Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mohammed Abu Faysal

Pages: [1] 2 3 ... 16
1
IT Forum / Lipaire will be lost from the earth!
« on: March 11, 2020, 04:08:53 PM »
২৯ ফেব্রুয়ারি কারো জন্ম বা বিয়ের মতো ঘটনা ঘটলে প্রায়শই তাদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। জন্মবার্ষিকী কিংবা বিবাহবার্ষিকীর জন্য এদের অপেক্ষা করতে হয় চার বছর। তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হবে না আর কাউকে। কারণ ২৯ ফেব্রুয়ারি নামে আর কিছু থাকবেই না পৃথিবীতে! অর্থাৎ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে লিপইয়ার। যদিও তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো ৪০ লাখ বছর।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর নিজ অক্ষের চার দিকে ঘূর্ণনের গতি উত্তরোত্তর কমে আসছে। চাঁদ আমাদের ছেড়ে একটু একটু করে দূরে চলে যাচ্ছে। এর ফলে, আমাদের ওপর চাঁদের টান (‘টাইডাল ফ্রিকশন’) কমে যাচ্ছে। তাই একটু একটু করে বেড়ে যাচ্ছে দিনের আয়ু। প্রতি শতাব্দীতে ১৪ মিলিসেকেন্ড করে! পরিণতি হিসেবে পৃথিবী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনটি হারিয়ে যাবে।

নাসার গর্ডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষণা অনুযায়ী, ৪০ লাখ বছর পরে ২৯ ফেব্রুয়ারি দিনটা আর থাকবে না পৃথিবীতে। থাকবে না চার বছর পর পর তার ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনাও।

2
বর্তমানে কম্পিউটিংয়ের চাহিদা আলাদা হয়ে গেছে। স্মার্টফোন নির্মাতা কোম্পানিগুলো প্রতি বছর নতুন নতুন পারফরম্যান্সসমৃদ্ধ ফোন বাজারে নিয়ে আসছে, আর ফাস্ট পারফরম্যানস আরো বেটার ফিচার পাওয়ার লক্ষ্যে অনেকে প্রতি বছর নতুন ফোন ক্রয় করছে।

আর পুরাতন ফোনগুলোকে হয় বিক্রি বা কাউকে উপহার দিয়ে দেন কিংবা নষ্ট করে ফেলেন, কিন্তু আপনি জানেন কি, আপনার পুরাতন স্মার্টফোন দিয়ে আপনি আরো প্রোডাক্টিভ হতে পারবেন? পুরাতন মোবাইল বিক্রি করে দেওয়াও অনেক ভালো অপশন, কেননা এতে নতুন ফোনটি কেনার অনেকটা সাপোর্ট পেয়ে যাবেন, কিন্তু এ লেখায় পুরাতন স্মার্টফোনের কিছু ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, যেগুলো আপনার কম্পিউটিং লাইফ বা সাধারণ জীবনকে আরেকটু সহজ করতে সাহায্য করবে।

ইন্টারনেট

আপনার পুরাতন স্মার্টফোনটিকে ডেডিকেটেড ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। হতে পারে ফোনটিকে রান্না ঘরে রেখে দিলেন, এতে রান্নার রেসিপিও ইন্টারনেট থেকে দেখা হবে, আবার রান্নাও করা হবে, আপনি নিশ্চয় চাইবেন না রান্না করতে গিয়ে তেল বা তরকারির ঝোল নতুন ফোনটিতে এসে পড়ে! তাই পুরাতন ফোনকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার কাজে লাগাতে পারেন।

শুধু ইন্টারনেট ব্রাউজিং কেন, সঙ্গে এতে ভিওআইপি কল যেমন স্কাইপ, ডুয়ো বা যেকোনো ভিডিও চ্যাট অ্যাপের জন্য ডেডিকেটেড ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার প্রাইমারি স্মার্টফোন কখনো ওয়াই-ফাইয়ের মধ্যে রাখেন আবার ব্যবহার শেষে ওয়াই-ফাই ডিস্কানেট করে দেন, যাতে ব্যাটারি সেভ করা সম্ভব হয়। কিন্তু পুরাতন ফোনে সর্বদা ওয়াই-ফাই কানেক্ট করে রাখলেও কি অসুবিধা? সেখানে তো ব্যাটারি সেভিং দরকারি না, এতে আপনার কখনোই কোনো কল আর মিস হবে না। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার ডেডিকেটেড ইন্টারনেট কলিং মেশিন!

পোর্টেবল ওয়াই-ফাই রাউটার

এই কৌশলটি সকলের উপকারে আসবে। বর্তমানে অনেক জায়গাতে ৩জি সিগন্যাল তো পাওয়াই যায় না। গ্রামাঞ্চলে আরো দুরবস্থা! দুর্বল নেটওয়ার্ক আর দুর্বল ইন্টারনেট স্পিড থেকে বাঁচতে আপনার পুরাতন ফোনটিকে পোর্টেবল ওয়াই-ফাই রাউটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

হতে পারে আপনার অন্য রুমে ভালো সেল সিগন্যাল পাওয়া যায়, কিংবা হতে পারে ফোনটি আলমারির ওপরে এমনকি ব্যালকুনিতে রেখে ভালো থ্রিজি সিগন্যাল পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পুরাতন ফোনটিকে যেখানে ভালো সিগন্যাল আসে সেখানে চার্জে লাগিয়ে সেট করে রাখুন, আর প্রাইমারি ফোনটি দিয়ে পুরাতন ফোন থেকে ওয়াই-ফাই হটস্পট নিয়ে আরামে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকুন, আপনি যেখানেই যান, ইন্টারনেট সিগন্যালের আর সমস্যা হবে না। আপনি চাইলে পুরাতন ফোনটিকে সর্বদাই ওয়াই-ফাই রাউটার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, এতে প্রাইমারি ফোনের ব্যাটারি সেভিং সম্ভব হবে। সঙ্গে ল্যাপটপ বা ডেক্সটপগুলোতেও মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

ডেডিকেটেড মিউজিক প্লেয়ার

আপনি যদি আমার মতো মিউজিক প্রেমী হয়ে থাকেন, তো কেন পুরাতন ফোনটিকে একটি ডেডিকেটেড মিউজিক প্লেয়ার বানাবেন না? আমার ব্লুটুথ স্পিকার বা যেকোনো স্টেরিয়ো স্পিকারের সঙ্গে ফোনটিকে কানেক্ট করে সর্বদা মিউজিক উপভোগ করতে পারবেন। আলাদা কোনো ডিভিডি প্লেয়ার বা মিউজিক প্লেয়ারের প্রয়োজন পড়বে না। সঙ্গে আপনি ইউটিউব ভিডিও ও স্ট্রিম করতে পারেন, সেগুলোকে স্পিকারে প্লে করতে পারেন। পছন্দের প্লে লিস্ট তৈরি করে রাখতে পারেন, যাতে মিউজিক প্লেয়ার শুধু আপনার পছন্দের গানগুলোই প্লে করে। আলাদা প্লেয়ার থেকে স্মার্টফোনকেই প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অনেক স্বাধীনতা এবং উপকারিতা রয়েছে।

যেকোনো গান আপনি অনলাইন থেকেই সরাসরি স্ট্রিম করতে পারবেন কিংবা ডাউনলোড করতে পারবেন। যাই হোক, আপনি একজন মিউজিক প্রেমী হয়ে থাকলে, আপনাকে বলার দরকার নেই, আপনি এমনিতেই অনেক সুবিধা খুঁজে নিতে পারবেন।

