Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mrs.Anjuara Khanom

Pages: 1 ... 26 27 [28] 29 30 ... 32
406
অকস্মাৎ হার্ট অ্যাটাক আর তাতেই শেষ হয়ে যেতে পারে জীবন৷ এখন প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে৷ খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে নানা কু-অভ্যাসের ফলেই নেমে আসে এই ভয়াবহ বিপদ৷ তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন সত্যিই  আকস্মিক তা কিন্তু নয়৷ হার্ট অ্যাটাকের অন্তত একমাস আগে থেকে শরীরই জানান দেয় যে শরীরের ভেতরে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছে৷

আমাদের শরীরের করোনারি আর্টারিতে রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার দরুনই হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায়৷ তবে তা একদিনে হয় না৷ ধীরে ধীরে সে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে৷ আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে জেনে নিন সেই লক্ষণগুলো সম্পর্কে-

১। যদি অতিরিক্ত ক্লান্তিভাব গ্রাস করে, তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই৷ কেননা এ ক্লান্তিই পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে৷ আসলে এই দূর্বলতা হল রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার ফল৷ আর্টারিগুলো সরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দূর্বল হয়ে পড়ে৷ এই ক্লান্তি তথা দূর্বলতা কিন্তু অ্যাটাকের অশনি সংকেত৷

২। ঝিমুনিকেও স্বাভাবিক ক্লান্তির কারণ ধরে নিয়ে অবজ্ঞা করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ কেননা পর্যাপ্ত রক্তপ্রবাহ না থাকার কারণে শরীরে ক্লান্তি, ঘাম ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে৷ এবং এসব বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হয়৷

৩। যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যাথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিতই নয়৷

৪। হার্ট অ্যাটাকের আগে বহু রোগীর ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, তারা হালকা জ্বরে ভুগছেন৷ কেউবা ঠাণ্ডা লাগায় ভুগছেন৷ এরকম হতে থাকলে কিন্তু শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা উচিত৷

৫। যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, দমবন্ধ লাগে, তবে মোটেও অবহেলা করা উচিত নয়৷ প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়৷ কিন্তু হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুসও সমস্যায় পড়ে৷ তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয়৷ এর সঙ্গে এসে জোড়ে বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ৷

সব মিলিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে৷ রক্তপ্রবাহ কমতে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর৷ সেইমতো বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেকসময়ই অ্যাটাকের সম্ভাবনা এড়ানো যায়৷

 


বিডি-প্রতিদিন/

407
চিকিৎসকের কাছে গেলেই তারা সব সময় হার্ট সুস্থ রাখার পরামর্শ দেন। এটা করুন, সেটা করুন, কত পরামর্শ। কিন্তু রোজকার ইঁদুর দৌড়ের মাঝখানে হার্টের দিকে নজর দেয়ার সময় কোথায়? কিন্তু জানেন কি? বাড়িতে থেকেই আপনি রোজকার কাজের মধ্যে নিতে পারেন হৃদয়ের যত্ন? আজ ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে-তে জেনে নিন তারই কয়েকটা উপায়।

শরীরচর্চা:

হাতে সময় খুব কম। কিন্তু নিজের হার্টের জন্য না হয় দিনে ৩০ মিনিট রাখলেনই। কাজের ফাঁকে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করুন। সেটা হতে পারে হাঁটা, হতে পারে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা, জিম করা বা অন্য কিছু। আলাদা করে সময় পাচ্ছেন না? তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় অফিসে ওঠার সময় সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এড়িয়ে যান লিফ্ট। এতে আপনার ফিটনেস বাড়বে।
 
ধূমপান ছাড়ুন:

চেইন স্মোকারদের জন্য এটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তাতে সন্দেহ নেই। আজ বললে আজই সিগারেট ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু চেষ্টা তো করাই যায়। প্রথমে সিগারেটের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করুন। তারপর ছেড়ে দিন। এতে দেহে কোলেস্টেরলের মধ্যে সমতা থাকে। শুধু তাই নয়, হার্টবিট ও রক্তচাপ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

পরিমিত অ্যালকোহল:

অ্যালকোহল থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন, এমন কথা কেউ বলছে না। অ্যালকোহল নিন, তবে পরিমিত। বেশি মাত্রায় অ্যালকোহল রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। হার্টের যে কোনও সমস্যা তৈরি করে এই ট্রাইগ্লিসারাইড।

স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, এমন খাবার খান:

শরীরের জন্য যা উপকারী, সেই খাবার খান। প্রয়োজনে ডায়েট মেনে চলুন। মাংস ও দুগ্ধজাত দ্রব্য কোলেস্টেরল লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে। ফল, বিন, শাকসবজি, ওটস স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। এগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন।

বিডি প্রতিদিন/

408
 মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি৷ তবে বর্তমানে ক্রনিক কিডনি ডিজিস খুব স্বাভাবিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এটি একটি দীর্ঘকালীন সমস্যা৷ এক্ষেত্রে কিডনি ঠিকমতো কাজ করে না৷ অনেকসময় কিডনি কাজ করাও বন্ধ করে দেয়৷ তবে কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা থেতে মুক্তি পাওয়া সম্ভব-

১) রক্তচাপ ঠিক রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন৷

২) ঠিকমতো ওজন ধরে রাখুন৷ ওজন বেশি হলে কিজনির সমস্যা আসতে পারে৷

৩) পুষ্টিকর খাবার খান৷ বিশেষত ফল ও সবজি কিডনিকে ভালো রাখে৷

৪) যদি ডায়াবেটিস রোগ থাকে, তবে রক্তে সুগারের মাত্রা ব্যালেন্সে রাখুন৷

৫) নিয়মিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল খেয়াল রাখুন৷

৬) পরিবারের কারোর কিডনির সমস্যা রয়েছে কিনা, জেনে নিন৷ অনেকসময় জিন থেকেও সমস্যা আসতে পারে৷ পরিমিত লবণ খান৷

