Daffodil International University
Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: farjana aovi on July 25, 2019, 02:32:17 PM
-
ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ডেঙ্গু ভাইরাস বাহিত এডিস ইজিপ্টাই (aedes aegypti) নামক মশার কামড়ে হয়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কাউকে কামড়ালে সেই ব্যাক্তি ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। আবার এই আক্রান্ত ব্যক্তিকে কোন জীবানু বিহীন মশা কামড়ালে সেই মশা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশায় পরিণত হয়। এভাবে একজন থেকে অন্য জনে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়িয়ে থাকে। এডিস মশা আবার ৪ ধরনের হয়। যাকে সেরোটাইপ (serotype) বলা হয়। তবে কোন সেরোটাইপেকে আক্রান্ত হলো আর কোন সেরোটাইপের জটিলতা কেমন তা নিয়ে গবেষণা না থাকায় চিকিৎসকদের কাছে এখনও আলাদা কোন নির্দেশনা নেই।
লক্ষণ বা উপসর্গ
১) তাপমাত্রা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে জ্বরের তাপমাত্রা হয় অনেক বেশি। গড়াতে পারে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত।
২) র্যাশ
রোগীর সারা গায়ে ঘামাচিরমতো লাল লাল র্যাশ উঠতে পারে। সাধারণত বুকের দিকে বেশি দেখা যায়। এই র্যাশ এ চাপ দিলে ঐ জায়গাটা সাদা হয়ে যাবে আবার কিছুক্ষণ পর লাল র্যাশটা ফেরত চলে আসবে।
৩) মাড়িতে রক্তক্ষরণ
৪) মলের রঙ পরিবর্তন
ডেঙ্গু জ্বর হলে মলের রঙ পরিবর্তন হতে পারে অর্থাৎপায়খানা কালো হতে পারে।
৫) অনুচক্রিকার সংখ্যা
জ্বরের তীব্র পর্যায়ে ধমনী ছিদ্র হয়ে যেতে পারে এবং রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যেতে পারে। ডেঙ্গুর এ তীব্র মাত্রাকে ডাক্তারি ভাষায় “ডেঙ্গু হেমোরেজিক (dengue hemorrhagic)” বা “ডেঙ্গু শক সিনড্রোম (dengue shock syndrome) ” বলা হয়। ডেঙ্গু শক সিনড্রোম-এর উপসর্গ হলো শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধা হওয়া কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া, অবিরাম অস্বস্তি এবং অবসাদ। অনেক ক্ষেত্রে কিডনি (kidney) বিকল হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
এছাড়াও বিরামহীন মাথা ব্যথা, বমি ভাব ও বমি হওয়া, হাড় ও হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, পেশীতে ব্যথা, গ্রন্থি ফুলে যাওয়া, চোখের পেছনে ব্যথা হওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
Source: shajgoj.com