কালেকশনস তৈরির কাজ এখনো চলছে। এ সুবিধা চালু হলে সব অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী সহজেই একই ধরনের সব তথ্য দ্রুত পর্যালোচনা করে ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে ফোন থেকে একাধিক অ্যাপ চালু করতে হবে না। বর্তমানে সুবিধাটি পরখ করা হলেও শিগগিরই সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


Source: https://www.prothomalo.com/technology/advice/l9mteiznew

4
Startups take top spot out of more than 100 applicants from across the UAE

 

[Press release links: Startupscale360 Abu Dhabi SME Hub UAENEWS247 Global Entrepreneurship Network ZAWYA My Startup World]

 

Dubai, United Arab Emirates; 31 May 2024: In a collaborative effort, the Entrepreneurship World Cup 2024, Startupscale360 (the UAE National Organiser), and Al Ghurair (National Co-Host) are proud to announce the winners of this year's Entrepreneurship World Cup, a global pitching competition geared at empowering outstanding start-ups. The event, which took place on Friday 31st May at Swissotel Al Ghurair, Dubai, reflected the UAE’s vibrant entrepreneurial spirit and innovation landscape.

 

The winners of the 2024 Entrepreneurship World Cup UAE Final are:

· Idea Stage: Audiomatic, an AI-driven platform that generates music and sound effects for videos, automating audio-related tasks in content production.

· Early Stage: Socialee, a Video Commerce ecosystem with Real Reviews from Real People, starting off with beauty in the GCC, and

· Growth Stage: PaySky, a Fintech Ecosystem Enabler providing digital payments solutions to Central banks, Banks and Telcos.

 

Other startups who were recognised with special choice awards are as under:

- JoinUBQT, runner-up, 💡Idea Stage, Finalist
- Takeem, runner-up, 💡Idea Stage, Finalist
- theintern.app, runner-up, 💡Idea Stage, Finalist
- Revent, runner-up, 🚀 Early Stage, Finalist
- FortyGuard, runner-up, 🚀 Early Stage, Finalist, and special choice award for “Sustainability” 🌍
- VectorGlobe, runner-up, 🚀 Early Stage, Finalist, and special choice award for “ClimateTech” 🌱
- Momint , runner-up, 💹 Growth Stage, Finalist
- Archireef, runner-up, 💹 Growth Stage, Finalist
- RouteMagic, runner-up, 💹 Growth Stage, Finalist
- Sehaaonline, special choice award for “HealthTech” 🏥
- YU.SH, special choice award for “Design” 🎨
- Nature Print, special choice award for “Rising Star” 🌟
- Hubpay, special choice award for “FinTech Forward” 💸
- Watermelon Market , special choice award for “F&B Ecosystem” 🍉
- Urent, special choice award for “Mobility” 🚗
- Retake, special choice award for “Circular Economy” ♻️
- HydroArtPod, special choice award for “AgriTech” 🌾
- Babystore.ae, special choice award for “Female Boldness” 👩‍🦰
- Mo7tawa, special choice award for "Challenger"
- Sulmi, special choice award for “Emirati Make-a-Difference” 🇦🇪

Source: https://www.adsmehub.ae/en/explore/post-details/audiomatic-socialee-and-paysky-take-top-prizes-at-entrepreneurship-world-cup-2024-national-finals

About Entrepreneurship World Cup 2024:

The Entrepreneurship World Cup (EWC) is one of the biggest and most diverse startup pitch competitions and support programs of its kind, featuring more than 430,000 entrepreneurs from over 200 countries and offering winners life-changing prizes. Since launching in 2019, the EWC has awarded $4 million in cash prizes, $266 million in in-kind prizes and provided opportunities for entrepreneurs at all levels – from idea stage to scale-up – to reach the next stage in their journey by providing them with free access to world class training and resources, enhancing their visibility, and working to connect them to mentors and investors. The Entrepreneurship World Cup is hosted globally by the Global Entrepreneurship Network and Monsha’at.

