Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - sadiur Rahman

Pages: [1] 2 3 ... 14
1
মানবজীবন সময়ের সমষ্টি। সময়ের আবর্তনের পরিক্রমাকে বিভিন্ন অংশে বিভাজন করা হয়; তারই একটি এককের নাম মাস। যার আরবি হলো ‘শাহর’। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা বারোটি, যা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে, যে দিন আল্লাহ তাআলা আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।’ (সুরা-৯ তাওবাহ, আয়াত: ৩৬)। বছরের বারো মাসের চারটি মাস বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন। এই চারটি মাস হলো জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। এসব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, কলহবিবাদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই মাস চতুষ্টয়ের অন্যতম হলো জিলহজ মাস।

জিলহজ মাস মানে হজের মাস। হজের আনুষ্ঠানিকতা মূলত তিন মাস ধরে। সেগুলো হলো শাওয়াল, জিলকদ ও জিলহজ। এর মধ্যে প্রধান হলো জিলহজ মাস। এই মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হজ সম্পাদন সুবিদিত মাসসমূহে। অতঃপর যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা স্থির করে তার জন্য হজের সময়ে স্ত্রী-সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহবিবাদ বিধেয় নয়। তোমরা উত্তম কাজে যা কিছু করো আল্লাহ তা জানেন এবং তোমরা পাথেয়র ব্যবস্থা করবে; আত্মসংযমই শ্রেষ্ঠ পাথেয়। হে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ! তোমরা আমাকে ভয় কর।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৯৭)।


জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার তকবির বলা ওয়াজিব। পুরুষেরা স্বাভাবিক স্বরে, আর নারীরা নিম্ন স্বরে এই তকবির বলবেন। তকবির হলো ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’
জিলহজ মাসের প্রথম দশকের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। কোরআন কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘শপথ উষার, শপথ দশ রজনীর, শপথ জোড় ও বিজোড়ের, শপথ রাত্রির যখন উহা গত হতে থাকে; নিশ্চয় এর মধ্যে শপথ (শিক্ষণীয় ও করণীয়) রয়েছে বোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য।’ (সুরা-৮৯ ফজর, আয়াত: ১-৫)।

জিলহজের ১ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত দিনে রোজা পালন করা, রাতে ইবাদত করা বিশেষ ফজিলতপূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার ন্যায় আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের ন্যায়।’ (তিরমিজি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)।

জিলহজের ৯ তারিখ আরাফার দিন রোজা রাখা বিশেষ সুন্নাত আমল। হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আশাবাদী যে আল্লাহ তাআলা তার বিগত এক বৎসরের ও সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেবেন।’ (তিরমিজি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা: ১৫৭)। তবে আরাফায় উপস্থিত হাজি সাহেবদের জন্য এই রোজা প্রযোজ্য নয়। জিলহজের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এই দিনে ভোর থেকে পানাহার না করে কোরবানির পশু জবাইয়ের পর প্রাতরাশ গ্রহণ করা বিশেষ সুন্নাত আমল।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম দশকের নেক আমল আল্লাহর নিকট যত বেশি প্রিয়, আর কোনো দিনের আমল তাঁর নিকট তত প্রিয় নয়। সাহাবিগণ জিজ্ঞাসা করলেন, জিহাদ কি এই দশকের আমল থেকে উত্তম নয়? তিনি বললেন, না আল্লাহর পথে! জিহাদও এই দশকের আমলের তুলনায় উত্তম নয়; তবে ওই ব্যক্তির (জিহাদ–এর চেয়ে উত্তম) যে নিজের জান ও মাল নিয়ে বেরিয়ে গেল এবং শেষে কিছুই ফিরে এল না (সে শহীদ হলো)।’ (বুখারি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা: ১৩২)।

জিলহজ মাসের বিশেষ আমল হলো: চাঁদ ওঠার আগে প্রয়োজনীয় ক্ষৌরকর্ম সম্পাদন করা, অর্থাৎ নখ কাটা, গোঁফ ছাঁটা, চুল কাটা ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি। জিলহজের চাঁদ ওঠার পর থেকে ১০ তারিখে কোরবানির পশু জবাইয়ের পূর্ব পর্যন্ত কোনো প্রকার ক্ষৌরকর্ম না করা এবং কোরবানির পশু জবাইয়ের পর ওই দিনের মধ্যে ক্ষৌরকর্ম করা (অন্তত নখ কাটা) বিশেষ সুন্নাত আমল।


জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একবার তকবির বলা ওয়াজিব। পুরুষেরা স্বাভাবিক স্বরে, আর নারীরা নিম্ন স্বরে এই তকবির বলবেন। তকবির হলো ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’। (ইলাউস সুনান, খণ্ড-৮, পৃষ্ঠা: ১৪৮)।

জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের মধ্যে যেকোনো সময়, কারও মালিকানায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত সাড়ে ৭ ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা অথবা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকে, তবে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। পুরুষ ও মহিলা সবার জন্য এ বিধান প্রযোজ্য। (ইবনে মাজাহ: ২২৬)।


মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি;
সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম

সূত্র ঃ https://www.prothomalo.com/opinion/column/%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%B9%E0%A6%9C-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%93-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A3%E0%A7%80%E0%A7%9F

3
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। বিভিষিকাময় সময় পার করছে বিশ্ব। সাড়ি সাড়ি লাশ। অযত্নে অবহেলায় পরে আছে মর্গে। চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রীর জন্য আহাজারি করছেন। এই সংকটের কারণ- নভেল করোনাভাইরাস। এতে মোট মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৩৮৫ জনে পৌঁছেছে। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯১ হাজার ৫৩৩ জন। দ্রুত ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে এবং বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটায় ভাইরাসটিকে মানবতার শত্রু হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এমতাবস্তায়, মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির প্রধান ইমাম শায়খ ড. আব্দুর রহমান সুদাইসি দিন দিন কাবা শরিফ ও মসজিদে নববি মুসল্লিহীন হয়ে যাওয়ায় আগেবপ্রবণ হয়ে পড়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তার আবেগমাখা প্রর্থণা সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ টুইটারে তিনি উল্লেখ করেন-

হে আল্লাহ! আপনার ঘর থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবেন না। – হে আল্লাহ! আমাদের পাপের কারণে পবিত্র মসজিদের নামাজের জামাআত থেকে বঞ্চিত করবেন না। – হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমাদের আবার ফিরিয়ে নিন। – হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করুন। – হে আল্লাহ! আমাদের এবং মুসলিম উম্মাহকে সব ধরণের মহামা’রি ও দূরারো’গ্য ব্যা’ধি থেকে হেফাজত করুন।

কাবা শরিফের প্রধান ইমাম শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসির আবেগঘন এ আহ্বানগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এভাবেই ওঠে এসেছে। আল্লাহর কাছে তিনি আরও আহ্বান করেন- – হে আল্লাহ! মুসিবত দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তুমি ছাড়া আমাদের ফরিয়াদ শোনার আর কেউ নেই হে আল্লাহ!, তুমি ছাড়া আর কে আছে? হে আল্লাহ! যার কাছে আমরা সাহায্য চাইবো। – হে আল্লাহ! আমাদের এ অবস্থার উপর দয়া করুন। আমাদের অক্ষমতাগুলো দূর করে আমাদের ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তুমিই আমাদের অভিভাবক।

শায়খ সুদাইসি আবেগঘন সেরা যে আবেদনে মুসলিম হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তাহলো- হে আল্লাহ! এই বিপদ মহামা’রির কারণে তোমার ঘরে যেতে না পারার ব্যা’থা আর সইতে পারছি না। হে মহান শক্তিমান, দয়া করে এই মহামা’রি দূর করে দাও।’ এদিকে কাবা শরিফের আজান পরিবর্তন সম্পর্কে টুইটে তিনি আরও লেখেন, ‘আজ থেকে আমরা মুয়াজ্জিনকে এ শব্দ বলতে শুনবো যে, ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’। অর্থাৎ নিজ নিজ জায়গায় নামাজ পড়ে নাও’।

আরেক টুইটে তিনি লেখেন- ‘তুমি থাকতে কার কাছে অভিযোগ করব আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কাছে হাত পাতবো হে আল্লাহ! তুমিই তো একমাত্র মাবুদ। তোমাকে ছেড়ে আমরা কার এবাদত করব? তোমার উপরই আমাদের সব আশা-ভরসা। হে আল্লাহ! আমাদের সেসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা নেয়ামত পেলে শোকর আদায় করে। বিপ’দে সবর করে। গোনা’হ হয়ে গেলে তওবা করে।

প্রা’ণঘাতী মহামা’রি করোনাভাই’রাসের এ বি’পদ মুহূর্তে তিনি বেশি বেশি এ দোয়া পড়তে গুরুত্বারোপ করেন। আর তাহলো- لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِالله

উচ্চারণ : ‘লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’
অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নেই, কোনো ভরসা নেই, যিনি মহান ও সর্বশক্তিমান।’

এ দোয়া সম্পর্কে তিনি টুইটে লেখেন- ‘লা হাওলা’ পড়ার মাধ্যমে কত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আল্লাহর প্রশান্তি, দয়া ও মদদ পাওয়া যায় তা যদি মানুষ জানতো তবে এ দোয়া এমনভাবে পড়তো যে, মুহূর্তের জন্য বিরাম নিতো না। বরং চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে সব সময় ‘লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম’ পড়তো।