৭) ধূমপান, মদ্যপানের মতো বদ অভ্যাস এড়িয়ে চলুন৷

এছাড়াও রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন এইগুলি-

১। রেড বেল পিপার-

এটি কিডনির জন্য উপকারী৷ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ ও ভিটামিন বি ৬ থাকে৷ সেই সঙ্গে থাকে ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, লাইকোপেন ও অ্যান্টক্সিডেন্ট৷ এগুলি ক্যান্সার প্রতিরোধেও সক্ষম৷

২। ফুলকপি-

প্রচুর ভিটামিন সি থাকার পাশাপাশি এই সবজিতে রয়েছে ফাইবার৷ লিভারকে সুস্থ রাখতে এটি সাহায্য করে৷

৩। আদা-

আদার বিভিন্ন গুনাগুণ রয়েছে৷ স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী আদা৷ তাছাড়া এটি কোলেস্টেরল কমায়৷

৪। পিঁয়াজ-

পিঁয়াজে প্রচুর মাত্রায় ক্রোমিয়াম থাকে৷ এর ফলে দেহে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন মেটাবলিজমের ব্যালেন্স ঠিক রাখে৷ এছাড়া পিঁয়াজে ফ্লেভোনয়েডসও থাকে৷ ক্যান্সার সহ একাধিক রোগ আটকাতে পিঁয়াজ খুব উপকারী৷


বিডি প্রতিদিন/

409
চৈত্রের শেষে গরমের মাত্রাটা একটু বেশিই পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক কথায় প্রচণ্ড গরম। মানুষ গরমের উৎপাতে দিশেহারা। বিশেষ করে যাদের বাধ্য হয়ে প্রচণ্ড গরমে খোলা মাঠে চলাফেরা বা কায়িক পরিশ্রম করতে হয়। গরমের অনেক বিপদের মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার নাম হিট স্ট্রোক।

হিট স্ট্রোক কী? গরমের দিনের একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক। চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্ত দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। কোনো কারণে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকলে ত্বকের রক্তনালি প্রসারিত হয় এবং অতিরিক্ত তাপ পরিবেশে ছড়িয়ে দেয়। প্রয়োজনে ঘামের মাধ্যমেও শরীরের তাপ কমে যায়। কিন্তু প্রচণ্ড গরম ও আদ্র পরিবেশে অনেকক্ষণ থাকলে বা পরিশ্রম করলে তাপ নিয়ন্ত্রণ আর সম্ভব হয় না। এতে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায় এবং হিট স্ট্রোক দেখা দেয়।

লক্ষণ : তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেহে নানারকম প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে হিট ক্র্যাম্পে শরীরের মাংসপেশি ব্যথা করে, দুর্বল লাগে এবং প্রচণ্ড পিপাসা হয়। এর পরের ধাপে হিট এক্সহসশনে দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস, মাথাব্যথা, ঝিমঝিম করা, বমিভাব, অসংলগ্ন আচরণ ইত্যাদি দেখা দেয়। এ দু'ক্ষেত্রেই শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ঠিক থাকে এবং শরীর প্রচণ্ড ঘামতে থাকে। এ অবস্থায় দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়া হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।

এর লক্ষণগুলো হলো : শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যায়। ঘাম বন্ধ হয়ে যায়। ত্বক লালাভ হয়ে যায়। নিঃশ্বাস দ্রুত হয়। নাড়ির স্পন্দন ক্ষীণ ও দ্রুত হয়। রক্তচাপ কমে যায়। খিঁচুনি, ঝিমঝিম, অস্বাভাবিক ব্যবহার, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্নতা ইত্যাদি। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে। রোগী শকেও চলে যায়।

প্রতিরোধ : গরমের দিনে কিছু সতর্কতা মেনে চললে হিট স্ট্রোকের বিপদ থেকে বেঁচে থাকা যায়। যেমন : হালকা, ঢিলেঢালা কাপড় পরুন। কাপড় সাদা বা হালকা রংয়ের হতে হবে। সুতি কাপড় হলে ভালো।  যথাসম্ভব ঘরের ভেতর বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকুন। বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করুন। বাইরে যারা কাজকর্মে নিয়োজিত থাকেন, তারা মাথায় ছাতা বা মাথা ঢাকার জন্য কাপড় জাতীয় কিছু ব্যবহার করতে পারেন। প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করুন। মনে রাখবেন, গরমে ঘামের সঙ্গে পানি ও লবণ দুই-ই বের হয়ে যায়। তাই পানির সঙ্গে সঙ্গে লবণযুক্ত পানীয় যেমন খাবার স্যালাইন, ফলের রস ইত্যাদিও পান করতে হবে। পানি অবশ্যই ফোটানো হতে হবে।



বিডি-প্রতিদিন/

410
 হাঁপানি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত। তবে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের অনেকের মধ্যেই বাড়ছে হাঁপানির সমস্যা।ফুসফুসে অক্সিজেন বহনকারী সরু সরু অজস্র নালী পথ রয়েছে। ধুলা, অ্যালার্জি বা অন্যান্য নানা কারণে শ্বাসনালীর পেশি ফুলে ওঠে এবং অক্সিজেন বহনকারী নালী পথ সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পায় না। আর এর থেকেই নিঃশ্বাসের কষ্ট-সহ নানা শারীরিক সমস্যা শুরু হয়।

