Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Suman Ahmed

Pages: [1] 2
1
করোনাভাইরাস নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকে। তবে ভুলে করোনা সংক্রান্ত পোস্টগুলো ব্লক করেছে ফেসবুক। ওই পোস্টগুলোর অধিকাংশই সংবাদ। বুধবার এ খবর জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার। পোস্ট নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা না থাকলেও ফেসবুকের অ্যান্টি স্প্যাম ফিল্টার ওই পোস্টগুলোকে ‘বাগ’ হিসেবে চিহ্নিত করে ব্লক করে দিচ্ছে।

এদিকে মঙ্গলবার কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, অন্য আরেকটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম টুইটারে পোস্ট দিয়ে বলেছেন, কয়েকটি নির্দিষ্ট সংবাদমাধ্যমের কোনো কন্টেন্ট তারা ফেসবুকে শেয়ার করতে পারছেন না। সেই তালিকায় রয়েছে– বিজনেস ইনসাইডার, বাজফিড, দ্য আটলান্টিক এবং দ্য টাইমস অব ইসরাইল। তারা ঠিক নিশ্চিত হতে পারছে না, কেন এমনটি হচ্ছে। ওই টুইটার পোস্টগুলোতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে মেনশন করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি। অন্যদিকে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগ বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেয়ার পর ফেসবুক তাদের অনেক কন্টেন্ট মডারেটরকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এখন শুধু সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পোস্টগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।

2
রঙের ওপর নির্ভর না করে শুধু মনের নান্দনিকতাকে বিভিন্ন পরিকল্পনা বা নকশার মাধ্যমে উপস্থাপন করার নামই গ্রাফিক্স ডিজাইন। খুব সাধারণ সংজ্ঞায় বলতে চাইলে, কোনো আঁকা ছবি, ইমেজ কিংবা অক্ষর শিল্পকেই গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। কোনো সৃজনশীল কাজের প্রাথমিক যে খসড়া রচিত হয়, তার পুরোটাই গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রধান ক্ষেত্র। কোনো কিছুকে শিল্পসম্মতভাবে পরিবেশন করতে গ্রাফিক্সের বিকল্প নেই। গ্রাফিক্সের কাজ করতে গেলে ডিজাইনটিকে অবশ্যই ছাপা উপযোগী করে তৈরি করতে হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, গ্রাফিক ডিজাইনের সফল পরিসমাপ্তিই হচ্ছে কাগজ কিংবা ভার্চুয়াল পাতায় এটির প্রকাশ পাওয়া। এজন্য কাগজ কিংবা ওয়েবসাইটের বিভিন্ন মাপজোখ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তবে প্রথমেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কাজে নেমে হাতে-কলমে করতে করতে ব্যাপারগুলো এমনিতেই আপনার আয়ত্তে এসে যাবে। আর কাজ শিখলে দেশে-বিদেশে অসংখ্য ক্ষেত্রে কাজ করা যাবে।

এছাড়া আউটসোর্সিং পেশায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এ গ্রাফিক্স ডিজাইন পেশায়। কাজের ক্ষেত্র: গ্রাফিক ডিজাইন ব্যাপারটির সঙ্গে বাণিজ্যের একটা ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। কাজটা শেখা মাত্রই আপনার সামনে উপার্জনের নানা পথ উন্মোচিত হয়ে পড়বে। বর্তমান যুগের কোনো জিনিসটির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোনো যোগসূত্র নেই খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাদের পরিধেয় কাপড়-চোপড় তৈরি থেকে শুরু করে বাড়ি-গাড়ি, পণ্যের মোড়ক, টাইলসের কারুকার্য, মডার্ন পেইন্টিং, বুক কভার, স্টিকার, বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার, সফটওয়্যার ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, এনিমেশন, টেক্সটাইল ডিজাইন ইত্যাদি সব কাজেই গ্রাফিক ডিজাইন অনস্বীকার্য। চাইলেই যে কোনো অফিস, ব্যাংক-বীমা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, বিজ্ঞাপনী সংস্থা ও বিভিন্ন কর্পোরেট হাউসগুলোতে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন। আবার কারও অধীনে কাজ না করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিংও করতে পারবেন আপনি।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার করা যে কোনো ডিজাইন, হতে পারে সেটা একটা ভিজিটিং কার্ড, বিক্রি হতে পারে হাজার ডলারে। আর টাকার বিনিময়ে কারও কাজ করে দেয়ার সুযোগ তো থাকছেই। কোথায় শিখবেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ আপনার প্রথম পছন্দ হতে পারে। এছাড়া সরকারি গ্রাফিক আর্টস ইন্সটিটিউট অনেক আগে থেকেই সুনামের সঙ্গে গ্রাফিক্সের ওপর শিক্ষা দিয়ে আসছে। খুব কম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েই গ্রাফিক্সের ওপর পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শান্তা-মরিয়ম ইউনিভার্সিটি এবং ইউডাতে (ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ) এ ব্যাপারে পড়ালেখা করা যাবে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি প্রচুর প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের অ-আ থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষাও প্রদান করে থাকে। বাংলাসফট কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠানও বিশেষ ছাড়ে এ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।

3
শুধু অনলাইন সংবাদমাধ্যম নয়। কনটেন্টভিত্তিক যে কোনো ওয়েবসাইট পরিচালনা করার জন্য খরচ দেবে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। মূলত নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের আরও বেশি সময় রেখে দেয়া, দ্রুত সাইটে প্রবেশ (লোডিং টাইম), নিউজ সাইটগুলো আরও বেশি ফেসবুকমুখী হওয়া, বিজ্ঞাপনদাতাদের টার্গেট পিপল ধরা এবং ওয়েবসাইটের মালিকদের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার করার জন্য এই ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। আয়ের টাকা ১০০ ডলার হলেই চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা ও ঢাকার বাইরে জেলা শহরের ছোট ও মাঝারি অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোও প্রতিনিয়ত এ পদ্ধতির সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে। ফলে ফেসবুকের থেকে আয় করা টাকায় অফিস পরিচালনা এবং কর্মীদের বেতন দিয়েও এখন অতিরিক্ত টাকা আয় করা যাচ্ছে। তবে অনেকেই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করলেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাচ্ছেন না। আবার অনেকেই নিয়মের বাইরে গিয়ে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করার ফলে অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যাচ্ছে।

ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল কী?

আধুনিক জীবনযাত্রায় ফেসবুক অনেক দিন ধরেই অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফেসবুক এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগের একটি মাধ্যম নয়, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদেরও খোঁজ মেলে এখানে। ফেসবুকের নিউজফিডে প্রতিদিন ভেসে আসে হাজারও খবরের শিরোনাম বা লিংক। এই শিরোনাম থেকে খবরটি পড়ার জন্য ক্লিক করলেই ফেসবুক থেকে বেরিয়ে চলে যেতে হয় নির্দিষ্ট কোনো ওয়েবসাইটে। আর মোবাইল ফোনের পাঠকমাত্রই জানেন, এটা কতটা সময় সাপেক্ষ! অপেক্ষার পালা যেন আর ফুরোতে চায় না। পাঠকের এই চিরাচরিত তিক্ত অভিজ্ঞতা বদলে দিতে ফেসবুক নিয়ে এসেছে ‘ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’ নামে এক জাদুকরি চমক। এখন খবরের শিরোনাম বা লিংকে শুধু একটা ক্লিক, ব্যস! বিদ্যুৎ গতিতে ফেসবুকেই পেয়ে যাবেন খবরটি। আপনার ওয়েবসাইটে করা পোস্টটি যখন আপনি পেজে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল হিসেবে পোস্ট করবেন তখন সেটি পড়ার জন্য ইউজারদের এমবি খরচ করে নতুন কোনো ট্যাবে বা ব্রাউজারে যেতে হবে না। তবে হ্যাঁ, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল শুধু স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাই দেখতে পারবেন। বিশ্বের বড় বড় সংবাদমাধ্যম এরই মধ্যে ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ফিচারটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, বাজফিড, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ছিল তালিকায় প্রথম। পরে আরও নামিদামি সংবাদমাধ্যমও ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট, হাফিংটন পোস্ট, দ্য ইনডিপেনডেন্ট, ইন্ডিয়া টুডের মতো জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমও পাঠকের খবর পড়ার অভিজ্ঞতাকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের সঙ্গে একাত্ম হয়েছে।

২০১৫ সালে মার্চের শুরুর দিকে খবরের লিংক শেয়ারের ক্ষেত্রে হোস্টিং সেবা দিতে বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে সরাসরি কনটেন্ট পোস্টের প্রস্তাব দেন মার্ক জাকারবার্গ। তখন হাফিংটন পোস্ট, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি ও বাজফিড শুরুতে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে সরাসরি কনটেন্ট পোস্টের এ সুযোগ পায়। এরপর ২০১৬ সালের ১২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল সবার জন্য উন্মুক্ত করে ফেসবুক। ফেসবুকের এই নতুন সংযোজন বা ফিচারটি মূলত মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বদলে দেয়ার জন্যই। যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুততম সময়ে (ফেসবুক বলছে, বিদ্যুৎগতিতে) একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তার পছন্দসই খবরটি পড়তে পারবেন ফেসবুকে থেকেই। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন, এই ফিচারটির মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ‘তাৎক্ষণিকতা’। দেখলেন আর ক্লিক করলেন, ব্যস। তাতেই কাজ যা হওয়ার হয়ে যাবে। খবর বা কোনো কনটেন্ট লোড হওয়ার যে প্রতীক্ষা আপনাকে করতে হতো, তা একেবারেই ভুলে যাবেন আপনি।

পাঠকের জন্য ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল সম্বন্ধে আরও খোলাসা করে বলা যায়, ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এক ধরনের অ্যাপও। ধরুন, আপনি মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। এমন সময় আপনার নিউজফিডে একটি সংবাদের লিংক দেখলেন, তারপর ক্লিক করলেন। তখন সেই সংবাদের সাইটটি ধীরে ধীরে আপনার মোবাইলে লোড হবে আর তারপর আপনি পুরো সংবাদটি দেখতে পাবেন এমনটাই তো হয়ে থাকে, তাই না! ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের জাদু সেখানেই। আগে কেমন করে কী হতো, ভুলে যান। ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে সংযুক্ত কোনো নিউজ লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি আপনার মোবাইলে চলে আসবে, কারণ এটি ১০ গুণ দ্রুত কাজ করে। আর তার থেকেও বড় কথা, এটি প্রথমত সেই সংবাদটি চোখের নিমেষে আপনার মোবাইলে এনে হাজির করে, ওই সাইটটিকে নয়। ব্যবহারকারীরা এখন তৎক্ষণাৎ হাই-রেজল্যুশনে যে কোনো ছবি জুম করতে পারবেন, স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে থাকা ভিডিও দেখতে পারবেন কোনো বাধা ছাড়াই। আপনার মনেই হবে না যে এটি ইন্টারনেট থেকে লোড হয়েছে, বরং মনে হবে এটি যেন কোনো সেইভ করে রাখা ফাইল, আপনি ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে গেল! কোনো কনটেন্ট ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা, সেটি বোঝারও সহজ উপায় আছে। যে কোনো শেয়ার করা লিংকের ডানপাশে যখন একটি বিদ্যুতের মতো (থান্ডারবোল্ট) চিহ্ন দেখতে পাবেন, বুঝে নেবেন সেটি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলই বটে!

ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল সুবিধা

* আর্টিকেল খুব দ্রুত লোড হবে।
* আর্টিকেল ক্যাশ থাকবে বলে পরের আর্টিকেল থেকে আবার এটাতে এলে নতুন করে লোড না হয়ে ক্যাশ থেকে লোড হবে।
* ফেসবুক পেজে আর্টিকেলের স্ট্যাটিকস পাওয়া যাবে।
* মনিটাইজেশন অ্যাড করে রেভিনিউ জেনারেট করা যাবে।

ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল অসুবিধা

* সাইটের উইজেট বিশেষত ওয়ার্ডপ্রেসের অনেক শর্টকোড এতে কাজ করবে না।
* মেইন সাইটের ভিজিটর কমে যাবে।
* তবে সাইটের র‍্যাংকিং কমবে না।

ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল যুক্ত হতে যা যা দরকার

* সাইটের জন্য একটি ফেসবুক পেজ (তবে নতুন পেজে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল এখন অনেকটা কঠিন হয়ে গেছে)
* সাইটে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করতে হবে
* Instant Articles for WP প্লাগিন
* ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

যেভাবে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করবেন

মাত্র ৬টি ধাপ পেরিয়েই আপনার ওয়েবসাইটে ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল চালু করতে পারেন। ১. প্রথমে https://ins tantarticles.fb.com এখানে ক্লিক করে ঝরমহ টঢ় করুন। দেখুন এখানে প্রতিটি স্টেপ ফেসবুক আপনাকে দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে করতে হবে।
২. সাইন আপ করার পর নেক্সট পেজে আপনাকে আপনার পেজ সিলেক্ট করতে বলা হবে। আপনি পেজ সিলেক্ট করবেন, ঠিক যেই পেজটি থেকে আপনি ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল সিস্টেম চালু করতে চান। আপনি ফেসবুকের যেসব শর্ত রয়েছে তার সঙ্গে একমত, এই মর্মে বক্সে টিক মার্ক করুন এবং ‘ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল টুলস’ চালু করুন।
৩. এবার আপনার সিলেক্ট করা পেজে যান। সেখান থেকে Publishing Tools এ ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর বাম পাশে নিছে ‘ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’ নামে নতুন অপশন দেখতে পাবেন। সেখান থেকে ‘কনফিগারেশন’ এ ক্লিক করুন।
৪. এবার ‘Authorize your site’ এ ক্লিক করুন। ৫. অথরাইজ ইউর সাইট এ ক্লিক করার পর আপনাকে নিচে নতুন একটি বক্সে নিয়ে যাবে, সেখানে আপনি আপনার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের লিংক দিন।

এখানে একটি বিষয় বলে রাখতে চাই, আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসের ওয়েবসাইট হয়ে থাকে তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার সাইটে ‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’ নামে নতুন একটি ‘অ্যাড অনস’ চালু করতে হবে তারপরই ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের জন্য লিংক সাবমিট করতে হবে। HTML ওয়েবসাইট হলে সোজা আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বসিয়ে ক্লেম করবেন। ক্লেম করতে না পারলে আপনার সাইটের ডেভেলপারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। ৬. আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সঠিকভাবে ক্লেম করার পর ফেসবুক অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটে করা সব পোস্ট ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের টুলসে নিয়ে আসবে। সেখান থেকে ফেসবুক ৫টি আর্টিকেল নিজে থেকেই সিলেক্ট করে নেবে রিভিউয়ের জন্য। সঠিকভাবে আপনার পোস্ট রিভিউয়ের জন্য সাবমিট করার পর আপনাকে ২৪-৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। সব ঠিক থাকলে আপনাকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল আপনার পেজে প্রকাশ করার জন্য অনুমতি দেবে ফেসবুক। সাধারণত রিভিউ রেজাল্ট ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে পাবেন। আপনার লেখা যদি ইউনিক হয় তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল হিসেবে চালু হবে। আপনার ইন্সট্যান্ট আর্টিকেল একটিভ হয়ে গেলে আপনার ফেসবুক ডেভেলপার অ্যাপে গিয়ে ইনকাম কত হল তা দেখতে পারবেন।

যে তথ্য জানা জরুরি

ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল একটিভ হলে এরপর আপনাকে অবশ্যই ইউনিক কনটেন্ট দিতে হবে। শুরুর দিকে কপি পেস্ট কনটেন্ট দিলেও ফেসবুক সেটা গ্রহণ করত। সম্প্রতি নতুন আপডেট আসার পর থেকে কপি পেস্ট কনটেন্টের সাইটগুলোর ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল বাতিল করে দিচ্ছে ফেসবুক। এ ফিচার থেকে আয় বাড়াতে চাইলে বিশেষত বড় দেশগুলোর প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীদের টার্গেট করতে হবে। সেখান থেকে পাঠক ঢুকলে তুলনামূলক আয় বৃদ্ধি পাবে বেশি। অনেকেই মনে করেন ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক কমিয়ে দেয়। আসলে ফেসবুক সার্ভার থেকে সাইটে পাঠক ঢুকলে সরাসরি সাইটের পাঠক কমবে কিন্তু সাইটের হিট কমবে না। একই সঙ্গে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের ফলে অ্যালেক্সা র‌্যাং কিংয়েও কোনো প্রভাব ফেলবে না। এ জন্য গুগল অ্যানিলিটিক কোড ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলে বসাতে হবে এবং অ্যানালিটিকে পাঠকের পরিসংখ্যান দেখাবে।

কত টাকা আয় করা যায়?

আপনার অনলাইন সংবাদমাধ্যমটি কতটা পপুলার তার ওপর ভিত্তি করে নির্ভর করবে আপনার আয় কত হবে। আপনার সাইটের ভাষা বাংলা নাকি ইংরেজিই সেটি কোনো বিষয় নয়। দেশে বা বিদেশে যেখান থেকেই পাঠক পড়বে সেখান থেকেই আয় আপনার অ্যাকাউন্টে যোগ হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দেশগুলোতে পাঠক থাকলে আপনার আয় তুলনামূলক বেশি হবে। বাংলাদেশ থেকে মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করে এমন ওয়েবসাইটও রয়েছে।

বিজ্ঞাপন কীভাবে আসবে?

ফেসবুক আপনার ওয়েবসাইট থেকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে করা ফেসবুক পেজের পোস্টের সঙ্গে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে এবং সেই বিজ্ঞাপনের জন্যই মূলত ফেসবুক আপনাকে টাকা দেবে। আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগুল অ্যাডসেন্স যুক্ত করাও থাকে তবে সেটি ‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর ওপর কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না।

টাকা কীভাবে আসবে?

টাকা সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আসবে। অথবা আপনার ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল যদি কোনো এজেন্সি দেখে তাহলে তারা নিজ দায়িত্বে টাকা নিয়ে এসে আপনাকে চেক বা ক্যাশ পেমেন্ট দেবে। অন্তত ১০০ ডলার না হলে ফেসবুক কোনো পেমেন্ট পাঠায় না আর ১০ হাজারের বেশি ডলার এলে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে সি ফর্ম পূরণ করে দিতে হবে। সঙ্গে ফেসবুক থেকে পাঠানো ইনভয়েস সংযুক্ত করে দিতে হবে। এরপর যথাসময়ে কোনো বাধা ছাড়াই টাকা আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।

বাংলাদেশে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল হেল্প সেন্টার

বাংলাদেশ থেকে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল সংশ্লিষ্ট যে কোনো সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ করা যাবে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলসহ অনলাইন রেভিনিউ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডল কমিউনিকেশনের সঙ্গে। যে কোনো ওয়েবসাইটে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল ইন্সটলেশন, আয় বৃদ্ধির (সিপিএম বৃদ্ধির) জন্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট, রেভিনিউ শেয়ার এবং ঘরে টাকা পৌঁছে দেয়ার কাজ করে এজেন্সিটি। যেসব সাইটের দায়িত্ব নিয়ে থাকে সেগুলোর স্ট্যাটিজিক প্ল্যানও দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা যাবে www.adoole.com ঠিকানায় অথবা সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে info@adoole.com ঠিকানায়।

https://www.jugantor.com/todays-paper

4
বেসিস ও মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় ব্যাংক এশিয়া ফ্রিল্যান্সারদের আয়ের টাকা সহজে দেশে আনার জন্য চালু করেছে ‘স্বাধীন’ ফ্রিল্যান্সার কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারা যেকোনো আন্তর্জাতিক নিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ গ্রহণ করতে পারবেন। গ্রহণকৃত অর্থের ৭০ ভাগ মার্কিন ডলার কার্ডে সংরক্ষণ করতে পারবেন। যা দেশ-বিদেশের যেকোনো অনলাইন কেনাকাটায় ব্যবহার করা যাবে। চাইলে পুরো অর্থই উত্তোলন করা যাবে। বাংলাদেশে সাড়ে ছয় লাখ নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যাদের মধ্যে ৫ লাখ মাসিক বেতনের ভিত্তিতে দেশে বসেই কাজ করছেন। তারা তাদের আয়ের টাকা নিরাপদে স্বাধীন কার্ডের মাধ্যমে দেশে আনতে পারবেন। রাজধানীর একটি হোটেলে সোমবার সন্ধ্যায় এ কার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ রউফ চৌধুরী, প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, মাস্টারকার্ড ভারতের কান্ট্রি কর্পোরেট অফিসার ও সাউথ এশিয়া ডিভিশন প্রেসিডেন্ট পরুস সিং এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল।

