Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - subrata.ns

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 16
35
 :)

36
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গুগল ম্যাপ তার যাত্রা শুরু করে। যাত্রা শুরুর পর থেকেই ওয়েব কিংবা হাতে থাকা স্মার্টফোনে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করে মানুষ অশেষ উপকার লাভ করেন। কোন স্থানে যেতে হলে মানুষকে আর কারো ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয় না। হাতের মুঠোয় ফোনে থাকা গুগল ম্যাপ ব্যবহার করেই কোন নির্দিষ্ট স্থানের অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। আসুন আজ জেনে নেয়া যাক গুগল ম্যাপের কিছু ট্রিকঃ

১) অফলাইন ব্যবহারের জন্য গুগল ম্যাপ ডাউনলোড করুনঃ
ধরে নিন, এমন কোন একটি স্থানে আপনি গিয়েছেন যেখানে নেটওয়ার্কের কোন বালাই নেই। পথ ঘাট কোন কিছুই আপনি চেনেন না। এমন অবস্থানে গুগল ম্যাপ ব্যবহার করা হবে নিতান্তই বাতুলতা। কারণ হচ্ছে, অনলাইন মোডে থাকা অ্যাপ আপনি অফলাইনে কার্যকর করতে পারবেন না। তাহলে আপনি কি করতে পারেন? এমন অবস্থায় পড়লে আপনাকে অফলাইন অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে। বেশ কিছু ফিচার অবশ্য এর মাঝে থাকবে না। যেমন, ট্রাফিকের অবস্থা কি কিংবা নির্দিষ্ট কোন স্টপেজ আছে কি না, তা আপনি জানতে পারবেন না। তবে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আপনাকে পৌঁছতে সাহায্য করবে অবশ্যই।
২) আপনার যাত্রাপথে স্টপ অফ কোথায় আছে জেনে নিনঃ
যাত্রাপথে গাড়ির তেল শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা প্রচন্ড ক্ষুধা পেয়েছে। এমন একটি স্থানের উদ্দেশ্যে আপনি রওয়ানা দিয়েছেন যেখানকার কোন কিছুই আপনি চেনেন না। কি করবেন? গুগল এন্ড্রয়েড এবং আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য এমন একটি অপশন চালু করেছে যেখানে আপনি কোন জায়গার রেস্টুরেন্ট, গ্যাস স্টেশন, হোটেল রয়েছে তা অনায়াসেই জানতে পারবেন।
৩) কোন স্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ডাবল ট্যাপ করুনঃ
খুবই কার্যকর একটি প্রক্রিয়া কিন্তু অনেকেই এটির সম্পর্কে জানে না। কোন স্থানের সম্পর্কে যদি আপনি ভালো করে তার লোকেশন জানতে চান তাহলে কি করবেন? খুবই সহজ। অ্যাপের মাঝের ঐ স্থানের ওপর ডাবল ট্যাপ করুন। সহজেই জানতে পারবেন ঐ স্থান সম্পর্কে।
৪) আপনার প্রিয় জায়গাটির একটি কাস্টমাইজড নাম তৈরি করুনঃ

ধরা যাক আপনি এমন একটি জায়গায় যান, যেটি আপনার খুব পরিচিত একটি স্থান। সেটি হতে পারে আপনার দাদাবাড়ি কিংবা পিকনিক করার কোন স্থান। আপনি ইচ্ছা করলেই এই স্থানের একটি কাস্টোমাইজড নাম দিতে পারেন যাতে সহজেই আপনার পরিচিতজনদের স্থানটির লোকেশন জানাতে পারেন।

৫) শর্টকাটে বাড়ির পথঃ
গুগল ম্যাপে শর্টকাটে কোন গলি ঘুপচি পেরিয়ে বাড়ির দিকে যাবেন, তা বেশ সহজেই জানতে পারবেন। ফলে বাড়ির রাস্তাটি হবে আরো পরিচিত এবং সময়ও বাঁচবে অনেক।

