Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - Shakil Ahmad

Pages: [1] 2 3 ... 23
2
 :) :) :) :) :)

5
এক দিনেই ২৭৯ পয়েন্ট হারাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টকএক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ সোমবার লেনদেনের শুরু থেকেই সূচকের একটানা পতন লক্ষ করা যায়। প্রথম ৬ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর সূচক ডিএসইএক্স হারায় ১০০ পয়েন্ট। বেলা ১১টায় সূচকটি দেড় শ পয়েন্ট হারায়। বেলা ১১টা ১৬ মিনিটে উধাও হয় ২০০ পয়েন্ট। লেনদেন শেষে সূচকটি কমে ২৭৯ পয়েন্ট, অবস্থান করছে ৪ হাহার ৮ পয়েন্টে। মাত্র দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে আজ।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে গতকাল রোববার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স কমে ৯৭ পয়েন্ট। পরে বিকেলে বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার খবর আসে। আর এর প্রভাবে আজ বিশাল ধস নামল ডিএসইতে।

বাজারের এ পরিস্থিতির কারণে জানতে চাইলে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের আতঙ্কে আজ দরপতনের গতি বেশি দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, মূলত করোনাভাইরাসের প্রভাবে আজকে শেয়ারবাজারে এই পতন। আতঙ্কিত হয়ে মানুষ শেয়ার বিক্রি করেছে। তবে এটা সাময়িক প্রভাব। কেটে যাবে। এ অবস্থা থাকবে না।

সকালে বাজার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘আজ দুই সপ্তাহ ধরেই সূচক কমছে। উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখছি না। বাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। বাজারে আজকে বিক্রির চাপ অনেক। ক্রেতা নেই। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরাও বুঝছেন না কী করবেন।’

এই বিনিয়োগকারী জানান, ২০১৫ সালে অবসরের পর ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন তিনি। এখন তাঁর শেয়ারের দর কমে কমে ঠেকেছে ৭ লাখে। আজ ৭ লাখে সব শেয়ার বিক্রি করেছেন তিনি। এ পরিস্থিতি কাউকে বোঝানোর অবস্থাও নেই তাঁর।

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক বিনিয়োগকারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘টানা নবম দিনের মতো দর কমেছে। আজ বাজারে প্যানিক সেল হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। দর যত কমছে, সেল প্রেশার বাড়ছে। সবাই মার্জিনে ব্যবসা করে, লোকসান চায় না। দাম কমতে থাকলেই বিক্রি করে দেয়।’

ডিএসইতে আজ দর কমেছে প্রায় সব শেয়ারেরই। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে মাত্র দুটির দর বেড়েছে। অপরিবর্তিত আছে একটির দর। লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪৯৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হলো স্কয়ার ফার্মা, গ্রামীণফোন, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, সামিট পাওয়ার, সি পার্ল, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্যাংক এশিয়া, ভিএফএস থ্রেড ডায়িং লিমিটেড ও ওরিয়ন ফার্মা।

আজ ডিসইতে যে দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে, সেগুলো হলো এপিএসসিএল নন কনভারটেবল অ্যান্ড ফুললি রিডেমেবল কুপন বিয়ারিং বন্ড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭৫৮ পয়েন্ট। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর কমেছে ২৪৯টির, বেড়েছে ৩টির, অপরিবর্তিত আছে ৪টির দর। এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার।

6
Finance / Re: Finance
« on: March 10, 2020, 01:10:22 PM »
thanks for sharing

7


দুপুর ১২টা নাগাদ ডিএসইএক্স হারায় ১৬৬ পয়েন্ট।দুপুর ১২টা নাগাদ ডিএসইএক্স হারায় ১৬৬ পয়েন্ট।করোনাভাইরাস-আতঙ্ক বিরাজ করছে দেশের শেয়ারবাজারে। গতকাল রোববার বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে-আর এ খবরে আজ সোমবার লেনদেনের শুরু থেকে এক টানা পতন লক্ষ করা যাচ্ছে শেয়ারবাজারের সূচকে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথম ৬ মিনিটের লেনদেনে হারায় ১০০ পয়েন্ট। বেলা ১১টায় সূচকটি দেড় শ পয়েন্ট হারায়। ১১টা ১৬ মিনিটে উধাও হয় ২০০ পয়েন্ট। পরে পতন কিছুটা কমে আসে। দুপুর ১২টা নাগাদ সূচকটি দর হারিয়েছে ১৬৬ পয়েন্ট।

বাজারের এ পরিস্থিতির কারণে জানতে চাইলে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আজ দর পতনের গতি বেশি দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘আজ ২ সপ্তাহ ধরেই সূচক কমছে। উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখছি না। বাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। বাজারে আজকে বিক্রির চাপ অনেক। ক্রেতা নেই। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরাও বুঝছেন না কি করবেন।’