5
চিনিসমৃদ্ধ খাবার

মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। কড়া মিষ্টি চা? একদম নয়! চা বা কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পরিমাণটা ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন। চা-কফির স্বাদটুকুই গ্রহণ করুন কেবল, চিনির ‘মোহ’ থেকে বেরিয়ে আসুন। কৃত্রিম চিনি গ্রহণও ভালো অভ্যাস নয়। চিনির বিকল্প মধু? না, তা–ও নয়। কারও সুসংবাদে ‘মিষ্টিমুখ’ করতেই হবে? একখানা মিষ্টি না খেয়ে অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে খান। এই আধখানা মিষ্টিও খাবেন কালেভদ্রে। কোমল পানীয় একেবারেই বাদ, এমনকি তা ‘ডায়েট’ নামধারী হলেও। প্যাকেটজাত জুস খাবেন না। ফলের রস, স্মুদি যেটিই খেতে চান, বাড়িতে তৈরি করে খান। এসব পানীয়ের রেসিপি থেকেও অবশ্যই বাদ যাবে চিনি। আচার বা চাটনিতেও কিন্তু চিনি থাকে। তাই এগুলো খেলেও কম খাবেন। আইসক্রিম খাবেন না।


লবণসমৃদ্ধ খাবার
রান্নার স্বাভাবিক লবণের চেয়ে বেশি লবণ গ্রহণ করা উচিত নয়। পাতে বাড়তি লবণ নেবেন না। লবণ দিয়ে সালাদ মাখাবেন না। ফলমূলও খাবেন না লবণ মাখিয়ে। কাসুন্দিতেও প্রচুর লবণ থাকে। চিপস ও নানা রকম প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়তি লবণ থাকে। সস, সয়া সস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চানাচুর, সসেজ, পনির ও শুঁটকিতে অনেক লবণ থাকে। তাই এগুলোও কম খাবেন; সম্ভব হলে একেবারেই খাবেন না।

ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা খাবার
ক্লাসের ফাঁকে বা কাজের বিরতিতে শিঙাড়া-পুরি কিংবা বিকেলে-সন্ধ্যায় আড্ডার সময় ফাস্ট ফুড খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এমন অভ্যাস বদলে ফেলা আবশ্যক। তেলে ভাজা খাবার, বিশেষত ‘ডিপ ফ্রাই’ বা ডুবোতেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। পিৎজা, পাস্তা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, প্যাটিস প্রভৃতিও খাবেন না। নাশতা হিসেবে খেতে পারেন ফল বা সবজির সালাদ।

মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ
মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ বা ক্রিমের মতো উপকরণ থাকলে খাবারের স্বাদ বাড়ে। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই এ বয়সের জন্য স্বাস্থ্যকর উপকরণ নয়। কেক, পেস্ট্রিও তাই এড়িয়ে চলাই ভালো। বিস্কুট বা কুকিজও কম খাবেন। ত্রিশোর্ধ্ব কারও জন্য মিষ্টি বিস্কুট বা নোনতা বিস্কুট কোনোটিই খুব একটা স্বাস্থ্যকর খাবার নয়।

লাল মাংস, বিরিয়ানি ও তেহারি
রেডমিট বা লাল মাংস (যেমন গরু বা খাসির মাংস) এড়িয়ে চলুন। অল্পস্বল্প খেলেও চর্বির অংশ বাদ দিয়ে খাবেন। বিরিয়ানি বা তেহারির মতো খাবারও না খাওয়াই ভালো। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে খাবার গ্রহণ করুন।


Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/gsx8cieiir

6
Introduction: Discipline is the cornerstone of success, serving as the guiding force that propels individuals toward their goals, both in their professional and personal lives. In a world filled with distractions and constant demands, the ability to cultivate discipline becomes paramount. This blog post explores the significance of discipline in achieving success in both professional and personal spheres and provides practical insights on how to incorporate discipline into your daily routine.

The Role of Discipline in Professional Life

1. Achieving Career Goals:
Discipline is the driving force behind career success. Whether you’re an entrepreneur, a corporate professional, or a freelancer, adhering to a disciplined work ethic ensures that you consistently make progress toward your career goals. Setting clear objectives, creating a strategic plan, and staying focused are key elements of maintaining discipline in the professional arena.

2. Time Management:
Discipline plays a crucial role in effective time management. Professionals who prioritize their tasks, adhere to deadlines, and minimize distractions are more likely to excel in their respective fields. Implementing time management techniques, such as the Pomodoro Technique or time blocking, can help individuals channel their efforts more efficiently.

