Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Mrs.Anjuara Khanom

Pages: 1 ... 21 22 [23] 24 25 ... 32
331
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে শরীরে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। পাশাপাশি হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগ হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে কিছু খাবার।

১. কমলার জুস
টকমিষ্টি স্বাদের কমলার রস কোলেস্টেরল কমানোর অত্যন্ত উপকারী। গবেষকেরা জানিয়েছেন, কমলার রস হাইপারকোলেস্টেরোলেমিয়া রক্তের লিপিড প্রোফাইলের উন্নতি ঘটায়। এর কারণ হচ্ছে কমলার রসে ভিটামিন সি, ফোলেট এবং হেসপিরিডিন এর মত ফ্লেভনয়েড থাকে।

২. গ্রিনটি
প্রতিদিন কয়েক কাপ গ্রিনটি পান করা সার্বিক কোলেস্টেরল এবং এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর একটি সহজ উপায়। গ্রিনটি এর বিভিন্ন উপাদান পরিপাক নালীতে কোলেস্টেরলের শোষণ প্রতিহত করে এবং রেচনে সাহায্য করে। এছাড়াও গ্রিনটি ধমনীতে প্লাক জমা প্রতিহত করে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

৩. ওটমিল
সকালের নাস্তায় ওটমিল খাওয়া কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ওটমিলের দ্রবণীয় ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্রোতে কোলেস্টেরলের শোষণ কমায়। এছাড়াও নিয়মিত ওটমিল খেলে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। 

৪. কাঠবাদাম
হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবার থাকে কাঠবাদামে, যা ভালো কোলেস্টেরল এইচ ডি এল এর মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

২০১১ সালে নিউট্রিশন রিভিউতে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা  হয় যে, কাঠবাদামের মত গাছের বাদাম খাওয়া এল ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে সাহায্য করে। এর ফলে করোনারী ডিজিজ হওয়ার ঝুঁকি ৩ থেকে ৯ শতাংশ কমে।

সূত্র: টপ টেন হোম রেমেডিস



332
Fever / ডেঙ্গু জ্বর কী ও করণীয়
« on: September 09, 2018, 09:39:38 AM »
ডেঙ্গু জ্বর যা ব্রেকবোন ফিভার নামেও পরিচিত, একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ; যা ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়। ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা যায়। কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।
 
ডেঙ্গু জ্বরে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তার মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ও গিটে ব্যথা এবং ত্বকে র‌্যাশ যা হামজ্বরের সমতুল্য। স্বল্পক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়, যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অণুচক্রিকার কম মাত্রা এবং পরবর্তীতে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে পরিণত হয়।
 
বেশিরভাগ ডেঙ্গু জ্বরই সাত দিনের মধ্যে সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান, বিশ্রাম এবং প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করা। সঙ্গে জ্বর কমানোর জন্য এসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল) গ্রুপের ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে ব্যথানাশক ওষুধ হিসাবে অ্যাসপিরিন বা ক্লোফেনাক জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। এতে রক্ত ক্ষরণ বেড়ে যেতে পারে।
 
জ্বর কমানোর জন্য বার বার শরীর মোছাতে হবে। রোগীকে সব সময় মশারির ভিতর রাখতে হবে। জ্বরের সঙ্গে রক্তক্ষরণ হলে বিশেষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
 
লেখক:ডা. সঞ্চিতা বর্মন০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ইং ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

333
Hadith / ঋণমুক্ত হওয়ার দোয়া
« on: September 06, 2018, 02:37:25 PM »
অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় পড়লে কিংবা গুরুতর প্রয়োজনে মানুষ ঋণ নেয়। তবে ঋণ কারো কারো জীবনে কখনো কখনো অভিশাপ বয়ে আনে। ঋণদাতাকে যেমন ঋণ আদায় করতে না পারার হাতাশায় ভুগতে হয় তেমনি ঋণগ্রহীতাকেও ঋণদাতার বাক্যবাণে নাজেহাল হতে হয়।

কখনো কখনো ঋণগ্রহীতাকে অসম্মানজনক আচরণের শিকার হতে হয়। তাই ঋণগ্রহীতা সবসময় চান দ্রুত ঋণ পরিশোধ করে অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে।

দ্রুত ঋণ আদায় করতে বা ঋণমুক্ত হতে সক্ষম হওয়ার জন্য রাসুল (সা.) কিছু আমল ও দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি ঋণ হতে বাঁচার জন্য আল্লাহর কাছে অত্যধিক আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।

