Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Messages - safayet

Pages: [1] 2 3 ... 12
3
Faculty Sections / Re: ঘুম না হলে!
« on: October 04, 2018, 01:36:22 PM »
Thank you Madam  :)

5
জ্যামে বসে থাকতে থাকতে ক্লান্ত? উড়ুক্কু গাড়ির কথা হয়তো এত দিন শুনে এসেছেন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে পড়েছেন কিংবা চলচ্চিত্রে দেখছেন। বাস্তবে এবার সত্যিই উড়ুক্কু যানের দেখা মিলবে। মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুগলের সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ উড়ুক্কু ট্যাক্সি তৈরিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। গুগলের পৃষ্ঠপোষকতার কিটি হক নামের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে উড়ুক্কু ট্যাক্সি। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডে এ উড়ুক্কু গাড়ি পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে।

ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই উড়ুক্কু যান ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে বিপ্লব আনবে। কারণ, এ গাড়িগুলো চালকবিহীন।

গত মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ল্যারি পেজের কোম্পানি কিটি হকের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জেফায়ার এয়ারওয়ার্কসের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। ভবিষ্যতের উড়ুক্কু গাড়ি তৈরি ও পরীক্ষা করার অনুমতি পাওয়ায় এখন সেখানে উড়ুক্কু গাড়ি দেখা যাবে।

কিটি হকের তৈরি ওই উড়ুক্কু গাড়ির নাম হবে ‘কোরা’। এর পাখায় এক ডজন ছোট রোটর রয়েছে। এর ফলে এটি হেলিকপ্টারের মতো খাঁড়াভাবে ওঠানামা করতে পারবে। তবে এর নির্মাতারা বলছেন, কোরাতে হেলিকপ্টারের মতো শব্দ হয় না। অর্থাৎ কম শব্দের এ উড়ুক্কু গাড়ি শহরাঞ্চলে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহার করা যাবে। বাড়ির ছাদ বা গাড়ি রাখার জায়গায় এটিকে নামানো যাবে।

6
৭৬ বছর বয়সে চলে গেলেন বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ জ্যোতিঃপদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। গতকাল বুধবার মৃত্যুবরণ করেন পৃথিবীর অন্যতম সেরা এই বিজ্ঞানী। পৃথিবীর শুরু নিয়ে যেমন গবেষণা করেছেন তিনি, তেমনই মানবসভ্যতার ইতি নিয়ে সব সময় সতর্ক করেছেন। মানবসভ্যতার ধ্বংসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবটের ভূমিকা থাকবে বলে মনে করতেন তিনি।
গত বছরের নভেম্বরে ওয়্যার্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হকিং বলেছিলেন, ‘আমি ভয়ে আছি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো একদিন মানুষের স্থলাভিষিক্ত হবে। মানুষ যেমন কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করেছে। কেউ হয়তো এমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করবে, যা নিজে নিজে বাড়তে থাকবে।’ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতার সময় তিনি একবার বলেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয় মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, নয়তো সবচেয়ে খারাপ।

পৃথিবী ধ্বংসের কাছাকাছি চলে এসেছে বলেও সতর্ক করে গেছেন হকিং। আর তাই মানুষকে অন্য কোনো গ্রহে বসতি গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এটাই এখন পৃথিবীবাসীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে উল্লেখ করেছেন এই বিজ্ঞানী। বলেছিলেন, মানবজাতির জন্য উপযুক্ত গ্রহ খুঁজে নেওয়াটাই এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি। সতর্ক করতে যোগ করেছিলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা এমন এক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছি, যেখান থেকে আর ফেরার পথ নেই। পৃথিবী আমাদের জন্য অনেক ছোট হয়ে আসছে। পৃথিবীতে জনসংখ্যা ভয়ংকর হারে বেড়ে চলেছে আর আমরা নিজেই নিজেদের ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি।’