করোনা থেকে মুক্তিতে তিনি আল্লাহর কাছে এভাবে আবেদন করেন- হে আল্লাহ! তোমার কাছেই আমানত রাখছি এই পবিত্র নগরি হারাম শরীফ ও তার বাসিন্দাদের। নারী পুরুষ যুবক-বৃদ্ধ-শিশু, ঘর-বাড়ি, আকাশ-মাটি সবকিছুই তোমার কাছে আমানত রাখলাম। দয়া করে তুমি এগুলোকে মহামা’রি থেকে হেফাজত কর। তোমার মহান কুদরতে তুমি করোনাভাই’রাস দূর করে দাও।’

পরিশেষে সবার জন্য সাহস যোগাতে আশ্বস্থ করে লেখেন- বিপদ যত বড় হোক, তা চিরদিনের নয়। বরং বিপদ যত বড় হোক না কেন, আল্লহর রহমত তার চেয়ে অনেক বড়। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমাদের মুক্তি অতি কাছেই। সুতরাং হতাশ হবেন না। অধৈর্য হবেন না। অস্থিরতা প্রকাশ করবেন না। আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকুন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপর নিজের সবকিছু সমার্পণ করুন। অন্যকেও আল্লাহর ওপর ভরসা করতে নিশ্চিন্ত করুন। আমিন।

Source : https://www.bd24live.com/bangla/%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%aa%e0%a6%a6-%e0%a6%af%e0%a6%a4-%e0%a6%ac%e0%a7%9c-%e0%a6%b9%e0%a7%8b%e0%a6%95-%e0%a6%a8%e0%a6%be-%e0%a6%95%e0%a7%87%e0%a6%a8-%e0%a6%86%e0%a6%b2%e0%a7%8d%e0%a6%b2%e0%a6%b9/?fbclid=IwAR2jCHKYjEoOAFAqjZDr7EJ51bLI3lF7e8j9xpy2rSqc-E7cZFXGBUkPWEU

5
উচ্চ রক্তচাপ প্রায় একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত। এর জন্য চিকিৎসা ও প্রতিরোধ দুটোই জরুরি। তা না হলে বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি হঠাৎ করে মৃত্যুরও ঝুঁকি থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ কি আসলেই কোনো জটিল ব্যাধি?
এই রোগ ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। এটাই উচ্চ রক্তচাপের সবচেয়ে ভীতিকর দিক। যদিও অনেক সময় রোগীর বেলায় কোনো লক্ষণ থাকে না, তবুও নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই এ রোগকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ও চিকিৎসাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
কী কী জটিলতা হতে পারে?
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ চারটি অঙ্গে মারাত্মক ধরনের জটিলতা হতে পারে। যেমন—হৃৎপিণ্ড, কিডনি, মস্তিষ্ক ও চোখ। অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ থেকে হৃদ্যন্ত্রের মাংসপেশি দুর্বল হয়ে যেতে পারে। দুর্বল হৃদ্যন্ত্র রক্ত পাম্প করতে পারে না এবং এই অবস্থাকে বলা হয় হার্ট ফেইলিওর। রক্তনালির গাত্র সংকুচিত হয়ে হার্ট অ্যাটাক বা ইনফ্রাকশন হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, মস্তিষ্কে স্ট্রোক হতে পারে, যা থেকে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। এ ছাড়া চোখের রেটিনাতে রক্তক্ষরণ হয়ে অন্ধত্ব বরণ করতে হতে পারে।

কী কী কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়?
৯০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না, একে প্রাইমারি বা অ্যাসেনশিয়াল রক্তচাপ বলে। সাধারণত বয়স্ক মানুষের উচ্চ রক্তচাপ বেশি হয়ে থাকে। কিছু কিছু বিষয় উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা বাড়ায়, যা নিম্নরূপ:
 উচ্চ রক্তচাপের বংশগত ধারাবাহিকতা আছে, যদি বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তবে সন্তানেরও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি নিকটাত্মীয়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও অন্যদের এর ঝুঁকি থাকে।
 ধূমপান: ধূমপায়ী ব্যক্তির শরীরে তামাকের নানা রকম বিষাক্ত পদার্থের প্রতিক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপসহ ধমনি, শিরার নানা রকম রোগ ও হৃদ্রোগ দেখা দিতে পারে।
 অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ: খাবার লবণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যায়।
 অধিক ওজন ও অলস জীবনযাত্রা: যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম না করলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। এতে হৃদ্যন্ত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। অধিক ওজনসম্পন্ন লোকদের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে।
 অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, যেমন—মাংস, মাখন ও ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেলে ওজন বাড়ে। ডিমের হলুদ অংশ এবং কলিজা, গুর্দা, মগজ এসব খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে রক্তনালির দেয়াল মোটা ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
 ডায়াবেটিস: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসের রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। এ ছাড়া তাঁদের অন্ধত্ব ও কিডনির নানা রকম রোগ হতে পারে।
 অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা: অতিরিক্ত রাগ, উত্তেজনা, ভীতি এবং মানসিক চাপের কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে। যদি এই মানসিক চাপ অব্যাহত থাকে এবং রোগী ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারেন, তবে এই উচ্চ রক্তচাপ স্থায়ী রূপ নিতে পারে।


