Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - shalauddin.ns

Pages: 1 ... 12 13 [14]
196
আকাশে ওড়া ড্রোনের (চালকহীন ছোট আকারের বিমান) বিষয়টি ইতিমধ্যে সারা বিশ্বেই পরিচিত। তবে এবার পানির নিচেও কাজ করতে পারবে বা উড়তে পারবে এমন ড্রোন বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ‘লুন কপ্টার’ নামের এ ড্রোন তৈরি করেছেন ওকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ইমবেডেড সিস্টেমস রিসার্স গ্রুপ। এটি আকাশে ওড়া ড্রোনের মতোই কাজ করতে পারবে। পানিতে নামার পর থেকেই সাধারণ ড্রোনের মতোই ৯০ ডিগ্রি সুবিধায় চারপাশে সব ধরনের কাজও করতে পারবে লুন কপ্টার। ২০১৫ সালের শুরুর দিকে প্রথম প্রটোটাইপ লুন কপ্টার নিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়। একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুবাইতে অনুষ্ঠিত ড্রোন-বিষয়ক এক প্রতিযোগিতায় ইউএই ড্রোনটি সেরা ভালো ড্রোনের পুরস্কার পায়। তারপর থেকেই পানির নিচে কাজ করতে পারে এমন ড্রোন নিয়ে গবেষণার বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।

পানির নিচে উদ্ধার কার্যক্রমের বিষয়টিকে দ্রুত করতে এ ধরনের ড্রোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এর পাশাপাশি যেকোনো ধরনের উদ্ধার কার্যক্রমের যাতে ড্রোনের ব্যবহারের মাধ্যমে দ্রুততর উপায়ে উদ্ধার কাজ করা যায়, সে বিষয়েও কাজ করছে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। বড় আকারের সাবমেরিন দ্রুততার সঙ্গে নির্দিষ্ট এলাকায় পৌঁছাতে দেরি হলেও এ ধরনের ড্রোন যাতে খুব সহজে এবং দ্রুত যেতে পারে সে জন্য পানির নিচের ড্রোনের গুরুত্ব বাড়ছে।
ওকল্যান্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক দল জানিয়েছে, ওয়্যারলেস দূরত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে পানির নিচে আরও কীভাবে ড্রোন কাজ করতে পারে, সে বিষয় নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। সফল এ গবেষণার পরেই এ ধরনের ড্রোন পানির নিচে নানা ধরনের কাজেও ব্যবহার করা যাবে বলে অভিমত গবেষক দলের।