37
রিকন্সট্রাকটিভ টেকনোলজি বা পুনর্গঠন প্রযুক্তির সাহায্যে যে কোন মানুষের মুখাবয়ব কেমন ছিল বা তার চেহারার আদল কেমন ছিল তা জানা যায়।আর ঠিক এই প্রযুক্তির সাহায্যেই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা এমন এক ব্যক্তির মুখের আদল পুনঃনির্মান করতে সক্ষম হয়েছেন, যিনি কিনা ৭০০ বছর আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন।মধ্যযুগীয় এই মানুষটি প্রায় শত শত মানুষের সাথে একটি গণকবরে শায়িত ছিলেন।এই গণকবরটি সেইন্ট জর্জ কলেজের ওল্ড ডিভিনিটি স্কুল ভবনের নিচে অবস্থিত।এটি আজকের যুক্তরাজ্যে অবস্থিত।
এই মানুষটির মুখাবয়ব ও জৈবিক গঠন কেমন ছিল তার ওপর গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা বলছেন যে ১৩ শতকের দিকে এই মানুষটির মৃত্যু হয়েছিল।

গবেষকদলের প্রধান জন রব বলেছেন, “ঐতিহাসিক নানা দলিল থেকে দেখা যায় যে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর দলিল রেকর্ড করে রাখা হয়েছে যারা ছিলেন অবস্থা সম্পন্ন পরিবারের এবং যাদের জমিজমার পরিমাণ ভালোই ছিল।”
তিনি আরো বলেন, “আর্থিক অবস্থার পরিমাণ যত খারাপ হবে,মানুষ সম্পর্কে তথ্য ততটাই কম রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। আমরা যে মানুষটির দেহাবশেষ পেয়েছি, তার মাধ্যমে এবার আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব হবে যে, মধ্যযুগীয় আমলে মানুষের দিনকাল আসলে কেমন করে কাটত। কারণ, এই হতভাগ্য মানুষদের দিনলিপি সম্পর্কে খুব কম তথ্যই আমাদের জানা রয়েছে।”
সেইন্ট জর্জে আরো যেসকল কংকাল পাওয়া গিয়েছে,তাদের বেশিরভাগই ছিলেন দরিদ্র পরিবারের।তাদের কবরে শায়িত করার সময়কাল ছিল ত্রয়োদশ থেকে পঞ্চদশ শতক।ঐ সময়কালের যে সমস্ত হাসপাতাল কিংবা দাতব্য সংস্থা ছিল, তাদের সহায়তায় এই হতভাগ্য মানুষদের কবর দেয়া হয়।
বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন যে,তাদের প্রাপ্ত যে কংকালটি রয়েছে তার দৈহিক গঠনের পরীক্ষা করলে জানা যায় যে তিনি চল্লিশোর্ধ্ব ছিলেন।তার হাতের গঠন ও মুখের গঠন দেখলে বোঝা যায় তিনি কায়িক শ্রমের প্রতি বেশি মনোযোগ দিতেন। অর্থাৎ, তিনি হয়তবা একজন দিনমজুর বা ঐ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তার মেরুদন্ড ও কাঁধের হাড় লক্ষ্য করলে দেখা যায় তিনি ব্যাকপেইন বা কাঁধের ব্যথায় ভুগতেন। কায়িক শ্রম না করলে ঐ সময়ে এই ধরণের ব্যথায় আক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা।

নতুন এই আবিষ্কার মধ্যযুগীয় সময়ে অর্থনৈতিকভাবে নিম্নশ্রেণীর মানুষের দিনলিপি বা সামাজিক অবস্থান কেমন ছিল, এবার তাই নিয়েই গবেষণা করতে চান বিজ্ঞানীরা।

38
পৃথিবীর অনেক স্থানেই সূর্যের আলো পুরোপুরি পৌঁছায় না।প্রয়োজন থাকলেও সেইসব স্থানে সৌরশক্তির ব্যবহার সম্ভব হয় না।যেসব অঞ্চলে সূর্যালো পৌঁছায় না সে সব স্থানের কথা মাথায় রেখে জার্মানিতে গবেষকরা তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম সূর্য।বিশ্বের বৃহত্তম কৃত্রিম সূর্য ২৩ মার্চ থেকে আলো আর উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে।বৃহস্পতিবার জার্মানিতে এই কৃত্রিম সূর্যের উদ্বোধন করেন দেশটির পরিবেশমন্ত্রী জোহান্স রেমেল, অর্থমন্ত্রী গর্গ মেনজেন এবং জার্মান অরোস্পেস সেন্টারের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য কার্স্টেন লেমের।বৃহত্তম এই কৃত্রিম সূর্যের নাম দেয়া হয়েছে সিনলাইট।

