Daffodil International University

Faculty of Humanities and Social Science => Journalism & Mass Communication => Topic started by: Md. Khairul Bashar on December 26, 2012, 10:48:34 AM

Title: Art in Teaching
Post by: Md. Khairul Bashar on December 26, 2012, 10:48:34 AM
"I want to be a teacher or nothing." কথাগুলির জনক বিশ্ববিখ্যাত ইংরেজ রোমান্টিক কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের। শিক্ষক বলতে আমরা পেশাজীবী শিক্ষক, যারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষাদানকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাঁদেরকেই বুঝে থাকি। কিন্তু ইংরেজ কবি 'শিক্ষক' শব্দটি ব্যাপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। যিনি কিছু শেখান, হোক তা প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক যে কোনো পর্যায়ে, তিনিই শিক্ষক। সেই অর্থে আমরা সবাই, যুগপত্ভাবে শিক্ষক ও ছাত্র। বর্তমান প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় পেশাদার শিক্ষক। এটা লক্ষণীয় যে, স্ব স্ব পাণ্ডিত্যের জন্য ধ্রুবতারার ন্যায় উজ্জ্বল অনেক যশস্বী পণ্ডিত, শিক্ষাদান কর্মটিতে বা শিল্প যুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষক হিসেবে বেদনাদায়কভাবে অসফলতার ভাগিদার হয়েছেন। প্রকৃতপ্রস্তাবে শিক্ষাদান কর্মটি একটি শৈল্পিক কাজ। পেশার সাথে শিল্প যুক্ত করে কর্মটিকে শিল্পময় করে তুলতে ব্যর্থ হলে একজন শিক্ষক পেশাজীবী হিসেবেও ব্যর্থ হন। প্রবন্ধের পরবর্তী অনুচ্ছেদগুলোতে আমি একজন সার্থক শিক্ষকের অপরিহার্য গুণগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

পেশায় যশস্বী একজন শিক্ষক তাঁর ছাত্রগণকে পছন্দ করেন, চিনেন এবং জানেন। তাঁর পক্ষে শিক্ষার্থীদের চৈতনিক ও আবেগগত জটিলতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা বাঞ্ছনীয়। এটি তাঁর পক্ষে তখনই সম্ভব হয়ে ওঠে যখন তিনি তাঁর অবস্থান ও পদমর্যাদা সম্পর্কে সচেতন থেকে তাদের সঙ্গে মিশতে পারেন। তাকে সব সময়ই 'unity in diversity বা বহুত্বের মধ্যে ঐক্য' এই নীতিতে বিশাসী হতে হবে। একই পাত্র উভয়কে ধারণ করলেও শিক্ষক তাঁর স্বাতন্ত্র্য ধরে রাখবেন এটাই কাম্য। Flash back বা পিছনে তাকানোর মানসিকতা একজন শিক্ষককে সফল হতে অনেক সাহায্য করে। একজন শিক্ষক যদি স্মরণ করতে পারেন যে, তিনি বিশেষ একটা ছাত্রের বয়সে ও অবস্থানে দাঁড়িয়ে কী করতেন, তাহলে তাঁর পক্ষে উক্ত ছাত্রকে পূর্ণাঙ্গরূপে উপলব্ধিতে আনা সহজসাধ্য হয়ে ওঠে। তাই 'self-knowledge বা আত্মজ্ঞান' ছাড়া কোনো মানুষই সফল হতে পারে না। একজন শিক্ষকের জন্য ছাত্রদের মুখ ও নাম জানা অতীব জরুরি। সেক্ষেত্রে আমরা অনেকেই অহমিকার আশ্রয় গ্রহণ করতে গিয়ে বড় মাপের ভুলটি করে বসি। আমরা মনে করি যে, শুধু শুধু নাম মনে রেখে স্মৃতিশক্তিকে ভারাক্রান্ত করা উচিত নয়। ভাবটা এমন যে, একজন শাবানা ও একজন রুমানাকে আলাদা করে মনে রাখতে গেলে হয়তো "Had Cleopatra's nose been shorter, the face of the whole world would have changed", Pascal-এর নাম করা এই উক্তিটি আমরা ভুলে যেতে পারি। প্রকৃতপ্রস্তাবে যিনি শাবানা এবং রুমানার নাম মনে রাখতে পারেন তিনি অত্যন্ত নির্ভুলভাবে ইংরেজ দার্শনিক Pascal-এর বাণীও মনে রাখতে পারেন। একজন শিক্ষার্থী বেড়ে ওঠার সাথে সাথে একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চায়। তাই একজন শিক্ষক যদি একজন শিক্ষার্থীর ওপর প্রবল প্রভাব বিস্তার করতে চান তবে তিনি তাঁর মধ্যে এই বদ্ধমূল ধারণার জন্ম দিবেন যে, শিক্ষক ছাত্রকে স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসেবেই জানেন এবং সেই মনোভাব সৃষ্টির ক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপ হলো তার নাম জানা।