7
ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য নিত্যনতুন ফিচার হালনাগাদ করছে হোয়াটসঅ্যাপ। চলতি বছরে হোয়াটসঅ্যাপ বেশ কিছু বড় ধরনের হালনাগাদ এনেছে। এর মধ্যে অ্যান্ড্রয়েড পেমেন্ট, তথ্য মোছার সুবিধাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার রয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন সম্পর্কে জেনে নিন:

অ্যান্ড্রয়েড পেমেন্টস: এখন হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করার সুবিধা এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা ও পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর অ্যান্ড্রয়েড ও আইএস প্ল্যাটফর্মে পেমেন্টস ফিচারটি উন্মুক্ত করেছে ফেসবুকের মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ।

ডিলিট ফর এভরিওয়ান: কাউকে বার্তা পাঠানোর পর তা মুছে ফেলার সুযোগ করে দিতে বিশেষ ফিচার চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এ ফিচার ব্যবহার করতে যে বার্তাটি মুছতে হবে, তা ঠিক করে ডিলিট বাটনে চাপ দিতে হবে। এর আগে বার্তা পাঠানোর সর্বোচ্চ সাত মিনিট পর পর্যন্ত তা মুছে ফেলার সুযোগ ছিল। নতুন হালনাগাদে এ সময় বাড়িয়ে ৬৮ মিনিট করা হয়েছে।

গ্রুপের বর্ণনা: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপকে এখন প্রাণবন্ত করতে বিশেষ হালনাগাদ এসেছে। এ ফিচারের মাধ্যমে এক জায়গা থেকেই অনেক মানুষের সঙ্গে একবারে যোগাযোগ করা যায়। গ্রুপের গুরুত্ব বুঝতে পেরে। গ্রুপ ডেসক্রিপশন ফিচারটি এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর ফলে ওই গ্রুপ সম্পর্কে ৫০০ অক্ষরের বর্ণনা লিখতে পারবেন ব্যবহারকারী। এখন গ্রুপের সব সদস্য গ্রুপের বর্ণনা বাতিল বা যুক্ত করার সুবিধা পাবেন। যিনি বর্ণনা যুক্ত করবেন, তাঁর নামসহ একটি নোটিফিকেশন পাবেন গ্রুপের অন্যরা।

গ্রুপ ভিডিও কল: এখন হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল আরও সহজ হয়েছে। এ অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে গ্রুপ ভিডিও কলের সুবিধাও এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। কোনো ভিডিও কলে চাইলে এখন একাধিক ব্যক্তিকে যুক্ত করে সহজেই গ্রুপ ভিডিও কল সেরে নিতে পারবেন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী।

হোয়াটসঅ্যাপ ফর বিজনেস: সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ ফর বিজনেস নামে একটি অ্যাপ এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এটি ব্যবহার করে ব্যবসায়ী বা কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ ও হোয়াটসঅ্যাপ প্ল্যাটফর্মে থাকতে পারবে। এতে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেরিফায়েড প্রোফাইল রাখার পাশাপাশি কুইক রিপ্লাইস, গ্রিটিং মেসেজ, অ্যাওয়ে মেসেজের মতো সুবিধা থাকবে।

ভয়েস থেকে ভিডিও কলে যাওয়া: হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন চাইলে ভয়েস কল চলাকালেই ভিডিও কলে যুক্ত হতে পারবেন। নতুন ফিচারটির মাধ্যমে একটি লুকানো সুইচ পাবেন, যা ব্যবহার করে ভয়েস থেকে ভিডিও কলে যাওয়া যাবে। অবশ্য চাইলেই ভিডিও চালু হবে না। এ জন্য দুজনকেই অনুমতি দিতে হবে।

