Daffodil International University

Bangladesh => Liberation of Bangladesh => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on December 03, 2011, 08:49:05 AM

Title: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: Sultan Mahmud Sujon on December 03, 2011, 08:49:05 AM
প্রথম আলোতে প্রকাশিত,

(http://s.techtunes.com.bd/tDrive/tuner/rakibahamed/99853/2011-12-01-17-09-45-4ed7b4d9ab476-1.jpg)


বাঙালির অধিকার আদায়ের সেই সংগ্রাম চিরতরে শেষ করে দিতে যখন পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর পশুর উন্মত্ততা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন নিন্দায় মুখরিত হলো বিশ্ব বিবেক। সেদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এ দেশের মুক্তিসংগ্রামের সমর্থনে ঘটেছিল কয়েকটি অসাধারণ ঘটনা। আজ স্বাধীনতার ৪০ বছর পূর্তির কালে আমাদের সেই বিদেশি বন্ধুদের অসামান্য প্রচেষ্টার কয়েকটি তুলে আনা হলো ইতিহাসের পাতা থেকে।

দুঃসাহসী জাঁ কুয়ে


কে এই জাঁ কুয়ে? ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত তাঁকে কেউ চিনত না। কিন্তু ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১, প্যারিসের অর্লি বিমানবন্দরে এই ফরাসি যুবক এক দুঃসাহসী ঘটনা ঘটিয়ে শিরোনাম হন ইউরোপ তথা গোটা পৃথিবীর বড় বড় সংবাদমাধ্যমে। এই যুবক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও সমর্থনে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) একটি বিমানকে পাঁচ ঘণ্টা রানওয়েতে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারের মুক্তিসংগ্রামে উন্মাতাল একটি জাতির কল্যাণে কিছু ওষুধ, খাদ্যসামগ্রী যেন ওই বিমানটিতে তোলা হয়!
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবেতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা ছুঁয়ে গিয়েছিল জাঁ কুয়েকে। তিনি সবচেয়ে বেশি কাতর ছিলেন প্রাণ বাঁচাতে ত ৎ কালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে এক কোটি শরণার্থীর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাটিতে। একটি দেশের সেনাবাহিনী কতটা নৃশংস হলে, তাদের ভয়ে প্রাণের ভয়ে অন্য দেশে পালিয়ে যায় দেশের মানুষ—এই হিসাবটিই তিনি মেলাতে পারতেন না।
জাঁ কুয়ে যেদিন বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান, সেদিন ত ৎ কালীন পশ্চিম জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর উইলি ব্র্যান্ডট ফ্রান্স সফরে আসেন। উদ্দেশ্য বিবিধ বিষয় নিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পম্পেডুর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা শিকেয় তুলল সবকিছু। আলোচনায় বসা হলো জাঁ কুয়ের সঙ্গে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ব্যক্তিগত কোনো লাভালাভের ব্যাপার এখানে নেই। তিনি কেবল চান মুক্তিযুদ্ধরত বাংলাদেশে যেন ফ্রান্স সরকার ওষুধ ও খাবার সরবরাহ করে সহায়তা দান করে। আর পিআইএর এই বিমানে করেই যেন সেই মালামাল বাংলাদেশে প্রেরণ করা হয়। পিআইএর বিমানের ব্যাপারটি ছিল পাকিস্তানি নৃশংসতার বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিবাদ।
রাষ্ট্র কখনো সহজ-স্বাভাবিক দাবি মেনে নেয় না। জাঁ কুয়ের দাবিও রাষ্ট্র সহজে মেনে নেয়নি। বরং অনেক জল ঘোলা করে কমান্ডো দিয়ে অর্লি বিমানবন্দর ছেয়ে ফেলে ফ্রান্স সরকার, তবে এক পর্যায়ে মেনে নেয় কুয়ের দাবি। বিমানে তোলা হয় ২০ টন খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধ। গ্রেপ্তারও করা হয় জাঁ কুয়েকে। অঁদ্রে দ্য মল্তে নামের একটি সাহায্য সংস্থার মাধ্যমে সেই খাদ্রসামগ্রী ও ওষুধ যখন বাংলাদেশে পৌঁছায়, তখন স্বাধীনতা যুদ্ধের মোড় ঘুরে গেছে চূড়ান্ত বাঁকে। পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে বসেছে। ফলে ভারতও জড়িয়ে পড়ে সর্বাত্মক যুদ্ধে। এর মাত্র ১৩ দিন পরেই বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য সমর্থন জোগানো এই পরম সুহূদ জাঁ কুয়ে নামের এক ‘পাগল’ যুবকের কথা এখন অবধি অজানাই থেকে গেছে। তবে অতি সম্প্রতি আমার ব্লগসহ কয়েকটি ব্লগে ওঠে এসেছে এই সাহসী যুবকের বীরত্বের কথা।