Source - http://www.prothom-alo.com/

197
পৃথিবীর ওপরের কক্ষপথে লেজার রশ্মির সাহায্যে একটি যোগাযোগব্যবস্থা বা নেটওয়ার্ক চালু করেছে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ)। এর মাধ্যমে স্যাটেলাইটে তোলা ছবি ২০ মিনিটের মধ্যে পৃথিবীতে পাঠানো সম্ভব হবে।
ইএসএ প্রথম দফায় ওই নেটওয়ার্কের আওতায় টেলিযোগাযোগের জন্য কাজাখস্তানের বৈকনুর থেকে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) গতকাল শনিবার উৎক্ষেপণ করেছে।
স্যাটেলাইটটি মহাকাশযানের তোলা পৃথিবীর ছবি ওই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে পাঠাবে। এতে বন্যা ও ভূমিকম্পের মতো বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আরও দ্রুত জানা যাবে। ফলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া আরও সহজ হবে।
প্রচলিত ব্যবস্থায় পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইটগুলোর তোলা ছবি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। কারণ, একটি গ্রহীতা ডিশ অ্যান্টেনার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ই মহাকাশযান তার তোলা ছবিগুলো পাঠাতে পারে। আর প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করার সময় মাত্র ১০ মিনিটের জন্য ওই অ্যান্টেনার দেখা মেলে।
ইএসএ সম্প্রতি পৃথিবী পর্যবেক্ষণের জন্য দুটি স্যাটেলাইট চালু করেছে। এগুলোতে আলোকচিত্র পাঠানোর সরঞ্জাম যুক্ত রয়েছে। এগুলো লেজার নেটওয়ার্কের আওতায় নতুন স্যাটেলাইটটির সাহায্যে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করতে পারবে।
ইএসএর অংশীদার এয়ারবাস ডিফেন্স অ্যান্ড স্পেস পরীক্ষা করে দেখেছে, স্যাটেলাইটে ছবি তোলার ২০ মিনিটের মধ্যে সেগুলো নতুন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট লোকজনের কাছে পাঠানো সম্ভব হবে। ফলে দূষণের নানা ঘটনা বা অবৈধভাবে মাছ ধরা বা সমুদ্রে চোরাচালান ইত্যাদি পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে সময় বাঁচবে এবং সময়মতো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগও বাড়বে।
ইএসএর টেলিযোগাযোগ শাখার পরিচালক মাগালি ভেসিয়ের বলেন, উত্তর মেরু এলাকায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথে ভারী বরফপ্রবাহের কারণে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন হয়। স্যাটেলাইটের পর্যবেক্ষণের তথ্য-উপাত্ত সেখানে দুই দিন পরে পৌঁছালে বলতে গেলে কোনো কাজেই লাগে না। নতুন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে।
ইএসএর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাইকেল উইটিং বলেন, তাঁরা এ নেটওয়ার্ক গড়ার জন্য ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছেন। এ ব্যবস্থায় প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৮ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য-উপাত্ত পাঠানো সম্ভব।

Source - http://www.prothom-alo.com/

198
হৃৎপিণ্ডের একটি ভাল্‌ভে ছিদ্র হয়েছিল ৫৯ বছর বয়সী রিচার্ড রিচের। তাঁর অবস্থা তখন এতটাই নাজুক যে ওপেন হার্ট সার্জারি করানোর সুযোগ নেই। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে রিচের হৃদ্‌যন্ত্রে স্থাপন করলেন একটি ‘বেলুনযন্ত্র’। এতে তাঁর অবস্থার উন্নতি হলো। পরে তিনি অস্ত্রোপচারের ধকল নেওয়ার মতো সুস্থও হয়ে ওঠেন।
হৃদ্‌যন্ত্রের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় ‘শেষ সুযোগ’ হিসেবে এই বেলুনপদ্ধতি ব্যবহার করেছেন যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ
হসপিটালের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা পরীক্ষামূলকভাবে আরও বেশি ব্যবহার করতে চান বেলুনযন্ত্রটি। আশা করা যায়, এতে হাজারো রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।
নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত রিচের বাড়ি কেন্টে। ২০১৫ সালের জুনে তিনি মারাত্মক হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। ফলে তাঁর শ্বাস-প্রশ্বাসে জটিলতা তৈরি হয়। চিকিৎসকেরা দেখতে পান, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের একটি ভাল্‌ভ ঠিকমতো কাজ করছিল না। এতে রক্তের উল্টো স্রোত তৈরি হয় এবং তাঁর হৃৎপিণ্ডে বাড়তি চাপ পড়ে। তখন প্রচলিত চিকিৎসায় অস্ত্রোপচার করাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে চিকিৎসকেরা মিট্রা-স্পেসার নামের নতুন যন্ত্রটি (বেলুন) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। যুক্তরাষ্ট্রে কার্ডিওসলিউশনস নামের একটি প্রতিষ্ঠান ওই বেলুনযন্ত্র তৈরি করে। এটি হৃৎপিণ্ডে স্থাপনের কয়েক দিন পরই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান রিচ। পাঁচ মাস পর তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র অস্ত্রোপচারের উপযোগী হয়ে ওঠে। এরপর ভাল্‌ভ সারানোর জন্য প্রচলিত অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন অধ্যাপক ওয়েন্ডলার। তিনি বলেন, ভাল্‌ভে ত্রুটিযুক্ত এ রকম রোগীদের চিকিৎসায় ভবিষ্যতে ওপেন হার্ট সার্জারির জায়গা নিয়ে নিতে পারে বেলুনযন্ত্রটি।

