Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Kanij Nahar Deepa

Pages: 1 [2] 3 4 ... 20
16
Pharmacy / শিশুর জিভের সাদা দাগ
« on: December 12, 2013, 09:38:22 AM »
মাঝেমধ্যে শিশুদের, বিশেষ করে যারা ফিডার বা বোতলে দুধ খায়, জিভে সাদা আস্তরণ পড়ে। কেবল জিভে নয়, ঠোঁট ও গালের ভেতরের দিকেও দইয়ের মতো সাদা প্রলেপ দেখা যেতে পারে। এটি চিকিৎসা বিজ্ঞানে ওরাল থ্রাশ নামে পরিচিত। ক্যানডিডা নামের ছত্রাক জাতীয় জীবাণুর আক্রমণে এটি হয়ে থাকে। শিশুর মুখের এই ক্ষত জোর করে তোলার চেষ্টা করলে ক্ষতস্থান থেকে রক্তপাত হতে পারে।

ফিডারে বা বোতলে দুধ খাওয়া ছাড়াও যেসব নবজাতক শিশু অকালজাত, স্বল্প ওজনে ভূমিষ্ঠ তাদের মাঝে ক্যানডিডা সংক্রমণের হার বেশি। শিশুকে ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনো কারণে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলেই ছত্রাক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

মুখের থ্রাশের চিকিৎসা জরুরি। চিকিৎসা নিতে দেরি হলে অনেক সময় এই সংক্রমণ সারা দেহে বা রক্তে ছড়িয়ে যেতে পারে। কার্যকর চিকিৎসা হিসেবে এক শতাংশ জেনশিয়ান ভায়োলেট ব্যবহার করা যায়। শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো নাইস্ট্যাটিন বা এ ধরনের অ্যান্টি ফাঙ্গাল জাতীয় ওষুধে সুফল মেলে। তবে মায়ের স্তনের বোঁটায় যদি একই ছত্রাক জীবাণুর সংক্রমণ থাকে, তবে তার চিকিৎসা একই সময়ে করতে হবে। নয়তো শিশুর সংক্রমণ ভালো হবে না। l


17
মিসরের শৌখিনদার সম্রাটরা খুব যত্ন করে খেতেন বাঁধাকপি। বোঝাই যাচ্ছে, শত শত বছর আগে থেকে এটি খাওয়া হয়। এটি যেমন সহজলভ্য, দামেও সস্তা। শীতে বাজার সয়লাব হয় বাঁধাকপিতে। আর এই বাঁধাকপির গুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদের কাছ থেকে। তিনি বলেন, ‘অনেক পুষ্টিগুণের সমাহার হলো বাঁধাকপি। সবজিটি নানা ধরনের ভিটামিনে সমৃদ্ধ। আছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। ক্যালশিয়াম, আয়রন, সালফার, ফসফরাসসহ আছে প্রয়োজনীয় সব খাদ্য উপাদান।’

ওজন কমায়
এতে আছে টারটারিক অ্যাসিড। চিনি ও শর্করা রূপান্তর হয়ে শরীরে যে চর্বি জমে, টারটারিক অ্যাসিড এই চর্বি জমতে বাধা দেয়। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বাঁধাকপি রাখুন।

মাথাব্যথা দূর করতে

যাঁদের মাঝেমধ্যেই বিনা নোটিশে মাথা ধরে, তাঁরা প্রতিদিন অন্তত একবেলা বাঁধাকপি খান। মাথাব্যথা দূর হবে।

হাড়ের ব্যথা দূর করতে


বাঁধাকপির আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ। হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা প্রশমনেও তাই বাঁধাকপি অনন্য।

রক্তস্বল্পতা দূর করে

এই সবজিতে আছে প্রচুর আয়রন। তাই যাঁদের রক্তস্বল্পতা আছে, বাঁধাকপি তাঁর জন্য অবশ্য খাদ্য।

ত্বকের সুরক্ষায়

সব ধরনের ত্বকের সুরক্ষা দেয় বাঁধাকপি। একদিকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, তেমনি ত্বকের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।