5
গুগল, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের মতো ভয়েস রিকগনিশন বা গলার স্বর চিহ্নিতকরণ অ্যাপ নিয়ে আসছে ফেসবুক। এ প্রযুক্তির উন্নয়নে কিছু ব্যবহারকারীকে টাকাও দেবে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি। বৃহস্পতিবার ফেসবুক এ ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্টটি এক বিবৃতি বলেছে, ফেসবুক তার ভয়েস রিকগনিশন প্রযুক্তির উন্নয়নে কিছু ব্যবহারকারীকে টাকা দেবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি তার বাজার গবেষণাসংক্রান্ত বিভাগের ‘প্রোনানসিশেন’ নামে এ প্রোগ্রাম চালু করেছে। বলা হয়েছে, ফেসবুকের যে কোনো ব্যবহারকারী অ্যাপে তার বন্ধু তালিকার কোনো বন্ধুর নাম ধরে ডেকে সেটি রেকর্ড করতে পারবেন।

সর্বোচ্চ ১০ জন বন্ধুর নাম ধরে ডেকে রেকর্ড করা যাবে। প্রতি জনের জন্য দু’বার রেকর্ড করা যাবে। ফেসবুক বলছে, প্রতিবার ভয়েস রেকর্ডের মাধ্যমে ভিউপয়েন্ট অ্যাপে ২০০ পয়েন্ট পাওয়া যাবে। এভাবে ১ হাজার পয়েন্ট হলে পেপালের মাধ্যেমে ৫ ডলার ক্যাশ করা যাবে। তবে একজন সর্বোচ্চ ৫ ডলার আয় করতে পারবে।ফেসবুকে এ অ্যাপটি এখনই বাংলাদেশিদের জন্য আসছে না। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরাই সুযোগটি পাচ্ছেন। যাদের কমপক্ষে ৭৫ জন ফেসবুক বন্ধু রয়েছে এবং বয়স ১৮ বছরের বেশি তারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন।

6
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি পাওয়ার সুযোগ নিয়ে এল শিক্ষাবিষয়ক মোবাইল অ্যাপ ‘এডু হাইভ’।

আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকার মূল্যমানের এই বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘এডু হাইভ স্কলার্স’ নামে এই কার্যক্রমে প্রতি বিভাগে (বিজ্ঞান এবং ব্যবসায় শিক্ষায়) সেরা শিক্ষার্থী পাবেন ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের শিক্ষাবৃত্তি। মেধাক্রম এবং জেলাভিত্তিক মোট ২৫৬ জন শিক্ষার্থীকে ১৫ লাখ টাকা সমমানের বৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী নাজমুল হক জানান, ‘এডু হাইভ দেশব্যাপী মেধাবী মুখ খুঁজছে। যে মুখগুলো একসময় আমাদের জাতি ও দেশগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী ঘরে বসেই অনলাইনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিতে নিতে পারেন এই পুরস্কার।’

এডু হাইভ স্কলারসে অংশগ্রহণ করতে গুগল প্লে স্টোর থেকে এডু হাইভ অ্যাপ (bit.ly/eduhiveAndroidApp) ডাউনলোড করে নিবন্ধন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ‘এডু হাইভ’ হচ্ছে একটি অনলাইনভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এডু হাইভ বাংলাদেশে শিক্ষার ডিজিটালাইজেশন নিয়ে কাজ করছে। ‘এডু হাইভ’ থেকে ব্যবহারকারী দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে সব বিষয়ের পছন্দের শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পারে।

7
বর্তমান সময়ে ফেইসলক হলো নতুন ফেসবুক ইউজারদের জন্য নিয়মিত এক আতঙ্কের নাম। ফেইসলক বর্তমানে ফেসবুকের একটি বিরাট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ আপনি যখনই কোনো আইডি খুলতে যাবেন তখনই দেখা যায় আপনার আইডিটি ফেইসলক হয়ে যায়। এই ফিচারটি আনার মূল লক্ষ্য হলো ফেসবুকের সব ফেইক আইডিকে দমন করা। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আসল আইডিগুলো ফেইসলক হয়ে যায়। তারপর অনেকদিন লক থাকার পরে ফেইসলেকর কারণে ডিজেবল হয়ে যায়। ফেইসলকে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে যাতে কোনো ব্যক্তি একাধিক ফেসবুক আইডি খুলতে না পারে। কিন্তু এতে করে অনেক ফেইক আইডির কারণে অনেক সময় আমাদের রিয়েল অ্যাকাউন্টও ফেইসলকে পড়ে যায়।

অনেক সময় অ্যাকটিভ ফেসবুক আইডিও ফেইসলকে পড়ে। বিশেষ করে যদি কোনো ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন/এডিটর অনুরোধ কনফার্ম করতে গেলেই আপনাকে পড়তে হতে পারে ফেইসলক নামক অপশনে। এতে আপনি হারাতে পারেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।

এই বিষয়ে ক্রাফের টেকনিক্যাল ক্রু বিএম ইয়ামিন বলেন, ফেইসলক থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক ঝামেলার ব্যাপার। কেউ চাইলেও এ থেকে মুক্তি পেতে পারে না। তবে কিছু বিষয়কে এড়িয়ে চললে হয়তো ফেইসলক নাও পড়তে পারে। তাই একের অধিক আইডি খোলা থেকে বিরত থাকতে হবে। ফেইসলক থেকে আইডিগুলোকে রক্ষা করতে কি ধরনের সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে এই বিষয়ে ক্রাফের প্রেসিডেন্ট জেনিফার আলম তার পরামর্শে বলেন, বার বার আইডি লগ ইন লগ আউট না করা, সব সময় আসল নাম ব্যবহার করা, ভিপিএন কানেক্ট করে কখনই ফেসবুকে প্রবেশ না করা, অধিক মাত্রায় ফ্রেন্ড অ্যাড ও রিকুয়েস্ট না পাঠানো ও একই ডিভাইস ব্যবহার করে একের অধিক আইডিতে প্রবেশ না করা।

ফেইসলকের ফিচারটি একদিকে যেমন ফেইক আইডির মাধ্যমে ঘটে যাওয়া নানা রকম হ্যারাসমেন্টের হার কমিয়ে আনবে, অন্যদিকে সঠিকভাবে ব্যবহার এবং অন্যের প্রতিহিংসা বা ভুলের কারণে হারাতে হতে পারে আসল আইডিটিও। তাই ফেসবুকে নিজের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ ফেইসলক থেকে বাঁচার জন্য।

8
ডিজিটাল যুগে মানুষের মূল্যবান সময়কে বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে কেয়ার টিউটরস ডট কম। এই প্রতিষ্ঠান টিউটর খোঁজার পদ্ধতিকে করেছে ডিজিটাল। দেশের মোট ১২টি শহরে সেবা দিয়ে যাচ্ছে কেয়ার টিউটরস ডটকম।

তরুণদের কাছে টিউশনকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কারিগর প্রতিষ্ঠান কেয়ার টিউটরস (https://caretutors.com/) ‘মোবাইল ওয়েব’ ও ‘অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ’ নামে নতুন দুটি সেবা চালু করেছে। অ্যাপটি ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর উত্তরায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ইমন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেয়ার টিউটরসের প্রধান নির্বাহী মাসুদ পারভেজ রাজু-সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের জানানো হয়, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে ‘মোবাইল ওয়েব’ ডেভেলপ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য কেয়ার টিউটরসের সেবা গ্রহণ করা আরও সহজ হলো। আর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ হলো নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগের অ্যাপটির আরও আপডেট ভার্সন।নতুন অ্যাপের সাহায্যে শিডিউল ঠিক করতে পারবেন টিউটররা। একজন টিউটর কোন দিন পড়াতে যাবেন তা অ্যাপেই ঠিক করতে পারবেন। আর এটি দেখতে পাবেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। টিউটরসের প্রধান নির্বাহী মাসুদ পারভেজ রাজু বলেন, আমরা টিউশনকে একটা স্ট্রাকচারড ওয়েতে নিয়ে আসতে চাই। আমরা চাই গ্রাহকরা আমাদের ওপর আস্থা রাখুক। ইতিমধ্যে এই কাজটি অনেকটাই করতে পেরেছি। আমাদের কাছে গ্রাহকদের চাহিদা ও গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।এর মধ্যে ৮টি বিভাগীয় শহরের পাশাপাশি বাকি যে শহরগুলোতে এই সেবা চালু হয়েছে সেগুলো হলো- নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার ও কুমিল্লা। ধীরে ধীরে এই সেবা আরও বিস্তৃত করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কেয়ার টিউটরস শুধু স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের টিউশন নিয়েই কাজ করে না। এই প্লাটফর্মে সব ধরনের টিউটর পাওয়া যায়।


9
আজ, অনলাইন ইন্টারনেটে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক উপায় হলো ইউটিউব (YouTube)। হে, ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি কোরে তাতে ভিডিও আপলোড দিয়ে টাকা আয় করাটা অবশই অনেক সহজ কথা। আজ অনেকেই, এই YouTube business করে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন এবং,আপনি যদি এই অনলাইন ব্যবসা ঘরে বসে করতে চান, তাহলে আগে YouTube চ্যানেল কি এবং কিভাবে চ্যানেল তৈরি করবেন সেটা জেনেনিতে হবে।

কিভাবে চ্যানেল খোলা যায় সেটা আমি আপনাদের অবশই বলবো। কিন্তু, চলেন আগে YouTube এর চ্যানেল কি সেটা জেনেনেই। আসলে YouTube গুগলের একটি সার্ভিস (service) বা ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট আমাদের ফ্রীতে কোনো টাকা না নিয়ে অনেক রকমের ভিডিও অনলাইন মোবাইল বা কম্পিউটারে দেখতে দেয়। এখানে আপনি সবরকমের ভিডিও, গান, সিনেমা, সিরিয়েল, টিউটোরিয়াল ভিডিও এবং অনেক অনেক রকমের ভিডিও আপনি দেখতে পারবেন। আর, সোজাসোজি ভাবে বলতেগেলে YouTube হলো এমন একটি ওয়েবসাইট যে পুরো দুনিয়াতে সবাইকে ফ্রীতে অনেক রকমের ভিডিও বা সিনেমা অনলাইন লাইভ (Live) দেখতে দেয়। এখন, ইউটিউবে যেই ভিডিওগুলি আপ্নে দেখেন সেগুলি সেখানে কিভাবে আসে ? কে YouTube এ সেই ভিডিওগুলি আপলোড করে ? এই প্রশ্নোর উত্তর হলো, “আমার আর আপনার মতো লোকেরা“. হে, আমার এবং আপনার মতো লোকেরা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করেন YouTube চ্যানেলের মাধ্যমে। YouTube এর একটি চ্যানেল একটি ইউটিউব প্রোফাইলের মতন। যেরকম আমরা ফেসবুক বা টুইটারে প্রোফাইল তৈরি করি সেরকম ইউটিউবে চ্যানেল খোলা মানে একটি ইউটিউব প্রোফাইল বানানো। একটি ইউটিউবের চ্যানেল বানানোর পর আপনার একটি চ্যানেলের নাম থাকবে এবং সেই চ্যানেলের নামের বা প্রোফাইলের মাধ্যমে আপনি ইউটিউবে নিজের বানানো ভিডিও আপলোড দিতে পারবেন এবং লোকেদের সেই ভিডিও দেখাতে পারবেন। লোকেরা আপনার চ্যানেলে গিয়ে আপনার আপলোড করা সবকয়টা ভিডিও দেখেনিতে পারবে।

তাহলে সোজাসোজি ভাবে বললে, একটি YouTube channel হলো আপনার একটি YouTube প্রোফাইলের মতো যার দ্বারা আপনি নিজের বানানো ভিডিও YouTube এ আপলোড করতে পারবেন এবং আপনার সেই চ্যানেলের মাধ্যমে লোকেরা আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখতেও পারবেন।

কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করবেন ?

