Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - Mrs.Anjuara Khanom

Pages: 1 ... 25 26 [27] 28 29 ... 32
391
আজকাল প্রায় ঘরে ঘরে লিভারে ফ্যাট জমার সমস্যা রয়েছে। অবশ্য, লিভারে একটা ন্যূনতম পরিমাণ ফ্যাট তো থাকবেই। তবে আপনার লিভারের ওজনের থেকে যদি তা ৫-১০ শতাংশ বেশি হয়, তবেই তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হবে। যাদের ওজন বেশি কিংবা অধিক পরিমাণ অ্যালকোহল নেন এটা সাধারণত তাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এমনকি ডায়াবেটিস থাকলেও ফ্যাটি লিভার হতে পারে। অনেক সময় ঠিকমতো খাবার হজম না হলে বা বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকলেও লিভারে চর্বি জমতে পারে। তবে ভরে কিছু নেই। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা যেমন ঘরে ঘরে। তেমনি সমাধানও রয়েছে আপনার হাতের কাছেই। আপনি শুধু একবার চোখ বুলিয়ে নিন।

আপেল ভিনিগার: ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় মোক্ষম ওষুধ এটি। হাল্কা গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে দিনে দু’বার খাবার আগে খান। চাইলে মধুও মিশিয়ে খেতে পারেন। কয়েক মাস খেয়ে দেখুন তো কাজ হয় কি না।

পাতিলেবু: এমনিই প্রতিদিন লেবুর পানি খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। বিশেষ করে যাঁদের শরীরে ফ্যাট বেশি। তাছাড়া লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। লিভারের জন্য যা খুবই ভাল। অর্ধেক লেবু কেটে পানিতে মিশিয়ে খান। টানা কয়েক সপ্তাহ খেয়ে দেখুন লিভারের ফ্যাট কমতে বাধ্য।

হলুদ:  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তো রয়েছেই। সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের জন্যও খুব ভাল। ২০০৮ সালে চীনের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ফ্যাটি লিভার কমাতে হলুদের জুড়ি নেই। কারণ, হলুদ ফ্যাট হজম করতে সাহায্য করে। ১-২ গ্লাস পানিতে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। দিনে দু’বার অন্তত খান। দু’সপ্তাহ পরই হাতেনাতে ফল পাবেন।

গ্রিন টি:  এখন তো সর্বত্রই গ্রিন টি পাওয়া যায়। দিনে দু’বার গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস করুন। শরীর শুধু সতেজই থাকবে না, লিভারও ভাল থাকবে।

আদা: ভাল করে আদাটা গ্রেড করে নিন। মোটামুটি এক চামচ মতো গ্রেড আদা হালকা গরম জলে মিশিয়ে খান। সপ্তাহ দু'য়েক খেলেই বদলটা বুঝতে পারবেন। মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত ফ্যাট থেকে লিভারকে বাঁচাতে আদা খুবই কার্যকরী।

যষ্টিমধু: এক কাপ গরম পানিতে হাফ চামচ যষ্টিমধু মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট ফোটান। অল্প মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার খান। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

বিডি-প্রতিদিন/

392
লিভার (যকৃৎ) দেহের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আমাদের শরীরের বিপাকীয় কার্যাবলী লিভারই সম্পাদন করে। এই অঙ্গ থেকে নিসৃত জারক রসেই খাবার হজম হয়। যাদের লিভার দুর্বল, তাদের পেটে সারাবছর সমস্যা লেগেই থাকে। গবেষকের মতে, লিভারের রোগকে নীরব ঘাতক বলা হয়। কেননা লিভারের যেকোনো রোগ সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। রোগ বেড়ে গেলে এর লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়। অনেক সময় তখন আর কিছু করার থাকে না। লিভার ভালো না থাকার লক্ষণগুলো জেনে নিন-

* দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস
মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পরেও যদি আপনার নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার লিভারের কোনো সমস্যা আছে। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো না থাকার একটি লক্ষণ এটি।

* অকারণে ওজন বেড়ে যাওয়া
লিভার যেহেতু চর্বি হজমের জন্য প্রধানত দায়ী সেহেতু এটি যথাযথভাবে কাজ না করলে দেহে চর্বি জমতে থাকে। যার ফলে ব্যাখ্যাতীতভাবে অকারণে ওজন বাড়তে থাকে।

* অ্যালার্জি
লিভার ভালো থাকলে তা এমন সব অ্যান্টিবডি তৈরি করে যেগুলো অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে। কিন্তু লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহ ওই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে জমা করতে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় আবার দেহ হিস্টামিন উৎপাদন করতে থাকে যা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারক উপাদানগুলো দূর করতে কাজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত হিস্টামিন উৎপাদন হলে আবার চুলকানি, ঝিমুনি এবং মাথা ব্যথা হতে পারে।

*ক্রমাগত অবসাদ
দেহে টক্সিন জমা হলে তা মাংসপেশির টিস্যুর বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করে। যা থেকে আবার ব্যাথা এবং শারীরিক অবসাদও সৃষ্টি হতে পারে। ক্লান্তি থেকে মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মানসিক অবসাদ এবং ক্ষোভের বিস্ফোরণের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে। লিভার ভালো না থাকার শীর্ষ লক্ষণগুলোর একটি এটি। দেহে অতি উচ্চ মাত্রায় টক্সিন বা বিষ জমা হওয়ারও একটি লক্ষণ এটি।

* অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া
বেশি বেশি কাজ করার কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং সেটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন লিভার দেহের অন্যান্য অঙ্গেও তাপ ছড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত ঘাম বের করার মাধ্যমে লিভার নিজেকে ঠাণ্ডা করে।

* ব্রণ
লিভারে জমা হওয়া টক্সিন দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে যারে। যা থেকে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে। কার্যক্ষমতা হারানো লিভারের কারণে সৃষ্ট ত্বকের এই সমস্যা ততক্ষণ পর্যন্ত যাবে না যতক্ষণ না পুনরায় লিভারের কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটানো হবে।

তবে যাদের লিভার সুস্থ আছে তারা কিছু খাবার নিয়মিত খেলে রোগব্যাধি এ অঙ্গটি থেকে দূরে থাকবে। যেমন-
* লেবুর গরম পানি : অন্যান্য খাবারের তুলনায় কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে খাওয়ার অভ্যাস লিভারে অনেক বেশি এনজাইম উৎপাদনে সহায়তা করে, এছাড়াও ভিটামিন সি গ্লুটেথিয়ন নামক যে এনজাইম উৎপন্ন করে তা লিভারের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে সামান্য লেবু চিপে পান করুন। এতে করে লিভার পরিষ্কার থাকবে।

