Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Md. Khairul Bashar

Pages: [1] 2 3 ... 8
1
What is J.TEST?

    J.TEST is a Japanese language skill test administered by the authorities in Japan.
    J.TEST was first introduced in 1991 as a test of practical Japanese.
    J.TEST is designed to measure Japanese proficiency of non-native Japanese speakers.
    J.TEST is administered in over 50 cities inside and outside Japan. In addition to six (6) Open Test dates throughout the year, we also have IP Test (Institutional Program) for companies and schools.
    Over 400 companies, schools and organizations use J.TEST.
    “Business J.TEST” focuses on business and is aimed at those who score at the highest level.

Features of J.TEST

    Four (4) test tiers/levels.
    J.TEST has four (4) tiers/levels: 1. “G level test” - for beginners, 2. “E-F level test” - for elementary level learners, 3. “A-D level test” - for intermediate and advanced learners, and 4. “Business J.TEST” - for the highest level learners of Japanese.
    Consistent degree of difficulty in each test and more chances to challenge again.
    J.TEST is well designed to keep the degree of difficulty consistent in each and every test, and scheduled six (6) times per year. If you take the test more than one (1) time, you will know how far your Japanese proficiency has improved.
    J.TEST measures practical and pragmatic Japanese proficiency.
    The Listening Test is heavily weighted and includes many practical expressions from real life.
    J.TEST is capable of measuring a more advanced level of Japanese communication than the JLPT N1.
    The A-D Level Test measures a higher level of communicative proficiency than N1 for JLPT (Japanese Language Proficiency Test).
    Issuance of Certificate (for Open Test only)
    Certificate will be issued and delivered to the individual examinee who scores the predetermined points or greater in each level. Every single examinee will receive the score report and reference materials.

How to Take J.TEST:

    Qualification of examinee: Non-native Japanese speakers

    Test Schedule:
    A-D Level Test : Six(6) times per year in January, March, May, July, September and November
    E-F Level Test :Six(6) times per year in January, March, May, July, September and November
    G Level Test : Twice(2) per year in May and September
    Business J.TEST : Twice(2) per year in July and November

For details, visit: https://daffodilvarsity.edu.bd/sub/dil/j.test.php

2
একটা কৌতুক দিয়ে শুরু করা যাক। এক লোক একবার ঠিক করলেন, তিনি জাহাজে চড়ে বিশ্বভ্রমণে বের হবেন। শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা বললেন,
‘ওহে, জাহাজে চড়ছ ভালো কথা, সাঁতার জানো তো?’
লোকটি জবাব দিলেন, ‘সাঁতার জানি না। তবে আমি ১২টা ভাষায় সাহায্য চাইতে জানি।’
বটে! অতল সাগরে হয়তো সাঁতার নয়, বরং ঠিকঠাক সাহায্য চাইতে পারাটাই কাজে দেবে।

রসিকতা রেখে এবার আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের দিকে তাকাই। প্রতিযোগিতার সাগরে তাঁরা তো একরকম হাবুডুবুই খাচ্ছেন। কাঁধে ঝোলা নিয়ে একেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে আসেন হাজারো শিক্ষার্থী। ঝোলায় আছে কী? নম্বর আছে, জিপিএ-৫ আছে, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ আছে। তবু প্রতিযোগিতার বাজারের মোড়লেরা বলেন, ‘সেসব তো অনেকেরই থাকে। আর? আর কী আছে তোমার ঝোলায়?’ হ্যাঁ, নিজেকে এগিয়ে রাখতে আপনার ঝোলায় আরও কিছু থাকা চাই। প্রথমত, নিজের ভাষাটা তো ভালো করে জানতেই হবে। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকেও খানিকটা কদর করা চাই। পাশাপাশি, একটা তৃতীয় ভাষা যদি জানা থাকে, সেটাই হয়তো আপনাকে আরও এগিয়ে দেবে।

একজন মানুষের পক্ষে পৃথিবীর সব ভাষা শেখা তো সম্ভব নয়। তবে আমাদের বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি দু-একটা বিদেশি ভাষা জানা থাকলে ক্ষতি কী? কোনো না কোনো সময় হয়তো কাজে দেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শারমিন আহমেদের কথাই ধরুন। শখ করে জাপানি ভাষা শিখেছিলেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর বিভাগে জাপান থেকে বিশিষ্ট কেউ এলেই শারমিনের ডাক পড়ে। এরই মধ্যে জাপানের ভালো একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য শিক্ষাবৃত্তিও পেয়ে গেছেন। ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন পড়াশোনার পাশাপাশি ফরাসি ভাষা শিখছেন। ‘আমার ইউরোপে পিএইচডি করতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। ডিপার্টমেন্টের রেজাল্টের সঙ্গে ভাষার দক্ষতা আমার যোগ্যতাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলেই বিশ্বাস করি।’—বলছিলেন শাহাদাত।

শারমিন-শাহাদাতদের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীই পড়াশোনার পাশাপাশি বিদেশি ভাষা শিখছেন। বাইরের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেতে, বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করতে, চাকরি বা ব্যবসার জন্য অথবা নিছক আগ্রহের কারণেও তাঁরা ভাষা শিখছেন। দেশে কিংবা দেশের বাইরে বিদেশি ভাষা শিখে দোভাষী হিসেবে কাজ করার সুযোগও ঢের পাওয়া যায়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ফারজানা বিনতে ইফতেখার এখন চীনা ভাষা শিখছেন। একই সঙ্গে সুদূরপ্রসারী চিন্তাও রয়েছে তাঁর। তিনি বললেন, ‘চীনা ভাষা শেখার জন্য ভর্তি হওয়ার মূল কারণ ছিল স্কলারশিপ। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম, শুধু স্কলারশিপ না, আরও অনেক সুযোগ আছে সামনে।’
এখন ভাবছেন, বৃত্তিটা পেয়ে গেলে তিনি সে দেশে গিয়ে চীনা ভাষায় ‘ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে পড়াশোনা করবেন। এতে একদিকে যেমন দোভাষী হিসেবে কাজ করা যাবে, তেমনি আবার চীন দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যও করা যাবে।