ক্রিকেট মাঠের প্রতিবাদ
ব্রিটেন তখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু কর্ম ও চিন্তার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী ব্রিটিশরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে তখন নীরব অথচ প্রশ্রয়দীপ্ত সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত ৎ কালীন উপাচার্য ও বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তখন লন্ডনে। এ দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে বিশ্বজনমত গড়ে তুলতে তিনি তখন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। এরই মধ্যে খবর এল, পাকিস্তান ক্রিকেট দল টেস্ট সিরিজে অংশ নিতে ইংল্যান্ড সফরে আসছে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ও প্রবাসী নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিল, যে দেশের সেনাবাহিনী নির্বিচারে নিজ দেশের মানুষের ওপরই নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে, সে দেশের কোনো ক্রীড়াদলের বিদেশের মাটিতে নির্বিবাদে খেলাধুলায় অংশ নিতে দেওয়া যেকোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষেই অনুচিত। তারা প্রতিটি ভেন্যুতেই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লন্ডনের বিখ্যাত লর্ডস, ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ক্রিকেট গ্রাউন্ড, লন্ডনেরই আরেক বিখ্যাত ক্রিকেট ভেন্যু দ্য ওভাল, বার্মিংহামের ট্রেন্টব্রিজ প্রভৃতি সব জায়গাতেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলেন ব্রিটেন প্রবাসী বাঙালিরা। বিব্রত হলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। ব্রিটিশরা জানল, পাকিস্তানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি নেই। কোনো হাঙ্গামা নয়, চি ৎ কার করে প্রতিবাদ নয়, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে টেস্ট ম্যাচগুলোর সময় কেবল বাঙালিরা জানিয়ে দিল, ওরা (পাকিস্তানিরা) আমাদের এমন একটি পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে, যেখানে দাঁড়িয়ে আমরা বাঙালিরা এখন আর পাকিস্তানকে নিজের দেশ হিসেবে কিছুতেই ভাবতে পারি না।

বাল্টিমোরের প্রতিরোধ
পাকিস্তানি ফ্রেইটার জাহাজ পদ্মা বাল্টিমোর বন্দরে নোঙর করে আছে। এই ফ্রেইটারটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য বিপুলসংখ্যক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাল্টিমোর বন্দর ত্যাগ করবে করাচির উদ্দেশে।
তারিখটা ১৯৭১ সালের ১৫ জুলাই। কিন্তু একি! বিপুলসংখ্যক অস্ত্র ও গোলা পদ্মায় তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানালেন বাল্টিমোর বন্দরের শত শত শ্রমিক। নেতৃত্বে রয়েছে বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন।
তাঁদের কথা একটিই। যে অস্ত্র তাঁদের জাহাজে তুলে দেওয়ার কথা, সেই অস্ত্র দিয়েই তো পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের অসহায় ও নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। এই অস্ত্রের গুলিই তো কেড়ে নেবে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষের অমূল্য প্রাণ। বাল্টিমোরের শ্রমিকেরা এতটা বিবেকহীন নন যে তাঁরা মানুষ হয়ে মানুষ হত্যার রসদ সরবরাহের অনুষঙ্গে পরিণত হবেন।
অচলাবস্থা দেখা দিল বাল্টিমোর বন্দরে। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও শ্রমিকেরা পদ্মায় অস্ত্র তুলে দিলেন না। করাচি থেকে পাকিস্তান শিপিং করপোরেশনের জরুরি টেলিগ্রাম এল বাল্টিমোর পোর্ট অথরিটির কাছে। শ্রমিকদের এই ধৃষ্টতা ‘পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ হিসেবেই মনে করতে থাকল পাক শিপিং করপোরেশন। ইয়াহিয়ার শিখিয়ে দেওয়া বুলি তখন আওড়াচ্ছে শিপিং করপোরেশনের কর্তা-ব্যক্তিরাও।
মার্কিন প্রশাসন পাকিস্তানের বন্ধু। কিন্তু তারা তো আর নিজ দেশের মানুষের শত্রু নয়! বাল্টিমোরের শ্রমিকদের পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি পরোক্ষ সমর্থনকে কিন্তু তারা ‘সরকারি কাজে বাধাদান’ হিসেবে না দেখে শ্রমিকদের কর্ম ও চিন্তার স্বাধীনতা হিসেবেই দেখল। তবে বন্ধুকেও তো খুশি করতে হবে। লোক দেখানোর মতো করেই অস্ত্র বোঝাই করে দিতে অস্বীকৃতি জানানো শ্রমিকদের কয়েকজনকে হাজতে নিয়ে পোরা হলো। এক রাত জেল খেটে তাঁরা পরের দিন সকালেই মুক্তি পেয়েছিলেন।
বাল্টিমোর বন্দরের শ্রমিকদের এই অসাধারণ প্রতিরোধ স্থান পেয়েছে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের চতুর্দশ খণ্ডে।