3. Continuous Learning:
A disciplined approach to professional development involves a commitment to continuous learning. Staying updated on industry trends, acquiring new skills, and seeking opportunities for growth are all manifestations of discipline. This not only enhances your expertise but also positions you as an invaluable asset in your professional domain.

The Impact of Discipline on Personal Life

1. Health and Wellness:
Personal discipline extends to taking care of one’s physical and mental well-being. Regular exercise, a balanced diet, and sufficient rest are essential components of a disciplined lifestyle. Prioritizing self-care not only contributes to overall health but also fosters resilience in the face of life’s challenges.

2. Financial Stability:
Financial discipline is vital for long-term stability and security. Creating a budget, saving consistently, and making informed financial decisions are habits that reflect personal discipline. These practices lay the foundation for achieving financial goals and weathering economic uncertainties.

3. Building Strong Relationships:
Discipline in communication and empathy is fundamental for nurturing meaningful relationships. Whether in family, friendships, or romantic partnerships, the ability to listen actively, communicate effectively, and resolve conflicts with patience demonstrates a high level of personal discipline.

Practical Tips for Cultivating Discipline

1. Set Clear Goals:
Define your professional and personal goals clearly. Break them down into smaller, manageable tasks, and create a roadmap for achieving them.

2. Create a Routine:
Establish a daily routine that aligns with your goals. Consistency in your daily habits builds discipline over time.

3. Prioritize Tasks:
Identify and prioritize tasks based on their importance. Tackling high-priority tasks first ensures that you make progress toward your objectives.

4. Learn to Say ‘No’:
Recognize your limits and avoid overcommitting. Saying ‘no’ when necessary is a disciplined approach to managing your time and energy.

5. Adaptability and Resilience:
Discipline is not about rigidity but adaptability. Embrace change, learn from setbacks, and cultivate resilience to navigate challenges effectively.

Conclusion:
Discipline is the thread that weaves success in both professional and personal spheres. By integrating discipline into your daily life, you not only enhance your chances of achieving your goals but also cultivate a mindset that breeds success. Embrace discipline as a lifelong companion on your journey to personal and professional fulfillment.

7
Introduction

In today's fast-paced and highly competitive world, success often hinges on more than just talent and hard work. While these qualities are undoubtedly essential, there's another invaluable asset that can elevate your career and personal growth to new heights: networking. In this blog post, we will explore the concept of networking as your trump card and delve into how it can open doors to opportunities and help you achieve your goals.

The Power of Networking


Networking, in its simplest form, is the art of building and nurturing professional relationships. It involves connecting with people in your field, industry, or related areas for the purpose of mutual benefit. Whether you're a seasoned professional or just starting your career, networking can be a game-changer in several ways.

Access to Opportunities

One of the most significant advantages of networking is the access it provides to a world of opportunities. When you have a robust professional network, you're more likely to hear about job openings, collaborations, partnerships, or business ventures before they become public knowledge. This early access can give you a competitive edge and enable you to seize opportunities that might not be available to others.

Knowledge and Insights

Networking isn't just about connecting with people who can help you professionally. It's also an opportunity to tap into a wealth of knowledge and insights. Conversations with experienced individuals in your field can provide valuable insights, industry trends, and best practices that might not be readily available through formal channels. These insights can help you make informed decisions and stay ahead of the curve.


Skill Development


Networking often involves interacting with people who possess different skill sets and expertise. By engaging with a diverse group of professionals, you can learn from their experiences and acquire new skills. Whether it's a technical skill, leadership qualities, or innovative thinking, your network can serve as a valuable source of skill development and mentorship.

Building a Personal Brand

In today's digital age, personal branding is crucial. Networking allows you to showcase your skills, expertise, and accomplishments to a wider audience. When you actively engage with your network, whether through social media, industry events, or one-on-one interactions, you can build a strong personal brand. This brand can open doors for you, attract opportunities, and set you apart from others in your field.

Support System

Networking isn't just about professional gain; it's also about forming meaningful connections with like-minded individuals who can offer support and encouragement. These connections can be a source of motivation during challenging times and provide a sense of belonging within your industry or community.

