Daffodil International University
Entertainment & Discussions => Life Style => Satire => Topic started by: imam.hasan on December 06, 2014, 04:24:57 PM
-
ছোট বেলায় আত্মা এবং স্বর্গ নিয়ে আমাদের যে ভাবনা থাকে বড় হওয়ার পরেও তার খুব বেশি একটা পরিবর্তন আসে না। তবে কখনও কখনও আমরা তা অস্বীকার করি কিংবা লুকাতে চেষ্টা করি।
সম্প্রতি একটি জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকরা এ মত দেন।
প্রতিবেদনে গবেষকরা বলেন, ছোটবেলায় আমাদের যে ব্যক্তিগত বিশ্বাস জন্মায়, বড় হওয়ার পরে খুব কমই সে ধারণা বদলায়। সেই সঙ্গে ধর্মীয় বিশ্বাস অধার্মিক কিংবা নাস্তিক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও ততটা শক্তিশালী হয় যতটা একজন ধার্মিক ব্যক্তির।
নিউজার্সির রুটজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী স্টেফানি অ্যাংলিন তার গবেষণায় যেসব মানুষের আত্মা, ধর্ম এবং স্বর্গ নিয়ে গভীর বিশ্বাস রয়েছে তার অন্তর্ভুক্ত করেন। পাশাপাশি একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করেন।
১০ বছর বয়সী ৩৪৮ জন শিক্ষার্থীকে এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় যাদের বয়স বর্তমানে ১৮ বছরের কিছু বেশি। গবেষণায় অ্যাংলিন সুপরিচিত পরিসংখ্যান ভিত্তিক নির্দেশক ‘ইমপ্লিসিট অ্যাসোসিয়েশন টেস্ট’ ব্যবহার করেন।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে দেখা যায়, আত্মা, ধর্ম এবং স্বর্গ নিয়ে তাদের ছোট বেলার বিশ্বাস এবং তরুণ বয়সের বিশ্বাসের বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে পরিবর্তন দেখা যায় যেমন অনেক ক্ষেত্রেই তারা প্রকাশ্যে সব কথা বলতে চাননি।
অ্যাংলিন বিষয়টিতে একটুও বিষ্মিত হননি কারণ ২০০৯ সালের একটি গবেষণায় দুই ডলারের বিনিময়ে আত্মা বিক্রি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। দেখা যায় সেই চুক্তি পত্রে কেউই স্বাক্ষর করেনি। যদিও অনেকে দাবি করেন তারা মৃত্যুর পরের জীবনে বিশ্বাসী নন। এ গবেষণার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় মানুষের স্মৃতির স্বয়ংক্রিয় পরিচালনা পদ্ধতি কতটা শক্তিশালী। অংশগ্রহণকারীদের একটি কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসিয়ে আত্মা, মিথ্যা, সত্য, মৃত্যু, কৃত্রিম ইত্যাদি শব্দ দেখানো হয়। এক জোড়া শব্দ ভাল লাগার ভিত্তিতে বিশ্বাস নির্ধারণ করা হয়। যেমন ‘আত্ম’ এবং ‘সত্য’।