31
Law / Work and thought!
« on: December 21, 2013, 01:03:27 PM »তরুণেরাই পারবে দেশকে এগিয়ে নিতে
মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মোশাহিদা সুলতানা, শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
‘সুখি-সমৃদ্ধিময় ও বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ আমি সব সময় প্রত্যাশা করি। পত্রিকার পাতায় আর কোনো সহিংসতার খবর থাকবে না, জ্বালাও-পোড়াও থাকবে না, থাকবে শুধু সাফল্যের খবর—এমন একটি স্বপ্ন আমি প্রতিনিয়ত দেখি। আশা করি, দেশের তরুণেরা এমন একটি দেশ আমাদের দেবেই।’ কেমন বাংলাদেশ চান? এ প্রশ্নের উত্তরে এভাবেই নিজের স্বপ্নের কথা বলছিলেন মোশাহিদা সুলতানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিসটেমসের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘এত দিন পর এসে যেমন শহীদদের ঋণ শোধ করতে পারছি, তেমনি এমন স্বপ্নের সোনার বাংলাও গড়া সম্ভব।’
শিক্ষকতা পেশায় থেকে এই স্বপ্নের বীজ আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া যায় বলে তিনি মনে করেন। ‘যারা তারুণ্যে পা দিয়েছে, তাদের সবার আগে আমরা কাছে পাই। তাই ওদের চেতনা তৈরিতে আমরা অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারি। যে যার জায়গা থেকে কাজ করলে অবশ্যই অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব।’ তাঁর জায়গা থেকে বর্তমানে কতটুকু দায়িত্ব পালন করছেন? হাসতে হাসতে উত্তর দেন মোশাহিদা সুলতানা, ‘ক্লাসে গিয়ে যতটা পারি দেশ নিয়ে আলোচনা করি। তরুণদের চাওয়াটুকু শুনি। চেষ্টা করি, চারদিকের অবস্থা সম্পর্কে ওদের সজাগ করতে। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবদান রাখার অনুরোধ করি। আমার মনে হয়, এই সময়ের তরুণেরা এ ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন। তারা তাদের কাজটি সঠিকভাবে সঠিক সময়ে করবেই।’
কথা প্রসঙ্গে তিনি হতাশাও ব্যক্ত করেন, ‘আমরা তরুণদের পাশে আছি বলে বিশ্বাস করি, কিন্তু দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ দিচ্ছি বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে। এই কাজগুলো যদি দেশের তরুণদের হাতে দেওয়া হয়, আর যদি সঠিক নির্দেশনা দিয়ে পাশে দাঁড়ানো যায়, তাহলে বিদেশিদের চেয়েও অনেক ভালো কাজ তাদের পক্ষে করা সম্ভব।’
মোশাহিদা সুলতানা শিক্ষকতার পাশাপাশি লেখালেখির সঙ্গেও যুক্ত। বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ পাচ্ছে অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়ন নিয়ে তাঁর লেখা প্রবন্ধ। লেখালেখি সম্পর্কে বলেন, ‘দেশের মানুষকে সচেতন করার আরও একটি মাধ্যম লেখালেখি। আমার লেখা পড়ে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে যোগাযোগ করেন। মতামত প্রকাশ করেন। তখন মনে হয়, লেখালেখি করাটা সার্থক।’
source: Prothom Alo