তারুণ্য ধরে রাখে

বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিনগুলো শরীরের রক্তনালিগুলোকে সবল ও শক্তিশালী রাখে। এ জন্য মুখে বয়সের ছাপ পড়ে খুব ধীরে।

18
জন্মদিন বা বিয়ের মতো আনন্দময় কোনো অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্ত ক্যামেরায় ধরে রাখতে চান অনেকেই। কিন্তু ছবি তোলার প্রতি এ রকম অতি আগ্রহ একজন মানুষের স্মৃতিশক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন গবেষকেরা এমনটিই দাবি করছেন। 

সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্দৃষ্টি ও দুই চোখের সমন্বয়ে কোনো কিছু দেখা আর প্রযুক্তির সহায়তায় তা দেখার মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। চিরায়ত এ ধারণাটিকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কানেটিকাট অঙ্গরাজ্যের ফেয়ারফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা চালান। এতে দেখা যায়, যদিও মনে রাখার উদ্দেশ্যেই মানুষ ক্যামেরায় ছবি তোলে, কার্যত এতে স্মৃতিধারণক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি। অন্যদিকে, খালি চোখে নিবিড়ভাবে কোনো কিছু দেখলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা জোরালো।

সংশ্লিষ্ট শীর্ষ গবেষক লিন্ডা হেনকেল বলেন, তাঁদের এ গবেষণার ফলাফল বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে, যারা ফেসবুক-টুইটারজাতীয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাৎক্ষণিক ছবি বিনিময়ে অতিরিক্ত ব্যস্ত সময় কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।

গবেষণায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের দুটি দলে ভাগ করা হয়। তাদের একদল একটি জাদুঘর পরিদর্শনকালে বিভিন্ন নিদর্শনের ছবি ক্যামেরায় ধারণ করে। অপর দলটি খালি চোখে নিদর্শনগুলো দেখে। পরে দেখা যায়, প্রথম দলটির সদস্যরা ওই সব নিদর্শন সম্পর্কে বিস্তারিত স্মরণ করতে গিয়ে তুলনামূলক ব্যর্থতার পরিচয় দেন। এএফপি।

19
যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্যের জন্য খ্যাতি রয়েছে তেলাপোকার। এরা তেজস্ক্রিয়তা সহ্য করতে পারে; এমনকি মাথা ছাড়াও এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিব্যি বেঁচে থাকে প্রাণীটি। কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, প্রাণীটির প্রচণ্ড ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পেরিপ্লানেটা জাপোনিকা নামের এক প্রজাতির তেলাপোকার খোঁজ মিলেছে, যারা বরফ জমে যাওয়ার উপযোগী তাপমাত্রায় টিকে থাকতে পারে। প্রজাতিটির বিস্তারিত বৈশিষ্ট্য ও বিবরণ জার্নাল অব ইকোনমিক এনটোমোলজি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, আমেরিকায় ওই প্রজাতিটির বংশবিস্তার সম্ভবত এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে। শীতকালটা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি তাপমাত্রায় অতিবাহিত করে এই তেলাপোকা। ইনডিপেনডেন্ট।

20
Astronomy / রাশিফল নির্দোষ মজা নয়
« on: December 12, 2013, 09:31:45 AM »
রাশিফলের প্রতি কেউ কেউ গভীর বিশ্বাস রাখেন। আবার অনেকে নিয়মিত রাশিফল পড়েন শুধু নির্দোষ মজা পাওয়ার জন্য। তবে কেবল বিনোদনের জন্য রাশিফল পড়লেও কখনো কখনো তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে দাবি করছেন একদল মার্কিন বিশেষজ্ঞ। এ-সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব কনজিউমার রিসার্চ সাময়িকীতে। এতে বলা হয়, নিজের রাশিফলে নেতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণী দেখে প্রভাবিত হয়ে অনেকে আবেগতাড়িত আচরণ করতে পারে। বিশেষ করে ভাগ্য পরিবর্তন-প্রত্যাশীরা এসব ক্ষেত্রে বেশি প্রভাবিত হয়। তখন তারা এমন সব আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নেয়, যা তাদের স্বাভাবিক অবস্থায় অকল্পনীয়। আর শেষ পর্যন্ত পরিণামটা তাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়ে। টেলিগ্রাফ।