এই বিনিয়োগকারী আরও জানান, ২০১৫ সালে অবসরের পর ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন তিনি। এখন তাঁর শেয়ারের দর কমে কমে ঠেকেছে ৭ লাখে। আজ ৭ লাখে সব শেয়ার বিক্রি করেছেন তিনি। এ পরিস্থিতি কাউকে বোঝানোর অবস্থাও নেই তাঁর।

সাইফুল ইসলাম নামে আরেক বিনিয়োগকারী প্রথম আলোকে বলেন, ‘টানা নবম দিনের মতো দর কমেছে। আজ বাজারে প্যানিক সেল হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। দর যত কমছে সেল প্রেশার বাড়ছে। সবাই মার্জিনে ব্যবসা করে, লোকসান চায় না। দাম কমতে থাকলেই বিক্রি করে দেয়।’

ডিএসইতে আজ প্রথম দেড় ঘণ্টায় দর কমেছে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২৮ টির দর, বেড়েছে মাত্র ১৫ টির, অপরিবর্তিত আছে ৯ টির দর। লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কমেছে ৩৯১ পয়েন্ট। বেলা ১২টা নাগাদ হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৮২ টির দর কমেছে, বেড়েছে ৮ টির, অপরিবর্তিত আছে ১ টির দর। এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার।

8
করোনাভাইরাসের কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিল হয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের খবরে আজ সোমবার বলা হয়েছে, বাংলাদেশে তিনজন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ঢাকা সফর বাতিল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ ঢাকায় আয়োজিত মুজিব শতবর্ষের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। গতকাল রোববার ঢাকায় তিনজনের করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঘটনা জানায় সরকার। প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস ধরা পড়ল বাংলাদেশে। ওই তিনজনের দুজন ইতালি থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। ওই দুজনের সংস্পর্শে আরও একজন আক্রান্ত হন। এই ব্যক্তি তাঁদের পরিবারের সদস্য।

এমন পরিস্থিতিতে গত রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে। ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠেয় মূল অনুষ্ঠানটি ওই দিন হচ্ছে না। করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনস্বার্থে ও জনকল্যাণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরে এই সমাবেশের তারিখ চূড়ান্ত হবে।

১৭ মার্চের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিদেশি অতিথিদের আসার কথা ছিল। এরপর আজ জানা গেল, মোদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন না।

ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় রাজধানী ঢাকায় মোদির বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। মোদির বাংলাদেশ সফর বাতিলের দাবিও উঠেছে। তবে এর মধ্যে ঢাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সেই সফর পিছিয়ে গেল।

9


আগামী এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ জন্য ব্যাংকগুলো ইতিমধ্যে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। ব্যাংক খাতে এর প্রভাব নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সানাউল্লাহ সাকিব।

প্রথম আলো: বাংলাদেশ ব্যাংক তো শেষ পর্যন্ত ঋণের সুদ নির্দিষ্ট করে দিল। এটা কি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে?

আলী রেজা ইফতেখার: বাংলাদেশ ব্যাংক এরই মধ্যে নতুন সুদহারের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, তাই সেটি বাস্তবায়ন করতেই হবে। সুদহার কমবে—এটা আগে থেকেই আমাদের জানা ছিল, তাই আমরা সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছি। এ কারণে বলতে পারি, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হবে না। আগামী এপ্রিল থেকে সব ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ কার্যকর হবে। কম সুদে আমানত পাওয়া গেলে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যা হবে না।

প্রথম আলো: কিন্তু আমরা তো জানি, ব্যাংকগুলোর আয়ের ৭৫ শতাংশই আসে সুদ থেকে। সুদহার কমে গেলে আয় তো কমে যাবে ব্যাংকের। এ চাপ কী ব্যাংক নিতে পারবে?

আলী রেজা ইফতেখার: ব্যাংকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে আমানতের সুদ কমানো। এটা না হলে ব্যাংকগুলোর মার্জিন (সুদহারের পার্থক্য) কমে যাবে। ঋণের সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে উৎপাদন খাতে ঋণ বাড়ানোর পাশাপাশি উৎপাদন খরচ যাতে কমে আসে। আপাতত মনে হচ্ছে, এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলোর আয়ে প্রভাব পড়বে। তবে আমানতের সুদ কমিয়ে আনতে পারলে ব্যাংকের আয়ের ওপর প্রভাব কমে আসবে। আমি মনে করি, জুলাইয়ের পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কারণ, আমাদের কিছু উচ্চ সুদের আমানত নেওয়া আছে। এসব আমানতের মেয়াদ না শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। এখনই বলা যাবে না যে বছর শেষে মুনাফা কমে যাবে। যদি কম সুদে আমানত পাওয়া যায়, তবে ব্যাংকগুলোর মুনাফা খুব বেশি কমবে না। তার চেয়েও বড় কথা, ব্যাংকের নিজস্ব স্বার্থের চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে সবার আগে বিবেচনা করতে হবে।

প্রথম আলো: আমানতের সুদ ৬ শতাংশে নামলে মূল্যস্ফীতি তো সব খেয়ে ফেলবে। ফলে যাঁরা সুদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরা কীভাবে চলবে?