উটিউবে একটি চ্যানেল বানানোর জন্য সবচে আগে আপনার প্রয়োজন হবে একটি গুগল  জিমেইল একাউন্টের। হে, YouTube গুগলের একটি service বা product আর তাই ইউটিউবে signin বা লগইন করার জন্য আপনার একটি জিমেইল আইডি প্রয়োজন হবে। আপনার যদি জিমেইল আইডি নেই, তাহলে জিমেইলে একটি ফ্রি ইমেইল একাউন্ট কিভাবে বানাবেন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনেনিন। তাহলে চলেন এখন আমরা নিচে ইউটিউবে চ্যানেল বানানোর প্রক্রিয়া স্টেপ বাই স্টেপ জেনেনেই।

১. ইউটিউবে লগইন বা signin করুন
সবচে আগেই আপনাকে যেতে হবে ইউটিউবের ওয়েবসাইটে। ইউটিউবের ওয়েবসাইটে গিয়ে একদম ওপরে ডানদিকে আপনি “sign in” বলে একটি লিংক দেখবেন। আপনি সেই signin button এ ক্লিক করুন।

২. নিজের gmail account দিয়ে লগইন করু
এখন YouTube এ গিয়ে Sign in এ ক্লিক করার পর আপনি একটি web page দেখবেন যেখানে আপনাকে নিজের Google বা Gmail একাউন্টের Id এবং password দিয়ে লগইন করতে বলা হবে। আমি আগেই বলেছি যে, YouTube google company র একটি সার্ভিস এবং তাই YouTube এ লগইন করতে আপনার নিজের জিমেইল একাউন্টের ব্যবহার করতে হবে।

৩. YouTube চ্যানেল তৈরি করুন
নিজের জিমেইল একাউন্টের আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউবে লগইন করার পর আপনি YouTube dashboard এ লগইন হয়ে যাবেন। এখন আপনাকে চ্যানেল খোলার জন্য সবচে আগেই YouTube dashboard এর সবচে ওপরে ডানদিকে শেষে থাকা ছোট্ট “profile Icon” টিতে ক্লিক করতে হবে। ভালোকরে জানার জন্য আপনি নিচে দেয়া ছবিটি দেখুন।এখন, YouTube profile icon এ ক্লিক করার পর আপনি কিছু options দেখবেন। এই option গুলির মধ্যে সোজাসোজি “My channel” অপশনে ক্লিক করুন।এখন, My channel অপশনে ক্লিক করার পর আপনি দেখবেন আপনাকে YouTube একটি পেজ দেখাবে যেখানে লেখা থাকবে “Use YouTube as” লেখা থাকবে এবং তার নিচে দুটো ছোট ছোট বাক্স দেয়া থাকবে। সেই ছোট্ট বাক্স গুলিতে আপনাকে নিজের চ্যানেলের জন্য নাম লিখে দিতে হবে।মানে, যেরকম ওপরে ছবিটিতে আপনি দেখছেন আমরা বাক্সটিতে “বাংলা টেকনোলজি” লিখেছি। কারণ আমরা আমাদের ইউটিউবের চ্যানেলের নাম বাংলা টেকনোলজি রাখতে চেয়েছি। তাই, ঠিক তেমন কোরে আপনি নিজের চ্যানেলের নাম সেই দুটো বাক্সতে লিখুন যা আপনি দিতে চান এবং নিচে “Create Channel” এ ক্লিক করুন। Congratulations, দেখো সোজাসোজি বলতে গেলে আপনার চ্যানেল তৈরি হয়েগেছে এবং আপনি এখন নিজের চ্যানেল edit, design বা তাতে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। Create channel এ ক্লিক করার পর আপনি পরের পেজে দুটো অপশন দেখবেন। একটি হলো “Creator studio” এবং আরেকটি “Customize channel“. Customize channel অপশনে গিয়ে আপনি নিজের ইউটিউব চ্যানেল customize করতে পারবেন। মানে, আপনি নিজের চ্যানেলে প্রোফাইল পিকচার, background ছবি (Channel art), description, About এরকম ধরণের জিনিস লাগাতে এবং আপডেট করতে পারবেন।

Creator studio অপশনে গিয়ে আপনি নিজের চ্যানেলের জন্য অনেক রকমের সেটিংস (settings) করতে পারবেন। যেমন channel settings, video manager, আপনার চ্যানেলে কয়টা subscribers হলো, ভিডিওতে কতটা views (দেখা) হয়েছে। আপনি এই দুটো অপশনে নিজে গেলেই বুঝতে পারবেন যে অপশন গুলি দিয়ে  আপনি কি কি করতে পারবেন। Customize channel এবং Creator studio এই দুটো অপশনে পরেদিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি YouTube dashboard এর একদম ওপরে ডানদিকে থাকা profile icon এ ক্লিক করুন। এতে আপনি creator studio অপসন দেখবেন। যদি আপনি Customize channel অপশনে যেতে চান, তাহলে creator studio তে গিয়ে “View channel” এ ক্লিক করুন।

৪. ইউটিউবে ভিডিও কিভাবে আপলোড করবেন ?

ইউটিউবে নিজের একটি চ্যানেল বানানোর পর আপনার অশোক কাজটা হলো “নিজের চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করা”. কারণ, যখন আপনি ভিডিও আপলোড করবেন তখন লোকেরা আপনার চ্যানেলে আসবে এবং আপনার আপলোড করা ভিডিও দেখবেন। আসলে কেবল তখনই আপনি নিজের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা আয় করা আরম্ভ করতে পারবেন। তাই, চ্যানেল বানিয়ে নেয়ার পর ভালো ভালো ভিডিও যেগুলি নাকি লোকেরা দেখে ভালো পাবেন এবং লোকেরা দেখতে চান সেরকম ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করবেন। আর, চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করাটা অনেকটাই সোজা। YouTube চ্যানেল বানানোর পর তাতে ভিডিও আপলোড করার জন্য আপনি প্রথমে YouTube এর একদম ওপরে থাকা “Video icon”  এ আপনার ক্লিক করতে হবে। Video icon এ ক্লিক করার পর আপনি দুটো অপশন দেখবেন “Upload a video” এবং “Go live” . এখন আপনাকে সোজাসোজি “Upload a video” তে ক্লিক করে নিন।Upload a video তে ক্লিক করার পর এখন পরের পেজে আপনি ভিডিও আপলোড করার জন্য অপসন দেখবেন। আপনি “select file to upload” বলে একটি জায়গা বা লেখা দেখবেন।বাস, সোজাসোজি সেখানে ক্লিক করুন এবং নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের থেকে ভিডিও সিলেক্ট করে তাকে আপলোড করুন।

৫. নিজের ইউটিউবের চ্যানেল verify করুন

এখন, আমাদের আরো একটি অনেক জরুরি কাজ বাকি রয়েছে। সেটা হলো, channel verification. আপনি অবশই খেয়াল রাখবেন যে, কেবল চ্যানেল বানিয়ে তাতে ভিডিও আপলোড করলেই হবেনা। নিজের চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার জন্য এবং আরো অনেক রকমের সুবিধা এবং অপশনের জন্য আপনাকে নিজের বানানো চ্যানেল verify অবশই করতে হবে। YouTube চ্যানেল ভেরিফাই করার জন্য আপনি নিচে দেয়া স্টেপ গুলো ভালো করে বুঝে নিন।

স্টেপ ১.
সবচে আগে আপনার যেতে হবে creator studio অপশনে আর তার জন্য আপনি নিজের YouTube dashboard থেকে ওপরে ডানদিকে থাকা “profile icon” এ ক্লিক করুন। প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করার পর আপনি creator studio অপসন দেখতে পাবেন।

স্টেপ ২.

এখন creator studio পেজ যাওয়ার পর আপনি বামদিকে অনেকগুলো options দেখবেন। আপনাকে সোজাসোজি বামদিকের থেকে “Channel” অপশনে ক্লিক করতে হবে।

স্টেপ ৩.
এখন চ্যানেলে ক্লিক করার পর সেই পেজে আপনি নিজের ইউটিউবের চ্যানেলের নাম দেখবেন এবং তার নিচে “Verify” বলে একটি লিংক বা লেখা দেখবেন। আপনি সোজাসোজি সেই “verify” লিংকে ক্লিক করুন।

স্টেপ ৪.
এখন verify লিংকে ক্লিক করার পর আপনি পরে “account verification” পেজ দেখবেন।একাউন্ট ভেরিফিকেশন পেজে আপনি প্রথমে নিজের দেশ (country) সিলেক্ট করে তারপর “text me the verification code” অপশনে ক্লিক করুন। এরপর নিচে মোবাইল নম্বর বক্সে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে “submit” অপশনে ক্লিক করুন।

স্টেপ ৫.
এখন, submit অপশনে ক্লিক করার পর আপনার দেয়া মোবাইল নম্বরে একটি verification code sms এর মাধ্যমে আপনার মোবাইলে যাবে। আপনাকে সেই verification code ভালোকরে দেখে YouTube মোবাইল নম্বর verification বক্সে দিতে হবে। এই বাক্সটি আপনি ওপরে স্টেপ ৪ এ submit ক্লিক করার পর দেখতে পাবেন। নিজের মোবাইলে আশা ভেরিফিকেশন কোড ভালোকরে নম্বর ভেরিফিকেশন বক্সে দিয়ে ok/verify করার পর আপনার ইউটিউব চ্যানেল পুরোপুরি ভাবে active এবং ভেরিফাই হয়ে যাবে। এখন আপনি “continue” অপশনে ক্লিক করে নিজের চ্যানেল ব্যবহার করতে পারবেন, চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন এবং চ্যানেল ও ভিডিও থেকে টাকা আয় করার জন্য এপলাই (apply) করতে পারবেন।






10
Your Curriculum Vitae (CV) is the primary medium of presenting yourself as a candidate for a job to a prospective employer. But many of the job seekers do not give proper attention and care in preparing their CVs accurately. As a result, many potential job seekers do not get calls for job interviews to get the opportunity to present and prove their potential.

