Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Zannatul Ferdaus

Pages: [1] 2 3 4
1
অনেক রোগী নাক বন্ধ থাকার অভিযোগ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কিছু সময় একদিক বন্ধ থাকে, কিছু সময় অন্যদিক বন্ধ থাকে। এ রোগীদের নাক দিয়ে সর্দি ঝরে, নাকে গন্ধ ঠিকমতো পান না, অনেক সময় নাকে দুর্গন্ধ হয়।

নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার কারণে রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়। ফুসফুসে কাশি ও রোগী কানে কম শোনে।

রোগ নির্ণয়- পরীক্ষা করে দেখা যায় এ রোগীদের নাকের হাড় বাঁকা থাকে। নাকের পর্দা একদিকে বেঁকে যেতে পারে বা দু’দিকেই বেঁকে যায়। এর সঙ্গে নাকের ভেতরে অ্যালার্জি বা ইনফেকশন বা পলিপ থাকতে পারে।

চিকিৎসা- নাকের হাড় বাঁকা থাকলে এবং তা সমস্যার সৃষ্টি করলে অপারেশনের মাধ্যমে ঠিক করে নিতে হয়। এর সঙ্গে সাইনাস বা কানের সমস্যা থাকলে সে সমস্যারও একই সঙ্গে সমাধান করে নেয়া দরকার।

আধুনিক যুগে হাড় বাঁকা সোজা করার জন্য সেপ্টোপ্লাস্টি অপারেশন করা হয়। এ অপারেশনের বাড়তি সুবিধা হল নাকের বাহ্যিক কাঠামোর কোনো সমস্যা থাকলে রাইনোপ্লাস্টি অপারেশনের মাধ্যমে একই সঙ্গে ঠিক করে নেয়া হয়।

৬-৭ বছর বয়সেও এ অপারেশন করা হয়। তবে অপারেশন করতে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সূক্ষ্ম টেকনিক অবলম্বন করতে হয়।

যাদের নাকের হাড় বেশিমাত্রায় থাকে এবং উপরোক্ত সমস্যায় ভুগছে তারা অতি শিগগিরই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।


2
ওজন বাড়ছে? শুধু কি খাওয়া আর বসে থাকার দোষ? আপনার বাসাবাড়ির দিকেও একবার ফিরে তাকান। ঘরে জমে থাকা ধুলাবালু আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি মার্কিন গবেষকেরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গবেষকেরা বলেন, ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করে রাখা উচিত। কারণ, ঘরে ধুলা জমলে নানা রোগব্যাধি তৈরি হয়। ঘরের ধুলা থেকে অনেকের অ্যালার্জি হয়। হাঁচি-কাশি ছাড়াও ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দেয়। তবে ঘরে জমা ধুলা থেকে শরীরে চর্বি জমার বিষয়টি নতুন করে পাওয়া গেছে।

‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাসংক্রান্ত নিবন্ধ।

গবেষকেরা ঘরে জমে থাকা ধুলার অপকারিতা নিয়ে গবেষণাটি করেছেন। তাঁরা বলছেন, ঘরে জমা সাধারণ ধুলায় হরমোন পরিবর্তনে সক্ষম রাসায়নিক উপাদান থাকতে পারে। এতে শরীরের কোষের দ্রুত পরিবর্তন ঘটাতে পারে, যা চর্বি জমায়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অল্প পরিমাণ ধুলাও যদি নাকে যায় বা ত্বকের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে, তবে এ ধরনের ক্ষতি হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরের ধুলা থেকে তৈরি স্বাস্থ্যঝুঁকি শিশুদের বেশি থাকে। প্রতিদিন একটি শিশু গড়ে ৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্ষতিকর ধুলা গ্রহণ করে। ধুলায় যে এন্ডোক্রিন-ডিসরাপটিং কেমিক্যালস (ইডিসিএস) থাকে, এর সম্ভাব্য স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ইডিসিএস চর্বি কোষে প্রভাব ফেলে। তাঁরা ১১টি বাড়ি থেকে ধুলা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করেন।

গবেষক হিদার স্ট্যাপলটন বলেন, ঘরের ধুলায় যে রাসায়নিকের মিশ্রণ থাকে, তা ট্রাইগ্লিসারাইড ও ফ্যাট কোষ জমতে সাহায্য করে।

3
 
Now a days Environmental Science and Disaster Management related education is needed for the human beings to live with peace and happiness in this world and to be a researcher to control pollution and manage various kinds of disaster and hazards.
Environmental Science and Disaster Management Department at Daffodil International University has opened a huge opportunity for the knowledge seekers about the world and outer planets by establishing a world class laboratory facility at green campus of DIU. We are here to provide the desired tertiary level education both literally and practically. We monitor the quality of surface water, ground water and industrial effluents, contaminated soil and the air quality with well-equipped instruments.
Pursue your higher education in the department of Environmental Science and Disaster Management at Daffodil International University.

https://www.facebook.com/daffodilvarsity.edu.bd/photos/pcb.10155402602372203/10155402593562203/?type=3

https://www.facebook.com/daffodilvarsity.edu.bd/photos/pcb.10155402602372203/10155402588482203/?type=3