কারের স্মার্ট স্ক্রিন

যাদের গাড়ি রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে পুরাতন স্মার্টফোন কারে লাগিয়ে নেওয়াতে। আপনার ফোন কারের জিপিএস হিসেবে কাজ করতে পারবে। জাস্ট গুগল ম্যাপ ওপেন করুন আর কোথায় যেতে চান দেখিয়ে দিন, কারের আলাদা জিপিএস সিস্টেম লাগানোর টাকা থেকে বেঁচে যাবেন। সঙ্গে প্রয়োজনীয় মেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইনইন করে রাখলে আপনার প্রয়োজনের ইমেইল নোটিফিকেশনগুলো সর্বদাই আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে।

তাছাড়া গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে আপনি পছন্দের রেস্টুরেন্ট, হোটেল, সবকিছু সার্চ করতে পারবেন। চাইলে কারের ডিফল্ট ব্লুটুথ মিউজিক প্লেয়ার হিসেবেও পুরাতন স্মার্টফোনকে সামনে রেখে দিতে পারেন, স্মার্টফোন ট্যাচ স্ক্রিন থাকার জন্য আপনি আরো সুবিধা পাবেন, নিজের জীবন আরো সহজ হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, কারে ফোন আটকানোর আগে অবশ্যই ফোনটি চার্জে লাগিয়ে দেবেন, অবশ্যই কার চার্জার ব্যবহার করতে পারেন, এতে ফোনটির ব্যাটারি কখনোই মৃত হবে না।

আপনি চাইলে ফোনটিকে কারের ড্যাশবোর্ডে সেট করে ড্যাশক্যাম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো আপনার পুরাতন ফোনটিকে একটি ড্যাশক্যামে পরিণত করে দেবে। কারের ড্যাশক্যামের জন্য অনেক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারবেন। অনেক অ্যাপ আপনাকে অনলাইন ভিডিও সেভ করার স্পেস প্রদান করে, এতে ড্যাশক্যাম থেকে রেকর্ড হওয়া ভিডিওগুলো সরাসরি ক্লাউডে চলে যাবে এবং আপনি পরে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

ওয়াই-ফাই এক্সটেন্ডার

আপনার বাসাতে হয়তো ডেডিকেটেড ওয়াই-ফাই রাউটার রয়েছে, কিন্তু ওয়াই-ফাই রাউটার থেকে আপনার রুমটি যদি একটু দূরে হয় বা কতিপয় দেওয়াল থাকে, তো সিগন্যাল ড্রপিং প্রবলেম নতুন কিছু ব্যাপার নয়। সিগন্যাল প্রবলেম মানেই খারাপ ব্যান্ডউইথ রেট। আর কাজের সময় ইন্টারনেট ব্রাউজার লোডিং দেখিয়ে বসে থাকলে মেজাজ কেমন হতে পারে, সেটা বর্ণনা করার দরকার নেই।

যাই হোক, এক্ষেত্রে আপনার পুরাতন স্মার্টফোনটিকে ওয়াই-ফাই এক্সটেন্ডার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। জাস্ট রাউটারের কিছু কাছে বা আপনার ঘরের বাইরে স্মার্টফোনটিকে সেট করুন, এবার fqrouter2 অ্যাপটি ইন্সটল করলেই আপনার পুরাতন স্মার্টফোনটি ওয়াই-ফাই সিগন্যাল রিপিটার হিসেবে কাজ করবে, আর অবশ্যই আপনি আগের চেয়ে বেটার সিগন্যাল পাবেন। এরকম অ্যাপ কাজ করানোর জন্য অবশ্যই আপনার ফোন রুট থাকা আবশ্যক।

ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোল

আপনার পুরাতন ফোনটিতে যদি ইনফ্রারেড সেন্সর থাকে, তো এর চেয়ে ভালো আর প্রয়োজনীয় ব্যবহার আর কিছুই হতে পারে না। এসির জন্য আলাদা রিমোট, টিভির জন্য আলাদা রিমোট, ডিভিডি প্লেয়ারের জন্য আলাদা রিমোট, স্যাটেলাইট টিভি রিসিভারের আলাদা রিমোটের যুগ শেষ। আপনার স্মার্টফোনকে ইউনিভার্সাল রিমোট কন্ট্রোল বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

প্লে স্টোরে বহু রিমোট কন্ট্রোল অ্যাপ রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি ফোনটি অল-ইন-ওয়ান রিমোট কন্ট্রোলে পরিণত হয়ে যাবে। এক রিমোট যেটাতে যেকোনো ডিভাইজ চলে, আবার রিমোটের বাটন নষ্ট হওয়ার ভয় নেয়, সঙ্গে রিমোটের ব্যাটারিও বদলানোর দরকার নেই।

3
Telecom Forum / How to recognize mobile phone addicts
« on: September 12, 2019, 09:47:33 AM »
মোবাইল ফোন এ সময়ে নিঃসন্দেহে একটি নিত্যসঙ্গী এবং গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। তবে ফোনে অতি আসক্তি এক ধরনের রোগ। যারা ফোন হাতে না থাকলে বা ফোনের চার্জ শেষ হলেই অস্থির হয়ে যান, বিজ্ঞানীরা বলছেন তারা ‘নোমোফোবিয়া’য় আক্রান্ত। কিন্তু কীভাবে চিনবেন মোবাইল আসক্তদের? পাঠকদের সুবিধার্থে মোবাইল আসক্তদের চিহ্নিত করার কয়েকটি লক্ষণ এ লেখায় তুলে ধরা হলো :

ফোন থেকে দূরে না থাকা

ফোন থেকে পাঁচ মিনিটও দূরে থাকতে অসহ্য লাগছে! ফোন যেন আপনার একটা অংশ হয়ে গেছে। হাতে, পকেটে, ব্যাগে না থাকলে অথবা দূরে চার্জে থাকলে উদ্ভট লাগে। বাসার বাইরে গিয়ে ফোন নেই মনে পড়লে চমকে উঠছেন, আর যত দেরিই হোক না কেন, স্কুল-কলেজ অথবা কাজে যেতে, ফোন আনতে বাসায় ছুটছেন আবার।

অস্বাভাবিক আচরণ

ফোন খুঁজে না পেলে আঁতকে উঠছেন। ‘হায় খোদা, কেউ কি আমার ফোনটা দেখেছ?’ বলে চেঁচিয়ে পরে বুঝতে পারছেন, ফোনটা আসলে হাতেই ধরা!

বন্ধুদের বিরক্ত

শপিং কিংবা লাঞ্চে—ফোনটাকে ব্যাগে বা পকেটে রাখতে পারছেন না। আপনার হাতেই যেন থাকতে হবে সব সময়। আর এজন্য বন্ধুদের বারবার বলতে পিছপা হচ্ছেন না, ‘ব্যাগটা একটু ধরবি?’

ফোন হাতে নিয়ে ঘুম

ফোন নিয়েই প্রতি রাতে ঘুমাতে যান। বালিশের নিচে হোক কিংবা পাশের টেবিলে, ফোন আপনার কাছে থাকা চাই। কোনো মেসেজ এলো কি না দেখছেন একটু পরপর। ফোন হাতেই ঘুমিয়ে পড়ছেন।

চোখে ফোনের ডিসপ্লে

টেক্সট করতে করতে বা ফোনে কথা বলতে বলতে অন্যমনস্ক হয়ে ব্যথা পেয়েছেন কয়েকবার। হাঁটার সময় অন্যদের সঙ্গে ধাক্কা লাগছে, জিনিসপত্রে ঠোক্কর খাচ্ছেন। কিন্তু কোনো খেয়াল নেই, কারণ আপনি ফোনে ব্যস্ত। সব সময় চোখের সামনে ফোনের ডিসপ্লেটা ধরা।

অন্যে বিরক্তি

আপনার ফোন কেউ ধরলে বা ব্যবহার করতে নিলে প্রচণ্ড বিরক্ত লাগে!