আলী রেজা ইফতেখার: ব্যাংকগুলো ধাপে ধাপে আমানতের সুদ কমাবে। তবে এটা সত্যি, আমানতের সুদ কমে গেলে তা আমানতকারীদের জন্য কষ্টকর হবে। আগে যাঁরা ৯-১০ শতাংশ সুদ পেতেন, তাঁদের আয় অনেক কমে যাবে। যাঁরা ক্ষুদ্র আমানতকারী, ব্যাংকে সঞ্চয় রেখে সুদ দিয়ে জীবনধারণ করে থাকেন, তাঁদের জন্য পরিস্থিতিটা বড় চ্যালেঞ্জের। তবে আমানতের সুদ কমানোর জন্য এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি। যদি কোনো নির্দেশনা না আসে, তাহলে কোনো ব্যাংক চাইলে বেশি সুদে আমানত নিতে পারবে। যদিও আমরা এবিবির পক্ষ থেকে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমানতে ৬ শতাংশ সুদ দেওয়ার। যেহেতু এবিবি কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়, তাই এবিবির সিদ্ধান্ত মানার বাধ্যবাধকতা নেই।

প্রথম আলো: পুরোনো ঋণের সুদও কি ৯ শতাংশে নেমে আসবে? সুদ কমে যাওয়ার কারণে ব্যাংকের সেবা মাশুল বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে কী?

 আলী রেজা ইফতেখার: নতুন-পুরোনো সব ঋণে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর করতে হবে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে অনেক কাজ করতে হবে। কারণ, নতুন সুদহারের ভিত্তিতে পুরোনো ঋণের হিসাব কষে কিস্তি নির্ধারণ করতে হবে। এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে। তারপরও আমি বলতে পারি, বাংলাদেশ ব্যাংক যে নির্দেশনা দিয়েছে, ব্যাংকগুলো তা হুবহু পালন করবে। আর ব্যাংকগুলো চাইলেই সেবা মাশুল বাড়াতে পারবে না। কারণ, সেবা মাশুলের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা রয়েছে, তাই বেশি মাশুল নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নতুন পরিস্থিতিতে আয় বাড়াতে হলে ব্যাংকগুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। ঋণ আদায় জোরদার করার পাশাপাশি খেলাপি ঋণ যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া সেবার মানে আরও উন্নতি করতে হবে।

প্রথম আলো: সুদ কমানোর ফলে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ কমিয়ে দিতে পারে—এমন আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। আপনি কী মনে করেন?

আলী রেজা ইফতেখার: বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, উৎপাদন খাতে গত তিন বছরে ঋণের যে স্থিতি, নতুন ঋণ সেই গড়ের চেয়ে কম হতে পারবে না। ফলে কোনো ব্যাংক এসব খাতে ঋণ কমিয়ে দিতে পারবে না। ঋণ কমানোর সুযোগও নেই।

প্রথম আলো: মূলধন অনুপাতে সরকারি আমানত ভাগাভাগি করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেটা কত দূর এগোল। আর সরকারি আমানত ৬ শতাংশে পাওয়া যাচ্ছে কি?

আলী রেজা ইফতেখার: আমার ব্যাংকে যত সরকারি আমানত আছে, তা ৬ শতাংশে পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। কেউ বেশি সুদে আমানত নিলে তারা দেশের আইন লঙ্ঘন করবে। তবে আমি অন্য ব্যাংকের কথা বলতে পারব না। মূলধন পর্যাপ্ততার হার (সিআরএআর) অনুপাতে সরকারি আমানত পাওয়ার ব্যাপারে একটা আলোচনা আছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আমরা পাইনি। এর সঙ্গে আরও নতুন কিছু সূচক যুক্ত করা যেতে পারে। এভাবে সরকারি আমানত ভাগ হলে ভালো ব্যাংকগুলো ভালো আমানত পাবে। ফলে ব্যাংকগুলোর মধ্যে উন্নতি করার চাপ তৈরি হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই প্রয়োজন।

13
Thanks for Sharing

15
Thanks for Sharing

Pages: [1] 2 3 ... 23