4
ক্যানসার চিকিৎসার সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি কেমোথেরাপির কারণেই ক্যানসারের কবলে পড়া কোষগুলি আরো ছড়িয়ে পড়ছে শরীরে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের এক গবেষণাপত্রে এমনটিই উল্লেখ করা হয়েছে।

ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ‘নিওঅ্যাডজুভ্যান্ট কেমোথেরাপি ইনডিউসেস ব্রেস্ট ক্যানসার মেটাস্টাসিস থ্রু আ টিএমইএম-মেডিয়েটেড মেকানিজম’। গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ এর ৫ জুলাই সংখ্যায়। তবে এ গবেষণাপত্রটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ সমর্থন করছেন, কেউ বা বলছেন ভিন্ন কথা। ফলে, বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। আলোড়নও চলছে।

এ গবেষণার মূল গবেষক নিউইয়র্কের ইয়েসিভা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালবার্ট আইনস্টাইন কলেজ অফ মেডিসিনের অধ্যাপক, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ জর্জ ক্যারিগিয়ান্নিস ইমেলে লিখেছেন, ‘শরীরে কোষগুলির একটি বিশেষ জোট (গ্রুপ) রয়েছে। যার নাম টিউমার মাইক্রো-এনভায়রনমেন্ট অফ মেটাস্টাসিস (টিএমইএম)। এরাই টিউমার কোষগুলিকে আরো বেশি করে ঢুকতে ও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে। আমরা স্তন ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির সবচেয়ে প্রচলিত ওষুধগুলির মধ্যে দু’টি ওষুধকে নিয়ে কাজ করেছি। তাতে দেখেছি, ওই ওষুধগুলিই শরীরে টিএমইএমের সক্রিয়তাকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্যানসার কোষগুলিকে রক্তে আরো দ্রুত, আরো সহজে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।’

স্তন ক্যানসার চিকিৎসার ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের আগে কেমোথেরাপিতে যে ওষুধগুলি দেওয়া হয়, সেই সব ওষুধ শরীরে ক্যানসারের কবলে পড়া কোষগুলিতে পৌঁছে কী কী কাজ করছে আর তাদের ফলাফল কী হচ্ছে, সেটাই ছিল গবেষণার মূল উদ্দেশ্য। শুধু ইঁদুরের ওপরে নয়, গবেষণাটি চালানো হয়েছিল মানুষের ওপরেও। এতে গবেষকরা দেখেছেন, কেমোথেরাপির ওষুধগুলি শরীরে ঢুকে তাদের টার্গেট ক্যানসারের কবলে পড়া কোষগুলিতে পৌঁছে ফুলে-ফেঁপে ওঠা কোষগুলির ‘বাড়তি মেদ’ ঝরিয়ে তাদের প্রাথমিকভাবে কিছুটা হাল্কা (শ্রিঙ্ক) করে দেয়। কিন্তু সেটা খুবই অল্প সময়ের জন্য। কিন্তু যে ‘বিষ’ ঢেলে ওষুধগুলি ক্যানসার কোষকে প্রথমে কিছুটা নিস্তেজ করে দিচ্ছে, সেই ‘বিষ’ই পরে শরীরের গঠন ব্যবস্থার (রিপেয়ার মেকানিজম) মাধ্যমে ক্যানসার কোষগুলি আরো দ্রুত, আরো বেশি সংখ্যায় শরীরের অন্যান্য অংশেও ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে।

 দ্য টেলিগ্রাফ।

5
1.অপরিকল্পিত নগরায়ন

অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা মহানগরীতে এখন প্রায় দুই কোটি মানুষ বাস করছেন৷ এই শহরের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে, হচ্ছে অপরিকল্পিতভাবে৷ ফলে শহরের বেশিরভাগ এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে৷

২.যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা

ঢাকা শহরের অনেক এলাকাতেই এখনো ময়লা ফেলা হয় খোলা জায়গায়৷ এসব ময়লা আবর্জনা, বিশেষ করে কঠিন বর্জ্যের একটা অংশ সরাসরি ড্রেনে গিয়ে প্রবাহ বন্ধ করে দেয়৷ ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় রাস্তাঘাটে৷

৩.বর্ষায় খোড়াখুড়ি

ঢাকা শহরের সড়কগুলোতে খোড়াখুড়ির মহোৎসব শুরু হয় বর্ষা মৌসুমের ঠিক আগে থেকে৷ পুরো বর্ষা মৌসুম ধরেই চলে এসব খোড়াখুড়ি৷ সামান্য বৃষ্টিতেই তাই জলাব্ধতার সৃষ্টি হয় শহরে৷

৪.নদী ভরাট

ঢাকা শহরের চারপাশে অবস্থিত বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতালক্ষ্যা প্রভৃতি নদীগুলো ক্রমান্বয়ে ভরাট করে ফেলেছে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা৷ আর তাই বিশাল জনসংখ্যার এ শহরের পানি নিষ্কাশনের প্রধান পথ অনেকটাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷

৫.খাল দখল

ঢাকা নগরীর ৬৫টি খাল এক সময়ে এ মহানগরীর পানি নিষ্কাশনে বিশেষ ভূমিকা রাখত৷ কিন্তু রাজধানীর এই খালগুলো এখন খুঁজে পাওয়াও কঠিন৷ বেশিরভাগই চলে গেছে দখলদারদের হাতে৷ অনেকগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে৷ যে দু’য়েকটি টিকে আছে সেগুলোও দখলে জর্জরিত৷