অ্যাপল কারপ্লেতে হোয়াটসঅ্যাপ: জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানকারী এ প্ল্যাটফর্ম মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা অ্যাপলকে রাজি করিয়ে অ্যাপল কারপ্লে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এর ফলে চলতি পথেই আইফোন ও আইপ্যাড ব্যবহারকারীরা পুশ নোটিফিকেশন পাবেন এবং তাঁদের ডিভাইসে থাকা কন্টাক্টগুলো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে ইউটিউব: এখন চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট উইন্ডোতে ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারেন। হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে ইউটিউবকে। এখন শুধু চ্যাট উইন্ডোতে ইউটিউব লিংক ক্লিক করলেই হবে। এতে ওই উইন্ডোতেই ভিডিও চালু হবে। ওই ভিডিও ইউন্ডোর আকার ছোট-বড় করার সুবিধাও রয়েছে।

হোয়াটসঅ্যাপ নকশা পরিবর্তন: ব্যবহারকারী চাইলে তার স্মার্টফোনে হোয়াটসঅ্যাপ কিছুটা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। এর অ্যাডাপটিভ আইকন ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েড ওরিও অপারেটিং সিস্টেমের অংশ এবং হোয়াটসঅ্যাপ তা সমর্থন করছে। নতুন আইকন ব্যবহার করে এ পরিবর্তন করা যাবে।

লোকেশন শেয়ারিং: হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়েছে লাইভ লোকেশন শেয়ারিং ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা অন্য কারও সঙ্গে রিয়েল টাইমে তাঁর অবস্থানগত তথ্য জানাতে পারবেন। লাইভ লোকেশন শেয়ার করতে লোকেশন ট্যাবে যেতে হবে। গ্রুপ বা ব্যক্তিপর্যায়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা যাবে। ম্যাপে ইউজার প্রোফাইল ছবিটি দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীর যোগাযোগ তালিকায় থাকা ব্যক্তি।

8
ইউজারদের প্রোফাইল পিকচার চুরি বা অপব্যবহার রোধ করতে নতুন কিছু টুল সংযুক্ত করেছে ফেসবুক। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এধরনের টুল আগে থেকেই চালু থাকলেও, এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে তা চালু হলো।

বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) প্রোফাইল পিকচার নিয়ন্ত্রণের এসব টুল বাংলাদেশে চালুর বিষয়টি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুক জানায়, গত বছর ফেসবুকের কিছু নতুন টুল চালু হয়েছিল ভারতে। এসব টুল প্রোফাইল পিকচারের ওপর ইউজারদের নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে। এবার এ টুলগুলো চালু হচ্ছে বাংলাদেশেও। এর মাধ্যমে একজন ইউজারের প্রোফাইল পিকচার অন্য কেউ ডাউনলোড করতে পারবেন কিনা তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

ফেসবুক ইউজারদের জন্য প্রোফাইল পিকচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে একজন ইউজার খুব সহজেই ফেসবুকে তার বন্ধুদের খুঁজে বের করতে পারেন। কিন্তু অনেকেই ফেসবুক প্রোফাইল পিকচারে নিজের ছবি যুক্ত করতে নিরাপদবোধ করেন না।

একটি গবেষণার মাধ্যমে জানা যায়, কিছু নারী নিজের চেহারা সম্বলিত ছবি ইন্টারনেটে যুক্ত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, তারা সবসময় এসব ছবির নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকেন।

প্রোফাইল পিকচারের নিরাপত্তা সংক্রান্ত টুলগুলো খুব বড় পরিসরে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতে। ভারতের পাশাপাশি আরও অনেক দেশে এ টুলগুলো সম্প্রসারণে ইচ্ছুক ফেসবুক।

তাছাড়া আরও কিছু ফিচার সংযুক্ত করা হচ্ছে যার মাধ্যমে ইউজাররা তাদের পছন্দ মতো প্রোফাইল পিকচার ডিজাইন করতে পারবেন। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোফাইল পিকচারের অপব্যবহার রোধে নিজস্ব ডিজাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

9
মোবাইল ফোন মূলত যোগাযোগের জন্য হলেও বর্তমান সময়ের মোবাইল ডিভাইস দিয়ে হেন কোনো কাজ নেই যা করা যায় না।