কেউ কেউ কেবল বিদেশি সংস্কৃতি ও ভাষা সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকেও বিদেশি ভাষা শেখেন। নৃবিজ্ঞানের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী তামান্না পারভিন ও কাজল স্প্যানিশ শিখছেন স্রেফ আগ্রহের কারণে। আবার এমন শিক্ষার্থীও রয়েছেন, যাঁরা একই সঙ্গে একাধিক ভাষা শিখছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের চীনা ভাষা বিভাগের অধ্যাপক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘বিদেশি ভাষা সব সময়ই কাজ ও পড়াশোনার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে। বিদেশে যাওয়ার আগে সেই দেশের ভাষা জানা থাকলে বেশ সুবিধা হয়। টোয়েফল, আইএলটিএসের মতো অন্যান্য বিদেশি ভাষাতেও বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। প্রতিটি ধাপে পরীক্ষার স্কোর এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বোঝা যায় ভাষাটা কেমন রপ্ত হচ্ছে।’


সূত্র: http://www.prothom-alo.com/education/article/858736/%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%96%E0%A6%AC-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE


ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ল্যাঙ্গুয়েজেজ:

ড্যাফোডিল টাওয়ার-৫, লেভেল-৫, রুম নং-৫১৪
মোবা: ০১৮৪৭১৪০০১৮
ই-মেইল: dil@daffodilvarsity.edu.bd

3
Daffodil Institute of Languages (DIL) / Be Prepared for the Global Career
« on: October 17, 2015, 03:28:16 PM »
“Learn languages and be prepared for the global career”

Admission going on for Japanese, Spoken English & French language courses. Confirm your admission NOW.

Admission Office: Daffodil Institute of Languages (DIL)
                             Daffodil Tower-5, Level-5
                             Cell: 01847140018, 01713493149
                             E-mail: dil@daffodilvarsity.edu.bd

4
Daffodil Institute of Languages (DIL) / Reach your goal with us
« on: September 09, 2015, 10:48:56 AM »

5
যদি বাংলা ও ইংরেজির বাইরে অন্য কোনো বিদেশি ভাষা শিখতে পারেন, চাকরির জগতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার আপনার সামনে খুলে যাবে। যেকোনো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিতেই একাধিক ভাষায় পারদর্শী কর্মীদের কদর রয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে জাতিসংঘের অধীন বিভিন্ন সংস্থা, বিদেশি এনজিও এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও দূতাবাস, যেখানে আকর্ষণীয় চাকরি পাওয়ার জন্য ভিনদেশি ভাষায় দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল প্রয়োজন হয়। ঢাকায় আপনি ইংরেজির পাশাপাশি শিখতে পারেন ফরাসি, চীনা, আরবি, জাপানি, কোরিয়ান, জার্মান, স্প্যানিশ, রুশ প্রভৃতি ভাষা।
ভাষাজ্ঞান ব্যবধান গড়ে দেয়: আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে একাধিক ভাষায় দক্ষতা থাকলে আপনি নিজেকে অন্যদের চেয়ে বাড়তি যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন। জীবনবৃত্তান্তে (সিভি) বিদেশি ভাষাজ্ঞানের বিষয়টি তুলে ধরতে পারলে নিয়োগদাতা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন আপনি। এখন কথা হলো, পেশাজীবনে অগ্রগতির জন্য কোন ভাষাটি শিখবেন? যুক্তরাজ্যভিত্তিক কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রির (সিবিআই) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে যথাক্রমে জার্মান (৫০%), ফরাসি (৪৯%) ও স্প্যানিশ (৩৭%) ভাষার। হিসাবটা যুক্তরাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি করা হলেও এতে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারের একটা চিত্র ফুটে ওঠে।
বিকাশমান বাজারটাকে জানুন: বিশ্ব-বাণিজ্যে লাতিন আমেরিকাও ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে দক্ষিণ আমেরিকায় চাকরি করতে গেলে স্প্যানিশ ও পর্তুগিজ ভাষা জানতে হবে। আবার আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা ওইসিডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন ২০১৬ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার মানে, চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে। তার মানে এই নয় যে আপনাকে অনর্গল চীনা ভাষায় কথা বলতে জানতে হবে। কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার মতো মৌলিক ধারণা থাকলেই আপনি স্থানীয় সংস্কৃতিটা বুঝতে পারবেন। আর শিখতে গিয়ে, বলতে গিয়ে ভুল তো হবেই-তা নিয়ে ভয় পেলে চলবে না। মনে রাখবেন, আপনি অন্যদের ভাষা শেখার চেষ্টা করলে যেকোনো দেশের মানুষই সানন্দে সহযোগিতা করবে।

পেশাগত অগ্রগতির জন্য যাঁরা নতুন ভাষা শিখতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য কয়েকটি পরামর্শ:

 ১. সঠিক খোঁজখবর: যে খাতে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাইছেন, তার অর্থনৈতিক পরিবেশ ও পরিধি সম্পর্কে জেনে নিন। দৈনিক সংবাদপত্রগুলো পড়ুন-আপনি যে ভাষা শিখছেন সেই ভাষার। এতে অর্থনৈতিক অবস্থা ও প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে পারবেন, যা পরে আপনার কাজে লাগবে।