(আপনার পাঠ্যক্রম ভিটা (সিভি) হ'ল নিজেকে সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার কাছে কোনও কাজের প্রার্থী হিসাবে উপস্থাপনের প্রাথমিক মাধ্যম। তবে চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই তাদের সিভি সঠিকভাবে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে যথাযথ মনোযোগ এবং যত্ন দেয় না। ফলস্বরূপ, অনেক সম্ভাব্য চাকরি প্রার্থী তাদের সম্ভাব্যতা উপস্থাপনের এবং প্রমাণ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য চাকরীর সাক্ষাত্কারের জন্য কল পান না।)

Attention should be given to the following matters before preparing your CV:

Generally an employer does not give more than 30 seconds time in looking at a CV briefly. So a CV should be precise and clear. Unnecessary and irrelevant information should be avoided.
A CV of a fresher or an inexperienced candidate should not be over one or two pages.
Your CV is the way to promote yourself. Therefore, it should be attractive. But color papers or color print should not be used for this purpose. In case of highlighting any information, you can Bold, italicize or underline it.
Remember that any type of grammatical or spelling mistake in your CV will create a negative impact in the mind of the employer. It will give the impression that you cannot do any work correctly. So after preparing your CV, read it intensely and let it checked by somebody who knows correct English.
When applying for a particular job announcement, try to customize your CV according to the job requirements. You need to read the job announcement carefully and make some research on it. For example, if you know the information that the employer can locate the job anywhere in Bangladesh, you may mention the places you have visited and stayed in Bangladesh. Again, when the employer is looking for an Organizer, you can mention the organizing activities you have done in your student life. It will create an additional value in your CV.
It is very important that you should give true and correct information in your CV. You should not give any information that can appear as false the job interview.

আপনার সিভি প্রস্তুত করার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত:

সাধারণত কোনও নিয়োগকর্তা একটি সিভি সংক্ষেপে দেখার জন্য 30 সেকেন্ডের বেশি সময় দেয় না। সুতরাং একটি সিভি সঠিক এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এড়ানো উচিত।
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ প্রার্থীর সিভি এক বা দুটি পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়।
আপনার সিভি হ'ল নিজেকে প্রচার করার উপায়। অতএব, এটি আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। তবে রঙিন কাগজপত্র বা রঙিন মুদ্রণ এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। কোনও তথ্য হাইলাইট করার ক্ষেত্রে, আপনি এটি বোল্ড, তাত্পর্যপূর্ণ বা আন্ডারলাইন করতে পারেন।
মনে রাখবেন যে আপনার সিভিতে যেকোন ধরণের ব্যাকরণগত বা বানান ভুল নিয়োগকারীর মনে একটি নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে। এটি এমন ধারণা দেয় যে আপনি কোনও কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না। সুতরাং আপনার সিভি প্রস্তুতের পরে, এটি নিবিড়ভাবে পড়ুন এবং সঠিক ইংরেজি জানেন এমন কোনও ব্যক্তির দ্বারা এটি পরীক্ষা করা যাক।
কোনও নির্দিষ্ট কাজের ঘোষণার জন্য আবেদন করার সময়, আপনার সিভিটি কাজের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কাস্টমাইজ করার চেষ্টা করুন। আপনাকে কাজের ঘোষণাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং এ সম্পর্কে কিছু গবেষণা করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি যদি তথ্যটি জানেন যে নিয়োগকর্তা বাংলাদেশের যে কোনও জায়গায় কাজটি সনাক্ত করতে পারে তবে আপনি যে জায়গাগুলিতে গিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন সেগুলি উল্লেখ করতে পারেন। আবার যখন নিয়োগকর্তা কোনও অর্গানাইজারের সন্ধান করছেন তখন আপনি আপনার ছাত্রজীবনে যে সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ করেছেন তা উল্লেখ করতে পারেন। এটি আপনার সিভিতে একটি অতিরিক্ত মান তৈরি করবে।
আপনার সিভিতে সত্য এবং সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাজের কোনও সাক্ষাত্কার মিথ্যা হিসাবে উপস্থিত হতে পারে এমন কোনও তথ্য দেওয়া উচিত নয়।)

Different Parts of a CV the following information is to be presented in a CV in an organized way:

Title:

Career Summary – mostly applicable for the experienced persons.
Career objective – mostly applicable for the fresh applicants.
Experience
Education
Additional Information
Personal Information
Reference
(একটি সিভির বিভিন্ন অংশ নিম্নলিখিত তথ্য সিভিতে একটি সংগঠিত উপায়ে উপস্থাপন করতে হয়:

শিরোনাম
কেরিয়ারের সংক্ষিপ্তসার - অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য - বেশিরভাগ তাজা আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য।
অভিজ্ঞতা
শিক্ষা
অতিরিক্ত তথ্য
ব্যক্তিগত তথ্য
উল্লেখ)


Your name will come first in the title. It should be in 'bold' format and in a larger font (avoid using your nick name). Then write your address (your present address where you can receive mails by post), phone number and email address. This portion will be on the center of the page to draw the attention. (শিরোনাম আপনার নাম শিরোনামে প্রথম আসবে। এটি 'গা bold়' বিন্যাসে এবং বৃহত্তর ফন্টে হওয়া উচিত (আপনার ডাক নাম ব্যবহার করা এড়ানো)। তারপরে আপনার ঠিকানা (আপনার বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনি পোস্টের মাধ্যমে মেলগুলি পেতে পারেন), ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা লিখুন। এই অংশটি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পৃষ্ঠার কেন্দ্রে থাকবে।)

Career Summary:
This is mostly applicable for the persons having experience more than 4-5 years. State the sectors of your experience in maximum 6 to 7 lines. State in short the achievements of your career (if any). (কেরিয়ারের সংক্ষিপ্তসার এটি বেশিরভাগ 4-5 বছরের বেশি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। আপনার অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রগুলি সর্বাধিক 6 থেকে 7 লাইনে উল্লেখ করুন। আপনার কেরিয়ারের সাফল্যগুলি সংক্ষেপে বলুন (যদি থাকে)

Career Objective:
This section is generally applicable for the fresh candidates or the candidates with little experience (1- 2 years). Mention the immediate goal of your career in this part. Also mention how your experience and potential match with the position you are applying for. Bring up your positive skills for the position. It is important to write your career objective according to the criteria mentioned in the job announcement. Give emphasis on the ways you can make contribution for the company and what is your expectation from the company.

পেশাগত লক্ষ্য:

এই বিভাগটি সাধারণত নতুন প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞতার সাথে প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য (1- 2 বছর)। এই অংশে আপনার কেরিয়ারের তাত্ক্ষণিক লক্ষ্য উল্লেখ করুন। আপনি যে অবস্থানের জন্য আবেদন করছেন তার সাথে কীভাবে আপনার অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাব্য মিল রয়েছে তা উল্লেখ করুন। পজিশনের জন্য আপনার ইতিবাচক দক্ষতা আনুন। চাকরীর ঘোষণায় উল্লিখিত মানদণ্ড অনুসারে আপনার ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যটি লেখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেভাবে কোম্পানির জন্য অবদান রাখতে পারেন এবং সংস্থাটির কাছ থেকে আপনার প্রত্যাশা কী তা নিয়ে জোর দিন।)

Experience
For the experienced candidates, this section should come before the 'Educational Qualification' section.
Things that you should mention in your experience details are as follows:
Organization name
Designation
Time Period – From & To
Job Responsibility
Special Achievement
If you have working experience in different positions in a same organization, mention it in different phases.
State your most recent experience first and then mention one by one your other experiences in the Resume following Chronological Order which is to end with your first experience. It is better not to mention experience of short and insignificant experience. Try not to have long gap of time between the jobs. (অভিজ্ঞতা

অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য এই বিভাগটি 'শিক্ষাগত যোগ্যতা' বিভাগের আগে আসা উচিত।
আপনার অভিজ্ঞতার বিবরণে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা উচিত সেগুলি নিম্নরূপ:
প্রতিষ্ঠানের নাম
উপাধি
সময়কাল - থেকে & করতে
কাজের দায়িত্ব
বিশেষ অর্জন
আপনার যদি একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তবে এটি বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখ করুন।
প্রথমে আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাটি বর্ণনা করুন এবং তারপরে ক্রোনোলজিকাল ক্রম অনুসারে আপনার অন্য অভিজ্ঞতার কথা একে একে উল্লেখ করুন যা আপনার প্রথম অভিজ্ঞতার সাথে শেষ হবে।
সংক্ষিপ্ত এবং তুচ্ছ অভিজ্ঞতার অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল। কাজের মাঝে দীর্ঘ ব্যবধান না রাখার চেষ্টা করুন।)

Education & Training

Education & training part should come before experience part for a fresher. You will mention your degrees in education part with the following information.
Name of degree (Such as SSC, HSC, B.Com)
Duration of course
Name of institutions and board.
Year of Examination and date of publishing result (if necessary),
Result and achievement (if any)
You should mention your most recent degree first like your experience part, then mention the other degrees by turn.
Remember that you should mention 'appeared' if the final result is not yet published. Please mention 'ongoing' if you are continuing any program. You need not to mention the result of any degree if any of the result is a very poor one. Remember that, it looks odd if you mention the result of one degree and avoid another.
If you participate in any particular training program that supports your work experience, you should mention it. Mention the training institution, topic and duration of training. You can place the list of training right after the education part.

