Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - turin

Pages: [1] 2
1
                                                               ১১৭ টেস্টে ৪২টি ইনিংস হার; কোন পথে বাংলাদেশের ক্রিকেট

 বাংলাদেশের জন্য ইনিংস পরাজয় বিরল কোনো ঘটনা নয়। অনেকটাই যেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে গোলাপি বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট ক্রিকেটের ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংস ও ৪৬ রানে হারের লজ্জা পেয়েছে। এর আগে ইন্দোরেও তিন দিনে ইনিংস হেরেছে। ১৯ বছরে ১১৭ টেস্ট বাংলাদেশ এ নিয়ে মোট ৮৮টি ম্যাচ হারল; যার মধ্যে ৪২টিই ইনিংস পরাজয়। মাত্র ১৩টিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ৬টি আবার দুর্বল জিম্বাবুয়ে এবং ৪টি হালের খর্বশক্তি উইন্ডিজের বিপক্ষে। এই ১৯ বছরেরও কেউ হলফ করে বলতে পারবে না যে, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মাঝে টেস্ট খেলার কোনো মানসিকতা রয়েছে!

ক্রিকেট লেখক বোরিয়া মজুমদার বলেন, এই টেস্ট সিরিজে টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর দল ও নয় নম্বর দলের পার্থক্য পরিষ্কার হয়েছে। তার মতে, 'বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দক্ষতার অভাব আছে। ভারতের এই বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে খেলার যে দক্ষতা সেটা বাংলাদেশের নেই। ভারতের এই বোলিং লাইন আপকে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা টেস্ট বোলিং লাইন আপ। তবে এখানে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখার কোনোই কারণ নেই। কিন্তু ভারতের এই দলটা দক্ষতা ও মানসিক দুই দিকেই অনেক এগিয়ে।'

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ জিতেছে। কিন্তু বাংলাদেশের তো ঘরোয়া পর্যায়ের চারদিনের ক্রিকেট ততটা শক্তিশালী না। এই মুহূর্তে ভারতকে হারানো অবশ্যই কঠিন বলে মনে করেন বোরিয়া মজুমদার, 'সাকিব আল হাসান নেই, তামিম ইকবাল নেই। তাদের ছাড়া বাকিরা বেশ দুর্বল। মাহমুদউল্লাহ যেভাবে খেলেছেন, ইমরুল যেভাবে খেলেছেন এটা ভারতের বিপক্ষে অনেক কম হয়ে যায়'

দিবারাত্রির এই টেস্ট ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল সন্ধ্যায় ব্যাটসম্যানরা কেমন ব্যাট করে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে বাংলাদেশ যখন বল করতে নামে, ভারত রান তোলে ৯ উইকেটে ৩৪৭। এরপর ইনিংস ঘোষণা করেন বিরাট কোহলি। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বিরাট কোহলি ও তার দলের মনোভাব পরিষ্কার হয়ে যায়, দুই দিনের মধ্যেই খেলা শেষ করতে চান তারা।

এই লক্ষ্যে ইশান্ত শর্মার আগ্রাসী বোলিংয়ে ১৩ রানের চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে আবার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। শুধু এই টেস্টেই বাংলাদেশের তিনজন ক্রিকেটার চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছেন। লিটন দাস, নাইম হাসান ও সর্বশেষ রিয়াদ। যেমন আয়োজন দিয়ে শুরু হয়েছিল কলকাতা টেস্ট, মাঠের ক্রিকেটে সেটার প্রতিফলন ছিল না। বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যান ব্যর্থ। সাদমান ইসলাম অনিক যাকে বাংলাদেশের টেস্টে নিয়মিত দলে নেয়া হচ্ছে তিনি ৪ ইনিংস মিলিয়ে রান তুলেছেন ৪১।

ইমরুল কায়েসকে দলে নেওয়ার জন্য অনেক 'লড়াই-সংগ্রাম' হয়ে থাকে সব সময়। সেই অভিজ্ঞ ইমরুল ঘরোয়া ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলে ঢুকেছেন। কিন্তু ভারত সফরে ৪ ইনিংস মিলিয়ে তিনি তুলেছেন ২১! রানের স্বল্পতার চেয়েও বড় ব্যাপার ইমরুল কায়েসকে কোনো ইনিংসেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়নি। বরং বোলারদের পরিকল্পনা মাফিকই ব্যাট চালিয়ে আউট হয়েছেন দুইবার। মমিনুল হক দীর্ঘদিন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা নিয়ে আছেন। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দুই ইনিংসেই 'ডাক' মারেন তিনি!

ভারতের বিপক্ষে 'পেয়ার' পাওয়া প্রথম ক্রিকেট অধিনায়ক মমিনুল হক। প্রথম টেস্টেও মমিনুল হক ৩৭ ও ৭ রান করে আউট হন।অর্থাৎ পুরো সিরিজে চার ইনিংস ব্যাট করে তিনি রান তুলেছেন ৪৩। ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে মমিনুল হক অশ্বিনের অফ-স্টাম্প লাইনের বল ছেড়ে দেন। যেটা সোজা গিয়ে অফ-স্টাম্পেই লাগে। এরপরের তিন ইনিংসেই মমিনুল বোলারের গতির কাছে পরাস্ত হন।যদিও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে মমিনুল হক টেস্ট ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হওয়ার একটা আভাস দিয়েছিলেন কিন্তু যত দেশের বাইরে খেলা শুরু হয় ততই তার ব্যাটিংয়ের ভুল-ভ্রান্তি চোখে পড়তে থাকে।

পেস ও স্পিন দুই ধরণের বোলিংয়েই নির্দিষ্ট কিছু ডেলিভারি মমিনুল হক বরাবরই খেলতে পারেননি। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি সিরিজ চলাকালীন বাংলাদেশের তৎকালীন কোচ হাথুরুসিংহে মমিনুল হকের স্পিন বল খেলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরের সিরিজেই মমিনুল হক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই একই টেস্টে দুটো সেঞ্চুরি করেন, যার মধ্যে একটি ইনিংস ছিল ১৭৬ রানের। কিন্তু তার পরে বাংলাদেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছাড়া বলার মতো রান নেই মমিনুল হকের ব্যাটে।

দেশের মাটিতে মমিনুল হকের টেস্ট গড় ৫৫, দেশের বাইরে ২১। মোহাম্মদ মিথুন, যিনি বাংলাদেশের হয়ে ৬টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন, তার টেস্ট গড় ২০। এই টেস্ট সিরিজে চার ইনিংস ব্যাট করে তিনি রান তুলেছেন ৩৭। মুশফিকুর রহিম এই সিরিজে বাংলাদেশের সফলতম ব্যাটসম্যান, যিনি চার ইনিংসে রান তুলেছেন ১৮১। দুটি হাফ-সেঞ্চুরিও করেছেন। তবে কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে যখন ইনিংস পরাজয় এড়াতে ৫৪ রান প্রয়োজন, তখন ব্যক্তিগত ৭৪ রানে সামনে এগিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন মুশফিক! যা নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা হচ্ছে।

এদিকে গণমাধ্যমে ও সংবাদ সম্মেলনে একটা প্রশ্ন উঠেছে যে মুশফিকুর রহিম কেনো চার নম্বরে নামছেন না। সরাসরি মুশফিকের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে ২০ গড়ের মোহাম্মদ মিথুন যখন চার নম্বরে খেলছেন সেটা গোটা দলের ব্যাটিংয়েই প্রভাব ফেলছে। লিটন দাস ২ ম্যাচের ৩ ইনিংস ব্যাট করে ইডেনে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। তিন ইনিংসে তার রান ৮০। তিনিই এই সিরিজে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সফলতম ব্যাটসম্যান। কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। যিনি এই পুরো সিরিজ জুড়েই বাজে শট খেলে আউট হয়ে মাঠ ছেড়েছেন। মনে হচ্ছিল, তিনি যেন ওয়ানডে খেলতে নেমেছেন!