 ২. কার্যকর পদ্ধতি বাছাই: ভাষা শেখা যায় নানা উপায়ে। তবে কোনো দেশে গিয়ে সেখানকার ভাষা শিখলে সবচেয়ে ভালো হয়। তা ছাড়া শ্রেণিকক্ষে, সিডি বাজিয়ে বা ইন্টারনেটেও শেখা যায়। নিজের আওতার মধ্যে যে পদ্ধতিটা সবচেয়ে সুবিধাজনক মনে হয়, সেটা বেছে নেওয়াই ভালো। তবে নিজস্ব কিছু কৌশলও বের করে নিতে পারেন, যেগুলো যেকোনো পরিবেশে আপনার সহায়ক হবে, সেটা শ্রেণিকক্ষভিত্তিক হোক আর প্রযুক্তিনির্ভরই হোক। প্রথম প্রথম ভুল হলেও তাকে পাত্তা না দিয়ে নতুন ভাষায় বেশি বেশি কথা বলতে হবে, অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। নিজস্ব ভাষার সঙ্গে নতুন ভাষাটির ব্যাকরণ ও সরাসরি অনুবাদ মিলিয়ে শিখতে গেলে ঝামেলায় পড়তে পারেন। তার চেয়ে ভালো হয় সরাসরি নতুন ভাষার জগতে প্রবেশের চেষ্টা করলে। আজকাল স্মার্টফোন বা ট্যাবে ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন অ্যাপলিকেশন বা অ্যাপ ব্যবহার করেও সুফল পাওয়া যায়। এতে চলাফেরার সময় বা আপনি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থাকেন, ভাষা শেখার কাজটা চালিয়ে যেতে পারবেন।

 ৩. ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ: বিদেশে বসবাস ও কাজ করার মধ্য দিয়ে আপনি কোনো ভাষা ও সংস্কৃতি সবচেয়ে ভালো শিখতে পারবেন। এতে ভাষার পাশাপাশি আপনি স্থানীয় সংস্কৃতি ও আচার-আচরণ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবেন। স্থানীয় ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি যোগাযোগের দক্ষতাও বাড়াতে পারবেন। নতুন একটি ভাষায় মৌলিক যোগাযোগের দক্ষতা খুবই ফলপ্রসূ এবং কার্যকর একটি অর্জন। ভাষার সবচেয়ে সহজ নিয়মগুলোও যদি তাৎক্ষণিক প্রয়োগ করার সুযোগ পান, আপনার শেখার উৎসাহটা অনেক বেড়ে যাবে।

বিদেশি ভাষা শিখতে গেলে আপনাকে আবার শিশুদের মতো করে শিখতে হবে। আর এভাবেই একটু একটু করে ভাষার নতুন এক পৃথিবীতে প্রবেশ করবেন।


  সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো (০৭/০৮/২০১৫)

6
Hajj / Instructions for Hajj pilgrims
« on: August 05, 2015, 04:07:01 PM »
হজে যাচ্ছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা করুন—‘হে আল্লাহ! আমার হজকে সহজ করো, কবুল করো’—দেখবেন, আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। হজের দীর্ঘ সফরে ধৈর্য হারাবেন না। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার মানসিকতা রাখবেন, তাহলে অল্পতেই বিচলিত হবেন না।

হজে যাওয়ার আগে
পাসপোর্ট, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও তারিখ নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করতে ভুলবেন না। নিয়ম মেনে ম্যানিনজাইটিস টিকা বা অন্যান্য ভ্যাকসিন দিয়ে নিন। হজের নিয়ম জানার জন্য একাধিক বই পড়তে পারেন। ‘প্রথম আলো হজ গাইড’ চাইলে সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা যাঁরা পড়তে পারেন না, তাঁরা অন্য হাজিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে পারেন। হজের কোনো বিষয়ে বিভিন্নতা দেখলে ঝগড়া করবেন না। আপনি যে আলেমের ইলম ও তাকওয়ার ওপর আস্থা রাখেন, তার সমাধান অনুযায়ী আমল করবেন, তবে সে মতে আমল করার জন্য অন্য কাউকে বাধ্য করবেন না। পরিচিত অথবা এলাকার দলনেতার (গ্রুপ লিডার) সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।

মানসিক প্রস্তুতি জরুরি
হজ করতে যাচ্ছেন—যাত্রার শুরুতে নিজেকে এমনভাবে মানসিকভাবে তৈরি করে নিন, যেন দেহ-মনে কোনো কষ্ট না থাকে। ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে হজ হলো দৈহিক ও আর্থিক ইবাদত এবং শ্রমসাধ্য ব্যাপার।
মালপত্র হালকা রাখুন, কারণ নিজের মালপত্র নিজেকেই বহন করতে হবে। সঙ্গীদের সম্মান করুন, তাঁদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকৃত ভুল ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। দলের (গ্রুপের) দুর্বল বয়স্কদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। সৌদি আরবে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ কাবা শরিফে জামাতে আদায় করার চেষ্টা করবেন। যাত্রার শুরুতে ভালো সফরসঙ্গী খুঁজে নেবেন, যাতে নামাজ পড়তে ও চলাফেরায় একে অন্যের সাহায্য নিতে পারেন।
আপনি হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাচ্ছেন; সেখানকার মানুষ আরবি ভাষায় কথা বলে, রাস্তাঘাট অচেনা। হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য সৌদি আরব ও বাংলাদেশ সরকার নানা রকম ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।


প্রয়োজনীয় মালপত্র
হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা দরকার। যেমন: ১. বিমানের টিকিট, ডলার কেনা, ২. পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, টাকা রাখার জন্য গলায় ঝোলানো ছোট ব্যাগ, ৩. পুরুষের জন্য ইহরামের কাপড় কমপক্ষে দুই সেট (প্রতি সেটে শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরা কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ এক টুকরা কাপড়। ইহরামের কাপড় সাদা, সুতি হলে ভালো হয়) আর নারীদের জন্য সেলাইযুক্ত স্বাভাবিক পোশাকই ইহরামের কাপড় ৪. নরম ফিতাওয়ালা স্যান্ডেল, ৫. ইহরাম পরার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে কটিবন্ধনী (বেল্ট), ৬. গামছা, তোয়ালে, ৭. লুঙ্গি, গেঞ্জি, পায়জামা, পাঞ্জাবি (আপনি যে পোশাক পরবেন), ৮. সাবান, পেস্ট, ব্রাশ, মিসওয়াক, ৯. নখ কাটার যন্ত্র, সুই-সুতা, ১০. থালা, বাটি, গ্লাস, ১১. হজের বই, কোরআন শরিফ, ধর্মীয় পুস্তক, ১২. কাগজ-কলম, ১৩. শীতের কাপড় (মদিনায় ঠান্ডা পড়ে), ১৪. প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চশমা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত একটি চশমা (ভিড় বা অন্য কোনো কারণে ভেঙে গেলে ব্যবহারের জন্য), ১৫. বাংলাদেশি টাকা (দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য), ১৬. নারীদের জন্য বোরকা, ১৭. যত দিন বিদেশে থাকবেন, সেই অনুযায়ী নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ ওষুধ নেবেন, ১৮. মোবাইল সেট (সৌদি আরবে ব্যবহার করা যায়, তেমন সিম কিনে নিতে হবে) ১৯. মালপত্র নেওয়ার জন্য ব্যাগ অথবা স্যুটকেস (তালা-চাবিসহ) নিতে হবে। ব্যাগের ওপর ইংরেজিতে নিজের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর, পাসপোর্ট নম্বর লিখতে হবে। এর বাইরে আরও কিছু প্রয়োজনীয় মনে হলে তা নিয়ম মেনে সঙ্গে নিতে হবে। ।
ঢাকার আশকোনায় অবস্থিত হাজ ক্যাম্পে টিকা দেওয়া, হজের প্রশিক্ষণ, বৈদেশিক মুদ্রা কেনাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিস পাওয়া যায়।


