Daffodil International University

Famous => History => Topic started by: Md. Zakaria Khan on August 08, 2017, 04:43:45 PM

Title: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on August 08, 2017, 04:43:45 PM
দুঃখের সাথেই রয়েছে সুখ
إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
অবশ্যই দুঃখের সাথে সুখ আছে।” (৯৪-সূরা আল ইনশিরাহ: আয়াত ৬)
আহার করার পর পুনরায় ক্ষুধা লাগে, পান করার পর পুনরায় পিপাসা জাগে। অস্থিরতার পর ঘুম আসে। অসুস্থতার পর সুস্থতা আসে, পথ হারার পর পথ খুঁজে পাবে আর রাতের পর দিন আসবে এটাই নিয়ম।
"সম্ভবত আল্লাহ বিজয় ঘটাবেন অথবা তার ইচ্ছানুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত নিবেন।" (সূরা-৫ মায়িদা: আয়াত-৫২)
অন্ধকার রাত্রিতে এক আলোকিত সুপ্রভাতের আগমনের সংবাদ জানাও, যে প্রভাতের আলো পাহাড় ও উপত্যকাসমূহে ছড়িয়ে পড়বে। দুঃখ-পীড়িতদেরকে এমন ত্বরিত প্রশান্তির শুভসংবাদ দাও যা নাকি তাদের কাছে আলোর গতিতে বা একপলকে পৌঁছে যাবে, যদিও বা আপনি মরুভূমিকে মাইলকে মাইল বিস্তৃত দেখছেন, তবুও জেনে রাখুন যে, এই দূরত্বের পরেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ছায়াঘেরা অনেক সবুজ অবারিত মাঠ রয়েছে।
আপনি যদি দেখেন যে, রশি শুধু কষছে আর কষছেই তবে জেনে রাখুন যে, এটা অচিরেই পটু করে ছিড়ে যাবে। কান্নার পর হাসি, ভয়ের পর সান্ত্বনা এবং উদ্বিগ্নতার পর প্রশান্তি আসে। যখন ইব্রাহীম (আঃ)-কে আগুনে ফেলা হল তখন তার প্রভুর সাহায্য পাওয়ার কারণে তিনি আগুনের তাপ অনুভব করেননি।
قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
“আমি (আল্লাহ) বললাম: হে আগুন! তুমি ইব্রাহীমের জন্য শীতলতা প্রদানকারী ও নিরাপত্তা দানকারী হয়ে যাও।” (২১-সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-৬৯)
সাগরতো মূসা (আঃ)-কে ডুবাতে পারেনি; কেননা, তিনি অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী দৃঢ় ও সৎভাবে বলেছিলেন-
كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
“কখনও নয়; নিশ্চয় আমার সাথে আমার প্রভু আছেন, তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।” (২৬-সূরা আশ শোয়ারা: আয়াত-৬২)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর (রাঃ)-কে গুহাতে বলেছিলেন যে, আল্লাহ তাদের সাথে আছেন, তারপর তাদের উপর শান্তি ও প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়েছিল।
যারা দুর্দিনের শিকার তারাতো শুধু দুর্দশা ও দুর্ভাগ্যই দেখে। এর কারণ এই যে, তারা কেবল ঘরের দেয়াল ও দরজাই দেখতে পায়, যখন নাকি তাদের সামনে যে বাধার প্রাচীরসমূহ আছে সেগুলোর বাইরে তাদের তাকানো উচিত।
অতএব, হতাশ হবেন না; অবস্থা একই রকম থাকা অসম্ভব। দিনগুলো ও বছরগুলো পালা করে ঘুরে ঘুরে আসে, ভবিষ্যৎ অদৃশ্য আর প্রতিদিনই আল্লাহ্ তায়ালার কিছু কাজ করার থাকে। আপনি তো এটা জানেন না, তবে এমনটা হতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা পরবর্তীতে নতুন কিছু আনবেন। আর অবশ্যই, কষ্টের সাথে আরাম আছে।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on November 21, 2017, 09:56:31 AM
ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট(TFT)
------------------------------------------

একদিন সক্রেটিসের কাছে তার এক পরিচিত লোক এসে বলল, আপনি কি জানেন আপনার বন্ধু সম্পর্কে আমি কি শুনেছি!

সক্রেটিস তেমন আগ্রহী না হয়ে বললেন, এক মিনিট থামেন। আমাকে কিছু বলার আগে আপনার ছোট একটা পরীক্ষা পার হতে হবে, এই পরীক্ষার নাম ‘ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট’।

লোকটা অবাক হয়ে প্রশ্ন করল, ট্রিপল ফিল্টার?

সক্রেটিস বললেন, ঠিক তাই। আমার বন্ধু সম্পর্কে আমাকে কিছু বলার আগে আপনি যা বলবেন তা ফিল্টার করে নেওয়া ভালো। তিন ধাপে ফিল্টার হবে বলে আমি এটাকে ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট বলি।

১. প্রথমটি হলো ‘সত্য’ ফিল্টার। আপনি কি নিশ্চিত যে আপনি যা বলবেন তা সত্য?

লোকটা বলল, না, আমি শুধু শুনেছি আর…সক্রেটিস বললেন, ঠিক আছে। তাহলে আপনি জানেন না এটা সত্য কিনা।

২. এবার দ্বিতীয় ফিল্টার। এই ফিল্টারের নাম হল ‘ভালোত্ব’। আমার বন্ধু সম্পর্কে আপনি কি ভালো কিছু বলবেন?

লোকটা একটু আমতা আমতা করে বলল, না, বরং উলটা…

সক্রেটিস বললেন, তার মানে আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে খারাপ কিছু বলবেন এবং আপনি নিশ্চিতও না যে তা সত্য কিনা। আপনি হয়ত এখনো পরীক্ষাটা পার হতে পারেন, কারণ তিন নাম্বার ফিল্টার বাকি আছে।

৩. তৃতীয়টি হল ‘উপকারিতা’ ফিল্টার। আপনি আমার বন্ধু সম্পর্কে যা বলবেন তা কি আমার কোনো উপকারে লাগবে?

লোকটি বলল, না, সেরকম না।

সক্রেটিস তখন শান্তভাবে বললেন, বেশ, আপনি যা বলতে চান তা সত্য না, ভালো কিছুও না, আবার আমার কোনো উপকারেও আসবে না। তাহলে আমাকে কেনই বা তা বলবেন?

ঠিক তেমনভাবে ব্যক্তিজীবনে কাউকে কিছু বলার বা শোনার আগে বা কিছু শেয়ার করার আগে করিয়ে নিন সক্রেটিসের 'ট্রিপল ফিল্টার টেস্ট'। আখেরে কাজে দেবে।

(Iftekhar Mahmud এর পোস্ট থেকে পাওয়া)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on January 06, 2018, 05:14:46 PM
তওবাঃ-
তওবা আরবি শব্দ। তওবা শব্দের আভিধানিক অর্থ হ’ল প্রত্যাবর্তন করা, ফিরে আসা। পবিত্র কোরআন এবং হাদীসে শব্দটি আল্লাহর নিষেধকৃত বিষয়সমূহ ত্যাগ করা ও তার আদেশকৃত বিষয়সমূহর দিকে ফিরে আসা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। ইসলামী ধর্মমতে তওবা শব্দটি নিজের কৃত পাপের জন্য অনুতপ্ত হওয়া, তার জন্য আল্লাহ নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা, এবং তা পরিত্যাগের দৃঢ় সংকল্পকে বুঝায়। তওবা ব্যাতিরেকে কবিরা গুনাহ মাফ হয় না। যে তওবার পর পাপকর্মের পুনরাবৃত্তি হয় না, তাকে বলে তওবাতুন নাসুহা বা খাঁটি তওবা।

পবিত্র কুরআনের একটি পূর্ণাঙ্গ সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরা তওবা। এছাড়াও বিভিন্ন সুরার বিভিন্ন স্থানে তওবা এবং এর গুরুত্ব উল্লেখ করা হয়েছে।
আল্লাহ বলেন,
****** “আর হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন (তওবা) কর, যেন তোমরা সফলকাম হতে পার।”
(সূরা নুরঃ আয়াত ৩১ এর অংশ)।

সুরা তাহরিমে আল্লাহ বলেন,
********* “হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সমীপে খাঁটি তওবা কর, এই আশায় যে তোমাদের প্রভু তোমাদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেবেন আর তোমাদেরকে এমন উদ্যানসমূহে উপবিষ্ট করবেন যার নিম্নদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত থাকবে”.(সূরা তাহরিমঃ আয়াত ৮)

সুরা বাকারায় আল্লাহ বলেন,
********** “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন যারা তাঁর কাছে তওবা করে, এবং তিনি তাদেরকে ভালবাসেন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে।”
(সূরা বাকারাঃ আয়াত ২২২)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on June 21, 2018, 09:32:14 AM
দৃষ্টি সংযত রাখার মাহাত্ম্য ও মর্যাদা
আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেছেন,
“(হে নবী) আপনি  মু’মিন পুরুষদের বলুন, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের  লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয়ই তারা যা করে, সে সম্পর্কে আল্লাহ্  সম্যক অবহিত।
(সূরা আন-নূর; ২৪ : ৩০)
অতএব, আল্লাহ্ পবিত্রতা ও আত্মিক উন্নয়নকে দৃষ্টি সংযত রাখার এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করার প্রতিদান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ নিষিদ্ধ বস্তু থেকে নিজের দৃষ্টি সংযত করার ফলে তিনটি উপকার হয় যেগুলো ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত মূল্যবান।
প্রথমত : ঈমানের মধুরতা আস্বাদন করা
দ্বিতীয়ত : আলোকিত হৃদয়, স্বচ্ছ উপলব্ধিবোধ এবং তীক্ষ্ণ অন্তর্দৃষ্টি
তৃতীয়ত : হৃদয় হবে শক্তিশালী, দৃঢ় এবং সাহসী
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on June 24, 2018, 04:31:52 PM
একবার এক ইহুদি রসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপরে এসে চড়াও হলো। তার জামা আর চাদর টেনে ধরে খুব রুক্ষ ভাবে বলল,
"এই মুহাম্মাদ, আমার ঋণ শোধ করো না কেন?"
এরপরেও আরো কিছু কড়া এবং কটু কথা বলতে থাকল।

দৃশ্যটা উমার রাদিয়াল্লাহু তা'আলা দেখলেন। তিনি ইহুদিকে বললেন, তুমি রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে যে ব্যবহার করলে, আল্লাহর কসম, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাধা না দিলে তোমার কল্লা নামিয়ে ফেলতাম।

রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শান্তভাবে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর দিকে তাকিয়ে বললেন, তোমার কাছ থেকে এমন কথা তো আশা করিনি উমার। তুমি আমাকে বলবে ঋণ তাড়াতাড়ি শোধ করে দিতে আর তাকে বলবে ভালো ব্যবহার করতে। যাই হোক, লোকটাকে আমার ঋণ শোধ করে দাও আর অতিরিক্ত বিশ সা’ খেজুর দিয়ে দাও।
উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তাই করলেন।

ইহুদি জিজ্ঞেস করল, বেশি দিলে কেন উমার?
- রাগের জন্য।
ইহুদি জিজ্ঞেস করল, আমাকে চিনতে পেরেছ?
- না।
- আমি যায়েদ বিন সু’নাহ।
- ওহ, তুমি সেই ইহুদি পাদ্রী?
- হ্যাঁ।
- তুমি আমাদের রসুলের সাথে এত দুর্ব্যবহার করেছিল কেন?
- আমি তাঁর মধ্যে নবুওয়াতের সব আলামত পেয়েছি, খালি দুটি জিনিসের জন্য পরীক্ষা করছিলামঃ

১) তাঁর সহিষ্ণুতা অজ্ঞতার উপর অগ্রগামী কিনা
২) মুর্খতা বশত তাঁর সাথে কেউ অসদাচরণ করলে তার ধৈর্য বাড়ে কিনা।

এ দুটি বিষয় পরীক্ষার জন্যই আমি এ আচরণ করেছি। উমার শোনো, তোমাকে সাক্ষী করে বলছি: আল্লাহ তা‘আলা আমার রব্ব হওয়াতে, ইসলাম আমার দ্বীন হওয়াতে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নবী হওয়াতে আমি সন্তুষ্ট।
আমি তোমাকে এও সাক্ষী রাখছি যে, আমার অর্ধেক সম্পদ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের জন্য দান করে দিলাম।
তারপর যায়েদ রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে বললেন,

" আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন সত্য মাবুদ নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ তাঁর বান্দা ও রাসূল।"

ভাইয়েরা - এই মানুষটা আমাদের রসুল ছিলেন। আমরা কীভাবে অধৈর্য হব, অসহিষ্ণু হব বলেন?

যারা আমাদের ভুল ধরেন তারা আমাদের ভালোর জন্যই ধরেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাদের মাকাম অনেক উন্নত করুন।আমরা যেন তাদের শত্রু মনে না করি। আমরা যেন আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করে নিতে সচেষ্ট হই।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা তাওফিক দিন।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Abdus Sattar on June 24, 2018, 07:01:08 PM
Thanks for sharing.
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on June 25, 2018, 04:55:54 PM
ক্বিয়ামতের মাঠে কাফেদের অবস্থা

কাফেদের জন্য ক্বিয়ামতের মাঠ হবে অতীব কঠিন ও জটিল জায়গা। মহান আল্লাহ তা‘আলা কাফেদের অবস্থা সম্পর্কে ইরশাদ করেন, إِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا لَوْ أَنَّ لَهُمْ مَّا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعًا وَمِثْلَهُ مَعَهُ لِيَفْتَدُوْا بِهِ مِنْ عَذَابِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنْهُمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيْمٌ- ‘নিশ্চয়ই যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলোর বিনিময় দিয়ে ক্বিয়ামতের শাস্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা গ্রহণ করা হবে না। তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি’ (মায়েদাহ ৩৬)।
মহান আল্লাহ আরও বলেন, تَقُوْمُ السَّاعَةُ يُبْلِسُ الْمُجْرِمُوْنَ- وَلَمْ يَكُنْ لَّهُمْ مِّنْ شُرَكَائِهِمْ شُفَعَاءُ وَكَانُوْا بِشُرَكَائِهِمْ كَافِرِيْنَ- ‘যেদিন ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন অপরাধীরা হতাশ হয়ে যাবে। তাদের দেবতাগুলোর মধ্যে কেউ তাদের জন্য সুপারিশ করবে না এবং তারা তাদের দেবতাকে অস্বীকার করবে’ (রূম ১২-১৩)।
ক্বিয়ামতের মাঠে কাফেদের অবস্থা এতই কঠিন হবে যে, তাদেরকে আল্লাহ পায়ের দ্বারা না হাঁটিয়ে মুখের মাধ্যমে হাঁটাবেন। হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا نَبِيَّ اللهِ يُحْشَرُ الْكَافِرُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ أَلَيْسَ الَّذِيْ أَمْشَاهُ عَلَى الرِّجْلَيْنِ فِي الدُّنْيَا قَادِرًا عَلَى أَنْ يُمْشِيَهُ عَلَى وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ قَتَادَةُ بَلَى وَعِزَّةِ رَبِّنَا-
আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, একদা জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ্র রাসূল (ছাঃ)! ক্বিয়ামতের দিন কাফেরদেরকে কিভাবে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে একত্রিত করা হবে? নবী করীম (ছাঃ) বললেন, যিনি দুনিয়াতে মানুষকে পায়ের মাধ্যমে চালাতে সক্ষম, তিনি কি ক্বিয়ামতের দিন তাকে মুখের মাধ্যমে চালাতে সক্ষম হবেন না? ক্বাতাদাহ বলেন, আমাদের রবের কসম! তিনি তা করতে সক্ষম’।(১০. বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৫৩০৩।)

ক্বিয়ামতের মাঠে এ এক আশ্চর্য দৃশ্য যে কাফেররা মুখের মাধ্যমে চলাচল করবে।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 02, 2018, 05:45:49 PM
1⃣ – বিজ্ঞান আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে বা ভেসে চলে, পবিত্র কোরআনে
সূরা আম্বিয়ার ৩৩ নং আয়াতে এবং সূরা ইয়াসিন এর ৪০ নং আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
2⃣ – সম্প্রতি মানুষের ভ্রুন বিকাশের বিভিন্ন পর্যায় ও ধাপ সম্পর্কে
বিজ্ঞান আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে জেনেছে, আর কোরআনে এই বিষয়ে যথাযথ ও সঠিক বর্ণনা প্রদান করা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
( ২৩নং সূরা মুমিনুন এর ১২-১৪ নং আয়াত, ৫৩নং সূরা নাজম এর ৪৫-৪৬ নং আয়াত, ৩৯ নং সূরা জুমার ৬ নং আয়াত ) ও আরও অনেক আয়াতে বলা হয়েছে।
3⃣ – বিজ্ঞান সম্প্রতি জেনেছে খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সাথে স্ত্রী মৌমাছি জড়িত, সূরা নাহল এর (৬৮-৬৯)নং আয়াতে
কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে। এই আয়াতে কুরআন স্ত্রীবাচক ক্রিয়াপদ ব্যবহার করেছে। তাই এর দ্বারা কুরআন ইস্পস্ত ভাবে বর্ণনা দেয় খাদ্য সংগ্রহ ও মধু তৈরির সাথে স্ত্রী মৌমাছি জড়িত।
️4️⃣ – সম্প্রতি বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় । আর সূরা আম্বিয়ার ৩০ নং আয়াতে কোরআনে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।বিস্তারিত ভাবে দেওয়া নিচে দেওয়া বইয়ে রয়েছে।
5️⃣ – বিজ্ঞান জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই। কোরআনে সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে এই কথা বলা হয়েছে ১৪০০ বছর আগে। বিস্তারিত ভাবে নিচে দেওয়া বইয়ে রয়েছে।
⏹️ এখানে মাত্র ৫ টি মুজিজা দেওয়া হল।
কিন্তু কোরআনে শত শত মুজিজা এবং অনেক ভবিষ্যৎবাণী ও রহস্য রয়েছে।
যা আপনি কোরআন নিয়ে লেখা ইসলামিক বই গুলো পড়লে প্রমান সহ এবং বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন।

কিছু নাস্তিক ও অন্য ধর্মের মানুষ কোরআন এর মুজিজা ঠিক ভাবে না বুজে ভুল কমেন্ট করে তাই ঠিক ভাবে বা বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে বই গুলো অবশ্যই পড়বেন।
বই কিনে বা ডাউনলোড করে পড়তে পারেন।
বই গুলোর মধ্যে একটি বই এর নাম হল আল কোরআনের ১৬০ মুজিজা ও রহস্য,লেখক ড.মাজহার কাজি। এই বইটিতে রয়েছে ১৬০ টি মুজিজা।
আমার কাছে এই বইটির pdf ফাইল রয়েছে যাদের লাগবে মেসেজ করে নিতে পারেন ফ্রি।
🌠 কোরআনের অনেক ভবিষ্যৎ বানীর মধ্যে একটি বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল।
ফ্রান্স এর প্রধান মমি সার্জন ছিলেন ডা.মরিস বুকাইলি তাকে ফেরাউন এর মমি পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তিনি ফেরাউন এর মমি পরীক্ষা করেন। এবং তিনি জানতে পারেন একমাত্র কোরআনে ফেরাউনের লাশ সংরক্ষনের ব্যাপারে ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। (সূরা ১০ আয়াত ৯২)।
তিনি তখন অবাক হয়ে যায় কারন ফেরাউন এর মমি পাওয়া যায় ১৮৮১ সালে আর কোরআন নাজিল হয় ১৪০০ বছর আগে।
এরপর তিনি কোরআন ও বিজ্ঞান নিয়ে অনেক সময় ধরে বহু গবেষণা করেন এবং অনেক কিছু জানতে পারেন।
তারপর তিনি একটি বই লিখেন যার নাম বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞান, আর এই বইটিতে তিনি প্রমান করেন কোরআনে একটি শব্দও নেই যা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে মিলে না, এবং বর্তমান বাইবেল এর মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে যা বিজ্ঞানের সাথে কোনোভাবেই মিলে না।
এবং জানা যায় মৃত্যুর আগে তিনি ইসলাম গ্রহন করেন।
এই বইটি অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বইটি বাংলা ভাষায় ও রয়েছে।
🚨 মনে রাখবেন ইসলামের দুশমনরা মানুষদের ভুল বুজিয়ে বিভিন্ন ভাবে ধোঁকা দিচ্ছে এবং তারা মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ।
এমনকি ইসলামের দুশমনরা মুসলিম সেজেও কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ধোঁকা দিচ্ছে।
আর কোরআন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা ধরা বেশির ভাগ মুসলিমদের পক্ষে সম্ভব নয় কারন এর জন্য ইসলাম সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হয়।
আর মনে রাখবেন একজন আলেম বহু বছর সময় দিয়ে এত বড় কোরআন বাংলা সহ মুখস্থ করে ও অগনিত সহীহ হাদিস মুখস্ত রাখে,এবং
ইসলাম সম্পর্কে বহু জ্ঞান অর্জন করে।
তাই ইসলাম সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন থাকলে ভালো কোনো আলেম থেকে জেনে নিতে হবে।
আর আলেমদের অবশ্যই ইন্টারনেট সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ইসলাম সম্পর্কে জানাতে হবে কারন
এর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে জানানো সম্ভব।
🌍 পৃথিবীতে ইসলামের দ্রুত প্রসার ঘটছে এবং বেড়ে চলেছে নওমুসলিমদের সংখ্যা।
কিন্তু মুসলিমদের একটি বড় সমস্যা হল তারা ঐক্যবদ্ধ নয় তাই মুসললিমরা এখন নির্যাতিত হচ্ছে।
মনে রাখবেন ইসলামের বিজয় তখনি হবে, যখন ইসলামী শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হবে,
আর জনগন তখনি শান্তিতে থাকতে পারবে যখন পবিত্র কুরআন এর আইন দ্বারা দেশ চলবে...
কারণ আল্লাহ্‌ হলেন সবথেকে বড় আইন প্রনেতা।
আজকে আমাদের নিজেদের কারনেই মুসললিমরা ঐক্যবদ্ধ নয়। তাই আমাদের নিজ থেকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহ্‌ আমাদের কবুল করুক।(আমিন)
🌠 একবার ভেবে দেখুন মহান আল্লাহ্‌ এত কিছু সৃষ্টি করলো কিন্তু আমাদের গুনাহ করা ও নিজের ইচ্ছা মত চলার ক্ষমতা কেন দিল ? তাহলে এই দুনিয়ার জীবন কি একটি পরীক্ষা নয়?
আর আমি আজ যতো মজা করি আর গুনাহ করি না কেন আমি একদিন মারা যাবো, মৃত্যুর পর আমি কি পারবো জাহান্নাম এর কঠিন আজাব সহ্য করতে?
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 07, 2018, 11:00:15 AM
আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন ,
অতঃপর তার দ্ধারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন । এতে ঐ সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন আছে যারা লক্ষ্য করে শুনে । তোমাদের জন্য গবাদি পশুতে ও অবশ্যই শিক্ষা নিহিত আছে । তোমাদেরকে পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই সুস্বাদু । আর
খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা   উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর , জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে ।

