Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: monirulenam on November 04, 2018, 02:41:57 PM

Title: আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্টেভিয়া’র বাণিজ্যিক চাষ প্রচেষ্টা অব্যাহত
Post by: monirulenam on November 04, 2018, 02:41:57 PM
প্রাকৃতিক মিষ্টি বা ন্যাচারাল সুইটেনার হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্টেভিয়া গাছের বাণিজ্যিক চাষ সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে দেশে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আসা চিনির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মিস্টি’র আধার এই গাছটির রয়েছে বহুবিধ গুণ।

এদেশে এই গাছের অপার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে কৃষিবিদ ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্যারাগুয়ের আদী বাসিন্দা চিকন পাতার হালকা কচি ডালে সজ্জিত স্টেভিয়ায় রয়েছে স্টিভিডিন নামের এক ধরণের অ্যালকোহল। যা থেকে স্টেভিয়া সুগার বা চিনি তৈরি করা হয়। এর মিষ্টতা অন্যান্য চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি। স্টেভিয়া সুগারের সুক্ষ্ন অংশ ব্যবহারে তৈরি হতে পারে যে কোনো ধরনের মিষ্টান্ন। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে যেখানে অন্য চিনি ১ কেজি লাগে সেখানে ৩.৩ গ্রাম স্টেভিয়া সুগার ব্যবহারই যথেষ্ট। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে একজন আইসক্রিম উৎপাদনকারির ১০ কেজি চিনি’র স্থলে লাগবে মাত্র ১০ গ্রাম স্টেভিয়ার শুকনো প্রক্রিয়াজাত করা সাদা পাতা। আইসক্রিম তৈরি করতে যেখানে ৬৫০ টাকার চিনি লাগতো সেখানে এই পাতা ব্যবহারে লাগবে মাত্র ০৬ টাকা। বর্তমানে এই দেশে আমদানীকরা স্টেভিয়ার পাতা ৫৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
প্যারাগুয়েতে জন্ম নেয়া এই গাছ দক্ষিণ আমেরিকার সব দেশেই পাওয়া যায়। তবে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি, ভেনেজুয়েলায় এর ব্যাপক চাষ করা হয়। এশিয়ার জাপান ও চীনে হচ্ছে স্টেভিয়া উদ্ভিদের বাণিজ্যিক চাষাবাদ। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের তৎকালীন পরিচালক মফিজুর রহমান ব্রাজিল থেকে এনে এদেশে স্টেভিয়ার বাণিজ্যিক চাষের চেষ্টা চালান। ১৯৯৮ সালে গবেষণার জন্য নিয়ে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সেসময়ের সভাপতি প্রফেসর একেএম রফিউল ইসলাম। সেখানকার বোটানিক্যাল গার্ডেনে স্টেভিয়া গাছের পরীক্ষামূলক চাষাবাদ করা হয়। এরপর বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক, কৃষিবিদগ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও অসাধারণ এই গাছের ব্যাপক গবেষণা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে ব্র্যাক এ গাছ থেকে চিনি তৈরী করে বাজারজাত করেছে। ইতোমধ্যে অনেকে শখের বশে বাড়ির টবে ও ছাদে এর চাষাবাদ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ গাছের চারা কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এবং গুণমান ভাল হওয়ায় আমাদের দেশ ছাড়াও বিশ্ব বাজারে রয়েছে এ চিনির ব্যাপক চাহিদা। চীন বিশ্ববাজারের জন্য স্টেভিয়া চিনির রপ্তানী মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে প্রতি কেজি ১৫০ ডলার অর্থাৎ ১২০০০ টাকা। জাপানীরা স্টেভিয়ার সবুজ পাউডার, স্টেভিয়া থেকে আহোরিত স্টেভিসাইড এর সাদা পাউডার এবং সিরাপ আকারে ব্যবহার করে আসছে। স্টেভিয়ার পাতা চিনির চেয়ে ৩০ থেকে ৪০ গুণ এবং পাতার স্টেভিয়াসাইড চিনির চেয়ে ৩০০ গুণ বেশি মিষ্টি। চিনির খরচ কমানো ছাড়াও এই গাছ অগ্নাশয়ে ইসুলিনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা, শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, দাঁতের ক্ষয় রোধ, ত্বকের কোমলতা ও লাবন্য বাড়ানোসহ নানাভাবে উপকার করে।
Collected from Face book page   
Title: Re: আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্টেভিয়া’র বাণিজ্যিক চাষ প্রচেষ্টা অব্যাহত
Post by: Raisa on November 08, 2018, 07:44:30 PM
good post