কিছু কিছু রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে একে বলা হয় সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন। এ কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো:
 কিডনির রোগ।
 অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি ও পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার।
 ধমনির বংশগত রোগ।
 গর্ভধারণ অবস্থায় একলাম্পসিয়া ও প্রি এ্যাকলাম্পসিয়া হলে।
 অনেক দিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ির ব্যবহার, স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন গ্রহণ এবং ব্যথা নিরামক কিছু কিছু ওষুধ খেলে।

উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে কী করা উচিত?
 জীবনযাত্রার পরিবর্তন এনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বংশগতভাবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমানো সম্ভব নয়। তবে এ রকম ক্ষেত্রে যেসব উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।
 অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে: খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজনে পৌঁছালে সীমিত আহার করা উচিত এবং ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপজ্জনক। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
 খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা: কম চর্বি ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন—খাসি বা গরুর মাংস, কলিজা, মগজ, গিলা, ডিম কম খেতে হবে। কম তেলে রান্না করা খাবার এবং ননী তোলা দুধ, অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন—সয়াবিন, ক্যানোলা, ভুট্টার তেল অথবা সূর্যমুখীর তেল খাওয়া যাবে। বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো। আটার রুটি এবং সুজি-জাতীয় খাবার পরিমাণমতো খাওয়া ভালো।
 লবণ নিয়ন্ত্রণ: তরকারিতে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।
 মদ্যপান: মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
 নিয়মিত ব্যায়াম: সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাচলা, সম্ভব হলে দৌড়ানো, হালকা ব্যায়াম, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার ইত্যাদি।
 ধূমপান বর্জন: ধূমপান অবশ্যই বর্জনীয়। ধূমপায়ীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। তামাক পাতা, জর্দা, গুল লাগানো ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
 ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

মানসিক ও শারীরিক চাপ সামলাতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম, সময়মতো ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দিতে হবে। নিজের শখের কাজ করা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি বেশি হবে।
 রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা: নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। যত আগে উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে, তত আগে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং জটিল রোগ বা প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

উচ্চ রক্তচাপ হলে কি চিকিৎসা করাতেই হবে?
উচ্চ রক্তচাপ সারে না, একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। অনেক রোগী কিছুদিন ওষুধ খাওয়ার পর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এলে ওষুধ বন্ধ করে দেন। মনে করেন রক্তচাপ ভালো হয়ে গেছে, কাজেই ওষুধ খাওয়ার দরকার কী? এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কোনোক্রমেই চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া ওষুধ সেবন বন্ধ করা যাবে না। অনেকেই আবার উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত জানার পরেও ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করেন বা খেতে চান না। কারও কারও ধারণা, একবার ওষুধ খেলে তা আর বন্ধ করা যাবে না। আবার কেউ কেউ এমনও ভাবেন যে উচ্চ রক্তচাপ তাঁর দৈনন্দিন জীবনপ্রবাহে কোনো সমস্যা করছে না বা রোগের কোনো লক্ষণ নেই, তাই উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে চান না বা প্রয়োজন মনে করেন না। মনে করেন ভালোই তো আছি, ওষুধের কী দরকার? এ ধারণাটাও সম্পূর্ণ ভুল। এ ধরনের রোগীরাই হঠাৎ করে হৃদ্রোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, এমনকি মৃত্যুও হয়ে থাকে। তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, নিয়মিত ওষুধ সেবন ও চেক করাতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ : ডিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

Source : https://www.prothomalo.com/life-style/article/862042/%E0%A6%89%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9A-%E0%A6%B0%25?fbclid=IwAR3PJz3w0N2JzgQmmVHxcMoJ3gHVYrPesNzTvmMzx3zbRyV9OquRFY_7nIA

7
শরীরের ৭০ শতাংশই পানি দিয়ে তৈরি। শরীরে পানির স্বাভাবিক পরিমাণ বজায় রাখা খুবই জরুরি। রাতে ঘুমানোর আগে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আর রাতে ঘুমানোর পর বেশ কয়েক ঘটনা শরীরে কোনো পানি পৌঁছে না।

সকালে উঠেই আগে এক গ্লাস পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আসুন জেনে নিই সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পানে যেসব উপকার-