অবসরে গেমিং থেকে শুরু করে মিউজিক ও অন্যান্য অনেক ফিচারে ভরপুর থাকে ফোন। তবে এমন সময় ইন্ডিগোগো স্টার্টআপ এমন এক ফোন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে যা দিয়ে কেবল বেসিক কল করা ও টেক্সট মেসেজ পাঠানো যাবে। ফোনটি এখনো ডেভলপমেন্ট পর্যায়ে রয়েছে। যদি ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায় তাহলে ফোনটি বাজারে আসবে।

‘লাইট ফোন’ নামের এই ফোনে কল করার সুবিধা আছে এবং ৯টি পর্যন্ত নম্বর কন্টাক্টে সংরক্ষণ করে রাখা যাবে। এই ফোন প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় প্রজন্মের ফোন। অর্থাৎ এর আগে লাইট ফোন ১ এনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। আর নতুন এই ফোনে আগের ফোনের চেয়ে নতুন কিছু ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

ম্যাট ফিনিশ এই ফোনে আছে বড় ই-লিংক ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানের দাবি, এই ই-লিংক ডিসপ্লেতে অনেক ভালো ব্রাইটনেস পাওয়া যাবে। তবে ফোনটি টাচস্ক্রিন নয়, ফোনে দুটি নেভিগেশন বাটন রয়েছে। আর সংক্ষিপ্ত টেক্সট মেসেজ পাঠানোর জন্য ফোনে  ফোরজি এলটিই সংযোগ সমর্থন করবে।

10
বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেধাস্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব খুবই সাধারণ ঘটনা। এক প্রতিষ্ঠান অন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিজেদের পেটেন্ট কপি করার জন্য মামলা করে থাকে।

এবার এমন এক মামলা করল একসময়ের হার্ডওয়্যার নির্মাতা শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবেরি। আর মামলাটি করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট ফেসবুকের বিরুদ্ধে।

৬ মার্চ, মঙ্গলবার ব্ল্যাকবেরি ক্যালিফোর্নিয়ায় এই মামলা দায়ের করে।

ব্ল্যাকবেরি মামলায় বলছে, ফেসবুক ও এর অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ইন্সটাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংয়ের অনেক পেটেন্ট ব্ল্যাকবেরির যা অনুমতি না নিয়েই ব্যবহার করছে ফেসবুক। আর এর জন্য কোনো অর্থও পরিশোধ করা হচ্ছে না।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, নিরাপত্তা, ইউজার ইন্টারফেস ও বিভিন্ন ফিচার তৈরিতে ব্ল্যাকবেরির পণ্য কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করছে ফেসবুক।

ফেসবুকের বিরুদ্ধে পেটেন্ট লঙ্ঘনের মামলা এই প্রথম নয়। এর আগে ২০১২ সালে ফেসবুকের বিরুদ্ধে পেটেন্ট ভঙ্গের মামলা করেছিল ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান ইয়াহু।

ব্ল্যাকবেরি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফেসবুক যে আমাদের পেটেন্ট ভেঙেছে, তার জোর দাবি করতে পারি। কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর আমাদের আইনি পথে যেতেই হচ্ছে।’ 

11
মানুষ অন্যান্য অাসক্তির মত ইন্টারনেটে ব্যাপক ভাবে আসক্ত। ২১ শতকের শুরু থেকে সারা বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহারের এক বিষ্ফোরণ সূচিত হয়েছে। বর্তমানে সারা পৃথিবীব্যাপী শত কোটির বেশি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত।

আজ থেকে ৪ বছর আগে তথা ২০১৪ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী কেবল আমেরিকায় প্রতিটি মানুষ সারা মাসে গড়ে ২৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে সময় ব্যয় করে। আর সারা মাস হাতের মোবাইল ফোনের ওপর ব্যয় করে ৩৪ ঘণ্টা।