হাঁপানির প্রধান উপসর্গ স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, অল্পতেই ঠাণ্ডা লেগে কাশি বা বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই করে শব্দ হওয়া।রাত বাড়লে এ সমস্যাও বেড়ে যায়।

• অ্যালার্জি এই অসুখের এক অন্যতম কারণ। ধুলা, ধোঁয়া, তুলার আঁশ, পশুপাখির লোম, রান্নাঘর ও বিছানার ধুলা, বাতাসে ভেসে থাকা ফুলের রেণু ইত্যাদি শ্বাসনালীর সমস্যা সৃষ্টি করে। এগুলি ‘অ্যাজমা অ্যাটাক’-এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়াও রাসায়ানিকের উগ্র গন্ধ, গ্যাস হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

• কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অ্যাজমার অ্যাটাক হতে পারে।

• ধূমপান এই রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। ধূমপান প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ- তা হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সন্তানসম্ভবা কোনও মহিলা ধূমপান করলে তার গর্ভজাত শিশুর হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

• ঋতুপরিবর্তনের সময় জ্বর, সর্দি-কাশি হাঁপানির প্রবণতা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

• পরিবারে কারও হাঁপানির সমস্যা থাকলে এই অসুখের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়।

• অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও অবসাদ হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

• অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া, কনকনে ঠাণ্ডা পানি বা ঠাণ্ডা পানীয় খাবার অভ্যাস হাঁপানির সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁপানি হল ডায়বেটিস বা হাই ব্লাডপ্রেশারের মতো একটি অসুখ, যা সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করা সম্ভব নয়। কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করে চললে আর সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তাই উপরে উল্লেখিত উপসর্গগুলি নিজের বা পরিবারের কারও মধ্যে লক্ষ্য করলে দেরি না করে চিকিৎকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নিয়ম মেনে চলতে পারলে হাঁপানি বা অ্যাজমাকে দূরে সরিয়ে রেখে সুস্থভাবে জীবনযাপন সম্ভব।

বিডি প্রতিদিন/

411


'ডিমের কুসুম খেলে শরীর মুটিয়ে যায়, কোলেস্টেরল বেড়ে যাবে' ধারণাটি বহুদিনের পুরনো । সত্যতা কতটুকু না জানলেও এটা মেনে চলেন অনেকেই। তবে কুসুম খাওয়ার রয়েছে অনেক উপকারিতাও । ‘করাটেনোয়েডস’ নামক পুষ্টি উপাদানের জন্য শাকসবজির উপর জোর দেন অনেকেই।

ডিমের কুসুমে থাকে 'লুটিন' ও 'জিয়ান্থিন' নামক দুই ধরনের ক্যারাটেনোয়েডস। যা চোখকে অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ডিমের কুসুম খেলে বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা রোধ হয়। ডিমের কুসুমে থাকে 'কোলিন'। এটি একটি খাদ্য উপাদান যা শরীরের সকল কোষের সাধারণ কার্যপদ্ধতি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিশেষত, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

কুসুমের আরেকটি উপাদানের নাম 'বেটাইন', যা রক্তে 'হোমোসিস্টেইন'য়ের মাত্রা কমায়। রক্তকণিকায় হোমোসিস্টেইনের মাত্রা বেশি থাকলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তার মানে ডিমের কুসুম হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।

নতুন গবেষণা অনুযায়ী, 'স্যাচারেইটেড ফ্যাট' বা যে চর্বি সর্বোচ্চ পরিমাণে জল ধরে রাখে, যা আপনার শরীরের শত্রু নয়। আর কোলেস্টেরলের সমস্যা আগে থেকেই না থাকলে ডিমের কুসুমের কোলেস্টেরল ক্ষতিকর নয়। মনে রাখবেন পরিমাণ মতো খেলে কোনও খাবারই শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। তাই ডিমে অ্যালার্জি না থাকলে নিশ্চিন্তে কুসুমসহ ডিম খেতে পারেন।


Source:http://www.bd-pratidin.com/life

412
বিশ্বের প্রায় ২ কোটি মানুষ প্রতি বছর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বিশ্বের একাধিক গবেষণা এবং পরিসংখ্যানের রিপোর্ট অনুযায়ী, গোছলের সময় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, গোসল করার সময় বেশ কিছু বিষয় আমাদের প্রত্যেককেই মাথায় রাখার প্রয়োজন। কারণ সঠিক নিয়ম মেনে গোসল না করলে হতে পারে মৃত্যুও। গোছলের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আসুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন থেকে-

গোসল করার সময় প্রথমেই মাথা এবং চুল ভেজানো একদম উচিৎ নয়। কারণ, মানুষের শরীরে রক্ত সঞ্চালন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে খানিকটা সময় লাগে।

চিকিৎসকদের মতে, প্রথমেই মাথায় পানি ঢালেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই রক্ত সঞ্চালনের গতি বহুগুণ বেড়ে যায়। বেড়ে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। তাছাড়া মাত্রাতিরিক্ত রক্তচাপের ফলে মস্তিষ্কের ধমনী ছিঁড়ে যেতে পারে। ফলে মৃত্যু বা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

প্রথমে পায়ের পাতা থেকে আস্তে আস্তে ওপর দিকে কাঁধ পর্যন্ত ভেজাতে হবে। এরপর আস্তে আস্তে মুখ ভিজিয়ে তবেই মাথায় পানি দেওয়া উচিৎ। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টরাল বা মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে আছে, তাদের অবশ্যই এই পদ্ধতি মেনে চলা উচিৎ।