Building an Effective Network

Now that we understand the importance of networking, let's explore how to build and maintain an effective professional network.

Start Early


Networking is not something you should only think about when you need something. Start early in your career by attending industry events, joining relevant online communities, and connecting with colleagues and mentors. The sooner you start building your network, the more opportunities it can yield in the long run.

Quality over Quantity

It's not about how many connections you have; it's about the quality of those connections. Focus on building meaningful relationships with individuals who share your interests and goals. A small, engaged network can be far more valuable than a large, impersonal one.

Give Before You Receive

Effective networking is a two-way street. Be willing to offer your help and support to others in your network before expecting anything in return. This approach not only fosters goodwill but also strengthens your relationships.

Stay Active

Networking is not a one-time effort. It requires ongoing engagement. Attend industry events, participate in discussions, share your knowledge, and keep your connections updated on your progress. Consistency is key to maintaining a vibrant network.

Utilize Online Platforms


In today's digital age, online platforms like LinkedIn, Twitter, and professional forums are powerful tools for networking. Create a strong online presence, connect with professionals in your field, and actively participate in relevant discussions.


Diversify Your Network


Don't limit your network to individuals who are just like you. Seek out diversity in terms of industry, background, and experience. A diverse network can bring fresh perspectives and ideas to the table, enhancing your own growth and creativity.

Conclusion

Networking is not just a buzzword; it's a potent tool that can serve as your trump card in achieving success and personal growth. By building and nurturing a robust professional network, you gain access to a world of opportunities, knowledge, and support that can propel your career forward. So, start networking today, and unlock the doors to a brighter future. Remember, your network is your net worth.

8



সুরা মাউন (নিত্যপ্রয়োজনের সামগ্রী) পবিত্র কোরআনের ১০৭ তম সুরা। ১ রুকু, ৭ আয়াত। দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা এতিমকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়, অভাবগ্রস্তকে অন্নদান করে না, লোক দেখানো নামাজ পড়ে এবং সংসারের ছোটখাটো জিনিস দিয়ে অপরকে সাহায্য করে না।

এ সুরায় আল্লাহর হক নামাজ ও বান্দার হকের জাকাত, সদকা, পরোপকারের ব্যাপারে সতর্কীকরণ করা হয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) তখন মক্কায় ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন না। তাঁর মুখ থেকে তৎকালীন নেতাদের এই সব দুর্বলতা ও অবিচারগুলো প্রকাশ করে দিয়ে সমালোচনা করার শিক্ষা আল্লাহ দিয়েছেন। সব যুগের সব অহংকারী, লোক দেখানো ধার্মিক ও মানুষকে যথাযথ সম্মান ও অধিকার না দেওয়া মানুষদের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করায় এই সুরা।

প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে ‘তুমি কি দেখেছ তাকে যে ধর্ম (বিচার)-কে অস্বীকার করে’,প্রশ্ন করে আল্লাহ নিজেই উত্তর দিয়েছেন। এখানে ‘ইউকাযযিবু’ মানে যে জেনে বুঝে অস্বীকার করার পাশাপাশি এটাকে মিথ্যা হিসাবে প্রচার করে ।

দ্বিতীয় আয়াতে আছে ‘যে এতিমকে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়’ সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও করুণা পাওয়ার যোগ্য ব্যক্তি এতিমের প্রতি তার খারাপ ব্যবহারের স্বভাবটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে ইয়াদু অর্থ গলাধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।

তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘আর অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে উৎসাহিত করে না?’ তোয়ামিল মিসকিন মানে দরিদ্রের খাবার বোঝানো হয়েছে।

সুরার চতুর্থ  ও পঞ্চম আয়াতে ‘সুতরাং দুর্ভোগ সেসব নামাজ আদায়কারীর, যারা তাদের নামাজ সম্বন্ধে উদাসীন,’নামাজের ব্যাপারে গাফিলতির বিষয়টি আল্লাহ বলেছেন। ‘ফি সলাতিহিম সাহুন’ অর্থাৎ নামাজের মধ্যে উদাসীন । নামাজের মধ্যে কারও কারও বিভিন্ন চিন্তা ঢুকে যায়, অন্যদিকে মন চলে যায়।