4
ICT / Storage, Past and present
« on: June 29, 2019, 11:06:05 AM »
কম্পিউটারের অন্যতম মূল একটি অংশ হলো স্টোরেজ। চলতি শতকের শুরুর দিকেও মাত্র কয়েক গিগাবাইটের স্টোরেজই ছিল মূল ধারার স্টোরেজ। এমনকি এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ের জন্যও স্টোরেজের এই সীমাবদ্ধতা ছিল। সেখান থেকে দ্রুত মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের প্রসারে আরও অনেক বেশি স্টোরেজের হার্ডডিস্কের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেই প্রয়োজনীয়তা পূরণে দ্রুত এগিয়েও আসে হার্ডডিস্ক নির্মাতারা। প্রচলিত হার্ডডিস্কের সাথে সাথে সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি), ফ্ল্যাশ স্টোরেজ এসে এখন সীমাহীন স্টোরজেও নিত্যসঙ্গী করে তুলেছে। আসছে কয়েক বছরের মধ্যে এই স্টোরেজ পৌঁছে যাবে নতুন মাত্রায়। স্টোরেজ নিয়ে চলমান গবেষণায় আসছে দিনগুলোতে কেমন স্টোরেজের দেখা মিলবে, সেটাই তুলে ধরা হলো এই লেখায়।

হার্ডডিস্ক

গত কয়েক বছরে হার্ডডিস্কের স্টোরেজ যেমন বেড়েছে, তেমনি কমেছে হার্ডডিস্কের খরচ। এর মধ্যে মূলধারার কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্যই গত বছরের শুরুর দিকে ৬ টেরাবাইট স্টোরেজের হার্ডডিস্ক তৈরি করেছে সিগেট। শুধু তাই নয়, সিঙ্গেলড ম্যাগনেটিক রেকর্ডিং (এসএমআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে ৮ টেরাবাইটের হার্ডডিস্কও বাজারে নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হার্ডডিস্কে তথ্যের ঘনত্ব অনেকটাই বাড়বে। এই প্রযুক্তির হার্ডডিস্ক উত্পাদনে সাফল্য মিললে টু-ডাইমেনশনাল ম্যাগনেটিক রেকর্ডিং (টিডিএমআর) সিগন্যাল প্রসেসিং প্রযুক্তির দেখাও মিলবে। তাতে করে আরও কম জায়গায় অনেক বেশি স্টোরেজ রাখার সুযোগ উন্মুক্ত হবে।

হার্ডডিস্কের ক্ষেত্রে আরও একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলো হিট-অ্যাসিস্টেড ম্যাগনেটিক রেকর্ডিং (এইচএমআর) প্রযুক্তির ব্যবহার। ২০১৭ সালে এই প্রযুক্তির হার্ডডিস্ক বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছিল রয়েছে সিগেটের। এর সাথে হিটাচি তাদের হার্ডডিস্কে বাতাসের পরিবর্তে ব্যবহার করেছে হিলিয়াম গ্যাস। এতে হার্ডডিস্কের প্ল্যাটারগুলোর মধ্যেকার দূরত্ব কমে এসেছে এবং আরও কম পুরুত্বের হার্ডডিস্ক তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আসছে দিনগুলোতেও আলোচ্য প্রযুক্তিগুলোর ব্যবহার আরও বেশি স্টোরেজের ব্যয়সাশ্রয়ী হার্ডডিস্ক বাজারে নিয়ে আসতে ভূমিকা রাখবে।

ফ্ল্যাশ

হার্ডডিস্কের সাথে সাথে ফ্ল্যাশ ড্রাইভেও আসছে ব্যাপক পরিবর্তন। ২০০০ সালের আশেপাশের সময়ে ১২৮ মেগাবাইট বা ২৫৬ মেগাবাইটের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা পেনড্রাইভ মূলধারায় থাকলেও মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন ফ্ল্যাশ ড্রাইভে যুক্ত হয়েছে ১২৮ গিগাবাইট বা ২৫৬ গিগাবাইটের মতো স্টোরেজ। আসছে দিনগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আরও বেশি বেশি স্টোরেজের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বাজারে আসবে বলে মনে করছেন প্রযুক্তি গবেষকরা। এর মধ্যে ইন্টেল কাজ শুরু করেছে মাইক্রনের সাথে। তারা ৩২-ডিপ থ্রিডি এনএএনডির সাথে মাল্টি-লেভেল সেলের (এমএলসি) সমন্বয়ে প্রতিটি ডাইয়ে ৪৮ গিগাবাইট স্টোরেজ তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। এতে প্রতি ট্রানজিস্টরে এখনকার সর্বোচ্চ পরিমাণের তুলনায় দ্বিগুণ স্টোরেজ ধারণ করানো সম্ভব হবে। ফলে মোবাইল ফর্ম ফ্যাক্টরেই ১ টেরাবাইট স্টোরেজের ফ্ল্যাশ ড্রাইভ তৈরি করা সম্ভব হবে এবং এর দামও হবে প্রচলিত হার্ডডিস্কের তুলনায় অনেক কম। ইতোমধ্যে এই প্রযুক্তির ব্যবহারে এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে ব্যবহারের উপযোগী ১০ টেরাবাইটের এসএসডিও বাজারে এসেছে। এমএলসি প্রযুক্তির ব্যবহার যেখানে ফ্ল্যাশ ড্রাইভের স্টোরেজ দ্বিগুণ করে দিতে পারে, সেখানে ট্রিপল-লেভেল সেল (টিএলসি) প্রযুক্তির ব্যবহার এই স্টোরেজে আরও গতি নিয়ে আসতে পারে। এই প্রযুক্তির ব্যবহার এখনও থাকলেও এর মাধ্যমে ব্যয়সাশ্রয়ী স্টোরেজ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরে এই সীমাবদ্ধতা অতিক্রমে বড় ধরনের অগ্রগতির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন গবেষকরা।

এন্টারপ্রাইজ স্টোরেজ

গতি আর পরিমাণে ক্রমবর্ধমান ধারা এন্টারপ্রাইজ স্টোরেজের মূল বিষয়। এক্ষেত্রে আগামী কয়েক বছরে এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে মূলত প্রচলিত হার্ডডিস্ক আর ফ্ল্যাশ স্টোরেজের একটি মিশ্র ব্যবহার থাকবে। এর কারণ হলো হার্ডডিস্কে গতি বাড়তে থাকলেও আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অন্তত তা ফ্ল্যাশ ড্রাইভের গতিতে স্পর্শ করতে পারবে না। আবার ফ্ল্যাশ ড্রাইভের স্টোরেজ বাড়তে থাকলেও অন্তত আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে তা প্রচলিত হার্ডডিস্কের সমান্তরালে আসবে না। ফলে হার্ডডিস্ক আর ফ্ল্যাশ ড্রাইভের হাইব্রিডই এন্টারপ্রাইজ স্টোরেজের ক্ষেত্রে সমাধান হিসেবে কাজ করবে। বাল্ক স্টোরেজের ক্ষেত্রেও একইরকমভাবে নেটওয়ার্ক অ্যাটাচড স্টোরেজ বা স্টোরেজ অ্যাটাচড নেটওয়ার্কের ব্যবহার থাকবে। এদিকে শীর্ষস্থানীয় সব হার্ডডিস্ক নির্মাতারা এখন এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ের হার্ডডিস্ক তৈরিতে আরও বেশি গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ চলতি বছরেও আরও বেশি গতিশীল এবং ব্যয়সাশ্রয়ী এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ের হার্ডডিস্কের দেখা মিলবে বলে জানিয়েছে হার্ডডিস্ক নির্মাতারা। বিশেষ করে সিগেট এবং হিটাচি এ বছরেই এন্টারপ্রাইজ পর্যায়ে ব্যবহারের উপযোগী নতুন হার্ডডিস্ক বাজারে আনবে বলে জানিয়ে রেখেছে।