Source: https://www.kalerkantho.com/online/sport/2019/11/24/843059

2
                                                     সাহাবাদের যুগে শিশুদের শিক্ষায় অধিক গুরুত্ব দেওয়া হতো
ইসলামে শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। রাসুল (সা.)-এর ওপর প্রথম অবতীর্ণ হওয়া ওহি ছিল জ্ঞানার্জনের বিষয়ে। রাসুল (সা.)-কে আল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এর মাধ্যমে শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। তা ছাড়া ইসলামী শরিয়তের বিষয়ে গভীর জ্ঞান আহরণের জন্য অবশ্যই শিক্ষকের সান্নিধ্যে থেকে জ্ঞানার্জন করতে হয়। এ কারণে রাসুল (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগ থেকে শিক্ষার প্রতি মুসলিমদের মনোযোগ ছিল অত্যধিক এবং তা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

শৈশব হলো শিক্ষার সূচনাকাল। শিক্ষার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো ছোটবেলা। তাই শিশুদের শিষ্টাচার ও মানবিক গুণাবলি শেখাতে মুসলিম শিক্ষাবিদরা যুগে যুগে নানা রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত জার্মান প্রাচ্যবিদ ও লেখিকা সিগরিদ হাংক (Sigrid Hunke)  ইসলামী সভ্যতা বিষয়ক তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘Allah’s Sonne Uber Dem Abendland-এ লিখেছেন, ‘ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ের মতবিরোধ বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনে প্রাণসঞ্চার করেছে এবং জড়তা থেকে ইসলামকে রক্ষা করেছে। ফলে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেকে সশস্ত্র করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পারস্পরিক মতপার্থক্য মুসলিমদের অলস ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তির মাধ্যমে নিজেদের অগ্রগতি সুনিশ্চিত করেছে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবার মধ্যে এই চেতনা তৈরি করেছে, ‘জ্ঞান অর্জন করো, নিজের সাধ্যমতো জ্ঞান অর্জন করতে অব্যাহত রাখো।’ প্রশান্ত চিত্তে ও সুস্থিরভাবে আরব মুসলিমরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখায় বিচরণ করেছে। উপকারী সব কিছুই তারা নিবিষ্টমনে আহরণ করেছে এবং মানুষের সেবায় তার সঠিক ব্যবহার করেছে। (শামসুল আরব তাসতাউ আলাল গরাবি, পৃষ্ঠা : ৩৭৩)

জীবনের সূচনাকাল যৌবনে গভীর জ্ঞান অর্জন করা হলেও শিশুকালে লব্ধ জ্ঞানের প্রভাব পরবর্তী জীবনের ওপর অনেক বেশি হয়। তাই মক্তব, প্রাথমিক মাদরাসা বা স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠে শিশুর ব্যক্তিত্ব ও জ্ঞানচর্চা। বড় বড় সাহাবা ও তাবেয়ির পক্ষ থেকে শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে দেওয়া হয় প্রজ্ঞাপূর্ণ নির্দেশাবলি। বড়দের কাছ থেকে শিখে তারা পরবর্তী প্রজন্মকে আবার শেখাতে থাকে। প্রখ্যাত সাহাবি আবদুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.)-এর শিষ্য মুজাহিদ বিন জাবার (রহ.) বলেছেন, ‘শিক্ষকরা শিশুদের সঙ্গে ন্যায়পূর্ণ আচরণ না করলে কিয়ামতের দিন তারা জালিমদের সঙ্গে থাকবে।’ (ইবনে হিব্বান, আস সিকাত, ১৭৩/৯)

সাহাবাদের যুগ থেকে শিশুদের শিষ্টাচার, ভদ্রতা ও ন্যায়নিষ্ঠা শেখানোর প্রতি অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। তাই ছোটবেলার মক্তব বা পাঠশালা শেষ করা এই ছাত্রদের পরবর্তী জীবনে শৈশবের শিক্ষার প্রভাব দেখা যেত। উমাইয়া যুগে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি রাষ্ট্রের গুরুত্ব ছিল অনেক। একবার খলিফা মুআবিয়া বিন আবু সুফিয়ান (রা.) মক্তব পরিদর্শনে যাওয়ার আগমুহূর্তে শিক্ষক-ছাত্রদের বলে দেন, আমিরুল মুমিনিন এলে তোমরা তাঁকে সালাম দেবে। তিনি এলে ছাত্ররা দাঁড়িয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকা ইয়া আমিরুল মুমিনিনা ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহু।’ তখন তিনি জবাব দিয়ে বলেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি মুসলিমদের বংশধরদের মধ্যে বরকত দান করো। হে আল্লাহ, তুমি মুসলিমদের বংশধরদের মধ্যে বরকত দান করো।’ (ইবনে আসাকির, তারিখে দামেশক, ২৪৭/৬৭)

ইসলামী বিশ্ব বিস্তৃত হওয়ার সঙ্গে সভ্যতা-সংস্কৃতির ক্রমবিকাশ শুরু হয়। নানা শ্রেণির লোকের সঙ্গে মুসলিম শিক্ষাবিদদের মেলামেশার সুযোগ ঘটে। আল্লাহ ইবনে সিনা শিশুর আবেগ-আগ্রহের প্রতি গুরুত্বারোপের পরামর্শ দিয়েছেন। আগে তাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। এমন কোনো কঠিন কাজ তাকে না দেওয়া উচিত, যা সে করতে পারে না। শিশুর মতামত ও আগ্রহকে যথাযথ সম্মান দিতে হবে। তাকে শাসন করতে হবে আদরের মাধ্যমে। অবশ্য সংশোধনের জন্য তাকে ধমক দেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে হালকা প্রহারও করা যাবে। তবে তা সব পন্থা বিফল হওয়ার পর করা চাই। তাই শিশুকে প্রথম অবস্থায় প্রহার বা কঠোরতা প্রদর্শন করা যাবে না।

হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজালি (রহ.)-এর মতে, ‘শিশুর সঙ্গে সর্বোচ্চ বিনম্র আচরণ করা চাই। একটি শিশু মা-বাবার কাছে সবচেয়ে বড় আমানতস্বরূপ। তাই একনিষ্ঠতা ও মায়া-মমতা দিয়ে তার সঙ্গে আচার-ব্যবহার করা চাই। শিশুর আবেগ-অনুভূতির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। লাজুক প্রকৃতির হলে তার লাজুকতা দূর না করেই তাকে শেখানো উচিত। তেমনি প্রথমবারেই কোনো শিশুকে অভিযুক্ত না করা চাই। বরং শিশুর দোষত্রুটি প্রকাশ পেলেও তা না দেখার মতো থাকতে হবে।’ (ইহয়াউ উলুমুদ্দিন, পৃষ্ঠা : ৭২/৩)

অষ্টম শতাব্দীর মিসরের প্রখ্যাত আলেম ইবনুল হাজ আবদারি (রহ.) শিশুর শিক্ষার ব্যাপারে অনেক নির্দেশনা দিয়েছেন। শিশুদের বেদম প্রহারকারীর নিন্দা করেছেন তিনি। বরং একজন শিক্ষক সাধ্যমতো নরম ভাষায় তার সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। তবে প্রয়োজনে হালকা মারা যাবে। এ ছাড়া তিনি শিক্ষকদের উপদেশ দিয়েছেন, যেন তাঁরা শিশুদের বাড়ি থেকে খাবার আনার অনুমতি না দেন কিংবা পছন্দের কোনো খাবার কেনার জন্য তারা টাকাও না নিয়ে আসে। নতুবা দরিদ্র শিশু ধনীদের মতো আনন্দ করতে না পারায় মনে কষ্ট পাবে। বরং শিশুরা সবাই বাড়ি গিয়ে খাবার খাবে। আর পাঠ শেষে তাদের খেলতে দেওয়া উচিত, যেন ক্লান্তিবোধ দূর করে তারা আবার পাঠে আগ্রহী হয়। (ইবনুল হাজ, আল মাদখালা, ৩১৩/২)