একবার ঋণ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনারত অবস্থায় এক ব্যক্তি তাকে দেখে বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনি ঋণ থেকে খুব বেশি বেশি আশ্রয় প্রার্থনা করে থাকেন!’ নবি (সা.) বলেন- ‘মানুষ ঋণী হলে, কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা বলে এবং অঙ্গীকার করলে, রক্ষা করে না।’ (বোখারি, হাদিস নং : ২৩৯৭)

রাসুল (সা.) বলতেন- ‘আল্লাহুম্মা! ইন্নি আউযুবিকা মিনাল কাসালি, ওয়াল হারামি, ওয়াল মা’ছামি, ওয়াল মাদরামি।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে অলসতা, অধিক বার্ধক্য, গুনাহ এবং ঋণ হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (বোখারি, হাদিস নং ৬০০৭)

রাসুল (সা.) আরো বলতেন- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়াল আজযি ওয়াল কাসলি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া গালাবাতিদ দাইনি, ওয়া কাহরির রিজাল।’

অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুশ্চিন্তা, অপারগতা-অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। অধিক ঋণ থেকে ও খারাপ লোকের জবরদস্তি থেকেও আশ্রয় চাচ্ছি।’ (নাসাঈ, হাদিস নং : ৫৪৭৮)

এ দোয়াগুলো নিয়মিত করলে আল্লাহ তাআলা শিগগির ঋণ থেকে মুক্ত হওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। আর্থিকভাবে সচ্ছলতা  ও স্বাচ্ছন্দ্য দান করবেন।

 বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

334
মহান আল্লাহ তায়ালা তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। প্রত্যেক মানুষ যে ইবাদত-বন্দেগি করে, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লিখে রাখা হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট ফেরেশতা নিযুক্ত রয়েছেন। কেয়ামতের দিন বান্দাকে সেগুলো দেখানো হবে এবং তার বিচার করা হবে। কিন্তু তারপরও বান্দার আমলগুলো দৈনিক, সাপ্তাহিক, বার্ষিক ভিত্তিতে আল্লাহর দরবারে উপস্থাপন করা হয়। বলতে গেলে, মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবপত্রের নিয়মমাফিক উপস্থাপন করা হয়।

দৈনন্দিন আমল আল্লাহর কাছে উপস্থাপনের ব্যাপারে হাদিসে বলা হয়েছে, দৈনন্দিন আমলের হিসাব দুই ভাগে পেশ করা হয়। দিনের আমল রাতের শুরুতে এবং রাতের আমল দিনের শুরুতে।’ (ফয়জুল কাদির, ইমাম মুনাভি, খণ্ড : ২, পৃষ্ঠা : ২৭৬)

সাপ্তাহিক আমল পেশ করা হয় সোমবার ও বৃহস্পতিবারে। হাদিসে এসেছে, এই দুই দিন রাসুল (সা.) রোজা রাখতেন। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা মতে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার (আল্লাহ তায়ালার কাছে) আমল পেশ করা হয়। তখন আল্লাহ তায়ালা তার মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। কিন্তু যে দুই ব্যক্তির পারস্পরিক হিংসা-দ্বেষ আছে, তাদের ক্ষমা করা হয় না।’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২৫৬৫, তিরমিজি, হাদিস নং : ৭৪৭)

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোজার প্রতি অধিক যত্নশীল ছিলেন। (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

অন্য হাদিসের বর্ণনা মতে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা সোমবার ও বৃহস্পতিবার প্রত্যেক মুসলমানের গোনাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারীর ব্যাপারে (আল্লাহ বলেন) নিজেদের মধ্যে সমঝোতার আগ পর্যন্ত এদের বাদ দাও।’ (ইবনে মাজাহ, তারগিব)

বান্দার আমল বার্ষিক ভিত্তিতে আল্লাহর কাছে পেশ করার ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে বিভিন্ন আলোচনা এসেছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘পৃথিবী তার পালনকর্তার আলোয় উদ্ভাসিত হবে, আমলনামা স্থাপন করা হবে, নবীগণ ও সাক্ষীদের আনা হবে এবং সকলের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে-তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।’ (সুরা যুমার, আয়াত নং : ৬৯)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক মানুষের কর্মকে তার গ্রীবালগ্ন করে রেখেছি। কেয়ামতের দিন একটি কিতাব বের করে তাকে দেখাবো, যা সে খোলা অবস্থায় পাবে। পাঠ কর তুমি তোমার কিতাব। আজ তোমার হিসাব গ্রহণের জন্যে তুমিই যথেষ্ট।’ (সুরা বনি ইসলাইল, আয়াত নং : ১৩-১৪)