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ:

এক নতুনের জন্য অভিজ্ঞতার অংশের আগে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অংশটি আসা উচিত। আপনি নিম্নোক্ত তথ্যের সাথে শিক্ষার অংশে আপনার ডিগ্রি উল্লেখ করবেন।
ডিগ্রির নাম (যেমন এসএসসি, এইচএসসি, বি.কম)
অবশ্যই সময়কাল
প্রতিষ্ঠান ও বোর্ডের নাম।
পরীক্ষার বছর এবং ফলাফল প্রকাশের তারিখ (প্রয়োজনে),
ফলাফল এবং অর্জন (যদি থাকে)
আপনার অভিজ্ঞতার অংশের মতো আপনার প্রথমে আপনার সাম্প্রতিক ডিগ্রিটি উল্লেখ করা উচিত, তারপরে ঘুরে অন্যান্য ডিগ্রি উল্লেখ করুন।
মনে রাখবেন যে চূড়ান্ত ফলাফলটি এখনও প্রকাশিত না হলে আপনার 'উপস্থিত' উল্লেখ করা উচিত। আপনি যদি কোনও প্রোগ্রাম চালিয়ে যান তবে 'চলমান' উল্লেখ করুন। রেজাল্টের কোনও খুব খুব খারাপ হলে আপনার কোনও ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করার দরকার নেই। মনে রাখবেন, আপনি যদি এক ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করেন এবং অন্যটি এড়িয়ে যান তবে এটি অদ্ভুত দেখাচ্ছে।
আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশ নেন যা আপনার কাজের অভিজ্ঞতাকে সমর্থন করে, আপনার এটি উল্লেখ করা উচিত। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বিষয় এবং প্রশিক্ষণের সময়কাল উল্লেখ করুন। আপনি প্রশিক্ষণের তালিকাটি শিক্ষার অংশের ঠিক পরে রাখতে পারেন।)

Additional Information

The information that does not fall in the above mentioned parts but is related with the job must be shown in this part. For example:
Professional Achievement
Award
Language Proficiency
Computer skills
License, government identity, publications and authorization.
Voluntary work etc.

অতিরিক্ত তথ্য

উপরে উল্লিখিত অংশগুলিতে না পড়ে তবে কাজের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলি এই অংশে অবশ্যই দেখানো উচিত। উদাহরণ স্বরূপ:
পেশাদার অর্জন
পুরস্কার
ভাষাগত দক্ষতা
কম্পিউটার দক্ষতা
লাইসেন্স, সরকারী পরিচয়, প্রকাশনা এবং অনুমোদন।
স্বেচ্ছাসেবী কাজ ইত্যাদি)

Personal information:

You can mention your parent's name, present and permanent address, religion, traveling places (Country) if any, hobby etc. in this section.
Reference - You should not mention the name of any close relative as referee in reference part. Referees should be the persons who have seen you closely in your student life or working life. You must mention the phone number, address and e-mail (if any) of your referee. It is better to mention two or three persons as referees. It is important to inform your referee that you have mentioned his name as referee in your CV.

(ব্যক্তিগত তথ্য:
আপনি এই বিভাগে আপনার পিতামাতার নাম, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, ভ্রমণ স্থান (দেশ), শখ ইত্যাদি উল্লেখ করতে পারেন।
রেফারেন্স - রেফারেন্স অংশে আপনার কোনও নিকটাত্মীয়ের নাম উল্লেখ করা উচিত নয়। রেফারিগুলি এমন ব্যক্তি হওয়া উচিত যারা আপনাকে আপনার ছাত্রজীবন বা কর্মজীবনে খুব কাছ থেকে দেখেছিল। আপনাকে অবশ্যই আপনার রেফারির ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং ইমেল (যদি থাকে) অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। দুই বা তিনজনকে রেফারি হিসাবে উল্লেখ করা ভাল। আপনার রেফারিকে অবহিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার সিভিতে রেফারি হিসাবে তাঁর নাম উল্লেখ করেছেন।)

http://www.bdjobs.com/career/resumewriting

11
আমি আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে কি বোর্ড ছাড়াই ভয়েস দিয়ে বাংলা টাইপ করবেন।  অর্থাৎ আপনি মুখ দিয়ে যা বাংলায় বলবেন তাই লিখে দিবে আপনার কম্পিউটার। এমনকি আমার আজকের এই টিউন আমি কিবোর্ডে টাইপ করে লিখছি না। কোথাও ভুল হলে শুধুমাত্র এডিট করছি। বুঝতেই পারতেছেন যে, voice typing কতটা কাজ করে।  আপনি যদি শুদ্ধ করে বাংলা বলতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার কম্পিউটার সবকিছু লিখে দেবে বাংলায়।  আমি এর আগে একটা টিউন কিভাবে ইংরেজি টাইপ করতে হয় সেটা আপনাদেরকে দেখেছিলাম।  তবে সেই ভয়েস রিকগনিশন কতটা কার্যকরী ছিলনা। কেননা সেটা ছিল offline voice recognition। কিন্তু আজকের voice recognition তা সম্পূর্ন অন-লাইন ভিত্তক। 

বেশিদিন হয়নি গুগল তাদের  voice recognition বাংলা ভাষার যোগ করেছে।  আপনি ব্যবহার করলে সত্যিই অবাক হয়ে যাবেন দেখলে কি হচ্ছে? এটা কিভাবে সম্ভব? তাও আবার বাংলা ভাষা? আপনি কি জানেন পৃথিবীতে কত লোক বাংলা ভাষা ব্যবহার করে?  বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় 25 কোটি।  ভাষা ব্যবহারের দিক দিয়ে বাংলার অবস্থান সপ্তম।  তাহলে গুগল কেন বাংলা  ভাষাকে গুরুত্ব দিবেনা। এই voice typing আমার অনেক উপকার করবে।  বিশেষ করে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে যাব, তখন  শুয়ে শুয়ে টিউন লিখতে পারবো।  আর অনেক দ্রুত টিউন লিখতে পারবো।


সতর্কতাঃ
1।  আপনার রুমের  fan যদি শব্দ করে তাহলে ফ্যান টি বন্ধ করে নিবেন।
2।  আপনার রুমে শুধুমাত্র আপনি একাই কথা বলবেন,  অন্য কেউ থাকলে সে যেন চুপ থাকে।
3।  শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা উচ্চারণ করার চেষ্টা করুন


12
Your Curriculum Vitae (CV) is the primary medium of presenting yourself as a candidate for a job to a prospective employer. But many of the job seekers do not give proper attention and care in preparing their CVs accurately. As a result, many potential job seekers do not get calls for job interviews to get the opportunity to present and prove their potential.

(আপনার পাঠ্যক্রম ভিটা (সিভি) হ'ল নিজেকে সম্ভাব্য নিয়োগকর্তার কাছে কোনও কাজের প্রার্থী হিসাবে উপস্থাপনের প্রাথমিক মাধ্যম। তবে চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই তাদের সিভি সঠিকভাবে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে যথাযথ মনোযোগ এবং যত্ন দেয় না। ফলস্বরূপ, অনেক সম্ভাব্য চাকরি প্রার্থী তাদের সম্ভাব্যতা উপস্থাপনের এবং প্রমাণ করার সুযোগ পাওয়ার জন্য চাকরীর সাক্ষাত্কারের জন্য কল পান না।)

Attention should be given to the following matters before preparing your CV:

Generally an employer does not give more than 30 seconds time in looking at a CV briefly. So a CV should be precise and clear. Unnecessary and irrelevant information should be avoided.
A CV of a fresher or an inexperienced candidate should not be over one or two pages.
Your CV is the way to promote yourself. Therefore, it should be attractive. But color papers or color print should not be used for this purpose. In case of highlighting any information, you can Bold, italicize or underline it.
Remember that any type of grammatical or spelling mistake in your CV will create a negative impact in the mind of the employer. It will give the impression that you cannot do any work correctly. So after preparing your CV, read it intensely and let it checked by somebody who knows correct English.
When applying for a particular job announcement, try to customize your CV according to the job requirements. You need to read the job announcement carefully and make some research on it. For example, if you know the information that the employer can locate the job anywhere in Bangladesh, you may mention the places you have visited and stayed in Bangladesh. Again, when the employer is looking for an Organizer, you can mention the organizing activities you have done in your student life. It will create an additional value in your CV.
It is very important that you should give true and correct information in your CV. You should not give any information that can appear as false the job interview.

আপনার সিভি প্রস্তুত করার আগে নিম্নলিখিত বিষয়গুলিতে মনোযোগ দেওয়া উচিত:

সাধারণত কোনও নিয়োগকর্তা একটি সিভি সংক্ষেপে দেখার জন্য 30 সেকেন্ডের বেশি সময় দেয় না। সুতরাং একটি সিভি সঠিক এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এড়ানো উচিত।
ফ্রেশার বা অনভিজ্ঞ প্রার্থীর সিভি এক বা দুটি পৃষ্ঠার বেশি হওয়া উচিত নয়।
আপনার সিভি হ'ল নিজেকে প্রচার করার উপায়। অতএব, এটি আকর্ষণীয় হওয়া উচিত। তবে রঙিন কাগজপত্র বা রঙিন মুদ্রণ এই উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। কোনও তথ্য হাইলাইট করার ক্ষেত্রে, আপনি এটি বোল্ড, তাত্পর্যপূর্ণ বা আন্ডারলাইন করতে পারেন।
মনে রাখবেন যে আপনার সিভিতে যেকোন ধরণের ব্যাকরণগত বা বানান ভুল নিয়োগকারীর মনে একটি নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে। এটি এমন ধারণা দেয় যে আপনি কোনও কাজ সঠিকভাবে করতে পারবেন না। সুতরাং আপনার সিভি প্রস্তুতের পরে, এটি নিবিড়ভাবে পড়ুন এবং সঠিক ইংরেজি জানেন এমন কোনও ব্যক্তির দ্বারা এটি পরীক্ষা করা যাক।
কোনও নির্দিষ্ট কাজের ঘোষণার জন্য আবেদন করার সময়, আপনার সিভিটি কাজের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে কাস্টমাইজ করার চেষ্টা করুন। আপনাকে কাজের ঘোষণাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে এবং এ সম্পর্কে কিছু গবেষণা করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি যদি তথ্যটি জানেন যে নিয়োগকর্তা বাংলাদেশের যে কোনও জায়গায় কাজটি সনাক্ত করতে পারে তবে আপনি যে জায়গাগুলিতে গিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন সেগুলি উল্লেখ করতে পারেন। আবার যখন নিয়োগকর্তা কোনও অর্গানাইজারের সন্ধান করছেন তখন আপনি আপনার ছাত্রজীবনে যে সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপ করেছেন তা উল্লেখ করতে পারেন। এটি আপনার সিভিতে একটি অতিরিক্ত মান তৈরি করবে।
আপনার সিভিতে সত্য এবং সঠিক তথ্য দেওয়া উচিত এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কাজের কোনও সাক্ষাত্কার মিথ্যা হিসাবে উপস্থিত হতে পারে এমন কোনও তথ্য দেওয়া উচিত নয়।)