৬.জলাশয় ভরাট

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রাকৃতিক জলাধারগুলো ভরাট করে আবাসান ব্যবস্থা গড়ে তোলায় বড় এই শহরের পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হয়েছে৷

৭.বুড়িগঙ্গা দূষণ আর দখল

ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা নদী দখল আর দূষণে জর্জরিত৷ দখলে এ নদীর গতিপথ বাধাগ্রস্থ হয়েছে আর দূষণে নদীর তলদেশে নানান বর্জ্য্ জমে এর গভীরতা কমিয়েছে৷ ফলে পানির প্রবাহ বাড়লেই তা উপচে পড়ে৷

৮.অপরিকল্পিত বক্স কালভার্ট


রাজধানীর জলাবদ্ধতা রোধে ঢাকা ওয়াসা বিভিন্ন সময়ে যেসব বক্স কালভার্ট নির্মাণ করেছে, তার বেশিরভাগই অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত৷ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তৈরি এসব বক্স কালভার্ট প্রয়োজনের তুলনায় সরু হওয়ায় বৃষ্টির পানি অপসারণে তেমন কাজে আসে না৷ অনেক ক্ষেত্রে এসব কালভার্টে অপচনশীল কঠিন বর্জ্য আটকে গিয়ে পানি নির্গমন পথও বন্ধ হয়ে যায়৷

৯.সমন্বয়হীন সংস্কার কাজ

ঢাকা শহরে সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর উন্নয়ন কাজে কোনো সমন্বয় না থাকায় সারা বছরই সড়ক খোড়াখুড়ি চলতেই থাকে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ওয়াসা স্যুয়ারেজ নির্মাণের জন্য একটি সড়ক খোড়া হলো, সে কাজ শেষ হতে না হতেই আবার খোড়াখুড়ি শুরু করল গ্যাস কিংবা বিদ্যুৎ বিভাগ৷ ফলে সারা বছর সড়কগুলোতে এ ধরনের কাজ চলায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়৷

১০.পলিথিনের অবাধ ব্যবহার

ঢাকা শহরে চলছে পলিথিনের অবাধ ব্যবহার৷ পলিথিন ব্যবহার না করার আইন থাকলেও তার সামান্যটুকুও মানা হয় না৷ ফলে দুই কোটি মানুষের এই শহরে প্রতিদিন যে বর্জ্য তৈরি হয় তার অধিকাংশজুড়েই থাকে পলিথিন৷ এসব পলিথিন পানি নিষ্কাশনের পথগুলো বন্ধ করে দেয়৷

১১.ড্রেনের ময়লা ড্রেনে

ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ড্রেন থেকে ময়লা তুলে সেগুলো দিনের পর দিন ড্রেনের পাশেই ফেলে রাখা হয়৷ ফলে বৃষ্টি হলেই সে ময়লার পুনরায় ঠিকানা হয় ড্রেন৷ সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা৷

১২.নতুন আতঙ্ক ফ্লাইওভার নির্মাণ

ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ ফ্লাই ওভার নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রিতা৷ ঢাকার মগবাজার ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের ফলে এ এলাকার রাস্তাঘাটের দিনের পর দিন যে ক্ষতি হয়েছে, তার কখনোই সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিশাল এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা৷

6
দুধের সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। অ্যাসিড হয়ে যাবে। ভাজা খেয়ে জল খেলে বিপদ। দুধের পর টক খেলে বদহজম হবে। এ রকম কথাগুলো আমরা শুনে বড় হয়েছি। কোন খাবারের সঙ্গে কোনটা খাওয়া উচিত নয় সে ব্যাপারে বাঙালি মোটামুটি সচেতন। আবার এ রকমও অনেক কম্বিনেশন রয়েছে যেগুলো শরীরের পক্ষে দারুণ উপকারি। জেনে নিন এমনই কিছু ফুড কম্বিনেশন যা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

ফলের সঙ্গে অন্য কিছু না খাওয়ার কথাই চিকিত্সকরা বলে থাকেন। তবে সব ফলের সঙ্গে সব খাবারের কম্বিনেশন কিন্তু মোটেই খারাপ নয়। মেলন জাতীয় ফলের সঙ্গে অন্য কিছু খাওয়া উচিত না হলেও ডায়টিশিয়ানরা জানাচ্ছেন কলা ও ইয়োগার্ট কিন্তু উপকারি কম্বিনেশন। দুটো খাবারের মধ্যেই থাকে প্রোবায়োটিক। তাই কলা ও ইয়োগার্ট এক সঙ্গে খেলে প্রোবায়োটিকের মিশ্রণ শরীরে পৌঁছয়। পটাশিয়াম আর প্রোটিন পুষ্টি জোগাতে ও পেশীর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
হজমের সমস্যা থাকলে দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে কলা খেতে বারণ করেন ডাক্তাররা। সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা খেতে পারেন। এ ছাড়াও আমন্ড মিল্ক, সয় মিল্ক, কোকোনাট মিল্ক ইয়োগার্টের সঙ্গে খেতে পারেন। ইয়োগার্টের সঙ্গে কলা খেলেও একই উপকার পাবেন।