উসামা ইবনে যায়দ (রা.) থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে আছে, ‘রজব ও রমজানের মধ্যবর্তী মাস । কিন্তু মানুষ এ মাসের ব্যাপারে উদাসীন থাকে। এ মাসে আল্লাহর কাছে বান্দার আমল পেশ করা হয়। অতএব আমি চাই, আমার রোজাবস্থায় আল্লাহর কাছে আমার আমল পেশ করা হোক। (নাসাঈ)

রোজা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম। তাই ফরজ রোজা ছাড়াও নফল রোজা রাখা উত্তম। এতে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর সম্পর্ক গভীর হয়।

বৃহস্পতি ও সোমবার যেহেতু বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পৌছানো হয়; তাই সম্ভব হলে এই দুই দিন রোজা রাখায় সচেতন হওয়া উচিত।


সুত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

335

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার চাকরির সন্ধানদাতা ওয়েবসাইট, অনলাইন শ্রেণিবদ্ধ ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে এলো সার্চ জায়ান্ট গুগল।

বিভিন্ন ওয়েবে তালিকাবদ্ধ চাকরির তথ্যগুলো সমন্বিতভাবে সরাসরি পাওয়া যাবে গুগল সার্চ অপশনে। উন্মোচনের শুরুতেই বিক্রয় ডট কম, মুস্তাকবিল ডট কম এবং এক্সপ্রেসজবস ডট আইকেসহ হাজারো সাইটের চাকরির তথ্য সুশৃংখলভাবে প্রদর্শন করবে গুগল।

‘পার্টটাইম জব’, ‘সফটওয়্যার ডেভেলপার জব’, ‘কনস্ট্রাকশন জবস’ কিংবা এধরনের যেকোনো ক্যাটাগরির চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে অভিনব এক অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা। তালিকাবদ্ধ যেকোনো একটি চাকরির উপর ক্লিক করলেই সংক্ষিপ্ত আকারে বিভিন্ন তথ্য যেমন- জব টাইটেল, লোকেশন, ফুলটাইম/পার্টটাইম ও অন্যান্য আরো তথ্য দেখার পাশাপাশি উক্ত জব সম্পর্কিত জরুরি ওয়েবলিংক, মতামত, রেটিং, চাকরির প্রকৃত উৎস এমনকি চাকরিপ্রার্থীর বাসা থেকে কর্মস্থলের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদর্শন করবে গুগল। অতঃপর সেখান থেকে চাকরিপ্রার্থীকে নিয়ে যাবে চাকরিটির প্রকৃত ওয়েবলিংকে যেখানে বিস্তারিতভাবে উক্ত চাকরির তথ্য দেয়া আছে এবং যেখান থেকে চাকরিটির জন্য আবেদন করা যাবে।

একেকজনের একক চাহিদা অনুযায়ী অসংখ্য টুল ব্যবহার করেছে গুগল যেনো মোবাইল এবং ডেস্কটপ থেকে উপযুক্ত সহজেই চাকরি খোঁজার কাজটি সম্পন্ন করা যায়। স্মার্ট ফিল্টারে চাকরির ধরন, লোকেশন, নিয়োগের তারিখ, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের ধরন উল্লেখ করে নিজের মতো করে সার্চ ফিচারটি সেট করা যাবে। সার্চের ফলাফল থেকে প্রাপ্ত তালিকা অনলাইনে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আদান-প্রদানের সুযোগও রাখা হয়েছে। এছাড়া সেট করা সার্চ ফিচার ব্যবহারকারীকে তার উপযুক্ত চাকরির
নোটিফিকেশন অ্যালার্টের মাধ্যমে প্রদান করতে সক্ষম।

চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি টেকসই ব্যবস্থার মধ্যে নিয়ে আসতে ‘ওপেন ডকুমেন্টেশন’ উন্মুক্ত করা হয়েছে, যা ছোটবড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নতুন চাকরির তথ্য প্রদর্শনযোগ্য হতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত স্ট্রাকচার স্কিমা ডট ওআরজি ওয়েব মার্কআপ স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করা হয়েছে যা গুগল সমর্থন করে। চাকরির তথ্য তালিকাভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো গুগলে নিজেদের আরো মেলে ধরতে পারার সুযোগ পাবে, ফলে চাকরিদাতা এবং চাকরিপ্রার্থী উভয়পক্ষ লাভবান
হবে।

নতুন সার্চ ফিচারটি ইংরেজি ভাষায় অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মে গুগল অ্যাপসহ ডেস্কটপ ও মোবাইলের গুগল সার্চ অপশনে ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্বের যাবতীয় তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত এবং ব্যবহারযোগ্য করাই গুগলের লক্ষ। সার্চ, ম্যাপস, জিমেইল, অ্যান্ড্রয়েড, গুগল প্লে, ক্রোম ও ইউটিউবের মতো পণ্য ও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি মানুষের জীবনব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে যা গুগলকে বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। অ্যালফাবেট ইনকর্পোরেশনের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হচ্ছে গুগল।