ঢাকার হাজ ক্যাম্প
বিমানে যাত্রার আগে হাজ ক্যাম্পে যত দিন অবস্থান করবেন, আপনার মালপত্র খেয়াল রাখবেন।
* কোনো টিকা বা ভ্যাকসিন নেওয়া বাকি থাকলে অবশ্যই তা নিয়ে নিন। প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে নিন।


ব্যাগেজ নিয়মকানুন
বিমানে উড্ডয়নকালে হাত ব্যাগে ছুরি, কাঁচি, দড়ি নেওয়া যাবে না। বিমান কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা অনুযায়ী বিমানে কোনো হজযাত্রী সর্বোচ্চ ৩০ কেজির বেশি মালামাল বহন করতে পারবেন না। নিবন্ধিত চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো ওষুধ নিতে পারবেন না। চাল, ডাল, শুঁটকি, গুড় ইত্যাদিসহ পচনশীল খাদ্যদ্রব্য যেমন: রান্না করা খাবার, তরিতরকারি, ফলমূল, পান, সুপারি ইত্যাদি সৌদি আরবে নিয়ে যাওয়া যাবে না ।


জরুরি কাগজপত্র

১০ কপি পাসপোর্ট আকারের ছবি, স্ট্যাম্প আকারের ৬ কপি ছবি, পাসপোর্টের ২-৩ পাতার সত্যায়িত ফটোকপি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ, টিকা কার্ড। নারী হজযাত্রীর ক্ষেত্রে শরিয়তসম্মত মাহরামের সঙ্গে সম্পর্কের সনদ, ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার রসিদ। প্রত্যেক হজযাত্রীর ৭ সংখ্যার একটি পরিচিতি নম্বর থাকে। এর প্রথম ৪ সংখ্যা এজেন্সির নম্বর আর শেষ ৩ সংখ্যা হজযাত্রীর পরিচিতি নম্বর। এই নম্বরটি জানা থাকলে হজযাত্রী ও তাঁর আত্মীয়স্বজন ওয়েবসাইটে ওই হাজির তথ্য পেতে পারেন সহজে। বাড়তি সতর্কতার জন্য নিজের নাম, পাসপোর্ট নম্বর, হজ এজেন্সির নাম এবং সৌদি আরবে সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির প্রতিনিধির মোবাইল নম্বরসহ ঠিকানা ইংরেজিতে লিখে রাখুন। সৌদি আরবে অবস্থানকালে বাসস্থানের বাইরে গেলে হজযাত্রীকে পরিচয়পত্র, মোয়াল্লেম কার্ড ও হোটেলের কার্ড অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে ।

ইহরাম
আপনার গন্তব্য ঢাকা থেকে মক্কায়, নাকি মদিনায়—তা জেনে নিন। যদি মদিনায় হয়, তাহলে এখন ইহরাম বাঁধা নয়; যখন মদিনা থেকে মক্কায় যাবেন, তখন ইহরাম বাঁধতে হবে। বেশির ভাগ হজযাত্রী আগে মক্কায় যান। যদি মক্কা যেতে হয়, তাহলে ঢাকা থেকে বিমানে ওঠার আগে ইহরাম বাঁধা ভালো। কারণ, জেদ্দা পৌঁছানোর আগেই ‘মিকাত’ বা ইহরাম বাঁধার নির্দিষ্ট স্থান। বিমানে যদিও ইহরাম বাঁধার কথা বলা হয়, কিন্তু ওই সময় অনেকে ঘুমিয়ে থাকেন; আর বিমানে পোশাক পরিবর্তন করাটাও দৃষ্টিকটু। বিনা ইহরামে মিকাত পার হলে এ জন্য দম বা কাফফারা দিতে হবে। তদুপরি গুনাহ হবে। ইহরাম গ্রহণের পর সাংসারিক কাজকর্ম নিষেধ—যেমন সহবাস করা যাবে না, পুরুষদের জন্য কোনো সেলাই করা জামা, পায়জামা ইত্যাদি পরা বৈধ নয়, কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না, নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ ও শরীরের একটি পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না, কোনো ধরনের সুগন্ধি লাগানো যাবে না, কোনো ধরনের শিকার করা যাবে না, ক্ষতিকারক সকল প্রাণী মারা যাবে। ক্ষতি করে না এমন কোনো প্রাণী মারা যাবে না।

ঢাকা বিমানবন্দর
উড্ডয়নের সময় অনুযায়ী বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে লাগেজে যে মালপত্র দেবেন, তা ঠিকমতো বাঁধা হয়েছে কি না, দেখে নেবেন। বিমানের কাউন্টারে মালপত্র রেখে এর টোকেন দিলে তা যত্ন করে রাখবেন। কারণ, জেদ্দা বিমানবন্দরে ওই টোকেন দেখালে সেই ব্যাগ আপনাকে ফেরত দেবে। ইমিগ্রেশন, চেকিংয়ের পর নিজ মালপত্র যত্নে রাখুন।
* বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র, বিমানের টিকিট, টিকা দেওয়ার কার্ড, অন্য কাগজপত্র, টাকা, বিমানে পড়ার জন্য ধর্মীয় বই ইত্যাদি গলায় ঝোলানোর ব্যাগে যত্নে রাখুন। সময়মতো বিমানে উঠে নির্ধারিত আসনে বসুন।