______।। সুরা নাহাল : ৬৫ ,৬৬ , ৬৭ ।। ___
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Abdus Sattar on July 07, 2018, 11:28:40 AM
Thanks for sharing.
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: tokiyeasir on September 30, 2018, 10:13:10 AM
Thanks..........
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 02, 2018, 06:25:37 PM
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যখন আমার উম্মাত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করা হলোঃ হে রাসূল, কী কী? তিনি বললেনঃ

▣ যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে
▣ যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে (অর্থাৎ আত্মসাৎ করা হবে)
▣ যাকাতকে জরিমানার মতন মনে করা হবে
▣ স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে
▣ বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সাথে দুর্ব্যবহারকারী হবে
▣ মসজিদে হৈ চৈ হবে
▣ জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী
▣ মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে
▣ গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে
▣ উম্মাতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদ অভিশাপ দেবে

তখন আগুনে বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।”

[সহীহ তিরমিযী হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। আততারগীব ওয়াত তারহীব- ৩য় খন্ড (১৫৪১)]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: monirulenam on October 31, 2018, 06:00:22 PM
Thanks for the post
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on December 06, 2018, 08:00:17 PM
মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে
সৃষ্টি করেছি, মাটিতেই আমি তোমাদের
ফিরিয়ে নেব এবং এ মাটি থেকেই
তোমাদেরকে পুনরায় আবার বের করে আনব।
[সূরা ত্বোয়া-হা :৫৫]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on February 07, 2019, 09:09:01 PM
সালাতের ফজিলত
দুনিয়ার ভালো-মন্দ কর্মগুলো আখিরাতে পরিমাপ করা হবে। দুনিয়ায় যারা বেশি বেশি নেক আমল করবে। তারা কিয়ামতের কঠিন সময়ে সফলকাম হবে। কিয়ামত দিবসে পরিবার-পরিজন কেউ কারো কোনো উপকারে আসবে না। প্রত্যেকে নিজের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সে দিন শুধু দুনিয়ার নেক আমলের ওপর ভরসা করতে হবে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যারা ঈমান এনেছ, আল্লাহ পাককে ভয় করো, প্রত্যেকের উচিত লক্ষ করা যে, আগামীকালের জন্য সে কি পেশ করতে যাচ্ছে, তোমরা আল্লাহকে ভয় করতে থাকো; অবশ্যই তোমরা যা কিছু করছ, আল্লাহ পাক তার পূর্ণাঙ্গ খবর রাখেন।’ (সূরা হাশর:১৮)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম বান্দার নামাজের হিসাব নেয়া হবে। যদি নামাজ ঠিক থাকে তবে অন্যান্য আমলও সঠিক বলে প্রমাণ হবে। আর যদি নামাজের হিসাবে গরমিল হয়, অন্যান্য আমলও ত্রুটিযুক্ত হয়ে যাবে।’ (তিরমিজি-১:২৪৫পৃ.)।
কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তায়ালা নামাজ আদায়কারী ব্যক্তিদের প্রতিদান দেবেন। যারা দুনিয়াতে নামাজ কায়েম করেছে, জাকাত প্রদান করেছে, সে দিন তারা আনন্দ-উল্লাস করতে থাকবে। তাদের জাহান্নামের কোনো ভয় থাকবে না। আর দুনিয়ার বেনামাজিরা, সে দিন হা-হুতাশ করতে থাকবে। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো এবং জাকাত দাও। আর তোমরা নিজেদের জন্য অগ্রে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে।’ (সূরা বাকারা:১১০)। ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে, সালাত কায়েম করে এবং আল্লাহ যে রিজিক দিয়েছেন তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে দান করে, তারা এমন ব্যবসার আশা করতে পারে যা কখনো ধ্বংস হবে না।’ (সূরা ফাতির:২৯)।
পরকালে সাফল্যে লাভের চাবিকাঠি হলো নামাজ আদায় করা। পরকালে নাজাত পেতে হলে, দুনিয়ার জিন্দেগিতে নামাজের প্রতি যতœবান হতে হবে। নামাজি ব্যক্তিরাই জান্নাতের স্থায়ী বাসিন্দা হবেন। কুরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই ওই সব ঈমানদার সফলকাম হয়েছে, যারা তাদের নামাজে খুশু-খুজুর সাথে আদায় করে।’ (সূরা মুমিনুন:১-২)। ‘যারা নিজেদের সালাতের হেফাজত করে, এরাই আল্লাহর জান্নাতে মর্যাদাসহকারে প্রবেশ করবে।’ (সূরা মা’আরিজ :৩৪-৩৫)। ‘যারা তাদের সালাতসমূহের হিফাজতকারী, মূলত এরাই হবে জান্নাতুল ফেরদাউসের উত্তরাধিকারী এবং সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে।’ (সূরা মুমিনুন: ৯-১১)।
যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তাদের আমলনামায় কোনো গোনাহ থাকবে না। নামাজ বান্দার আমলনামা থেকে গোনাহগুলোকে ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে দেয়। হজরত আবু হোরায়রা রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা বলতো, যদি তোমাদের কারো দরজার সামনে একটি নহর থাকে যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তবে তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে? সাহাবারা উত্তরে বললেন: না, কোনো ময়লাই অবশিষ্ট থাকবে না। অতঃপর রাসূল সা: বললেনÑ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত এমনই। এর বিনিময়ে আল্লাহ পাক নামাজির সব গোনাহ মাফ করে দেন।’ (বোখারি:৫০৩)।
নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে অবহেলা করলে, আখিরাতে অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। হজরত নাওফেল ইবনে মুয়াবিয়া রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘যার এক ওয়াক্ত নামাজ ছুটে গেল তার যেন ঘরবাড়ি, পরিবার-পরিজন ও ধন-দৌলত সবকিছু ছিনিয়ে নেয়া হলো।’ (ইবনে হিব্বান-৪:৩৩০ পৃ.)। নামাজের গুরুত্ব এতটাই যে, মুসলমান ও অন্য ধর্মের লোকদের মধ্যে পার্থক্যই হলো নামাজ। হজরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, ‘মানুষের শিরক এবং কুফরের মধ্যে পার্থক্য নামাজ ছেড়ে দেয়া।’ (মুসলিম:২৪৭)। হজরত হানজালা উসাঈদী রা: থেকে বর্ণিত হয়েছে, হজরত রাসূল সা: এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথ পাবন্দীর সাথে আদায় করে, উত্তমরূপে অজু করে, সময়ের প্রতি খেয়াল রাখে, রুকু-সিজদা ঠিকমতো আদায় করে এবং এভাবে নামাজ আদায়কে নিজের ওপর আল্লাহ তায়ালার হক মনে করে, তবে জাহান্নামের আগুন তার জন্য হারাম করে দেয়া হবে। ( মুসনাদে আহমাদ-৪: ২৬৭পৃ.)। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে আদায় করার জন্য আল্লাহ সবাইকে তৌফিক দান করুন।

 

Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 04, 2019, 05:43:44 PM
শায়খ আব্দুল আযিয আত-তারিফি (হাফি)- এর একটা উক্তি । উনি বলেছেন,
"আল্লাহ কোন জালিমকেও উঁচুতে তুলে ধরতে পারেন। কিন্তু এর কারণ জালিমের প্রতি আল্লাহর ভালোবাসা নয়। বরং তাকে উঁচু জায়গা থেকে আছড়ে ফেলাটাই উদ্দেশ্য। সুতরাং কোন জালিমকে বেশি বাড়তে দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। তার পতন আসন্ন।"

আল্লাহ তা'আলা তাই কুরআনে বলেছেন,
"আমি তাদেরকে এ জন্যে সুযোগ দিয়েছি যেন তাদের পাপ বৃদ্ধি পায়। আর তাদের জন্যে রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি।" (সূরা আলে ইমরান ৩:১৭৮)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 09, 2019, 08:31:28 PM
আযানের সময় জরুরিভাবে যে ৫টি আমল করবেন

আযান অত্যন্ত বড় একটি ইবাদত। এটা শুধু মুয়াযযিনের সাথেই সম্পৃক্ত নয়। আযানে পাঁচটি আমল এমন রয়েছে, যা সকল মুসলমান আদায় করতে পারে। অত্যন্ত সহজ ও সুন্দর সেই পাঁচটি আমল এই-