স্ট্রবেরি ও পালং শাক

ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণে সাহায্য করে। স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে এবং পালং শাক আয়রনের আধার। যদি শরীরে আয়রনের অভাব থাকে তা হলে এই কম্বিনেশন আপনাকে রক্তাল্পতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।

বেরি ও ওটমিল

বেরিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন সি ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ওটমিল আয়রন ও বি ভিটামিনের পাশাপাশি আয়রনের উত্স। ভিটামিন সি বেরি থেকে আয়রন ও জল শোষণ করে শরীরে ফাইবাব প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টে ওটমিলের সঙ্গে ব্লুবেরি ও সামান্য দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। খেতে যেমন ভাল লাগবে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

লেবু ও শাক

যে কোনও ধরনের সবুজ শাকের সঙ্গে লেবু খুবই ভাল কম্বিনেশন। লেবু ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ, শাক আয়রনে। তাই একই নিয়মেই লেবু শাকে থাকা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। লেবুর রস স্যালাড যেমন সুস্বাদু করে তোলে, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি।

মাছ ও হলুদ

বাঙালি হলুদ ছাড়া মাছ রান্না করার কথা ভাবতেই পারে না। হলুদ যে শুধু মাছের আঁশটে গন্ধ দূর করে বা স্বাদ বাড়ায় তাই নয়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে মাছ-হলুদের কম্বিনেশন। মাছে থাকা এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে হলুদের কম্বিনেশন শরীরে টিউমরের বৃদ্ধি ও ক্যানসার কোষের ছড়িয়ে পড়া রুখতে পারে। এ ছাড়াও হলুদে থাকা কারকিউমিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বাড়িয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

7
ডাইনোসরের পর এ বার মানুষ। ‘মাস এক্সটিঙ্কশন’  বা গণবিলুপ্তির পথে এগোচ্ছে গোটা মানবসভ্যতা?

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘নেচার’-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে এই ‘অশনি সংকেত’ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, ষষ্ঠতম এই বিলুপ্তির নাম হবে ‘অ্যানথ্রোপোজেনিক বা হ্যালোসিন এক্সটিঙ্কশন’। যাতে শেষ হয়ে যাবে মানবসভ্যতা। আর এই প্রথম তার জন্য দায়ী থাকবে মানুষই।
জীববিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন তাঁর ‘ডারউইনবাদ’-এ এই ধরনের বিলুপ্তির নাম দিয়েছিলেন- ‘যোগ্যতমের উদবর্তন’ (সার্ভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট)। যার মানে, যে সব প্রাণী জীবন সংগ্রামে টিঁকে থাকতে পারবে পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের অভিযোজন ঘটিয়ে, তারাই কেবল বেঁচে থাকতে পারবে। তাদেরই হবে উদবর্তন। বাকিরা কালে কালে পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে। বহু কোটি বছর আগে ঠিক যে ভাবে হারিয়ে গিয়েছিল ডাইনোসররা।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এর আগে পাঁচ বার এমন গণবিলুপ্তি হয়েছে পৃথিবীতে। যার মধ্যে সবচেয়ে প্রলয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছিল ২৫ কোটি বছর আগে। প্রায় ৯৬ শতাংশ জলচর এবং ৭০ শতাংশ স্থলচর প্রাণী ও উদ্ভিদের মৃত্যু হয়েছিল ওই মহাধ্বংসে। সেই তালিকায় ছিল ডাইনোসররাও। শাকাহারী বা হার্বিভোরাস তো বটেই,  এমনকী  বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল ভয়ঙ্কর মাংসাশী বা কার্নিভোরাস ডাইনোসররাও। উল্কাপাত, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে বেরনো লাভাস্রোতের মতো নানা প্রাকৃতিক এবং মহাজাগতিক শক্তিই ছিল সেই বিনাশের মূল কারণ।
গবেষণা বলছে, অত্যধিক হারে বংশবৃদ্ধির জন্য গত ৫০ বছরে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৩০ শতাংশ। ২০৬০-র মধ্যে যা পৌঁছবে ১০ লক্ষ কোটিতে। বিপুল সংখ্যক মানুষের খাদ্য ও বাসস্থানের জোগান দিতে হিমশিম খাবে মানবসভ্যতা। টান পড়বে প্রকৃতির ভাঁড়ারেও। ইতিমধ্যেই ক্রমবর্ধমান দূষণ, চোরাশিকার, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন, অন্যান্য হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ আর মানুষের জন্য হওয়া প্রাকৃতিক অবক্ষয়ের কারণে ২৫ শতাংশ স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ১৩ শতাংশ পাখি বিলুপ্তির পথে।

জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করেই বিবর্তনের গতিপ্রকৃতি বোঝা যায়। তাতেই বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় এই বিনাশ ঘনিয়ে আসবে পৃথিবীর বুকে। কারণ,-

-দ্রুত হারে কমে আসছে জৈব সম্পদ
-মাত্রা ছাড়াচ্ছে দূষণ
-সেই সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে বাড়ছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের মতো গ্রিন হাউস গ্যাস
-তার ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উষ্ণায়ন
 