আল্লামা ইবনে খালদুন (রহ.) রচিত ‘মুকাদ্দিমাতুল ইবনে খালদুন’ গ্রন্থে ‘শিক্ষার্থীদের প্রতি কঠোরতা ক্ষতিকর’ নামে একটি অধ্যায় আছে। এতে তিনি বলেন, ‘সেবক ও শিক্ষকদের মধ্যে কঠোরভাবে লালন-পালন করলে ছাত্রদের মনও কঠোর ও রূঢ় হয়ে পড়ে। অতঃপর অলসতা ও মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে ওঠে। এমনিভাবে প্রাথমিক অবস্থায় কঠোরতা ও রূঢ়তার ফলে ধীরে ধীরে একটি জাতির মধ্যে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।’ (ইবনে খালদুন, আল মুকাদ্দিমা, ৭৪৩)

ইসলামী সভ্যতায় জ্ঞানার্জনের প্রতি শিক্ষার্থীদের ছিল অদম্য আগ্রহ। চতুর্থ শতাব্দীতে তিউনিশিয়ায় মালেকি মাজহাবের প্রখ্যাত ফকিহ ছিলেন ইবনে তাব্বান মালেকি (রহ.)। তিনি নিজের কথা বর্ণনা করে বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরে থাকাকালে আমি পুরো রাত জেগে পড়তাম। মা রাত জেগে পড়তে বারণ করতেন। তাই রাতে চেরাগ গামলায় লুকিয়ে রেখে ঘুমের ভান করতাম। মা ঘুমিয়ে পড়লে শোয়া থেকে জেগে পুরো রাত পড়তে থাকতাম।’ (কাজি ইয়াজ, তারতিবুল মাদারেক, ২৫৯/৬)

ইসলামী সভ্যতায় শিক্ষার অপরিসীম গুরুত্বের চিত্র ফুটে ওঠে এতে। শিশুদের ভবিষ্যতের কাণ্ডারিরূপে গড়ে তুলতে চিন্তাশীল যোগ্য ও উপযুক্ত শিক্ষকের বিকল্প নেই।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/Islamic-lifestylie/2019/11/20/841393

3
                                                                 বাংলাদেশে কার্যালয় চায় তুরস্কের ব্যবসায়ীরা
ব্যবসা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশে নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন করতে চায় তুরস্কের ব্যবসায়ীরা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গতকাল দুপুরে তুরস্কের আঙ্কারায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সে সময় বাংলাদেশে ব্যবসা কার্যালয় স্থাপনের আগ্রহের কথা জানানো হয়।

শুক্রবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের রপ্তানি কীভাবে তুরস্কে তিন বিলিয়ন ডলার করা যায় সে বিষয়ের আলোচনায় দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের কূটনেতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একে অন্যের প্রতিযোগী না হয়ে ব্যবসা করতে হবে।

এছাড়া বাংলাদেশে তুরস্কের কার্যালয় খোলার বিষয়টি এ বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন।

যেসব দ্রব্য উৎপাদনে তুরস্ক নিজেই ভালো করছে সেসব দ্রব্য নয়, বরং অন্য দ্রব্যসমূহ এবং যেগুলোর প্রতি তুরস্কের চাহিদা  রয়েছে সেই দ্রব্যেগুলো রপ্তানির সুযোগ নিয়ে ভালো করতে পারে বাংলাদেশ। এসব বিষয়ে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষিপণ‌্য, পাট ও পাটজাত দ্রব্য, ফ্রুট প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়াতে পারে। সেক্ষেত্রে তুরস্কও সহায়তা করতে পারে। যেহেতু বাংলাদেশ গরু উৎপাদনে সফলতা অর্জন করেছে এবং গুণগত দিক থেকে যেকোনো দেশের তুলনায় উৎকৃষ্ট মানের মাংস উৎপাদন করছে, সেহেতু এগুলোও রপ্তানির আওতায় আনা সম্ভব। হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে তুরস্ক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে।

Source:https://www.kalerkantho.com/online/business/2019/11/22/842213

4
                                                               ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই আন্তর্জাতিক লেনদেন হবে ক্রেডিট কার্ডে

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে অবৈধ লেনদেন বন্ধে কড়াকড়ি আরোপের পর ভোগান্তিতে পড়েছেন তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ গ্রাহকরা। ব্যাংকগুলোরও ক্রেডিট কার্ড ব্যবসা হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই গ্রাহকদের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে আগামীকাল সোমবার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের নির্বাহী পরিচালকের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে বেসিসের প্রতিনিধি ছাড়াও ১১টি ব্যাংকের কার্ড বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।

বৈঠকে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনে কড়াকড়ির পর গ্রাহকদের কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেটি আলোচনা হবে। বিশেষ করে গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে ফরম পূরণ করে ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে, সেটি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর পরিবর্তে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে একটি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার চালুর প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে, যেই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বৈধ সব লেনদেনই তাত্ক্ষণিক সম্পন্ন হবে। আর যেসব লেনদেন অবৈধ বা আইনসিদ্ধ নয়, সেসব লেনদেনের মার্চেন্ট ক্যাটাগরি কোড (এমসিসি) সফটওয়্যারেই ব্লক করা থাকবে। ফলে কেউ চাইলেও অবৈধ লেনদেন করতে পারবে না। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিজ্ঞাপন প্রদান বাবদ একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়করণের অনুমোদন প্রদান এবং ভ্রমণের দলিলাদি ব্যতীত ভ্রমণ কোটার এনডোর্সমেন্ট এবং অব্যবহৃত ভ্রমণ কোটা ভ্রমণ ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার বন্ধ করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে বিকল্প হিসেবে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। এখন যেমন ক্রেডিট কার্ডে অবৈধ লেনদেন বন্ধে ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, বিকল্প ব্যবস্থায় আর ফরম পূরণ করা লাগবে না। তখন স্বংক্রিয়ভাবেই যেসব লেনদেন অবৈধ সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। সফটওয়্যারেই অবৈধ লেনদেনের কোড ব্লক করে রাখা হবে। অন্যদিকে বৈধ অন্য সব লেনদেন যখন খুশি তখন করা যাবে। এ বিষয়ে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে এরই মধ্যে কথা হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এটা করতে ব্যাংকগুলোও রাজি আছে।