Source:http://www.bd-pratidin.com/life/25/06/2018

413
শরীর ও মনকে চাঙ্গা করতে চায়ের জুড়ি নেই। আর তা যদি হয় গ্রিন টি তাহলে প্রফুল্লতার পাশাপাশি নানাবিধ উপকার হবে আপনার শরীরের। নানাবিধ গুণাবলির কারণে এর প্রচলন বাড়ছে আমাদের দেশে। গ্রিন টি জাপানে ‘এন্টি এজিং ড্রিংকস’ হিসেবে প্রতিদিন পান করেন জাপানিরা।

গ্রিন টি বা সবুজ চা-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট। এসব এন্টি অক্সিডেন্টে রয়েছে আমাদের শরীরে নানাবিধ প্রভাব।

যেমন- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরের হাড় সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়, স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

বিডি-প্রতিদিন/

414
অনেকসময় মাছ কিংবা সবজি কাটতে গিয়ে হাত কেটে যায়। এতে প্রচুর রক্ত বের হতে পারে যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। এমন সময় দ্রুত রক্তপাত বন্ধের প্রয়োজন পড়ে। তাই জেনে নিন সহজে ও ঘরোয়া উপায়ে রক্তপাত বন্ধের উপায়।

কফি পাউডার
কফির গুঁড়ো রক্তপাত বন্ধ করতে বেশ কার্যকর। যে স্থানে রক্ত পড়ছে সেখানে খানিকটা কফির গুঁড়ো ছিটিয়ে দিন। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেছে।

বরফ
রক্তপাত বন্ধের সহজলভ্য একটি উপায় হল বরফ। কেটে যাওয়া স্থানে কয়েকটি বা একটি বরফের টুকরো চেপে ধরে রাখুন। কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাবেন রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে।

লবণ পানি
লবণ পানি ভাল প্রাকৃতিক প্রতিষেধক । কিছু পানির মধ্যেএক চিমটি লবণ দিয়ে দিন। এবার কাঁটা হাতটি পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। প্রথমে একটু জ্বালাপোড়া করবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পর রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে।

হলুদের গুঁড়ো
হলুদ গুঁড়ো দিয়ে খুব সহজে রক্ত বন্ধ করা যায়। হলুদ হলো প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। কাটা স্থানে কিছু পরিমাণ হলুদের গুঁড়ো লাগিয়ে নিন। দেখবেন রক্তপাত বন্ধ হয়ে গেছে।

টি ব্যাগ
হাত বা পা কেটে গেলে সেই জায়গায় ব্যবহৃত টি ব্যাগ অথবা নতুন টি ব্যাগ ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যাবে।

বিডি প্রতিদিন/ ২৫ জুন ২০১৮/

415
মরুঅঞ্চলের ফল খেজুর। পুষ্টিমানে যেমন এটি সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে, সারা বছর খেজুর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া, এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা। তাই বলা হয়, দিনে ৫টি করে খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাখা উচিত। তাহলে হাজারো ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।

১. রুচি বাড়াতে খেজুরের কোন তুলনা হয় না। অনেক শিশুরা তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি ফিরে আসবে।

২. তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। তাজা খেজুর নরম এবং মাংসল যা সহজেই হজম হয়।

৩. হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরী। গবেষণায় দেখা যায়, পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীর সুস্থতায় কাজ করে।

৪. ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফল দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল বিদ্যমান থাকায় অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। সাথে সাথে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে।

৫. খুব দুর্বল লাগছে অথবা দেহে এনার্জির অভাব হচ্ছে? তাহলে ঝটপট খেয়ে নিন খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নেই।

৬. খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন খেজুর লাংস ও ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

৭. খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে করে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

৮. খেজুরে আছে ডায়েটরই ফাইবার যা কলেস্টোরল থেকে মুক্তি দেয়। ফলে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দর রাখা যায়।

৯. মুখের অর্ধাঙ্গ রোগ, পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী। খেজুর বিচিত্র রোগ নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

১০. গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস আমাদের দেহের ইন্টেস্টাইনের ভেতর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো প্যাথলজিক্যাল অর্গানিজমের উৎপাদন বৃদ্ধি করে যা ইন্টেস্টাইনের নানা সমস্যা দূর করে।

১১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।

১২. খেজুরের চূর্ণ মাজন হিসেবে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হয়।

১৩. পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এছাড়াও মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধেও এই ফল বেশ কার্যকরী। গবেষণায় দেখা যায়, অ্যাবডোমিনাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রয়েছে খেজুরের।

১৪. খেজুর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে বিশেষভাবে সহায়ক। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস রাতকানা রোগ ভালো করতেও সাহায্য করে থাকে।

১৫. খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রনের অভাব পূরণ করে এবং রক্তস্বল্পতা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। যাদের এই রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওর অভ্যাস করা উচিত। কারণ, রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।

বিডি-প্রতিদিন/

416
Fruit / বেগুনের বহুগুণ
« on: June 25, 2018, 10:57:19 AM »
বেগুন কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া অন্যান্য শাকসবজির মতোই বেগুনেরও বহু গুণ রয়েছে। যেমন বেগুনের রঙের প্রভাব এর গুণের ওপর নির্ভর করে।

বেগুনে ভিটামিন সি-র উপস্থিতি এর রঙের ওপর নির্ভর করে। গাঢ় বেগুনি রঙের বাকল থাকা বেগুনে বেশি ভিটামিন সি থাকে। অন্যদিকে ফ্যাট, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট বেগুনে কম থাকে। ১০০ গ্রাম বেগুনে ১.৪ গ্রাম প্রোটিন, ০.০৩ গ্রাম ফ্যাট, ৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১৮ গ্রাম ক্যালসিয়াম, ৪৭ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ০.৩৮ মিলিগ্রাম আয়রন, ১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম এবং ১৬ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