বিডি প্রতিদিন/

336
Cancer / কোলন পলিপের নানা জটিলতা
« on: September 06, 2018, 01:02:16 PM »
কোলন বা বৃহদন্ত্র যা  পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ, সেখানে নানারকম রোগ হতে পারে যেমন— ডিসেন্ট্রি, আলসারেটিভ, কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিজ, টিবি, কোলন পলিপ, ক্যান্সার ইত্যাদি। এর মধ্যে সাধারণ একটি হচ্ছে কোলন পলিপ। পলিপ কী? পলিপ হচ্ছে- আঙ্গুলের মাথার মতো একটি অস্বাভাবিক অংশ যা কোলনের দেয়াল থেকে বেরিয়ে আসে। সাধারণত ৩০ বছরের পর বৃহদন্ত্রে এ পলিপ দেখা দেয়, অবশ্য ছোটবেলায়ও কিছু কিছু পলিপ দেখা দিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে এ পলিপ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কোলন পলিপ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকেই ক্যান্সারের সূত্রপাত।

লক্ষণ : সাধারণত এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, চুপচাপ শরীরে বেড়ে ওঠে, আর যখন লক্ষণ দেখা দেয় তখন দেখা যায় মলের সঙ্গে রক্ত, কালো কালো মল হওয়া, রক্তশূন্যতা হওয়া, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণ হওয়া এবং কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়া।

নির্ণয় : পাইলস ও পায়ুপথের অন্যান্য রোগের মতো কোলন পলিপেও রক্ত যায়, রোগীরা পাইলস বলে ভুল করেন। কোলন পলিপ নির্ণয়ের আধুনিক পরীক্ষা হচ্ছে কোলনোস্কোপি, বস্তুত একমাত্র এ পরীক্ষার মাধ্যমেই কোলন পলিপ নির্ণয় করা যায়। কোলনের কোনো স্থানে পলিপ দেখা দিলে পুরো কোলন কোলনোস্কোপির মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে, দেখতে হবে আর কোনো পলিপ আছে কিনা। কোলনোস্কোপির মাধ্যমে এ পলিপ সরাসরি দেখা যায়, এর ছবি তোলা যায়, ভিডিও-ও করা যায়। ফলে রোগী সেটি দেখতে পারেন।

চিকিৎসা : কোলন পলিপ সম্পর্কে প্রধান সুখবর হচ্ছে, পলিপ এ কোলনোস্কোপির মাধ্যমেই অপসারণ করা যায়, অর্থাৎ এর জন্য বড় কোনো অপারেশনের প্রয়োজন নেই। এর জন্য রোগীকে অজ্ঞান করারও কোনো প্রয়োজন নেই। কয়েক ঘণ্টা পরেই পলিপ অপারেশনের রোগী বাসায় ফিরে যেতে পারেন। পলিপ অপারেশনের পরপরই রোগী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারেন। কোলন পলিপ অপসারণের পর সেটি পরীক্ষা করে দেখতে হয় কী ধরনের পলিপ বা তাতে ক্যান্সার হয়েছে কিনা।

পরবর্তী চিকিৎসা : কোলন পলিপ অপারেশনের পর চিকিৎসক প্রায়ই কয়েক বছর পর পর কোলনোস্কোপির উপদেশ দেন। কারণ কিছু কিছু পলিপ কোলনের অন্যান্য স্থানে আবার হয়। আবার বিশেষ ধরনের পলিপ অপারেশনের পরও সেখানে ভবিষ্যতে ক্যান্সার হতে পারে, তাই এসব ক্ষেত্রে বারবার কোলনোস্কোপি করা জরুরি। তাই মলে রক্ত গেলে পলিপ আছে কিনা তা প্রাথমিক অবস্থাতেই নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সুতরাং এসব বিষয়ে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

লেখক : কোলোরেক্টাল সার্জন, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানমন্ডি, ঢাকা।

337
খাবারে স্বাদ আনতে লবণের বিকল্প নেই। পরিমিত লবণ গ্রহণে খাবারের স্বাদ অক্ষুণ্ণ থাকে এবং শরীরের কোনো ক্ষতি হওয়ার সুযোগ থাকে না। মাত্রাতিরিক্ত লবণের উপস্থিতি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ আমাদের শরীরে সোডিয়াম ক্লোরাইড খুব কম পরিমাণে দরকার। তাই পুষ্টিবিদরা মনে করেন যত কম পরিমাণে লবণ গ্রহণ করা যায়, ততই শরীরের জন্য ভালো।
 