আন্তর্জাতিক ক্রডিট কার্ড ব্যবহার করে অনলাইনে বিদেশ থেকে পণ্য বা সেবা কেনার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে গত ১৪ নভেম্বর সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই সার্কুলারে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অনলাইনে বিদেশি পণ্য বা সেবা কিনতে হলে গ্রাহককে অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফরম (ওটিএএফ) পূরণ করে মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বা হার্ড কপি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে অসংগতি না পেলে ক্রেডিট কার্ডকে শুধু সেই লেনদেনের জন্য সক্রিয় করে দেবে। ব্যাংকের পূর্বানুমোদন ছাড়া ওই কার্ড কাজ করবে না। মূলত অবৈধ লেনদেন বন্ধ ও অর্থপাচার রোধের যুক্তি দেখিয়ে এ সার্কুলার জারি করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে দ্বৈত মুদ্রার কার্ডের মাধ্যমে অর্থপাচারের কোনো তথ্য বা ঝুঁকি দেশি-বিদেশি কোনো প্রতিবেদন বা প্যানেল আলোচনায় উঠে আসেনি বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহারে এ ধরনের পূর্বানুমোদনের বিধান বিশ্বের কোথাও নেই। সুনির্দিষ্ট কোনো খাতে লেনদেন বন্ধ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট মার্চেন্ট ক্যাটাগরি কোড (এমসিসি) বন্ধের মাধ্যমেই সম্ভব। কিন্তু তা না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই সার্কুলারে সব লেনদেনের বিষয়ে ওটিএএফ পূরণ করতে বলা হয়েছে। এতে গ্রাহকরা আন্তর্জাতিক কার্ড ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবেন এবং নগদ ডলার বহনের ঝুঁকি নেবেন বলে মত তাঁদের। তা ছাড়া ওটিএএফ অনুমোদনের জন্য ব্যাংকগুলোকে সার্বক্ষণিক অফিস চালু রাখতে হতে পারে, যা বাস্তবে দুরূহ। যেমন এখন প্রতিটি লেনদেনের জন্য আলাদা করে ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। ফলে জরুরি কাজে কোনো লেনদেন করার প্রয়োজন হলে তখন ব্যাংকের অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যাংক খোলা থাকে আট ঘণ্টা। ফলে এই আট ঘণ্টার মধ্যে সব অনুমোদন নিতে হবে। রাতে তো আর ব্যাংক খোলা থাকবে না। কিন্তু অনেক লেনদেন জরুরি প্রয়োজনে রাতেও করতে হতে পারে।

তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই সার্কুলারের ফলে ই-কমার্সভিত্তিক স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) তাদের উদ্বেগের কথা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানিয়েছে।

বিদ্যমান নিয়মে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী গ্রাহক এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ নিতে পারেন।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/business/2019/11/24/842902

5
                                                               বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকের আয় ১২ হাজার কোটি টাকা!

চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তিন মাসে বাংলাদেশে থেকে ফেসবুক আয় করেছে ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বা ৩৬ কোটি মার্কিন ডলার। এ হিসাবে বছরে মোট চার প্রান্তিক থেকে ফেসবুকের আয় গড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মতো।

তৃতীয় প্রান্তিকে সারা বিশ্ব থেকে ফেসবুকের মোট রাজস্ব আয় বাংলাদেশি টাকায় দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে বাংলাদেশ থেকে আয়ের পরিমাণ ফেসবুকের মোট আয়ের শূন্য দশমিক দুই শতাংশ (০.২)।

আন্তর্জাতিক আয়ের ওপর নির্দিষ্ট হারে কর এবং অন্যান্য ব্যয় বাদে এ প্রান্তিকে ফেসবুকের নিট মুনাফার পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫১ হাজার ৭৭৩ কোটি টাকা। গত ৩০ অক্টোবর প্রকাশিত তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এ তথ্য জানিয়েছে ফেসবুক ইনভেস্টর রিলেশনস ওয়েবসাইট।

যুক্তরাষ্ট্রের এই কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ প্রান্তিকে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবহারকারীপ্রতি ফেসবুকের আয় ১৫ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ এ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেসবুক প্রকাশিত ব্যবহারকারীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বা ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি ৪০ লাখ। বাংলাদেশে শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ২০১৮ সালে আয় করেছিল প্রায় ১৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকারকে কর দিয়ে এবং বছরে বিনিয়োগ ও অন্যান্য খরচ বাদে তাদের নিট মুনাফা ছিল প্রায় তিন হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী প্রায় ২৪০ কোটি। যাদের মধ্যে প্রতিদিন সক্রিয় থাকে প্রায় ১৬২ কোটি ব্যবহারকারী। এদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কর দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে। অন্যান্য দেশগুলোর ব্যবহারকারীরা সংশ্নিষ্ট ‘ফেসবুক আয়ারল্যান্ডের’ সঙ্গে। ১৯৮০ সালে প্রণীত যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য প্রণীত ‘দ্বৈত’ আইরিশ চুক্তির আওতায় ‘ফেসবুক আয়ারল্যান্ড’কে শুধু ২ থেকে ৩ শতাংশ হারে আন্তর্জাতিক কর দিতে হয়।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত আন্তর্জাতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের বিনিয়োগও হয় কেন্দ্রীয়ভাবে, আয়ও দেখানো হয় কেন্দ্রীভূত হিসেবে। ফলে বিশ্বের সব দেশেই ফেসবুক ব্যবহারকারী (ফেসবুক ব্লক করা চীনসহ দু-তিনটি দেশ ছাড়া) থাকলেও এবং সব দেশ থেকেই কম-বেশি আয় হলেও কোনো দেশেই কর দিতে হচ্ছে না ফেসবুককে। ফেসবুকের মতো অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ ও অনলাইন সেবা মাধ্যম গুগল, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্নাপচ্যাট, ওটিটি সেবা মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমো, গুগল ডুয়ো একইভাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং আয় করছে। তবে এ মুহূর্তে আয় ও সম্পদের স্থিতির হিসাবে এগিয়ে আছে গুগল। দ্বিতীয় স্থানে আছে ফেসবুক।

ফেসবুকের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী আগের মতোই ব্যবহারকারীপ্রতি সবচেয়ে বেশি আয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সে দেশে ব্যবহারকারীপ্রতি আয়ের পরিমাণ প্রায় ১৫৮ মার্কিন ডলার। ইউরোপের দেশগুলো থেকে ব্যবহারকারীপ্রতি গড় আয়ের পরিমাণ ৫১ মার্কিন ডলার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের তুলনায় চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ফেসবুকের বিজ্ঞাপন থেকে আয় বেড়েছে ২৮ শতাংশ, বিনিময়মূল্যের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা থেকে বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় মোট আয় বেড়েছে ২৯ শতাংশ এবং নিট মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ।

Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2019/11/21/841936

6
                                                                         এক অ্যাপেই ৫৬টি মন্ত্রণালয়ের সব সেবা

একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে কাজ করলে দ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। আর তাই ‘মাই গভর্নমেন্ট অ্যাপ’ নামের একটি অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যা কাজে লাগিয়ে শিগগিরই ৫৬টি মন্ত্রণালয়ের সব সেবা পাওয়া যাবে। ২০২১ সাল মুজিববর্ষ সামনে রেখে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সেবাগুলোকে ডিজিটাইজেশনের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করছে সরকার। জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ। শুক্রবার এলজিইডি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন পরিকল্পনা সমন্বয়করণ ও ডিজাইন ল্যাবের সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তিনি।

স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) আয়োজিত এ অনু্ষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানান, জনগণের হাতের মুঠোয় সরকারের সব সেবা পৌঁছে দিতে শিগগিরই স্থানীয় সরকার বিভাগকে ডিজিটাইজ করা হবে।

Source:  https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2019/11/24/842907

7
অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণের নাম হবে অ্যান্ড্রয়েড কিউ। সাধারণত ইংরেজি অক্ষরগুলোর ক্রমানুসারে মিষ্টান্নের নামে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন সংস্করণের নামকরণ করা হয়। গত বছরের আগস্টে অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারের নতুন সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড ৯ পাই এনেছিল গুগল। এবারে এর পরবর্তী সংস্করণ হিসেবে আসবে অ্যান্ড্রয়েড কিউ। তবে কিউ দিয়ে কোন মিষ্টান্নের নাম রাখা হবে, তা এখনো জানা যায়নি।

অ্যান্ড্রয়েড ১০ কিউ সংস্করণে অবশ্য বেশ কিছু নতুন ফিচার যুক্ত হবে বলে ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। এর মধ্যে বিশেষ ফিচার হবে ডার্ক মোড। এটি মূলত ব্যাটারির চার্জ বাঁচানোর জন্য আনতে যাচ্ছে গুগল। এর আগে অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ ললিপপ সংস্করণে মেটিরিয়াল ডিজাইন যোগ করার আগে সিস্টেমের বেশির ভাগ জায়গা কালো থাকত; বিশেষ করে সিস্টেম সেটিংস।