- শুষ্ক ত্বকের জন্য বেগুন খুব উপকারী। কারণ বেগুন ত্বকে সিক্ততা প্রদান করে।

-বেগুন চিপে এর রস খেলেও রক্তে কলেস্টেরলের পরিমাণ কমে।

-উচ্চরক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্যও বেগুন উপকারী।

-বেগুনের রস দাঁতের যন্ত্রণা দূর করতে ব্যবহার করা যায়। -

-অ্যাজমার চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বেগুন গাছের শেকড় ব্যবহার করা হয়।

- হৃদরোগীদের জন্যও বেগুন উপকারী।

-বেগুন রক্ত চলাচল সঠিক রাখে।

-কলেস্টেরলের স্তর কম রাখায় বেগুন খেলে হৃদরোগীরা উপকার পায়।

-কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রেও বেগুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিডি প্রতিদিন/

417
অবসর সময়ে, প্রিয়জন ও  বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় বাদাম খাওয়ার জুড়ি নেই। অনেকে আবার স্বাস্থ্য সচেতনায়ও নিয়মিত বাদাম খেতে পছ্ন্দ করেন। তবে যে কারণেই বাদাম খাওয়া হোক না কেন তা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি। বাদামের  যে বহুমাত্রিক গুণাগুণ রয়েছে তা আমাদের অনেকেই হয়তো জানি না। আবার বাদামের প্রকারভেদে গুণাগুণও ভিন্ন ভিন্ন হয়।  নিচে বিভিন্ন প্রজাতির বাদামের গুণাগুণ নিয়ে আলোচনা করা হলো :

চিনাবাদাম : এই প্রজাতির বাদামে প্রোটিন, ফাইবার,ক্যালসিয়াম,আয়রন, সোডিয়াম,পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ,বি, সি রয়েছে।

ফলে এর উপকারিতা  অনেক। যেমন : ১. প্রোটিনের ভালো উৎস। ভোরবেলা খালি পেটে বাদাম খেলে এনার্জি পাওয়া যায়।

২. নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে চিনাবাদাম বাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আখরোট : এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড ভিটামিন।

উপকারিতা : ১. হাড় শক্ত করে ও ২. ব্রেনে পুষ্টি জোগায়।


পেস্তাবাদাম : এই ধরনের বাদামে থাকে ফসফরাস, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, কপার,ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন।

উপকারিতা : ১. রক্ত শুদ্ধ করে। ২. লিভার ও কিডনি ভালো রাখে।


কাজুবাদাম : এর উপাদানগুলো হচ্ছে আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন-এ।

উপকারিতা : ১. অ্যানিমিয়া ভালো করে। ২. ত্বক উজ্জ্বল করে। ৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

আলমন্ড : এর উপাদানের মধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফলিক এসিড ও ভিটামিন ই। তাই বাদামের রাজা বলা হয় আলমন্ডকে।

উপকারিতা : ১. শ্বাসকষ্ট, কোষ্ঠকাঠিন্য ও ত্বকের নানা সমস্যায় খুব ভালো। সব বাদামের মধ্যে আমন্ডে বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে।

২. নিয়মিত চার-পাঁচটি আমন্ড খেলে এলডিএল কোলেস্টেরল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে না।

৩. কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে।

৪. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে। কেমোথেরাপি চলাকালে আলমন্ড মিল্ক খেলে ইমিউনিটি সিস্টেমের উন্নতি হয়।

৫. আলমন্ডের ফাইবার শরীরে কার্বোহাইড্রেট শোষণের গতি কমায়। ফলে ডায়াবেটিসের জন্য উপকারি।

৬. আলমন্ড বাটা নিয়মিত লাগালে বলিরেখার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তাই নিয়মিত বাদাম খাওয়ার চেষ্টা করুন দেখবেন আস্তে আস্তে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের শক্তিমত্তাও বাড়বে। কাজে কর্মে পাবেন পূর্ণ উদ্যোম।

বিডি প্রতিদিন/

418
যত কাঁদবেন, তত হাসবেন'- পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এই কথাটা দারুণভাবে কার্যকরী। কারণ এই সবজি কাটতে গিয়ে চোখ ফুলিয়ে কাঁদতে হয় ঠিকই। কিন্তু এই প্রাকৃতিক উপাদানটি শরীরেরও কম উপকার লাগে না! একাধিক গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে- পেঁয়াজের শরীরে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারী উপাদান একাধিক রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন:-

মুখের গন্ধ দূর করে
কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ গহ্বরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলো মরতে শুরু করে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সেই সঙ্গে মাড়িতে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
শরীরে ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল-এর মাত্রা বাড়িয়ে একদিকে যেমন শরীরকে চাঙ্গা রাখে, তেমনি অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এভাবে নিজের বিশেষ ক্ষমতা বলে পেঁয়াজ আমাদের আয়ু বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

জ্বরের প্রকোপ কমায়
ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটা পিঁয়াজ কেটে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে আলু এবং ২টা রসুনের কোয়া মিশিয়ে মোজার মধ্যে রেখে সেই মোজা পরে ঘুমাতে যান। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন সুস্থ হতে শুরু করেছেন।

ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখে
একেবারে ঠিক শুনেছেন! ২১ শতকের সব থেকে ভয়ঙ্কর এই রোগকে দাবিয়ে রাখতে পেঁয়াজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বৃদ্ধির সুযোগই থাকে না।

ইনসোমনিয়া মতো রোগের প্রকোপ কমায়
আপনি কি রাতের তারা? ঘড়ির কাঁটা সকালের দিকে এগিয়ে গেলেও চোখের পাতা এক করতে পারেন না? তাহলে তো প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁয়াজের থাকা চাইই চাই। কারণ ইনসোমনিয়ার মতো রোগের উপশমে এই সবজিটি দারুণ কাজে আসে।