জেদ্দা বিমানবন্দর
বিমান থেকে নামার পর দেখবেন, একটি হলঘরে বসার ব্যবস্থা করা আছে। অবতরণ কার্ড, হেলথ কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি কাগজপত্র বের করুন। এই হলঘরের পাশেই ইমিগ্রেশন কাউন্টার। ইমিগ্রেশন পুলিশ ভিসা দেখে (ছবি ও আঙুলের ছাপ নিয়ে) পাসপোর্টের নির্দিষ্ট পাতায় সিল দেবেন। বিমানের বেল্টে মালামাল খুঁজে নিরাপত্তা-তল্লাশির জন্য মালামাল দিন। তারপর মোয়াল্লেমের কাউন্টার। সৌদি আরবে বিমানবন্দরে নামার পর থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে হাজিদের মক্কা-মদিনায় পৌঁছানো, মক্কা-মদিনায় আবাসন, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতে থাকা-খাওয়া, যাতায়াতসহ সবকিছুর ব্যবস্থা যাঁরা করেন, তাঁদের বলা হয় মোয়াল্লেম। সৌদি আরবের নাগরিকেরাই হতে পারেন মোয়াল্লেম। প্রত্যেক মোয়াল্লেমের নির্দিষ্ট নম্বর আছে। মোয়াল্লেমের কাউন্টার থেকে মিলিয়ে নেবেন তার অধীন কোন কোন হাজি সৌদি আরবে এসে পৌঁছেছেন।
* লাল-সবুজ পতাকা অনুসরণ করে ‘বাংলাদেশ প্লাজায়’ পৌঁছাবেন। হজ টার্মিনাল শুধু হজযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত হয়। শুধু হজের সময় (জিলকদ, জিলহজ ও মহররম মাসে) এটি চালু থাকে। বছরের বাকি সময় বন্ধ থাকে। বিমানবন্দর টার্মিনালের চারদিক খোলা। ঐতিহ্যবাহী তাঁবুর নকশায় করা ছাদ। এই হজ টার্মিনালের স্থপতি কিন্তু বাংলাদেশি। নাম ফজলুর রহমান খান, যিনি এফ আর খান নামে পরিচিত।



হজ টার্মিনাল
হজ টার্মিনালের ‘বাংলাদেশ প্লাজায়’ গিয়ে অপেক্ষা করুন। অপেক্ষা দীর্ঘ হতে পারে, ধৈর্য হারাবেন না। সেখানে অজু করা, নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। বসার জন্য চেয়ারও রয়েছে। প্রতি ৪৫ জনের জন্য একটি বাসের ব্যবস্থা। মোয়াল্লেমের গাড়ি আপনাকে জেদ্দা থেকে মক্কায় যে বাড়িতে থাকবেন, সেখানে নামিয়ে দেবে। মোয়াল্লেমের নম্বর (আরবিতে লেখা) কবজি বেল্ট দেওয়া হবে আপনাকে, তা হাতে পরে নেবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র (যাতে পিলগ্রিম নম্বর, নাম, ট্রাভেল এজেন্টের নাম ইত্যাদি থাকবে) গলায় ঝোলাবেন।
জেদ্দা থেকে মক্কায় পৌঁছাতে দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। চলার পথে তালবিয়া পড়ুন (লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক...)।




মক্কায় পৌঁছানোর পর

মক্কায় পৌঁছে আপনার থাকার জায়গায় মালপত্র রেখে ক্লান্ত থাকলে বিশ্রাম করুন। আর যদি নামাজের ওয়াক্ত হয়, নামাজ আদায় করুন। বিশ্রাম শেষে দলবদ্ধভাবে ওমরাহর নিয়ত করে থাকলে ওমরাহ পালন করুন।
* মসজিদুল হারামে (কাবা শরিফ) অনেক প্রবেশপথ আছে। সব কটি দেখতে একই রকম। কিন্তু প্রতিটি প্রবেশপথে আরবি ও ইংরেজিতে ১, ২, ৩ নম্বর ও প্রবেশপথের নাম আছে, যেমন ‘বাদশা আবদুল আজিজ প্রবেশপথ’। আপনি আগে থেকে ঠিক করবেন, কোন প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকবেন বা বের হবেন। সফরসঙ্গীকেও স্থান চিনিয়ে দিন। তিনি যদি হারিয়ে যান, তাহলে নির্দিষ্ট নম্বরের গেটের সামনে থাকবেন। এতে ভেতরে ভিড়ে হারিয়ে গেলেও নির্দিষ্ট স্থানে এসে সঙ্গীকে খুঁজে পাবেন।
* কাবা শরিফে জুতা-স্যান্ডেল রাখার ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকবেন, নির্দিষ্ট স্থানে জুতা রাখার জায়গায় রাখুন। যেখানে-সেখানে জুতা রাখলে পরে খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিটি জুতা রাখার র্যাকেও নম্বর দেওয়া আছে। এই নম্বর মনে রাখুন। চাইলে জুতা বহন করার ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারেন।
* কাবা ঘরের চারটি কোণের আলাদা নাম আছে: হাজরে আসওয়াদ, রকনে ইরাকি, রকনে শামি ও রকনে ইয়ামেনি। হাজরে আসওয়াদ বরাবর কোণ থেকে শুরু হয়ে কাবাঘরের পরবর্তী কোণ রকনে ইরাকি (দুই কোণের মাঝামাঝি স্থান মিজাবে রহমত ও হাতিম)। তারপর যথাক্রমে রকনে শামি ও রকনে ইয়ামেনি। এটা ঘুরে আবার হাজরে আসওয়াদ বরাবর এলে তাওয়াফের এক চক্কর পূর্ণ হয়। এভাবে একে একে সাত চক্কর দিতে হয়।
* ওমরাহর নিয়মকানুন আগে জেনে নেবেন। এসব কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন: সাতবার তওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো—যদিও মসৃণ পথ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা। ওয়াক্তের নামাজের সময় হলে, যতটুকু হয়েছে ওই সময় নামাজ পড়ে আবার বাকিটুকু শেষ করা।