১. পানি খেলে ক্যালোরি ইনটেক কম হয়। কারণ শরীরে পানির ঘাটতি না থাকলে চট করে খিদে পায় না। তাই যারা ওজন ঝরানোর চেষ্টা করছেন, তাদের সকালে উঠেই পানি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

২. সারা রাত ঘুমানোর কারণে সকালে আমাদের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দেয়। সেই কারণে সকালের প্রথম ইউরিন গাঢ় রঙের হয়। তবে এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। ইউরিনের রঙ সবসময় শরীরে পানির পরিমাণ বোঝায় না।

৩. কিডনির কাজ হলো শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়া। আর তার জন্য শরীরের যথেষ্ট পানির প্রয়োজন। সকালে হোক বা একটু বেলায় পানির ঘাটতি যেন শরীরে না থাকে।

৪. সকালে উঠেই যে পানি খাওয়া খুব জরুরি এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সকালে উঠে পানিপানের মধ্যে কোনো খারাপ দিক নেই। তাই এই অভ্যাস আপনার থাকলে, আপনি তা চালিয়ে যেতেই পারেন এমনটিই জানাছেন গবেষকরা।

Source : https://www.jugantor.com/lifestyle/287152/%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%98%E0%A7%81%E0%A6%AE-%E0%A6%A5%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%89%E0%A6%A0%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%A4-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0

8
Regular lifestyle is really needed for all

9
Its really important to maintain this. 

10
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই প্রয়োজন। কারণ কোনো মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে সে সহজে যে কোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

তাই রোগ জীবাণু ও সংক্রমণ রোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এ সময়ে ঠাণ্ডা-জ্বর, হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হন অনেকেই। এসব রোগ দূরে রাখতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। জীবনযাপনবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো কিছু খাবার সম্পর্কে জানা গেছে।

আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে. যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-

১. পুষ্টিতে ভরপুর আমলকী শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আধ চা-চামচ তাজা আমলকী পিষে এর সঙ্গে এক কোষ রসুন-বাটা মিশিয়ে খালি পেটে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

২. খালি পেটে নিমপাতা-বাটা খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

৩. তুলসি পাতা, আদা কুচি ও গোলমরিচ মিশিয়ে গরম চা খেতে পারেন। এসব চা ব্যাক্টেরিয়ার কারণে হওয়া অসুখ দূর করতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

৪. খেতে পারেন কমলার রস ও মরিচ। এক গ্লাস কমলার রসের সঙ্গে এক চিমটি মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন। কমলা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৫. আদা রস করে কয়েকটা তুলসি পাতা ও এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। এই খাবার ঠাণ্ডা কাশি দূরে রাখবে।

৬. তুলসি পাতার সঙ্গে মধু ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে প্রতিদিন খেতে পারেন। পাঁচ-সাতটা তুলসি পাতার সঙ্গে দুটা গোলমরিচের দানা গুঁড়া করে দিন। সঙ্গে এক চা-চামচ মধু মেশান। মিশ্রণটি খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন।

Source : https://www.jugantor.com/lifestyle/286703/%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A7-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A7%AC-%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0

11
লিউকেমিয়ায় ভুগে মাত্র সাত বছরেই মারা যায় না-ইয়ন। চার বছর পর মেয়ের সঙ্গে আবার দেখা হয় না-ইয়নের মা জ্যাং জি-সংয়ের। তবে সেটা ভার্চুয়াল দুনিয়ায়। দক্ষিণ কোরিয়ার এক টিভি অনুষ্ঠানের সৌজন্যে আয়োজন করা হয়েছিল মা-মেয়ের এই পুনর্মিলনী। জানাচ্ছেন খালিদ সাইফুল্লাহ

জ্যাং জি-সং দাঁড়িয়ে আছেন সবুজ ঘাসে ঢাকা এক খোলা মাঠে। দূরে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু টিলা দেখা যাচ্ছে। কাছেই কিছু কাঠের টুকরার স্তূপ। সাত বছরের মেয়ে না-ইয়নকে খুঁজে খুঁজে হয়রান তিনি। কই গেল মেয়েটা? হঠাৎ শোনা গেল মেয়ের চিরচেনা কণ্ঠ, ‘মা, মা!’

চার বছর বিরতির পরও চিরচেনা কণ্ঠস্বরটা চিনতে কোনো কষ্ট হয় না জ্যাং জি-সংয়ের। ঘুরে তাকাতেই দেখতে পেলেন গোলাপি এক ফ্রক পরা না-ইয়ন ছুটে আসছে তাঁর দিকে। কাছে এসে মাকে সে প্রশ্ন করে, ‘কোথায় ছিলে মা? আমার কথা কি ভেবেছিলে? তোমাকে অনেক মিস করেছি।’

প্রশ্ন শুনতেই কণ্ঠ ধরে আসে জ্যাং জি-সংয়ের। কী উত্তর দেবেন তিনি? গত চার বছরে এক দণ্ডের জন্যও অকালে মারা যাওয়া এই মেয়েটাকে ভুলতে পারেননি।

‘না রে, তোকে কি আর ভুলতে পারি। কোথায় ছিলি এত দিন?’