ক্লাউড স্টোরেজ

পিসি স্টোরেজ ডিভাইসের মধ্যে ক্লাউড স্টোরেজ না পড়লেও স্টোরেজের আলোচনা ক্লাউড স্টোরেজ ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। ব্যক্তিগত পর্যায়ে তো বটেই, এন্টারপ্রাইজ পর্যায়েও ক্লাউড স্টোরেজের উল্লেখযোগ্য ব্যবহার রয়েছে। তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও ক্লাউড স্টোরেজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাতে করে সামনের দিনে স্টোরেজ ডিভাইসের বদলে ক্লাউড স্টোরেজ একটি শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলবে বলেই মনে করেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।

ভবিষ্যতের স্টোরেজ

স্টোরেজের ক্ষেত্রে নিকট ভবিষ্যতেই বৈপ্লবিক কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখেন না প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। প্রচলিত হার্ডডিস্ক, সলিড স্টেট ড্রাইভ আর ফ্ল্যাশ ড্রাইভের বাইরে বড় ধরনের সংযোজনের সম্ভাবনা নেই বলেই মন্তব্য তাদের। এর মধ্যে সাম্প্রতিক প্রযুক্তি মেমরিস্টর নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও বাণিজ্যিকভাবে মেমরিস্টরের ব্যবহারে তৈরি স্টোরেজ ডিভাইস আগামী দশ বছরের মধ্যেও বাজারে আসবে না বলেই জানা গেছে। আবার লং টার্ম আর্কাইভাল স্টোরেজ এর মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করলেও সেগুলো মূলধারায় আসতে পারেনি এবং মূলধারায় আসতে এসব স্টোরেজ ডিভাইসেরও আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। এর বাইরে বাবল মেমোরি, হলোগ্রাফিক, ফেরোইলেক্ট্রিক্যাল র্যাম, পলিমার মেমোরি, ফেজ চেঞ্জ মেমোরি প্রভৃতি প্রযুক্তিগুলো এখনও গবেষণার পর্যায়েই রয়েছে। ফলে এগুলোর বাণিজ্যিক উত্পাদনও সহসাই শুরু হচ্ছে না। আগামীতে ক্লাউড স্টোরেজের ব্যবহারও আরো বাড়বে।


Link: https://www.ittefaq.com.bd/scienceandtechnology/65368/%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A4%E0%A7%80%E0%A6%A4-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A8

5
ICT / Strategies to keep Smartphone safe for kids
« on: April 02, 2019, 12:52:42 PM »
প্রযুক্তির এই যুগে সবার হাতে হাতেই পৌঁছে গেছে স্মার্টফোন। এই সুযোগে শিশুরাও এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করে গেম খেলা বা ভিডিও দেখার কাজ করছে। তবে স্মার্টফোনে শিশুরা ভুলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ডিলিট করে দিতে পারে। আবার স্মার্টফোনের এমন অনেক অ্যাপই হয়তো থাকতে পারে, যেগুলো শিশুদের উপযোগী নয়। এসব ক্ষেত্রে তাই শিশুদের কাছ থেকে স্মার্টফোনকে নিরাপদ রাখা প্রয়োজন। এর জন্যই প্রয়োজনীয় কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো এই লেখায়।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে

এই সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন হিসেবে এককভাবে স্বীকৃত অ্যান্ড্রয়েড। ফলে স্মার্টফোন হিসেবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় অ্যান্ড্রয়েডকেই। অ্যান্ড্রয়েডে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে বিভিন্ন অ্যাপ কেনার সুযোগ রয়েছে। আবার ইন-অ্যাপ পারচেজের সুযোগও রয়েছে। শিশুরা ভুলে এখানে গিয়ে না বুঝেই বিভিন্ন অ্যাপ কিনে ফেলতে পারে। আবার শিশুদের উপযোগী নয়, এমন অনেক অ্যাপও উন্মুক্ত থাকে প্লে স্টোরে। সেক্ষেত্রে গুগল প্লে স্টোর অ্যাপে গিয়ে মেন্যু ওপেন করতে হবে। সেখানে সেটিংয়ে গিয়ে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ে যেতে হবে। এখান থেকে আপনি ম্যাচুরিটি সেটিং নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। হাই ম্যাচুরিটি কনটেন্ট নির্বাচন করে দিলে সাধারণত বিভিন্ন সহিংস অ্যাপও চলে আসবে। তাই এক্ষেত্রে লো ম্যাচুরিটি সেটিং নির্বাচন করে দিতে হবে। আবার গুগল প্লে সেটিং থেকেই বিভিন্ন কেনাকাটার জন্য পিনের প্রয়োজনীয়তা নির্বাচন করে দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে পিন বা পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউই কিছু কিনতে পারবে না।

অ্যাপ লক

আপনার স্মার্টফোনে শিশু যাতে সব ধরনের অ্যাপে অ্যাকসেস না পায়, সেজন্য অ্যাপগুলোকে লক করেও রাখতে পারবেন। অ্যাপ লক নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন এক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করবে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি আলাদা আলাদা করে প্রতিটি অ্যাপে প্রবেশের সুযোগকে বন্ধ রাখবে। ভয়েস কল, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, মোবাইল ডাটা প্রভৃতি ফিচার ব্যবহারেও প্রতিবন্ধকতা জারি রাখবে এই অ্যাপটি। এ ছাড়া গ্যালারির ফটো বা ভিডিওগুলোও লুকিয়ে রাখবে এই অ্যাপ।

আইওএস

অ্যান্ড্রয়েডের পরেই সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল ডিভাইস হলো অ্যাপলের আইওএস ডিভাইসগুলো। আইফোন, আইপ্যাড, আইপড টাচ প্রভৃতি ডিভাইস আইওএস-এর আওতাভুক্ত। এসব ডিভাইসেও প্যারেন্টাল কন্ট্রোল যুক্ত করা যায়। এজন্য এসব ডিভাইসের সেটিংয়ে গিয়ে জেনারেল থেকে যেতে হবে রেস্ট্রিকশনে। এখান থেকেই রেস্ট্রিকশন সক্রিয় করে দেওয়ার অপশন রয়েছে, রয়েছে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল কনফিগার করার সুযোগ। এখান থেকেই ডিভাইসের বিল্ট-ইন অ্যাপ (ক্যামেরা, আইটিউনস, ইন-অ্যাপ পারচেজ, অ্যাপ ইন্সটল, অ্যাপ ডিলিট প্রভৃতি), কনটেন্ট (থার্ড-পার্টি অ্যাপ, ওয়েবসাইট অ্যাকসেস প্রভৃতি), ফাংশনগুলোকে (অ্যাকাউন্ট সেটিং, লোকেশন সার্ভিস প্রভৃতি) নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ফলে শিশু চাইলেই নিজের ইচ্ছেমতো কিছু করতে পারবে না।