ওমরাহ
হিল (কাবা শরিফের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থান) থেকে অথবা মিকাত থেকে ইহরাম বেঁধে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে।
* হজ তিন প্রকার—তামাত্তু, কিরান ও ইফরাদ। হজের মাসসমূহে (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) ওমরাহর নিয়তে ইহরাম করে, ওমরাহ পালন করে, পরে হজের নিয়ত করে হজ পালন করাকে হজে তামাত্তু বলে।
* হজের মাসসমূহে একই সঙ্গে হজ ও ওমরাহ পালনের নিয়তে ইহরাম করে ওমরাহ ও হজ করাকে হজে কিরান বলে। আর শুধু হজ পালনের উদ্দেশ্যে ইহরাম বেঁধে হজ সম্পাদনকে হজে ইফরাদ বলে।


আরও কিছু পরামর্শ
* সৌদি আরবে অবস্থানকালে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। সিগন্যাল পড়লে রাস্তা পার হতে হবে। রাস্তা পার হওয়ার সময় অবশ্যই ডানে-বাঁয়ে দেখেশুনে সাবধানে পার হতে হবে। কখনো দৌড়ে রাস্তা পারাপার হবেন না।
* কাবা শরিফ ও মসজিদে নবিবর ভেতরে কিছুদূর পরপর পবিত্র কোরআন মজিদ রাখা আছে। আর পাশে জমজম পানি (স্বাভাবিক ও ঠান্ডা) খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
* কোনো ধরনের অসুস্থতা কিংবা দুর্ঘটনায় পড়লে বাংলাদেশ হজ মিশনের মেডিকেল সদস্যের (চিকিৎসক) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
* হজযাত্রীদের তথ্য, হারানো হজযাত্রীদের খুঁজে পাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশ হজ মিশনে অবস্থিত আইটি হেল্প ডেস্ক সাহায্য করে।
* মিনার ম্যাপ থাকলে হারানোর ভয় নেই। মিনার কিছু অবস্থান চিনে নিজের মতো করে আয়ত্তে আনলে এখানে চলাচল করা সহজ হয়। যেমন জামারা (শয়তানকে কঙ্কর নিক্ষেপের স্থান), মসজিদে খায়েফ, মিনায় তিনটি ব্রিজ—কিং খালেদ ব্রিজ ১৫ নম্বর, বাদশাহ আবদুল্লাহ ব্রিজ ২৫ নম্বর, বাদশাহ ফয়সাল ব্রিজ ৩৫ নম্বর। হাঁটার পথ (টিনশেড নামে পরিচিত)। এখানে সাতটি জোন রয়েছে। মিনার বড় রাস্তাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন নাম ও নম্বর রয়েছে।
* রাস্তার নাম ও নম্বর জানা থাকলে মিনায় চলাচল সহজ হয়। পথ হারানোর সুযোগ কম থাকে। বড় রাস্তাগুলো হলো: কিং ফয়সাল রোড ৫০ নম্বর রাস্তা, আলজাওহারাত রোড ৫৬ নম্বর রাস্তা, সুক্কল আরব রোড ৬২ নম্বর রাস্তা, কিং ফাহাদ রোড ৬৮ নম্বর রাস্তা। মিনায় রেলস্টেশন ৩টি। মুজদালিফায় রেলস্টেশন ৩টি। এ ছাড়া রয়েছে সুড়ঙ্গপথ, টানেল, পায়ে চলার রাস্তা, হাসপাতাল, মসজিদ, পোস্ট অফিস, মিনার বাদশাহ বাড়ি, রয়েল গেস্টহাউস (রাজকীয় অতিথি ভবন) মোয়াচ্ছাসা কার্যালয়।
* ছাপানো অথবা ইন্টারনেটে মক্কা, মদিনা, মিনা, আরাফাতের মানচিত্র পাওয়া যায়। সম্ভব হলে মানচিত্র দেখুন তাহলে ওখানকার রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি সম্পর্কে একটা ধারণা পাবেন।
* হাজিদের একটি অংশ নিজে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেয়। অন্য অংশ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) মাধ্যমে কোরবানি দেয়। আইডিবির কুপন কিনে কোরবানি দেওয়া সৌদি সরকারের স্বীকৃত ব্যবস্থা ।
* মনে রাখবেন, মসজিদে নবিব ও মসজিদুল হারামের সীমানার মধ্যে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
* হাঁচি কিংবা কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই মুখ ঢেকে নিতে হবে। শরীরের কোনো স্থান কেটে গেলে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন।
* কোনো কোনো হজযাত্রী হেঁটে হজের আমলগুলো করে থাকেন। যেমন মক্কা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। আরাফাত থেকে মুজদালিফার দূরত্ব প্রায় নয় কিলোমিটার। মুজদালিফা থেকে মিনার দূরত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার। এসব স্থানবিশেষে হেঁটে যেতে এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
* মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা করা জায়েজ। যেমন স্বামী, বাবা, আপন ভাই, আপন চাচা-মামা, ছেলে ইত্যাদি) ছাড়া নারী হজযাত্রী এককভাবে হজে গমনের যোগ্য বিবেচিত হন না; নারী হজযাত্রীকে মাহরামের সঙ্গে একত্রে টাকা জমা দিতে হয়।
* মক্কায় বাসার দূরত্ব নির্ধারিত হয় কাবা শরিফ থেকে। আর মদিনায় মসজিদে নবিব থেকে। বাসস্থান কত দূর, তার ওপর নির্ভর করে হজের ব্যয়ের টাকা। অর্থাৎ কাবা শরিফ থেকে বাসার দূরত্ব কম হলে খরচ বেড়ে যাবে। যত বেশি দূরত্ব হবে, খরচও তত কম হবে।