গুগল স্বীকার করেছে, শুধু ওএলইডি নয়, এলসিডি ডিসপ্লেতেও ডার্ক মোডে ব্যাটারি বাঁচে। তাই আবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে মেটেরিয়াল ডিজাইন বাদ দিয়ে ডার্ক মোডে ফিরে যেতে চাইছে তারা। অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি একাধিক অ্যাপেও ডার্ক মোড আসতে পারে।

গত বছর গুগলের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে অ্যান্ড্রয়েড কিউয়ের প্রিভিউ দেখায় গুগল। সেখানে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মাল্টিটাস্কিং ফিচারের কথা বলা হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাস নাগাদ কিউ সংস্করণ উন্মুক্ত করতে পারে গুগল।

8
                                      চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চীন



চাঁদের দক্ষিণ মেরু অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি অঞ্চল। অঞ্চলটি পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে মহাকাশে সম্প্রচারকাজের উপযোগী একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে চীন। আজ সোমবার সিচুয়ান রাজ্যের শিচ্যাং উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে দ্য কুয়িকিয়াও নামের ওই সম্প্রচার স্যাটেলাইট পাঠানো হয়। চীনের মহাকাশ গবেষণা কর্তৃপক্ষ (সিএনএসএ) বলছে, এ বছরে অভূতপূর্ব এক মিশনে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ ওই কৃত্রিম উপগ্রহ।

লং মার্চ-৪সি নামের একটি রকেটে করে কৃত্রিম উপগ্রহটি পাঠানোর ২৫ মিনিট পর সেটি পৃথক হয়ে যায় এবং সৌর প্যানেল ও যোগাযোগ অ্যানটেনা চালু করে। এটি গন্তব্যের দিকে যেতে শুরু করেছে।

কৃত্রিম উপগ্রহ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ঝ্যাং লিহুয়ার বরাতে বার্তা সংস্থা সিনহুয়া বলেছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ এবং ওই অঞ্চল পর্যবেক্ষণে চীনের এই উপগ্রহ পাঠানোর বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। পৃথিবীতে বসানো কন্ট্রোলারের সঙ্গে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটি চাঁদের ওই মেরুর বিভিন্ন তথ্য সম্প্রচার করতে পারবে। ওই সম্প্রচার করা তথ্যের ভিত্তিতে এ বছরের শেষ দিকে চেঞ্চ-৪ নামের একটি চন্দ্র রোবট পাঠানো হবে। রোবটটির নাম রাখা হয়েছে চীনের রূপকথার চাঁদের দেবীর নামের সঙ্গে।




চাঁদের অন্ধকার দিক হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ মেরুর পৃথিবী থেকে সরাসরি দেখা যায় না। ১৯৫৯ সালের প্রথম ছবি পাওয়ার পর থেকেও ওই অঞ্চলে অভিযান চালানো হয়নি। চেঞ্চ-৪ নামের ওই রোবট দক্ষিণ মেরুর আইকন বেসিনে অভিযান চালাবে। এটি হবে চাঁদে অবতরণকারী চীনের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। এর আগে ২০১৩ সালে ইয়তু নামের একটি চন্দ্রযান পাঠিয়েছিল দেশটি।

ইয়তু যানটি শুরুতে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হলে তা ব্যর্থ বলেই ধরে নিয়েছিল চীনা গবেষকেরা। তবে পরে এটি সক্রিয় হয়ে পৃথিবীতে সংকেত পাঠাতে শুরু করে এবং ৩১ মাস পর্যন্ত চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে সংকেত পাঠায়। এরপর থেকে সিএনএসএ চেঞ্চ-৫ নামের আরেকটি চন্দ্রযান পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু করেছে চীন। এটি চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনতে সক্ষম হবে।

চীন তাদের সেনাবাহিনী পরিচালিত মহাকাশ কর্মসূচিতে কোটি কোটি ডলার খরচ করছে। ২০২২ সাল নাগাদ স্পেস স্টেশন তৈরি করে ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি।

source:http://mybangla24.com/prothomalo-bangla-newspaper.php

9
গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। টেলিকমান্ড পাঠাতে সময় লাগবে আগামী ৮ থেকে ১২ দিন।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আমেরিকার ফ্লোরিডা স্পেস স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হয়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর গাজীপুরের গ্রাউন্ড স্টেশনে ওই স্যাটেলাইট থেকে আসা টেলিমেট্রি সংকেত পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই স্টেশন থেকে ওই স্যাটেলাইটে টেলিকমান্ড পাঠানো যাচ্ছে না। এটি পাঠাতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ দিন। এই কয়েক দিনের মধ্যে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার ওপরে ওঠার পর টেলিমেট্রি ও টেলিকমান্ড সমান্তরালে চালানো যাবে। এই কয়েক দিন স্যাটেলাইটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির কাছেই এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। পরে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ার প্রকৌশলীদের কাছে এর নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রাইমারি গ্রাউন্ড স্টেশনের ব্যবস্থাপক (স্যাটেলাইট প্রকৌশলী) মো. নাসিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমরা একটি টেলিমেট্রি সংকেত পাচ্ছি। কিন্তু সেটি সরাসরি নয়, ফ্রান্সের কান থেকে বিপিএনার মাধ্যমে। স্যাটেলাইটটি আগামী ১২ দিন ফ্রান্সের কান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ১২ দিন পর গাজীপুর ও বেতবুনিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’

গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় পাঁচ একর জমির ওপর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১–এর গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি হয়েছে।

নানা কারণে বেশ কয়েকবার পেছানোর পর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হলো।

এর আগে বাংলাদেশ সময় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৭ মিনিটে বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মিনিটে এসেই থমকে যায় সেকেন্ডের কাঁটা। রকেটের যাত্রা (স্টার্টআপ মোড) শুরু হওয়ার সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে তা বন্ধ হয়ে যায়। জানানো হয়, বৃহস্পতিবার রাতে আর উড়ছে না বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। ঘোষণা করা হয়, শুক্রবার ফের চালু হবে কাউন্টডাউন। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাত ২টা ১৪ মিনিট থেকে শনিবার ভোররাত ৪টা ২১ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় তখন।

স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানোর কাজ করছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। তাদের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে বঙ্গবন্ধু-১ যাত্রা শুরু করে। এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশের গাজীপুর থেকে। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি করা হয়েছে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন। বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডাইরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।

source:http://mybangla24.com/prothomalo-bangla-newspaper.php

10

                                                                                     বাংলাদেশে বেকারের হার বেশি

আইএলওর প্রতিবেদন
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বেকারত্বের হার বাংলাদেশেই বেশি। ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা ও ভুটান এ হার কমিয়ে এনেছে। ভারতে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বেড়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও নেপালে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০১৮’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বিশ্বজুড়ে বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি কিংবা আগামী বছরেও হারটি কমবে না। দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বেকারের সর্বোচ্চ হারের দিক থেকে বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে। তবে বাংলাদেশের চেয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান ও দ্বীপদেশ মালদ্বীপে বেকার মানুষের হার বেশি।

আরও বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতি মন্দা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে কর্মবাজারে কাজ খুঁজতে আসা মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে। ফলে বেকারত্বের পরিস্থিতির বিশেষ কোনো পরিবর্তন হবে না।