মা-মেয়ের কথোপকথন শুনে অনেকেই হয়তো ধাক্কা খেতে পারেন। কিন্তু ঘটনা সত্য। চার বছর আগে মারা যাওয়া না-ইয়নকে হাজির করা হয়েছিল ভার্চুয়াল রিয়ালিটির দুনিয়ায়। সেখানেই মেয়ের সঙ্গে দেখা হয় মা জ্যাং জি-সংয়ের।

দেখা হলো মা-মেয়ের
মা-মেয়ের এই ভার্চুয়াল মিলন মঞ্চায়ন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম সারির টিভি চ্যানেল এমবিসি। তাদের একটি টিভি অনুষ্ঠান হচ্ছে ‘মিটিং ইউ’। সেই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবেই এই আয়োজন করা হয়। মা-মেয়ের এই ভার্চুয়াল পুনর্মিলনী ছুঁয়ে গিয়েছে দর্শকদের। ভিজিয়েছে তাঁদের চোখও। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তি দুনিয়ায় বিশাল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এটি।

এ আবেগঘন এই ভিডিওতে দেখা যায়, ভিআর বক্স এবং হাতে গ্লাভস পরিহিত অবস্থায় মা জ্যাং-জি তাঁর মৃত মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। কথাবার্তার একপর্যায়ে মেয়েকে একটি কেক উপহার দেন জ্যাং জি-সং। এরপর মেয়েকে জন্মদিনের একটি গান গেয়ে শোনান। টেবিলে বসে খেতে খেতে দীর্ঘক্ষণ গল্প করেন মা-মেয়ে। এ সময় না-ইয়ন মাকে লেখা একটি চিঠি পড়ে শোনায়। বিদায়বেলায় দেখা যায়, না-ইয়ন বিছানায় শুয়ে পড়ে এবং মা তাকে হাত নেড়ে বিদায় জানান। পুরো ঘটনাটি গ্রিনরুমে বসে দেখে জ্যাং-জির পরিবার।

যেভাবে তৈরি করা হলো মুহূর্তটি
ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সাহায্যে মা-মেয়ের মিলনের এই প্রকল্পে কাজ করেন সিউলের ভাইভ স্টুডিওর পরিচালক লি হাইউন। সম্পূর্ণ বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য তাঁদের আট মাস সময় লেগেছে। মৃত না-ইয়নের ভার্চুয়াল মডেল তৈরি করার জন্য একজন শিশু অভিনেতার সাহায্য নেন তাঁরা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে সেই শিশু অভিনেতার হাঁটাচলা বা  ছোটাছুটির ভিডিও রেকর্ড করা হয়। এরপর না-ইয়ন বেঁচে থাকা অবস্থায় তোলা বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে প্রযুক্তিবিদরা তার একটি এনিমেশন মডেল তৈরি করেন। এই ভার্চুয়াল মডেলকে সংযুক্ত করা হয় ভিআর বক্স ও সেন্সরচালিত হ্যান্ড গ্লাভসে। ভার্চুয়াল মডেলটিতে না-ইয়নের কণ্ঠস্বর আনার জন্য তারই কিছু ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। মা-মেয়ের মিলনের মুহূর্তটি উপস্থাপন করা হয়েছে একটি পার্কে, যেখানে তাঁরা প্রায়ই সময় কাটাতে যেতেন। ওই পার্কের ত্রিমাত্রিক বিভিন্ন ছবি এবং মডেল ব্যবহার করে পার্কটির ভার্চুয়াল নকশা তৈরি করা হয়। স্টুডিওতে দৃশ্যগুলো দেখার জন্য ভার্চুয়াল রিয়ালিটির গগলস এবং স্পর্শ অনুভূতি পাওয়ার জন্য সেন্সরচালিত বিশেষ একধরনের গ্লাভস পরেন জ্যাং জি-সং।

এই আয়োজনের প্রধান পরিচালক লি হাইয়ুন বলেন, ‘প্রযুক্তির  সাহায্যে পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি, যা অনেকের মনকে প্রশান্ত করবে।

তবে ভিডিওটি প্রকাশের পর অনেকেই এ ধরনের ভার্চুয়াল রিয়ালিটির কড়া সমালোচনা করেছেন। অনেকেই পুরো বিষয়টিকে মানুষের আবেগ নিয়ে প্রতারণা হিসেবে দেখছেন। আবার অনেকে মনে করেছেন, এতে করে যদি সন্তানহারা এক মা মনে কিছুটা শান্তি পান তাতে দোষ কী?

