Daffodil International University
Faculty of Humanities and Social Science => Journalism & Mass Communication => Topic started by: Shakil Ahmad on October 26, 2016, 05:25:26 PM
-
বাংলাদেশের চার কোটি মানুষ এখনো ক্ষুধার্ত থাকে। অর্থাৎ, মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশের খাদ্য নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২ (এসডিজি-২) অর্জনের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। সরকার ও জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচির এক যৌথ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
আজ বুধবার ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি-বিষয়ক কৌশলগত পর্যালোচনা’ শীর্ষক এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর ও বিভিন্ন ধরনের খাবার খায় না। প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশুর সঠিক শারীরিক বিকাশ বা বৃদ্ধি হয় না এখানে। এ ছাড়া গেল কয়েক বছরে তীব্র অপুষ্টির হার খুব উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি।
প্রতিবেদনের অন্যতম গবেষক আয়ারল্যান্ডের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতির অধ্যাপক বলেন, ‘অপুষ্টির কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশের জনগণের উৎপাদনশীলতা কমছে, যার আর্থিক ক্ষতি বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি।’
খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে ও শিশু অপুষ্টি হ্রাসে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করা হলেও এই সাফল্যই যথেষ্ট নয় বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান অর্থসামাজিক পরিস্থিতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সঠিক পুষ্টির অভাবে স্থূলতা এবং শহুরে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এ জন্য কৃষি খাতে আরও বৈচিত্র্য আনার পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থাকে এমনভাবে জোরদার করতে হবে, যাতে একজনও এ থেকে বাদ না যায়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে নারীর ক্ষমতায়ন মূল চাবিকাঠি হতে পারে।
এই প্রতিবেদনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, ‘যেসব বিষয় উঠে এসেছে, তা বাংলাদেশের এসডিজি-২ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা ২০২৪ সাল নাগাদ পুরোপুরি ক্ষুধা নিবৃত্ত এবং ২০২৩ সাল নাগাদ পুষ্টি নিশ্চিত করতে চাই।’
-
Bad news.. :(
-
:(
-
Thank you very much for your post. :)