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে নাসার একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, তুষার যুগের পর থেকে গত পাঁচ হাজার বছরে পৃথিবীপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে বলেই আশঙ্কা নাসার বিজ্ঞানীরা

‘নেচার’-এর ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, মানুষের গণবিলুপ্তি এর আগেও হয়েছে। তবে খুব বড় আকারে নয়। এই বিলুপ্তির সূচনা হয়েছিল যখন বিবর্তনের ধারায় আধুনিক মানুষ আফ্রিকা থেকে বেরিয়ে নতুন সভ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল। ৫০ হাজার বছর আগে থেকে শুরু করে এই বিলুপ্তির ঢেউ আছড়ে পড়ে পরবর্তী প্রজন্মগুলিতেও। ১০ থেকে ১১ হাজার বছর আগে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ৩ থেকে ১২ হাজার বছর আগে ইউরোপে ব্যাপক হারে গণবিলুপ্তি হয়। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় প্রায় তিন হাজার বছর আগে। অর্ধেকেরও বেশি ‘মেগাফনা’ প্রজাতি অর্থাৎ বৃহৎ স্তন্যপায়ীরা হারিয়ে যায় পৃথিবী থেকে। সেই সঙ্গে বিলুপ্ত হয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিও।

গণবিলুপ্তিতে লাগাম টানতে সমাধান সূত্রও বাতলেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলেছেন, সংরক্ষণ নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রকৃতি বিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকদের একজোট হয়ে সমস্যা সমাধানের পথে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে পরিবর্তন আনতে হবে মানুষের অভ্যাসেও। তা হলেই বাঁচবে মানুষ। রক্ষা পাবে আগামী প্রজন্ম।


8
মোবাইল চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংকের দিন মনে হয় ফুরিয়ে আসছে। কারণ তৈরি হয়েছে বিশ্বের প্রথম ব্যাটারিবিহীন মোবাইল ফোন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নতুন এই মোবাইল তৈরি করেছে। এ নিয়ে একটি গবেষণাপত্রও প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের দাবি, আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের সাহায্যেই এই মোবাইল ফোন কাজ করবে। খবর: আনন্দবাজার পত্রিকার।

মোবাইলের প্রোটোটাইপ তৈরি করে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে প্রসিডিংস অব দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটিং মেশিনারি অন ইন্টারঅ্যাকটিভ, মোবাইল, ওয়্যারেবল অ্যান্ড ইউবিকুইটাস টেকনোলজিস নামক জার্নালে। গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, প্রোটোটাইপটি ব্যবহার করতে খরচ হবে মাত্র সাড়ে ৩ মাইক্রোওয়াট পাওয়ার। যার জন্য ব্যাটারির প্রয়োজন নেই। অ্যাম্বিয়েন্ট রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মাধ্যমে সেই পাওয়ার নিয়ে নেবে মোবাইলটি।

গবেষক দলের একমাত্র ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী শ্যাম গোল্লাকোটা বলেন, এই প্রথম আমরা এমন একটি মোবাইল তৈরি করেছি যা প্রায় জিরো-পাওয়ার ব্যবহার করে। এতে স্কাইপ-এর সাহায্যেই কল রিসিভ বা কথাবার্তাও বলা যাবে। গবেষণাটি ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনসহ গুগল ফ্যাকাল্টি রিসার্চ অ্যাওয়ার্ডসের অর্থায়নে করা হয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রচলিত ব্যাটারি নয়, এই মোবাইল চলবে আশপাশের রেডিও সিগন্যাল বা আলোকতরঙ্গের মতো অপ্রচলিত উপাদানের সাহায্যে। রেডিও সিগন্যাল থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মোবাইলের বেস স্টেশন থেকে ৩১ ফুট দূর পর্যন্ত কথাবার্তা বলা যাবে। কিন্তু আলোকতরঙ্গের সাহায্যে মোবাইলটি চললে তা বেস স্টেশনের ৫০ ফুট দূর পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে।

ব্যাটারি ছাড়া কীভাবে কাজ করবে মোবাইল ফোনটি- এ বিষয়ে গবেষকরা জানিয়েছেন, কারও সঙ্গে কথা বলতে হলে মাইক্রোফোনের শব্দতরঙ্গগুলো ব্যবহার করবে মোবাইল। এরপর শব্দতরঙ্গগুলোকে শ্রবণযোগ্য সাঙ্কেতিক সিগন্যাল বদলে ফেলে তা তার প্রতিফলন ঘটাবে। এর উল্টোটা হবে কল রিসিভের সময়। ফোনের স্পিকারে আসা সাঙ্কেতিক রেডিও সিগন্যালগুলোকে শব্দতরঙ্গে বদলে নেবে মোবাইলটি।

9
দেশীয় উদ্যোক্তা এবং দেশীয় প্রযুক্তিবিদদের তৈরি আন্তর্জাতিক মানের মোবাইল অ্যাপ নিয়ে আসছে ইনোভেডিয়াস প্রা. লি.। আগামী আগস্ট মাস থেকে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে মোবাইল অ্যাপ ইজিয়ার। যেটি স্মার্টফোনে ইনস্টল করে অতি সহজেই গাড়ি, বাইক কিংবা অ্যাম্বুলেন্স অন ডিমান্ড বুক করা যাবে। এছাড়াও প্রিরিজার্ভেশনের অপশন দিয়ে দূর যাত্রার জন্য গাড়ি বুকিং দিলে সময় মতো গাড়ি হাজির হয়ে যাবে দরজায়। আর গুগল প্লেস্টোর থেকে ইজিয়ার নামের এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাচ্ছে এবং শিগগিরই অ্যাপেল প্লেস্টোরেও পাওয়া যাবে।
 