ষষ্ঠ আয়াতে ‘যারা তা পড়ে লোকদেখানোর জন্য’ বলা হয়েছে।  লোক দেখানো কাজ করে তাদের কথা বলা হয়েছে। কাউকে দেখানোর জন্য কোনো  কাজ করলে সে কাজটি যে করে তা তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।

সুরার শেষ আয়াতে ‘আর যারা অপরকে (সংসারের ছোটখাটো) জিনিস দিয়ে সাহায্য করতে চায় না ।’ মানুষের প্রতি অন্যায় করার বিষয়টি ওঠে এসেছে।

মানুষদের মধ্য দুটি দলের কথা

সুরা মাউনে মানুষদের দুটি দলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম দল যারা কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাস রাখে না। এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করে। তাদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করে। গরিব-মিসকিনদেরকে নিজেরা খাওয়ায় না, অন্যদেরও খাওয়ানোর প্রতি উৎসাহিত করে না। অর্থাৎ আল্লাহ ও বান্দা কারও সঙ্গেই তাদের আচরণ সঠিক নয়।

 দ্বিতীয় দল হচ্ছে মুনাফেক। এখানে তাদের তিনটি নিকৃষ্ট দোষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথমত তারা নামাজের ব্যাপারে উদাসীন। তাদের উদাসীনতা আবার  দুভাবে হতে পারে। হয়তো তারা নামাজ আদায় করে না বা নামাজ পড়ে কিন্তু  নামাজ পড়ার সময় নামাজের কোনো বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখে না। দ্বিতীয়ত তারা লোক-দেখানোর জন্য ইবাদত করে থাকে। তৃতীয়ত, তারা এতটাই কৃপণ যে, প্রয়োজনীয় ছোটখাটো খরচ  করতেও তারা অস্বীকার করে। (সুরা মাউন , আয়াত ১–৭, কোরানশরিফ: সরল বঙ্গানুবাদ, অনুবাদ: মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, প্রথমা প্রকাশন)


Source: https://www.prothomalo.com/religion/islam/zfwn9u3erz

9



দৈনন্দিন কাজে আমরা অনেকে নিয়মিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে ই-মেইল পাঠিয়ে থাকি। তবে একই বিষয়ে একাধিক ব্যক্তিকে ই-মেইল পাঠানো বেশ ঝামেলা। এতে সময় বেশি প্রয়োজন হওয়ার পাশাপাশি অন্য কাজেও বিঘ্ন ঘটে। তবে চাইলেই জিমেইলে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রুপ ই-মেইল পাঠানো যায়। এ জন্য ই-মেইল পাঠানোর আগে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ই-মেইল ঠিকানার সমন্বয়ে গ্রুপ তৈরি করতে হবে। জিমেইলে গ্রুপ ই–মেইল তালিকা তৈরির পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক—

গ্রুপ ই–মেইল তালিকা তৈরির জন্য প্রথমে contacts.google.com ঠিকানায় প্রবেশ করতে হবে। কন্টাক্ট লিস্টে কোনো নাম দেখা না গেলে বাঁ দিকে থাকা ফ্রিকোয়েন্টলি কন্টাক্টেড অপশনে ক্লিক করলেই জিমেইলে নিয়মিত যোগাযোগ করা ব্যক্তিদের নামের তালিকা দেখা যাবে। এবার প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের নাম নির্বাচন করে ওপরে থাকা ম্যানেজ লেবেল আইকনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নিচে থাকা ক্রিয়েট লেবেল নির্বাচন করে গ্রুপের নাম লিখে সেভ অপশনে ক্লিক করতে হবে। বাঁ দিকের প্যানেলে গ্রুপের নাম দেখা যাবে। এরপর নতুন ই-মেইল লেখার সময় কম্পোজ অপশনে মেইল ঠিকানার বদলে গ্রুপের নাম লিখলেই গ্রুপে থাকা সবার কাছে একসঙ্গে ই-মেইল চলে যাবে।