Different Parts of a CV the following information is to be presented in a CV in an organized way:

Title

Career Summary – mostly applicable for the experienced persons.
Career objective – mostly applicable for the fresh applicants.
Experience
Education
Additional Information
Personal Information
Reference
(একটি সিভির বিভিন্ন অংশ নিম্নলিখিত তথ্য সিভিতে একটি সংগঠিত উপায়ে উপস্থাপন করতে হয়:

শিরোনাম
কেরিয়ারের সংক্ষিপ্তসার - অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য - বেশিরভাগ তাজা আবেদনকারীদের জন্য প্রযোজ্য।
অভিজ্ঞতা
শিক্ষা
অতিরিক্ত তথ্য
ব্যক্তিগত তথ্য
উল্লেখ)

Title
Your name will come first in the title. It should be in 'bold' format and in a larger font (avoid using your nick name). Then write your address (your present address where you can receive mails by post), phone number and email address. This portion will be on the center of the page to draw the attention. (শিরোনাম আপনার নাম শিরোনামে প্রথম আসবে। এটি 'গা bold়' বিন্যাসে এবং বৃহত্তর ফন্টে হওয়া উচিত (আপনার ডাক নাম ব্যবহার করা এড়ানো)। তারপরে আপনার ঠিকানা (আপনার বর্তমান ঠিকানা যেখানে আপনি পোস্টের মাধ্যমে মেলগুলি পেতে পারেন), ফোন নম্বর এবং ইমেল ঠিকানা লিখুন। এই অংশটি দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য পৃষ্ঠার কেন্দ্রে থাকবে।)

Career Summary:
This is mostly applicable for the persons having experience more than 4-5 years. State the sectors of your experience in maximum 6 to 7 lines. State in short the achievements of your career (if any). (কেরিয়ারের সংক্ষিপ্তসার এটি বেশিরভাগ 4-5 বছরের বেশি অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। আপনার অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রগুলি সর্বাধিক 6 থেকে 7 লাইনে উল্লেখ করুন। আপনার কেরিয়ারের সাফল্যগুলি সংক্ষেপে বলুন (যদি থাকে)

Career Objective
This section is generally applicable for the fresh candidates or the candidates with little experience (1- 2 years). Mention the immediate goal of your career in this part. Also mention how your experience and potential match with the position you are applying for. Bring up your positive skills for the position. It is important to write your career objective according to the criteria mentioned in the job announcement. Give emphasis on the ways you can make contribution for the company and what is your expectation from the company.

(পেশাগত লক্ষ্য
এই বিভাগটি সাধারণত নতুন প্রার্থী বা অল্প অভিজ্ঞতার সাথে প্রার্থীদের জন্য প্রযোজ্য (1- 2 বছর)। এই অংশে আপনার কেরিয়ারের তাত্ক্ষণিক লক্ষ্য উল্লেখ করুন। আপনি যে অবস্থানের জন্য আবেদন করছেন তার সাথে কীভাবে আপনার অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাব্য মিল রয়েছে তা উল্লেখ করুন। পজিশনের জন্য আপনার ইতিবাচক দক্ষতা আনুন। চাকরীর ঘোষণায় উল্লিখিত মানদণ্ড অনুসারে আপনার ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্যটি লেখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেভাবে কোম্পানির জন্য অবদান রাখতে পারেন এবং সংস্থাটির কাছ থেকে আপনার প্রত্যাশা কী তা নিয়ে জোর দিন।)

Experience
For the experienced candidates, this section should come before the 'Educational Qualification' section.
Things that you should mention in your experience details are as follows:
Organization name
Designation
Time Period – From & To
Job Responsibility
Special Achievement
If you have working experience in different positions in a same organization, mention it in different phases.
State your most recent experience first and then mention one by one your other experiences in the Resume following Chronological Order which is to end with your first experience. It is better not to mention experience of short and insignificant experience. Try not to have long gap of time between the jobs. (অভিজ্ঞতা

অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য এই বিভাগটি 'শিক্ষাগত যোগ্যতা' বিভাগের আগে আসা উচিত।
আপনার অভিজ্ঞতার বিবরণে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করা উচিত সেগুলি নিম্নরূপ:
প্রতিষ্ঠানের নাম
উপাধি
সময়কাল - থেকে & করতে
কাজের দায়িত্ব
বিশেষ অর্জন
আপনার যদি একই প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে কাজের অভিজ্ঞতা থাকে, তবে এটি বিভিন্ন পর্যায়ে উল্লেখ করুন।
প্রথমে আপনার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতাটি বর্ণনা করুন এবং তারপরে ক্রোনোলজিকাল ক্রম অনুসারে আপনার অন্য অভিজ্ঞতার কথা একে একে উল্লেখ করুন যা আপনার প্রথম অভিজ্ঞতার সাথে শেষ হবে।
সংক্ষিপ্ত এবং তুচ্ছ অভিজ্ঞতার অভিজ্ঞতা উল্লেখ না করাই ভাল। কাজের মাঝে দীর্ঘ ব্যবধান না রাখার চেষ্টা করুন।)

Education & Training

Education & training part should come before experience part for a fresher. You will mention your degrees in education part with the following information.
Name of degree (Such as SSC, HSC, B.Com)
Duration of course
Name of institutions and board.
Year of Examination and date of publishing result (if necessary),
Result and achievement (if any)
You should mention your most recent degree first like your experience part, then mention the other degrees by turn.
Remember that you should mention 'appeared' if the final result is not yet published. Please mention 'ongoing' if you are continuing any program. You need not to mention the result of any degree if any of the result is a very poor one. Remember that, it looks odd if you mention the result of one degree and avoid another.
If you participate in any particular training program that supports your work experience, you should mention it. Mention the training institution, topic and duration of training. You can place the list of training right after the education part.

(শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
এক নতুনের জন্য অভিজ্ঞতার অংশের আগে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের অংশটি আসা উচিত। আপনি নিম্নোক্ত তথ্যের সাথে শিক্ষার অংশে আপনার ডিগ্রি উল্লেখ করবেন।
ডিগ্রির নাম (যেমন এসএসসি, এইচএসসি, বি.কম)
অবশ্যই সময়কাল
প্রতিষ্ঠান ও বোর্ডের নাম।
পরীক্ষার বছর এবং ফলাফল প্রকাশের তারিখ (প্রয়োজনে),
ফলাফল এবং অর্জন (যদি থাকে)
আপনার অভিজ্ঞতার অংশের মতো আপনার প্রথমে আপনার সাম্প্রতিক ডিগ্রিটি উল্লেখ করা উচিত, তারপরে ঘুরে অন্যান্য ডিগ্রি উল্লেখ করুন।
মনে রাখবেন যে চূড়ান্ত ফলাফলটি এখনও প্রকাশিত না হলে আপনার 'উপস্থিত' উল্লেখ করা উচিত। আপনি যদি কোনও প্রোগ্রাম চালিয়ে যান তবে 'চলমান' উল্লেখ করুন। রেজাল্টের কোনও খুব খুব খারাপ হলে আপনার কোনও ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করার দরকার নেই। মনে রাখবেন, আপনি যদি এক ডিগ্রির ফলাফল উল্লেখ করেন এবং অন্যটি এড়িয়ে যান তবে এটি অদ্ভুত দেখাচ্ছে।
আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে অংশ নেন যা আপনার কাজের অভিজ্ঞতাকে সমর্থন করে, আপনার এটি উল্লেখ করা উচিত। প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বিষয় এবং প্রশিক্ষণের সময়কাল উল্লেখ করুন। আপনি প্রশিক্ষণের তালিকাটি শিক্ষার অংশের ঠিক পরে রাখতে পারেন।)

Additional Information

The information that does not fall in the above mentioned parts but is related with the job must be shown in this part. For example:
Professional Achievement
Award
Language Proficiency
Computer skills
License, government identity, publications and authorization.
Voluntary work etc.

(অতিরিক্ত তথ্য

উপরে উল্লিখিত অংশগুলিতে না পড়ে তবে কাজের সাথে সম্পর্কিত তথ্যগুলি এই অংশে অবশ্যই দেখানো উচিত। উদাহরণ স্বরূপ:
পেশাদার অর্জন
পুরস্কার
ভাষাগত দক্ষতা
কম্পিউটার দক্ষতা
লাইসেন্স, সরকারী পরিচয়, প্রকাশনা এবং অনুমোদন।
স্বেচ্ছাসেবী কাজ ইত্যাদি)

Personal information:

You can mention your parent's name, present and permanent address, religion, traveling places (Country) if any, hobby etc. in this section.
Reference - You should not mention the name of any close relative as referee in reference part. Referees should be the persons who have seen you closely in your student life or working life. You must mention the phone number, address and e-mail (if any) of your referee. It is better to mention two or three persons as referees. It is important to inform your referee that you have mentioned his name as referee in your CV.