উইন্ডোজ ফোন

উইন্ডোজ ফোনে শিশুদের জন্য আগে থেকেই কিড’স কর্নার তৈরি করে রাখার সুযোগ রয়েছে। এখানে শিশুদের জন্য আপনার অনুমোদিত অ্যাপ্লিকেশনগুলো রাখতে পারবেন আগে থেকেই। ফলে এখানে গিয়ে শিশুরা নির্ভাবনায় বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে। এটি সক্রিয় ও কনফিগার করতে উইন্ডোজ ফোনের হোমস্ক্রিনে অ্যাপের তালিকা থেকে যেতে হবে সেটিংয়ে। সেখানেই পাবেন কিড’স কর্নার। এখানে গিয়ে আপনি নির্বাচন করে দিতে পারবেন শিশুরা কোন কোন অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে। পাসওয়ার্ড দিয়ে এই অপশনগুলো সুরক্ষিতও রাখতে পারবেন।

এভাবেই আপনার স্মার্টফোনকে শিশুদের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে পারবেন। সঠিকভাবে কনফিগার করতে পারলে আর শিশুদের উপযোগী নয় এমন কোনো কনটেন্টে শিশুরা প্রবেশ করতে পারবে না।


Source:: http://www.ittefaq.com.bd/scienceandtechnology/40709/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%A6-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8C%E0%A6%B6%E0%A6%B2

6
কোথায় যাচ্ছেন, কোথায় খাচ্ছেন, কী নতুন পোশাক পরছেন, সিনেমা দেখছেন, আধুনিক যুগে এসব সবকিছুরই এখন সাক্ষী থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আর এরই জন্য স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কেটে যায় দিনের অধিকাংশ সময়। আর এতেই ধেয়ে আসছে বড় বিপদ!
 
আন্তর্জাতিক হেলথ জার্নাল ‘এনভায়রোনমেন্টাল হেলথ পারসপেকটিভ’এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, স্মার্টফোনের নীল আলো থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সার ও প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। শুধু স্মার্টফোন নয়, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপের নীল এলইডি আলো থেকেও এমন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষ করে অন্ধকার ঘরে স্মার্টফোনের আলো ব্রেস্ট ও প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দেয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে বদ্ধ অন্ধকার ঘরে নীল এলইডি আলোর সংস্পর্শে এলে প্রস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।শুধু গ্যাজেটস নয় অন্ধকার রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের সংস্পর্শও ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করার আগে স্পেনে ৪ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির উপরে সমীক্ষা চালান গবেষকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই আলোর ফলে মস্তিষ্ক থেকে মেলাটনিন নামে একটি হরমোন ক্ষরণ হয়। এই হরমোন পিনেয়াল গ্ল্যান্ড থেকে নির্গত হয়। এই হরমোন ঘুম ও জেগে থাকার মধ্যে সমতা বজায় রাথতে সাহায্য করে।
Source: The Daily Ittefaq

7
প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণ নিয়ে উদ্বেগের দিন এবার সত্যি-সত্যিই শেষ হওয়ার পথে। ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষকদল জানাচ্ছেন, ‘প্লাস্টিক-খেকো’ এনজাইমের হদিশ পেয়েছেন তারা। প্লাস্টিকের ওই বিশেষ যৌগটির নাম ‘পলিইথিলিন টেরেফ্‌থ্যালেট’ (পিইটি বা ‘পেট’)।
ওই প্লাস্টিক যৌগ গিয়ে বোতল বানানোর জন্য প্রথম পেটেন্ট হয়েছিল ১৯৪০ এর দশকে। বোতল বানানোর জন্য প্লাস্টিক পরিবারের ওই বিশেষ যৌগটিকে বেছে নেয়া হয়েছিল একটাই কারণে, তা হল- ওই যৌগটি পরিবেশে লক্ষ লক্ষ বছর টিঁকে থাকতে পারে। গবেষণায় এও দেখা গেছে, প্লাস্টিকের এই বিশেষ যৌগ পলিইথিলিন টেরেফ্‌থ্যালেট-ই পৃথিবীর স্থল ও জলের বেশির ভাগ অংশে দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে।
অন্য একটি বিষয় নিয়ে গবেষণা করার সময়েই ব্রিটেনের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও মার্কিন শক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি ল্যাবরেটরির (এনআরএএল) বিজ্ঞানীরা ওই এনজাইমটির হদিশ পেয়েছেন। গবেষকরা দেখেছেন, ওই এনজাইমটি একটি বিশেষ ব্যাকটেরিয়াকে সাহায্য করে প্লাস্টিকের বিশেষ যৌগ ‘পেট’কে ভেঙে ফেলতে বা ‘খেয়ে হজম’ করে ফেলতে।
পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন ম্যাকগিহান জানিয়েছেন, এনজাইমটির এই ক্ষমতার কথা জানতে পেরে তারা সেই ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা শুরু করেন। এজন্য তারা কয়েকটি অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রয়োগ করে দেখেন, তাতে এনজাইমগুলি আরো দ্রুত প্লাস্টিক খেয়ে নিতে পারছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এনজাইমটি আদৌ বিষাক্ত নয় বলে এই পদ্ধতি খুবই কার্যকর হতে পারে ভবিষ্যতে, শিল্পজাত প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে। তবে এ ব্যাপারে আরও গবেষণা দরকার। রয়টার্স।

Source: The Daily Ittefaq

8
‘পালমোনারি আর্টারিয়াল হাইপারটেনশন’ নামের প্রাণঘাতী এক হৃদরোগের জন্য দায়ী পাঁচটি ‘জিন’ শনাক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এ রোগে আক্রান্তদের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে হৃদযন্ত্র বা ফুসফুস প্রতিস্থাপন। তবে এবার তারা আশা করছেন, এ ধরণের রোগ এখন থেকে আগেই শনাক্ত করা যাবে এবং এর চিকিৎসাও সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
যারা এই রোগে আক্রান্ত হন তাদের হৃদযন্ত্র থেকে যে ধমনী বা রক্তনালী দিয়ে রক্ত ফুসফুসে যায়, সেই ধমনী মোটা ও শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত যাদের হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসে অন্য সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রেই এই রোগটা বেশি দেখা যায়। তবে যে কোন লোকেরই এই রোগ হতে পারে এবং তা কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই।
এ ধরণের রোগে আক্রান্তদের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে হৃদযন্ত্র এবং ফুসফুস প্রতিস্থাপন করা। এই গবেষণায় যুক্ত বিজ্ঞানীদের একজন এবং ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক নিক মোরেল বলেন, ‘এই জিনগুলোর বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করার মাধ্যমে তারা এখন বুঝতে পারেন কিভাবে এই রোগটি হয়। এর ফলে এখন আমরা এই রোগের সম্ভাব্য চিকিৎসায় নতুন উপায় খুঁজে পাব।

Link: http://www.ittefaq.com.bd/science-and-tech/2018/04/15/153969.html

9
IT Forum / Heart use as a Password!
« on: October 07, 2017, 11:17:45 AM »
ফেসিয়াল পিকনিক বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট কম্পিউটার আইডেনটিফিকেশন প্রযুক্তির কথা ভুলে যান। মার্কিন গবেষকেরা সম্প্রতি নতুন কম্পিউটার নিরাপত্তাব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছেন, যা মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকারকেই শনাক্তকরণে উপায় হিসেবে কাজে লাগাবে।

নিউইয়র্কের বাফেলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ওয়েনইয়াও ইয়ু গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধের মূল লেখক। তাঁর ভাষ্য, মানুষের হৃদ্‌যন্ত্র অনন্য। দুজন মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকারে কোনো মিল পাওয়া যাবে না। সাধারণত মানুষের হৃদ্‌যন্ত্রের আকার পরিবর্তন হয় না। কখনো কখনো মারাত্মক হৃদ্‌রোগ হলে তা বদলাতে পারে।