* হজের সময় হজযাত্রীদের যেন কোনো রকম কষ্ট না হয়, আপনার ট্রাভেল এজেন্সি আপনাকে যথাযথ সুবিধাদি (দেশ থেকে আপনাকে থাকা, খাওয়াসহ অন্য যেসব সুবিধার কথা বলেছিল) না দিলে আপনি মক্কা ও মদিনার বাংলাদেশ হজ মিশনকে জানাতে পারেন। এতেও আপনি সন্তুষ্ট না থাকলে সৌদির ওয়াজারাতুল হজ (হজ মন্ত্রণালয়) বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে পারেন।
* মদিনা থেকে যদি মক্কায় আসেন, তাহলে ইহরামের কাপড় সঙ্গে নিতে হবে।
* মিনায় মোয়াল্লেম নম্বর বা তাঁবু নম্বর জানা না থাকলে যে কেউ হারিয়ে যেতে পারেন। মোয়াল্লেম অফিস থেকে তাঁবুর নম্বরসহ কার্ড দেওয়া হয়। তা যত্নে রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময়ও কার্ডটি সঙ্গে রাখুন। সমস্যা এড়ানোর জন্য যে তাঁবুতে অবস্থান করবেন, সেই তাঁবু চিহ্নিত করে নিন।
* মিনায় জামারা থেকে আপনার তাঁবুর অবস্থান, তাঁবু থেকে মসজিদুল হারামে যাওয়া-আসার পথ সম্পর্কে ধারণা নিন। ভিড় এড়াতে কেউ কেউ হেঁটে সুড়ঙ্গ (টানেলের) পথ দিয়ে মসজিদুল হারামে পৌঁছান। হাঁটার পথ চিনতে স্থানীয় (কোনো বাংলাদেশিকে বললে দেখিয়ে দেবেন) বা গুগল ম্যাপের সহায়তা নিতে পারেন।
* অনেকে ট্যাবলেট বা আইফোন নিয়ে যান। রাস্তাঘাট, অবস্থান ইত্যাদি জানতে হজ ও পিলগ্রিম অ্যাপসের সহায়তা নিতে পারেন।
* আরাফাতের ময়দানে অনেক প্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে খাবার, জুস, ফল ইত্যাদি দিয়ে থাকে। ওই সব খাবার আনতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়তে হয়। তাই এ ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে।
* মুজদালিফায় রাতে থাকার জন্য প্লাস্টিকের পাটি ব্যবহার করতে পারেন। মক্কাসহ বিভিন্ন জায়গায় পাটি কিনতে পাওয়া যায়।
* মিনায় চুল কাটার লোক পাওয়া যায়। নিজেরা নিজেদের চুল কাটবেন না, এতে মাথা কেটে যেতে পারে।
* মিনায় কোনো সমস্যা হলে বাংলাদেশ হজ মিশনের তাঁবুতে যোগাযোগ করবেন।
* হজযাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড়ে পথ হারানোর আশঙ্কা থাকে। তবে এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ ব্যাপারে হজযাত্রীদের সচেতন থাকতে হবে। অনেক বাংলাদেশি হজযাত্রী হারিয়ে যাওয়ার কারণে হজের আহকাম বা নিয়মকানুন ঠিকমতো পালন করতে পারেন না।
* মক্কা-মদিনায় প্রচুর বাংলাদেশি হোটেল আছে। মক্কার হোটেলগুলোর নাম ঢাকা, এশিয়া, চট্টগ্রাম, জমজম ইত্যাদি। এসব হোটেলে ভাত, মাছ, মাংস, সবজি, ডাল—সব ধরনের বাঙালি খাবার পাওয়া যায়। হোটেল থেকে পার্সেলে একজনের খাবার কিনলে বাড়িতে বসে অনায়াসে দুজন খেতে পারেন।
* মক্কা-মদিনায় প্রচুর ফলমূল ও ফলের রস পাওয়া যায়। এগুলো কিনে খেতে পারেন।
* মক্কা-মদিনায় অনেক বাংলাদেশি কাজ করেন, তাই ভাষাগত কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কেনাকাটার সময় দরদাম করে কিনবেন।
* হজের সময় প্রচুর হাঁটাচলা করতে হয়, পকেটে টাকা থাকলেও যানবাহন পাওয়া যায় না।
* মক্কায় ঐতিহাসিক স্থান হেরা গুহা, সওর পর্বত, মিনায় আল-খায়েফ মসজিদ, নামিরা মসজিদ, আরাফাতের ময়দান, মুজদালিফা, জামারা (শয়তানের উদ্দেশ্যে পাথর ছোড়ার স্থান) জান্নাতুল মা’আলা (কবরস্থান), মসজিদে জিন, মক্কা জাদুঘর, গিলাফ তৈরির কারখানা, লাইব্রেির। মদিনায় মসজিদে নববি, জান্নাতুল বাকি (কবরস্থান), ওহুদ পাহাড়, খন্দক, মসজিদে কুবা, মসজিদে কেবলাইতাইন, মসজিদে জুমআ, মসজিদে গামামাহ, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাদশাহ ফাহাদ কোরআন শরিফ প্রিন্টিং কমপ্লেক্স ঘুরে আসতে পারেন।

হজ শব্দের আভিধানিক অর্থ ইচ্ছা করা। এর পারিভাষিক অর্থ আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে শরিয়তের নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময়ে কাবা শরিফ ও সংশ্লিষ্ট স্থানগুলোতে নির্দিষ্ট কাজ করা। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হলো পবিত্র হজ।


একনজরে হজের কার্যক্রম
১ ইহরাম বাঁধা ২ ৭-৮ জিলহজ মিনায় অবস্থান ৩ ৯ জিলহজ সূর্যোদয়ের পরে মিনা থেকে আরাফাতে অবস্থান এবং সূর্যাস্তের পরে মুজদালিফায় যাওয়া
৪ ৯ জিলহজ মুজদালিফায় রাতযাপন ৫ ১০ জিলহজ মিনায় বড় জামারাকে (শয়তান) কঙ্কর মারা, কোরবানি করা, মাথার চুল ফেলে দেওয়া ৬ ১২ জিলহজের মধ্যে তাওয়াফ জিয়ারত, সাঈ করা ৭ ১১, ১২ জিলহজ মিনায় জামারাকে (শয়তান) কঙ্কর মারা ৮ বিদায়ী তাওয়াফ
সূত্র: হজ মন্ত্রণালয়, সৌদি আরব