21
Pharmacy / Re: Allergy
« on: December 12, 2013, 09:28:45 AM »
Thanks for the helpful information..

22
tough to maintain..:(

23
Place / পোখারায়...
« on: December 04, 2013, 10:43:22 AM »
কাঠমান্ডু থেকে ট্যুরিস্টবাসে পোখারা। সাত ঘণ্টার পথ। পথ মানে শুধু পথ নয়, যেন নিসর্গের সঙ্গে আলাপ করতে করতে এগিয়ে চলা। এই ভোরেই জেগে উঠেছে কাঠমান্ডু। প্রাচীনতার পরশ মেখে আধুনিকতার দিকে তাকিয়ে আছে শহরটা। পুরোনো-নতুনের ভারসাম্য রক্ষা করে এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে।

একটা ঢালু পথ পার হওয়ার পরই আমরা যেন চলে এলাম অন্য জগতে। এলিস যেমন বুঝতে পারেনি, কী করে এসে হাজির হলো ‘ওয়ান্ডারল্যান্ডে’, তেমনি আমরাও হঠাৎ দেখি, ধুলোমলিন কাঠমান্ডুর জায়গায় এখন আঁকাবাঁকা, উঁচু-নিচু, খাড়া-ঢালু এক আশ্চর্য পথ, যার একদিকে সুউচ্চ পাহাড়, অন্যদিকে গিরিখাদ। আর মাঝে মাঝেই বাসের ডানে বা বাঁয়ে এসে হাজির হচ্ছে খরস্রোতা নদী—একবার ত্রিশুলি, একবার মারশিংডি।

বাসেই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল সকাল-দুপুরের খাবারের টিকিট। ঘণ্টা দুয়েক চলার পর একটি রেস্তোরাঁয় নাশতার জন্য থামলাম আমরা। বুফে ব্যবস্থা। সবজিরই রকমফের। সঙ্গে মুরগিও আছে। রেস্তোরাঁ-লাগোয়া একটি মুদি দোকান। পাহাড়ি এক নারীর হাতে দাঁড়িপাল্লা। চাল-ডালের পাশাপাশি পাহাড়ি পেয়ারা আর নাশপাতিও বিক্রি করছেন তিনি। তখনো আমাদের হাতে নেপালি টাকা নেই। ডলারে কেনা হলো ফল। ডাঁসা কচকচে নাশপাতিগুলো মুখে দিতেই পাওয়া গেল অমৃতের স্বাদ। আর পেয়ারা! সত্যিই, এ রকম সুস্বাদু পেয়ারাও চোখে পড়েনি অনেক দিন।

নেপাল মানেই মোমোআপনি যদি ভ্রমণপিয়াসী হয়ে থাকেন, তাহলে নৈসর্গিক সৌন্দর্য আপনার দুচোখ বন্ধ করতে দেবে না। পাহাড়, নদী আর অরণ্য আপনাকে মোহিত করে তুলবে।

পোখারার বাসস্ট্যান্ডটি ছোট। আমরা যে সময় গিয়েছিলাম, সেটা ‘সিজন’ ছিল না। তাই পর্যটক দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছে হোটেলের এজেন্টরা। কার হোটেল কত ভালো আর কত সস্তা, তা বর্ণনা করে যাচ্ছে। ঠিক করা ছিল ল্যান্ডমার্ক হোটেলে উঠব আমরা। ফেউয়া লেক ঘেঁষেই হোটেল। লিফট নেই। আমাদের ঠাঁই হলো একদিককার পঞ্চমতলায়। পঞ্চমতলায় বাসযোগ্য দুটো রুম। দুটোই আমাদের দখলে। ঘর দুটোর সামনে বিশাল ছাদ। সেখানে দোলনা। আর সেই ছাদ থেকে সামনের দিকে তাকালেই লেকের ওপর পাহাড়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা মেঘ চোখে পড়বে।