একটি শ্রেণিকক্ষে মোটামুটি তিন ধরনের শিক্ষার্থী থাকে : মেধাবী, দুর্বিনীত ও চলতি মানসম্পন্ন। দুর্বিনীত ও অতৃপ্ত শিক্ষার্থীদের জানতে হয় শিক্ষকের নিজ প্রয়োজনেই। মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সবচেয়ে বেশি দান করতে পারেন বেশি ফসল পাওয়ার আশায়। তবে কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের শিক্ষার্থীকে শিক্ষকের নিজের আদলে গড়তে চাওয়া ঠিক নয়। কারণ এই ধরনের শিক্ষার্থীর গ্রহণ-ক্ষমতা অনেক বেশি হওয়ার কারণে একটি নির্দিষ্ট উত্স থেকে গ্রহণ করে তারা সন্তুষ্ট থাকে না। একাধিক উত্স থেকে গ্রহণ করে তারা যেকোনো দাতা-উেসর তুলনায় সমৃদ্ধতর হয়। প্রতিভাধরেরা মাড়ানো পথে চলতেও জানে না। নানা মত ও পথ থেকে সম্ভার সংগ্রহ করে ও দিকনির্দেশনা নিয়ে নতুন পথ সৃষ্টিই তাদের কাজ। তবে অতৃপ্ত শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করার সময় শিক্ষকের আচরণ অবশ্যই নৈর্ব্যক্তিক হতে হবে।

শুধু জ্ঞান নয় বরং অর্জিত জ্ঞান সহজ, সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছে দেওয়ার যোগ্যতা ও দক্ষতা একজন শিক্ষককে সাফল্য দান করে। একজন শিক্ষক ছাত্রজীবনে প্রতিশ্রুতিশীল না হয়েও বক্তব্য যথাযথভাবে তুলে ধরা ও শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষমতাবলে শিক্ষক হিসেবে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। একজন শিক্ষকের মধ্যে একজন অভিনেতার কিছু গুণ থাকা আবশ্যক। একজন দক্ষ অভিনেতা শুধু মুখের ভাষায় কথা বলেন না, শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে বক্তব্যকে শক্তিশালী করে তোলেন। একজন শিক্ষকও একজন অভিনেতার মতো তাঁর মুখমণ্ডলের নানান অঙ্গ ব্যবহার করে নানা প্রকারের অনুভূতিকে জীবন্ত করে তুলে ধরতে পারেন। বক্তব্যের ধরন অনুযায়ী শিক্ষক তাঁর কণ্ঠস্বর 'উদারা' থেকে 'মুদারা' এবং সেখান শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে দুইটি পদ্ধতির আশ্রয় গ্রহণ করা হয়। একটি লেকচার পদ্ধতি, অন্যটি ডেমনস্ট্রেশন পদ্ধতি। এই দুই পদ্ধতিকে সমন্বিত করতে পারলেই সেরা পদ্ধতিটি খুঁজে পাওয়া যায়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের দেশে প্রথম পদ্ধতিতে শিক্ষাদানকর্ম সম্পন্ন করা হয়। উন্নত বিশ্বে 'Question-Answer' পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এই পদ্ধতিতে শিক্ষক ও ছাত্র উভয়েই প্রশ্নকারী, উভয়েই উত্তরদাতা। আমরা যে পদ্ধতিতে শেখাই তাতে শিক্ষকই মূলত বক্তা হিসেবে আবির্ভূত হন এবং শিক্ষার্থীদের ভূমিকা থাকে কেবলই শ্রোতার। এর ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অংশীদারিত্বের মনোভাব গড়ে না ওঠায় তারা শেণিকক্ষে অমনোযোগী হয়ে ওঠে।

যন্ত্র নিয়ে কাজ করা সহজ কিন্তু মানুষ নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে জটিল ও কঠিন। কারণ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব এবং সেই হিসেবে সবচেয়ে জটিল জীবও। সেই কারণেই শিক্ষকতায় বুদ্ধিমত্তা ও বিচক্ষণতা সবচেয়ে বেশি দরকার। তাই একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন শিক্ষক শিক্ষাদানকর্মকে বন্ধুভাবাপন্ন একদল শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষকের যৌথ কর্মপ্রচেষ্টা হিসেবে গ্রহণ করেন, যে কর্মে সফলতা লাভের আশায় প্রত্যেকেই স্ব স্ব মেধার সর্বাধিক ব্যবহারে আগ্রহী থাকেন। আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। পূর্ণতা অর্জন প্রায় অসম্ভব একটি কাজ। তবুও পরিণতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা আমাদের থাকতে হবে। তাই Shakespeare-এর একটি কথা দিয়ে লেখাটি শেষ করতে চাই,

" Frail creatures we are all,

To be the best is but the fewest faults to have."


প্রফেসর কে. এম. ওয়াজেদ কবীর


Source: http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTJfMjZfMTJfMV81XzFfNjQ2Mw==
Title: Re: Art in Teaching
Post by: Farhana Israt Jahan on January 02, 2013, 03:20:47 PM
The topics have many interesting information...... like it.
Title: Re: Art in Teaching
Post by: Md. Khairul Bashar on January 02, 2013, 03:56:10 PM
thank you madam ................