Source: https://www.prothomalo.com/technology/advice/dcoqts8ig1

10
প্রযুক্তিনির্ভর চাকরি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চ্যাটজিপিটি গাণিতিক হিসাবগুলো দ্রুত ও নির্ভুলভাবে করতে পারে। ফলে মানুষের চেয়েও দ্রুত কোড তৈরি করতে পারে এই চ্যাটজিপিটি। তাই সফটওয়্যার ডেভেলপার, ওয়েব ডেভেলপার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, কোডার এবং তথ্য বিশ্লেষণের মতো প্রযুক্তিনির্ভর পেশাগুলো চ্যাটজিপিটির কারণে উচ্চ ঝুঁকিতে পড়বে।

গণমাধ্যম
বিজ্ঞাপন, নিবন্ধ, সাংবাদিকতা ও কনটেন্ট তৈরির যেকোনো কাজ চ্যাটজিপিটি মানুষের চেয়ে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে করতে পারে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি সব আধেয় বা কনটেন্ট নির্ভুলভাবে তৈরি না হওয়ায় মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হয়। ফলে বর্তমানের তুলনায় লোকবল কম নিয়েই প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবে বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরই মধ্যে প্রযুক্তিবিষয়ক গণমাধ্যম সিনেট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে। অবশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি কনটেন্টগুলো প্রকাশের আগে মানুষই সম্পাদনা ও তথ্য যাচাই করছেন।

আইন পেশা
আইনজীবীদের সহকারীরা মামলাসংশ্লিষ্ট অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি সেগুলো সমন্বয় করে থাকেন। পরে এসব তথ্য বিশ্লেষণ করেই আইনজীবীরা মামলা পরিচালনা বা বিভিন্ন পরিকল্পনা করেন। চ্যাটজিপিটি মানুষের চেয়ে দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে এসব কাজ করতে পারে। ফলে এ খাতেও বর্তমানের তুলনায় কম লোকবল প্রয়োজন হবে।

বাজার গবেষণা বিশ্লেষণ
তথ্য বিশ্লেষণ ও ফলাফলের পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটি খুবই কার্যকর। তাই বাজার গবেষণা বিশ্লেষকদের পেশাও চ্যাটজিপিটির কারণে ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

শিক্ষকতা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষকদের তাঁদের চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে ভাবা উচিত। চ্যাটজিপিটি ক্লাস নিতে পারে, যা ইতিমধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রে কিছু ভুলভ্রান্তি করে চ্যাটজিপিটি, তবে ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

আর্থিক খাতের চাকরি
গাণিতিক তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা অর্থ বিশ্লেষক, ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টাসহ আর্থিক খাতের চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। কারণ, চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে এসব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব।

পুঁজিবাজারের কাজ
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শেয়ারবাজারে ট্রেডারের কাজও চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে করা সম্ভব। ফলে ভবিষ্যতে এ পেশাও উচ্চ ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

গ্রাফিক ডিজাইন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিনির্ভর টুল দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে প্রয়োজনীয় ছবি আঁকা বা সম্পাদনা করা সম্ভব। ফলে ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি গ্রাফিক ডিজাইন শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।

হিসাবরক্ষণ
হিসাবরক্ষণ পেশাকে মোটামুটি স্থিতিশীল পেশা বলে মনে করা হয়। কিন্তু চ্যাটজিপিটির কারণে এ পেশার কাজগুলো দ্রুত করা সম্ভব। ফলে এ পেশার চাকরিও ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তবে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে অবশ্যই মানুষের সহায়তা প্রয়োজন হওয়ায় বর্তমানের তুলনায় লোকবল কম প্রয়োজন হবে।

গ্রাহকসেবা
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রোবট বা চ্যাটবটের মাধ্যমে ক্রেতা বা গ্রাহকদের বিভিন্ন সেবা দিচ্ছেন। ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি এ খাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।



Source: https://www.prothomalo.com/technology/65mdg8vx6m

11
Startup / Best book for personnel development
« on: February 02, 2023, 09:27:54 AM »
There are many great books on personal development, so it ultimately depends on what specific area you are looking to improve. However, some of the most well-known and highly regarded books in the field include:

"Think and Grow Rich" by Napoleon Hill
"The 7 Habits of Highly Effective People" by Stephen Covey
"How to Win Friends and Influence People" by Dale Carnegie
"The Power of Positive Thinking" by Norman Vincent Peale
"Man's Search for Meaning" by Viktor E. Frankl
"Mindset: The New Psychology of Success" by Carol Dweck
"The Five Love Languages" by Gary Chapman
These books offer a wide range of insights and strategies for personal growth, and can be valuable resources for anyone looking to improve themselves.