পোখারায় পৌঁছে কোথায় পালাল ক্লান্তি। হোটেলের পাশেই টাকা ভাঙানোর বুথ। অল্পকিছু ডলার ভাঙিয়ে রাস্তার ধারের সারি সারি দোকান পর্যবেক্ষণে বের হই। সমৃদ্ধ বইয়ের দোকান দেখে মন ভরে যায়। দুটি বই কেনা হয়। নেপালের নামকরা পাশমিনা (শীতে গায়ে পরার চাদরবিশেষ) দেখে বিমোহিত হই। এত হালকা, অথচ কী গরম ধরে রাখে চাদরগুলো! বুদ্ধের কারুকাজ করা কাঠের মূর্তি, মুক্তা, পাথরের মালা, নেপাল কিংবা পোখারা লেখা টি-শার্ট, কতকিছুই না এই বাজারে! আর নেপালি খাবার! খাবার বলতে প্রথমেই মোমো। একটু চাটনি দিয়ে এইমাত্র চুলা থেকে নামানো গরম গরম মোমো খাওয়ার মজা তুলনাহীন।

ফেউয়া লেকে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ তুলনাহীন। লেকের অন্য পাড়টি পাহাড়-ঘেরা। পাহাড় বেয়ে চুইয়ে নামছে জল। আর তরুণ-তরুণীরা তাদের নৌকা থামিয়ে সেখানেই করছে পিকনিক।

পরদিন একটি গাড়িতে করে পোখারা দেখতে বেরিয়ে পড়ি আমরা। একটি মন্দিরে কিছুটা সময় কাটিয়ে চলে আসি সেতি নদীতে। এটাকে নদী বলব না গিরিখাদ, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। একটি সেতুর মতো করে দেওয়া হয়েছে। তার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুধসাদা জল। কিন্তু সেই সেতুর রেলিং থেকে নিচের দিকে তাকালে আতঙ্কিত হয়ে উঠতে হয়। গিরিখাদটি দিয়ে বহু নিচে প্রচণ্ড বেগে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী। মনে হলো, ধন্য হলো চোখ দুটো।

এরপর পোখারা জাদুঘর ঘুরে পৌঁছে গেলাম ডেভিস ফলসে। ওপর থেকে নেমে আসা প্রচণ্ড বেগে ধাবমান জলরাশি দেখে পর্যটকেরা মুগ্ধ হয়। দেবী নাকি ডেভিড, কার নামে এই জলপ্রপাত তা নিয়ে খোদ নেপালেই সংশয় আছে। কোন কিংবদন্তি কে বিশ্বাস করবে, সেটা তার নিজের ব্যাপার।

গুপ্তেশ্বর গুহায় ঢোকার আগে বুঝিনি, স্যাঁতসেঁতে এই গুহাটি আমাদের নিয়ে যাবে মাটির ১০০ ফুট তলদেশে। মাথার ওপরে মাটির যে ছাদ, তা থেকে চুইয়ে নামছে পানি। কিছুটা দূর নামার পর বুঝতে পারি, এ রকম জায়গায় অনায়াসে ভৌতিক চলচ্চিত্র তৈরি করা সম্ভব। ৪০ ফুট নামার পর একটি মন্দির দেখি। সেখানে দাঁড়িয়ে আছেন একজন, খেলনা কামধেনু নিয়ে। সেই কামধেনুর কাছে পয়সা দিলে দুধের নহর বয়ে যায়।

উঠে এলাম আমরা। ১০০ ফুট নামার অনুমতি ছিল না সে সময়। শীতকালে মানে এখন গেলে যে কেউ গুপ্তেশ্বর গুহার শেষ দেখে আসতে পারবেন।

নাগরকোট যেমন এভারেস্ট দেখার জন্য, পোখারা তেমনি অন্নপূর্ণা দেখার জন্য। ভোররাতেই গাড়িতে করে চলে যাওয়া যায় পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে। সূর্য ওঠার সময় অপার্থিব সোনালি আভা যখন প্রকৃতি আর মন ছুঁয়ে যায়, তখন সত্যিই মনে প্রশ্ন জাগে, জগতে এত হানাহানি, এত বৈষম্য কেন?