* সবুজ চা : সবুজ চায়ের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহের ফ্রি সার্জিকেল টক্সিসিটি দূর করে এবং আমাদের লিভার পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন ১-২ কাপ সবুজ চা পান করার ফলে লিভারে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়ে যায় এবং পুরো দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।

* রসুন : রসুনে রয়েছে সালফারের উপাদান যা লিভারের এঞ্জাইমের সঠিক কাজে সহায়তা করে। এছাড়াও রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম যা লিভার পরিষ্কারের পাশাপাশি লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করে। তাই খাবারে প্রতিদিন রসুন ব্যবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

* হলুদ : লিভারের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য উপাদান হলুদ। হলুদ একটি নিরাময় ওষুধ হিসেবে বিবেচিত। এলিভারের ডিটক্স এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে, লিভারকে পরিষ্কার করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে সেইসঙ্গে আমাদের ইমিউন সিস্টেম এর জন্য ব্যবহার করা হয় হলুদ। এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। 

* আপেল : পেক্টিন নামক এক প্রকার উপাদান রয়েছে আপেলে। যা শরীরের খারাপ উপাদানগুলো দূর করে ও পরিপাকতন্ত্রকে টক্সিনমুক্ত করে। লিভারকেও টক্সিনমুক্ত করার কারণে, লিভার সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করতে পারে।

* সবুজ শাকসবজি : লিভারকে পরিষ্কার ও সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে সব থেকে ভাল খাবার হল সবুজ শাকসবজি। সবুজ শাক রান্না করে বা জুস করে খেতে পারেন। এটিতে রক্তের টক্সিন মুক্ত রাখার উপাদান রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/

393
 লিভার মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির লিভারের ওজন তিন পাউন্ড। দেহের এই লিভার অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে জড়িত। যেমন- হজম শক্তি, মেটবলিজম, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, দেহে পুষ্টি যোগানো ইত্যাদি। সুস্থ লিভার দেহের রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রন করে, রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়, দেহের সকল অংশে পুষ্টি যোগায়। এ ছাড়াও লিভার ভিটামিন, আয়রন এবং সাধারণ সুগার গ্লুকোজ সংরক্ষন করে। যেহেতু লিভার আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ তাই যে কোন উপায়ে একে সুস্থ সবল রাখতে হবে। অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন দেহের লিভারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, দীর্ঘ সময় ক্লান্তি অনুভব করা, হজমের সমস্যা, এলার্জি ইত্যাদি অসুখ দেখা দিতে পারে লিভারের অসুস্থতার কারণে। তাই দেহ ও লিভার সুস্থ রাখার জন্য চিনে নিন এমন কিছু খাবার, যা আপনাকে সুস্থ রাখবে।

১। রসুন:
প্রতিদিন যে কোন সময় ২/৩ টি রসুনের কোয়া খেয়ে নিন। লিভার পরিষ্কার রাখার জন্য উত্তম খাবার রসুন। এর এনজাইম লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান পরিষ্কার করে। এতে আছে আরও দুটি উপাদান যার নাম এলিসিন এবং সেলেনিয়াম। যা লিভার পরিষ্কার রাখে এবং ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান হতে রক্ষা করে।

২। লেবু:
লেবুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান দেহের লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ডি লিমনেন উপাদান লিভারে এনজাইম সক্রিয় করে। তা ছাড়া লেবুর ভিটামিন সি লিভারে বেশি করে এনজাইম তৈরি করে, যা হজম শক্তির জন্য উপযোগী। লেবুর মিনারেল লিভারের নানান পুষ্টি উপাদানগুলো শোষণ করার শক্তি বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন লেবুপানি পান করুন, চাইলে মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। আপেল:
প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে তা লিভারকে সুস্থ রাখে। আপেলের পেক্টিন ফাইবার, দেহের পরিপাক নালী হতে টক্সিন ও রক্ত হতে কোলেস্টোরল দূর করে এবং সাথে সাথে লিভারকেও সুস্থ রাখে। আপেলে আরও আছে ম্যালিক এসিড। যা প্রাকৃতিকভাবেই রক্ত হতে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে। যেকোন ধরণের আপেলই দেহের লিভারের জন্য ভালো। তাই লিভার সুস্থ রাখতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

বিডি-প্রতিদিন/

394
আমলকি খুবই জনপ্রিয় স্থানীয় একটি ফল। দামে সস্তা এই ফল মানুষ রুচি বৃদ্ধি থেকে শুরু করে নানা কাজে লাগিয়ে থাকে। রূপচর্চা থেকে নানাবিধ কাজে এর ব্যবহার রয়েছে। নিচে আমলকির কয়েকটি উপকারিতা বা ব্যবহারিক দিক নিয়ে আলোচনা করা হল:-

কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলস চিকিৎসায় :  আমলকির রস কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পাইলস রোগ থেকে মুক্তি দেয়।

স্কার্ভি দূরীকরণে : সাধারণত ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি নামক রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাধে। এর ফলে দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, মাড়িতে ঘা হয়, শরীর দুর্বল হয়ে যায়, চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ হয়, চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং হাড়ের মধ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। অথচ প্রতিদিন মাত্র ১-২টি আমলকি খেলে এসব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।

আলসার চিকিৎসায় :  নিয়মিত আমলকি খেলে পেটের আলসার দূর হয়।

ক্ষুধামন্দা দূর করতে :  প্রতিবার খাওয়ার আগে মাখন ও মধুর সঙ্গে আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়।

দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিকরণে : দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে আমলকি। এছাড়া চোখ লাল হওয়া, চুলকানো ও চোখ দিয়ে পানি পড়া রোধেও এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে।

সর্দি-কাশির চিকিৎসায় :  দীর্ঘমেয়াদী কাশি-সর্দির জন্য আমলকির নির্যাস উপকারী।

মেদ দূর করে : শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে দৈহিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।  এমনকি এটি খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়। ফলে মানুষ মুটিয়ে যায় না।

চুলের যত্নে : আমলকি চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে। চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য এটি একটি অপরিহার্য উপাদান। আমলকি খেলে শুধু চুলের গোড়াই শক্ত হয় না, চুল দ্রুত বেড়ে ওঠে।

খুশকির সমস্যায় :  চুলকে খুশকিমুক্ত ও কম বয়সে চুল পাকা রোধে আমলকি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