বেলুনটির আকার একটা ছোট মরিচের সমান। ‘কিহোল টেকনিক’ ব্যবহার করে বুকে এটি স্থাপন করা হয়। এতে বড় ধরনের কোনো অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় না। ভাল্‌ভের ছিদ্রের স্থানে এটি বসানো হলে রক্তের উল্টো স্রোত বন্ধ হয়। রোগীর অবস্থা অনুযায়ী বিশেষ প্রক্রিয়ায় বাইরে থেকে বেলুনযন্ত্রটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসা শাখার পরিচালক অধ্যাপক পিটার ওয়েইসবার্গ বলেন, বেলুনটির কাজের ধরন খুব সোজা। এটি ভাল্‌ভের ছিদ্র দিয়ে রক্ত পড়া কমায়। এতে হৃদ্‌যন্ত্র সেরে উঠে অস্ত্রোপচারের ধকল সামলানোর সামর্থ্য অর্জন করে। এ সময় চিকিৎসকেরাও রোগীকে পর্যবেক্ষণ এবং বিকল্প চিকিৎসা নিয়ে চিন্তাভাবনার সুযোগ পান।

Source - http://www.prothom-alo.com/

199
মাস তিনেক আগে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের কোথাও হুট করেই বদলে গেল পরিবেশ। অক্টোপাস-তারামাছ-কাঁকড়া তো ছিলই, কোত্থেকে উদয় হলো ৩৮ হাজার পাউন্ড ওজনের পেটমোটা ক্যাপসুল আকৃতির এক কনটেইনার! আকারে ঢাউস হলেও সে বস্তু নড়েচড়ে না, টুঁ শব্দটাও করে না। জলজ প্রাণীগুলো মাথা চুলকে মরলেও মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষের ঠিকই জানা ছিল ওই বস্তুর নাড়িনক্ষত্র।
মাইক্রোসফট করপোরেশনের একদল গবেষক পুরো এক ডেটা সেন্টার এই ক্যাপসুলের মধ্যে ভরে ১০৫ দিন অথই জলরাশির নিচে ফেলে রেখেছিলেন। ‘প্রোজেক্ট ন্যাটিক’ ছদ্মনামের সফল এই পরীক্ষণের ফলে এখন সমুদ্রের তলদেশেও যে ডেটা সেন্টার নির্মাণ সম্ভব, তা জানা গেল। প্রশ্ন হলো, ধু ধু মরুপ্রান্তর আছে, আদিগন্ত সবুজ মাঠ আছে, সমুদ্রের নিচেই কেন?
কারণ, ডেটা সেন্টার আকারে খুব বড় হয়। কোনো কোনোটা তো পুরো এক ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। তাতে সারি সারি সাজানো সার্ভার থেকেই আসে ইন্টারনেটে পাওয়া সব তথ্য। এই সার্ভারগুলো প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। ঠান্ডা করার জন্য কুলিং সিস্টেমের পেছনে ঢালতে হয় কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ। সমুদ্রের হিমশীতল পানির নিচে ডেটা সেন্টার করলে প্রাকৃতিক উপায়েই তা ঠান্ডা থাকবে। আলাদা করে ঠান্ডা করতে হবে না।
আরেকটি সুবিধা হলো, সমুদ্রের তীর ঘেঁষেই গড়ে ওঠে সভ্যতা। জনবসতিও এই এলাকাগুলোতেই বেশি। সমুদ্রের তলদেশে ডেটা সেন্টার স্থাপন করলে কাছের এলাকাগুলোয় দ্রুততর ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া ক্যাপসুলের সঙ্গে টারবাইন লাগানো সম্ভব হলে সমুদ্রস্রোত কাজে লাগিয়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। সব দিক থেকেই ধারণাটি লাভজনক।
সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ—প্রবল পানির চাপ সহ্য করে দীর্ঘদিন ক্যাপসুলগুলো কর্মক্ষম থাকবে কি না!