নিঃসন্দেহে এই কয়েক বছরে এই হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকহারে বাড়ার সাথে সাথে এর নেতিবাচক বা খারাপ প্রভাবগুলো সামনে ওঠে আসছে আরো ভালোভাবে। এসব নেতিবাচক প্রভাব মানুষকে দৈহিক, মানসিক এবং আবেগের দিক দিয়ে চিরস্থায়ী ক্ষতি সাধন করছে। অতিরিক্ত ইন্টারনেটের ব্যবহার কি কি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে তা বলতে গেলে, নিচের বিষয়গুলো আগে ওঠে আসবে।
সৃজনশীলতার ঘাটতি

ইন্টারনেটের শুরুর দিকে মার্ক জাকারবার্গের যেমন ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বানিয়ে চরম সৃজনশীলতারর পরিচয় দিয়েছিল, ঠিক তেমনই তার আইডিয়া চুরি করা মানুষের অভাব নেই।

এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে ইন্টারনেটে কনটেন্ট ডেভেলপ করছে। আবার আরেক শ্রেণির মানুষ আছে যারা এসব কনটেন্ট চুরি করে নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছে। যা আসল কনটেন্ট ডেভেলপারকে নিরাশ করছে নতুন কিছু বানানো থেকে।

ইন্টারনেটে এতো বেশি তথ্য রয়েছে যে মানুষকে নতুন করে আর ভাবতেই হচ্ছে না। শিক্ষার্থীদের ভাবনার দরজা ইন্টারনেট পর্যন্তই থেমে যাচ্ছে, তাদের নতুন করে নিজে নিজে চিন্তা করে উত্তর আবিষ্কার করতে হচ্ছে না।

উদাহরণ হিসেবে প্রতি জেলা-উপজেলায় আয়োজিত বিজ্ঞান মেলায় দেখা যায়, সিংহভাগ অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী তাদের প্রজেক্টের আইডিয়া ইন্টারনেটে বিদ্যমান অন্য কারো তৈরি করা প্রজেক্ট থেকে সংগ্রহ করেছে। সুতরাং এখানে তারা সৃজনশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না।
সাইবার বুলিয়িং

এখানে বুলিয়িং বলতে বোঝায় অবমাননা করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা। কোনো মানুষকে বাস্তবে বা সামনাসামনি অবমাননা ও খারাপ মন্তব্য করার চাইতে ইন্টারনেট তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা অনেক সহজ।

সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন তারকারা এই সাইবার বুলিয়িংয়ের সবচেয়ে বড় শিকার। অনলাইনে সাইবার বুলিয়িংয়ের শিকার একজন ব্যক্তি খারাপ মন্তব্য বা মতামতের কারণে অপমানিত -অপদস্থ বোধ করে। তার নিজের ভেতরকার মনোবল একেবারেই ভেঙে যায়। অনেক সময় কারো ভালো কোনো উদ্যোগ বা কর্মকাণ্ড সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করলে সে অনেক খারাপ মন্তব্য তথা সাইবার বুলিয়িংয়ের শিকার হয়; আর এটি মানুষকে ভেঙে পড়তে বাধ্য করে। সুতরাং সাইবার বুলিয়িং এই ইন্টারনেট জগতে মানুষের জন্য অন্যতম একটি নেতিবাচক সমস্যা। সাইবার বুলিয়িংয়ের শিকারে আত্মহত্যা পর্যন্ত ঘটে থাকে।
সামনাসামনি যোগাযোগ কমে যাচ্ছে

চ্যাটিং বা মেসেজিং করে খুব সহজেই যোগাযোগ সম্পন্ন করা যায় বলে মানুষ এখন সশরীরে যোগাযোগ না করে সামাজিক মাধ্যমই বেশি বেছে নিচ্ছে।