এক. আযানের শব্দগুলো মুয়াযযিন বলার পর হুবহু উচ্চারণ করা। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমরা যখন আযান শুনবে, তখন মুয়াযযিন যা বলবে, তোমরাও তাই বলো।’ (বুখারী শরীফ, হাদীস-৫৭৬)

তবে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলার পর ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলতে হবে।বুখারী শরীফে অন্যত্র বর্ণিত আছে, হযরত মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা.-এর থেকে এমনটিই শুনেছি। (বুখারী শরীফ, হাদীস-৫৭৮)

দুই. আযান শেষ হবার পর রাসূলুল্লাহ সা.-এর ওপর দরূদ শরীফ পাঠ করা। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন,

‘মুয়াযযিনের আযান শুনে তোমরা হুবহু শব্দগুলো বলো। এরপর আমার ওপর দরূদ পাঠ করো। যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর দশটি রহমন বর্ষণ করবেন।’ (মুসলিম শরীফ, হাদীস-৫৭৭)

তিন. রাসূলুল্লাহ সা.-এর জন্য ‘উসিলার মর্যাদা’ প্রত্যাশা করা। পূর্বে উল্লেখিত হাদীসের শেষাংশে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, সবশেষে তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছে আমার জন্য ‘উসিলা’ চাও। ‘উসিলা’ জান্নাতের মধ্যে একটি মর্যাদাবার স্থান।

কেউ তা পাবে না আল্লাহর একজন বান্দা ছাড়া। আমি আশা করি, সেই বান্দা আমিই। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার জন্য ‘উসিলা’ চাইবে, তার জন্য আমার শাফায়াত জরুরী হয়ে যাবে।’ (মুসলিম শরীফ, হাদীস-৫৭৭)

চার. তাওহীদের সাক্ষি দেয়া, আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও দ্বীনে ইসলামের প্রতি সন্তুষ্টির ঘোষণা দেয়া। হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, মুয়াযযিনের আযান শুনে যে ব্যক্তি বলবে,

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ، رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا
(উচ্চারণ) আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু, লা শারীকা লাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু, রযীতু বিল্লাহি রব্বাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন রাসূলাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বীনা, তার সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।’ (মুসলিম শরীফ, হাদীস-৫৭৯)

পাঁচ. আল্লাহ তাআলার নিকট যে কোন দুআ করা। আযানের পর দুআ কবুল হয়। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সা.কে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

মুয়াযযিনগণ আযান দিয়ে আমাদের চেয়ে বেশি ফযীলতপ্রাপ্ত হচ্ছে, আমরা কী করব? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, হুবহু মুয়াযযিনের মত তুমিও বলো। আযান শেষ হলে আল্লাহ তাআলা কাছে চাও, তোমার দুআ কবুল করা হবে। (আবু দাউদ শরীফ, হাদীস-৪৪০)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 27, 2019, 05:22:04 PM
আল্লাহ বলেন,
“আমি তাকে (রাসূলকে) কবিতা শিখাইনি, তার জন্য তা সমীচীনও নয়। এই কিতাব তো এক স্মারকপত্র আর স্পষ্ট কুরআন। যাতে সে জীবিত (অন্তরবিশিষ্ট ঈমানদার) ব্যক্তিকে সতর্ক করতে পারে এবং (মৃত অন্তরবিশিষ্ট) কাফিরদের বিরুদ্ধে শাস্তির কথা সঠিক প্রমাণ করতে পারে।” [সূরা ইয়াসীন, ৩৬:৬৯,৭০]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on March 15, 2020, 02:07:14 PM
মহামারী রোগ

(১) কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করা অবস্থায় যুদ্ধের ময়দান হতে যেরূপ পলায়ন করা হারাম অনুরূপ মহামারী স্থান হতে পলায়ন করাও হারামঃ
জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "প্লেগ রোগ ছড়িয়ে পড়লে সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতোই (গুরুতর অপরাধ)। (কোন স্থানে) প্লেগ ছড়িয়ে পড়লে সেখানেই ধৈর্য ধরে অবস্থানকারী ব্যক্তি শহীদের সাওয়াব পাবে।"

[আহমাদঃ ১৪৮৭৫, হাসান লিগায়রিহী, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ১২৯৩, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪২৭৭।]

(২) মহামারী রোগে মুমিন কিংবা কাফির; যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে। তবে ঈমানের উপর নির্ভর করে প্রতিদান ভিন্ন হবেঃ
‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্লেগ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বললেন, "এটা হচ্ছে একটি আযাব। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের প্রতি ইচ্ছা করেন তাদের উপর তা প্রেরণ করেন। আর আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মুমিন বান্দাদের উপর তা রহমত করে দিয়েছেন। কোন ব্যক্তি যখন প্লেগ রোগে আক্রান্ত জায়গায় সাওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ্ তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে তাহলে সে একজন শহীদের সমান সওয়াব পাবে।"

[সহীহ বুখারীঃ তাওহীদ প্রকাশনী নম্বর-৩৪৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নম্বর-৩২২৫।]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: 710001113 on November 21, 2020, 12:29:40 PM
NICE
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on December 14, 2020, 03:44:46 PM

অনেক অনেক দিন আগে, এক বৃদ্ধ বাবা ও তার সন্তান উটের পিঠে চড়ে এক কাফেলার সাথে হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
মাঝ পথে বাবা তার ছেলেকে বললেন, "তুমি কাফেলার সাথে চলে যাও,আমি আমার প্রয়োজন সেরেই তোমাদের সাথে আবার যোগ দিব আমাকে নিয়ে ভয় পেয়োনা। "
এই বলে বাবা নেমে পড়লো  উটের পিঠ থেকে, ছেলেও চলতে লাগলো কাফেলার সাথে, কিছুক্ষন পর  সন্ধ্যা হয়ে এলো। ছেলে  আশে পাশে কোথাও বাবাকে খুঁজে পেলো না।
সে ভয়ে উটের পিঠ থেকে নেমে উল্টো পথে হাটা শুরু করলো।অনেক দূর যাওয়ার পর সে দেখলো তার বৃদ্ধ বাবা অন্ধকারে পথ হারিয়ে বসে আছেন।
ছেলে দৌড়ে বাবার কাছে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। আদর করে বাবাকে নিজ কাঁধে চড়ালো। তারপর আবার কাফেলার দিকে হাঁটা শুরু করলো।
তখন বাবা বললেনঃ"আমাকে নামিয়ে দেও, আমি হেঁটেই যেতে পারবো।"
ছেলে বললোঃ"বাবা আমার সমস্যা হচ্ছে না,তোমার ভার ও খোদার জিম্মাদারি আমার কাছে সবকিছুর চেয়ে উত্তম।" এমন সময় বাবা কেঁদে ফেললেন ও ছেলের মুখের ওপর  বাবার চোখের পানি গড়িয়ে পড়লো।
ছেলে বললোঃ"বাবা কাঁদছো কেন?বললাম না আমার কষ্ট হচ্ছে না।"
বাবা বললেনঃ আমি সেজন্য কাঁদছি না। কাঁদছি কারণ আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে ঠিক এভাবেই আমি রাস্তা দিয়ে আমার বাবাকে কাধে করে নিয়ে গিয়েছিলাম, আর আমার বাবা আমার জন্য এই বলে দোয়া করেছিলেন যে,"তোমার সন্তানও তোমাকে এরকম করে ভালোবাসবে।আজ বাবার দোয়ার বাস্তব রূপ দেখে  চোখে পানি এসে গেলো। "
বৃদ্ধ মা বাবাকে আপনি যেমন করে ভালোবাসবেন, ঠিক
তেমনটাই আপনি ফেরত পাবেন আপনার  সন্তানের মাধ্যমে!তাই বলছি, নিজের সুখের জন্য হলেও মা বাবার সেবাযত্ন করুন এবং তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করুন।
"রাব্বির হামহুমা কামা রব্বাইয়ানি সগীরা"
©
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on December 24, 2020, 12:43:38 PM
 কুরআনের ৪ টি মোটিভেশনাল শব্দ খুবই উপকারী ছোট্ট হলেও ব্যাপক অর্থবোধক!!! ♥
"লা তাহযান"
অর্থঃঅতীত নিয়ে কখনো হতাশ হবেন না।
"লা তাখাফ"
অর্থঃভবিষ্যত নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তা করবেন না। তা ন্যাস্ত করে দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
" লা তাগদাব"
অর্থঃজীবনে চলার পথে বিভিন্ন সময় অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ের সম্মুখীন হতে হবে। রাগ করবেন না।
" লা তাসখাত"
অর্থঃআল্লাহর কোন ফয়সালার প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন না।
- সুবহানাল্লাহ❤
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on December 30, 2020, 06:07:20 PM
#দরিদ্রতা_আসে_সাত_জিনিসের_কারণেঃ-
১। তাড়াহুরা করে নামায পড়ার কারণে...!!!
২। দাঁড়িয়ে পশ্রাব করার কারণে...!!!
৩। পশ্রাবের জায়গায় অজু করার কারণে...!!!
৪। দাঁড়িয়ে পানি পান করার কারণে...!!!
৫। ফুঁ দিয়ে বাতি নিভানোর কারণে...!!!
৬। দাঁত দিয়ে নখ কাটার কারণে...!!!
৭। পরিধেয় বস্ত্র দ্বারা মুখ সাফ করার কারণে!
#সচ্ছলতা_আসে_সাত_জিনিসের_কারণেঃ-
১। কুরআন তেলাওয়াত করার কারণে।
২।পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কারণে।
৩। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করার কারণে।
৪। দরিদ্র ও অক্ষমদের সাহায্য করার কারণে।
৫। গোনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।
৬। পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সদাচরণ করার কারণে।
৭। সকালে সূরা ইয়াসিন এবং সন্ধ্যায় সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করার কারণে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তওফিক দান করুন
——আমিন....!!!
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 24, 2021, 11:04:56 AM
একজন স্ত্রীর চাহিদা তখনই বেড়ে যায় যখন স্বামীর সাথে দুরত্ব বেড়ে যায়। তখন সে গহনা, শাড়ি, দামী জিনিস এসবের প্রতি ভালোলাগা খুঁজে বেড়ায়।

স্ত্রী হলো মাটির মত আর ভালোবাসা হলো পানি,
আপনি দুইটা এক সাথে মিশিয়ে ইচ্ছে মতো আকৃতি দিতে পারবেন।
" আপনার স্ত্রী কখনোই আপনার কাছে লক্ষ্য টাকা দামের জিনিস চাইবেন না, যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তার পাশে ৩০ টাকা দামের ফুসকা খান।