টিকা দেওয়া
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং যেসব জেলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আছে, সেখান থেকে করতে পারবেন।


মাধ্যম
এজেন্সি বা যে মাধ্যমে হজের টাকা জমা দিয়েছেন, তা জমা হয়েছে কি না, যাচাই করুন। www.hajj.gov.bd ওয়েবসাইটে নিজের নাম-ঠিকানা ঠিক আছে কি না দেখুন।

প্রয়োজনীয় মালপত্র
হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা এখন থেকেই শুরু করুন। আপনার মালপত্র হালকা রাখুন। কারণ, আপনাকেই তা বহন করতে হবে।

নিয়মকানুন
হজের নিয়মকানুন জানতে প্রয়োজনীয় বইপুস্তক পড়ুন।
প্রথম আলো হজ গাইড সংগ্রহ করতে পারবেন হজ ক্যাম্প অথবা প্রথম আলো কার্যালয় থেকে।


তালবিয়া
‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান্নি’মাতা লাকা ওয়াল্মুলক, লা শারিকা লাকা।’

Source: http://www.prothom-alo.com/opinion/article/593800/%E0%A6%B9%E0%A6%9C%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%95%E0%A7%80%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8

12
The one-and-half-months Spoken Arabic Course started in the evening today (11-04-2015) at the Daffodil Institute of Languages (DIL). About fifteen students have been enrolled in the course, specially designed for the professional people who wish to work in the Middle East. Dr. Binoy Barman, Director of DIL, inaugurated the course with his speech in the classroom (505, DT-5) where Arabic teacher Mr. Kausar Hossain and Administrative Officer Mr. Khairul Bashar were present.

13

15

As global business and transactions of multinational companies are increasing, we need knowledge of foreign languages (apart from English) to ensure our place in today's competitive world. The globalisation of economies and hybridisation of cultures demand teaching of foreign languages more than ever before. Today, knowing a common foreign language has become not only a necessity but also a compulsion for a successful career in international relations, media, trade, government, technology, and science. Comparing the place of foreign language in education systems, for example, in Europe, the United States, Japan, China and even India, Bangladesh should reconsider its education mechanism in a changed world.

Lack of knowledge about foreign cultures and foreign languages challenges our students' ability to compete in the global marketplace. Moreover, Bangladesh education system placed little value on foreign languages other than English or on understanding cultures other than our own. Hence, language skills and understanding of cultures are urgently needed to address economic challenges and the strength of Bangladesh businesses in global marketplace. So, our entire education system needs the capacity to provide requisite foreign language training.

More than 52.7% of Europeans are fluent in both their native tongue and at least one other language. At least one foreign language is taught in most schools around the world. EU emphasises the importance of schoolchildren learning at least two foreign languages before their upper secondary education. The Lisbon Summit of 2000 ranked foreign languages as one of the five key skills. A report suggests that speaking a second language could increase an average worker's salary by £3,000 (ð 3,300) a year.

Nowadays Chinese, Japanese and especially some European languages have become very important in the world for study and economic purposes. For example, German and French are considered to be important languages of the world because both of them have influential literature and economic aspects related with them. French and German should be popularised for economic reasons in our country. Learning these languages will help us to be more connected economically and culturally and to explore our possibility benefits from globalisation. In addition, it will give us impetus to build a healthy diaspora in Europe to discover new destinations of remittance flow.

Knowledge of German in particular improves one's chances in the employment market. Many German companies abroad, and various foreign companies in Germany and companies with close links to German-speaking countries, look for employees with knowledge of German. Germany is still the key trading partner for almost all the European countries and many countries outside Europe.

Bangladesh, being a huge labour surplus country, has potential to boost its economy by structural emphasis on foreign languages. Remittances sent by migrants through official channels reached a record $11 billion in 2010 while formal remittances inflow in 2010 was $10,804 million (World Bank, 2011). Percentage of Bangladeshi migrants by continent of destination in Europe is only 5% while in Asia it is 92% (Human Development Report, 2009). It is assumed that by acquiring European languages the number of Bangladeshi migrants in Europe could be increased from 5% to 25% within a decade.

It is a matter of concern that the unsatisfactory performance of students in language and literacy are visible at all levels of our education system, with its accompanying effects on language competence. This negatively affects the potential for human development. In order to provide solutions while responding properly to developing trends in our region and beyond in the age of geo-economics, the Ministry of Education and Ministry of Expatriates' Welfare and Overseas Employment can formulate a national policy and strategy on language education. Apart from many private and public universities, foreign languages can be taught from school level as well. International skills should be a major part in every young person's school curriculum.

Research indicates that children who are exposed to a foreign language at a young age achieve higher levels of cognitive development and are better at solving complex problems than those who are not (Bialystok & Hakuta 1994). All these factors emphasise the urgency for learning foreign languages in addition to our mother tongue. In India, for example, learning a foreign language is mandatory from class seven.

It is crystal clear that Bangladesh is far behind other countries on the foreign language issue. Our young people are at a growing disadvantage in the employment market because knowledge of English is not enough. Despite calls for action, we have fallen further behind the rest of the world in preparing our students to communicate effectively in languages other than English. An unsuccessful attempt was made in 1983 to introduce Arabic as a required language in primary and secondary levels. However, Arabic was not a popular subject at the college and university level. Bangladesh needs a complete language policy.

Among those engaged in international education, it is considered a basic premise that, in today's knowledge-based global economy and society, full command of at least one foreign language is a core competency that should become compulsory for all graduates of higher-education institutions. It is also generally acknowledged that higher-education institutions and the educational systems should make more serious efforts to go beyond mere lip-service by making sure that proficiency in a foreign language is really acquired at a functional level. Parents and educators would be wise to take advantage of the many available opportunities and resources for foreign language learning for the benefit of children coming of age in the 21st century.


Source: http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=224405

Pages: [1] 2 3 ... 8