Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: protima.ns on January 31, 2019, 01:04:00 PM
-
শিশুকে কতক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া উচিত?
প্রযুক্তির এই যুগে শিশুরা মোবাইল ফোন হাতে দিয়ে কান্না থামান অনেকে বাবা-মা। তবে শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে তা একসময় তার অভ্যাসে পরিণত নয়। মোবাইল না দিলে সে কান্না করে। অনেক শিশু মোবাইলে কার্টুন দেখা, গেমস খেলা ও গান শুনে থাকে। এছাড়া শিশু সন্তানের খাওয়ানোর কাজটা আমরা অনেকে মোবাইল হাতে দিয়ে করে থাকি।
তবে শিশুদের সামলানোর জন্যে তার হাতে শুধু মোবাইল না স্মার্ট ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ দেই আমরা। তবে কখনো ভেবে দেখেছেন কী? এই মোবাইল ফোন কী শিশুর জন্য ক্ষতিকর। বা শিশু কতক্ষণ পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করবে বা এই মোবাইল ব্যবহারের পরিণতি শিশুর জন্য কী হতে পারে। জেনে রাখা ভালো শিশুদের এই মোবাইল ব্যবহার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
দুই বছর বয়সী প্রায় আড়াই হাজার শিশুর ওপর নজর রেখে শিশুদের স্মার্ট ফোন, ট্যাব বা ল্যাপটপ ব্যবহারের বিষয়ে কানাডায় বড় একটি গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, স্ক্রিন ব্যবহারের ফলে শিশুদের দক্ষতার বিকাশ, কথা বলতে শেখা এবং অন্যান্যদের সঙ্গে মেলামেশায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুর বয়স দেড় বছর না হলে তাকে স্ক্রিন ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টেলিভিশন, কম্পিউটার, ফোন এবং ট্যাবলেটের মতো ডিভাইসে ভিডিও দেখা ও গেম খেলা।
শুধু শিশু নয়, পাঁচ বছর ধরে মায়েদের ওপরেও জরিপ চালানো হয়েছে। এত দেখা যায়, শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারের কথা জানতে চাইলে মায়েরা জানায়, মায়েদের কাছে জনতে চাওয়া হয় কোন বয়সে শিশুদের আচরণ ও দক্ষতা কেমন ছিল। দেখা গেছে, দুই বছর বয়সী শিশুরা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১৭ ঘণ্টা, দিন বছর বয়সে সময় বেড়ে দাঁড়ায় সপ্তাহে ২৫ ঘণ্টা। বয়স যখন ৫ বছর তখন কমে হয় ১১ ঘণ্টা। কারণ এই সময় শিশুরা স্কুলে যেতে শুরু করে।
গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যায়, স্ক্রিন ব্যবহারে সময় বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
গবেষকরা বলছেন, শিশুরা যে সময় স্কিনে তাকিয়ে থাকে ওই সময় যদি তারা কথা বলা ও শোনার দক্ষতা, দৌড়ানো, কোনো কিছু বেয়ে উপরে ওঠার মতো শারীরিক দক্ষতাও সে অর্জন করতে পারত।
গবেষক ড. শেরি মেডিগ্যান বলছেন, শিশুরা যেন বেশি সময় স্কিনে ব্যয় না করে সেদিকে নজর দিতে হবে। বিশেষ করে এক বছরের শিশুরা বেশি সময় ধরে স্ক্রিন ব্যবহার করতে শুরু করে।
শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শিশু বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। নিচে পরামর্শগুলো তুলে ধরা হলো।
১. দেড় বছরের কম বয়সী শিশুদের স্ক্রিন ব্যবহার করতে দেবেন না। এছাড়া তাদের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করবেন না।
২. শিশুদের টিভি বা অন্য কোনো স্ক্রিনে মানসম্মত অনুষ্ঠান দেখতে দিন।
৩. স্ক্রিন যাতে ঘুমানোর কিম্বা খেলার সময় কেড়ে না নেয়। দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের দিনে এক ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন দেখতে দেবেন না।
-
:) :)
-
Nice
-
good post..
-
Thanks for sharing.
-
Informative post.
-
We should control usage of phone. Thanks for sharing.
-
Informative!
-
We should try to follow
-
Thank you for sharing.
-
Valuable post for New generation.
-
Very helpful post..
-
Thanks for sharing
-
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ধন্যবাদ