ইজিয়ারের পরিচালক কামরুল হাসান ইমন বলেন, আমরা পুরোপুরি দেশীয় উদ্যোক্তা এবং সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিবিদের মেধা ব্যবহার হয়েছে। এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে ঢাকাতে এই অ্যাপভিত্তিক গাড়ি এবং বাইক শেয়ারিং সার্ভিসের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে। যা এই বছরেই পরের ধাপে চট্টগ্রাম ও সিলেটে শুরু করা হবে। আগামী দুই মাসে আমরা যত সম্ভব গাড়ি ও প্যাসেঞ্জারদের আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করব রেজিস্ট্রেশন করার জন্য। যারা প্রথমদিকের রেজিস্ট্রেশন করবেন তাদের সবার জন্যই কিছু ছাড় থাকবে পুরো বছর জুড়ে।
 
তিনি আরও বলেন, গুগল প্লেস্টোরে ezzyr দিয়ে সার্চ করলেই চলে আসবে দুইটি অ্যাপ- ezzyr driver শুধু যারা গাড়ি দিতে ইচ্ছুক এবং ezzyr শুধু প্যাসেঞ্জারদের জন্য। এছাড়াও www.ezzyr.com এ প্রবেশ করে কম্পিউটার থেকেও রেজিস্ট্রেশন করা যাবে সহজে। আর ঢাকা শহরে শুধুমাত্র গাড়ি ও বাইক চলন্ত অবস্থায় থাকলে ট্রাফিক জ্যাম অনেকাংশে কমে যাওয়া ছাড়াও যাদের গাড়ি নেই তারা পরিবার নিয়ে একটু আরামে যাতায়াত করতে পারবেন। এছাড়া দ্রুত বহনের জন্য বাইক সার্ভিসটিও ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করছি।

10
প্রতিপাদ্য বিষয় -            ‘পরিবার পরিকল্পনা: জনগণের ক্ষমতায়ন, জাতির উন্নয়ন’। 


কেন ১১ জুলাই পালন করা হয়?

১৯৮৭ সালের ১১ জুলাই বিশ্বের জনসংখ্যা ৫০০ কোটিতে উন্নীত হয়। এর ফলে ইউএনডিপি’র গভর্ন্যান্স কাউন্সিল প্রতিবছর দিনটিকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। 

11
মাত্র দুই দিন হল, দুই বিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রা পেরিয়েছেন মার্ক জুকারবার্গ। সাফল্য উপভোগ করতে-না-করতেই মার্ক জুকারবার্গ ছকে ফেলেছেন নতুন প্ল্যান। হাতের মুঠোয় পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ জনতা, এবার ছুঁতে হবে বাকি দুই তৃতীয়াংশকে। মানে এবার লক্ষ্য চার বিলিয়ন!

স্বপ্নটা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছেন তিনি। আইডিয়ার স্তর পেরিয়ে বাস্তবে উড়ছে তাঁর স্বপ্ন-উড়ান। নাম অ্যাকিলা। এই অ্যাকিলা বাস্তবিকই একটি প্রশস্ত উড়ান, যা কোনও পাইলটের সাহায্যে ওড়ে না। ইংরেজি ভাষায় যাকে বলে- আনম্যানড ফ্লাইট।

ধরুন, আপনার কাছে কোনও ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, এমনকি সুদূর ভবিষ্যতে হওয়াও সম্ভব নয়। কেননা আপনি থাকেন প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে এখনও ইলেকট্রিসিটি পৌঁছয়নি। কিংবা কেউ হয়তো গভীর অরণ্যের বাসিন্দা। কেউ বা আছেন সমুদ্র-পরিবেষ্টিত দ্বীপে। তাঁরা সবাই ফেসবুক সংযোগ করতে পারবেন এই অ্যাকিলার সাহায্যে! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যির খুব কাছে চলে এসেছেন জুকারবার্গ।

অ্যাকিলার জ্বালানি সৌরশক্তি। তাই অতি অল্প খরচেই সম্ভবপর হবে এই অসাধ্যসাধন। সারা পৃথিবীর মানুষকে একই সুতোয় গাঁথার উদ্দেশ্য সফল হবে, কেউই আর বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকবেন না, এমনটাই আশা করেন তিনি। অতি সম্প্রতি সাহারা মরুভূমির বিস্তৃতিতে পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হল এই অ্যাকিলাকে। যাত্রাপথ জুড়ে অসংখ্য অজানা তথ্য সংগ্রহ করে এনেছে সে, যা আসলে ভবিষ্যৎদ্রষ্টা মার্কের ঠোঁটে হাসি ফুটিয়েছে।

হাসি ফুটতে চলেছে অনগ্রসর সব দেশের মানুষের মুখেও। ইন্টারনেট ছাড়াই যদি জনসংযোগ হয়, তাহলে অনেকের স্বপ্নই তো একসঙ্গে সফল হবে