আঁচিল দূর করে
গোল করে পেঁয়াজ কেটে আঁচিলের উপর রেখে একটা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। যাতে সেটি পরে না যায়। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এমনটা করলে অল্প দিনেই দেখবেন আঁচিল খসে পড়ে গেছে।

স্মৃতি শক্তির উন্নতি ঘটায়
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক ব্রেন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে
ব্রেন, কোলোন এবং ঘাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যতে এসে দাঁড়ায় যদি প্রতিদিন পেঁয়াজ খাওয়া যায়। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশকিছু উপাদান শরীরের অন্দরে ক্যান্সার কোষের জন্ম হতে দেয় না। ফলে এমন ধরনের মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

কাশির প্রকোপ কমায়
একটা পেঁয়াজকে কেটে নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর তাতে কয়েক ড্রপ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রণ দিনে কম করে দুইবার পান করলেই কাশি কমে যেতে শুরু করবে। সূত্র : বোল্ডস্কাই

বিডি প্রতিদিন/

419
 ব্যাংকিং সেবার সুবিধা বঞ্চিত বা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের আর্থিক অন্ত্মর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরম্ন করে বিকাশ। দেশের অভ্যন্ত্মরে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি আরও নানা সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রাহকদের যে কোনো লেনদেন আরও সহজ, দ্রম্নত ও নিরাপদ করতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে অ্যাপ। ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিকাশ কার্যক্রম শুরম্ন করলেও ২০১১ সালে পুরোপুরি মাঠে নামে। দীর্ঘ ৭ বছর পর প্রযুক্তির হালের এই সংস্করণ অ্যাপকে ধরে ফেলেছে তারা।
সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সেই সম্পর্কেই পরিচিতি তুলে ধরেন বিকাশের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরম্নতে বিকাশের যাত্রা থেকে বর্তমান সময় পথপাড়ি পর্যন্ত্ম তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) কামাল কাদীর। এরপর অ্যাপ ও তার ব্যবহার নিয়ে তথ্য বিশেস্নষণ করেন প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মীর নওবত আলী।
প্রধান নির্বাহী এসময় বলেন, অ্যাপ আনতে আমরা সময় নিয়েছি। আমরা চাচ্ছিলাম- আগে সাধারণ মানুষের স্মার্টফোন সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হোক। আমরা যদি ২০১১ সালেই অ্যাপ আনতাম তাহলে হয়তো আমাদের সাধারণ মানুষকে অ্যাপ সম্পর্কে আগে পড়িয়ে নিতে হতো।
তিনি বলেন, সব ধরনের মানুষ সম্পর্কে গবেষণা করেই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এখানের শিক্ষিত শ্রেণির মানুষের জন্য যেমন সুবিধা রাখা হয়েছে, তেমনি যারা কম অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলা ছাড়াও ইংরেজি ভাষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
'ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ এই অ্যাপে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্স বা মৌখিক নির্দেশনারও সুবিধা আছে। অর্থাৎ যে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা সুনির্দিষ্ট ধাপে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় নির্দেশনা দেয় এই অ্যাপ।'
কামাল কাদীর বলেন, বিকাশে লেনদেনের ক্ষেত্রে এখন আর প্রাপকের নম্বর টাইপ করার দরকার নেই। বিকাশ অ্যাপে সেন্ড মানি, বাই এয়ারটাইম (মোবাইলে রিচার্জ) ও রিকোয়েস্ট মানি লেনদেনের সময় সরাসরি কন্ট্যাক্ট লিস্ট থেকে নম্বর নেয়া যাবে। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভুল এড়াতে রাখা হয়েছে কিউআর কোড ব্যবস্থাও।
নতুন অ্যাপ ব্যবহারের কিছু ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, আমরা প্রোমোশনের জন্য সার্ভিস কমিয়ে রেখেছি। যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করবেন, তাদের প্রতি হাজারে ১৫ টাকা সার্ভিস চার্জ কাটা হবে। অ্যাপের বাইরে যেটা সাড়ে ১৮ টাকা নির্ধারিত আছে। অর্থাৎ হাজারে সাড়ে ৩ টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছি। এটার মাধ্যমে কোনো পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠানো হলে কোনো চার্জ কাটা হবে না। অ্যাপের বাইরে যেটি ৫ টাকা বিদ্যমান আছে।
তাছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসে কেনাকাটার টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। তবে সেটা নির্ধারিত আউটলেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গ্রাহকরা এ ক্ষেত্রে টাকা পরিশোধের পর ২৫ শতাংশ ক্যাশ-ব্যাক পাবেন।
কিন্তু অ্যাপ কীভাবে পাবেন? কামাল কাদীর বলেন, গুগলের অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। এরপর সেটিকে ইনস্টল করে নিতে হবে। এটা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অনুষ্ঠানের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মীর নওবত আলী কীভাবে এই ব্যবহার করতে হবে- তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্ত্মারিত তুলে ধরেন।
এরপর তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে ভাড়া সাড়া পেয়েছি। প্রায় ১৮ দিনে ১৪ লাখ মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Source:http://www.jaijaidinbd.com/

420
মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশক 'মাগফিরাত' শেষ হয়ে আজ থেকে শুরম্ন হলো নাজাতের দশক। এ সময় মুমিন বান্দারা জাহান্নামের আগুন থেকে নিষ্কৃতি লাভের আশায় আলস্নাহর দরবারে আকুল আবেদন জানাচ্ছেন। পাপী-তাপী বান্দারা তাদের বিগত জীবনের ভুলত্রম্নটি ক্ষমার জন্য রহমানুর রাহিমের কাছে কেঁদেকেটে বুক ভাসাচ্ছেন। পবিত্র এ মাসে কারও দোয়া আলস্নাহ রাব্বুল আল আমিন কবুল করে নিলে ওই মুমিন বান্দার জন্য জাহান্নামের আগুন হারাম হয়ে যাবে।
জাহান্নামের আজাব সম্পর্কে কোরআন করিমে বলা হয়েছে, 'তোমরা জাহান্নামের ওই আগুনকে ভয় করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ এবং পাথর। যা অবিশ্বাসী কাফেরদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
(বাকারা- ২৪) তাই জাহান্নামের আগুন থেকে নিজে বাঁচার পাশাপাশি নিজ পরিবারবর্গকে বাঁচানোর জন্য ইসলামে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
মহান আলস্নাহ রাব্বুল আলামিন সূরা তাহরীমে বলেন, 'হে ঈমানদারগণ! নিজেকে এবং নিজের পরিবারবর্গকে সে আগুন হতে রক্ষা করো, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর। সেখানে অত্যন্ত্ম কর্কশ, রূঢ় ও নির্মম স্বভাবের ফেরেশতা নিয়োজিত থাকবে। যারা কখনো আলস্নাহর আদেশ অমান্য করে না। যে আদেশ তাদের দেয়া হোক না কেনো, তা ঠিক ঠিকভাবে পালন করে।'
পবিত্র কোরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে, যখন তাদের (জাহান্নামিদের) গলায় শিকল ও জিঞ্জির লাগানো হবে, তখন তা ধরে টগবগ করে ফুটন্ত্ম পানির দিকে টানা হবে এবং পরে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। (সূরা মুমিন)
পবিত্র কোরআনের সূরা সা'দে উলেস্নখ করা হয়েছে, 'আর খোদাদ্রোহী মানুষদের নিকৃষ্ট পরিণতি হচ্ছে জাহান্নাম। সেখানে তারা (অনন্ত্মকাল) জ্বলবে। এটা অত্যন্ত্ম খারাপ স্থান, প্রকৃত পক্ষে এ স্থান তাদের জন্যই। অতএব সেখানে তারা স্বাদ গ্রহণ করবে টগবগে ফুটন্ত্ম পানি, পুঁজ, রক্ত, এবং এ ধরনের আরও অনেক কষ্টের। (সূরা সাদ- ৫৫- ৫৮)
পবিত্র কোরআনে সূরা হজ্জে বলা হয়েছে, 'জাহান্নামিদের মাথার ওপরে প্রচ- গরম পানি ঢেলে দেয়া হবে, ফলে তাদের পেটের মধ্যে অবস্থিত সকল বস্তু ও চামড়া মুহূর্তের মধ্যে গলে যাবে এবং তাদের জন্য লোহার ডা-াসমূহ থাকবে। যখনই তারা শ্বাসরোধক অবস্থায় জাহান্নাম হতে বের হবার চেষ্টা করবে তখনই তাদের প্রতিহত করা হবে এবং বলা হবে দহনের শাস্ত্মি ভোগ করতে থাক। (হজ্জ-১৯-২২)
হজরত আবু হুরাইরাহ রাদিয়ালস্নাহু তা'য়ালা আনহু বলেন যে, নবী করিম সালস্নালস্নাহু আলাইহি ওয়াসালস্নাম বলেছেন, 'নিশ্চয়ই (জাহান্নামে) কাফেরদের চামড়া বিয়ালিস্নশ গজ পুরম্ন হবে এবং এক একটি দাঁত উহুদ পাহাড়ের সমান হবে। জাহান্নামে একজন জাহান্নামি যে স্থানজুড়ে অবস্থান করবে তা মক্কা হতে মদিনার দূরত্বের সমান। (তিরমিজি)
মহান আলস্নাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, 'যখন তাদের দেহের চামড়া আগুনে পুড়ে গলে যাবে, তখন (সাথে সাথে) সেখানে অন্য চামড়া সৃষ্টি করে দেবো; যেনো তারা আজাবের স্বাদ পুরাপুরি গ্রহণ করতে পারে। বস্তুত আলস্নাহ বড়ই শক্তিশালী এবং নিজের ফয়সালাসমূহ কার্যকরী করার কৌশল খুব ভালো করেই জানেন। (সুরা নিসা- ৫৬)
আলস্নাহর রাসূল বলেন, 'আগুনকে এক হাজার বছর তাপ দেয়া হলো, তখন আগুন লালবর্ণ ধারণ করল। আবার এক হাজার বছর তাপ দেয়া হলো তখন আগুন কালো বর্ণ ধারণ করল। সে জন্যই জাহান্নামের আগুন কালো এবং অন্ধকারময়। (তিরমিজি)
জাহান্নামিগণ একদল আরেক দলকে অভিশাপ দেবে। যারা জাহান্নামে যাবে তারা একদল আরেক দলকে দোষ দেবে যে, আমরা তোমাদের কারণেই আজ এই কঠিন শাস্ত্মির স্থান জাহান্নামে এসেছি। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন বলছে, প্রত্যেকটি দল যখনই জাহান্নামে প্রবেশ করবে, নিজের সঙ্গের দলটির ওপর অভিশাপ দিতে দিতে অগ্রসর হবে। শেষ পর্যন্ত্ম সকলেই যখন সেখানে সমবেত হবে, তখন প্রত্যেক পরবর্তী লোক পূর্ববর্তী লোকদের সম্পর্কে বলবে, হে আমাদের রব! এ লোকেরাই আমাদের বিভ্রান্ত্ম করেছে। এখন তাদের আগুনে (আমাদের চেয়ে) দ্বিগুণ শাস্ত্মি দাও। আলস্নাহ বলবেন, সকলের জন্যই দ্বিগুণ আজাব কিন্তু তোমরা তা বুঝবে না। (সূরা আ'রাফ- ৩৮)