আইএলওর প্রতিবেদন বলছে, ২০১৭ সালে বৈশ্বিক বেকারত্বের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়াবে। বিশ্বব্যাপী বেকার মানুষের সংখ্যা দাঁড়াবে ১৯ কোটি ২০ লাখে। চলতি বছর বেকারত্বের হার কমে সাড়ে ৫ শতাংশ হতে পারে। তবে কর্মবাজারে কাজ খুঁজতে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়বে। ফলে সংখ্যার দিক দিয়ে বেকারত্বের হার গত বছরের চেয়ে বেশি হবে। ২০১৯ সালেও বেকারত্বের হার কমবে না। বেকার মানুষের সংখ্যা ১৩ লাখ বাড়তে পারে।

আইএলওর প্রতিবেদনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কে বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের দেশগুলো বেশি হারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে। বৈশ্বিক হারের চেয়ে এ অঞ্চলে বেকারত্বের হারও কম থাকবে। গত বছরও এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বেকারত্বের হার ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি ও আগামী বছর বেকারের হার একই থাকবে। তবে ২০১৬ সালে এই অঞ্চলে বেকারত্বের হার আরও কম, অর্থাৎ ২ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল। তখন সংখ্যার দিক দিয়ে বেকার মানুষ ছিল ৯৮ লাখ।

বৈশ্বিক কর্মসংস্থান সম্পর্কে আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেন, বৈশ্বিক বেকারত্বের হার স্থিতিশীল হলেও শোভন কাজের এখনো ব্যাপক। বিশ্ব অর্থনীতি এখনো পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে না। আবার কর্মজীবীদের কাজের মান উন্নত করতে বাড়তি উদ্যোগ দরকার, যাতে অর্থনৈতিক উন্নতির ভাগ সবাই পায়।

আইএলও নিয়ম মেনে বাংলাদেশে শ্রমশক্তি জরিপে সপ্তাহে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজের সুযোগ না পাওয়া কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে বেকার হিসেবে গণ্য করা হয়। আইএলও প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বেকারত্ব নিয়ে তুলনামূলক চিত্র নেই। তবে প্রতিবেদনের সঙ্গে আইএলও একটি তথ্যভান্ডার দিয়েছে, যেখান থেকে বিভিন্ন দেশের মোট শ্রমশক্তি, বেকারত্বের হার, নাজুক কর্মসংস্থানের হার ইত্যাদি পাওয়া যায়। এ তথ্যভান্ডার তৈরি করা হয়েছে সর্বশেষ প্রাপ্ত উপাত্ত ও পূর্বাভাসের ভিত্তিতে।

আইএলওর তথ্যভান্ডার অনুযায়ী, সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশে সবচেয়ে কম বেকারত্বের হার ছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে তা বাড়ছে। ওই বছর মোট শ্রমশক্তির ৩ দশমিক ৪ শতাংশ বেকার ছিল, যা ২০১৬ সালে ৪ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একই বছর ভারতে বেকারের হার ছিল সাড়ে ৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ, নেপালে ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং ভুটানে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।

আইএলওর হিসাবে ২০১০ সালে বাংলাদেশে ২০ লাখ লোক বেকার ছিল। ২০১২ সালে ছিল ২৪ লাখ। ২০১৬ সালে তা ২৮ লাখে উঠেছে। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ৩০ লাখে ওঠার আশঙ্কা করছে আইএলও।

এদিকে ২০১২ সালের পর থেকে বিশ্বে নাজুক কর্মসংস্থানের হারটি কমে আসছে। তারপরও গত বছর ৪২ শতাংশ বা ১৪০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান নাজুক ছিল। তবে উন্নয়নশীল ও উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোতে নাজুক কর্মসংস্থানের হার যথাক্রমে ৭৬ ও ৪৬ শতাংশ। আগামী দুই বছরে নাজুক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ১ কোটি ৭০ লাখ বাড়বে বলে আইএলওর প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

বেকারত্বের হার বেশি হলেও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশে নাজুক (ভালনারেবল) কর্মসংস্থানের হার কম। আইএলও তথ্যভান্ডার মতে, বর্তমানে বাংলাদেশের কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা ৬ কোটি ২৫ লাখ। এর মধ্যে ২০১৬ সালে ৫৮ শতাংশ কর্মসংস্থান ছিল নাজুক। ভারতের ক্ষেত্রে হারটি ৭৮ শতাংশ, পাকিস্তানে ৬০ শতাংশ, নেপালে ৭৯ শতাংশ, ভুটানে ৭১ শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কায় ৪০ শতাংশ। আনুষ্ঠানিক চুক্তিহীন কাজকে আইএলও নাজুক শ্রেণিতে ফেলে, আর এই শ্রেণিতে পড়ে সাধারণ দিনমজুর, গৃহকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিরা।

এদিকে বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের ৯০ শতাংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক। কম্বোডিয়া ও নেপালে একই অবস্থা। মূলত কৃষি খাতে কর্মসংস্থান বেশি হওয়ায় এসব দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের হার বেশি। তবে অকৃষি খাত, যেমন নির্মাণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, হোটেল ও খাদ্যসংক্রান্ত সেবাশিল্পে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের হার বেশি হয়ে থাকে। চীনের মতো দেশেও ৫০ শতাংশ শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন। আইএলও বলছে, কর্মসংস্থানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত বেশি থাকার মানেই হচ্ছে দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য তা বাধা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো নাজনীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার হিসাব দিয়ে বেকারত্বের সত্যিকার চিত্র মিলবে না। ফলে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ নয়, বাংলাদেশের বেকারত্বের হার আরও অনেক বেশি। তিনি বলেন, বিবিএসের খানা আয় ব্যয় জরিপেই তো দেখা যায়, আয়বৈষম্য অনেক বেশি। সেই বৈষম্য ধনী-দরিদ্রের। বৈষম্যের বড় কারণ হচ্ছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হলেও উৎপাদন খাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না।

Source:www.prothomalo.com/economy/article/1416121/বাংলাদেশে-বেকারের-হার-বেশি

11
                                                                ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাবেন যেভাবে

এখনকার সময়ে ক্যারিয়ারের অগ্রগতি অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে তরুণ চাকরিজীবীদের জন্য। পড়াশোনা শেষে বেশির ভাগ তরুণই অধৈর্য হয়ে পড়েন এবং অনেক সময় পেশায় স্থির হওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাঁরা হতাশও হয়ে পড়েন। তাই তাঁদের জন্য কিছু পরামর্শ উল্লেখ করা হচ্ছে, যা তাঁদের কর্মজীবন পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

স্মার্ট সিভি তৈরি
সিভি সব সময়ই আপনাকে এবং আপনার দক্ষতা ও জ্ঞানকে প্রতিফলিত করে। নবীন যাঁরা তাঁদের উদ্দেশে বলছি, আপনাদের উচিত হবে না অনেক কিছু সিভির মধ্যে উল্লেখ করা। আপনাদের অবশ্যই একটি কাভার লেটার সংযুক্ত করতে হবে, যেখানে আপনি উল্লেখ করতে পারবেন, আপনি একজন নবীন। যে কারণে চাকরিতে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু আপনি সেখানে বলতে পারবেন, আমি একজন ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট এবং ছাত্রাবস্থায় আমি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমি দ্রুত কাজ শিখতে এবং নতুন কিছু শেখার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে মনোনিবেশ করতে পারি। বড় হওয়ার জন্য আমার মধ্যে প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা কাজ করে। আমি বিশ্বাস করি, যদি আমি আপনার প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাই, বড় কোনো অবদান রাখার মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করতে পারব। আপনাকে মনে রাখতে হবে, সিভিতে প্রকৃত অবস্থান উল্লেখ করার মাঝে কোনো ভুল নেই। নিজের চিন্তাভাবনার ব্যাপারে সততা সব সময়ই অন্যের মাঝে ইমপ্রেশন তৈরি করে।