Source : https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/03/01/880573

12
Technology / প্লে স্টোরে ডার্ক মোড
« on: March 03, 2020, 09:43:18 AM »
প্লে স্টোরে ডার্ক মোড সুবিধা চালু করছে গুগল। ফিচারটি চালু হলে উজ্জ্বল আলোর পরিবর্তে রাতে ব্যবহার উপযোগী হালকা কালো রঙে প্লে স্টোরের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের সুযোগ মিলবে। ফলে চোখের ওপর চাপ কমবে।

এরই মধ্যে অ্যানড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কিছুসংখ্যক ডিভাইসে ফিচারটি ব্যবহার করা যাচ্ছে। সব কিছু ঠিক থাকলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ফিচারটি উন্মুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা সব ডিভাইসে ফিচারটি ব্যবহার করা যাবে।

Source : https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/03/03/881337

13
সরিষার তেল সাধারণত আমরা বিভিন্ন ধরনের ভর্তা তৈরিতে ও সর্দি-কাশি ভালো করতে গায়ে মেঘে থাকি। তবে আমরা অনেকেই জানি না যে, রান্না ও চিকিৎসায় সরিষার তেল ব্যবহার করা হয়। এ তেলের সুগন্ধ রান্নার স্বাদ বাড়ায়।

এ ছাড়া সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর ফ্যাট শরীরের নানা উপকার করে। আয়ুর্বেদ চিকিসকেরা বলে থাকেন, রান্নায় নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসুন জেনে নেই রান্নায় সরিষার তেল ব্যবহারে যে সব রোগের ঝুঁকি কমে-

১. হৃদরোগজনিত জটিলতায় কারণে বিশ্বে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

২. গবেষণায় দেখা গেছে, সরিষার তেলে থাকা ওমেগা থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।

৩. এই তেল রান্নায় ব্যবহারে করলে শতকরা ৫০ ভাগ টিউমারের আশঙ্কা কমে যায়।

৪. সরিষার তেলে থাকা অ্যালিল আইসোথিয়োকানেট উপাদান মূত্রাশয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪ ভাগ কমায়।

৫. সরিষার তেলে থাকা অ্যান্টিবমাইক্রোবিয়াল উপাদান হজমশক্তি উন্নত করে ও দাঁতের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

৬. প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সরিষার তেলের খুব ভালো কাজ করে।

৭. সরিষার তেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম থাকায় ওজন কমায়।

তথ্যসূত্র : বোল্ড স্কাই।

Source : https://www.jugantor.com/lifestyle/284136/%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B2-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A7%AD-%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87?

15
হাল জমানার বাজারি দুনিয়ায় আমরা ব্র্যান্ড শব্দটির সাথে কমবেশি পরিচিত। ব্র্যান্ড বলতে কোন একটি পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের লোগো, প্রতীক, নাম ইত্যাদিকে বুঝে থাকি। আমেরিকান মার্কেট এসোসিয়েশনের মতে, ব্র্যান্ড এমন কোন নাম, শব্দ, ডিজাইন, প্রতীক বা অন্য কোন ফিচার- যা কোন একজন বিক্রেতার পণ্য বা সেবাকে অন্যান্য পণ্য বা সেবা থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করে। অর্থাৎ ব্র্যান্ড মূলত বাজারে আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে আলাদা এবং স্বকীয় একটা অবস্থান দেয় ।

কোন একটি পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড কথাটি বললেই আপনার মাথায় ঐ পণ্যের বা প্রতিষ্ঠানের আলাদা একটা ছবি ভেসে ওঠে। যেমন, জামাকাপড় বা ফ্যাশন হাউজের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে আপনাকে যদি ‘আড়ং’ নামটা বলা হয় তবে নিশ্চিতভাবে আড়ং প্রতিষ্ঠানটির আলাদা একটি চেহারা, তাদের পণ্যের ধরণ, তাদের জামাকাপড়ের ডিজাইন বা ধরণ আপনার মনে আপনা-আপনি খেলে যাবে। এই কাজটি করা হয় ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে তথা প্রতিষ্ঠানটির ব্র্যান্ডকে আপনার কাছে পরিচিত করবার মাধ্যমে। একইভাবে চিন্তা করুন ফেসবুক, মার্সিডিজ কিংবা কোকাকোলার কথা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠান, কোমল পানীয় অনেক আছে। কিন্তু যখনই আপনি এই নামগুলো শুনবেন তখন আলাদাভাবে এদের পণ্য বা সেবার একটা স্বকীয় ছবি আপনার মাথায় আসবে। এই নামগুলো, বা এদের প্রতীকগুলো একেকটি ব্র্যান্ড। এই যে আপনার কাছে আলাদাভাবে এদের পরিচিত করা, এই কাজটিই ব্র্যান্ডিং।

ব্র্যান্ডিং যে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের লোগো বা নামকে চেনানো, তা শুধু নয়। এটি একটি লম্বা এবং নিয়মিত প্রক্রিয়া। প্রতিনিয়ত আপনার চোখের সামনে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন আসে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়, বা আপনি সামাজিক মেলামেশাতেই অনেক পণ্যের নাম শুনে থাকেন। এগুলো সবই ব্র্যান্ডিংয়ের মধ্যে পড়ে। এছাড়া পণ্যের প্যাকেজিংয়ের ধরন, ক্রেতার পণ্য ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এগুলোও ব্র্যান্ডিং!