"" আপনার স্ত্রী কখনোই আপনাকে বলবেনা, আমাকে দামী গাড়ি কিনে দাও, যদি আপনি মাঝে মধ্যে স্ত্রী কে নিয়ে হুট খোলা রিকশায় এই শহরটা একটু ঘুরে বেড়ান।

""" পুরো সংসারের কাজ করার পরেও আপনার স্ত্রী বলবেনা আমার কষ্ট হচ্ছে, যদি আপনি আপনার স্ত্রী কে ভালোবেসে কপালে একটা চুমু খান, এবং বলেন সারাদিন অনেক করেছো।

"" ভালোবাসা শুধু দামী জিনিসের মধ্যে লুকিয়ে থাকে না।।
"" মাঝে মধ্যে ভালোবাসা ১৫ টাকা দামের গোলাপ আর রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া ২৫ টাকা দামের কাচের চুড়ি মধ্যে ও লুকিয়ে থাকে।
"" সাথে একটু শেয়ার এবং কেয়ার থাকলে সংসার যুদ্ধ ক্ষেত্র না হয়ে, জান্নাত হয়।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: 710001113 on August 03, 2021, 07:17:06 PM
nice
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Anta on August 04, 2021, 12:46:37 PM
Thanks for sharing  :)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on August 21, 2021, 12:25:52 PM
১০ মুহাররম : মহিমান্বিত এক দিন
মাহে মুহাররমে হযরত হুসাইন রা. স্বীয় লোকজনসহ জালিম ইয়াযীদ ও তার লোকদের দ্বারা অবরুদ্ধ হয়ে লড়াই করে শাহাদাত বরণ করেছেন। সে জন্য মাহে মুহাররমে হযরত হুসাইন রা.-এর এ ত্যাগের কথা স্মরণ করে দীনের হিফাজতের জন্য জান-মাল কোরবানি করার প্রত্যয় করা আমাদের কর্তব্য। তবে স্মরণ রাখা দরকার যে, সৃষ্ট জগতের প্রলয় শিঙ্গার ফুৎকারের মাধ্যমে সাধিত হবে। আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে : ‘আর শিঙ্গার ফুৎকার উচ্চকিত হবে, সেটা হবে নির্ধারিত দিনে।’ (সুরা ক্বাফ : আয়াত ২০)। আরো ইরশাদ হয়েছে : ‘যেদিন শিঙ্গার ফুৎকার উচ্চকিত হবে, সেদিন পৃথিবী ও আকাশমন্ডলীর বাসিন্দারা বেকারার হয়ে যাবে।’ (সূরা নমল : আয়াত ৮৭)। এই ফুৎকার মুহাররমের ১০ তারিখ কোনো এক শুক্রবার দিন উচ্চকিত হবে। কিন্তু কিছু লোক আশুরার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে অতিরঞ্জিত ও গর্হিত কার্যকলাপ দ্বারা বিদআত ও নাজায়েজ বিষয়ের অবতারণা করে চলেছেন। মুসলমানদের সেসব গর্হিত কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।

আশুরার তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত
ফজিলত ও তাৎপর্যপূর্ণ দিনগুলোর মধ্যে অনন্য আশুরা। আশুরার অনেক তাৎপর্যপূর্ণ ফজিলত আছে। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে-
১. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনাতে এলেন তখন ইয়াহুদিগণ আশুরার দিন রোজা রাখতেন। তারা জানাল, এ দিন মুসা আলাইহিস সালাম ফেরাউনের উপর বিজয় লাভ করেছিলেন। তখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবীদের বললেন, মুসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হওয়ার দিক থেকে তাদের চেয়ে তোমরাই অধিক হাকদার। কাজেই তোমরা (আশুরার দিন) রোজা রাখ।’ (বুখারি)

Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on September 26, 2021, 05:48:09 PM
পড়ে দেখুন, একটি নতুন বিষয় আবিষ্কার করতে পারবেন ..
সূরা ফাতিহায় রয়েছে ৭টি আয়াত, তাই না? এই ৭টি আয়াতকে দুই ভাগ করুন। কিন্তু মাঝের আয়াতকে কোন ভাগেই রাখবেন না। একদম মাঝের আয়াতটিকে আলাদা রেখে দুই ভাগ করলে কী রকম দাঁড়ায় দেখুন-
১,২,৩
৫,৬,৭
মাঝে থাকবে আয়াত নাম্বার ৪, তাই না?
এবার প্রথম তিনটি আয়াতে কি বলা হচ্ছে দেখে নিই।
১ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি।'
২য় আয়াতে বলা হচ্ছে- 'তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু।'
৩য় আয়াতে বলা হচ্ছে- 'যিনি বিচার দিনের মালিক।'
৪র্থ আয়াতে বলা হচ্ছে- 'আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।' এটি কিন্তু মাঝের আয়াত।এটি কোন ভাগেই পড়বে না। এটিকে কেন্দ্রবিন্দু বলা যেতে পারে। এই আয়াত দিয়েই আমরা প্রথম ভাগ আর পরের ভাগকে যাচাই করবো।
পরের ভাগের আয়াত গুলোতে কি বলা হচ্ছে দেখুন ..
৫ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'আমাদের সরলপথে পরিচালিত করুন।'
৬ষ্ঠ  আয়াতে বলা হচ্ছে- 'ওই সব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন।'
৭ম আয়াতে বলা হচ্ছে- 'তাদের পথে নয়, যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।'
আসুন, এবার আমরা সিকুয়েন্সটি মিলাতে চেষ্টা করি।
প্রথম ভাগের আয়াতগুলো এক জায়গায় নিয়ে আসা যাক।প্রথম অংশের আয়াতগুলো হলো-
"যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি জগৎসমূহের অধিপতি। তিনি পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক"
মাঝখানে আছে "আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি।" আর পরের অংশে আছে,
'আমাদের সরল পথে পরিচালিত করুন। ওইসব লোকদের পথে, যাদের আপনি নিয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয়,যাদের ওপর আপনার অভিশাপ নাজিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট।'
মাঝখানের, অর্থাৎ ৪ নাম্বার আয়াতে দুটো অংশ আছে। "আমরা তোমারই ইবাদত করি" এতটুকু একটি অংশ এবং "তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি" এতটুকু একটি অংশ।
আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে এই আয়াতের প্রথম অংশ সূরার প্রথম তিন আয়াতের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং পরের অংশ প্রতিনিধিত্ব করছে সূরার পরের তিন আয়াতের। এই আয়াতের প্রথম অংশ দিয়ে ওপরের তিন আয়াতকে যাচাই করা যাক-
"আমরা তোমারই ইবাদত করি"
আমরা কার ইবাদত করি?
সকল  প্রশংসা যার এবং যিনি সৃষ্টি জগতের  অধিপতি।[ সূরা ফাতিহার ১ম আয়াত]
আমরা কার ইবাদত করি?
যিনি  পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু। [২য় আয়াত]
আমরা কার ইবাদত করি?
যিনি বিচার দিনের মালিক। [৩য় আয়াত]
দারুণ না?
এবার আসা যাক ওই আয়াতের পরের অংশে। যেখানে বলা হচ্ছে - "তোমার কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করি "
আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?
"যাতে আমরা সরল পথে চলতে পারি"। [সূরা ফাতিহার ৫ম আয়াত]
আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?
"যাতে আমরা নিয়ামত প্রাপ্তদের দলে ভিড়তে পারি"। [৬ষ্ঠ আয়াত]
আমরা কিসের জন্য প্রার্থনা করি?
"যাতে আমরা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্টদের দলের অন্তর্ভুক্ত না হই"। [৭ম আয়াত]
চিন্তা করে দেখুন-  আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা এই ছোট্ট সূরাটার মধ্যেও কী রকম ভাষার মান, সাহিত্য মান দিয়ে  দিয়েছেন।
প্রথমে কিছু কথা, মাঝখানে একটি বাক্য, শেষে আরো কিছু কথা। কিন্তু মাঝখানের সেই বাক্যটিকে এমন ভাবে সাজিয়েছেন এবং এমন ভাবে বলেছেন, যেটি প্রথম এবং শেষ -দুটো অংশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ!!!  Collected
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 04, 2021, 05:32:39 PM
হযরত মুসা (আঃ) এর জামানার চমৎকার একটি ঘটনা।



হযরত মুসা(আঃ) একবার আল্লাহ্ তায়া'লা কে জিজ্ঞেস করলেন,হে আল্লাহ্!

জান্নাতে আমার সাথে কে থাকবে?

জবাবে বলা হলো,ওমুক কসাই !

জবাবে কসাইয়ের নাম শুনে মুসা (আঃ) খুবই আশ্চর্য হলেন। অনেক খোঁজ করার পর মুসা (আঃ) তাকে বের করলেন।



দেখলেন, কসাই গোস্ত বিক্রিতে ব্যস্ত! সবশেষে কসাই একটুকরো গোস্ত একটি কাপড়ে মুড়িয়ে নিলেন । অতঃপর বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। মুসা (আঃ) তাঁর সম্পর্কে আরো জানার জন্যে অনুমতি নিয়ে পিছুপিছু তাঁর বাড়ি গেলেন। কসাই বাড়ি পৌঁছে গোস্ত রান্না করলেন। অতপর রুটি বানিয়ে তা গোস্তের ঝোলে মেখে নরম করলেন। তারপর ঘরের ভিতরের কামরায় প্রবেশ করে শয়নরত এক বৃদ্ধাকে উঠিয়ে বসালেন । তারপর তার মুখে টুকরো টুকরো রুটি পুরে দিতে লাগলেন।



খাওয়ার পর বৃদ্ধা কি যেন কানেকানে বললেন। অমনি কসাই মুচকি হাসলেন।



দূর থেকে মুসা (আঃ) সব-ই দেখছিলেন।



কিন্তু, কিছুই বুঝলেন না। মুসা (আঃ) বৃদ্ধার পরিচয় এবং মুচকি হাসার বিষয়টি কসাইকে জিজ্ঞেস করলেন।

কসাই বললেন, ওনি আমার মা আমি বাজার থেকে আসার পর সর্বপ্রথম আমার মাকে রান্না করে খাওয়াই।

আর, মা খাওয়ার পর খুশি হয়ে আমার কানের কাছে এসে আল্লাহ্ তায়া'লার কাছে এই বলে দোআ করেন,

"আল্লাহ্ তায়া'লা তোমাকে বেহেস্ত দান করুক এবং মুসা (আঃ) এর সাথে রাখুক"! আমি এই দোআ শুনে এই ভেবে মুচকি হাসি যে, কোথায় মুসা (আঃ)আর কোথায় আমি।