ভাইবার, মেসেঞ্জারের ব্যবহার আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ করে দিয়েছে। যার ফলে মানুষ সশরীরের চাইতে ভার্চুয়াল যোগাযোগে বেশি ঝুঁকছে। তবে মানুষ সরাসরি যোগাযোগের বিপরীতে যখন ইন্টারনেট যোগাযোগকে বেশি প্রাধান্য দেয়, তখন এটি তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। ওয়াশিংটন পোস্টের একটি সমীক্ষায় ৬% অংশগ্রহণকারী বলেছেন যে, ইন্টারনেট যোগাযোগ তাদের সম্পর্ককে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
গোপনীয়তা বিঘ্নিত হচ্ছে

ইন্টারনেট একটি উন্মুক্ত তথ্য প্রবাহের স্থান হওয়ার কারণে, ইন্টারনেটে থাকা আপনার তথ্য আপনার গোপনীয়তার জন্য হুমকি স্বরূপ কাজ করতে পারে। আপনার যেকোনো তথ্য কোনো কালো হাত যেকোন কাজে ব্যবহার করতে পারে। আপনি নিশ্চয়ই চান না, উন্মুক্ত মাধ্যম হতে কেউ আপনার তথ্য নিয়ে আপনার ক্ষতি করুক।
শারীরিক অক্ষমতা

ইন্টারনেটের অত্যন্ত বেশি আসক্তি শারীরিক অক্ষমতার কারণও। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় কেবল পড়াশোনা নয়, শারীরিক কর্মকাণ্ডও অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর সেকারণেই স্কুল কলেজে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিরতি বা টিফিন টাইম দেওয়া হয়। তবে ইন্টারনেট এমন একটি গ্লোবাল সিস্টেম যেখানে এর ব্যবহারকারীদের কোনো শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম করার দরকার পড়ে না। তাই যে মানুষ বেশি সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে সে তুলনামূলকভাবে খেলাধুলা, ব্যায়ামের মতো শারীরিক কার্যক্রম কম করে থাকে। আর এভাবে ইন্টারনেটের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকে শারীরিক অক্ষমতার দিকে নিয়ে যায়। আর এর ফলে মানুষ শারীরিকভাবে একসময় দুর্বল প্রাণিতে পরিণত হয়ে যায়।
রাতে ঘুম না হওয়া

রাত্রে ঘুম না হওয়া একপ্রকার রোগ ,যাকে বলা হয় ইনসমোনিয়া। রাতে মোবাইল বা কম্পিউটার ডিসপ্লের নীল রশ্মি এই সমস্যার অন্যতম কারণ। রাত্রে এই নীল রশ্মি চোখের মেলাটোনিন হরমোনের কার্যক্রম বিঘ্নিত করে। এই রশ্মি চোখে পড়লে হরমোন মনে করে এখনও সকাল তাই সে মস্তিষ্ককে দিনের মতই জাগ্রত থাকতে নির্দেশ দেয়। দীর্ঘদিন গভীর রাত পর্যন্ত মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহার মানব শরীরে এই সমস্যার সৃষ্টি করে।
ঘাড়ের ব্যাথা

মাথা নিচু করে স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার অভ্যাস এই সমস্যার অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন অনেক সময় ধরে মাথা নিচু করে স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহারের অভ্যাস চিরস্থায়ী ঘাড়ের সমস্যার জন্ম দিতে পারে। মাথা কাত করে, নিচু হয়ে, বাকা করে একদিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকার ফলে এটি মানুষের ঘাড়ের ওপর চাপের সৃষ্টি করে যা পরে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার সৃষ্টি করে।

এ ছাড়াও গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তি হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং অকাল মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এমনকি ইন্টারনেটের ফলে দেহে হওয়া কোনো ক্ষতি কেনোদিনও ঠিক হওয়ার নয়। তাই আমাদের ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে অবহত থেকে এর ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

12
সার্চ জায়ান্ট গুগল পিক্সেল সিরিজের স্মার্টফোনের জন্য ‘অ্যান্ড্রয়েড পি’ অপারেটিং সিস্টেমের ডেভলপার প্রিভিউ প্রকাশ করেছে। অ্যান্ড্রয়েড ওরিও’র পরে এটিই গুগলের পরবর্তী মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।