আমাদের দেশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের কাঁচা লবণ কম খেতে উপদেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেকেই ভুল ভেবে রান্নায় লবণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন কিংবা লবণ ভেজে তারপর খান। কিন্তু লবণ ভাজলে পানি শুকিয়ে গেলেও এর সোডিয়াম ক্লোরাইডের পরিমাণ ঠিকই থাকে। তাই যতটা সম্ভব রান্নায় কম লবণ ব্যবহার করাই অধিকতর উত্তম।
 
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া শরীরের স্বল্প মেয়াদি এবং দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলে। যেমন-
 
১. উচ্চ রক্তচাপ: লবণের অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড শরীরের রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট ফেইলিউর, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিনডি ফেইলিউরের মতো সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে অতিরিক্ত লবণ খেতে নিষেধ করা হয়।
 
২. পিপাসা বেড়ে যাওয়া: বেশি লবণ খেলে পিপাসা বেড়ে যায়। কারণ এটি দেহের কোষে পানির ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধা হয়। শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে যা কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
 
৩. পা ফোলাভাব: চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কখনো কখনো হাত ও পায়ে পানি জমায়। এতে হাত ও পা ফোলাভাব হয়। এটি কিডনি রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য খুব ঝুঁকির কারণ।
 
৪. অস্টিওপোরোসিস: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে শরীরের পানির পিপাসা তৈরি হয়। এতে অতিরিক্ত পানি গ্রহণ করতে হয় এবং প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়। এতে হাড় দুর্বল এবং ভঙ্গুর হয়।
 
৫. কিডনিতে পাথর হওয়া: অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে। তাই পরিমিত পরিমাণ লবণ গ্রহণ সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

338
স্যালাদ আমরা সকলেই কম বেশি খেয়ে থাকি। আর স্যালাদকে মুখোরোচক করতে অনেকসময় আমরা ব্যবহার করি লবণ,লেবু বা গোলমরিচ। তবে এতদিন আমারা অজান্তেই নিজেদের ভালো করে গেছি। স্বাদ পেতে এগুলোর মিশ্রনে আমরা যখন স্যলাদ খেয়ে থাকি তখন নানা ভাবে আমাদের শরীরের উপকারই হয়েছে।

আপনি কী জানেন এই তিনটির মিশ্রণ সারা বিশ্বে অনেকগুলো রোগের প্রতিষোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়? শুধুমাত্র এই তিনটি উপাদান কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়া সারিয়ে তুলতে পারে নানা অসুখ। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে সাহায্য করে এই উপাদান গুলো-

১। অনেকসময় ঠাণ্ডা লাগলে আমাদের অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ইনহেলার ব্যবহার না করে ঘরোয়া এই টোটকা গুলি ব্যবহার করুন। গোল মরিচ গুঁরা, দারুচিনি, এলাচ এবং জিরা গুঁরা এক সাথে গুঁরা করে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি ঘ্রানের সঙ্গে নিন। তারপর দেখুন কত সহজেই আপনার বন্ধ নাক পরিষ্কার হয়ে গেছে।

২। ঠাণ্ডার কারনে নাক বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি আমাদের গলাও ব্যথা হয়। ১ টেবিল চামচ লেবুর রস, ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া এবং ১ চা চামচ লবণ এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে গারগেল করুন। দিনে দুইবার এটি করলেই তৎক্ষণাৎ ফল পাবেন।

৩। অনেক সময় শারীরিক বিভিন্ন কারনে মুখে ঘা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই। এক টেবিল চামচ বিট লবণ এক কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে খাবার খাওয়ার পর এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এতে মুখের খারাপ ব্যাকটেরিয়া মরে যায় এবং সহজেই মুখের ঘা দূর করে।

৪। বেশি খাওয়া হয়ে গেলে বা নানা কারনে অনেক সময় শরীর অস্থির করে। বমি বমি ভাব আসে। এক্ষেত্রে গোল মরিচ বেশ কার্যকর। এছাড়া লেবুর গন্ধ বমি বমি ভাব দূর করতে সক্ষম। এক টেবিল চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ গোল মরিচের গুঁড়া এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি ধীরে ধীরে পান করুন। এটি বমি বমি ভাব দূর করে দেবে।

৫। খাবার খাওয়ার ফলে অনেকসময় দাঁতে খাবার আটকে ব্যথা হয়ে থাকে। তবে দাঁতে ব্যথা খুবই মারাত্মক। যার হয় একমাত্র সেই জানে। এই দাঁতের ব্যথা দূর করতে ১/২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া এবং ১/২ চা চামচ লবঙ্গের তেল মিশিয়ে ব্যথা দাঁতে কিছুটা সময় রেখে দিন। এতে দ্রুত দাঁতের ব্যথা কমে আসবে।