কিছুদিনের জন্য হানাহানিবিহীন নিসর্গের মধ্যে বসবাসের কথা যদি কেউ ভাবেন, তাহলে অনায়াসে বেছে নিতে পারেন পোখারাকে। পাহাড়, অরণ্য ও খরস্রোতা নদী আপনাকে পরিণত করবে নতুন মানুষে।

24
Place / সাতকড়ার দেশ
« on: December 04, 2013, 10:42:48 AM »
রাতারগুলের আবেশ তখনো কাটেনি। সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে। ফিরে চলেছি সিলেটের পথে। তবে মনে, প্রাণে জলাবন (সোয়াম্প ফরেস্ট) রাতারগুল রয়ে গেছে পুরোটাই। বর্ষার শুরুর দিকে গিয়েছিলাম। পানিতে থইথই রাতারগুল। সেই পানিতে বৃক্ষরাজি যেন নৃত্যরতা। আর পাখির শব্দ প্রকৃতিকে নতুন করে যেন চিনিয়ে নেয়। শ্যামল সিলেটে দেখার মতো প্রকৃতি এখানে-সেখানে অনেক রয়েছে। জাফলং, লালাখাল, সিলেট শহরের আশপাশ—কত কী। শুধু কি সিলেট? মৌলভীবাজারের চা-বাগান, লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনাঞ্চল, বড়লেখা উপজেলার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত—এই অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়ে দেখার মতো আছে অনেক কিছু। তার পরও মনে হয়, সিলেট শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরের ৫০৪ দশমিক ৫ একর জায়গাজুড়ে থাকা রাতারগুল অনবদ্য। এখন, মানে শীতকালে রাতারগুলের পুরোটাজুড়ে পানি নেই। ইতিউতি দু-একটা জলায় কিছুটা পানি। হেঁটে হেঁটেই ঘোরা যাবে রাতারগুল। হাঁটতে ভালোই লাগবে। গাছের ঝরে পড়া পাতাগুলো পায়ের নিচে বিছিয়ে রেখেছে পুরু নরম গালিচা।

লাউয়াছড়ার মধ্য দিয়ে রেলপথশহরে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যায়। সিলেটে আমাদের সাংবাদিক-আলোকচিত্রী উজ্জ্বল মেহেদী, আনিস মাহমুদ, মিসবাহ উদ্দিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা আর গবেষণা হলো, সিলেটের আসল ‘কড়াই’ কোথায় খাওয়া যায়। সিলেটে এলে দুটি খাবারের খোঁজ বরাবরই করি। ও দুটোর স্বাদ না নিয়ে কখনোই সিলেট থেকে ফিরিনি। ‘কড়াই’ খাবারটা আসলে মাংস ভুনা। লোহার পাতলা ছোট কড়াইতে দেশি মুরগি ছোট ছোট টুকরা করে কেটে ভুনা করা হয়। ঝালটা একটু বেশি হলেই মজা। শুধু মুরগি নয়, খাসি ও গরুর মাংসের কড়াইও রান্না করা হয়। সিলেটের প্রায় সব হোটেলেই এ খাবার পাওয়া যায়।

বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের চা-বাগানে একটা খাবারের দেখা মেলে। শ্রীমঙ্গলের একটা চা-বাগানে এই বিশেষ খাবার খাওয়া হয়েছিল। পাতার চাটনি—চা-শ্রমিকদের দুপুরের খাবার। চালভাজার সঙ্গে কয়েকটা কাঁচা চা-পাতা, ধনেপাতা, কাঁচা মরিচ, সরিষার তেল ও লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে এটা খেতে হয়। একটুখানি নাগা মরিচ হলে পাতার চাটনি জমে ভালো। তবে নাগার ঝাল খুব বেশি—মনে রাখতে হবে।