গবেষকেরা দাবি করেন, এ পদ্ধতিটি স্মার্টফোনে ব্যবহারের পাশাপাশি বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কাজে লাগানো যাবে। এটি নিরাপদ ও প্রচলিত পাসওয়ার্ড বা অন্যান্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতির চেয়ে নিরাপদ। যাঁরা প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় সচেতন, তাঁদের কম্পিউটারে এই পদ্ধতিটি আনতে চান তাঁরা।

গবেষক ইয়ু বলেন, বারবার লগআউট বা লগইন করাটা বিরক্তিকর। অন্যরা যাতে কম্পিউটার লগইন করতে না পারেন, এ জন্য এ পদ্ধতিতে কম মাত্রার ড্রপলার রাডার ব্যবহার করা হয়, যা হৃদ্‌যন্ত্রে নজরদারি করে। শুরুতে হার্টস্ক্যান করতে আট সেকেন্ড সময় লাগে। এরপর সিস্টেমটি হৃদ্‌যন্ত্র শনাক্ত করতে পারে সহজেই।

অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের উত্যাহে মোবাইল কম্পিউটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশনের (মোবিকন) বার্ষিক ২৩তম সম্মেলনে গবেষণা উপস্থাপন করবেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষক ইয়ু বলেন, তাঁদের তৈরি রাডার সিস্টেমে সংকেতের শক্তি ওয়াই-ফাইয়ের চেয়ে কম বলে তা মানুষের জন্য ঝুঁকি তৈরি করে না। এটি তৈরিতে তিন বছর ধরে কাজ করছেন তাঁরা। হৃদ্‌যন্ত্রের আকার, গঠন ও নড়াচড়া বিশ্লেষণ করে এ পদ্ধতিটি কাজ করে।


Source:The Daily Prothom Alo
Link:http://www.prothom-alo.com/technology/article/1336536/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1

10
Animals and Pets / Fish also know how to walk, surprising scientists.
« on: June 11, 2017, 03:30:09 PM »
পৃথিবীর বুকে কতো রহস্য যে এখনো লুকিয়ে আছে, সে সম্পর্কে প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছাড়া কোনো পূর্ব ধারণাই করা যায়না। সময়ে সময়ে এমনও ঘটনার সম্মুখীন হয় মানুষ, যার ব্যাখ্যা দিতে হিমশিম খেতে হয় খোদ বিজ্ঞানীদেরও।
 
অনেকে উড়ুক্কু মাছ দেখে থাকলেও, সমুদ্রের পানির নিচে বালুতে কোনো মাছকে হাঁটতে দেখাটা বোধহয় চোখ কপালে ওঠে যাওয়ার মতোই ব্যাপার। কিন্তু ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে এমনই এক ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন এক ফরাসী স্কুবা ডাইভার। এমন কাণ্ড দেখতে পেয়ে তা ভিডিও করেন ওই ডাইভার অ্যামেরিক বেনহালাসসা। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে নিমিষেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

খুব কাছ থেকে দেখলও কমলাটে-বাদামি বর্ণের মাছটি কী প্রজাতির তা বুঝতে পারেননি এমেরিক। তিনি ভাবেন, এটি স্টিংফিশের কোনো প্রজাতি। এরপরেই ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। ভিডিওটিও পাঠান তাদের। পরে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে। কয়েকজন মাছ বিশেষজ্ঞের দাবি, মাছটি স্টিংফিস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত। তবে মাছটি আসলে কোন প্রজাতির তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কোনো বিজ্ঞানীই।

তবে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক জানাচ্ছে, মাছটির ‘পা’ এর মতো অংশটি আসলে তার ‘পেকটোরাল ফিন’। জাপানের কাগোশিমা ইউনিভার্সিটি মিউজিয়ামের মেরিন বায়োলজিস্ট হিরোয়ুকি মটোমুরা জানাচ্ছেন, স্টিংফিশের সমস্ত প্রজাতিই কাদার মধ্যে থেকে কীটপতঙ্গ খুঁজে বের করতে এই পেকটোরাল ফিন ব্যবহার করে। মাছটি যথেষ্ট বিষাক্ত বলেও জানান তিনি। এই মাছটিও স্টিংফিশের কোনো প্রজাতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন মটোমুরা। তবে এই মাছের ‘হাঁটা’র গতি স্টিংফিশের থেকে অনেকটাই বেশি। আর সেটাই বিজ্ঞানীদের আশ্চর্য করেছে সবচেয়ে বেশি। এনডিটিভি।

Youtube:

11
হাঙ্গেরিতে জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জনভন নিউম্যান ১৯৪৯ সালে সর্বপ্রথম কম্পিউটার ভাইরাসের ধারণা দেন। কোনও একটি প্রোগ্রামের হুবহু নকল প্রোগ্রাম হিসেবে তার ধারণার আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরবর্তীতে এটাই কম্পিউটার ভাইরাস হিসেবে পরিচিতি পায়।
শুরুর দিকে বিভিন্ন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে ভাইরাস তৈরি এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ চলত। গবেষণাগারের বাইরে তৈরি হওয়া প্রথম যে ভাইরাসটি বিভিন্ন কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়ে সেটার নির্মাতা ছিলেন এলক ক্লোনার এবং এটার প্রোগ্রামিং করেন তখনকার সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষার্থী রিচার্ড স্কেন্টা। এই সময়কার ভাইরাসগুলো ফ্লপি ডিস্কের মাধ্যমে ছড়াত। ফলে এগুলো নিরাপত্তায় খুব বেশি প্রভাব ফেলতে সক্ষম হত না।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে ১৯৯০ এর দশকের শুরুতে ভাইরাস ছড়াতে শুরু করলেও সবচেয়ে বড় আক্রমণটি হয় ১৯৯৯ সালে। আমেরিকান নাগরিক ডেভিড এল স্মিথ এটা তৈরি করেন। মেলিসা ভাইরাস নামের এ ভাইরাসটি ই-মেইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়ায় ই-মেইলের সঙ্গে একটি ওয়ার্ড ফাইল জুড়ে দেওয়া হয়, যা ওপেন করলেই ব্যবহারকারী ভাইরাস আক্রমণের শিকার হতেন। এছাড়া আক্রমণের শিকার ব্যক্তির কাছ থেকে তার ই-মেইলে থাকা আরও ৫০ জনের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেলিসা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ত। ফলে মেলিসা ভাইরাসের কারণে অসংখ্য ই-মেইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে বাধ্য হন গ্রাহকরা।
এরপর আসে ওয়ার্মের আক্রমণ। ভাইরাস থেকে ওয়ার্ম একটু আলাদা। ওয়ার্ম এক ধরনের ভাইরাস হলেও অন্যান্য ভাইরাসের সঙ্গে এর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এটা নিজে থেকেই সব কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে যেটা অন্য কোনও ভাইরাসের পক্ষে সম্ভব নয়। ২০০০ সালের মে মাসে লাভ-বাগ নামের একটি ওয়ার্ম সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আই লাভ ইউ নামের একটি চিঠি সংযুক্ত থাকতো যা ওপেন করলেই ওয়ার্ম আক্রমণের শিকার হত কম্পিউটার।
২০০৭ সালে শুরু হয় ট্রোজান হর্সের আক্রমণ। ভুয়া কনটেন্ট দিয়ে গ্রাহককে ভুল পথে নিয়ে কম্পিউটার হ্যাক করাকে ট্রোজান হর্স বলা হয়। এটা এক ধরনের ম্যালওয়্যার। মূলত ক্ষতিকারক সব ধরনের সফটওয়্যারকে ম্যালওয়্যার বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভাইরাস, ওয়ার্ম, ট্রোজান হর্স, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি।
সর্বশেষ এবং সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যে কম্পিউটার ভাইরাসটির নাম শুনছি, তা হলো র্যা নসমওয়্যার। এটা মূলত সাইবার চাঁদাবাজির জন্য ব্যবহার করা হয়। র্যা নসমওয়্যার যেকোনও কম্পিউটারে আক্রমণ করে এর সব ডাটা নিজের অধীনে নিয়ে নেয়। তারপর সেগুলো ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে গ্রাহকের কাছে অর্থ দাবি করে। ব্যবহারকারী যদি তার কম্পিউটারে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ডাটা ফেরত পেতে চান, তাহলে অর্থ প্রদান করতে হয়। অন্যথায় তিনি সেগুলো আর ফেরত পান না।