নিউইয়র্ক টাইমস অবলম্বনে

200
সময় ও স্রোত যে কারও জন্য অপেক্ষা করে না, সে তো সবারই জানা। প্রযুক্তিও কিন্তু কারও পথ চেয়ে থাকে না। তাই যদি না হবে তবে বিজ্ঞানীরা কেন চতুর্মাত্রিক (ফোরডি) মুদ্রণপ্রযুক্তি আবিষ্কারে উঠেপড়ে লাগবেন!
ত্রিমাত্রিক মুদ্রণ বা থ্রিডি প্রিন্ট সবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পেতে শুরু করেছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেই মিলবে থ্রিডি প্রিন্ট। অথচ এরই মধ্যে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজ ইনস্টিটিউটের একদল গবেষক ত্রিমাত্রিক মুদ্রণপ্রযুক্তিতে যোগ করেছেন নতুন এক মাত্রা। আর সেটি হচ্ছে ‘সময়’।
নতুন এই মুদ্রণপ্রযুক্তিকে তাঁরা বলছেন ফোরডি প্রিন্ট। এ পদ্ধতিতে থ্রিডি প্রিন্টের মতোই পরতের পর পরত প্রিন্ট করা হয়, তবে কাঁচামাল হিসেবে এতে প্লাস্টিকের বদলে থাকবে জেল-জাতীয় বিশেষ কালি। এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। তবে মূল বিশেষত্বটা এর পরের অংশে—মুদ্রণের পর বস্তুটি পানিতে ডোবালে এটির আকারে নাটকীয় পরিবর্তন আসবে।
গবেষক দলের প্রধান জেনিফার লুইস জানান, জেল-জাতীয় কালিতে সেলুলোজের ক্ষুদ্র আঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। এই আঁশের দেখা সাধারণত উদ্ভিদের ত্বকেই মেলে। পরিবেশের প্রভাবে উদ্ভিদের আকার পরিবর্তন করার কৌশলটাই এখানে কাজে লাগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই সঙ্গে পানিতে ডোবালে কী পরিবর্তন আসবে তাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
প্রকল্পটির সহকারী গবেষক সিডনি গ্ল্যাডম্যানের ভাষ্য, ‘পদার্থগুলোর মধ্যে পরিবর্তন এনে আমরা এখন থেকে মুদ্রণের পর বস্তুর পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।’

চতুর্মাত্রিক মুদ্রণের মাধ্যমে ‘জীবন্ত টিস্যু’ তৈরি করার ইচ্ছা রয়েছে হার্ভার্ডের এই গবেষক দলের। ত্রিমাত্রিক মুদ্রণের মাধ্যমে যেখানে কোনো অঙ্গ তৈরি সম্ভব, সেখানে নতুন এ প্রযুক্তির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে শরীরের ‘জীবন্ত কোষ’ তৈরি সম্ভব হবে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। তাঁরা কতটা সফল হবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Source - http://www.prothom-alo.com/

201
পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসছে একটি গ্রহাণু। ৫ মার্চ ঘটতে পারে ঘটনাটি। পৃথিবীর ৯ হাজার থেকে ১৭ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করলেও গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলেই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা।