অ্যাকিলা উড়ছে সাহারা মরুভূমির উপর দিয়ে।


12
বাংলাদেশে একটি নতুন দ্বীপের সন্ধান মিলেছে। দ্বীপটির নাম 'বঙ্গবন্ধু দ্বীপ'। প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট নতুন এই দ্বীপটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। খুলনার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত দ্বীপটি।

‘বঙ্গবন্ধু দ্বীপ’টি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে। তবে এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও উদ্যোগ। তারপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথাযথ প্রচারণা। 

সমুদ্রগামী জেলেরা এ দ্বীপটির আবিষ্কারক হলেও ঠিক কত সালে তারা প্রথম দ্বীপটি খুঁজে পেয়েছিলেন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন তথ্য সূত্র ও জেলেদের কাছে থেকে জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের একনিষ্ঠ ভক্ত, মালেক ফরাজী নামের এক মৎস্য শিকারী ১৯৯২ সালে দু’জন জেলেকে নিয়ে কোন কারণে এ দ্বীপে অবতরণ করেন। পরবর্তীতে তিনি দ্বীপটির নামকরণ করেন ‘বঙ্গবন্ধু দ্বীপ’ এবং পরবর্তীতে তিনি সেখানে একটি সাইন বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে আসেন। 

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রয়োজনে জেলেরা শুধু ট্রলার নিয়ে এ দ্বীপে গেলে ধীরে ধীরে জেলেদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু দ্বীপটি পরিচিতি পেতে থাকে। তবে জেলে সম্প্রদায়ের বাইরে দ্বীপটি সম্পর্কে তেমন একটা জানা-শোনা ছিলো না। এখন দ্বীপটি সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে। তিনি আরো জানান, বরগুনার পাথরঘাটা কিংবা তালতলীর চেয়ে মংলা থেকে দ্বীপটির অবস্থান অনেকটাই কাছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনার মংলা উপজেলার দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের বুকে দ্বীপটি অবস্থিত। এ দ্বীপের বর্তমান আয়তন প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটারের মতো। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই মিটার উঁচু দ্বীপটি । 

তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের গবেষক অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম দু’জন সহকর্মীকে নিয়ে ২৯ সদস্যের একটি গবেষণা দল গঠন করে এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বীপটিতে যান এবং ১৬ দিন সেখানে অবস্থান করে গবেষণা চালান। তার দেয়া তথ্য মতে, গত ২৫ বছরে দ্বীপের স্থায়ী পরিধি ৭.৮৪ বর্গ কিলোমিটারে বর্ধিত ও বিস্তৃত হয়েছে। দ্বীপের চারপাশে প্রায় ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নিরাপদ সাগর সৈকত রয়েছে। চোরাবালির অস্তিত্ব নেই। সৈকত লাগোয়া সাগরের পানি খুবই স্বচ্ছ। সহজেই নির্ভয়ে সাঁতার কাটা যায়। সৈকতে লাল কাঁকড়ার আবাস রয়েছে। রয়েছে জংগলও। তবে কোন সরীসৃপ নেই। হরিণসহ ৭০টি জীববৈচিত্র্যের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ দ্বীপের আশপাশে ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত কোনো মানববসতি নেই।

অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম জানান, এতো সুন্দর দ্বীপটি সম্পর্কে দেশের খুব কমসংখ্যক মানুষই জানেন। দ্বীপের গবেষণা বিষয়ক কাগজপত্র সরকারের কাছে জমা দেয়া হচ্ছে। দ্বীপটিকে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের জন্য আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে গড়ে তোলা যায়। প্রয়োজন শুধু সরকারী ও বেসরকারীভাবে উদ্যোগের।

বরগুনা ও পটুয়াখালী উপকূলের মানুষসহ সাগরে অবস্থানরত জেলেদের সাথে রেডিও সংযোগ স্থাপনে কাজ করছে এনএসএস নামের একটি স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. শাহাবুদ্দিন পান্না জানিয়েছেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সাথে মূল ভূখন্ডের যেমন নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা করা রয়েছে, তেমনি বঙ্গবন্ধু দ্বীপের সাথেও তালতলী বা কুয়াকাটার একটি নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সবার আগে প্রয়োজন সরকারীভাবে সরেজমিনে বিশদ অনুসন্ধান ও গবেষণা। বঙ্গবন্ধু দ্বীপ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করাসহ পর্যটনের অংশ করা গেলে কুয়াকাটা ও সোনাকাটার গুরুত্বও বেড়ে যাবে। 

13
ব্যাপক আলোচিত ও এক সময়ের সর্বাধিক বিক্রিত নকিয়া ব্র্যান্ডের নতুন মডেলের আরও একটি ফিচার ফোন বাজারে ছাড়তে যাচ্ছে ফিনল্যান্ডের নকিয়া ফোন বাজারজাতকারী ও প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবাল। এর আগে নকিয়ার বিলুপ্তপ্রায় ৩৩১০ মডেলের পুরনো ক্লাসিক ফোনটি প্রায় ১৭ বছর পর মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নতুন মডেলে ফের বাজারে এসেছে। পুরনো এই ফোনটিকে নতুনরুপে দেখায় ফোনটিকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। তাতে নতুন করে আশা জোগাচ্ছে বাজারে টাচস্ক্রিন প্রযুক্তির আবির্ভাবের ফলে ধীরে ধীরে পিছিয়ে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিকে।