সিনলাইটের ভবটি তিন তলা উঁচু।এখানে ১৪০ জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বলছে।মাল্টিপ্লেক্সের লার্জ সিনেমা স্ক্রিনে আলোর জন্য একটিমাত্র জেনন শর্ট আর্ক ল্যাম্প জ্বালানো হয়।

এই সিনলাইট ৩ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উত্তাপ তৈরি করতে পারে।এই প্রচণ্ড তাপমাত্রায় গবেষকরা হাইড্রোজেন গ্যাস প্রস্তুত করছেন।সোলার রেডিয়েশন ব্যবহার করে হাইড্রোজেন প্রস্তুত করার প্রণালী বেশ কয়েক বছর আগেই আবিষ্কার হয়েছে।কিন্তু সিনলাইটের ফলে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন উৎপন্ন করা সম্ভব যা শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানেও ব্যবহার করা সম্ভব।

39
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সহজলভ্য রাসায়নিক পদার্থ বা গ্যাসীয় পদার্থ হচ্ছে হাইড্রোজেন। এর কারণ কি?
অরিগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক মে নাইম্যান বলেন, “এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে আমাদের যেতে হবে বিগ ব্যাং তত্ত্বে।”
পর্যায় সারণিতে যে সকল মৌল রয়েছে, তাদের বেশিরভাগ দিয়েই এই পৃথিবী গঠিত। এসব মৌলগুলোর আবার সাবএটোমিক পার্টিকেল রয়েছে। যেমনঃ প্রোটন (ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট), নিউট্রন (নিরপেক্ষ) ও ইলেকট্রন (ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট)।

নাইম্যান বলেন, “হাইড্রোজেন হচ্ছে এমন একটি মৌল যেটি কেবলমাত্র একটি প্রোটন ও একটি ইলেকট্রন দিয়ে গঠিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে সহজলভ্য মৌল হবার একটি অন্যতম কারণ। এর মাঝে কোন নিউট্রন বা নিরপেক্ষ কণিকা নেই।”

আকাশের তারকারাজিদের মাঝে হাইড্রোজেন হিলিয়াম তৈরিতে সাহায্য করে। এনসাইক্লোপিডিয়া ডট কমের একটি তথ্যমতে, হিলিয়াম হচ্ছে পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ সহজলভ্য মৌল। হিলিয়ামের প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রন সব কিছুই দুটো করে রয়েছে। এই মহাবিশ্ব যত পদার্থ আমাদের জানা রয়েছে, তাদের মধ্যে ৯৯.৯৯ শতাংশ পদার্থই হাইড্রোজেন ও হিলিয়ামের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।
তা সত্ত্বেও পৃথিবীতে যে পরিমাণ হাইড্রোজেন রয়েছে, তা হিলিয়ামের চাইতে অন্তত দশগুণ। মজার ব্যপার হচ্ছে, পৃথিবীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৌল হচ্ছে অক্সিজেন। এটি হাইড্রোজেনের চাইতে ১০০০ গুণ কম পরিমাণে রয়েছে।

নাইম্যান বলেন, যেসকল মৌলের আণবিক সংখ্যা যত বেশি, প্রকৃতিতে তারা তত বেশি দুর্লভ।
মানুষের শরীরে যে পদার্থ সবচেয়ে বেশি রয়েছে, তা হচ্ছে অক্সিজেন। এরপরে পর্যায়ক্রমে রয়েছে কার্বন ও হাইড্রোজেন।

হাইড্রোজেন নিয়ে কিছু তথ্যঃ
১) মানব শরীরে হাইড্রোজেনের ভূমিকা অপরিসীম। হাইড্রোজেন বন্ধন ডি এন এ প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
২) পাকস্থলী ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গের পিএইচের পরিমাণ হাইড্রোজেন নির্ধারণ করে।
৩) আমাদের শরীরে অম্লীয় কিংবা ক্ষারীয় যে মাত্রাই বেশি হোক না কেন, হাইড্রোজেন তার মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪) বরফকে পানিতে ভাসতে হাইড্রোজেন সাহায্য করে।
৫) পৃথিবীতে অন্যতম শক্তিশালী বোমা তৈরি করা হয়েছিল হাইড্রোজেনের সাহায্যে।

41
Common Forum/Request/Suggestions / Re: Creative Writing
« on: April 02, 2017, 04:54:39 PM »
Nice Sharing

42
thanks for sharing  :)

Pages: 1 2 [3] 4 5 ... 16