এ ছাড়া যারা পৃথিবীতে ইসলামী বিধি বিধানের তোয়াক্কা করেনি, যারা ধারণা করত মৃতু্যর পরে কোনো জীবন নেই। কোরআন-হাদিস সম্পর্কে যারা ছিল উদাসীন; যারা অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ দখল করত। পৃথিবীতে নিজের শক্তির মহড়া দিয়ে অন্যায় কাজ করত। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দুর্বলদের ওপর অত্যাচার করত- তাদের পরকালে আজাবের পর আজাব দেয়া হবে।
এ সম্পর্কে মহান আলস্নাহ বলেন, 'এরা অবস্থান করবে উত্তপ্ত বাতাস ও ফুটন্ত্ম পানির মধ্যে। তাদের আচ্ছাদিত করে রাখবে উত্তপ্ত কৃষ্ণবর্ণ ধূম্ররাশি যা কখনো শীতল ও আরামদায়ক হবে না। এরা ওই সমস্ত্ম মানুষ- যারা পৃথিবীর জীবনে ছিল সুখী সচ্ছল। তাদের সুখী সচ্ছল জীবন তাদের লিপ্ত করেছিল পাপ কাজে। সে সব পাপ কাজ তারা করত জিদ ও অহংকারের সাথে। তারা বলত, মৃতু্যর পর তো আমরা কংকালে পরিণত হব। মিশে যাব মাটির সাথে। তারপর আবার কী করে আমরা জীবিত হব? আমাদের বাপ-দাদাকেও এভাবে জীবিত করা হবে? হে নবী! তাদের বলে দাও, পরবর্তী এবং পূর্ববতী সকলকেই একদিন উপস্থিত করা হবে। তার জন্য সময় কালও নির্ধারিত হয়ে আছে। হে পথভ্রষ্ট মিথ্যাবাদীর দল, তোমরা জাহান্নামে যকুম বৃক্ষ খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করবে। তা দ্বারাই তোমরা উদরপূর্ণ করবে। তারপর তৃষ্ণার্ত উটের মতো তারা পেট ভরে পান করবে উত্তপ্ত ফুটন্ত্ম পানি? (সূরা ওয়াকিয়া-৪২-৫৫)
কোরআনে বলা হয়েছে, জাহান্নামিগণ পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইবে নিজেকে আলস্নাহর পথে পরিচালনার জন্য। তবে আলস্নাহ সরাসরি তাদের আবেদন-নিবেদন প্রত্যাখ্যান করবেন। এসম্পর্কে সূরা আনয়ামে বলা হয়েছে, 'তাদের যদি পূর্ববর্তী জীবনের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয় তবুও তারা সে সব কাজই করবে যা হতে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে। তারা তো সবচেয়ে বড়ো মিথ্যাবাদী।'
সূরা হাদিদের ১৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে- '(যখন ফেরেশতাগণ জাহান্নামিদের জাহান্নামের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে, তখন বলবে) আজ তোমাদের নিকট হ'তে কোন বিনিময় গ্রহণ করা হবে না এবং যারা পৃথিবীতে (প্রকাশ্য দাম্ভিকতার সাথে আলস্নাহর আয়াতগুলো) অস্বীকার করেছিল, (তাদেরও বিনিময় নিয়ে মুক্তি দেয়া হবে না) তোমাদের ঠিকানা জাহান্নাম। সে জাহান্নামই তোমাদের খোঁজখবর গ্রহণকারী অভিভাবক। কত নিকৃষ্ট পরিণতি। (সূরা হাদীদ-১৫)
হাদিসে এসেছে, জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের উপায় মূলত দুটি। প্রথমত, ঈমান আনা ও সৎকর্ম সম্পাদন করা। দ্বিতীয়ত, জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সব সময় আলস্নাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।
জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হওয়ার মূল কারণ হলো কুফুরি। সুতরাং তা থেকে বেঁচে থাকাই জাহান্নাম থেকে মুক্তির প্রধান উপায়। সেক্ষেত্রে ঈমানের ছয়টি রম্নকনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। এ প্রসঙ্গে আলস্নাহ তা'আলার বাণী, 'যারা বলে, হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান আনলাম। অতএব আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করম্নন এবং আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করম্নন' (আলে-ইমরান ২/১৬)।
অন্যত্র তিনি আরও বলেছেন, 'হে আমাদের রব! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি। তুমি পবিত্র। সুতরাং তুমি আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা কর। হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই তুমি যাকে আগুনে প্রবেশ করাবে, অবশ্যই তুমি তাকে লাঞ্ছিত করবে। আর যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই। হে আমাদের রব! নিশ্চয়ই আমরা একজন আহবানকারীকে ঈমানের দিকে আহবান করতে শুনেছি যে, 'তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন'। তাই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করো, বিদূরিত করো আমাদের ত্রম্নটি-বিচু্যতি এবং আমাদের মৃতু্য দাও নেককারদের সাথে। হে আমাদের রব! আর তুমি আমাদের তাই প্রদান করো যার ওয়াদা তুমি আমাদের দিয়েছ তোমার রাসূলগণের মাধ্যমে। আর কিয়ামতের দিনে তুমি আমাদের লাঞ্ছিত করবে না। নিশ্চয়ই তুমি অঙ্গীকার ভঙ্গ করো না' (আলে ইমরান ২/১৯১-১৯৪)।
 

Pages: 1 ... 26 27 [28] 29 30 ... 32