অবশ্য এই অপারেটিং সিস্টেমের পুরা নাম এবং ফিচার চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে প্রকাশ করা হবে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। শনিবার সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ডেভলপার প্রিভিউতে বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া গেছে। অ্যান্ড্রয়েড পি’তে অ্যাপ ডেভলপারদের স্পেসের কথা মাথায় রেখে অ্যাপ ডিজাইন করতে হবে। ডিসপ্লের মধ্যে ক্যামেরা, ফেসআইডি সেন্সর ও ইয়ারপিসের জায়গা করার জন্য অ্যাপল একটু অংশ বাদ রেখেছিল, যা ‘নচ’ হিসেবে পরিচিত।

পরবর্তীতে প্রায় সকল অ্যান্ড্রয়েড নির্মাতারাই নচযুক্ত ডিসপ্লে দিয়ে ফোন তৈরি করতে শুরু করেছে। গুগলও সরাসরি অ্যান্ড্রয়েড পি সংস্করণে নচের জন্য সাপোর্ট যুক্ত করেছে। এমনকি বলা হচ্ছে, পিক্সেল ৩ ফোনেও নচ যুক্ত করা হচ্ছে।

13
অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা এমন এক ড্রোন তৈরি করেছেন, যা দিয়ে মানুষের হৃদস্পন্দন মাপা যাবে। ড্রোনটি ৬০ মিটার দূর থেকে এ কাজটি করতে পারবে বলে দাবি ওই গবেষকদের।

শসংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে  তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট গেজেট নাওয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ড্রোনটিতে ক্যামেরা রয়েছে। আর ক্যামেরা সেন্সরকে কাজে লাগিয়ে মানুষের হৃদস্পন্দন মাপতে পারবে এ ড্রোন।

ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষক জাভান চাহালের নেতৃত্বে একদল গবেষক ওই ড্রোন প্রদর্শন করেন। চাহাল জানান, নতুন এই ড্রোন কোনো বিপর্যয়ের সময় কাজে লাগানো যাবে। আহত মানুষের তাৎক্ষণিকভাবে শারীরিক পরিস্থিতি জানা যাবে। এমনকি এটি ব্যবহার করে এক দিনে এক লাখ মানুষের হৃদস্পন্দন জানা সম্ভব হবে।

অবশ্য এ ড্রোনের নেতিবাচক দিক সম্পর্কেও বলেছেন তিনি। দুর্বৃত্তরা এটিকে খারাপ কাজেও লাগাতে পারে বলে সতর্ক করে দেন জাভান চাহাল।

14
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার তাদের ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ করার পরিকল্পনা করেছে। এতে করে সবার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

কবে নাগাদ সবার জন্য ভেরিফাইড অ্যাকাউন্টের সুবিধা আসবে তা না জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। অবশ্য ব্যবহারকারীর পরিচয় যাচাই ও শনাক্ত করতে নতুন একটি পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে বলে জানায় টুইটার কর্তৃপক্ষ।

প্রকৃত বা যাচাইকৃত অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে একে ব্যবসার কাজে লাগানোর জন্য গত বছরের নভেম্বর থেকে নতুন সব আবেদনকারীর জন্য ভেরিফাইড প্রক্রিয়া বন্ধ করে টুইটার। আর এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় প্রতিষ্ঠানটিকে।

15
রকেট প্রস্তুতকারক কোম্পানি স্পেস এক্স এবং আধুনিক প্রযুক্তির যানবাহন কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক বর্তমানে একজন বিলিয়নিয়ার হলেও একসময় তার এই দুইটি কোম্পানিই দেউলিয়া হতে বসেছিল। সম্প্রতি ইলোন মাস্ক জানান, স্পেস এক্স এবং টেসলা নেহায়েত ভাগ্যগুণেই বেঁচে গেছে।