ইন্টারভিউর মুখোমুখি হওয়া
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে, আপনি যখন কোনো ইন্টারভিউ বোর্ডে যাবেন, তখনই ইন্টারভিউ যাঁরা নেন তাঁরা প্রথম দেখায় আপনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। মনে রাখতে হবে, প্রথম ইমপ্রেশনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই অবশ্যই আপনাকে মার্জিত পোশাক পরতে হবে। ইন্টারভিউয়ে নিজের স্মার্টনেস প্রকাশ করবেন কিন্তু কখনো ওভার স্মার্ট হবেন না। প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে স্মার্ট ও যথাযথভাবে। যেই প্রশ্নের উত্তর আপনি জানেন, সেগুলোর ব্যাখ্যা দেবেন উদাহরণসহ। আপনি যদি কোনো উত্তর জেনে না থাকেন, সে ক্ষেত্রে বলতে পারেন, সরি স্যার, আমার কোনো ধারণা নেই। মনে রাখবেন, সবকিছু জানা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ডে আপনার স্মার্ট ও কনফিডেন্ট (ওভার কনফিডেন্ট নয়) উত্তর খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিজের কাজ সম্পর্কে জানা
আপনাকে অবশ্যই নিজের কাজ ও দায়িত্ব সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানতে হবে; কী করতে হবে এবং কী করা যাবে না। কাজটাকে বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি দ্রুত কাজ সম্পর্কে না জানেন, তাহলে আপনার জন্য নিজের কাজে কোনো অবদান রাখাটা কঠিন হয়ে পড়বে। একজন ফ্রেশার হিসেবে আপনি কম জানতেই পারেন কিন্তু আপনাকে কাজ করতে হবে সিনসিয়ারলি, যাতে আপনি নিজের কাজটা খুব দ্রুত শিখতে পারেন। কাজের ব্যাপারে আপনাকে হতে হবে পেশাদার।

প্রতিষ্ঠানকে বোঝা
যেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করবেন সেই প্রতিষ্ঠানকে বোঝা খুব জরুরি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই ভিন্ন—সেটা সরকারি, মাল্টিন্যাশনাল অথবা জাতীয় হোক না কেন। প্রাথমিক ধাপে নিজেকে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতি বা লক্ষ্যের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোটাই উত্তম। ব্যবসা ও কাজের ওপর নির্ভর করে তরুণদের উচিত ধাপে ধাপে নিজেদের খাপ খাওয়ানো। এ ক্ষেত্রে তাদের উচিত সিনিয়র, সহকর্মীদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়া। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কঠোর পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই। কিন্তু এটাও সত্যি, কেবল কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয় নিজের উন্নতির জন্য। কাজ সম্পন্ন করার জন্য আপনাকে হতে হবে স্মার্ট। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই তাঁদের দিকেই মনোনিবেশ করে, যাঁরা তাদের কাজের ব্যাপারে নিবেদিত। মনে রাখবেন, ১০০ ভাগ কাজ করা মানে এই নয় যে তিনি তাঁর পরবর্তী ধাপের জন্য উপযুক্ত। ১০০ ভাগ কার্যোপযোগীর মানে হলো, তিনি তাঁর বর্তমান অবস্থানের জন্য যোগ্য। সুতরাং আপনাকে একটু বেশি কাজ করতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠান আপনাকে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য যোগ্য মনে করে।

Source:www.prothomalo.com/life-style/article/1417546/ক্যারিয়ারে-এগিয়ে-যাবেন-যেভাবে

12

                                                                           আইফোনে আসছে নতুন সুবিধা

আইফোন টেনের উৎপাদন বন্ধের গুঞ্জনে মন ভেঙেছে অনেক অ্যাপল-ভক্তের। তাই শুধু আইফোন টেন নয়, সব আইফোন ব্যবহারকারীর জন্যই ভালো খবর দিতে চায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ইনকরপোরেটেড। সে জন্য আইফোনটি অবশ্য আইওএস ১১ সমর্থক হতে হবে।
অ্যাপল শিগগিরই আইওএস ১১-এর নতুন সংস্করণ ১১.৩ উন্মোচন করতে যাচ্ছে। নতুন এ সংস্করণটিতে এমন কিছু সুবিধা যোগ করা হচ্ছে যা ব্যবহারকারীর আইফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করে তুলবে। গত বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে খবরটি প্রকাশ করে অ্যাপল।
পুরোনো মডেলের আইফোনগুলো ধীরগতির করে দেওয়ার খবর ফাঁসে সম্প্রতি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে অ্যাপল। আইফোনের সে মডেলগুলোর ব্যাটারি যেন প্রসেসরকে ক্ষতিগ্রস্ত না করতে পারে, তাই এমনটা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে অ্যাপল। তাই নতুন আইওএস সংস্করণে তা বন্ধের সুবিধা যোগ করা হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাটারির জন্য স্মার্টফোন ধীরগতির হবে কি না, তা এখন ব্যবহারকারীর ইচ্ছাধীন।
এ ছাড়া আইওএসের নতুন সংস্করণে হেলথ-রেকর্ডস নামের সুবিধা যোগ করা হয়েছে। অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার শারীরিক অবস্থার তথ্য জানতে পারবে। একই সঙ্গে ওষুধ, স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন, এমনকি শরীরে অ্যালার্জির অবস্থাও জানা যাবে। নতুন সংস্করণে অগমেন্টেড রিয়ালিটি সমর্থন উন্নয়ন করা হবে। যা দেয়াল বা অনুরূপ তল শনাক্ত করতে পারবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাহায্যে দ্বিমাত্রিক বস্তু শনাক্ত করতেও নিজে থেকেই শিখবে এটি।
নতুনত্ব আসছে আইমেসেজেও। ব্যবসায়িক কথাবার্তা এবং মিটিংয়ের সময় নির্ধারণ করা যাবে আইমেসেজের নতুন সংস্করণে। লেনদেন অ্যাপ অ্যাপল পের নতুন সংস্করণ থাকবে। আর আইফোন টেন ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে নতুন অ্যানিমোজি চরিত্র।

source:www.prothomalo.com/technology/article/1419126/আইফোনে-আসছে-নতুন-সুবিধা

13
                                   Global brand to pay $2.3m for worker safety in Bangladesh garment sector

In a victory for labour unions, a global clothing brand has agreed to pay $2.3 million to meet fire and building safety regulations in 150 garment factories across its supply chain in Bangladesh, unions said Monday.

The settlement is one the largest payments made by a brand to remedy workplace dangers in Bangladesh, the unions said in a statement.

Dangerous working conditions and low wages have long been a concern in Bangladesh’s garment industry, which suffered one of the worst industrial accidents in 2013, when more than 1,100 people were killed in the collapse of the Rana Plaza complex.

The unions took the brand - which cannot be named under the terms of the settlement - to the Permanent Court of Arbitration in the Hague, arguing the company had not made it financially feasible for its factories to fix safety issues, endangering the lives of thousands of workers.

From a lack of fire alarms, sprinkler systems and fire doors to not separating flammable materials from the factories' boiler rooms, the unions listed numerous safety lapses.

"The settlement makes real resources available to over 150 factories so they can finally make the necessary repairs that were needed years ago," Christy Hoffman of UNI Global Union said in a statement.

The settlement was reached through an arbitration process under the legally-binding Bangladesh Accord for Fire and Building Safety.

"Under the Accord, brands must shoulder some of the financial responsibility for fixing the Bangladeshi factories that manufacture their products," said Hoffman.

Unions reach $2.3m settlement on Bangladesh textile factory safety
Landmark deal means multinational apparel brand will pay up following delays over fixing hazards at its factories
The brand will also contribute $300,000 to a fund created by UNI Global Union and Industrial. All Global Union to improve pay and conditions for workers in global supply chains.
The unions are fighting other similar cases and hope this brand's financial commitment will serve as an example for others to follow.
The Accord, established after the Rana Plaza disaster, has nearly 200 signatory clothing brands and retailers from over 20 countries, covering 2.5 million workers in Bangladesh's ready-made garment industry.

