Daffodil International University
General Category => Be Alert => Topic started by: Lazminur Alam on August 17, 2017, 12:54:20 PM
-
এটিএম কার্ড প্রতারণার ঘটনা শুধু যে বিদেশেই হচ্ছে তা নয়, দেশেও হচ্ছে। দেশেও কার্ড প্রতারণার বিষয়টি উঠে এসেছে অনেক আগে। তবে সম্প্রতি একাধিক চক্রকে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলে তা আরও বেশি আলোচনায় আসে। বেশ কয়েকটি উপায়ে ডিজিটাল চোর বা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার এটিএম কার্ডের তথ্য। সে উপায়গুলো জেনে নিয়ে সতর্ক থাকাটা অনেকটাই জরুরি হয়ে উঠেছে এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীদের।
কার্ড স্কিমার:
স্কিমিং হলো একটি ম্যাগনেটিক ছোট চিপযুক্ত যন্ত্র, যা এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর ও তথ্য পড়তে সক্ষম। এই ডিভাইস এটিএম মেশিনের ভেতরেও তথ্য সংগ্রহের জন্য দেওয়া থাকে। তবে এটিএম জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনের সঙ্গে তাদের নিজস্ব স্কিমিং ডিভাইস যুক্ত করে দেয়। এতে কোনো এটিএম কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করালে মূল স্কিমিং যন্ত্রের সঙ্গে জালিয়াত চক্রের স্কিমিং যন্ত্রেও কার্ডের তথ্য চলে যায়। তাই এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করানোর আগে এ বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।
নকল কার্ড স্লট:
এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গিয়ে যদি কার্ড স্লট দেখতে অস্বাভাবিক বা বেমানান কিংবা নড়বড়ে মনে হয়, তবে সাবধান! কেননা, জালিয়াত চক্র মূল কার্ড প্রবেশের স্লটের ওপর তাদের নিজস্ব কার্ড স্লট লাগিয়ে থাকতে পারে। এতে কার্ডের সব তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কার্ড ট্র্যাপিং:
অনেক এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গেলে সেটা খুব শক্ত মনে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকাংশেই কার্ডটি চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কার্ডটি ভেতরে আটকে যায় এবং পরবর্তী সময়ে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। তাই কার্ড মেশিনে আটকে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের চেষ্টা করুন। এ ছাড়া এটিএম বুথে নিযুক্ত থাকা সহকারী ছাড়া আর কারও সহায়তা গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
নকল এটিএম মেশিন:
শুনে অবাক হবেন, আপনি যে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাচ্ছেন, তার সামনের পুরো অংশটাই নকল হতে পারে। এটিএম জালিয়াত চক্র কোনো আসল এটিএম মেশিনের ওপর তাদের নকল অংশ লাগিয়ে রাখতে পারে আপনার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিতে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নকল অংশ শনাক্তকরণ বেশ দুষ্কর।
নকল কি-প্যাড:
নকল মেশিনের মতো এটিএম মেশিনের নম্বর বা কি-প্যাডও নকল হতে পারে। জালিয়াত চক্র আসল কি-প্যাডের ওপর নকল কি-প্যাড বসিয়ে দিতে পারে। ফলে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করিয়ে সেই নকল কি-প্যাডে গোপন নম্বর চাপলেই তা চলে যাবে চোরের কাছে। তাই গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর আগে দেখে নিতে হবে, কি-প্যাডটা দেখতে অস্বাভাবিক লাগছে কি না।
গোপন ক্যামেরা:
এটিএম জালিয়াতির সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হলো গোপন ক্যামেরা। জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনে বা আশপাশের এমন কোনো অবস্থানে ক্ষুদ্রাকৃতির এমন গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখতে পারে, যা কি-প্যাডমুখী। অর্থাৎ কি-প্যাডে গোপন নম্বর প্রবেশ করালে তা ধারণ হবে সেই ক্যামেরায়। তাই এটিএম মেশিনে গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর সময় যতটা সম্ভব হাত বা অন্য কিছু দিয়ে আড়াল করে রাখুন।
-
Helpful Post.
-
Very needful...we will be careful from now