সাতকড়ার আচার কয়েক বোতল কেনা হয়েছিল আগেই। সিলেট থেকে ফেরার আগের রাতে সাতকড়া কেনার পালা। আনিস ও মিসবাহ নিয়ে গেলেন বাজারে। সাতকড়ার সঙ্গে নতুন করে পরিচয়ের কিছু নেই। তবে নতুন দেখলাম আরও দুটি লেবুজাতীয় ফল। জারা লেবু, আদা জামিরা আর টোনা লেবু। জারা লেবু আকারে বেশ বড়। এর পুরোটাই খাওয়া যায়। কেটে সালাদ হিসেবে খেতেই মজা। আদা জামিরা লেবু সাধারণ লেবুর মতো দেখতে। এটি ইলিশ মাছের সঙ্গে খেতে হয়। টোনা লেবু আকারে ছোট, এর আছে সুগন্ধ।

সিলেটের সাতকড়া মাংস, ইলিশ মাছ আর ডালে দিয়ে খেতে ভালো। সাতকড়া কিনে এনে বাসায় রান্না করার পর বেশ কবার দেখেছি, তরকারিতে একটা তেতো ভাব চলে আসে। এই তেতো ভাব দূর করার টিপস নিয়ে এসেছি এবার। সাতকড়া প্রথমে লম্বা টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এরপর ভালো করে ধুয়ে নিন। ধোয়ার পর টুকরাগুলোতে লবণ মাখিয়ে কচলে কচলে পানিটা ফেলে দিন। আবার ধুয়ে রেখে দিতে হবে। এরপর রান্নার সময় তরকারিতে ছেড়ে দিন।

চা-বাগান, পাহাড়-টিলা নানা কিছুর জন্য আছে সিলেটের পরিচিতি। আবার শুধু এই সাতকড়ার নাম শুনলেই মনে পড়ে সিলেটের দেশে। তাই সিলেট যেমন দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ, তেমনি সাতকড়ার দেশও সিলেট।

25
Law / Labor law in bangladesh MATERNITY BENEFIT
« on: December 03, 2013, 10:30:23 PM »
Employment of women worker prohibited during certain period : (1) No employer shall
knowingly employ a woman in his establishment during the eight weeks immediately following the
day of her delivery.
(2) No woman shall work in any establishment during the eight weeks immediately following
the day of her delivery.
(3) No employer shall employ any woman for doing any work which is of an arduous nature or
which involves long hours of standing or which is likely to adversely affect her health; ifhe
has reason to believe or if she has informed him that she is likely to be delivered of a child
within ten weeks;
she has to the knowledge of the employer been delivered of a child within the preceding ten
weeks:
Provided that in case of tea plantation worker, a woman worker can undertake light work if and
for so long as the medical practitioner of the concerned tea estate certifies that she is physically
fit to do so ; and, for the days that she does such work, she shall be paid at the prevailing rate of
pay for such work, and such pay shall be paid to her in addition to the maternity benefit which
she may be entitled to receive under existing this Act.

26
Law / Labor law in bangladesh : Procedure for leave
« on: December 03, 2013, 10:27:26 PM »
 (1) A worker who desires to obtain leave of absence shall apply to the
employer for the same in writing stating his leave address therein.
(2) The employer or his authoresses officer shall issue orders on the application whthin seen days of
the application or two days prior to the commencement of leave applied for, whichever is earlier;
Provided that if due to urgent reasons the leave applied for is to commence on the date of
application or within three days thereof the order shall be given on the same day.
(3) If the leave asked for is granted, a leave pass shall be issued to the worker.
(4) If the leave asked for is refused or postponed the fact of such refusal or postponement, and the
reasons thereof shall be communicated to the worker before the date on which the leave was
expected to be commenced. and shall also be recorded in a register to be maintained by the
employer for the purpose.
(5) If the worker, after convincing of leave, desires an extension thereof, he shall, if such leave is
due to him, apply sufficiently in advance before the expiry of the leave to the employer who shall,
as far as practicable send a written reply either granting or refusing extension of leave to the worker
to his leave-address.