১১ মার্চ, শনিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট সম্মেলনের এক প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত ছিলেন ইলোন মাস্ক। তখনই তিনি জানান, ২০০৮ সালে দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন তিনি। খবর বিবিসির।

‘স্পেস এক্স এবং টেসলা দুই কোম্পানিরই টিকে থাকার সম্ভাবনা ছিল ১০ শতাংশেরও কম’, বলেন তিনি।

এই দুই কোম্পানি নিয়ে ভীষণ সংগ্রামের এক গল্প শোনান তিনি। ২০০২ সালে স্পেস এক্স প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ব্যবসায় ক্ষতি হওয়ার ভয়ে নিজের বন্ধুদেরকেও এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে দেননি মাস্ক।

তিনি জানান, ২০০২ সালে পেপ্যাল বিক্রি করে দিয়ে ১৮০ মিলিয়ন ডলার পান তিনি। এর ৯০ মিলিয়ন তিনি বিনিয়োগ করেন স্পেস এক্স এবং টেসলায়। কিন্তু প্রথম দিকে লাভের বদলে ক্রমাগত লোকসানের মুখ দেখতে থাকেন মাস্ক।২০০৮ সাল ছিল কোম্পানি দুটির জন্য এক কঠিন সময়। স্পেস এক্সের ফ্যালকন ১ রকেট তিন তিনবার উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হয়। ফলে ক্রিসমাসের মাত্র দুই দিন আগে টেসলার দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।

শুধু তা-ই নয়, ২০০৮ সালে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় মাস্কের। এ সময় প্রচুর অর্থ ব্যয় হয় তার। এমনকি বাসা ভাড়ার জন্য বন্ধুদের কাছ থেকে ধারও নিতে হয় তাকে।

টেসলার দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কা যখন দেখা দেয় তখন ইলোন মাস্কের হাতে ছিল ৪০ মিলিয়ন ডলার। তার সামনে দুইটি পথ খোলা ছিল। যদি তিনি কোনো একটি কোম্পানিতে পুরো ৪০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করতে পারতেন, তাহলে সেই কোম্পানির টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়ত। আবার তিনি যদি দুই কোম্পানিতেই ২০ মিলিয়ন করে বিনিয়োগ করতে পারতেন, তাহলে সাফল্যের চেয়ে বরং ভরাডুবির সম্ভাবনাই ছিল বেশি।

কিন্তু স্পেস এক্স এবং টেসলা-দুটো কোম্পানিকেই সন্তানের মতো ভালোবাসতেন মাস্ক। তাই ব্যর্থতার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও তিনি ২০ মিলিয়ন করে বিনিয়োগ করেন উভয় কোম্পানিতে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকায় এরপরই কোম্পানি দুটি উন্নতি করতে শুরু করে।

এ সম্পর্কে ইলেন মাস্ক বলেন, ‘নেহায়েত ভাগ্যগুণে বেঁচে গেছে স্পেস এক্স, টেসলাও। একটু এদিক-ওদিক হলেই এতদিনে দুই কোম্পানিই মারা যেত।’

এমন দোদুল্যমান অবস্থা সম্পর্কে মাস্ক জানান, একটা সময় কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার মতো ভালো কোনো ইঞ্জিনিয়ার না পেয়ে নিজেই ফ্যালকন ১ রকেটের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের কাজ করেছেন তিনি। আবার এখন ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও তিনি ৮০-৯০ শতাংশ সময় স্পেস এক্স এবং টেসলার ডিজাইনিং করে কাটান। অন্যান্য নির্বাহী কর্মকর্তার ওপর ছেড়ে দেন ব্যবসা চালানোর ভার।

অন্যদিকে মাস্ক তার টানেল প্রস্তুতকারক উদ্যোগ বোরিং কোম্পানি নিয়ে অনেক টুইট করলেও, এর পেছনে তিনি ২ শতাংশ সময়ও দেন না বলে জানান।

Pages: [1] 2 3 ... 12