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল) গবেষকেরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রহাণুটির ওপর নজরদারি করছেন। তাঁরা ২০১৩ সালে এই গ্রহাণুটির নাম দেন ‘টিএক্স ৬৮’।
গবেষকেরা বলছেন, পৃথিবীর কোনো ক্ষতি না হলেও এটি চাঁদের চেয়েও পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। ১০০ ফুট ব্যাসের এই গ্রহাণুটি ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরেও একবার পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে। এ ছাড়াও পরবর্তী সময়ে ২০৪৬ ও ২০৯৭ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটির।
গবেষকেরা বলছেন, নিকটতম সময়গুলো বিবেচনায় ধরলেও পৃথিবীর সঙ্গে গ্রহাণুটির সংঘর্ষের আশঙ্কা ক্ষীণ। তবে এর ওপর আরও নজরদারি দরকার বলে মনে করেন তাঁরা।
গবেষকেরা বলছেন, গ্রহাণুটির কক্ষপথ সম্পর্কে সুনিশ্চিত নন তাঁরা। গ্রহাণুটিকে ঠিক কোথায় দেখা যাবে, সেটি তাঁদের পক্ষে অনুমান করা শক্ত। তবে শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে এর গতিবিধির ওপর নজরদারি করার ঘোষণা দিয়েছে নাসার গবেষকেরা।
২০১৩ সালে ৬৫ ফুটের মতো একটি গ্রহাণু বায়ুমণ্ডলে ভেঙে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কের ওপর পড়ে যাতে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও দেড় হাজার মানুষের আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

তথ্যসূত্র: আইএএনএস ও রয়টার্স।

202
ইদানীং ফেসবুকে অনেক ভিডিও দেন ব্যবহারকারীরা। কম্পিউটারে ফ্ল্যাশ প্লে­য়ার ইনস্টল করা থাকলে বা গুগল ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করলে সেগুলো সরাসরি ফেসবুকেই দেখা যায়। কিন্তু যাঁদের কম্পিউটারে ইন্টারনেটের গতি কম তাঁরা সহজে ভিডিও দেখতে পারেন না। আবার অনেকে অনেক ভিডিও নামিয়ে রাখতে চান। কিন্তু ফেসবুকের ভিডিও নামানোর সরাসরি কোনো লিংক না থাকায় কাজটা করতে সমস্যা হয়। কোনো সফটওয়্যার ছাড়াই ফেসবুকের ভিডিও নামাতে চাইলে প্রথমে ফেসবুকের ভিডিওটি চালান। তারপর এর ওপরে ব্রাউজারের ঠিকানার অংশে www-এর পরিবর্তে m লিখে এন্টার করুন। তারপর আবার ভিডিওটি চালিয়ে ভিডিওটির ওপর মাউস রেখে ডান ক্লিক করে Save video as-এ ক্লিক করে ভিডিওটি আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করতে পারেন। ভিডিওটি *.mp4 ফরম্যাটে সংরক্ষিত হবে।

Source - http://www.prothom-alo.com/

203
তরুণ প্রজন্মকে ই-কমার্সে আগ্রহী করে তুলতে ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফ্রেপড মিলনায়তনে ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরামের যাত্রা শুরু হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, ‘ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে পারলে আগামী ১০ বছরেই দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত হবে ই-কমার্স। সেখানে প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে তরুণেরা।’ খবর বিজ্ঞপ্তি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট সাখাওয়াত হোসেন এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি রাজীব আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ।
ই-ক্যাব ইয়্যুথ ফোরামে যোগ দিতে পারবেন যেকোনো তরুণ। এখানে ই-কমার্স উদ্যোক্তা তৈরি, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। চলতি বছরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি সেমিনার আয়োজনের পরিকল্পনা আছে তাদের।