অপরাধী এক বেলজিয়ান
পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রাণের ভয়ে ভারতে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের সম্পর্কে টেলিভিশনে এক সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছিল। আয়েশি ভঙ্গিমায় তা দেখছিলেন বেলজিয়ান যুবক মারিও রয়মান্স। হঠা ৎ হতদরিদ্র এক মায়ের কোলে অপুষ্টিতে আক্রান্ত, হাড্ডিসার এক শিশুকে দেখে আঁতকে উঠলেন তিনি। মানুষের এমন করুণ চেহারা দেখতে প্রস্তুত ছিল না তাঁর চোখ দুটি। অবাক বিস্ময়ে টেলিভিশনে দেখলেন, কেবল নিজেদের অধিকার বুঝে পাওয়ার দাবি জানাতেই শাসকগোষ্ঠীর কী নির্মম নিষ্পেষণের শিকার হতে হয়েছে এতগুলো মানুষকে। জানলেন, কী জান্তব উন্মত্ততায় ও হিংসায় একটি দেশের সেনাবাহিনী, নিজ দেশেরই মানুষকে ধেয়ে বেড়াচ্ছে হত্যা করার জন্য।
টেলিভিশনে পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে দেখা অনুষ্ঠানটিই যেন কাল হলো রয়মান্সের। মাথা থেকে কিছুতেই ঝেড়ে ফেলতে পারছিলেন না ব্যাপারগুলো। মাথায় ঢুকছিল না, মানুষ কীভাবে এত অসহায় অবস্থায় পড়তে পারে!
পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা তাঁকে পেয়ে বসল। কী করবেন কী করবেন ভাবতে ভাবতে ঠিক করে ফেললেন, ব্রাসেলসের গ্যালারি অব ফাইন আর্টস থেকে তিনি একটি চিত্রকর্ম চুরি করে তা বিক্রি করে সেই টাকা দান করবেন পূর্ব পাকিস্তানের সেই অসহায় শরণার্থীদের কল্যাণে।
যেমন ভাবা তেমনি কাজ । রয়মান্স ১৯৭১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর যা করলেন, তা বেলজিয়ামের ইতিহাসের অন্যতম চাঞ্চল্যকর অপরাধের তালিকার ওপরের দিকেই রয়েছে। তিনি চুরি করলেন সপ্তদশ শতকের শিল্পী ইয়োহান ভারমিয়ারের আঁকা ‘দ্য লাভ লেটার’ নামের একটি অসাধারণ তেলচিত্র। ওই সময়ের বাজারমূল্যে যার দাম ধরা ছিল ৫০ লাখ বেলজিয়ান ফ্রাঙ্ক।
সেদিন সন্ধ্যায়ই ব্রাসেলসের গ্যালারি অব ফাইন আর্টসে উদ্বোধন করা হয়েছিল হল্যান্ড, ফ্রান্স, ডেনমার্ক, ইংল্যান্ড, জার্মানির ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের শিল্পীদের আঁকা বিভিন্ন তেলচিত্রের প্রদর্শনী। অনুষ্ঠানে দর্শকবেশেই তিনি ঢুকেছিলেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন শেষ অবধি। রাতের বেলা বন্ধ হয়ে যাওয়া গ্যালারিতে ঢুকে তিনি আলু কাটার ছুরি দিয়ে কেটে ফ্রেম থেকে বের করে আনেন সেই ছবিটি। এরপর গোপন পথ দিয়ে বেরিয়ে সোজা ট্যাক্সি চেপে নিজের বাড়ি। ছবিটি চুরি করে বিপদেই পড়েছিলেন রয়মান্স। কোথায় লুকিয়ে রাখবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষে একদিন কোনো এক পত্রিকা অফিসে ফোন করে জানিয়ে দেন নিজের ‘কীর্তি’র কথা। ইয়োহান ভারমিয়ারের সেই তেলচিত্রটি খুঁজে পেতে তখন লাখ লাখ ফ্রাঙ্ক পুরস্কার ঘোষণা হয়ে গেছে। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই চুরি তিনি নিজের জন্য করেননি। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল, এর মাধ্যমে তিনি পূর্ব পাকিস্তানের অসহায় শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করবেন। এ জন্য দেনদরবার করতে থাকেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। কিন্তু যেখান থেকে ফোন করে তিনি দরবার করছিলেন, সেখানকারই একজন গোপনে রয়মান্সের কথা শুনে পুলিশে জানিয়ে দেয়। পুলিশ ধাওয়া করে গ্রেপ্তার করে তাঁকে। উদ্ধার করে ভারমিয়ারের ছবিটি। বিচারে দুই বছরের সাজাও দেওয়া হয় রয়মান্সকে।
