Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Various Sura & Dua => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on November 22, 2020, 11:17:13 AM

Title: যে ৫ কারণে আমাদের দোয়া কবুল হয় না
Post by: Mrs.Anjuara Khanom on November 22, 2020, 11:17:13 AM
আওয়ার ইসলাম: আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে কেউ দোয়া করলে তিনি খুব খুশি হন । যারা আল্লাহর কাছে চায় আল্লাহ তাদের তিনি ভালোবাসেন। আর যারা আল্লাহর কাছে চায় না তিনি তাদের অপছন্দ করেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ -সুরা : মুমিন, আয়াত : ৬০

আল্লাহ বলেছেন আমাদের ডাকে সাড়া দিবেন। কিন্তু কখনো কখনো দেখা যায়, আমরা দিনরাত তার কাছে কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেও কবুল হচ্ছে না। এর কারণ কী? ইসলাম বিশেষজ্ঞদের মতে কিছু কিছু কারণে আমাদের দোয়া আরশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছায় না। যদি এসব ক্ষেত্রে আমরা একটু সচেতন হয় তাহলে আমরা আমাদের ডাকে সাড়া দিবেন বলে আশা করা যায়।

এক- আল্লাহপ্রদত্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া : হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎ কাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তাআলা শিগগির তোমাদের ওপর তাঁর শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তাঁর কাছে দোয়া করলেও তিনি তোমাদের সেই দোয়া গ্রহণ করবেন না। -সুনানে তিরমিজি: ২১৬৯

দুই- আত্মীয়তা ছিন্ন করা : আত্মীয়তা ছিন্ন করা একটি বড় ধরনের পাপ। এই পাপের শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গাতেই ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কোনো মুসলিম দোয়া করার সময় কোনো গুনাহের অথবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নের দোয়া না করলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে এ তিনটির কোনো একটি দান করেন। এক- হয়তো তাকে তার কাঙ্ক্ষিত সুপারিশ দুনিয়ায় দান করেন, দুই- অথবা তা তার পরকালের জন্য জমা রাখেন এবং তিন- অথবা তার কোনো অকল্যাণ বা বিপদাপদ তার থেকে দূরে করে দেন। সাহাবিরা বলেন, তাহলে তো আমরা অনেক বেশি লাভ করব। তিনি বলেন, আল্লাহ এর চেয়েও বেশি দেন। -আত-তারগীব: ১৬৩৩

তিন- দোয়া করে নিরাশ হওয়া : দোয়ার পর আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস রেখো যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন। নেতিবাচক কোনো চিন্তা না করা। অন্যথায় এ দোয়া বিফল হয়ে যেতে পারে। আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। সহিহ বুখারি: ৬৩৪০

চার- হারাম থেকে বেঁচে থাকা : দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে হারাম খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় ইত্যাদি পরিহার করা। হারাম উপার্জনে নিজেকে সম্পৃক্ত করে যতই দোয়া করা হোক, তা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে যার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত ও সারা শরীর ধুলামলিন। সে আসমানের দিকে হাত প্রশস্ত করে বলে, হে আমার প্রভু! হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন-জীবিকাও হারাম। এমতাবস্থায় তার দোয়া কিভাবে কবুল হতে পারে? – সুনানে তিরমিজি: ৮৯৬৯

পাঁচ-অন্যমনস্ক হয়ে দোয়া করা : দোয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে দোয়া করা। আল্লাহ অবচেতন মনের দোয়া গ্রহণ করেন না। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া কোরো। জেনে রেখো, আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। -সুনানে তিরমিজি: ৩৪৭৯)