Source - http://www.prothom-alo.com/

204
জাপান এমনই এক জাতি, যারা রোবটকেও নাচিয়ে ছেড়েছে। আর চীনারা আরেক জাতি, যারা এই রোবট দিয়ে দলীয় তো বটেই, গণনৃত্যের আয়োজন করতেও বাকি রাখেনি। মানুষের ক্ষেত্রে কাজটি সহজ হলেও ৫৪০টি রোবট একসঙ্গে তাল মিলিয়ে নাচানো কোনো সস্তা কথা নয়। প্রতিটি সাড়ে ১৬ ইঞ্চি উচ্চতা এবং দেড় কেজি ওজনের ২৪০টি রোবটের দলীয় নৃত্যের আয়োজনের কথা থাকলেও অনুষ্ঠানে চমক আনতে আরও ৩০০টি রোবট যোগ করা হয়। ৮ ফেব্রুয়ারি চীনা গায়ক সুন নানের গানের তালে তাল মিলিয়ে নেচেছে এই রোবটগুলো। সঙ্গী ছিল ২৯টি ড্রোন। এ ছাড়া আলোক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানটিকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা।
চীনা নববর্ষ সামনে রেখে এই রোবট নৃত্যের আয়োজন করে চীনের সম্প্রচারমাধ্যম চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন (সিসিটিভি)। টিভিতে অনুষ্ঠানটি ৭০ কোটির বেশি মানুষ দেখেছে বলে জানানো হয়। ছোট আকারের রোবট হলেও নাচের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে বড় পরিসরে

Source - http://www.prothom-alo.com/

205
ঠিক এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মানুষের নাম বিল গেটস। তাঁর সম্পদের পরিমাণও ১০ হাজার কোটি ডলারের অনেক নিচে। কিন্তু আজ আপনাকে এমন এক কৌশল বলতে পারি, যা মেনে চললে আপনার সম্পদের হিসাবটা হবে ট্রিলিয়ন ডলারে।

‘বিশ্বের প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার হতে হলে আপনাকে গ্রহাণু থেকে খনিজ আহরণ করতে হবে।’ জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী নিল টাইসনের কথা এটি। তাঁর সে কথা যদি সত্যি হয় তবে পশ্চিম ইউরোপের ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গ ভাসবে অর্থের অথই সমুদ্রে। দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী এটিয়েন শ্নাইডার সম্প্রতি জানিয়েছেন, গ্রহাণু বা অ্যাস্টেরয়েড খননকারী প্রতিষ্ঠান ডিপ স্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্ল্যানেটরি রিসোর্সের সঙ্গে কাজ করবে তাঁর দেশ। সেটা অবশ্যই অ্যাস্টেরয়েড থেকে খনিজ আহরণের জন্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য, মহাশূন্যে ভাসমান পাথরের এই খণ্ডগুলো থেকে সম্পদ আহরণের দ্বার উন্মোচন করা, যা আগে কখনো করা হয়নি।’
২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক গবেষণাকেন্দ্র ঘুরে দেখার পর থেকেই শ্নাইডার খনিজ নিয়ে আলোচনা করে আসছেন। অবশ্য অ্যাস্টেরয়েড খননের কাজ কিন্তু এটাই প্রথম না। মহাশূন্যে খনিজ আহরণের সম্ভাবনা জানতে চলতি বছর ‘অসিরিসি রেক্স’ শিরোনামে এক অভিযান পরিচালনা করবে নাসা। ১০০ কোটি ডলার বাজেটের এ যাত্রায় বড়জোর ৬০ গ্রাম খনিজ পদার্থ সঙ্গে আনতে পারবে এই মহাকাশ যান।
কোটি কোটি ডলার আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও খরচটাও কিন্তু কম না। প্রতি অভিযানে গড়পড়তা খরচ পড়বে প্রায় ২৬০ কোটি ডলার। অবশ্য খরচ হওয়া এ টাকা উঠে আসার সম্ভাবনাই বেশি। এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, মাঝারি আকারের কোনো অ্যাস্টেরয়েড থেকে এই পরিমাণে খনিজ আহরণ সম্ভব, যা গোটা যুক্তরাজ্যের মোট দেশজ আয়ের চেয়েও বেশি। হয়তো সে কারণেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিছুদিন আগে আইন প্রণয়ন করেছেন, কোনো মার্কিন নাগরিক যদি মহাশূন্য থেকে কিছু নিয়ে আসে তবে তার মালিক যুক্তরাষ্ট্র সরকার! বুঝুন এবার!

Source - http://www.prothom-alo.com/

Pages: 1 ... 12 13 [14]