Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Sahadat Hossain on December 03, 2020, 01:39:01 PM

Title: নিয়মে কমে ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি
Post by: Sahadat Hossain on December 03, 2020, 01:39:01 PM
ফুসফুস আমাদের দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। আর ফুসফুসে ক্যানসার বর্তমানে মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বিগত বছরগুলোয় আমাদের দেশেও এর প্রাদুর্ভাব বেশ লক্ষণীয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক স্তরে এটি শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ না করলে পরবর্তী সময়ে এটি মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে আশার কথা হলো, সঠিক নিয়ম মেনে প্রোটেকশন ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা হলে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

ফুসফুসে ক্যানসার নির্মূলে সবার আগে প্রয়োজন জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা। এই লক্ষ্যে এসকেএফ অনকোলজি নিবেদিত ‘বিশ্বমানের ক্যানসার চিকিৎসা এখন বাংলাদেশে’ অনুষ্ঠানের অষ্টম পর্বে আলোচনার বিষয় ছিল ‘ফুসফুস ক্যানসার’।

ডা. পারভীন শাহিদা আখতার বলেন, ফুসফুস ক্যানসারের প্রথম এবং প্রধান লক্ষণ হলো কাশি। সেটা কেবল কাশির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে আসেন রোগের অ্যাডভান্সড স্টেজে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ হলো ধূমপান। আর যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁদের প্রায়ই কাশি হয়ে থাকে। তাই দেখা যায়, কাশিকে তাঁরা ক্যানসারের উপসর্গ বলে মনে করেন না। ফলে, এটিকে উপেক্ষা করার কারণে ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায় পার হয়ে যায়।

তাই সাধারণত রোগী যখন আসেন, তখন তাঁদের শুধু কাশি থাকে না, বরং সঙ্গে বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট বা খাবারে অরুচি হয়। আর রোগটি শরীরে ছড়িয়ে পড়লে অনেক সময় কোমরে ব্যথা কিংবা মাথাব্যথা হয়ে থাকে। ফুসফুসে ক্যানসার সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব অর্থাৎ বয়স্কদের হয়ে থাকে। এ বয়সের রোগীদের মধ্যে সাধারণ রোগগুলো হলো: ডায়বেটিস, রক্তচাপ, কিডনি, হৃদ্‌রোগ ইত্যাদি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অনেকে বেশি উপসর্গ নিয়ে রোগীরা আসেন। তাঁদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যানসার এবং অন্যান্য রোগকে আলাদা করে চিহ্নিত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

ডা. পারভীন শাহিদা আখতার আরও বলেন, কেবল প্রত্যক্ষ ধূমপান করলেই যে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে তা নয়, বরং পরোক্ষ ধূমপানের কারণে অনেকেই ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে ধূমপান ছাড়াও বংশগতভাবে কিংবা অন্যান্য কারণে রোগী ফুসফুসে ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে প্রদাহ, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাজমা কিংবা ফুসফুসের ইনফেকশন পরে ক্যানসারে পরিণত হতে পারে। এ ছাড়া পরিবেশের কেমিক্যালের কারণেও ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে। এ ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্য রোগীর অবস্থার ওপর অর্থাৎ রোগটি কোন স্তরে আছে, সেটির ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা দিতে হবে। আর ধূমপায়ীদের উচিত নিয়মিত চেকআপ করা এবং বছরে অন্তত একবার স্ক্রিনিং পদ্ধতির মাধ্যমে ক্যানসার পরীক্ষা করা।

ডা. সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম হোসেন বলেন, ফুসফুসের ক্যানসার সারা পৃথিবীতে পুরুষদের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ এবং নারীদের ক্ষেত্রেও এর প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে। সাধারণত ধুমপায়ী ব্যক্তিদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আবার বয়সের বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে আমাদের দেশেও ফুসফুস ক্যানসারের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।

এমনকি উন্নত মানের সার্জারি আজকাল হয়ে থাকে। এ ছাড়া সব ধরনের কেমোথেরাপির ব্যবস্থাও রয়েছে। বেশির ভাগ থেরাপির ওষুধ বাংলাদেশেই তৈরি হচ্ছে, আর যেগুলো তৈরি হচ্ছে না, সেগুলোও দেশের বাইরে থেকে নিয়ে এসে দেশের মধ্যেই উন্নত চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতেও সঠিক উপায়ে রোগ শনাক্ত করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসাপ্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন না করা হলে রোগ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এ জন্য রোগীকে ধৈর্যের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ ও তা মেনে চলতে হবে।

Ref:https://www.prothomalo.com/life/health/%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%AB%E0%A7%81%E0%A6%B8-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF