Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - yousuf miah

Pages: 1 [2] 3 4 ... 12
16
Hypertension / Stay calm for yourself
« on: May 10, 2018, 10:00:42 AM »

 


মন ভালো রাখতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা িদন, হাসিখুশি থাকুন। মডেল: সোনিয়া ও কুমকুম হাসান, ছবি: অধুনামন ভালো রাখতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা িদন, হাসিখুশি থাকুন। মডেল: সোনিয়া ও কুমকুম হাসান, ছবি: অধুনানানা কারণে মানুষের মন খারাপ হয়। তখন মন খারাপের প্রভাব সবকিছুতে পড়ে। অশান্তিময় হয়ে যায় চারদিক। অনেক সময় এই খারাপ লাগা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাই নিজের জন্য ভালো থাকুন। কীভাবে শান্ত থাকবেন এবং নিজে ভালো থাকার ১০টি কারণ তুলে ধরা হলো।

শান্ত থাকুন
অনেকেই আছেন মুহূর্তে অশান্ত হয়ে যান। অল্পতেই পরিস্থিতি খারাপ করে ফেলেন। সামান্য বিষয় নিয়েই অস্থির হয়ে যান। যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত হওয়ার উপায় হলো কিছু সময় আপনায় ইন্দ্রিয়গুলো বন্ধ করে রাখুন। এরপর নতুনভাবে শুরু করুন। এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয় হয়ে নতুনভাবে কাজ করবে।

গান শুনুন
নিজের মনকে শান্ত রাখার জন্য গান হলো সবচেয়ে বড় উপকরণ। গান শুনে নিজের মনকে ভালো রাখতে পারেন। গান মানুষের মনের ওপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে। আপনি যখন অশান্ত থাকেন, তখন একটুখানি সময় বের করে আপনার প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে পারেন। দেখবেন জাদুর মতো কাজ করবে।

দীর্ঘভাবে শ্বাস ফেলুন
যখন আপনি চাপ অনুভব করেন বা কোনো কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন হন, তখন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যায়। সে সময় আপনি কয়েকটি দীর্ঘশ্বাস নিলে খুব তাড়াতাড়ি শান্ত বোধ করবেন। দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার জন্য আপনার বুকের ওপর এক হাত রাখুন এবং অপরটি আপনার পেটের নিচে রাখুন। বড় শ্বাস ফেলার জন্য আপনার শরীরকে ব্যবহার করুন। ধীরে ধীরে আপনার নাকের মাধ্যমে শ্বাস নিন।

ব্যায়াম করুন
নিজেকে শান্ত রাখার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন। যখন আপনি কোনো কাজ বা বিষয় নিয়ে ঝামেলায় থাকেন, তখন ব্যায়াম করতে পারেন। এর ফলে আপনার পেশিগুলো আরও ভালোভাবে কাজ করবে। ব্যায়াম করার জন্য আপনি একটা শান্ত জায়গা খুঁজে বের করুন। সেটা কাজের জায়গার আশপাশেও হতে পারে। অল্প সময়ের শারীরিক এ কসরতটুকু আপনাকে আরও বেশি শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।

অ্যারোমাথেরাপির সাহায্য নিন
অ্যারোমাথেরাপি আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করতে পারে। চাপের জন্য চন্দন তেল বা এ ধরনের তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি এই তেল ব্যবহার করে ম্যাসেজ বা পা ঘষতে পারেন। চাইলে আপনি গরম পানিতে গোসল করতে পারেন।

কথা বলুন
কেউ যদি আপনার সঙ্গে কোনো একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান, তখন আপনি তাঁর সঙ্গে কথা বলুন। কথাগুলো সময় নিয়ে শুনুন। আপনি যে বিষয় নিয়ে ঝামেলার মধ্যে আছেন, সে বিষয়গুলো তিনি অনেক সুন্দরভাবে সমাধান করেছেন।
পরিকল্পনা করে কাজ করুন
যেকোনো কাজে আগে থেকে পরিকল্পনা করে করলে সেই কাজের সমাপ্তি খুব ভালো হয়। সুন্দরভাবে কাজটি শেষ করলে নিজেও শান্তি অনুভব করবেন।

নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য ঠিক করুন
বেশির ভাগ মানুষের অনেক লক্ষ্য থাকে এবং সেগুলো ঠিক করে কাজ করা শুরু করেন। আপনি একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করুন। এরপর সে অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করুন। ওই কাজ শেষ হওয়ার পর নতুন আরেকটি লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সফলতার দিকে এগিয়ে যান।

নমনীয় হোন
আমরা যতটা যত্নসহকারে পরিকল্পনা করি, সে অনুযায়ী কাজ করি না। সব সময় নিজের ইচ্ছাকে সবকিছুর ওপর রাখার চেষ্টা করি। সবাইকে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা আমাদের মধ্যে থাকে না। এর ফলে অন্যের কোনো কিছু আমরা সহজে মেনে নিতে পারি না। যেকোনো কিছুতেই ভালো করার জন্য নমনীয় হোন। অন্যের কথা মন দিয়ে শুনুন এবং নিজেকে শান্ত রাখুন।

ইতিবাচক চিন্তা করুন
সব সময় ইতিবাচক থাকুন। ইতিবাচক চিন্তা করুন। দেখবেন আপনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো থাকবেন।

সূত্র: উইকি হাউ ও ফাস্ট কোম্পানি

17
বৃষ্টির পানি নিজে ভিজলে ক্ষতি নেই, কিন্তু, স্মার্টফোনে যদি পানি ঢুকে যায়! তাহলে…। এমন পরিস্থিতি থেকে নিজের স্মার্টফোনটাকে রক্ষা করতে এই কাজগুলো আপনি করে দেখতে পারেন।

১) বর্ষা আসার আগেই ফোনে থাকা সমস্ত তথ্য ‘ক্লাউড স্টোরেজ’-এ সেভ করে রাখুন। বর্ষায় কোনওভাবে ফোনে পানি ঢুকলে বেঁচে যেতে পারে আপনার মোবাইলে থাকা তথ্য। আর ভিজে হাতে টাচ স্ক্রিনে হাত দেবেন না। এতে পানি সোক করে ভিতরে চলে যেতে পারে এবং ‘টাচ স্ক্রিন’ কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে।

২) ফোন ভিজে যাওয়ার আগে বা ভিজে গেল সবার প্রথমে সুইচ-অফ করে দিন। এতে ফোনের ভিতরের যন্ত্রগুলি কাজ করা বন্ধ করে দেবে। ফলে, ফোনে পানি ঢুকলেও কিছুটা হলে রক্ষা পেতে পারে আপনার মোবাইলের ভিতরের যন্ত্রাংশ। এই কাজগুলি করলে মোবাইল নষ্ট না হয়ে যাওয়ারও আশা রাখতে পারেন। পারলে মোবাইল ফোনের ব্যাটারিও খুলে নিন।

৩) মানিব্যাগে সিলিকা জেল রাখুন। সিলিকা জেল যে কোনও জিনিসকে শুকনো রাখতে সাহায্য করে। জিনিসে ময়শ্চার পড়তে দেয় না। এর সঙ্গে জিপ লক করা ছোট প্লাস্টিকের পাউচ রাখুন। বৃষ্টিতে ভেজার উপক্রম হলে, প্লাস্টিকের এই পাউচে সিলিকা জেলের প্যাকেট রেখে মোবাইল ফোনটি ভরে দিন এবং জিপ লক করুন। কোনওভাবে পাউচে পানি ঢুকলেও সিলিকা জেল আপনার স্মার্টফোন শুকনো রাখতে সাহায্য করবে।

৪) বাজারে গেলে যে পলিব্যাগ পান, সেরকম একটা সঙ্গে রাখুন। বৃষ্টির মধ্যে আপনার স্মার্টফোনের রক্ষাকবচ হতে পারে এই পলিব্যাগ।

৫) এছাড়াও বাজার থেকে ওয়াটার-প্রুফ মোবাইল ফোনের পাউচ কভার কিনে নিন। বৃষ্টিতে আপনার স্মার্টফোনটিকে এই কভারের মধ্যে ভরে দিন। মোবাইল খারাপ হয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যাবে।

৬) বৃষ্টির মধ্যেও মোবাইল ফোনে কথা বলতে হবে। কিন্তু, কানে ফোন রাখলে ভিজে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ব্লুটুথ-ইয়ারফোন ব্যবহার করতে পারেন।

৭) ভিজে থাকা স্মার্টফোনকে চার্জ দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আগে মোবাইল ফোনটিকে ভাল করে মুছে নিন। পারলে খোলা হাওয়ায় ১ ঘণ্টা ফেলে রাখুন। এরপর ফের একবার মুছে নিয়ে ফোন চার্জে বসাতে পারেন। ফোন মোছার সময় ব্যাটারিও মুছে নিন।

বিডি-প্রতিদিন

18
Brain / Detecting effective medicines to solve migraine
« on: April 22, 2018, 10:51:49 AM »
মাইগ্রেন বা দীর্ঘ সময়ের মাথা ব্যথার চিকিৎসায় নতুন এক ওষুধ আবিষ্কার করেছেন গবেষকরা। কয়েক দশকে এই প্রথম মাইগ্রেনের কার্যকরী ওষুধ আসছে বলে বলা হচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন, মাইগ্রেন বা দীর্ঘ সময়ের মাথা ব্যথা সারাতে অন্য সব ওষুধ বা চিকিৎসা যখন ব্যর্থ হবে, তখন এই নতুন ওষুধ কাজ করবে। নতুন এ ওষুধটি হচ্ছে ইনজেকশন। যা মাসে একবার নেয়া যাবে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস অল্প সময়ের মধ্যে মাইগ্রেন রোগীদের কাছে এ ওষুধ নিয়ে যাবে। যদি এর দাম সামর্থের মধ্যে বা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রে এক চিকিৎসা বিষয়ক সম্মেলনে নতুন এ ওষুধের বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, এ ওষুধ গুরুতর মাইগ্রেন আক্রান্ত এক তৃতীয়াংশ মানুষকে সাহায্য করবে।

নতুন এ ওষুধ কিভাবে কাজ করবে?

একজন মাইগ্রেন রোগী মাসে যতবার আক্রান্ত হন, নতুন ওষুধ ব্যবহারে আক্রান্তের সেই হার অর্ধেকে নেমে আসবে। এরেনুম্যাব নামের এ ইনজেকশন মাইগ্রেনের অন্যান্য ওষুধ থেকে ভিন্নভাবে কাজ করবে। এটি উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রেও মাইগ্রেনের জন্য ব্যবহার করা যাবে।

গবেষকরা বলছেন, এখন নতুন এ ওষুধ একটা বড় পরিবর্তন আনবে, মানুষকে স্বস্তি দেবে। সূত্র : বিবিসি

19
লেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন থাকে তার চেয়ে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি থাকে লেবুর খোসায়। ১০০ গ্রাম লেবুর খোসায় থাকে প্রায় ১৩৪ এমজি ক্যালসিয়াম, ১৬০ এমজি পটাশিয়াম, ১২৯ এমজি ভিটামিন সি এবং ১০.৬ গ্রাম ফাইবার। ফলে চিকিৎসকরা লেবুর খোসা খেতে উৎসাহিত করে থাকেন। আসুন জেনে নেই নিয়মিত এটি খেলে কী কী উপকার হয়?

রক্ত সরবরাহের উন্নতি
লেবুর খোসা খেলে সারা শরীরে রক্ত সরবারহ বাড়তে শুরু করে। ফলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে সব ধরনের রোগই দূর হয়।
লিভার ফাংশনে উন্নতি
নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ এত মাত্রায় বেড়ে যায় যে, লিভারের ভেতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়তে থাকে।
স্ট্রেস কমে
লেবুর খোসায় উপস্থিত সাইট্রাস বায়ো-ফ্লেভোনয়েড শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমতে শুরু করে। ফলে মন, মস্তিষ্ক এবং শরীর চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

হাড় শক্ত হয়
প্রচুর ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকায় ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

ওজন কমে
পেকটিন প্রচুর মাত্রায় থাকায় ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এ উপাদান শরীরে থাকা অতিরিক্ত চর্বিকে ঝরিয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।

ত্বকের সৌন্দর্য
লেবুর খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদান বের করে দেয়। ফলে বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা কমে ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
লেবুর খোসায় সয়ালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনেন্স নামে দুটি উপাদান ক্যান্সার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

হজম শক্তি বাড়ে
লেবুর খোসায় থাকা ফাইবার যে কোনো খাবার হজম করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া বদহজম থেকে গ্যাস-অম্বল, যে কোনো ধরনের হজম সংক্রান্ত সমস্যায় এটি দারুণ উপকারে আসে।

মুখ গহ্বরে উন্নতি
নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে এর ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিসসহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

হার্টের উন্নতি
লেবুর খোসার পলিফেনল উপাদান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। অন্যদিকে লেবুর পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

এসইউ/এমএস

20
Namaj/Salat / Laxness in prayer is the reason of terrible sins
« on: April 17, 2018, 10:30:31 AM »
ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজ। ঈমানের পর নামাজ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরআনে কারিমে ৮৩ বার নামাজের আলোচনা এসেছে।

নামাজ ফরজ হওয়া প্রসঙ্গে কোরআনে কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে নবী! আমার বান্দাদের মধ্যে যারা মুমিন তাদের বলুন, নামাজ কায়েম করতে।’ -সূরা ইবরাহিম: ৩১

তাছাড়া নামাজের ব্যাপারে যারা উদাসীন থাকে তাদের ব্যাপারে শাস্তির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য নিজেদের নামাজের ব্যাপারে যারা থাকে গাফেল।’ -সূরা মাউন: ৪-৫

রোজ হাশরে নামাজের মাধ্যমেই হিসাব-নিকাশ শুরু হবে। যার নামাজ সঠিক হবে তার অন্য আমল সঠিক বলে বিবেচিত হবে। আর যার নামাজ অসুন্দর হবে তার অন্যান্য আমল অসুন্দর বলে গণ্য হবে।

ইচ্ছাকৃতভাবে যে ব্যক্তি একেবারে নামাজ ছেড়ে দেবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে কাফের হয়ে যাবে। এ মর্মে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘বান্দা ও কুফরের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হলো- নামাজ ত্যাগ করা।’ –সহিহ মুসলিম

যে ব্যক্তি নামাজের ব্যাপারে অলসতা করবে, চাই সে অলসতা যথাসময়ে আদায় না করার মাধ্যমে হোক বা ঘুমের মাধ্যমে হোক কিংবা শরিয়তসম্মত পদ্ধতিতে নামাজ আদায়ে ত্রুটির মাধ্যমে হোক, সে কাফের না হলেও তার ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে হাদিসে।

হজরত উবাদা ইবনে সামির (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি অসিয়ত করেন, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি কাজ হলো- তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করো না। যদিও তোমাকে টুকরা টুকরা করে ফেলা হয় বা অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয় আর ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগ করো না। কেননা যে ইচ্ছা করে নামাজ ছেড়ে দেয় সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।

আল্লাহতায়ালা নামাজের উপকার সম্পর্কে ইরশাদ করেন, এবং নামাজের পাবন্দি করো দিনের দুপ্রান্তে ও রাতের কিছু অংশে। নিঃসন্দেহে সৎ কাজসমূহ অসৎ কাজসমূহকে মিটিয়ে দেয়। -সূরা হূদ: ১১৪

নামাজের ব্যাপক কল্যাণসমূহের উল্লেখযোগ্য একটি হলো- নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, নামাজের পাবন্দি করো। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ওমন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। -সূরা আনকাবুত: ৪৫

সূরা বাইয়্যিনাতে আম্বিয়ায়ে কেরামের দাওয়াতের দ্বিতীয় ধাপ স্বরূপ নামাজকে উল্লেখ করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের এছাড়া কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহতায়ালার ইবাদত করবে এবং নামাজ কায়েম করবে।’ -সূরা বাইয়্যিনাহ: ৫

যে ব্যক্তি ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ নামাজকে সব শর্তসহ খুশু-খুজুর সঙ্গে নবীর তরিকায় আদায় করবে তার এই নামাজ তাকে সব ধরনের অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখবে।

আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নবীর তরিকামতে পড়ার তওফিক দান করুন। আমিন।

 ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

21
চায়ের ক্ষেত্রে আপনি নিশ্চয়ই বেহিসাবী। কাজের ফাঁকে সুযোগ পেলেই এক কাপ চা খেয়ে ফেলেন। আপনি ভাবেন এই চা আপনার চাঙ্গা থাকার মূলমন্ত্র। কিন্তু দিনভর কাপের পর কাপ চা আপনার সর্বনাশ ডেকে আনছে।

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চা পান আমাদের শরীরের হাঁড় দুর্বল করে দেয়। এই সমস্যা সবথেকে বেশি হয় যারা টি-ব্যাগ ব্যবহার করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টি ব্যাগে অতিরিক্ত ফ্লুরাইড থাকে। যা আমাদের দাঁত ও হাঁড়ের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত ফ্লুরাইড শরীরে গেলে তা দাঁতের সর্বনাশ ডেকে আনে। দাঁতের উপরের অংশে বিশেষ ক্ষতি করে।

তবে গুড়া বা পাতা চা থেকেও কিন্তু এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিশেষ করে সস্তার চা পাতা থেকে এই সমস্যা হতে পারে। কারণ এতে বেশি পরিমাণে ফ্লুরাইড থাকে। কখনও কখনও তা ছ’গুণ পর্যন্ত বেশি মাত্রা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরনো চা পাতাকেই কম দামে বিক্রি করা হয়। তাতে মিনারেলের পরিমাণও বেশি হয়। যা ধীরে ধীরে আমাদের হাঁড় দুর্বল করতে শুরু করে।

তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন অতিরিক্ত চা না পান করতে। বিশেষ করে টি-ব্যাগ ব্যবহার ও সস্তার চা কেনার সময় আরও বেশি সচেতন হওয়া দরকার। কেন না বেশি ফ্লুরাইড শরীরে প্রবেশ করলে স্কেলিটাল ফ্লুওরোসিস পর্যন্ত হতে পারে। এটি এক ধরনের হাঁড়ের অসুখ। যা ক্রমেই আপনাকে কাবু করে ফেলবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে আমাদের শরীরে ছয় মিলিগ্রাম অবধি ফ্লুরাইড দরকার। এর থেকে বেশি মাত্রায় ফ্লুরাইড শরীরে গেলে স্কেলিটাল ফ্লুওরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। হিসাব করে দেখা গেছে দিনে চার কাপ চা শরীরের জন্য ঠিকঠাক। কিন্তু এর বেশি হলে তা বড় ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে আমাদের।

বিডি প্রতিদিন.....

22
রজব মাস ইসলামের ইতিহাসে একটি গৌরবান্বিত মাস। এই মাসের ২৭ তারিখের রাতে শবে মেরাজে আল্লাহর দিদার লাভ করেন রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

আল্লাহর অসীম কুদরত শবে মেরাজের এই রাত নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। পুণ্য এই রাতে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাতের সৌভাগ্য লাভ করেন। নবুয়তের দ্বাদশ সালের রজব মাসের এক শুভ রাতে কাবা শরিফের হাতিম থেকে বোরাকযোগে ঊর্ধ্বাকাশে গমন এবং আল্লাহর দিদার ও সান্নিধ্য লাভ করেন। এই পুণ্য রাতে মুসলমানদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসংখ্য মোজেজার মধ্যে পবিত্র মেরাজ অন্যতম। মেরাজ শব্দের অর্থ ঊর্ধ্বেগমন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মক্কা শরিফ হতে বায়তুল মোকাদ্দাস এবং বায়তুল মোকাদ্দাস হতে ঊর্ধ্বাকাশে গমন, সপ্ত আকাশ ভ্রমণ, নবীগণের সঙ্গে সাক্ষাৎ, বেহেশত-দোজখ দর্শন এবং সিদরাতুল মোনতাহা পর্যন্ত গমন, সিদরাতুল মোনতাহা থেকে রফরফের মাধ্যমে আরশে আজিমে গমন, সেখান থেকে লা-মাকান ভ্রমণ এবং আল্লাহর দিদার ও সান্নিধ্য লাভ এবং সেখান থেকে পুনরায় মক্কায় আগমন এই বিস্ময়কর সফর বা ভ্রমণকেই এক কথায় মেরাজ বলা হয়। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজ ছিল বাস্তব, শারীরিক ও আধ্যাত্মিক ঘটনা। মেরাজের কথা পবিত্র কোরআনের সূরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত যার চারদিকে আমি পর্যাপ্ত বরকত দান করেছি। যাতে আমি তাঁকে কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। নিশ্চয় তিনি পরম শ্রবণকারী ও দর্শনশীল।’  ও সূরা নজমের প্রথম থেকে ১৭ নম্বর আয়াতে মিরাজের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসেও মেরাজ সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার কাবা গৃহ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস, সেখান থেকে সপ্ত আকাশ পাড়ি দিয়ে সিদরাতুল মোনতাহা, তার ওপরে ৩৬ হাজার বছরের পথ পাড়ি দিয়ে আরশে গমন করেন এবং সেখান থেকে ৭০ হাজার নূরের পর্দা অতিক্রম করে একেবারে দিদারে এলাহিতে পৌঁছেন। সেখানে আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে পুনরায় মক্কায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এটি সম্ভব হয়েছিল আল্লাহর কুদরতে। অতীতেও আল্লাহ অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। যেমন, বিশ্বাসীদের আদিপিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে আল্লাহতায়ালা নমরুদের অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা করেন এবং অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বেহেশতি পরিবেশ সৃষ্টি করে তাকে জীবিত রাখেন। মাছের পেটের ভিতর জীবিত রেখেছিলেন হজরত ইউনুস (আ.)-কে। ফেরাউনের হাত থেকে বাঁচাতে হজরত মুসা (আ.)-এর জন্য নীলদরিয়ায় রাস্তা করে দিয়েছেন। হজরত ঈসা (আ.)-কে আল্লাহতায়ালা আকাশে নিয়ে গিয়েছেন এবং তাঁকে আবার এ পৃথিবীতে পাঠাবেন। মেরাজের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখা দিয়ে তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতে মোহাম্মদিদেরও বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। শবে মেরাজের পবিত্র রাতে বেশি বেশি করে ইবাদত-বন্দেগি করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সে তাওফিক দান করুন। আমিন।

bd protidin....

23
Quran / What is the use of Qur'anic verses in mobile ringtone?
« on: February 28, 2018, 10:03:17 AM »
মোবাইল ফোনে কোরআনের আয়াতকে রিংটোন বা কলার টিউন করা হলে তা হারাম বলে মানা হবে৷ সৌদি আরবের মুফতিরা এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন৷ সৌদি মুফতিদের দেওয়া এই ফতোয়ার দেওবন্দী মুফতি-একরমও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছে কোরআনের আয়াতকে যদি মোবাইলে রিংটোন বা কলার টিউন হিসেবে ব্যবহার করেন তাহলে, সেটিকে হারাম বলে মানা হবে৷

সৌদি কাউন্সিল বা মুফতির জারি করা এই ফতোয়া কারণ কি সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে৷ মুফতি-একরম থেকে জানানো হয়েছে মোবাইলে কোরাআনের আয়াতকে রিংটোন বা কলার টিউন করাটাকে হারাম বলার কারণ ফোন আসলে কলার টিউন বা রিংটোন যখন বাজতে থাকে সেটিকে মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে তাঁরা ফোন রিসিভ করে নেন৷ ফলে আয়াত পুরো শোনা হয়না৷

মুফতি-একরাম মোতাবিক কোরআন পুরো শুনতে হবে৷ কারণ কোরআনের আয়াত যদি পুরো না শুনে মাঝপথে তা বন্ধ করে ফোন রিসিভ করা হয় তাহলে আয়াত অসম্পূর্ণ থেকে যায়৷ এটা করা অপরাধ৷ কারণ আয়াত অসম্পূর্ণ থাকার ফলে তার অর্থ পাল্টে যায়৷ যা ইসলামে অপরাধ বলে মানা হয়৷ এই জন্যই কোরআনের আয়াতকে মোবাইল কলার টিউন বা রিংটোন করা যাবেনা৷ যে করবে তাকে অপরাধী হিসেবে ধরা হবে৷ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে দেওবন্দী আলিম মুফতি আতহার কাসমি বলেছেন, মোবাইলে কলার টিউন বা রিংটোন হিসেবে কোরআনের আয়াত, নাত-এ-পাক এবং আজান ব্যবহার করা অবৈধ৷ তিনি সৌদি মুফতিদের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেছেন, প্রায়ই পকেটে রাখা মোবাইল সেই ব্যক্তির সঙ্গে শৌচাগারেও চলে যায়৷ এবং সেখানে এই কলারটিউন বেজে ওঠা বা তা শোনা বৈধ নয়৷

তিনি আরও বলেন “সৌদি আরব থেকে কোরআনের আয়াতকে মোবাইলের রিংটোন বা কলার টিউন করা হারাম বলে যে ফতোয়া জারি হয়েছে আমরা তার পূর্ণ সমর্থন করছি৷ এর কারণ আছে৷ কোরআন কারিমকে দূষিত জায়গায় পড়া যায়না৷যেমন কোরআন যদি শৌচাগারে থাকা কোনও ব্যক্তির মোবাইলের রিংটোনে বেজে ওঠে সেক্ষেত্রে সেটি কোরআনকে অপমান করা হল বলে ধরা হবে৷ এই কারণেই এটিকে হারাম বলা হয়েছে৷”

সূত্র:  টোয়েন্টিফোর সেভেন



/font]

24
সকালে ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তা আমরা অনেকেই জানি। কিন্তু এটা ঠিক কী কী উপকারে আসে কিংবা তার সুফল কেমন করে পাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে পানি পান করার কিছু উপকারিতা।

১. সকালে প্রতিদিন খালি পেটে পানি খেলে রক্তের দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল হয়।

২. রাতে ঘুমানোর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে হজম প্রক্রিয়ার তেমন কোনো কাজ থাকে না। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য অন্তত এক গ্লাস পানি খেয়ে নেয়া উচিত।

৩. প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে এক গ্লাস পানি খেলে নতুন মাংসপেশি ও কোষ গঠনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।

৪. প্রতিদিন খালি পেটে এক গ্লাস করে পানি খেলে মলাশয় পরিষ্কার হয় যায় এবং শরীর সহজেই নতুন করে খাবার থেকে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে।

৫. যারা ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমাতে চান, তারা অবশ্যই প্রতিদিন সকালে উঠে পানি পানের অভ্যাস করুন। কারণ যত বেশি পানি পান করবেন, তত হজম ভাল হবে এবং শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমবে না।

৬. প্রতিদিন সকালে মাত্র এক গ্লাস পানি বমি ভাব, গলার সমস্যা, মাসিকের সমস্যা, ডায়রিয়া, কিডনির সমস্যা, আথ্রাইটিস, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি অসুখ কমাতে সহায়তা করে।

৭. ঘুম থেকে উঠে অনেকের মাথা ব্যথা করে। শরীরে পানির মাত্রা কমে যাওয়া মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ। সারা রাত শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি যায় না। তাই সকালে উঠে যদি খালি পেটে পানি পান করা যায় তবে মাথার যন্ত্রণা অনেকটা দূর হয়।

বিডি প্রতিদিন

25
Various Sura & Dua / Important 10 prayers mentioned in the Qur'an
« on: November 23, 2017, 10:54:23 AM »
মহান আল্লাহপাক কুরআন নাজিল করেছেন মানুষের হেদায়েতের জন্য। কুরআন পথ হারা মানুষকে পথ দেখায়। সেই সাথে কুরআন হচ্ছে মুসলিম উম্মার জন্য একটি সংবিধান। এই গ্রন্থে রয়েছে সকল বিষয়ের সমাধান। তাই তো একজন মুসলিম যখন একটা বিষয়ের সমাধান কোথাও খুঁজে না পায় তখন সে কুরআনের শরণাপন্ন হয় এবং কুরআনে খুব সহজেই সমাধান পায়। এই কুরআন আমাদেরকে শিখিয়েছে বেশ কিছু গুত্বপূর্ণ দোয়া। আমরা এই দোয়াগুলো নিজেদের জন্য করতে পারি। নিন্মে কুরআনের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি দোয়া  তুলে ধরছি, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য খুবই সহায়ক হবে।

১.আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আইইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব ! আমাদের নিজেদের স্ত্রীদের ও নিজেদের সন্তানদেরকে নয়ন শীতলকারী বানাও এবং আমাদের করে দাও মুত্তাকীদের ইমাম। (আল ফুরকান:৭৪)

 

২. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা মিল্লাদুনকা রাহমাতাঁও ওয়া হাইয়ি' লানা মিন আমরিনা রাশাদ।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব! তোমার বিশেষ রহমতের ধারায় আমাদের প্লাবিত করো এবং আমাদের ব্যাপার ঠিকঠাক করে দাও। (কাহাফ:১০)

 

৩. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানাফ তাহ বাইনানা ওয়া বাইনা ক্বাউমিনা বিল হাক্বক্বি ওয়া আনতা খাইরুল ফাতিহীন।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে যথাযথভাবে ফায়সালা করে দাও এবং তুমি সবচেয়ে ভালো ফায়সালাকারী। (আল আরাফ:৮৯)

 

৪. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা লা তাজ’আলনা মায়াল কাউমিজ জয়ালিমিন।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব! এ জালেমের সাথে আমাদের শামিল করো না।   

 

৫. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা ইগফিরি লানা জুনুবানা ওয়া কাফ্ফির আন্না সায়্যি আতিনা ওয়াতা ওয়াফ্ফানা মুয়াল আবরার।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের প্রভু! আমরা যেসব গোনাহ করছি তা মাফ করে দাও। আমাদের মধ্যে যেসব অসৎবৃত্তি আছে সেগুলো আমাদের থেকে দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করো।

 

৬. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা লাতুযিগ কুলুবানা বাদা ইয হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব! যখন তুমি আমাদের সোজা পথে চালিয়েছো তখন আর আমাদের অন্তরকে বক্রতায় আচ্ছন্ন করে দিয়ো না, তোমার দান ভাণ্ডার থেকে আমাদের জন্য রহমত দান করো কেননা তুমিই আসল দাতা। (আল ইমরান:০৮)

 

৭. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা ওয়ালা তুহাম্মিলনা মা লা তক্বাতা লানা বিহি ওয়াফু আন্না ওয়াঘফির লানা ওয়াইরহামনা আন্তা মাওলানা ফানসুরনা 'আলাল-ক্বাওমিল-কাফিরিন।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ আমাদের নেই, তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ো না। আমাদের প্রতি কোমল হও, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করো এবং আমাদের প্রতি করুণা করো। তুমি আমাদের অভিভাবক। কাফেরদের মোকাবিলায় তুমি আমাদের সাহায্য করো। (বাকারাহ: ২৮৬)

 

৮. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা লা তুয়াখিজনা ইন্নাসিনা আও আখতানা।

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব! ভুল-ভ্রান্তিতে আমরা যেসব গোনাহ করে বসি, তুমি সেগুলো পাকড়াও করো না। (বাকারাহ: ২৮৬)

 

৯. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা আফরিঘ আলাইনা সাব-রান ওয়া সাব্বিত আকদামানা ওয়ানসুরনা আলাল-কাউমিল-কাফিরিন

বাংলা অর্থ: হে আমাদের রব! আমাদের সবর দান করো, আমাদের অবিচলিত রাখ এবং এই কাফের দলের ওপর আমাদের বিজয় দান করো। (বাকারাহ:২৫০)

 

১০. আরবী উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান্নার

বাংলা অর্থ: হে আমাদের প্রভু প্রতিপালক! আমাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতের সর্বোত্তম কল্যাণ দান করো এবং আগুনের আযাব হতে আমাদের রক্ষা করো।(বাকারাহ:২০১)

সূত্র: মুসলিমস্টোরিজ.টপ 

26
কোন জাতি যদি জেনে থাকে কীভাবে বাঁচার মতন বাঁচতে হবে এবং জীবনের সমস্ত প্রফুল্লতা উপভোগ করতে হবে, তবে সেটি হলো জাপানিজেরা। তাদের গড় আয়ু হলো আশি বছর। অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় যেকোন ক্ষেত্রেই জাপান এগিয়ে আছে সবচেয়ে বেশি। স্বাস্থ্য বলুন, রুপচর্চা বলুন আর শিল্পের অগ্রগতিই বলুন সবক্ষেত্রেই তারা সেরা। কিন্তু তাদের সুন্দর স্বাস্থ্য ও সুগঠিত দেহের রহস্য কী?

স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের ভাষ্যমতে, জাপানিজদের পানীয় থেরাপি বেশ জনপ্রিয়। এটি 'জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি' কিংবা 'ওয়াটার কিউর থেরাপি' হিসেবেও পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে জাপানিজদের মধ্যে সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থে এ থেরাপি বেশ প্রচলিত হয়ে উঠেছে।

জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি কী

এটি এমন এক থেরাপি যেখানে কিছু সময় পর পর বিরতি দিয়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করতে হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে 'হাইড্রোথেরাপি' বলা হয়। এর মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে পেট পরিষ্কার হয় ও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর পরই খালি পেটে পানি পান করতে। সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে হলে প্রতিদিন আপনাকে অবশ্যই সঠিক পরিমাণের পানি পান করতে হবে।

এটি খুব সহজ প্রক্রিয়া নয় কিন্তু মোটেও। কারণ ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস কিংবা দু'গ্লাস নয়, পর পর চার গ্লাস পানি পান করতে হবে আপনাকে। এবং অবশ্যই দাঁত মাজার পূর্বে। প্রায় ৬৪০ মিলিগ্রামের মতন পানি পান করতে হবে। পরবর্তী ৪৫ মিনিট আপনি কোন খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না, কিছু সময় পরে সকালের নাস্তা করতে পারবেন।

সকালের নাস্তা খাবার আগেই যদি আপনি এতো পানি পান করেন তবে নিশ্চিতভাবে আপনি কম খাদ্য গ্রহণ করবে, এটিই স্বাভাবিক। অন্য সময়ে আপনি যেভাবে খান সেভাবেই খাবার ও পানি গ্রহণ করতে পারবেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে দু'ঘণ্টা বিরতি দিয়ে যেন খাবার ও পানি গ্রহণ করা হয়।

জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি শরীরের জন্য কীভাবে উপকারী?

জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি ওজন কমাতে সর্বাত্মক সাহায্য করে। কারণ এর মাধ্যমে আমাদের শরীর যথাযথ পুষ্টি ও সতেজতা পায়। সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুধাভাবও কমে যায় অনেকটা।

জাপানিজ লোকেরা বিশ্বাস করেন যে ওয়াটার থেরাপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে আপনি সুস্থ ও দীর্ঘ একটি জীবন লাভ করতে সমর্থ হোন। পেট পরিষ্কার করে হজমশক্তিও বাড়াতে সাহায্য করে ওয়াটার থেরাপি। একটি সুস্থ পাকস্থলী আপনার ক্ষুধা, পুষ্টি এবং রুচি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, আপনি স্বাস্থোজ্জ্বল ও দ্বীপ্তিময় ত্বকের অধিকারী হতে পারবেন কোন প্রচেষ্টা ছাড়াই।

উপরন্তু, এভাবে পানি পান করে ডায়েট কন্ট্রোল করার কোন সাইড ইফেক্ট নেই। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবুও এক ধাক্কায় অতিরিক্ত পানি পান করে ফেললে 'ওয়াটার ইনটক্সিকেশন' সমস্যা দেখা দিতে পারে। সুতরাং, আপনার শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যতটুকু সম্ভব হয় ঠিক ততোটুকু পানিই পান করুন।

ধীরে ধীরে পানি পান করার মাত্রা বাড়াতে পারেন। পানি পান করার কথা আপনি মনে রাখতে না পারলে ফোনে রিমাইন্ডার দিয়ে রাখুন কিংবা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনি পুরোটা দিন সতেজ ও প্রাণবন্ত থাকবেন।

দীর্ঘদিন ওজন কমানোর জন্য বিড়ম্বনা বোধ করছেন? চেষ্টা করে দেখতে পারেন 'জাপানিজ ওয়াটার থেরাপি'

সূত্র: The Health Orange

27
Career Advice / Are you friends in the office?
« on: August 02, 2017, 09:51:28 AM »


সহকর্মীর সঙ্গে বন্ধুত্ব কাজে সহায়ক হয়ে ওঠে। ছবি: অধুনাগত জুন মাসে হুট করেই চাকরি ছেড়েছেন অতনু। ভালো বেতন, দারুণ সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন অতনু। কারণ হিসেবে বলেন, ‘কাজের পরিবেশ ভালো থাকলেও কোনো বন্ধু তৈরি করতে পারছিলাম না। কেমন জানি সবাই শুধু সহকর্মী-সহকর্মী আচরণে অভ্যস্ত। অফিসে বন্ধু না থাকলে কি কাজের মান ভালো হয়?’

অতনুর মতকে সমর্থন করেন বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের প্রযোজক শামীম উল হক। তিনি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে বন্ধু তৈরি করলে আসলে সবারই লাভ। আমি আগে যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলাম, সেখান থেকে সরে এসেছি একমাত্র বন্ধুহীন অবস্থার কারণে। সহকর্মী যখন কাজের ক্ষেত্রে বন্ধু হয়ে ওঠেন, তখন কিন্তু দুজনেরই কাজের মান ভালো হয়-এটা আমরা বুঝতে চাই না।’

কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক ম্যাগাজিন ফাস্ট কোম্পানির সম্পাদক রবার্ট সাফিয়ান। তাঁর মতে, ‘কর্মক্ষেত্রে পেশাদারত্বকে গভীর করে তোলে বন্ধুত্ব। কাজের একঘেয়েমি দূর করতে কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। আর দলগতভাবে কাজে সাফল্য পেতে সহকর্মীদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’

হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউয়ের মে, ২০১৭ সংখ্যার এক নিবন্ধ থেকে জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে বন্ধুরা মানসিক চাপ কমাতে এবং কাজে সহযোগিতা করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেসিকা মেথট ৪৭টি দেশের চার শতাধিক পেশাজীবীর ওপর সমীক্ষা চালিয়ে এটি বের করেছেন। পেশাজীবনে যাঁরা কর্মক্ষেত্রে বন্ধু তৈরি করতে পারেন, তাঁরা যাঁদের বন্ধু নেই, তাঁদের চেয়ে ৬৭ শতাংশ বেশি দ্রুত কাজ শেষ করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, বন্ধুত্বের কারণে কর্মক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ কাজের ফলাফল সহকর্মী-সহকর্মী সম্পর্কের চেয়ে ভালো হয়।

 ২০০১ সালের পর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অফিসে যাঁরা শীর্ষপদে অসীন হয়েছেন, তাঁদের শতকরা ৯৫ জনই সহকর্মী হিসেবে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ মানসিকতার। এ ছাড়া ১৯৫০ সালের পর পৃথিবীতে শীর্ষ ধনী যাঁরা হয়েছেন, তাঁদের শতকরা ৯৮ জনই কর্মজীবন বা পেশাজীবনের শুরুতে কর্মক্ষেত্রে দারুণ বন্ধু ছিলেন বলে ফাস্ট কোম্পানি ম্যাগাজিনের তথ্যে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওরাল রবার্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডেভিড বুর্কাসের মতে, এ সময় যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী পদে কর্মরত, তাঁদের সাফল্যের পেছনের বেশ বড় একটি কারণ তাঁদের কর্মক্ষেত্রের বন্ধুরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর সহকারী অধ্যাপক ইফতেখারুল আমিন বলেন, ‘অফিসে পদমর্যাদার একটি বিষয় থাকে। সেই দিকটি খেয়াল রেখে সহকর্মীকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করলে নিজের কাজের মানই ভালো হয়।’ আপনি কর্মক্ষেত্রে কতটা সফল, তা মাপার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা হচ্ছে আপনার কতজন বন্ধু আছে। কর্মক্ষেত্রে গড়ে ৮ থেকে ১০ জন বন্ধু আপনার কাজের আগ্রহ আর কাজের মানকে বদলে দিতে পারে।

 কর্মক্ষেত্রে বন্ধুত্বে যা খেয়াল রাখবেন

* সবার সঙ্গেই যে বন্ধুত্ব করতে হবে-এমন কোনো কথা নেই। কাজের পরিধি ও গুরুত্ব বিবেচনা করে ঘনিষ্ঠ বন্ধু তৈরি করুন।

* সহকর্মী বন্ধু হলেও কর্মক্ষেত্রের পেশাদারি মনোভাব বজায় রাখুন।

* কেউ বন্ধু হলেই যে বাকিরা শত্রু-এমন পরিস্থিতি তৈরি করলে আপনারই ক্ষতি।

* সহকর্মী-বন্ধুর কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন হলেই বন্ধুত্ব শেষ করে ফেলবেন না। বন্ধুত্বের সম্পর্ক আজীবন বজায় রাখুন।

* কর্মক্ষেত্রে বন্ধুর উপকার করতে গিয়ে অন্য কারও ক্ষতি কখনোই করবেন না।

* বন্ধুত্বের সম্পর্ক গাঢ় করতে অফিস সময়ের পর কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন। মাঝেমধ্যে দুপুরে খাওয়ার জন্য কোনো রেস্তোরাঁ কিংবা বিকেলে কফির কোনো দোকানে আড্ডা দিতে পারেন।

* সহকর্মী-বন্ধুর পরিবারের খোঁজখবর নিয়মিত রাখুন। জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীসহ বিশেষ দিনগুলোতে উপহার দিন।

* কর্মক্ষেত্রে যেসব মানুষের আচরণ আপনার কাছে নেতিবাচক মনে হয়, তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো ক্ষতিকর কিন্তু।

* বন্ধুত্বকে শুধু আড্ডা কিংবা গল্প করার ছল হিসেবে ব্যবহার করবেন না। কাজের মান বৃদ্ধি ও বিকাশে বন্ধুত্বকে কাজে লাগান।

 সূত্র: হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, ফাস্ট কোম্পানি

28
আকিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কিন্তু আমাদের সমাজে এই অাকিকার আনুষ্ঠানিকতায় নানাবিধ কুসংষ্কার সন্নিবেশিত হয়েছে। আকিকায়ও অনেক কুসংস্কার বিদ্যমান। আকিকার দিন ছেলে হলে দু’টি ছাগল আর মেয়ে হলে একটি ছাগল জবেহ করা, জবেহকৃত পশুর গোশত কাঁচা অথবা রান্না করে বিতরণ করা, শিশুর মাথা মুণ্ড করে চুলের ওজনের সমপরিমান স্বর্ণ, রৌপ্য বা তৎমূল্য খয়রাত করা প্রভৃতি কাজকর্ম সুন্নাত ও মুস্তহাব। এছাড়া অন্যান্য প্রচলিত প্রথাসমূহ ইসলামী শরীআতে মূল্যহীন ও অযথা কাজ। [ইসলামে শিশু পরিচর্যার বিধান, পৃষ্ঠা-৩৪]

আকিকা উপলক্ষে প্রচলিত কুসংস্কার সমূহের তালিকা নিন্মে প্রদান করা হলো-

এক. অনেকেই মনে করে যে, আকিকার গোশত দাদা-দাদি ও নানা-নানি খেতে পারে না। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

দুই. আরো একটি কুসংস্কার হলো, সন্তানের মাথার চুল মুণ্ডানোর জন্য যখন মাথার উপরের ক্ষুর টানা হবে, ঠিক সেই মুহূর্তে আকিকার জন্তু জবেহ্ করতে হবে বলে আমাদের সমাজে একটি প্রথাগত কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে এটাও ভিত্তিহীন। এ ধারণাও ঠিক নয়।

তিন. আকিকা উপলক্ষে নবজাতকের নানার বাড়ির পক্ষ হতে কিছু পোশাক, খাবার ও সহায়ক সামগ্রী প্রেরণের একটি কুসংস্কার চালু আছে। এ ক্ষেত্রে প্রধান মন্দের দিকটি হলো উপস্থিত সময়ে নানার পরিবারের সঙ্গতি না থাকলেও প্রথা অনুযায়ী উপহার সামগ্রী অবশ্যই পাঠাতে হবে। অর্থাৎ একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ এমন গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করা হয় যে, এ ক্ষেত্রে শরীআতের কোনো বিধান লংঘন হয়েছে কিন তাও লক্ষ্য করা হয় না। আর এই দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়্যত থাকে সেই সুনাম ও সুখ্যাতি এবং অহংকার প্রদর্শন, যা একটি পরিষ্কার হারাম কাজ।

চার. আকিকা উপলক্ষে লেনদেন আকিকার ক্ষেত্রে আরেকটি কুসংস্কার। যে সন্তানের আকিকা করা হয় তার মাথার চুল কামানোর পর মহল্লাবাসী পুরুষ ও বন্ধু-বান্ধব মিলে একটি বাটিতে চাঁদা সংগ্রহ করেন। এ চাঁদা সংগ্রহ করা পরিবারের কর্তার একটি পবিত্র দায়িত্ব মনে করা এবং নাপিতকে এ সংগৃহীত চাঁদা প্রদান করা হয়। এসব কুপ্রথা অবশ্যই বর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

পাঁচ. আকিকার সময় বোন-ভাগ্নিকে উপহার প্রদান করার একটি বাধ্যতামূলত প্রথা চালু রয়েছে। আকিকার সময় আবশ্যকভাবে বোন-ভাগ্নিকে পুরস্কৃত করার প্রথাগুলোও শরীআতের বহির্ভূত কাজ। সুতরাং তা বর্জন করা বাঞ্ছনীয়।

ছয়. আকিকার গোশতের সাথে যে সকল হাড় রান্না করা হয়, আহার করার সময় তা দাঁতে চিবিয়ে ভেঙ্গে বা অন্য কোনো উপায়ে ভগ্ন করা বিধি-বহির্ভূত মনে করা হয়। তাই তা অনেকেই আস্ত রেখে দেয়, তাও কুসংস্কারের অন্তর্ভূক্ত।

[দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম, ইসলামিক ফাউণ্ডেশন, পৃষ্ঠ-১৪২]

29
IT Forum / Microsoft and Google's new technology to kill mosquitoes
« on: July 13, 2017, 04:16:01 PM »
মশা নিধন করতে এবার এগিয়ে এল ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুগল ও সফটওয়ার নির্মাতা মাইক্রোসফট। অটোমেশন এবং রোবোটিকস প্রযুক্তির ব্যবহার করে জিকাসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে এ দুই মার্কিন প্রতিষ্ঠান। মশা নিধনে এই প্রথম এগিয়ে এল দুই বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।

ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার পর সর্বশেষ মশাবাহিত রোগ জিকা ছড়িয়ে পড়ছে। এই রোগের প্রাদুর্ভাব  বাংলাদেশে এখনো দেখা না গেলেও দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীর শরীরে জিকা ভাইরাস প্রবেশ করলে, তা সরাসরি গর্ভস্থ ভ্রুণে সংক্রমণ ঘটায়।

জিকা ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মাইক্রোসফট ও গুগল অটোমেশন এবং রোবোটিকস প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার লাইফ সায়েন্সেস কোম্পানি ভেরিলি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যৌথভাবে উচ্চপ্রযুক্তির যন্ত্রপাতি বসানো হচ্ছে। জিকা ভাইরাসবাহী এডিস মশাকে চিহ্নিত করে বিশেষভাবে নির্মিত জালে আটকে ফেলবে এই যন্ত্র। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার এন্টোমোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনন্দশঙ্কর রায় বলেন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর এভাবে এগিয়ে আসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, গত বছরের শুরুর দিকে জিকা ভাইরাস সারা বিশ্বেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর তা মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। সন্দেহ করা হয় মশাবাহিত এই ভাইরাসটির কারণে, অস্বাভাবিক ছোট মাথার শিশু জন্ম নেয়। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের শুরুর দিক পর্যন্ত ব্রাজিলে প্রায় চার হাজার শিশু জন্ম নেয় যাদের মাথা অস্বাভাবিক ছোট। ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়াকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘মাইক্রোসেফালি’ বলা হচ্ছে।

এসআইএস/আরআইপি

30
বিরল প্রজাতির জিরাফ থেকে শুরু করে হাজার হাজার প্রাণী পৃথিবীর বুক থেকে প্রাকৃতিক নিয়মেই মুছে গেছে। এবার নতুন করে শুরু হয়েছে প্রকৃতির সেই গণ-ধ্বংসলীলা।

এক নতুন গবেষণা রিপোর্টে এই নিয়ে সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা। ন্যাশনাল অ্যাকডেমি অফ সায়েন্সেস-এ প্রকাশিত এক নতুন গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, প্রাণিজগতের ষষ্ঠ ধ্বংসলীলা শুরু হয়ে গেছে। এর আগে যতবারই এরকম গণ-ধ্বংসলীলা শুরু হয়েছে, তার কারণগুলি ছিল প্রাকৃতিক। কিন্তু এবারের ধ্বংসলীলার কারণ মানুষ ও মানুষের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা।

মেক্সিকো সিটির গবেষক জেরার্ড সেবালস বলেছেন, “এখনই এই বিষয়ে সতর্ক না হলে বিপদ বাড়বে। ” সেবালসের সঙ্গে যাঁরা এই গবেষণায় যুক্ত, সেই পল এনরিক ও রুডল্ফ ডিজরো দু’জনেই স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাঁরা রীতিমতো বৈজ্ঞানিক তথ্য একত্রিত করে দেখিয়ে দিয়েছেন, কীভাবে পৃথিবীর বুক থেকে একে একে পরিচিত প্রাণীদের অস্তিত্ব মুছে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী মূলত অতিরিক্ত দূষণ, জলবায়ুর বৈপ্লবিক পরিবর্তন এবং খাদ্য ও বাসস্থানের অভাব।

স্তন্যপায়ী, পাখি, সরীসৃপ ও উভচর- প্রত্যেকেই পড়েছে প্রবল অস্তিত্ব সংকটের মুখে। বাসস্থানের ক্ষতির জন্য অন্তত ৭০ শতাংশ স্তন্যপায়ীর সংখ্যাই আর বাড়ছে না। দ্রুতহারে জঙ্গল কেটে মানুষের জন্য বহুতল, রাস্তা, পরিকাঠামো নির্মাণই প্রাণীজগৎকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলে গবেষকদের অনুমান।

উদাহরণ হিসাবে চিতাবাঘের কথা তুলে ধরেছেন তাঁরা। গভীর, ঘন জঙ্গল কমতে থাকায় চিতাবাঘের প্রজননের জন্য মিলছে না উপযুক্ত এলাকা। পৃথিবীতে আর মাত্র ৭ হাজার চিতা অবশিষ্ট রয়েছে। আফ্রিকান সিংহের সংখ্যা ১৯৯৩-র তুলনায় কমেছে ৪৩ শতাংশ। প্যাঙ্গোলিন এখন বিলুপ্তপ্রায়, জিরাফের সংখ্যাও কমছে ক্রমশ। ১০ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে পশুপ্রাণীদের উপর এই গবেষণা শুরু হয়। 

পরিসংখ্যান বলছে, গত ১০০ বছরে ২০০-রও বেশি প্রাণিকূল হারিয়ে গিয়েছে পৃথিবী থেকে। সাধারণত, এক একটি প্রাকৃতিক ধ্বংসলীলার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু সময় থাকে। কিন্তু গত একশো বছরে ধ্বংসলীলার হার যেন একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। এই ধংসলীলা অবিলম্বে থামানো না গেলে পৃথিবীর বুকে বহু বিচিত্র প্রাণীকেই আর দেখতে পাওয়া যাবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Pages: 1 [2] 3 4 ... 12