ইয়া আল্লাহ আমাদের মন মানষিকতা, সেই কসাইয়ের মত করে দাও, আল্লাহ তায়া'লা যেন আমাদের মা বাবার খেদমত করার তাওফীক দান করেন ।



আমীন।

#সংগ্রহীত
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md Kamrul Hasan on March 12, 2022, 10:35:12 PM
Thanks for sharing.
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 02, 2022, 03:03:22 PM
উমার ইবনুল খাত্তাব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, "তোমাদের ভালোবাসা যেন নির্বুদ্ধিতায় পরিণত না হয়, তোমাদের ঘৃণা যেন ধ্বংসে পরিণত না হয়।"
তাকে প্রশ্ন করা হলো, "সেটা কীভাবে হয়?"
তিনি উত্তর দিলেন, "যখন তোমরা ভালোবাসো, তোমরা শিশুদের মতন নির্বোধ হয়ে যাও। আর যখন ঘৃণা করো, তখন তোমরা তোমাদের সঙ্গীদের ধ্বংস কামনা করতে ভালোবাসো।"
[আল-বুখারী, আল-আদাব আল-মুফরাদ -১৩২২]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 08, 2022, 02:58:09 PM
আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব, কখনও ভয়ভীতি, কখনও অনাহার দিয়ে, কখনও তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। (এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করতে হবে) তুমি ধৈর্যশীলদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দান করো।’ –সূরা বাকারা: ১৫৫

নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ –সুনানে ইবনে মাজাহ
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 17, 2022, 05:12:28 PM
‘আল্লাহু আকবার’ অর্থ কী?
মহান আল্লাহর তাসবিহ বা প্রশংসা বাক্যের মধ্য সবচেয়ে মর্যাদাবান তাসবিহ হলো- (اللَّهُ أَكْبَرُ) আল্লাহু আকবার। মর্যাদাসম্পন্ন জিকির ও তাকবিরের মধ্যেও এটি সবচেয়ে বড়। এ তাকবিরের মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর একান্ত কাছাকাছি হয়।
‘আল্লাহু আকবার’ (اللَّهُ أَكْبَرُ) অর্থ হচ্ছে- হাকিকত এবং আক্ষরিক অর্থে আল্লাহ তাআলা সব কিছুর চেয়ে বড় এবং মহান। তিনি ইলম (জ্ঞান), কুদরাত (ক্ষমতা), সামি (শোনা), বাসির (দেখা) এবং কর্তৃত্বে সব কিছুর চেয়ে বড়। এমনকি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা সত্ত্বাগত দিক থেকেও সবচেয়ে বড়। কিন্তু তিনি কত বড়? সাত আসমান এবং সাত জমিন পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার হাতের তালুতে কীসের মতো?
মহান আল্লাহর কাছে এসব (এতোই ছোট); যেন আমাদের কারো হাতের তালুতে একটা সরিষার দানার মতো! কেননা আল্লাহ তাআলা নিজেই বলেন-
১. وَ مَا قَدَرُوا اللّٰهَ حَقَّ قَدۡرِهٖ وَ الۡاَرۡضُ جَمِیۡعًا قَبۡضَتُهٗ یَوۡمَ الۡقِیٰمَۃِ وَ السَّمٰوٰتُ مَطۡوِیّٰتٌۢ بِیَمِیۡنِهٖ ؕسُبۡحٰنَهٗ وَ تَعٰلٰی عَمَّا یُشۡرِکُوۡنَ
‘ওরা আল্লাহর যথোচিত কদর করেনি। তেয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুঠোয় থাকবে এবং আকাশমন্ডলী থাকবে তাঁর ডান হাতে গুটানো। পবিত্র ও মহান তিনি, ওরা যাকে অংশী করে, তিনি তার উর্ধ্বে।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৬৭)
২. یَوۡمَ نَطۡوِی السَّمَآءَ کَطَیِّ السِّجِلِّ لِلۡکُتُبِ ؕ کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُهٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ
‘সেদিন আমি আকাশকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দপ্তর; যেভাবে আমি সৃষ্টির সূচনা করেছিলাম, সেভাবে পুনরায় সৃষ্টি করব। প্রতিশ্রুতি পালন আমার কর্তব্য; আমি এটা পালন করবই।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৪)
আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে বড়, যেমন- তাঁর আসমা (সুন্দরতম নামসমূহ) ও সিফাত (সুমহান গুণাবলীতে); একইভাবে তিনি নিজেও সবকিছুর চেয়ে বড়। আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্বের প্রকৃত বাস্তবতা অনুধাবন করা কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা আরশ সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, আরশ কত বড় সেটা মানুষের পক্ষে বুঝা সম্ভব নয়। তাহলে চিন্তা করে দেখুন, আরশের সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ) কত বড় সেটা বুঝা মানুষের জন্য কতটা সম্ভব! ত্বইয়্যিব!
সুতরাং তুমি যখন বলো- ‘আল্লাহু আকবার’ (اللَّهُ أَكْبَرُ) তখন তুমি এটা অনুভব করবে যে, আল্লাহ সবকিছুর চেয়ে বড়। তিনি ইলম, ক্বুদরত, হিকমত, সমস্ত কাজ পরিচালনার দিক থেকে সবচেয়ে মহান, অনুরূপভাবে তিনি নিজে সমস্ত কিছুর চেয়ে বড়।
যারাই মহান আল্লাহর প্রশংসায় অন্তর থেকে আল্লাহর জন্য এ তাকবির দেবেন; আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও পরকালে তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন। কেননা ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবির, তাকবিরে তাশরিক ও জিকিরের ফজিলত থেকেই তা প্রমাণিত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় উচ্চকণ্ঠে ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবিরের ঘোষণা দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহু আকবারের অর্থ ও মহত্ব বুঝার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর প্রশংসা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on November 16, 2022, 02:56:59 PM
মুমিন কখনো হতাশ হয় না :-
আল্লাহ তাআ’লা তাঁর সৃষ্টি এ মহাবিশ্বকে বানিয়েছেন একটা বিশাল পরিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে, আল্লাহ তাআ’লা কুরআনে বলেন- আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব ভয়, ক্ষুধা এবং তােমাদের) জানমাল ও ফসলাদির ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দিন। (সুরা বাকারা : আয়াত ১৫৫)।
 মুমিনদের জন্য পরিক্ষা আসবেই যে পরিক্ষা থেকে বাদ পরেননি কোনো নবী ও রাসূলগন ।আমরা যদি শিশু নবী মূসা (আ.) জীবনী দেখি জন্মের পর তার মাকে নির্দেশ করা হল তাকে যেন একটি বাক্সে ভরে ভাসিয়ে দেয়া হয়, পবিত্র কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী - আর আমি মুসার মায়ের নিকট এই মর্মে নির্দেশ পাঠালাম যে, তুমি তাকে দুধ পান করাও । অত:পর যখন তুমি তার ব্যাপারে আশঙ্কা করবে তখন তাকে নদীতে নিক্ষেপ করবে। (সুরা কাসাস : আয়াত ০৭)
একদিকে ফিরাউন বাহিনী অন্য দিকে সন্তানকে নদীতে ভাসিয়ে দেয়া এ যেন স্থলের সিংহের ভয়ে জলের কুমিরের মুখে সন্তানকে ঠেলে দেওয়ার মত কিছু। আমার/আপনার মনে যে ভয় তা কি মুসা আ. এর মায়ের মনে উদয় হয়নি? হয়েছে তবে তাকে হতাশা কিংবা ভয় গ্রাস করতে পারেনি তিনি আল্লাহ তাআলা’র উপর পরিপূর্ণ ভরসা করেছেন,তখন আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করলেন- আর একদম ভয় করবে না এবং চিন্তাও করবে না। নিশ্চয়ই আমি তােমার। সন্তানকে তােমার নিকট ফিরিয়ে দেবো এবং তাকে রাসুলদের অন্তর্ভুক্ত করব। (সুরা কাসাস : আয়াত ০৭)।।
দুনিয়া হলো মুমিনের জন্য কারাগার (সহীহ মুসলিম : ২৯৫৬)। দুঃখ কষ্ট বেদনা যন্ত্রণার জায়গা। থাকা খাওয়ার কষ্ট, ভাল না লাগা প্রিয় মানুষ হারানোর যন্ত্রণা, নিজের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবায়ন করতে না পারার অসীম বেদনা, মনের গহিনে লুকাইত সুপ্ত যন্ত্রণা যা হয়তবা এ পৃথিবীর কেউ জানেনা।
অতএব যারা মুমিন আল্লাহর প্রকৃত মুমিন বান্দা তাদের জন্য তো দুনিয়া কারাগার। আর কারাগার মানেই তো দুঃখ আর কষ্টের জায়গা। মুমিনের জন্য দুনিয়াতে দুঃখ কষ্ট থাকবে এটাই স্বাভাবিক তবুও মুমিনে কখনো হতাশ হবে না। মুমিন এই সমস্যা গুলোকে সাথে নিয়েই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা’র উপর ভরসা করে হতাশ না হয়ে আমৃত্যু জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে, আর এটাই হল একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on November 17, 2022, 03:16:01 PM
লুমাযাহ কারা? (সুরা হুমাযাহ)
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা বুক ফুলিয়ে বলেন, "আমি উচিৎ  কথা বলতে কাউকে ছাড়ি না!
আমি উচিৎ  কথা মুখের উপর বলে দেই"!
আপনি অনেক স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড!
যা মনে আসে তাই বলেন!
গালাগাল সহ সরাসরি মুখের উপর সব বলে দেন!
সব মহলে ঠোটকাটা স্বভাবের হিসেবে আপনি পরিচিত!
সবাইকে একদম সামনেই ধুয়ে দেন এবং এটা নিয়ে আপনি বেশ গর্বও করেন!