12
Startup / 7 books to read for career growth
« on: January 28, 2023, 08:43:54 AM »

Check out our recommendations for books that will help you learn crucial skills and knowledge to advance your career.

Reading is an excellent way to improve your skills, knowledge, and mindset. Whether you're a professional looking to advance your career or a recent graduate seeking job opportunities, there are books that can help you grow and succeed. Here are our recommendations for some of the best books to read for career growth:



(1) "The Lean Startup" by Eric Ries
(2) "The 7 Habits of Highly Effective People" by Stephen Covey
(3) "Mindset: The New Psychology of Success" by Carol S. Dweck
(4) "The Power of Now" by Eckhart Tolle
(5) "The Art of Thinking Clearly" by Rolf Dobelli
(6) "The Talent Code" by Daniel Coyle
(7) "The Charisma Myth" by Olivia Fox Cabane[/li][/list]

Source; https://www.thedailystar.net/tech-startup/news/7-books-read-career-growth-3231516

13
১. ধীরে খান। এতে লেপটিন হরমোন নিঃসরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় আর সুযোগ পাবে। তাতে আপনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারবেন। আর যেটুকু খাবেন, সেটুকুই শরীরে কাজে দেবে। খাবারের অপচয়ও হবে না। যথাসম্ভব চিবিয়ে চিবিয়ে খান।

 ২. অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা যা কিছু ডিপ্রেশন বা হতাশার বিরুদ্ধে কাজ করে, তার ভেতর অন্যতম হলো ব্যায়াম। নতুন বছরে নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। বিশেষ করে কার্ডিও আর ওয়েট ট্রেনিংয়ের মতো ভালো বিনিয়োগ আর হয় না। কিছু না হলেও প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটুন।

৩. অতিরিক্ত ফল খাওয়া বলে কিছু নেই। আপনি যতই মৌসুমি ফল খান না কেন, তা অতিরিক্ত নয়। যত পারুন (পাকস্থলীর ধারণক্ষমতা বুঝে) ফল খান। ফল খাওয়া বাড়ান।

৪. চিনি খেলে মোটা হবেন, এটা একটা মিথ। তবে লবণ, চিনি, তেল, সাদা আটা—এগুলো যত কম খাবেন, ততই ভালো। এদিকে দুধ চা, কফির চেয়ে পারলে ব্ল্যাক কফি, গ্রিন–টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এক দিন, দুই দিন, এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ করে এক মাস চেষ্টা করুন। দেখবেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তখন আর দুধ-চিনি দিয়ে চা-কফি খেতে ভালো লাগবে না।

৫. চট করে স্ট্রেস কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় ‘কোল্ড শাওয়ার’। তবে এই শীতে আপনি ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল সারবেন কি না, সেটা আপনার সিদ্ধান্ত।

৬. প্রতিদিন ডিম খান। বলা হয়, ‘এগস আর সুপারফুড’।

 ৭. আপনাকে কেমন দেখাবে, তা নির্ভর করে খাবারের কোয়ান্টিটি বা পরিমাণের ওপর। অন্যদিকে আপনি কী অনুভব করছেন, তা নির্ভর করে খাবারের কোয়ালিটি বা কী খাচ্ছেন, তার ওপর।

৮. রাতে কম ঘুমালে দিনের বেলা ‘হাঙ্গার হরমোন’–এর নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে। তাই আপনি যদি ডায়েট করতে চান, তাহলে পর্যাপ্ত ঘুমান।

৯. তাড়াতাড়ি ঘুমানো আর সকালে ওঠার ওভ্যাসের মতো ভালো অভ্যাস আর নেই। ১০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা সকালের রোদ গায়ে মাখুন। সূর্যের আলো আপনার শরীর আর মনের জন্য সবচেয়ে বড় সাপ্লিমেন্ট।