Source: http://www.banglatribune.com/tech-and-gadget/news/211313/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AA%E0%A6%BF%E0%A6%89%E0%A6%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B8

12
Telecom Forum / Tasks that can be done with a mobile
« on: March 11, 2017, 05:27:32 PM »
আমরা অনেকেই মোবাইলের ব্যবহার বলতে ফেসবুক, গেম খেলা আর মোবাইলে কথা বলাকেই বুঝি। কিন্তু একটি ভালো মানের মোবাইল আপনার ব্যবসা বা অফিসের অনেক কাজকে সহজ করে দিতে পারে। এ জন্য আপনার দরকার  হবে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার। মোবাইল ফোন দিয়ে আপনি যে কাজগুলো করতে পারবেন তা নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন। লিখেছেন এম হোসাইন।
 
যেমন মোবাইল দরকার
 
অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজগুলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ছাড়া করতে হলে আপনার প্রয়োজন হবে একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন। অবশ্যই তা হতে হবে স্মার্ট ফোন। তবে আইফোন, উইন্ডোজ ও অ্যানড্রয়েড—সব ফোনেই সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।
 
উইন্ডোজ ফোনে স্থায়ীভাবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট ও এক্সেল দেওয়া হয়। সঙ্গে স্ক্যানিংয়ের জন্য অফিস লেন্স ও ভিডিও কলের জন্য স্কাইপও দেওয়া থাকে। ড্রপবক্স ও ওয়ানড্রাইভের মতো ফাইল শেয়ার করার সুবিধাও থাকে। চাইলে আপনি আরও ফিচার যুক্ত করে নিতে পারেন। আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আলাদা আলাদ ভার্সনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজে পাওয়া যায় অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন সফটওয়্যার।
 
স্মার্ট ফোন যেটাই হোক, সেক্ষেত্রে ব্যাটারি-লাইফ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমেই দেখতে হবে ফোনটির ব্যাটারি যেন এমএএইচ বেশি থাকে। স্টোরেজ সাইজ, ক্যামেরা রেজ্যুলেশন, প্রসেসর যেন চাহিদা সম্পন্ন হয়। ইউএসবি ওটিজি সুবিধা থাকলে সরাসরি পেনড্রাইভ, কি-বোর্ড ও মাউস ব্যবহার করতে পারবেন।
 
নিরাপত্তা বিষয়ক কাজ
 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি আপনার অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জনিত কাজগুলো তদারকি করতে পারবেন। আপনার প্রতিষ্ঠানে যদি সিসি ক্যামারা লাগানো থাকে  আর তাতে যদি ইন্টারনেট কানেকশন থাকে তাহলে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় বিষয় আপনার আয়ত্বে রাখতে পারবেন। এজন্য আপনার মোবাইল ফোনের ফিচার হতে হবে  উন্নত।
 
ডকুমেন্ট তৈরি
 
ওয়ার্ডে কিছু লেখা, ষ্প্রেডশিটে হিসাব রাখা, প্রেজেন্টেশন স্লাইড তৈরি, ই-মেইল আদান-প্রদান কিংবা ফাইল সংরক্ষণে পিডিএফে রূপান্তর—কম্পিউটারে এসব কাজে সাধারণত ‘মাইক্রোসফট অফিস’ ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি মাইক্রোসফট স্মার্টফোনের জন্যও এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছে। তাই ফোনেও ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট বা আউটলুক ব্যবহার করা যাবে। স্মার্টফোনে অফিসের কাজ সারার জন্য গুগলেরও রয়েছে অ্যাপ্লিকেশন ‘জি-স্যুট’। পিডিএফ করার ক্ষেত্রে ফোনে কম্পিউটারের চেয়েও সুবিধা বেশি। ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ডকুমেন্ট স্ক্যান করে পিডিএফ করা যায়। এ ক্ষেত্রে স্ক্যান করার জন্য ক্যামস্ক্যানার এবং পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য এডোবি রিডার অ্যাপ ডাউনলোড করে নিতে হবে।
 
ই-মেইল আদান-প্রদান
 
অফিশিয়াল কাজে ই-মেইল আদান-প্রদান খুবই জরুরি। এ কাজ আরো ভালোভাবে করা যায় আউটলুক ও গুগল ইনবক্স ব্যবহার করে। অনেক প্রতিষ্ঠানেই আজকাল নিজস্ব ই-মেইল সার্ভারের মাধ্যমে অফিশিয়াল মেইল অ্যাড্রেস ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এ কাজের জন্য আউটলুক আদর্শ। তবে স্মার্টফোনে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও অনেক সময় টাচ স্ক্রিনে টাইপ করতে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্লুটুথ কি-বোর্ড ব্যবহারে সুবিধা পাওয়া যাবে।
 
বাইরে থেকে অফিসে কাজ
 
অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য স্বতন্ত্র কম্পিউটার না দিয়ে একটি মূল সার্ভারে লগইন করে কাজ করার ব্যবস্থা  রাখে। এতে খরচ ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
 
এ ব্যবস্থায় অফিসের বাইরে থেকেও স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মাধ্যমে কাজ করা যায়। এ জন্য সাধারণত টিম ভিউয়ার, মাইক্রোসফট রিমোট ডেস্কটপ ও ষ্প্ল্যাশটপ অ্যাপ ব্যবহার করা হয়।
ফাইল শেয়ার
অফিসের কাজ বাইরে থেকে করা গেলেও সেগুলো দ্রুত পৌঁছাতে না পারলে সমস্যা। এ ক্ষেত্রে ড্রপবক্স ও গুগল ড্রাইভ কাজের অ্যাপ্লিকেশন।
ড্রপবক্স বা গুগল ড্রাইভের মাধ্যমে অনলাইনে ফোল্ডার তৈরি করে সেখানে ফাইল রেখে লিংকটি ই-মেইল করে কাঙ্কি্ষত ব্যক্তিকে পাঠিয়ে দিলেই হলো। এ ক্ষেত্রে ডেস্কস্টপ ও স্মার্টফোনের নির্দিষ্ট কোনো ফোল্ডার নির্বাচন করে রাখলে সুবিধা পাওয়া যাবে বেশি। এতে ফাইল সহজে হারাবে না।
ভিডিও কনফারেন্স
ভিডিও কলের মাধ্যমে এখন জরুরি মিটিংও সেরে নেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কাজের অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে স্কাইপ। অ্যাপটির মাধ্যমে টিম মিটিং ও সরাসরি আউটলুকে ইভেন্ট তৈরির সুযোগ আছে।
রিমাইন্ডার হিসেবে ব্যবহার
আপনার মোবাইল ফোনটিকে নোটবুক ও রিমাইন্ডার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেকটি স্মার্ট ফোনে রিমাইন্ডার ফিচারটি যুক্ত থাকে। এছাড়াও গুগল ক্যালেন্ডার, মাইক্রোসফট মেইল অ্যান্ড ক্যালেন্ডারের মাধ্যমে একটি সম্মিলিত ক্যালেন্ডার ও শিডিউল তৈরি করা সম্ভব। এর মাধ্যমে কার, কোথায়, কখন কোন কাজ রয়েছে, তা প্রতিষ্ঠানের সবাই জানতে পারে। নোটবুক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে গুগল প্লেস্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপস ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এই ধরনের অ্যাপের মধ্যে কালার নোট অনেক জনপ্রিয়।