27
Law / Labor Law:CONDITIONS OF SERVICE AND EMPLOYMENT
« on: December 03, 2013, 10:24:26 PM »
Classification of workers and period probation: (1) workers employed in any establishment
shall be classified in any of the following classes according to the nature and condition of work;
namely
(a) apprentice,
(b) badli,
(c) casual,
(d) temporary,
(e) probationer, and
(f) permanent.
(2) A worker shall be called an apprentice if he is employed in an establishment as a learner, and is
paid an allowance during the period of his training.
(3) A worker shall be called a badli if he is employed in an establishment in the post of a permanent
worker or of a probationer during the period who is temporarily absent.
(4) A worker shall be called a casual worker if his employment in an establishment is of casual
nature.
(5) A worker shall be called a temporary worker if he is employed in an establishment for work
which is essentially of temporary nature, and is likely to be finished within a limited period.
(6) A worker shall be called a probationer if he is provisionally employed in an establishment to fill
a permanent vacancy in a post and has not completed the period of his probation in the
establishment.
(7) A worker shall be called a permanent worker if he is employed in an establishment on a
permanent basis or if he has satisfactory completed the period of his probation in the establishment.
(8) The period of probation for a worker whose function is of clerical nature shall be six months and
for other workers such period shall be three month:
Provided that in the case of a skilled worker, the period of probation may be extended by an
additional period of three months if, for any circumstances, it has not been possible to determine the
quality of his work within the first three months’ period of his probation.
(9) If any worker, whose service has been terminated during his probationary period, including the
extended period, is again appointed by the same employer within a period of three years, he shall,
unless appointed on a permanent basis, be deemed to a probationer and the period or periods of his
earlier probation shall be counted for determining his total period of probation.
(10) If a permanent worker is employed as a probationer in a new post, he may at any time during
the probationary period, be reverted to his old permanent post.

28
Law / Labor law in bangladesh CONDITIONS OF SERVICE AND EMPLOYMENT
« on: December 03, 2013, 10:22:00 PM »
Conditions of employment : (1) In every establishment employment of workers and other
matters incidental thereto shall be regulated in accordance with the provisions of this chapter:
Provided that any establishment may have its own rules regulating employment of workers, but no
such rules shall be less favorable to any worker than the provisions of this chapter.
(2) The service rules in any establishment as mentioned in the proviso to sub-section (1) shall be
submitted for approval by the employer of such establishment to the chief inspector who shall,
within six months of the receipt thereof make such order therein as he deems fit.
(3) No service rules as mentioned in sub-section (2) shall be put into effect except with the approval
of the chief Inspector.
(4) Any person aggrieved by the order of the chief Inspector may, within thirty days of the receipt
of the order, may prefer appeal to the Government and the order of the Government on such appeal
shall be final.
(5) Nothing provided in sub-section (2) shall apply to an establishment which is owned by or under
management or control the Government.

29
পিঁয়াজের গোড়ায় আছে এক প্রকারের একজাইম। যখন পিঁয়াজের এই গোড়ায় আঘাত লাগে অর্থাৎ কাটা হয়, তখন এই এনজাইম নিঃসৃত হয়। সেই এনজাইম পুরো পিঁয়াজের সাথে বিক্রিয়া করে একরকম গ্যাস নির্গত হয়। এই গ্যাস যখন আপনার চোখের পানির সংস্পর্শে আসে, তখন আপনার চোখ জ্বলতে শুরু করে।

    প্রথমেই যেটা করা যায় যা হলো পিঁয়াজের গোড়ার অংশটি (অর্থাৎ যেখানে মূল থাকে) ভালো করে করে ফেলে দেয়া। ছুরির মাথা দিয়ে সাবধানে কয়েতে পুরো অংশটি ফেলে দিলেও হবে। সেই সাথে পিঁয়াজের উপরের আস্তরটিও ফেলে দিন। কেননা বেশির ভাগ এনজাইম থাকে এই গোড়ায় ও ওপরের আস্তরে।

    পিঁয়াজ কুচি করতে চান? ছিলে টুকরো করে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশ খানিকটা সময় পর পানি বদলে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তারপর কাটুন, চোখ জ্বলবে না। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে পারলে আরও ভালো হবে। পানিতে নিঃসৃত এনজাইম ধুয়ে যাবে, ফলে চোখ জ্বলবে না।