 ইসলাম ধর্মে এটাকেই "লুমাযাহ" বলা হয় ।
◾যে ব্যক্তি:-
★ সরাসরি কাউকে লাঞ্চিত ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
★ কাউকে তাচ্ছিল্য ভরে কোনকিছু নির্দেশ করে (আঙুল,চোখ, মাথা বা ভ্রু দ্বারা) ।
★ কারও অবস্থান বা পদবি নিয়ে তাকে ব্যাঙ্গ করে।
★ কারো বংশের নিন্দা করে বা বংশ নিয়ে কথা বলে।
★ কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে কথা বলে, অপমান করে।
★ কারও মুখের উপর তার সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে।
★ সরাসরি বাজে কথা দিয়ে কাউকে আঘাত করে।
★ কাউকে এমন কোনো কথা বললো যাতে আরেকজন কষ্ট পাবে।
★ অসন্মান করে কথা বললো।

উপরোক্ত ব্যক্তিরাই মূলতঃ "লুমাযাহ" এর অন্তর্ভুক্ত।

আল্লহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা এই মানুষদেরকে পরিবর্তন হতে বলেছেন। নয়তো তাদের জন্য অনিবার্য ধ্বংসের সতর্ক বাণী দিয়েছেন।
আল্লাহ তাদের প্রতি কঠোর লানত করেছেন।

নবী (সাঃ) বলেছেন, "যার ভিতরে নম্রতা নেই, সে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত"।

আসুন, আমরা একটু নরম হই, একটু সহনশীল হই, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করি।
মনে রাখবেন- আল্লাহ যাকে নম্রতা দিয়েছেন, তিনি দুনিয়ার সেরা নিয়ামাহ পেয়ে গেছেন।

আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।
আমীন।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on January 09, 2023, 01:35:01 AM
হাসিমুখে কথা বলা: সুন্নাহ
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, কোনো ভালো কাজকে তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয় হয়। (মুসলিম শরীফ, হাদিস: ২৬২৬)
অন্যত্র এক হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, প্রতিটি ভালো কাজ সদকা স্বরূপ। তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা নেক আমলের অন্তর্ভুক্ত। (তিরমিজী শরীফ)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on March 11, 2023, 02:39:54 PM
অপচয় রোধে ইসলাম :
অপচয়ের ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, তোমরা  অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না। ( সুরা আরাফ, ৩১)
কোরআনে আরো বলা হয়েছে,  ‘আল্লাহ তাদেরকে পছন্দ করেন, যারা ব্যয় করার ক্ষেত্রে মধ্যবর্তিতা অবলম্বন করে- প্রয়োজনের থেকে বেশী ব্যয় করে না এবং কমও করে না।’ (সূরা আল-ফুরকান, ৬৭)
 হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কেয়ামতের দিন এ বিষয়গুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হওয়ার আগে কোনো বান্দার পা-ই নড়বে না-তার জীবন সে কীসে ব্যয় করেছে, তার ইলম অনুসারে সে কী আমল করেছে, তার সম্পদ সে কোত্থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে আর তার শরীর কীসে নষ্ট করেছে? -(জামে তিরমিজি, হাদীস ২৪১৭)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on March 16, 2023, 03:05:26 PM
সূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৮।
 লাক্বদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুম্ মিন আনফুসিকুম্ ‘আযীযুন্ ‘আলাইহি মা-‘আনিত্তুম্ হারীছুন ‘আলাইকুম্ বিল্মুমিনীনা রাঊর্ফু রহীম্।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৮
 নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৯।
 ফাইন তাঅল্লাও ফাকুল্ হাস্বিয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অহুঅ রব্বুল ‘র্আশিল্ ‘আজীম।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৯
 অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রবসূরা তাওবার শেষ দুই আয়াত
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৮।
 লাক্বদ্ জ্বা – য়াকুম্ রসূলুম্ মিন আনফুসিকুম্ ‘আযীযুন্ ‘আলাইহি মা-‘আনিত্তুম্ হারীছুন ‘আলাইকুম্ বিল্মুমিনীনা রাঊর্ফু রহীম্।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৮
 নিশ্চয় তোমাদের নিজদের মধ্য থেকে তোমাদের নিকট একজন রাসূল এসেছেন, তা তার জন্য কষ্টদায়ক যা তোমাদেরকে পীড়া দেয়। তিনি তোমাদের কল্যাণকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।
আরবি উচ্চারণ ৯.১২৯।
 ফাইন তাঅল্লাও ফাকুল্ হাস্বিয়াল্লা-হু লা য় ইলা-হা ইল্লা-হূ; ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু অহুঅ রব্বুল ‘র্আশিল্ ‘আজীম।
 বাংলা অনুবাদ ৯.১২৯
 অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে বল, ‘আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আমি তাঁরই উপর তাওয়াক্কুল করেছি। আর তিনিই মহাআরশের রব
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on March 27, 2023, 02:47:50 PM
•হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর; তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজকর্ম সম্পর্কেই অবগত। [ সুরা নিসা-১৩৫ ]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on May 02, 2023, 03:33:31 PM
আর যখন ইবরাহীম বলল ‘হে, আমার রব! আমাকে দেখান, কিভাবে আপনি মৃতদেরকে জীবিত করেন। তিনি বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনি?' সে বলল, ‘অবশ্যই হ্যাঁ! কিন্তু আমার অন্তর যাতে প্রশান্ত হয়।’ তিনি বললেন, ‘তাহলে তুমি চারটি পাখি নাও। তারপর সেগুলোকে তোমার প্রতি পোষ মানাও। অতঃপর প্রতিটি পাহাড়ে সেগুলোর টুকরো অংশ রেখে আস। তারপর সেগুলোকে ডাক, সেগুলো দৌড়ে আসবে তোমার নিকট। আর জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।" ❤️❤️
-----[সূরা বাকারাঃ ২৬০]
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on May 09, 2023, 03:10:01 PM
"হতাশ হয়ো না। উঠো! সিজদাহ করো এবং কাঁদো!"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"আল্লাহ কষ্টের পর সুখ দিবেন।"
--সূরা ত্বলাক : ৭
"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
--সূরা ইনশিরাহ : ৬
"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতাগুলো আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৬
"জেনে রেখো, আল্লাহর সাহায্য নিকটে।"
--সূরা বাক্বারা : ২১৪
"একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।"
--সূরা ইউসুফ : ৮৭
"আল্লাহ কোনো ব্যক্তির উপর তার সাধ্যের চাইতে বেশী, এমন বোঝা চাপিয়ে দেন না।"
--সূরা বাক্বারা : ২৮৬
"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৫
"হে ঈমানদারগণ, তোমরা সবর ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে রয়েছেন।"
--সূরা বাক্বারা : ১৫৩
"হে আল্লাহ, আমি তো কখনো আপনাকে ডেকে ব্যর্থ হইনি।"
--সূরা মারইয়াম : ৪
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন--
"মুমিনের ব্যাপারটাই আশ্চর্যজনক! তার প্রতিটা অবস্থাই তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর এটা কেবল মুমিনের জন্যই নির্ধারিত, অন্য কারো জন্য নয়। মুমিনের কাছে সুখের কিছু এলে শুকরিয়া আদায় করে। এটা তার জন্য মঙ্গলময় হয়। অনুরূপভাবে যখন কোনো দুঃখ তাকে স্পর্শ করে, তখন সে ধৈর্যধারন করে। আর এটাও তার জন্য মঙ্গলময় হয়।"
--সহীহ মুসলিম : ২৯৯৯
অতএব, কোনো হতাশা আমার জন্য নয়। 'আলহামদুলিল্লাহি আ'লা কুল্লি হাল।' (আমি সকল অবস্থায় আল্লাহর প্রশংসা করি।)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on May 30, 2023, 03:39:40 PM
ইসলামে আইনের শাসন ও সুবিচার
নিসফ অর্থ সমান অর্ধেক। আর ইনসাফ অর্থ সমান দুই ভাগ করা, বেশি বা কম না করা। আল্লাহ তাআলার একটি নাম হলো ‘আদল’ অর্থাৎ ন্যায়বান, ন্যায়পরায়ণ। আদালত অর্থ ন্যায়ের স্থান। মুমিন জীবনের পূর্ণতার জন্য তাকওয়া বিশেষ শর্ত; তাকওয়ার পরিচায়ক হলো ন্যায়বিচার।

মানবজীবনে ন্যায়বিচারের গুরুত্ব অত্যধিক। পবিত্র কোরআন কারিমে প্রথম সুরা ফাতিহার তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তাআলার পরিচয় দেওয়া হয়েছে, ‘তিনি বিচার দিবসের মালিক,’ যা আমরা প্রত্যহ দিবারাত্রি বহুবার পাঠ করে থাকি।