চীনের টেনা নামের মোবাইল নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খুব দ্রুতই টিএ-১০১৭ মডেলের নতুন এই ফিচার ফোনটি বাজারে আনবে এইচএমডি গ্লোবাল। ফোনটির নকশা দেখে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলছেন, এটি সাধারণ ফিচার ফোন হবে। এই ফোনটিকে টেকসই ফোন হিসেবে বাজারে ছাড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে এইচএমডি। তবে ফোনটির দাম ও বাজারে আসার নির্দিষ্ট তারিখ এখনও জানা যায়নি।
 

14
বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে ধ্বংসের কাছে নিয়ে যেতে পারে। জলবায়ুর পরিবর্তন এমনভাবে ঘটতে পারে যে পরিস্থিতি হবে অপরিবর্তনীয়। ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে উত্তপ্ত গ্রহে পরিণত করবে বলে সতর্কও করে দিয়েছেন স্টিফেন হকিং।

স্টিফেন হকিংয়ের ৭৫ তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিবিসির সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। বিখ্যাত এই বিজ্ঞানী বলেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। স্টিফেন হকিং বিবিসিকে বলেন, "আমরা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এমন এক পর্যায়ে আছি যা আরেকটু বেশি হলে সেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব নয়। ট্রাম্পের এমন ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত পৃথিবীকে আরেকটি ভেনাসের রূপান্তরিত করতে পারে, যেখানে থাকবে দুইশো পঞ্চাশ ডিগ্রি তাপমাত্রা এবং সালফিউরিক এসিডের বৃষ্টিপাত।" জলবায়ু পরিবর্তনকে তিনি পৃথিবীতে বিদ্যমান 'সবচেয়ে বড় বিপদ' বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য তিনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলেন। তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের বড় বিপদগুলোর মধ্যে একটি এবং এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিলে আমরা ক্ষতি রোধ করতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রমাণ অস্বীকার করে এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প পরিবেশের ক্ষতি সাধনের মাধ্যমে আমাদের ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সুন্দর পৃথিবীটাকে বিপজ্জনক করে তুলেছেন।"

এদিকে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচকদের প্যানেল আইপিসিসিতে পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ও এর সম্ভাব্য ঝুঁকি গুরুত্বের তুলে ধরা হয়েছে। আইপিসিসি লেখকদের মতে, "জলবায়ু পরিবর্তনের সুনির্দিষ্ট মাত্রাটি (অচলাবস্থান বা অপরিবর্তনীয় অবস্থার সর্বোচ্চ মান) নিশ্চিত করতে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে অচলাবস্থার দিকেই যাচ্ছে। যা মানুষ এবং প্রাকৃতিক কারণেই হচ্ছে।" আমরা কি কখনো আমাদের পরিবেশগত সমস্যা ও মানব সংঘাতের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হতে পারবো? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্টিফেন হকিং বলেন, "পৃথিবীতে আমাদের দিন হিসেবের। আমার মনে হয় বিবর্তন মানুষের মনের লোভ ও সহিংসতা জাগিয়ে তুলছে। মানব সংঘাত কমার কোনো লক্ষণ নেই। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিকাশ এবং মারাত্মক অস্ত্রগুলো মানুষের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে যেকোনো সময়। মানবজাতির বেঁচে থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে স্বাধীনভাবে উপনিবেশ স্থাপন।
 

15
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হেনেছে। আবহাওয়ার পূর্বাবাসে গতকাল সোমবারও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোরা’ নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।

গ্রীষ্মকালে প্রায়ই ঘূর্ণিঝড় হয়। কোথায় কখন কোন ঘূর্ণিঝড় হয়, তা নির্ধারণের জন্য ঝড়ের আগাম নামকরণ করা হয়। ১৯৪৫ সাল থেকে এ নামকরণ শুরু হয়। সাধারণত আঞ্চলিক পর্যায়ের নিয়ম অনুসরণ করে এসব ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টির ‘মোরা’ নামকরণ করা হয়েছে থাইল্যান্ডের প্রস্তাবের ভিত্তিতে। ‘মোরা’ থাই শব্দ, যার ইংরেজি অর্থ হলো ‘স্টার অব দ্য সি’। বাংলায় ‘সাগরের তারা’।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থাইল্যান্ডে এসকাপ ও ডব্লিউএমওর ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠকে ছয়টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম আগাম ঠিক করে রাখা হয়। প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি গত ১৭ এপ্রিলে ভারত উপকূলে দুর্বল অবস্থায় আঘাত হানে। এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছিল মোরা। যা বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে।

পর্যায়ক্রমে ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম রাখা হয়েছে- ওচি, সাগর, ম্যাকুনু ও ডায়ে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ওডিশায় ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড মেটিওরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ও এসকাপ এক বৈঠকে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে একমত হয়। এরপর ২০০৪ সালে প্রথম ‘অনিল’ ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।

Pages: [1] 2 3 4