    পিঁয়াজ ছিলে নিয়ে আধ ঘণ্টার মতন ফ্রিজে রেখে দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়ে টুকরো করুন বা কুচি করুন। ঠাণ্ডায় পিঁয়াজের এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়, ফলে চোখ জ্বলার সম্ভাবনা কমে যায়।

    চপিং বোর্ডে ভিনেগার মাখিয়ে নিয়ে তারপর পিঁয়াজ কাটুন। ভিনেগারের এসিড এনজাইমকে নিষ্ক্রিয় করে দেবে। এনজাইম নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে গ্যাসও নির্গত হবে না, চোখও জ্বলবে না।

    পিঁয়াজ কাটার সময়ে একটি মোমবাতি বা চুলা জ্বালিয়ে রাখতে পারেন কাছে। এতে নির্গত গ্যাস আপনার চোখের পানির সাথে বিক্রিয়া করার আগেই আগুনের শিখা তাকে আকর্ষণ করবে।

    চোখে যারা লেন্স পরেন, তাঁদের চোখ জ্বলবে না পিঁয়াজ কাটার সময়ে।

    পিঁয়াজ কাটার সময় জোরে ফ্যান ছেড়ে নিন। তাতে গ্যাস আপনার চোখ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে পৌছাতে পারবে না।

    পিঁয়াজ লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো, তারপর কাটুন। লবণ পানি নিষ্ক্রিয় করে ফেলবে চোখ জ্বলার জন্য দায়ী এনজাইমকে।

    মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিন নাকের বদলে। এতেও চোখে পানি আসা ও জ্বলুনি অনেকটাই কমবে।

30
Food / দাগ মেটানোর নানা উপায়
« on: December 03, 2013, 03:36:58 PM »
রি বা কাঁচি থেকে মরচে দাগ তোলার জন্য ভিনেগারে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে এরপর আধা ঘণ্টা ফুটিয়ে নিন।

► কম্পিউটারের কি-বোর্ড বা মাউসে ময়লা জমলে তুলার প্যাডে কয়েক ফোঁটা নেইল রিমুভার দিয়ে ময়লার ওপর বুলিয়ে নিন। সব ময়লা উঠেযাবে।

► অনেক সময় বাসনের স্টিকার সহজে তোলা যায় না। তুলতে গেলেও আঠালো ভাব লেগে থাকে। তাই হাত দিয়ে না তুলে একপাশে মোমবাতি ধরুন। এরপর মোমবাতি সরিয়ে এককোণ থেকে স্টিকার তুলে ফেলুন।

► রান্না করার পর প্রেশার কুকারে অনেক সময় হলদে দাগ পড়ে। এই দাগ তুলতে কুকারে লেবুর রস ও লেবু একসঙ্গে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। দাগ থাকবে না। ভিনেগার দিয়ে ফোটালেও দাগ থাকবে না।

► বালতি বা অন্য কোনো প্লাস্টিকের জিনিসে মরচের দাগ পড়লে তারপিন তেলের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে ঘষুন। দাগ নিমেষে উঠে যাবে।

► কাপড়ের কালো দাগ তোলার জন্য দাগের ওপর কেরোসিন ঘষুন। এরপর এক টুকরা লেবু ঘষে দিন। সাবান দিয়ে কাপড় কেচে রোদে মেলে দিন।

► পিতলের জিনিসের কালচে দাগ তুলতে ময়দা, লবণ ও ভিনেগারের পেস্ট বানিয়ে পিতলের জিনিসের ওপর মাখিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর নরম কাপড় দিয়ে ঘষে তুলে ফেলুন। চকচকে হয়ে যাবে।

► রুপার গয়না কালো হয়ে গেলে একটি পাত্রে গয়না রেখে পানি দিয়ে কয়েক টুকরো আলু দিন। ১০ মিনিট ফোটান। নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে পানি থেকে তুলে নরম কাপড় দিয়ে ঘষে নিন।

Pages: 1 [2] 3 4 ... 20