১০. যত রকম ডায়েট আছে তার ভেতর সেরা হলো ‘হাই প্রোটিন ডায়েট’। রাতে খাওয়ার পর ব্রাশ করুন। দেখবেন খাওয়ার পর অন্য কিছু খাওয়ার ‘ক্রেভিংস’ গায়েব হয়ে গেছে। পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম আর ব্যায়াম—স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য এই তিনের বিকল্প নেই।

সূত্র: গ্রোথ মাইন্ডসেট টিপস

14
শীতের সময় কিছু রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়ে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য সময়টা ঝুঁকিপূর্ণ। এই সময় ঠান্ডাজনিত সমস্যাগুলোই বেশি দেখা যায়। যেমন কাশি, অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, সাময়িক জ্বর, কোল্ড অ্যালার্জি।বাতাসে ধুলাবালু বেশি থাকায় অনেকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে শনাক্ত না হলে অনেক সময় নিউমোনিয়াতেও তা রূপ নিতে পারে। অনেকের টনসিল বেড়ে গিয়ে ব্যথারও সৃষ্টি হতে পারে। উপরন্তু ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ইত্যাদি মশাবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবার। ডেঙ্গু বর্ষাকালীন রোগ হলেও এবার শীতকালে এর বিস্তার দেখা যাচ্ছে। তাই মশার কামড়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চমাত্রার জ্বর, বারবার জ্বর, গিঁটে ব্যথা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ঠান্ডার কারণে হঠাৎ শিশুদের পাতলা পায়খানা হতেও দেখা যায়।


যা করতে হবে

(1) শীত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কুসুম গরম পানিতে গোসল বা হাত-মুখ ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
(2) শিশুদের গরম কাপড়ের পাশাপাশি সব সময় হাত ও পায়ে মোজা পরে থাকা জরুরি।
(3) এ সময় ত্বকও শুষ্ক হয়ে ওঠে। ফলে চুলকানি বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। অ্যালার্জির কারণেও এমনটা হয়। তাই নিয়মিত লোশন বা অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা গ্লিসারিন ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে চামড়া স্বাভাবিক ও আর্দ্র থাকবে।
(4) যাঁদের ধুলাবালুতে অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাঁদের এ রকম চুলকানি দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
(5) ঠান্ডা একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। এ সময় ঠান্ডা খাবার, যেমন আইসক্রিম, কোক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত।
(6) শীতের সময়েও প্রচুর পানি খাওয়া উচিত।
(7) এ ছাড়া ভিটামিন সি রয়েছে এমন খাবার যেমন জলপাই, কমলা, লেবু ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। এগুলো একপ্রকার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।
(8) শিশুরা অনেক সময় শরীরে গরম কাপড় রাখে না বা খুলে ফেলে। তাই তাদের দিকে সতর্ক নজর রাখা উচিত।
(9) বাইরের দূষিত খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।


অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম, অধ্যাপক ও পরিচালক, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/mu5vvb5ksd

15
মাথাই তো সব। মস্তিষ্ক ছাড়া কি আর অস্তিত্ব থাকে? মস্তিষ্ক ১০০ বিলিয়ন কোষ দিয়ে তৈরি। মস্তিষ্ক যতই ব্যবহৃত হয়, ততই শক্তিশালী আর কার্যকর হয়। বয়স ৪০-এর পর মস্তিষ্ক ক্রমশ সংকুচিত হতে থাকে। তাই এ সময় পড়াশোনার ধার কমে আসে। বয়স ৬০-এর পর মস্তিষ্ক দ্রুত সংকুচিত হতে থাকে। তাই এ সময় অনেক স্মৃতি হারিয়ে যায়। অনেকে ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) ও আলঝেইমার রোগে ভোগেন। দৈনন্দিন জীবনে আমরা জেনে না-জেনে এমন সব কাজ করি, যেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। কী সেগুলো? বিজনেস গ্রোথ মেন্টর অনুসারে জেনে নেওয়া যাক।


১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা
২. অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা, পড়া
৩. উচ্চশব্দে গান শোনা বা শব্দদূষণে থাকা
৪. অতিরিক্ত একা থাকা
৫. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম
৬. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চিনি
৭. শরীরচর্চার অভাব
৮. কম ঘুম

Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/a5qhw09iuc

Pages: [1] 2 3 ... 175