Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Public Health => Communicable Diseases => Topic started by: pathan on January 29, 2020, 11:24:36 AM

Title: করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়
Post by: pathan on January 29, 2020, 11:24:36 AM
চীনের উহান অঞ্চল থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি নাগরিক।
এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা যায়নি। যে কারণে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগকে এইডসের মতো মরণঘাতীই বলা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেই যে মানুষ মারা যাচ্ছেন বিষয়টা একেবারেই তা নয়। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করেই এই রোগ থেকে সেরে ওঠা যায়’।
ভাইরাসটি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। তাই শুরু আলাদাভাবে বোঝার উপায় নেই যে কেউ এতে আক্রান্ত হয়েছে কিনা। অনেক বছর আগে সার্স আর মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। করোনাভাইরাস ওই দুই ভাইরাস গোত্রীয়।’
মিউটেশনের মাধ্যমে এই ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। পশুর দেহে প্রথম বাসা বেঁধেছিল ভাইরাসটি। এরপর এটি তার জিনগত পরিবর্তন এনে মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে। মানুষ থেকে মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।’
এখন পর্যন্ত কার্যকর প্রতিষেধক আবিস্কার না হলেও বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে  ‘সাধারণ সর্দি-কাশি হলেও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মুখে নাকে হাত দেয়া চলবে না। হাঁচি পেলে বা কাশি পেলে টিস্যু, রুমালের ব্যবহার করতে হবে। কিছুই না থাকলে মুখ ঢেকে হাঁচতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুঁয়ে ফেলা জরুরি।’
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। হাঁচি, সর্দি, কাশি এই ধরনের জিনিস জিইয়ে রাখা যাবে না। এমন উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে গিয়ে কী ঘটেছিল, কয়েকদিনের মধ্যে কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা এই সমস্ত বিষয় খুলে বলতে হবে।’
এই ধরনের ভাইরাসের ক্ষেত্রে যে চরিত্র আগে দেখা গেছে, তাতে এই রোগ নিজে নিজেই সেরে যায়। যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম তাদের ভাইরাসটি আক্রমণ করে বেশি। তাই সেভাবে যদি দেখা যায় তাহলে ধরে নেয়া যেতে পারে যে সাধারণ মানুষের চিন্তিত হওয়ার খুব একটা কারণ নেই।’কারো সর্দি-কাশি হলে তাকে আলাদা করে রাখা জরুরি। আর রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে একেবারে আলাদা রাখতে হবে। তার সমস্ত কিছুই আলাদা রাখতে হবে, যাতে আর অন্য কারোর তার থেকে রোগ না ছড়ায়।’
এই ধরনের ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারে বিচ্ছিন্ন ওয়ার্ড দরকার হয় এবং যিনি এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সেই রোগীর জন্য বিশেষ বিছানা রাখতে হবে। তার ঘরের বাতাস যাতে বাইরে না যায় বা গেলেও পরিশুদ্ধ হয়ে যায় সেই ব্যবস্থা রাখতে হবে।’