 

বিডি-প্রতিদিন/

339
প্রস্রাবে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণত ইউরেটার, মূত্রথলি, মূত্রনালি এসব অংশের ভেতর জীবাণু কোনোভাবে ঢুকে যে প্রদাহ সৃষ্টি করে তাকেই ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বা ইউটিআই বলে। নারী পুরুষসহ শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে নারীরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ নারীদের মূত্রনালি জন্মগতভাবে পুরুষের চেয়ে ছোট এবং সেটি পায়ুপথের খুব কাছাকাছি থাকে। তাই পায়ুপথের জীবাণুগুলো খুব সহজেই মূত্রনালিতে চলে আসে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে গিয়ে মূত্রথলি এবং কিডনিতেও সংক্রমণ করতে পারে।
 
এছাড়া প্রস্রাব কিডনি থেকে আসার পথে যদি কোনো বাধার সৃষ্টি হয় যেমন: পাথর, টিউমার ইত্যাদি কারণেও ইউটিআই হতে পারে। এছাড়া পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে প্রস্রাব প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে ইউটিআই হতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস, দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন, কম পানি পান করা, প্রস্রাব আটকে রাখা ইত্যাদি কারণেও ইউটিআই হতে পারে।
 
ইউটিআই এর লক্ষণগুলো হলো: প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া করা, তলপেটে ব্যথা, জ্বর, খাবারে অরুচি ইত্যাদি। এছাড়া অনেক সময় কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সমস্যাগুলো বোঝাতে পারেন না। তাই তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। একবার ইনফেকশন হলে তা বারবার হওয়ার প্রবণতা থাকে। যথাযথ চিকিৎসা না করলে স্থায়ীভাবে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই প্রস্রাবে ইনফেকশনের উপসর্গ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
 

340
Fruit / পেঁপের উপকারিতা
« on: August 30, 2018, 12:10:54 PM »
হজমকারক হিসেবে পাকা ও কাঁচা পেঁপে খুবই জনপ্রিয়। পেঁপেতে পেপেইন নামক উপাদান থাকে যা প্রোটিনকে হজম করতে সাহায্য করে এবং সমগ্র পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে। পাকা পেঁপে অর্শরোগ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপে পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পাকা পেঁপে ভিটামিন ‘এ’-এর উৎকৃষ্ট উৎস।
 
ভিটামিন ‘এ’ ধূমপানের কুফল এড়াতে সাহায্য করে, ফুসফুসের রোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে, বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁপে কাঁচা বা পাকা যেটাই হোক থাকা ভালো।
 
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

341
ডিমের খোসা আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু না। ডিমের খোসাও আসতে পারে আপনার উপকারে। আশ্চর্য হলেও সত্য এই ফেলনা জিনিসটির কিছু অদ্ভুত ব্যবহার রয়েছে যা আপনার ধারণারও বাইরে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের খোসার ৬টি দারুণ ব্যতিক্রমী ব্যবহার!
 
১. ক্যালসিয়ামের বড় একটি উৎস: ডিমের খোসা মানুষ এবং গৃহপালিত প্রাণীর জন্য ক্যালসিয়ামের অনেক বড় একটি উৎস। এটি ভাল করে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে স্টেরিলাইজ করে নিয়ে গুঁড়ো করে নিয়ে ক্যালসিয়ামের সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। গুঁড়ো করা ডিমের খোসা লেবুর রস কিংবা ভিনেগারে মিশিয়ে সালাদের ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এবং ৯ মাসের বেশি বয়সী গৃহপালিত প্রাণীর খাবারে মিশিয়ে দিন।
 
২. মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি: নিজের বাসায় শখের বাগান থাকলে ডিমের খোসা ময়লার বালতিতে ফেলে না দিয়ে গাছের গোঁড়ায় দিন। চাইলে এটি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারেন। ডিমের খোসা থেকে মাটি পুষ্টি সঞ্চয় করে। এতে মাটির উর্বরতা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়।
 
৩. বাগানকে পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচায়: শুধু মাটির উর্বরতাই বৃদ্ধিই নয়। পোকামাকড়ের হাত থেকেও বাঁচায় ডিমের খোসা। বাগানের বিভিন্ন স্থানে ডিমের খোসা ছড়িয়ে রাখুন। দেখবেন নানা ধরণের পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ বেঁচে যাবে।
 
৪. ত্বক নরম করতে সাহায্য করে: ডিমের খোসায় লেগে থাকা ডিমের খোসার লিক্যুইড ত্বকের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি বিউটি প্রোডাক্ট হিসেবে কাজ করে। আঙুলের মাথায় এই লিক্যুইড লাগিয়ে তা মুখে ঘষে নিন। দেখবেন ত্বক নরম ও কোমল হয়ে উঠেছে।
 
৫. কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: ডিমের খোসা সাদা কাপড়কে উজ্জ্বল করতে বেশ সহায়তা করে। একটি কাপড়ে মুড়িয়ে ওয়াশিং মেশিনের ভেতরে ডিমের খোসা দিয়ে ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় ধুয়ে দেখুন। সাধারনের তুলনায় অনেক ভালো কাজ করবে।
 
৬. গাছের চারা অঙ্কুরিত করতে সহায়তা করে: যদি পছন্দের গাছের চারা তোলার মতো ভালো স্থান না পান এবং বাইরের মাটিতে অনেক বেশি ময়েসচার বেশি থাকে তবে ডিমের খোসা ব্যবহার করবেন। একটি ডিমের ওপরের চিকন অংশ সাবধানে খানিকটা ভেঙে ডিম বের করে নিয়ে এতে সামান্য মাটি দিয়ে বীজ দিয়ে দিন। কিছুদিনের মধ্যেই খুব ভাল চারা উঠে যাবে।
 
ইত্তেফাক/

342
কাশির চিকিত্সায় এতদিন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন চিকিত্সকরা। তবে এবার কাশির চিকিত্সায় অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথা চিন্তা করছেন চিকিত্সকরা। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায় খুঁজছেন তারা। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, কাশির চিকিত্সায় সবচেয়ে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে মধু। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স (এনআইসিই) এবং পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড সমপ্রতি এ সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাবিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
 
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কাশির চিকিত্সার জন্য অনেক সময়ই অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে না। এসব ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে প্রাকৃতিক মধু। তাদের মতে, বেশিরভাগ সময়ই কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের থেকে ঠিক হয়ে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের  এই পরামর্শ অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সমস্যা মোকাবিলায় ভালো ভূমিকা রাখবে। কেননা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে পড়ে। ফলে অনেক ধরনের ইনফেকশন সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
 
কাশি সারাতে মধুর ব্যবহার বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে, গরম পানিতে সামান্য মধু, লেবুর রস আর আদার রসের মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহার করলে তা কফ এবং গলা ব্যথা নিরাময়ের জন্য দারুণ কাজ করে। কফের সমস্যা পুরোপুরি সারিয়ে তোলার ব্যাপারে সীমিত কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে যেটা অনেকের কাজে আসতে পারে। যেসব কফ মেডিসিনে পেলারগোনিয়াম, গুয়াইযফেনেসিন বা ডিক্সট্রোমেথরফ্যান উপাদান রয়েছে সেটা বেশ উপকারী হতে পারে। রোগীদের ঘরোয়া পানীয় তৈরির পাশাপাশি এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, কাশি হলে চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার আগে নিজে নিজে রোগ সেরে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো। মধু এক্ষেত্রে আদর্শ ওষুধ হলেও এক বছর বয়সের নিচে শিশুদের মধু খাওয়াতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা মধুতে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যেটা খেলে শিশুর পেট খারাপের ঝুঁকি থাকে।
 
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের উপ-পরিচালক ডা. সুজান হপকিন্স বলেছেন, মানুষের শরীর যদি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ে তাহলে সেটা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে আমাদের এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা প্রফেসর ডেইম স্যালি ডেভিস ইতোমধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রোগের চিকিত্সা করা আরও জটিল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে সাধারণ চিকিত্সা পদ্ধতি যেমন ক্যান্সার এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চিকিত্সা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
 
ইত্তেফাক/ইউবি

343
Life Style / লবণের ভালো মন্দ দিক
« on: August 20, 2018, 10:08:56 AM »
খাবারে লবণ অতি জরুরি একটি অংশ। বেশি দিলেও যেমন খাওয়া যায় না, কম বা না দিলও খাবারযোগ্য থাকে না। তেমনি লবণ বেশি খেলে, কম বা না খেলেও শরীরের ক্ষতি হতে পারে। লবণের ভালো-মন্দ দুইটি দিক রয়েছে।
 
লবণ নার্ভ সেলের কার্যকলাপের জন্য খুবই জরুরি। লো ব্লাড প্রেসারের জন্য উপকারী, মাংসপেশি ব্যথা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ ছাড়াও সর্দি কমানো, সাইনাসের কনজেশন ভাব দূর করতে লবণ সাহায্য করে। শুকনো কাশির সময় মুখে সামান্য লবণ রাখলে ঘন ঘন কাশির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
 
লবণ এক ধরনের স্ট্রেস ফুড। এটি সিমপ্যাথেটিক নার্ভ সিস্টেমকে উদ্দীপিত করে যা স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ায়। ঘাম বেশি হয়ে লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে। তাই লবণ বেশি খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের আশঙ্কা থাকে। খাবারে বাড়তি লবণ খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে ধীরে ধীরে পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি হয়। লবণ হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয়, শরীর থেকে বর্জ্য বের হবার কাজে ব্যাঘাত ঘটায়। এর জন্য ইউরিক এসিড বৃদ্ধি, বাতের সমস্যা দেখা যায়।
 
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দৈনিক ৪-৫ গ্রামের বেশি লবণ খায় তাদের এ সমস্যা বেশি হয়। তাই প্রতি ১.৫-২ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া যাবে না। রান্নার সময় যতটা প্রয়োজন ততটা লবণ ব্যবহার করতে হবে। খাবার টেবিলে বারবার লবণদানী থেকে কাঁচা লবণ নিয়ে খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। যেসব খাবারে লবণ বেশি থাকে যেমন- আচার, প্যাকেটজাত স্যুপ, পনীরের বার্গার বা স্যান্ডউইচ, আলুচিপ, পপকর্ন এসব খাওয়া কমাতে হবে। ডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে লবণ খাওয়া একেবারেই বাদ দিতে হবে।
 
লেখক : ত্বক, লেজার অ্যান্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ

344
সাদা দানার মিষ্টি মিশ্রি দানা মুখের ফ্রেশনার হিসাবে বেশ জনপ্রিয়। তবে মুখের ফ্রেশনার ছাড়া এর আরো সুবিধা রয়েছে। মিশ্রি হজমে সহায়তার পাশাপাশি গলা ব্যাথা ও কাশি নিরাময়ে সাহায্য করে।
 
কাশি প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি শুষ্ক কাশি ও আরেকটি ভেজা অথবা কফ সৃষ্টিকারী কাশি। মিশ্রিতে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণ আছে যা কফকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে সহজে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
 
মিশ্রি গলা ব্যাথা, গলায় খুশখুশে ভাব দূর করে গলা পরিষ্কার করে। পাশাপাশি নিশ্বাসে একটি শীতল ভাব প্রদান করে।
 
ঘরোয়া চিকিৎসার মধ্যে গলা ব্যাথা ও কাশির জন্য মিসরির ব্যবহার বেশ পুরোনো। এটি খাওয়ার বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, কয়েকটি মিশ্রির দানা বেশ কিছুক্ষণ মুখে রেখে তা গিলে ফেলতে হবে। এতে করে দ্রুত গলা ব্যাথার উপশম ঘটবে।
 
মিশ্রি সরাসরি খেতে না চাইলে কিছু মিশ্রি দানা ও গোল মরিচ নিয়ে তা একসঙ্গে গুঁড়া করে খেতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে পানি ছাড়া ১ থেকে ২ চামচ এটি খাওয়া যেতে পারে। তবে পানির সঙ্গে মিশিয়ে এটি খাওয়া যাবে না তাহলে কাশি বেড়ে যেতে পারে।
 
প্রতিদিনের গরম চায়ের সঙ্গে মিসরি ও গোল মরিচ মিশিয়ে দিনে দুইবেলা পান করা যেতে পারে।
 
ইত্তেফাক/

345
 শরীরে বাড়তি ওজন মানেই টেনশন। সেই ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করি! জিমে যাই, দৌড়ঝাপ করি, এমনকি খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেই। কিন্তু জানেন কি, তিনবেলা পরিমাণ মতো খেয়ে বা ঘাম ঝরানো শরীরচর্চা না করেও ওজন কমানো সম্ভব? চলুন জেনে নেই কিভাবে এটি সম্ভব...

প্রথমত শরীরে মেদ কমাতে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। আমাদের শরীরে যথেষ্ট পানির প্রয়োজনীয়তা এমনিতেই রয়েছে। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি (২-৩ লিটার) খেতে পারলে ভাল থাকবে ত্বক, সঙ্গে ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। পানি আমাদের দেহের হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং আমরা যখন কাজ করি তখন ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে ঘামের পাশাপাশি চর্বিও খরচ হয়। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণ পানি খেলে বার বার খিদেও বোধ হবে না। একই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হবে, ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমবে না।

এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রতিদিন চার কাপ গ্রিন টি খেতে পারলে প্রতি সপ্তাহে অতিরিক্ত ৪০০ ক্যালরি পর্যন্ত ক্ষয় করা সম্ভব। গ্রিন টি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন গ্রিন টি অবশ্যই পান করুন।


বিডি প্রতিদিন/১২ আগষ্ট ২০১৮/

Pages: 1 ... 21 22 [23] 24 25 ... 32