কিন্তু, গোটা বেলজিয়ামে তখন উল্টো প্রতিক্রিয়া। সত্যিই তো, রয়মান্স তো কোনো অন্যায় করেননি। তাঁর গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে তরুণেরা রাস্তায় নেমে আসে। জনতার দাবির মুখে নতি স্বীকার করে বেলজিয়ান সরকার তাঁর সাজার মেয়াদ কমিয়ে ছয় মাস করে।
কারাভোগ অবশ্য ক্ষতির কারণ হয় রয়মান্সের জন্য। শরীর ভেঙে যায় তাঁর। তত দিনে অবশ্য বাংলাদেশও স্বাধীনতা পেয়ে যায়। কিন্তু কারাগারে বাস করে মানসিক আঘাত পাওয়া রয়মান্স আর নিজেকে ফিরে পাননি। ১৯৭৮ সালে খুব অল্প বয়সে তিনি পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নেন।
মারিও রয়মান্সের এই অসাধারণ আত্মত্যাগ তো আমাদের স্বাধীনতার জন্যই। তাঁর কৃতিত্বের কথা জানতে আমাদের ৪০ বছর লেগে গেল।
গ্রন্থনা: নাইর ইকবাল
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: hasibur rahaman on December 04, 2011, 12:26:31 PM
Mr. Sujon, thank you for sharing these informations and let us know about some important facts related to our liberation war.
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: Sultan Mahmud Sujon on December 05, 2011, 08:15:07 PM
 :)
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: safiqul on December 12, 2011, 10:26:24 PM
Thanks Sujon
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: nature on December 14, 2011, 11:23:08 PM
Very good post that focus on the 1971 freedom frights. We lost many peoples and of our many valuable things that can not back any how. We all respects to the martyrs.
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: sethy on January 09, 2012, 05:23:01 PM

Informative post. Liberation war is a great achievement for us. we have to sacrifice a lot of people, A lot of relatives. WE can not get back them. Though we are happy to be free but we have some pain in our heart.

Thanks for share.
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: arefin on January 19, 2012, 01:59:26 PM
Thanks for sharing .
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: ishaquemijee on July 01, 2012, 09:24:11 AM
Informative.
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: rashedbhai on November 25, 2013, 09:08:50 AM
Good post to focused our 1971 freedom war.
Title: Re: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম
Post by: tasnim.eee on June 20, 2019, 06:49:47 PM
Informative post.