Accord inspectors have carried out inspections of more than 1,800 factories supplying over 200 brands, identifying over 118,500 fire, electrical, and structural hazards, unions said.

"Brands have never really accepted responsibility for the working conditions or said sorry for the numerous accidents that keep occurring in these factories," said Sultan Uddin Ahmed of the Bangladesh Institute of Labour Studies.

"This is a good example because brands need to contribute to the improvement of workers' conditions," he told the Thomson Reuters Foundation by phone from Dhaka.


Source: http://www.thedailystar.net/business/global-brand-pay-usd-23-million-worker-safety-bangladesh-garment-rmg-sector-uni-global-union-rana-plaza-1523905

14
                                                                     
                                                                                           মেসেঞ্জার ব্যবহারকারী এখন ১৩০ কোটি


প্রতি মাসে সক্রিয়ভাবে ফেসবুকের মেসেঞ্জার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩০ কোটি ছাড়িয়েছে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে সম্প্রতি এ ঘোষণা এসেছে।

২০১৬ সালের জুলাই মাসে মাসিক হিসাবে মেসেঞ্জারের সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটি পার হয়েছিল।
শুক্রবার ফেসবুকের এক পোস্টে বলা হয়েছে, মেসেঞ্জারকে যতটা উন্নত করা যায়, তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। নতুন ফিচার, ফিল্টার, ভিডিও চ্যাটের জন্য রিঅ্যাকশনসহ ভার্চ্যুয়াল এই ব্যক্তিগত সহকারীকে বিশ্বের আরও অনেক জায়গায় সহজলভ্য করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
১৩০ কোটি ব্যবহারকারী হওয়ায় এটি এখন ফেসবুকের অধীনে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারের সমান ব্যবহারকারী হয়ে গেল। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ১৩০ কোটি।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মেসেঞ্জারে ইনস্ট্যান্ট গেম আনা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশে মেসেঞ্জার লাইট সংস্করণটি চালু করা হয়েছে। ইনবক্সটি নতুন করে সাজানো হয়েছে যাতে সব প্রিয় ফিচারগুলো সামনে থাকে ও সহজে ব্যবহার করা যায়।
গত জুন মাসে ফেসবুকে ২০০ কোটি ব্যবহারকারীর কথা জানান ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ।
মাসের হিসাবে ফেসবুকের অধীনে থাকা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী সংখ্যা ৭০ কোটি এর মধ্যে ২০ কোটি ব্যবহারকারী স্টোরিজ ফিচারটি ব্যবহার করে। ইনস্টাগ্রামের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৬ কোটি ৬০ লাখ।
মেসেঞ্জারে ১৩০ কোটির মাইলফলক ছোঁয়ায় মেসেঞ্জার কমিউনিটির সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।

source:http://mybangla24.com/prothomalo-bangla-newspaper.php

15
                                                             শিল্পের সাফল্য যন্ত্রে নয় শ্রমিকে, নজির বাংলাদেশ

চোখ ধাঁধানো সাফল্য বাংলাদেশ ২০ বছর ধরে দেখছে। এর ফলে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হয়েছে এবং দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে অর্ধেকেরও বেশি। মূলত পোশাকশিল্পে ভর করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। চীন এ ক্ষেত্রে যখন পিছিয়ে পড়ছে, বাংলাদেশ কয়েক দশক ধরে তুলনামূলক সুবিধাজনক অবস্থানটি ধরে রেখেছে। হংকং থেকে প্রকাশিত পত্রিকা এশিয়া টাইমস গতকাল শনিবার ‘বাংলাদেশ এ টেস্ট ফর দ্য নেক্সট ওয়েভ অব ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করে। এ ছাড়া চলতি সপ্তাহেই ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক ফিন্যানশিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে সাংবাদিক

 রবিন হারডিং লেখেন, ‘বাংলাদেশের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে অন্যান্য দেশও চীনের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে। ’ ‘উৎপাদকরা দল বেঁধে উড়ে যাচ্ছে এশিয়ার নতুন নতুন ভূখণ্ডের দিকে’ শিরোনামের এই লেখায় ব্যবহৃত ইনফোগ্রাফে দেখা যায়, বিশাল জনসংখ্যার দেশ চীনের তারকাখচিত লাল পতাকার পাখির সঙ্গে প্রায় সমানতালে উড়ে যাচ্ছে ছোট্ট দেশ বাংলাদেশের লাল-সবুজ রঙের উন্নয়নের রাজহাঁস।

ফিন্যানশিয়াল টাইমসের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্লকস টু নিউ কর্নারস অব এশিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২০ বছরে অর্থনীতিতে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কয়েক দশক আগেও যে দেশটির পরিচয় ছিল দরিদ্র ও দুর্ভিক্ষপীড়িত, সেই দেশটি এখন মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। একইভাবে এগোচ্ছে ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া। বাংলাদেশসহ এসব দেশের লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধি বলে দিচ্ছে একবিংশ শতাব্দীকে নতুন আকার দিতে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন নতুন শক্তির উদয় হচ্ছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ গার্মেন্ট রপ্তানিকারক দেশ উল্লেখ করে ফিন্যানশিয়াল টাইমস লিখেছে, পোশাকশিল্পে লাখ লাখ নারী কাজ করছে। এই শিল্পের সুবাদেই নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে। এশিয়া টাইমস লিখেছে, শিল্পে যন্ত্রের স্বয়ংক্রিয় ব্যবহার ঘটিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারণার চেয়ে কায়িক শ্রমই যে বেশি কার্যকর তার উজ্জ্বল প্রমাণ বাংলাদেশ। সহজভাবে বললে, অটোমেশন তথা যন্ত্র যে এখনো মানবহস্তের যোগ্য বিকল্প হয়ে ওঠেনি তার উদাহরণ বাংলাদেশ।

দুটি প্রতিবেদনেই বলা হয়, স্থানীয় মজুরি বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চীনের কারখানাগুলো এখন ব্যাপকভাবে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ও রোবটে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু এই কৌশল খুব একটা কাজে দেবে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ যেভাবে নিপুণ হাতে কাজ করে, সেই জায়গায় আসতে রোবটের হয়তো বা আরো কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। ফলে পোশাকের মতো অনেক সম্ভাবনাময় খাতে রোবটের খুব বেশি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ এসব খাতে ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত পণ্যে ডিজাইনসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনতে হয়। আর এ জন্য আগামী দিনগুলোতেও দক্ষ-অদক্ষ শ্রমের ওপর নির্ভর করতে হবে। সেখানেই সম্ভাবনা দেখাচ্ছে বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ।

ফিন্যানশিয়াল টাইমস লিখেছে, চীনের বিকল্প হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। এ ক্ষেত্রে মূল্য সুবিধার দিক থেকে বাংলাদেশই এগিয়ে যাচ্ছে। চীন যেভাবে উন্নত দেশগুলোকে পেছনে ফেলে ম্যানুফ্যাকচারিং সাফল্য অর্জন করেছে, সে পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশও। ফিন্যানশিয়াল টাইমস মনে করে, বাংলাদেশের বর্তমান যে সাফল্য তার অনুকরণ করে আরো অনেকে চীনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে পারে। মধ্য অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের পর থেকেই উৎপাদন হয়ে উঠেছে দারিদ্র্য থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রার মাধ্যম। যেহেতু পথটি এখনো খোলা, উন্নয়নের রাজহাঁসগুলো ডানা মেলতেই পারে এক দেশ থেকে আরেক দেশে .


Source:http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2017/08/13/531078

Pages: [1] 2