চর্মরোগের চিকিৎসায় : প্রতিদিন সকালে মধুর সঙ্গে আমলকির রস মিশিয়ে খেলে চর্মরোগ নিরাময় হয়। তাছাড়া এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং মুখের চামড়ায় কোনো দাগ পড়ে না।

বিডি প্রতিদিন/

395
প্রযুক্তিনির্ভর এই যুগে প্রায় সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তবে স্মার্টফোনের অন্যতম একটি সমস্যা হলো- ব্যবহারের মাঝখানে খুবই গরম হয়ে যায়। স্মার্টফোন গরম হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। তবে অতিরিক্ত গরম বিপদের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম হবার কারণ এবং সমাধান জানা দরকার।

কি পরিমান গরম হওয়া স্বাভাবিক:
আপনার ফোন কম দামি বলে বেশি গরম হয়, তা ঠিক নয়। স্বাভাবিকভাবে স্মার্টফোন ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হতে পারে। তবে স্ট্যান্ড বাই মোডেও যদি ফোনটি ৩৫-৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত গরম হয় তবে বুঝবেন আপনর ফোনে সমস্যা আছে।

ব্যাটারি:
মোবাইল কম্পানিগুলো বর্তমানে স্মার্টফোন দিন দিন পাতলা করছে। তবে তার তুলনায় ব্যাটারির প্রযুক্তি তেমন উন্নত হয়নি। ব্যাটারি যত বেশি দুর্বল হবে ফোন তত বেশি তাপ উৎপন্ন  করবে। ব্যাটারি চার্জ নেওয়ার সময় অথবা ডিচার্জ হওয়ার সময়েও ফোন বেশি গরম হয়ে থাকে।

প্রসেসর:
স্মার্টফোন গরম হওয়ার একটি করণ হচ্ছে প্রসেসর গরম হওয়া। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন স্মার্টফোনের মূল অঙ্গ হচ্ছে প্রসেসর। প্রসেসর এমন একটি ডিভাইস যা সবসময় কাজ করে থাকে। আপনি ফোন ব্যবহার করেন আর নাই করেন। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন দিয়ে প্রসেসর তৈরী হয়ে থাকে। প্রসেসর স্মার্টফোনের বডির সাথে লাগানো থাকে যার ফলে তাপ অনুভব হয়।

দুর্বল নেটওয়ার্ক:
ফোন গরম হওয়ার আরেকটি করণ হচ্ছে দুর্বল নেটওয়ার্ক। আপনার ফোনে যদি নেটওয়ার্ক দুর্বল থাকে তখন সিগনাল যায় আর আসে। আবার ওয়াইফাই ব্যবহারে সিগন্যালের জন্য অনেক বেগ পেতে হয়। দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য ফোনে বেশি চাপ পরে, যার ফলে স্মার্টফোন অত্যাধিক গরম হয়ে থাকে।

স্মার্টফোন অতিরিক্ত গরম থেকে মুক্তির উপায়:
সবসময় খেয়াল রাখবেন যে ফোনে যেন চার্জ থাকে।  একসাথে বেশি অ্যাপস চালু করে রাখবেন না। ফোনের অতিরিক্ত অ্যাপস ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি জায়গা নিয়ে নিচ্ছে কিনা সে দিকে খেয়াল রাখুন। স্মার্টফোন বেশি ব্যবহার করলে বা ফোনে অতিরিক্ত গেমস খেললে গরম হয় এটা একেবারেই ঠিক নয়।

র‌্যাম ও ক্যাশ মেমোরি সবসময় পরিস্কার রাখুন।  অপ্রয়োজনীয় ম্যাসেজ ডিলিট করুন। ফোনে কোন অ্যানিমিশন চালু থাকলে বন্ধ করুন। ফোনে এমন কভার ব্যবহার করুন যেন কভারটি চামরার হয়। বাহিরের তাপে যেন ফোন গরম না হয়ে যায় সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

সবসময় ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। পাশাপাশি, সবসময় ডেটা চালু করে রাখা উচিত নয়।

বিডি প্রতিদিন/ ২ জুলাই ২০১৮

396

 আম খেতে পছন্দ করেননা, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রিয় ফল আম স্বাদ ও পুষ্টিগুণে সবার মন জয় করে রেখেছে। শুধু খেতেই ভাল, তাই নয়। আমের রস ব্যবহারে চুলের নিস্তেজভাব দূর হয়ে হবে প্রাণবন্ত।

    জেনে নিন আম কীভাবে চুলে ব্যবহার করা যাবে:

    আম-ডিম হেয়ার প্যাক
    পাকা আমের রস আধা কাপ, দুই টেবিল চামচ টক দই ও একটি ডিমের কুসুম মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

    প্যাকটি মাথার তালু ও পুরো চুলে মেখে ৪৫ মিনিট রাখুন। এবার শ্যাম্পু করে নিন।

    এই প্যাক ব্যবহারে চুল হবে মসৃণ ও মজবুত। লম্বাও হবে দ্রুত।

    আম-কলা
    চুল কি প্রাণহীন-রুক্ষ? দীর্ঘদিনের অযত্ন ও অবহেলায় চুলের যে ড্যামেজ হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে পারেন মাত্র একটি প্যাক মাত্র একবার ব্যবহারেই। এজন্য একটি পাকা আমের রস ও     একটি পাকা কলা ম্যাশ করে নিন। সঙ্গে যোগ করুন এ টেবিল চামচ যেকোনো পছন্দের তেল।

    প্যাটি চুলে মেখে একঘণ্টা রাখুন, এবার পছন্দের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন। শুকানোর পর চুলে হাত দিয়ে অনুভব করুন, স্মুথ-সিল্কি-গর্জিয়াস হেয়ার। 

     বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

397
 হেঁচকি হলে খুবই কষ্ট পেতে হয় আর বিষয়টি অস্বস্তিরও। 

    কীভাবে হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয় জেনে নিন:

    •    এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানি অল্প অল্প পান করুন, হেঁচকি ওঠা বন্ধ হবে।
    •    হঠাৎ করে অবাক হলে হেঁচকি চলে যায়
    •    এক চামচ চিনি মুখ নিয়ে রেখে দিন বেশ কিছুক্ষণ। একটু পরে দেখবেন হেঁচকি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে।
    •    একহাতে নাক টিপে ধরে ঢোক গিলুন। এভাবে ঢোক গিলতে থাকুন ৩০ সেকেন্ড পর পর
    •    হেঁচকির সমস্যায় ১৫ সেকেন্ড জিভ বের করে রাখলে উপকার পাওয়া যায়
    •    এছাড়া খাওয়ার সময় ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেলে হবে
    •    অতিরিক্ত ঝাল খাবার না খাওয়াই ভালো।
    •    আঙুল দিয়ে কান বন্ধ করে রাখুন। ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড এভাবে কান বন্ধ করে রাখুন।

    কিছুক্ষণের মধ্যে হেঁচকি এমনিতেই কমে যায়। তবে দীর্ঘ সময়েও যদি না কমে তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

     বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

398
ডায়াবেটিসের লক্ষণ

    আজকাল অনেককেই শোনা যায়, ডায়াবেটিস হয়েছে। এটা হলে আমাদের জীবন-যাপনের বেশ পরিবর্তন ঘটে। তবে বেশিভাগ সময়ই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে বেশ দেরিতে, যখন দেখা যায়, শুধু ডায়াবেটিস নয়, শরীরে প্রেশারও অনেক বেশি, কোলেস্টেরল লেভেল চলে গেছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

    নীরবে আমাদের শরীরেই বেশি কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেগুলো আমরা নোটিসই করিনা অনেকে। অথচ ডায়াবেটিসের লক্ষণ এগুলো। আগেই যদি লক্ষ্য করা যায়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, খুব সহজেই শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারি।   

    জেনে নিন কখন যাবেন চিকৎসকের কাছে:

    অতিরিক্ত ক্ষুধা 
    খাওয়ার পরই দেখা যায়, আবার ক্ষুধা অনুভব করছেন। আসলে যখন রক্তে চিনির মাত্রা বৃদ্ধি পায়, তখন শরীরকে সচল রাখার জন্য অতিরিক্তি খাদ্যের প্রয়োজন হয়।

    ক্লান্ত লাগে

    ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে অল্প পরিশ্রমেই শরীর ক্লান্ত হয় যায়। ঘুম পায়, কাজে মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়।

    গলা শুকিয়ে যায়

    একটু পরপরই পানির তেষ্টা পায়, আর বারবার মূত্রত্যাগ করার প্রয়োজন বোধ হয়। এটাই ডায়াবেটিসের মূল লক্ষণ হিসেবে ধরে নেন অনেকে। 

    ওজন কমে
    অনেকেই খুশি হন এই ভেবে যে, অনেক চেষ্টা করেও যখন ওজন কমানো যায়নি। আর এখন এমনিতেই ওজন কমে স্লিম হয়ে যাচ্ছে। সত্যিটা হচ্ছে, ডায়াবেটিস যখন শরীরে বাসাবাঁধে, তখন ওজন কমে যায়।

    দৃষ্টি

    দীর্ঘদিন হাই ব্লাড সুগার থাকলে চোখের দৃষ্টি অস্পষ্ট হয়ে আসে।

    ইনফেকশন

    ব্লাড সুগার বৃদ্ধি পেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে শরীরে ফাংগাস ইনফেকশন বেশি হয়, আর যেকোনো ধরনের ইনফেকশন সারতে অনেক বেশি সময় নেয়। 

    শরীরে এর যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সুস্থ থাকুন।
     

     বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম/জুন ২৯, ২০১৮
     
     

399
মনোবিদ্যা অনুযায়ী, এক ধরনের অনুভূতিজনিত আঘাত থেকে মানুষ ঈর্ষা করতে শুরু করেন এবং তার মূলে থাকে নিজের কোনো কমতি বা দুর্বল দিক। অন্য কেউ ‘আমার চেয়ে ভাল’ এই ভাবনাই মানুষের মধ্যে ঈর্ষা তৈরি হওয়ার প্রাথমিক শর্ত।

গবেষকদের মতে, ঈর্ষান্বিত ব্যক্তিরা প্রথমে ক্রোধ অনুভব করেন এবং পরবর্তীতে এই ক্রোধ হীনমন্যতার জন্ম দেয়। এতে করে মানসিক শান্তি নষ্ট হয় ও আত্মবিশ্বাসের উপর প্রভাব পড়ে যা জীবনের লক্ষ্যকে নষ্ট করে দিতে পারে মুহূর্তের মধ্যেই।

তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় নিজের ভাবনা বা অনুভূতিকে।

১. নিজেকে বোঝান আপনাকে ঈর্ষা নামক অনুভূতি থেকে মুক্ত থাকতে হবে
মানুষ চাইলে পারে না এমন কাজ কমই আছে। বিশেষ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা কিন্তু আমাদের হাতেই দিয়ে দিয়েছেন। ঈর্ষা করে যে লাভ নেই তা নিজেকে বোঝান। বরং নিজেকে করে তুলুন ঈর্ষনীয়।

২. নিজেকে মনে করিয়ে দিন ঈর্ষান্বিত হওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো
ঈর্ষান্বিত বোধ করলে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে তা মনে করিয়ে দিন নিজেকে। আপনার সামান্য ঈর্ষাবোধ আপনার মধ্যে হীনমন্যতা, বিষণ্ণতা, রাগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে যা আপনার মন ও স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। তাই ঈর্ষা করা নিজের ক্ষতি তা নিজেকেই মনে করিয়ে দিন।

৩. অল্পটা নয় পুরো ছবিটা দেখার চেষ্টা করুন
কারো উন্নতি এবং সফল জীবন দেখলে যদি ঈর্ষা মনে বাসা বাঁধতে থাকে তাহলে শুধু এই বিষয়টি দেখেই থেমে থাকবেন না। দেখুন তার উন্নতি এবং সফল জীবনের পেছনের কাহিনী। তিনি কতোটা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকের সফল জীবন পেয়েছেন তার পুরো ছবিটা জানার চেষ্টা করুন। দেখবেন মনের ঈর্ষাটি আপনাআপনিই কেটে যাচ্ছে।

৪. খুব বিশ্বস্ত কারো সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন
‘ঈর্ষা, হিংসা বা রাগ ধরণের অনুভূতি যদি তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় তাহলে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়’, বলেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর ডঃ কেইথ হ্যামফ্রেস। তাই নিজের অনুভূতির কথা কারো সাথে শেয়ার করে নিজের মানসিক অবস্থার প্রেক্ষিতে পরামর্শ নিন। নিজেকে বুঝে উঠার চেষ্টা করুন।

৫. আপনার মধ্যে কেন এই ধরণের অনুভূতি হচ্ছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন
কারো উন্নতি বা কারো সুখের জীবন দেখে ঈর্ষা বোধ করেন? তাহলে আগে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন কেন এমনটি হচ্ছে। আপনার কোন ধরণের কমতির জন্য আপনি ঈর্ষান্বিত বোধ করছেন। নিজের অপূর্ণতা খুঁজে বের করে তা মেটানোর চেষ্টা করুন। এবং নিজের অপূর্ণতার জন্য হীনমন্যতায় না ভুগে আত্মবিশ্বাসের সাথে তা পূরণের চেষ্টা করুন।

সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

বিডি প্রতিদিন/ ২৪ জুন ২০১৮/

400
সাধারণত দেখা যায় যে, চুলের যত্নের ব্যাপারে ছেলেরা উদাসীন হয়ে থাকে। অনেক সময় একটি সপ্তাহে কেটে গেলেও একটি দিনও তেল দেয়া কিংবা শ্যাম্পু করা হয়ে ওঠে না। আর এতে মাথার ত্বক এবং চুলের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। যার ফলে চুল পড়া শুরু হয় যা শেষ পর্যায়ে টাকে গড়ায়। তাই ছেলেদের কিছু যত্ন নেয়া উচিত। যাতে টাক সমস্যায় ভুগতে না হয়।

এটা দেখা যায় যে, ছোট বেলায় মেয়ের মাথা কেশঘন করতে মায়েরা জবা তেল মালিশ করেন। আসলে জবার তেলে আছে চুল ঘন করার সব গুণ। রিসার্চে দেখা গেছে, জবার মালিশে খুব অল্পদিনেই লম্বা হয় চুল। মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। জবা ফুলে ও পাতা অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, অ্যালফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টে ভরপুর। যা চুলে পক্ষে ভালো। এবার জেনে নিন- যেভাবে মাথায়  ব্যবহার করতে পারেন জবা -

* পাতা - জবার পাতা গুঁড়ো করে, সেই গুঁড়োর পেস্ট বানিয়ে মাথার তালুতে লাগালে উপকার।

* তেল - একটি কাঁচের কৌটায় নারকেল তেল নিন। তাতে ১০-১৫টি জবা ফুলের পাতা ফেলে দিন। এবার সেই কৌটার মুখ বন্ধ করে ঘরের ঠান্ডা জায়গায় রেখে দিন ৩-৬ সপ্তাহ। তারপর তেল থেকে পাতাগুলি বের করে নিন। জবার তেল তৈরি। এই তেল দিয়ে নিয়মিত মাথার তালু ও চুল ম্যাসাজ করুন। তাড়াতাড়ি লম্বা হবে। গোড়া শক্ত হবে। চুল সাদা হবে না। ঝরা কমবে। ফিরে আসবে নতুন চুলও। আর কী চাই!

* এক গ্লাস পানি একটি পাত্রে নিয়ে ফুটিয়ে এতে ২ টি জবাফুল দিয়ে ৩/৪ মিনিট আরো ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ঠাণ্ডা হতে দিন। পানি ঠাণ্ডা হয়ে এলে ছেঁকে নিয়ে এতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। চুল শ্যাম্পু করে ধোয়ার পর এই মিশ্রণটি যেখানে টাক পড়া শুরু করেছে সেখানে লাগিয়ে রাখুন। জবা ফুলের রস নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। চুল ঝরা থেকেও বাঁচাবে। সূত্র: ইন্টারনেট।

বিডি প্রতিদিন/

401
মোহনীয় কেশ সবারই কাম্য। কিন্তু নানা দূষণ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অনিয়মিত লাইফস্টাইলের কারণে সাধের চুল হারিয়ে যায়। কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চুলের যত্ন নিলে চুল ভালো থাকবে। এ জন্য রইল পরামর্শ। জানাচ্ছেন— ফেরদৌস আরা

 চুল পড়াটা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই দুশ্চিন্তার বিষয়। কিন্তু সঠিক পরিচর্চার চেয়ে অনেকেই ভুল করে বসেন। তাই শুরুতেই  জেনে নিন কী কী সমস্যার কারণে আপনার সাধের ঘন কেশগুলো ঝরে যেতে পারে এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়।

 ► চুলের গোড়ায় ময়লা জমে।

► একদিন চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করলে তেলতেলে ভাব হয়।

► মাথা চুলকানো কিংবা চুলের গোড়ায় ছোট ছোট গোটা হওয়া।

► সাদা সাদা খুশকি দেখা দিলে।

► চুলের আগা ফেটে যাওয়া।

► চুল লালচে হয়ে যাওয়া এবং রুক্ষভাব হওয়া।

► চুলের গোড়ায় ব্যথা হলে।

এমনিতেই গরমের সময় রোদে চুলে সানবার্নের সমস্যা দেখা দেয়। রোদের তাপ, ধুলোময়লা, অতিরিক্ত ঘামে চুল হয়ে পড়ে নিস্তেজ ও ভঙ্গুর। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল হয়ে যায় নিষ্প্রভ। অনেক সময় চুলের স্ক্যাল্পে ইনফেকশন বা র‌্যাশের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। মাথার স্ক্যাল্পে রক্তস্বল্পতা এবং ভিটামিনের অভাবে দেখা দেয় খুশকি। চুল পড়া শুরু হয়। এসব সমস্যার পেছনে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত লাইফস্টাইল। ব্যস্ততা কিংবা অনিহাবশত চুলের পরিচর্চা করতে নারাজ। অনেকেই বাজারের চলতি প্রোডাক্ট অতিরিক্ত ব্যবহার করে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারান। অনেকের আবার হরমোনাল চেঞ্জ এন্ড্রোজনিক এলোপিসিয়া বা বংশগত কারণে চুল পড়ে যায়। এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে প্রয়োজন সঠিক পরিচর্চা আর নিয়মতান্ত্রিক লাইফস্টাইল।

 

কী করবেন?

 

সাধারণত চুলের সঠিক যত্নের অভাবে চুল পড়ে যায়। দুশ্চিন্তা করে আর সমস্যা না বাড়িয়ে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে চুল ঝরা রোধ করা সম্ভব। এজন্য একদিন অন্তর অন্তর সঠিক নিয়মে চুল পরিষ্কার করুন। ভেজা চুল কখনই আঁচড়ানো ঠিক নয়। এমন অভ্যাস থাকলে এখন থেকেই পরিহার করুন। তা ছাড়া গরমে চুলের যত্নে রোজকার রুটিনে বাড়তি সময় নিন। অয়েল ম্যাসাজ, শ্যাম্পু, কন্ডিশনারের মতো কয়েকটি জিনিস ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে সপ্তাহে একদিন হেয়ার মাস্ক ট্রাই করুন। গরমের তাপে শরীর নিজেকে ঠাণ্ডা রাখতে ঘাম নিঃসরণ করে। এতে স্বভাবতই স্ক্যাল্পে সমস্যা দেখা  দেয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত চুলের পরিচর্চা প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন শ্যাম্পু করুন। তবে যাদের রোদে চলাফেরা প্রতিদিনকার রুটিন তারা রোজ শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। হার্বাল শ্যাম্পু হলে ভালো। শ্যাম্পু করার সময় প্রথমে চুল ভিজিয়ে তারপর আঙ্গুলের ডগা দিয়ে শ্যাম্পু স্ক্যাল্পে ও চুলে লাগান। হালকা করে ম্যাসাজ করুন। তবে খুব জোড়ে ঘষবেন না। শ্যাম্পু করার পর বেশি করে ঠাণ্ডা পানি ঢেলে চুল ধোবেন। শ্যাম্পু যেন লেগে না থাকে। পাশাপাশি হেয়ার প্যাক ট্রাই করতে পারেন। হেয়ার প্যাক চুলের ভিতর থেকে পুষ্টি জুগিয়ে মজবুত করে। শুধুমাত্র পরিচর্চাতেই সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। লাইফস্টাইলেও আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমেই চুল পড়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল, শাকসবজি, ডিম, দুধ রাখুন। চুল প্রোটিন দিয়ে তৈরি। তাই খাদ্য তালিকায় প্রোটিন না রাখলেই নয়। অনেকেই ওজন কমাতে বাড়তি ডায়েট করে থাকেন। এক্ষেত্রে সঠিকমাত্রার প্রোটিনের বিষয়টিও খেয়ালে রাখা উচিত। প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করুন। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এ উপাদান থাকে। স্যামন ও ম্যাকারেল মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি অ্যাসিড। এসব মাছ খেতে পারেন। তা ছাড়া তিসির তেলও চুল পড়া রোধে বেশ সহায়ক। এ তেল খাওয়ার জন্য নয়, প্রতিদিন ২ চা-চামচ তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খান। চুল পড়া অনেকাংশে কমে আসবে। যাদের চুল পড়ে, তারা বাজারের চলতি প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। তেল, তা যত দামিই হোক— চুলের পুষ্টি জোগাতে পারে না। চুলে তেল দিলেও ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। হেয়ার জেল ব্যবহার না করাই ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।



Source: http://www.bd-pratidin.com/
 



402
কান ভালো রাখতে কিছু যত্নআত্তির প্রয়োজন হয়ই। কান শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর যত্ন খুবই জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘কান পরিষ্কারের সবচেয়ে ভালো সময় হলো গোসলের পর। তখন কান একটু ভেজা ভেজা থাকে। এতে ময়লা সহজে বের হয়ে আসে। তবে প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে একদিন এভাবে পরিষ্কার করতে পারেন। এ ছাড়া কান ভালো রাখতে আরও কিছু কাজ করা প্রয়োজন। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে জানানো হয়েছে এই পদক্ষেপগুলোর কথা।

 

চিকিৎসকের কাছে যান

কোনো সমস্যা না থাকলেও ছয় মাসে অন্তত একবার নাক কান গলা বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। এতে আপনার কানের কী অবস্থা সে বিষয়ে জানতে পারবেন। আর কোনো সমস্যা থাকলে প্রাথমিক অবস্থাতেই এর চিকিৎসা করিয়ে নিতে পারবেন।

তেলের ব্যবহার

কান পরিষ্কার করতে রাতে শোয়ার আগে কয়েক ফোঁটা তেল দিতে পারেন। এতে ময়লাগুলো নরম হয়ে যাবে। তখন ময়লা বেরিয়ে আসতে সুবিধা হবে।

কান খোঁচানো নয়

কান চুলকানোর সময় অনেকে হাতের কাছে যা পায় তা দিয়েই কান খোঁচানো শুরু করে। পেনসিল, ক্লিপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে থাকে। যদি কানে কিছু ব্যবহার করতেই হয়, তবে কটন বাড ব্যবহার করুন। তবে সেটি একটু তেল দিয়ে ভিজিয়ে বা আর্দ্র করে ব্যবহার করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, কানের ময়লা এমনিতেই বেরিয়ে আসে। ঘন ঘন কটন বাড ব্যবহারও ঠিক নয়।

ছিদ্রের বেশি ভিতরে ঢুকবেন না

কান পরিষ্কারের সময় বাইরের দিকটা ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। খুব বেশি ভিতরের দিকে ঢুকবেন না। এতে কানে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কান পরিষ্কারের সময় খুব সতর্ক থাকা উচিত। আলতোভাবে কাজটি করতে হবে।

হেড ফোন শেয়ার না করা

হোক আপনার খুব আপন লোক, হেড ফোনটা কিন্তু না শেয়ার করাই ভালো। তার কানে তো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থাকতেই পারে, তাই নয় কী! হেড ফোনের সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যাকটেরিয়াও কিন্তু তখন শেয়ার হয়েই যেতে পারে। তখন আপনিও সেই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

জোরে গান না শোনা

দুই ঘণ্টার বেশি খুব জোরালো আওয়াজে গান শোনা ঠিক নয়। এতে কানের ক্ষতি হয়। এ ছাড়া কান ভালো রাখতে খুব জোরে আওয়াজ হয়, এরকম জায়গা এড়িয়ে চলাই ভালো।

ধূমপান করবেন না

খুব বেশি ধূমপান করলে কানে শোনার সমস্যা হতে পারে। সবচেয়ে ভালো হয় ধূমপান ছেড়ে দিতে পারলে।

লেখক—

অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু
বিভাগীয় প্রধান
ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।


403
সতর্কতা

একটা সময় হৃদরোগকে সাধারণত বয়স্ক মানুষের রোগ বলেই মনে করা হতো। কিন্তু আজকাল প্রায় সব বয়সী মানুষই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাই হৃদরোগের লক্ষণসমূহ এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিত।

গবেষণায় দেখা যায়, পারিবারিক ইতিহাস ও জেনেটিক বৈশিষ্ট্যই হৃদরোগের ক্ষেত্রে প্রধান ও নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারণেই মানুষ আজকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হন বেশি। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ এবং অতিরিক্ত ওজন। বর্তমানে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন হৃদরোগের অন্যতম বড় ঝুঁকিপূর্ণ কারণ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, জ্ঞানের স্বল্পতার কারণেই পরিস্থিতি প্রায়ই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

তাই হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে কয়েকটি পূর্ব সতর্কতামূলক পদক্ষেপ জেনে নেওয়া ভালো। যার মাধ্যমে হৃদরোগের  প্রাথমিক লক্ষণগুলো চিহ্নিত করে আগেভাগেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যায়।

 

হৃদরোগের লক্ষণসমূহ :

০. বুকে বা বাহুতে ব্যথা হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। তবে শুধু বুকে ব্যথা হলেই হৃদরোগ বলা যায় না। বাহু, চোয়ালের পিছন দিক এবং গলায় চিনচিনে ব্যথা হতে পারে।

০. অনেক সময় অনেকে বলে থাকেন বুকে জ্বালাপোড়া করার কথা। এমনটা হলে সাবধান হোন। কেননা এটিও হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।

০. বদহজম, বমিবমি ভাব, অনিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাস হৃদরোগের উপসর্গ হতে পারে।

০. হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস ওঠানামা করে। অনেক সময় রোগী ঘামতে থাকে। এমনটা প্রবল শীতেও হতে পারে।

০. হৃদরোগ সবসময় হঠাৎ করে হবে এমনটা নয়। অনেক সময় হৃদরোগ ধীরে ধীরে মানুষের হৃদযন্ত্রকে ব্লক করে দেয়। এ ধরনের হৃদরোগকে ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’ বা হার্ট অ্যাটাক বলে। এ ক্ষেত্রে প্রবল অস্বস্তিকর অনুভ‚তি অন্যতম লক্ষণ।

হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় :

০. যদি কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন তাহলে প্রথমেই জরুরি বিভাগে ডাক্তার দেখাতে হবে। কারণ অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কোনো চিকিৎসা করতে গেলে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়তে পারে।

০. হার্ট অ্যাটাকের পরপরই রোগীকে শক্ত জায়গায় হাত-পা ছড়িয়ে শুইয়ে দিন এবং গায়ের জামা-কাপড় ঢিলেঢালা করে দিন।

০. হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে বাতাস চলাচলের রাস্তাগুলো সব উম্মুক্ত করে দিন। এটি রোগীকে গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করবে।

০. হার্ট অ্যাটাকের পর যদি আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাকে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাস-প্রশ্বাস চালুর চেষ্টা করুন।

০. হার্ট অ্যাটাকের পর রোগীর যদি বমি আসে তাহলে তাকে একদিকে কাত করে দিন। যাতে সে সহজেই বমি করতে পারে। এতে ফুসফুসের মতো অঙ্গে বমি ঢুকে পড়া থেকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি রক্ষা পাবেন।

০. হার্ট অ্যাটাকের পর হৃৎপিণ্ডে রক্তের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য বাজারে প্রচলিত ৩০০ মি.গ্রা. ডিসপ্রিন (অ্যাসপিরিন), ৩০০ মি.গ্রা. ক্লোপিডোগ্রেল (Clopidogrel), ৪০ মি.গ্রা. অ্যার্টভাস্টাটিন (Atova) এবং ৪০ মি.গ্রা. ওমিপ্রাজল খাইয়ে দ্রুত হৃদরোগ হাসপাতালে পৌঁছে দিন। সেখানে কার্ডিওলজিস্ট দ্রুত পরীক্ষা করে প্রয়োজনে জরুরি অ্যান্জিওপ্লাস্টি (urgent PTCA ) সহ অন্যান্য জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

প্রতিকার : হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে  এর প্রতিকার সম্পর্কে জানা জরুরি, এবার জেনে নিন, কী করে হৃদরোগের প্রতিকার করা সম্ভব বা তা থেকে বাঁচার উপায়।

০. হৃদরোগের শত্রু হচ্ছে ধূমপান। তাই ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।

০. ধূমপানের মতো মাদকও হৃদরোগের আরেকটি কারণ, তাই মাদককে না বলুন।

০. অযথা দুশ্চিন্তা করবেন না। নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন।

০. মাঝে মাঝে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।

০. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত হাঁটা-চলা ও ব্যায়াম করে নিজেকে সুস্থ রাখুন।

০. প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খান।


Source:http://www.bd-pratidin.com/

404
Heart / এনজিওগ্রাম কি এবং কেন?
« on: June 25, 2018, 12:35:37 PM »
এনজিওগ্রাম রক্তনালির একটি পরীক্ষার নাম ও চিকিৎসাপদ্ধতি। এই পরীক্ষাটি এক ধরনের Special X-Ray পরীক্ষার মতো। যার সাহায্যে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির, মস্তিষ্কের রক্তনালি, কিডনির রক্তনালি ও হাত-পায়ের রক্তনালি দেখা যায়। যেভাবে এই পরীক্ষা করা হয় সেই পদ্ধতিকে এনজিওগ্রাফি বলে এবং পরীক্ষার পর X-Ray Image বা Film যেটি বের হয় তাকে বলে এনজিওগ্রাম। হৃৎপিণ্ডের রক্তনালির সমস্যা দেখার জন্য যে এনজিওগ্রাম করা হয় তাকে করনারি এনজিওগ্রাম বলা হয়। হৃৎপিণ্ডের একটি রোগ আছে, সেই রোগটির নাম করনারি আর্টারি ডিজিস বা ইসকেমিক হার্ট ডিজিস। কোনো কারণে যদি করনারি আর্টারির ভিতর চর্বি জমে হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশির অক্সিজেন ও নিউট্রিশন সরবরাহে ব্যাহত করে, তখন বুকে ব্যথা হতে পারে। এসব  রোগীর অবশ্যই করনারি এনজিওগ্রাম করা উচিত। যদি করনারি আর্টারিতে চর্বি জমে পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়, তবে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হবে। সঙ্গে সঙ্গে বমি হতে পারে। ঘাম হতে পারে ও বুক ধড়ফড় করতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এই রোগকে তখন Acute Myocardial Infarction বলে থাকে।  হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি যদি করনারি আর্টারিতে চর্বি জমার জন্য অক্সিজেন ও নিউট্রিশন না পায় তখন হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি শুকিয়ে যায় এবং হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশি তখন চঁসঢ় করতে পারে না। ফলে শ্বাসকষ্ট হয়ে মৃত্যুও হতে পারে। সুতরাং Acute Myocardial Infarction হওয়ার আগে এনজিওগ্রাম করাটা বাঞ্ছনীয়। হৃদরোগ নির্ণয়ের জন্য ECG, Echo Cardiogram, ETT, 24 Hours Holter Monitor, Stress Echo-Cardiography, Thallium Scan অন্যতম। তবে আধুনিকতম চিকিৎসা পদ্ধতি হলে Coronary Angiogram (CAG) অনেক সময় ECG, Echo-Cardiography, ETT, Stress Echo-Cardiogram করে করনারি আর্টারি ডিজিস নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে করনারি এনজিওগ্রাম বা CAG করে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। Echo Cardiogram করে হৃৎপিপণ্ডের মাংসপেশির রোগ এবং হৃৎপিণ্ডের কপাটিকার রোগ নির্ণয় করা যায়। হৃৎপিণ্ডের সব রোগের জন্যই এনজিওগ্রাম করা দরকার নেই। শুধু করনারি আর্টারি ডিজিস বা Ischaemic Heart Disease এর জন্য করা যেতে পারে ও চিকিৎসা নেওয়া যেতে পারে।  অনেক রোগী এনজিওগ্রাম করতে ভয় পান। এনজিওগ্রাম বুক কেটে বা বড় কোনো অপারেশন করে করা হয় না। ডান কুঁচকির একটা রক্তনালি আছে তার নাম ফেমরাল আর্টারি। লোকাল Anesthesia ব্যবহার করে Injection-এর একটি Needle দিয়ে ফেমরাল আর্টারিতে প্রবেশ করে, একটি ক্যাথেটার-এর মাধ্যমে সরাসরি হৃৎপিণ্ডের করনারি আর্টারি দেখা যায়।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা।

405
ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথায় আজকাল অনেকেই কাবু হচ্ছেন৷ কারণ বেশির ভাগ অফিস মানেইতো কম্পিউটারের সামনে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাওয়া৷ এতেই নাকি যত সমস্যা, অথচ উপায় নেই। কারণ কম্পিউটার ছাড়াতো এখন কাজ করার কথা ভাবাই যায় না৷ আর ঘাড়ে পিঠে ব্যাথা নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে জানা যায়, এই ব্যাথার অন্যতম প্রধান কারণ হল সার্ভিকাল স্পন্ডিলোসিস।

মেরুদন্ডের ক্ষয় রোগ হল স্পন্ডিলোসিস আর মেরুদন্ডের ঘাড়ের অংশের ক্ষয়কে বলে সার্ভিকাল স্পন্ডাইলোসিস। আমাদের মেরুদন্ড গঠিত হয় হাড়, মাংশপেশী, হাড়ের জোড়া ইত্যাদি নিয়ে।

সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলোসিসে হল একটি বয়স বৃদ্ধিজনিত রোগ । স্পন্ডিলোসিসের পরিবর্তন শুরু হয় ৪০ বৎসর বয়সের পর থেকে যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে তার আগেও শুরু হয় হাড়ের ক্ষয়। পুরুষ বা মহিলা উভয়ই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন৷

সাধারণত ঘাড় সামনে ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয় এমন সব পেশার মানুষদের এ রোগটি বেশী দেখা যায়। যেমন- শুধুমাত্র চেয়ার টেবিলে বসে কাজ করে এমন এক্সিকিউটিভ, কম্পিউটারে একনাগাড়ে কাজ ইত্যাদি। ঘাড়ের ঝাঁকুনি হয় এমন পেশা যেমন নর্তকী, মোটরসাইকেল বা সাইকেলে চলাচল করতে হয় এমন পেশা ইত্যাদি। রোগীদের ঘাড়ের আঘাতের ইতিহাস থাকে অনেক ক্ষেত্রে।

রোগের উপসর্গ
এই রোগের উপসর্গ হল ঘাড়ের ব্যাথা অনেক সময় কাঁধ থেকে উপরের পিঠে, বুকে, মাথার পিছনে বা বাহু হয়ে হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে। ঘাড় থেকে হাতে নেমে আসা স্নায়ু বা নার্ভের উপর চাপ পড়লে পুরো হাতেই ব্যথা হতে পারে।

এই রোগের সবচেয়ে মারাত্মক দিক হল যদি স্পাইনাল কর্ডের উপর চাপ পড়ে। হাত পায়ে দুর্বলতা, হাঁটতে অসুবিধা হতে পারে। পায়খানা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।

এই রোগের আক্রান্ত হলে ঘাড় নাড়াতে গেলে ব্যথা লাগে। ডানে বায়ে ঘাড় ঘুরাতে সমস্যা হবে। ঘাড়ে স্থবিরতা লাগে বা জ্যাম মেরে ধরে থাকে। ব্যথার সঙ্গে হাতে, বাহুতে ঝিন ঝিন, সির সির্, অবশ ভাব, সূচ ফোটানোর অনুভুতি সাথে হাত দিয়ে কাজ করতে অসুবিধা।

লক্ষনঃ
ঘাড়, পিঠের উপরের অংশ এবং বাহুতে চাপ দিলে ব্যথা অনূভুত হয়। ঘাড়ের স্বাভাবিক নড়াচড়া ব্যাহত হয়।

অন্যান্য পরীক্ষাঃ- রক্তের গ্লুকোজ, প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা।

বিশেষ পরীক্ষাঃ- ঘাড়ের এম আর আই, ইলেক্ট্রোমায়োগ্রাফি।

চিকিৎসা-
১) ওষুধ- ব্যাথার ঔষধ, মাংশপেশী শিথিল করার ঔষধ, দুশ্চিন্তা কমানোর ঔষধ।

২)ফিজিওথেরাপী- ঘাড়ের টানা বা সার্ভিক্যাল ট্রাকশান, শর্ট ওয়েভ ডায়াথার্মি, ম্যাসাজ, ট্রান্সকিঊটেনিয়াস ইলেক্ট্রিক নার্ভ স্টিমুলেশান।

এক্ষেত্রে উপদেশ-
১। শক্ত সমান বিছানায় এক বালিশে চিত হয়ে ঘুমাতে হবে।

২। ঘুমানোর সময় ঘাড়ের নিচে বালিশ দিতে হবে।

৩। দরকার হলে বালিশ নিচে টেনে নামিয়ে ঘাড়ের নিচে নেবেন বা কম উচ্চতার বালিশ ব্যবহার করবেন।

৪। ঘাড় সামনে ঝুঁকিয়ে বেশিক্ষণ কাজ করা যাবেনা।

৫। কাজের জায়গায় চেয়ার টেবিল এমন ভাবে রাখবেন যাতে ঘাড় সামনে না ঝুকিয়ে কাজ করতে না হয়।

৬। ব্যথা বেশি হলে ঘাড়ে হালকা গরম সেক দিতে পারেন।

৭। এসময় ঘাড়ের ব্যয়াম বেশ আরাম দেবে।

৮। সার্ভিক্যাল কলার ব্যবহার করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে।

 

বিডি প্রতিদিন/





 
 
   
   

Pages: 1 ... 25 26 [27] 28 29 ... 32