(ব্যক্তিগত তথ্য:
আপনি এই বিভাগে আপনার পিতামাতার নাম, বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা, ধর্ম, ভ্রমণ স্থান (দেশ), শখ ইত্যাদি উল্লেখ করতে পারেন।
রেফারেন্স - রেফারেন্স অংশে আপনার কোনও নিকটাত্মীয়ের নাম উল্লেখ করা উচিত নয়। রেফারিগুলি এমন ব্যক্তি হওয়া উচিত যারা আপনাকে আপনার ছাত্রজীবন বা কর্মজীবনে খুব কাছ থেকে দেখেছিল। আপনাকে অবশ্যই আপনার রেফারির ফোন নম্বর, ঠিকানা এবং ইমেল (যদি থাকে) অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। দুই বা তিনজনকে রেফারি হিসাবে উল্লেখ করা ভাল। আপনার রেফারিকে অবহিত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি আপনার সিভিতে রেফারি হিসাবে তাঁর নাম উল্লেখ করেছেন।)
 


http://www.bdjobs.com/career/resumewriting/resume3.asp

13
যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি হবে বাংলাদেশে তৈরি ওয়ালটনের স্মার্টফোন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ওয়ালটনের কাছ থেকে এই স্মার্টফোন তৈরি করিয়ে নিচ্ছে। ওয়ালটন জানিয়েছে, এই প্রথম ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত স্মার্টফোন রফতানি হচ্ছে। এটাকে তারা দেশের রফতানি খাতে নতুন এক মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছে।

আগামী ১ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে যুক্তরাষ্ট্রে স্মার্টফোন রফতানির কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ সময় আরও উপস্থিত থাকবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ বিষয়ে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তৈরি অত্যাধুনিক ফিচারের স্মার্টফোন দিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করে নিয়েছে ওয়ালটন। এখন আমাদের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজার। শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রে মতো উন্নত দেশে যাচ্ছে ওয়ালটনের তৈরি স্মার্টফোন। পর্যায়ক্রমে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও রফতানি হবে।

তিনি জানান, ওয়ালটনের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়া। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগযুক্ত ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া।

14
চীনে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাস বিশ্ব অর্থনীতিতে মারাত্মক হুমকির সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদরা। এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই চীনা প্রযুক্তি ও সস্তা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। এই ভাইরাস দেশটিতে কতটা সংক্রমণ ছড়ায় এবং এর প্রভাব কতটা দীর্ঘ হয় তার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই। তবে নদীর ভাঙা-গড়ার মতোই চীনের যেখানে ক্ষতির সম্ভাবনা তা নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে বিভিন্ন দেশে। এমনকি বাংলাদেশেও তৈরি পোশাক শিল্পে সে সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ভুগছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর মনে করেন, চীনের করোনা ভাইরাস চীনের অর্থনীতিকে ক্ষতি করলেও বাংলাদেশের পোশাক রফতানিকারকরা এর একটা সুবিধা নিতে পারেন। তিনি বলেন, বিশ্বে তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ চীন। করোনা ভাইরাসের কারণে সেখানকার পোশাক অন্যান্য দেশে যাচ্ছে না। কারণ, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সেখানকার তৈরি পোশাকের অর্ডার বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, করোনা ভাইরাসের কারণে যেসব দেশে বা বাজারে চীনের তৈরি পোশাক যাচ্ছে না সেখানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক স্থান করে নিতে পারে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রফতানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পে এখন নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি।বিশ্বব্যাংক ধারণা করছে যে, মহামারি থেকে আক্রান্ত ৯০% অর্থনৈতিক ক্ষতি মানুষের অন্যের সঙ্গে মেলামেশা করার ভয় থেকেই আসে, যার ফলে অফিস আদালত ও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।  চীনের অবস্থা এখন এমনই হয়েছে বলে মনে করেন আহসান এইচ মনসুর।

তিনি বলেন,  করোনা ভাইরাসের কারণে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে পারেন। তিনি মনে করেন ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ অনেক দেশের তৈরি পোশাকের অর্ডার চীনের বদলে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারেন।  আর যদি অর্ডার বাংলাদেশে আসে, তাহলে এটা আমাদের জন্য আশীর্বাদই বয়ে আনবে। এতে আমাদের আমাদের রফতানিতেও একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  তবে এই ভাইরাস চীনের বাইরেও যদি ছড়িয়ে পড়ে তাহলে গোটা বিশ্ব অর্থনীতি তছনছ হয়ে যাবে। কেননা, চীন এখন এমন বৃহৎ অর্থনৈতিক পরাশক্তির একটি দেশ, যার সঙ্গে সব দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।প্রসঙ্গত, বিশ্বের তৈরি পোশাক রফতানিতে শীর্ষ দেশ এখনও চীন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনের সঙ্গে আমাদের দেশীয় বাণিজ্যে কিছুটা সমস্যা হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে তা আমাদের রফতানি খাতের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে। চীনের অর্ডার আমাদের দেশে আসার মাধ্যমে আমাদের রফতানি খাত আবার চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। তবে দেশে কোনোভাবেই যাতে করোনা ভাইরাস আসতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা জরুরি।
চীনে করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশ সুবিধা পেতে পারে  এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হকও। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনা ভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে চীনের কিছু অর্ডার ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার মতো বাংলাদেশেও স্থানান্তরিত হয়ে আসতে পারে। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো হলে কিছু অর্ডার বাংলাদেশেও চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা লাভবান হবো।

এদিকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) তথ্যমতে, রফতানি আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪২তম দেশ। আর তৈরি পোশাকই বাংলাদেশের রফতানি আয়ের এখনও মূল শক্তি, বৈশ্বিক বাজারে যার অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। তৈরি পোশাকের বিশ্ববাজারে চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভিয়েতনাম পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে উদীয়মান শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে।

তবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, গত ছয় মাস ধরে রফতানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এক হাজার ৯৩০ কোটি ২২ লাখ (১৯.৩০ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। আর গত ছয় মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৬ শতাংশ কম আয় হয়েছে।

https://www.banglatribune.com/business/news/607622

15
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে। শুধু রোববারই দেশটিতে মারা গেছে ১০৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে এমন মৃত্যুর মিছিলে সুখের সংবাদ হলো- এসব আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা খুবই কম। আর শিশুদের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে না তেমন। গত ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মের মাত্র ৩০ ঘণ্টা পর এক নবজাতকের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়ার খবর প্রচারিত হয় আর্ন্তজাতিক মিডিয়ায়। এরপর আর কভিড-১৯ এ কোনো শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর জানা যায়নি। অথচ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতদের তালিকায় বড় সংখ্যায় শিশুদের থাকার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না।

বিশেষজ্ঞরা এর রহস্য খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে সর্বশেষ গবেষণাটি যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের আঁতুড়ঘর উহানের জিনইনতান হাসপাতালের রোগীদের নিয়ে বিশ্লেষণ করে বিশেষ কিছু তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা। ওই বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরই বয়স ৪০ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। ৩৯ বছরের কম বয়সী রোগী অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ। আর ১৮ বছরের নিচে শিশুদের মধ্যে ভাইরাসটির সংক্রমণের ঘটনা বিরল।

এমন পরিসংখ্যানে প্রশ্ন উঠেছে, ‘ভাইরাসটি শিশুর শরীরে সংক্রমিত হচ্ছে না কেন? এ নিয়ে বিজ্ঞানীরা অনেক ধরনের তত্ত্ব সামনে রাখলেও এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট জবাব নেই।’ এ বিষয়ে ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ইয়ান জোনস বিবিসিকে বলেন, ‘এমন প্রশ্নের সুস্পষ্ট জবাব এখনো দিতে পারছি না আমরা। এখন পর্যন্ত আমাদের বলতে হচ্ছে -হয় শিশুরা সংক্রমণ এড়িয়ে যাচ্ছে, নয়তো তারা মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হচ্ছে না।’ তাই বলে করোনাভাইরামের সংক্রমণ থেকে শিশুরা মুক্ত সঠিক নয় বলেন জানান ইয়ান জোনস। তিনি বলেন, ‘শিশুরা এ ভাইরাসে মৃদুভাবে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে তাদের মধ্যে সেভাবে রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। তারা মারাও যাচ্ছে না। চিকিৎসকের কাছেও যেতে হচ্ছে না তাদের। আর গেলেও হাসপাতালে ভর্তি করার দরকার হয় না। ফলে পরিসংখ্যানে তাদের সংখ্যা স্থান পায়নি।’

অধ্যাপক ইয়ানের বক্তব্যের সহমত জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ক্লিনিক্যাল প্রভাষক নাথালি ম্যাকডারমট। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কভিড-১৯ নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ফলাফলে আমরা দেখেছি, ভাইরাসটির মোকাবেলায় পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশু-কিশোরদের দেহ বেশ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন। ভাইরাসটি তাদের শরীরে সেভাবে কাজ করতে পারে না। এ কারণে সেসব শিশু আক্রান্ত হলেও সংক্রমণর কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। অনেক শিশুর অভিভাবক হয়তো টেরই পান না যে, তাদের সন্তান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।’

এছাড়াও অন্য একটি বিষয় তুলে আনেন ম্যাকডারমট। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া মুহূর্তে চীনে শিশুদের নববর্ষের ছুটি থাকায় তারা কম সংক্রমিত হয়েছে বলেও মত দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘প্রাদুর্ভাব শুরুর সময় চীনের নতুন বছরের ছুটি চলছিল। এ সময় উহানসহ চীনের সব প্রদেশে স্কুলগুলো বন্ধ ছিল। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়ে অনেক স্কুল ছুটিও দিয়েছিল। যেকারণে এসব শিক্ষার্থীরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো ভাইরাসের সংস্পর্শে আসেনি।’

স্কুল খোলা থাকলে শিশুদের মধ্যেও রোগ বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ত বলে ধারণা করেছেন তিনি। ম্যাকডারমটের এমন অভিমতের পরেও প্রশ্ন থেকেই যায়। তাহলো, বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেলেও সেই হারে শিশুদের আক্রান্তের ঘটনা বাড়েনি। ম্যাকডারমটের স্কুল তত্ত্বকে নাকোচ করে দিয়ে কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির একজন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যান বিবিসিকে বলেন, ‘হতে পারে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের মারাত্মকভাবে সংক্রমিত করে।’

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘জলবসন্তের জীবাণুতে শিশুদের চেয়ে বড়দের বেশি আক্রান্ত করে।’ অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যান আরো বলেন, ‘শিশুদের হয়তো কোনোভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা আমাদের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়।’ অ্যান্ড্রু ফ্রিডম্যানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের স্ট্যাটিস্টিকাল এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞ ক্রিসেল ডনেলি। তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালে চীনে সার্স ও ২০০৭ সালে হংকংয়ে মার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময়েও একই ঘটনা দেখা গেছে।’ তিনি তথ্য দেন, ‘সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সময় ৮০০ মানুষ মারা গেলেও শিশুদের সংক্রমণের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কম ছিল এবং মার্স এর সময় ১৩৫ জন শিশু আক্রান্ত হয়। কিন্তু সে প্রকোটে কোনো শিশু ও কিশোরের মারা যাওয়ারা খবর পাওয়া যায়নি।’

শিশুদের দেহে সার্স ও মার্সের মতো করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও একই বিষয় লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে জানান ডনেলি। এসব বিশ্লেষণ শেষে বিজ্ঞানীরা একমত যে, চলতি প্রাদুর্ভাব নিয়ে আরো বেশি গবেষণার পর হয়তো এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট চিত্র পাওয়া যাবে।


Pages: [1] 2