আপনার প্রতিষ্ঠান বা পণ্যের জন্য ব্র্যান্ডিং খুবই জরুরি একটি বিষয়। এর কারণগুলো দেখলেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।

১. ব্র্যান্ডিং আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে মানুষের মধ্যে আলাদাভাবে পরিচিত করে।

শুরুতেই আমরা যেটি দেখলাম, ব্র্যান্ডিং আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে স্বকীয় অবস্থান দেয়। এতে মানুষ আপনার ব্র্যান্ডটির সাথে পরিচিত হয় এবং এর সম্বন্ধে ধারণা পায়। একজন নির্দিষ্ট মানুষের কথা ভাবুনঃ তার কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য থাকে, তার কিছু স্বভাব থাকে, তার পছন্দ- অপছন্দ, জামাকাপড়ের ধরন, বন্ধুবান্ধব, কাজ ইত্যাদির মাধ্যমেই তার একটা স্বকীয় পরিচিতি আমাদের মাঝে তৈরি হয়। ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপারটাও তাই।

২. ব্র্যান্ডিং ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতায় আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানকে আলাদা অবস্থান দেয়।

মানুষের সাথে একটা বিশেষ পণ্যের যতটা না সম্পর্ক তৈরি হয়, তার থেকে বরং একটি ব্র্যান্ডের সাথে তার বোঝাপড়া হয় বেশি। ধরুন, কেউ একজন ‘বাটা’র জুতো পরে অভ্যস্ত। অনেকগুলো ব্র্যান্ডের জুতোর মাঝে তাকে নিয়ে গেলে দেখবেন সে আগে বাটা-র জুতোগুলোই দেখছে। এভাবে অন্যান্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে আলাদা করবে আপনার ব্র্যান্ডিং।

৩. ব্র্যান্ডিং আপনার ক্রেতার সাথে আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের আবেগময় সম্পর্ক তৈরি করে।

শুনতে অদ্ভুত শোনালেও এটাই সত্যি! আগের উদাহরণে যেমন বললাম, ঐ ক্রেতার সাথে বাটা প্রতিষ্ঠানের একটা বিশ্বস্ততার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আপনি যখন আপনার ক্রেতাদের মাঝে ব্র্যান্ডিং করবেন, তখন তার বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন। এতে করে আপনার ক্রেতা বারবার আপনার পণ্যের কাছেই ফিরে আসবে।

৪. ব্র্যান্ডিংয়ে আপনার পণ্যের গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হলে ক্রেতার কাছে আপনার পণ্যটি বেছে নেওয়া সহজ হয়।

ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের গুণাগুণ তুলে ধরা হয়। এর মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পরিষ্কার হয় তিনি আসলে কী চাচ্ছেন। একই সাথে আপনার পণ্যের প্রতিশ্রুতি তাকে পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করে। আপনি যদি পণ্যের মান ও গুণাগুণ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বজায় রাখতে পারেন, তবেই একটি বিশ্বস্ত ক্রেতাগোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব।

৫. প্রতিষ্ঠানে ভাল কর্মী আকৃষ্ট করতেও আপনাকে সহায়তা করে ব্র্যান্ডিং।

ব্র্যান্ডিং আপনার পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের একটি সামাজিক মূল্য তৈরি করে। আপনার ব্র্যান্ডিং যত ভাল হবে, আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি তত মেধাবী ও সৃজনশীল কর্মীরা আকৃষ্ট হবে। এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী, কারণ তখন আপনি একটি দক্ষ কর্মীদলের মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ মাইক্রোসফট বা গুগলের কথা চিন্তা করুন। বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষ ও মেধাবী কম্পিউটার প্রোগ্রামারদের স্বপ্ন থাকে এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা। প্রতিষ্ঠানগুলোর সফল ব্র্যান্ডিং তাদের যেমন বিশাল বাজারে প্রতিষ্ঠিত করেছে, তেমনি এরকম দক্ষ কর্মীদের কাছেও পরিণত করেছে আকাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানে ।

মোট কথা, আপনার ব্যবসায়িক খাতে সাফল্য লাভের একটি বড় ও অপরিহার্য অংশ হল ব্র্যান্ডিং।

উৎস ঃ http://gg.gg/gpjtn

Pages: [1] 2 3 ... 14