13
বর্তমানে প্রতিদিন এক বিলিয়ন ঘণ্টার ইউটিউব কনটেন্ট দেখা হয় গুগলের মালিকায় থাকা অনলাইনে ভিডিও দেখার ভেন্যুটিতে। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
 ভিডিও-এর পরিমাণ ও গ্রাহকসংখ্যার দিক থেকে অনেক আগেই অনলাইনের অন্যান্য ভিডিও দেখার সাইটগুলোকে পেছনে ফেলেছে ইউটিউব। এবার নতুন ওই অর্জনে পৌঁছে একে 'বৃহৎ মাইলফলক' হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তারা।
সোমবার এক অনলাইন পোস্টে এই তথ্য শেয়ার করেছেন ইউটিউবের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোজ গুড্রো। তার ভাষ্য, 'যদি ইউটিউবের এক বিলিয়ন ঘণ্টার কনটেন্ট দেখেন, তবে আপনার এক শতাব্দী লেগে যাবে।'
 দিন দিন অনলাইনে ভিডিও দেখার সাইটের সংখ্যা বাড়ায় প্রতিযোগিতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বর্তমানে এই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে ফেসবুক-টুইটারের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু সাইট চেষ্টা করে যাচ্ছে।
 চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নিজেদের সাইটটিতে অনলাইনের জনপ্রিয় ভিডিও নির্মাতাদের মোবাইল থেকে কনটেন্ট সম্প্রচারের সুবিধা যোগ করে ইউটিউব। এতে প্রতিযোগিতার দৌড়ে চ্যালেঞ্জে পড়ে যায় ফেসবুক-টুইটার।
 বছর ছয়েক আগে কম্পিউটার থেকে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারের আনে ইউটিউব। এছাড়াও তারা এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কগুলোও সম্প্রচারের ব্যবস্থা করে। এসব চেষ্টাই সাইটটিকে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক এগিয়ে দেয়।


source: Ittefaq

14
IT Forum / How to make strong Password.
« on: February 25, 2016, 10:23:35 AM »
মোবাইল বা এটিএম। কিংবা কম্পিউটার। পাসওয়ার্ড দিয়েছেন? কিন্তু আপনার তথ্য নিরাপদে থাকছে তো? হ্যাক হয়ে যাবে না তো পাসওয়ার্ড? জেনে নিন পাসওয়ার্ড শক্ত করার চাবিকাঠি। হ্যাকাররা তৈরি। সমস্ত উপায়ে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি করতে সত্যিই তৈরি তারা।  কিন্তু পাসওয়ার্ড নিয়ে তাঁদের কী লাভ? আসলে হ্যাকারদের মূল লক্ষ্য আপনার তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। হাতাতে পারলে তাঁদের অনেক লাভ।
আপনারই পাসওয়ার্ড জেনে ই-মেল বা কম্পিউটার-মোবাইলে রাখা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, নথি বা ছবি হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা  এমনও তো হতে পারে, আপনার পাসওয়ার্ড জেনে আপনারই ই-মেল থেকে সংগঠিত হল কোনও অপরাধ আপনার মেইলে ঢুকে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট থেকে ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারে হ্যাকাররা ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের পাসওয়ার্ড জেনে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা হাতিয়ে নিল হ্যাকাররা  কিন্তু কীভাবে পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে হ্যাকাররা?
উঁকি ঝুঁকি মারা (Shoulder Surfing) : কম্পিউটার, মোবাইল বা এটিএমে আপনি যখন পাসওয়ার্ড দিচ্ছেন, তখন কেউ উঁকি ঝুঁকি মেরে দেখে নিতেই পারে। একে বলা হয় সোল্ডার সার্ফিং।
পাসওয়ার্ড চুরি করতে হ্যাকারদের কাছে এটা সবচেয়ে সহজ উপায়।
গা-জোয়ারি আক্রমণ (Bruteforce Attacks) : আপনার নাম, ডাকনাম, জন্ম তারিখ, স্কুলের নাম ইত্যাদি জেনে নিয়ে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে হ্যাকাররা। একে বলা হয় ব্রুটফোর্স অ্যাটাক।
অভিধান আক্রমণ (Dictionary Attack) : বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে অভিধানের সম্ভাব্য সব শব্দ ব্যবহার করে আপনার পাসওয়ার্ড ভেঙে ফেলতে পারেন হ্যাকাররা। একে বলা বয় ডিকশনারি অ্যাটাক। 
তাই কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের আগে পাসওয়ার্ডকে জোরদার করতে কী করবেন? বেশি অক্ষরের পাসওয়ার্ড মানেই বেশি সুরক্ষা। তাই ৮ বা তার বেশি অক্ষরের পাসওয়ার্ড দিন পাসওয়ার্ডে অক্ষরের সঙ্গে সংখ্যা বা বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করুন ।এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা লিখে রাখতে হবে না, সহজেই মনে রাখা যায়। ১৫ দিন অন্তর পাসওয়ার্ড বদল করুন। কেউ জেনে ফেলেছে সন্দেহ হলে পাসওয়ার্ড সঙ্গে সঙ্গে বদলে দিন ।আপনার নাম, ডাকনাম, জন্ম তারিখ পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না ।প্রকাশ্য স্থানে পাসওয়ার্ড ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এখনও আপনার স্ট্রং পাসওয়ার্ড নয়? তাহলে আর দেরি করবেন না। এখুনি শক্ত করে ফেলুন আপনার পাসওয়ার্ড।

15
Telecom Forum / 15 minutes to fully charge the phone!
« on: February 24, 2016, 03:34:16 PM »
কোয়ালকম ‘কুইক চার্জ ৩.০’ প্রযুক্তির চার্জার দিয়ে ৩৫ মিনিটেই স্মার্টফোনের ব্যাটারি আশি শতাংশ চার্জ করা যায়। এবার দ্রুততম সময়ে মোবাইল ফোন চার্জের নতুন এক প্রযুক্তি এনেছে অপ্পো, যা মাত্র মাত্র ১৫ মিনিটে স্মার্টফোনের ব্যাটারি শূন্য থেকে সম্পূর্ণ চার্জ করবে।
বার্সেলোনায় ওয়ার্ল্ড মোবাইল কংগ্রেসে ‘সুপারভোক’ প্রযুক্তির এই চার্জার উন্মোচন করেছে চীনা এই মোবাইল কোম্পানি। তাদের দাবি, স্মার্টফোন ফুলচার্জ করার জন্য এই মুহূর্তে এটিই বিশ্বের সব থেকে দ্রুততম প্রযুক্তি।
অপ্পোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সুপারভোক’ প্রযুক্তিতে মাত্র ১৫ মিনিটে ২৫০০ এমএএইচ’র একটি মোবাইল ব্যাটারি শূন্য থেকে সম্পূর্ণ চার্জ করা যাবে। শুধু তাই নয়, মাত্র পাঁচ মিনিট চার্জ করলেই দশ ঘণ্টার বেশি টক টাইম পাওয়া যাবে।
অপ্পো ব্র্যান্ড ছাড়াও অন্যান্য ব্র্যান্ডের মোবাইলেও এই ‘সুপারভোক’ চার্জার কাজ করবে।

ref: http://www.ittefaq.com.bd/science-&-tech/2016/02/24/56819.html

Pages: [1] 2 3 ... 16