সভ্য সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের কোনো বিকল্প নেই। সুবিচারপ্রাপ্তি সব নাগরিকের অধিকার এবং ন্যায়বিচার আল্লাহর হুকুম। এটি ফরজ ইবাদত। কোরআনে কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে, কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদের যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে, এটা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে, তোমরা যা করো নিশ্চয় আল্লাহ তার সম্যক খবর রাখেন।’ (সুরা-৫ মায়িদা, আয়াত: ৮)।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on June 13, 2023, 03:00:34 PM
জিল হজ্জের প্রথম ১০দিনের ফযিলত
১-.একদিনের রোজা ১ বছরের সমান
২.এক রাতের ইবাদাত ১ বছরের সমান
৩.পূর্বের ও পরের ১ বছরের সমান গোনাহ মাফ
৪.এক রাতের নামাজ কদরের নামাজের সমান
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 10, 2023, 03:41:09 PM
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
مَنْ دَلّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ.
কেউ যখন কাউকে কোনো ভালো কাজের পথ দেখিয়ে দেয়, সে ব্যক্তি কাজটি করে যে সওয়াব পাবে, যে তাকে এর পথ দেখিয়ে দিল সেও অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে।
 -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫১৩১
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on July 22, 2023, 10:47:42 AM
অনেকেই বলে আল্লাহ হেদায়েত দিলে নামাজ পড়ব, পর্দা করবো, দাঁড়ি রাখবো।
আমার কথা হলো...,আল্লাহ কি আপনাকে এমনি এমনিই  হেদায়েত দিবেন?
 যদি আপনি নিজে খারাপ কাজ ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা না করেন!! কখনোই না। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন,
 ❝আমি তাকেই সাহায্য করি যে নিজেই নিজেকে সাহায্য করে❞
( সূরা হজ্জ আয়াত ৪০)
আপনি যদি জেনেও ইচ্ছে করেই খারাপ কাজ করেন তাইলে এমন কে আছে যে আপনাকে ভালো পথে ফিরে আনতে পারবে।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে  সূরা আস সাজদার ১৩ নাম্বার আয়াতে বলেন,
 ❝আমি চাইলে প্রথমেই মানুষকে হেদায়েত দিতে পারতাম কিন্তু আমার এ উক্তি অবধারিত যে আমি অবশ্যই মানুষ ও জিন দাঁড়া জাহান্নাম পূর্ণ করব।❞
অর্থাৎ এ থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহতালা আমাদের পরীক্ষা করছেন।
 এ সম্পর্কে কোরআনে সূরা মূলকের দুই নাম্বার আয়াতে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ জীবন ও মরণ তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে যে, কে  কোন কর্মে উত্তম। ❞
অর্থাৎ আমাদের স্কুলে যেমন স্যার রা একটা নিদিষ্ট সময় ধরে পরীক্ষা নেন ঠিক তেমনি আমরা যারা বেচে আছি আমাদের সবার পরীক্ষা নিচ্ছেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা  আর এ পরীক্ষার ফলাফল পাব কিয়ামতের দিন।
আর যারা মারা গেছে তাদের পরীক্ষার সময় শেষ হয়েছে ।তাদের আর ভালো বা খারাপ করার কিছুই নেই।
আর যারা বেচে আছি তাদের জন্য এখনো ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তাই আমাদের সময়কে কাজে লাগাতে হবে।
তাই যে এই জীবনে যে ভালো কাজ করবে,আল্লাহর আনুগত্য করবে ও রাসুল (সাঃ)এর দেখানো পথে চলবে সে ই সফলকাম।
ভালো হওয়ার জন্য আপনাকে নিজেই নিজেকে সাহায্য করতে হবে।
খারাপ কাজ থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে তবেই আল্লাহ তাআলা আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে যে, আল্লাহ তা'আলা বলেন,
❝ হে আদম সন্তান আমার জন্য দাঁড়াও, আমি তোমার দিকে হেঁটে হেঁটে আসবো। আমার দিকে হেঁটে হেঁটে এসো, আমি তোমার দিকে দৌড়ে যাব।
( মুসনাদে আহমদ -১৫৯২৫)
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে ভালো ও মন্দের জ্ঞান দিয়ে দিয়েছেন।আর এভাবেই আমাদের পরীক্ষা করছেন। যে ভালো কাজ করবে আর মন্দ কাজ থেকে বেঁচে থাকবে সে আল্লাহর পরীক্ষায় পাশ করবেন আর যে খারাপ কাজ করবে সে পরীক্ষায় ফেল করবে।
মেইন বিষয় হল আপনার নফস। আপনি যদি নিজের নফসকে কন্ট্রোল করতে পারেন।তাইলেই আপনি সফল হবেন ও আল্লাহ তা'য়ালার কাছে প্রিয় হবেন।
তাই সবার আগে নিজের নফসকে দমন করতে হবে। নিজেকে চেষ্টা করতে হবে তবেই না আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবে।
❝নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে।❞(সূরা বাকারা-২:২১৪)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on August 03, 2023, 03:54:06 PM
ইনসাফ প্রতিষ্ঠা:
মুমিনদের লক্ষ করে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘ইমানদাররা! তোমরা ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী হয়ে যাও আল্লাহর সাক্ষীরূপে, যদিও তা তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে কিংবা বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।’ সুরা আন নিসা : ১৩৫
পবিত্র কোরআনের অন্যত্র আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন তোমরা কথা বলবে তখন ন্যায্য বলবে যদিও নিকটাত্মীয়ের বিষয়ে হয়।’ সুরা আনআম : ১৫২
‘বলে দাও, আমি তো আল্লাহ যে কিতাব নাজিল করেছেন তার প্রতি ইমান এনেছি আর তোমাদের মধ্যে ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় আমি আদিষ্ট।’ সুরা শুরা : ১৫
এসব আয়াতের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপন এবং পরের মধ্যে যেন কোনো পার্থক্য করা না হয়, যা সত্য তাই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই জীবনের সব ক্ষেত্রে সবার তরে ইনসাফ একান্ত জরুরি
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on August 13, 2023, 11:27:44 AM
انك لا تهدي من احببت ولكن الله يهدي من يشاء،
তুমি যাকে ভালোবাসো, ইচ্ছে করলেই তাকে হেদায়েত করতে পারবে না!
তাকে সৎ পথে আনতে পারবে না!
তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎ পথে আনেন!
এবং কে সৎ পথে আসবে তা তিনিই ভালো জানেন!
[সূরা আল কাসাস,৫৬]
তাহলে শুকরিয়া আদায় করেন সেই রবের! যিনি পৃথিবীতে এতগুলা মানুষ থাকতে আপনাকেই হেদায়েতের জন্য বেছে নিয়েছেন!
আলহামদুলিল্লাহ!"
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on August 14, 2023, 03:45:18 PM
মূসা (আ:) তার রবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন,
"হে আমার রব আপনি আদম (আ:) কে নিজ হাতে সৃষ্টি করেছেন"
"তার মধ্যে রুহ ফুকে দিয়েছেন"
"ফেরেশতাদের দ্বারা সিজদাহ করিয়েছেন"
"তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন"
"তার তওবা কবুল করেছেন"
তিনি কিভাবে আপনার এই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবেন?
আল্লাহ তায়ালা জবাবে বললেন,
"হে মূসা (আ:) আদম এর জন্য এটুকুই যথেষ্ট যে সে বলবে আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আল-আমিন (সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টিকুলের মালিক)"
মূসা (আঃ) তার রবকে জিজ্ঞেস করলেন,
"যখন কোনো বান্দা আপনার কাছে মাথা নত করে বলে হে আমার রব, তখন আপনি কী বলেন"
তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,
"লাব্বাইকা ইয়া আব্দি(হে আমার বান্দা আমি এখানে আছি)"
মূসা (আঃ) পুনরায় তার রবকে জিজ্ঞেস করলেন,
"যদি কেউ সিজদারত অবস্থায় এই কথা বলে"
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, তখনও আমি বলি,
"লাব্বাইকা ইয়া আব্দি(হে আমার বান্দা আমি এখানে আছি)"
মূসা (আঃ) আবারও জিজ্ঞেস করেন,
"যদি গুনাহগার অবস্থায় কেউ এই কথা বলে"
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, তখনও আমি বলি,
"লাব্বাইকা লাব্বাইকা লাব্বাইকা(আমি এখানেই আছি,,আমি এখানেই আছি,,আমি এখানেই আছি)"
আস্তাগফিরুল্লাহ(আর তোমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাও)
ইন্নাল্লাহা গফুরুর রহিম(নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 02, 2023, 03:26:32 PM
رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِير
উচ্চারণ : ‘রাব্বি ইন্নি লিমা আনজালতা ইলাইয়্যা মিন খাইরিন ফাকির।
অর্থ : ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)

এটি ছিলো হজরত মুসা আলাইহিস সালামের একটি আকুতি। আল্লাহর কাছে আশ্রয় লাভ ও কাজ অনুসন্ধানের আহ্বান উঠে এসেছে এ দোয়ায়। কুরআনুল কারিমে ঘটনাটি এভাবে এসেছে-
হজরত মুসা আলাইহিস সালাম যখন ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। তখন তার কোথাও যাওয়ার, আশ্রয়ের কিংবা জীবিকার কোনো সংস্থান ছিল না। ফেরাউনের ঘর থেকে বেরিয়ে সে সময় তিনি অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন-
‘যখন সে মাদইয়ানের কূপের কাছে পৌঁছল। সেখানে দেখল একদল লোক তাদের পশুগুলোকে পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দু’জন নারী তাদের পশুগুলোকে আগলে আছে। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমাদের কি হলো? (দাঁড়িয়ে আছ কেন?) ওরা (নারী) বলল, রাখালরা ওদের পশুগুলোকে নিয়ে সরে না গেলে আমরা আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাতে পারি না। আর আমাদের বাবা অতি বয়স্ক মানুষ।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৩)
পরের আয়াতেই মুসা আলাইহিস সালামের কাজ চেয়ে আল্লাহর মুখাপেক্ষী হওয়ার আবেদন এসেছে। আল্লাহ তাআলা মুসা আলাইহিস সালামের সে আহ্বান তথা দোয়া এভাবে তুলে ধরেন-
‘মুসা (আলাইহিস সালাম) তখন ওদের (দুই নারীর) পশুগুলোকে পানি পান করালো। তারপর সে ছায়ার নিচে আশ্রয় গ্রহণ করে বলল- ‘হে আমার প্রভু! তুমি আমার জন্য যে অনুগ্রহ নাজিল করবে, নিশ্চয় আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৪)
অর্থাৎ আমার জীবিকা নির্বাহের জন্য কাজ বা চাকরি দরকার। তুমি আমার জন্য যে কাজ বা জীবিকার ব্যবস্থা করবে। আমি তোমার ব্যবস্থা করা সে কাজের বা জীবিকার মুখাপেক্ষী।
পরের আয়াতে মুসা আলাইহিস সালামের প্রতি অনুগ্রহ নাজিলের সুসংবাদ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তা উল্লেখ করেন এভাবে-
‘তখন (ওই) দুই নারীর একজন জড়োসড়ো পায়ে তার কাছে এসে বলল- আপনি যে আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করিয়েছেন, তার পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য আমার বাবা আপনাকে ডাকছেন। তারপর মুসা আলাইহিস সালাম তার কাছে এসে সব ঘটনা বর্ণনা করলেন। সে বলল, ‘ভয় করো না। তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে বেঁচে গেছ। ওদের (দুই নারীর) একজন বলল- হে আব্বা! আপনি একে মজুর হিসেবে নিযুক্ত করুন। কারণ আপনার মজুর হিসেবে নিশ্চয় সে (মুসা) উত্তম হবে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।’ (সুরা কাসাস : আয়াত ২৫-২৬)
আর এভাবেই হজরত মুসা আলাইহিস সালামের চাকরির অনুগ্রহ প্রার্থনার দোয়া কবুল হয়েছিল। সেখানে তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
চাকরি কিংবা কাজ, কোনোটিই মহান আল্লাহর ইশারা ছাড়া হয় না। তাই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে চাকরির জন্য হজরত মুসা আলাইহিস সালামের সে আবেদন মুমিন মুসলমানের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 12, 2023, 03:21:58 PM
ইসলামে পুরুষদের বিয়ে একটাই।

কুরআনে পুরুষের একটি বিয়ের কথাই বলা হয়েছে।

এ কথায় অনেকেই হয়তো চমকে যাবেন। সেটাই স্বাভাবিক। অনেকেই ভাবেন চারটি পর্যন্ত বিয়ে করা জায়েজ। কেউ বলেন ফরজ।

অনেক অমুসলিমেরও ধারণা আল্লাহর নির্দেশেই মুসলিম পুরুষ চারটি বিয়ে করেন।

একথা ঠিক, কুরআনে চারটি পর্যন্ত বিয়ের "অনুমতি" দেওয়া হয়েছে। তবে সে বিয়ে চঞ্চলা চপলা যুবতী নারীর রূপ যৌবনে মুগ্ধ হয়ে বিয়ে নয়,

তিনটি বিশেষ শ্রেণীর নারীকে বিয়ের জন্য ই সে অনুমতি।

১, সমাজের অসহায় যুবতী।

২. অসহায় বা ল বিধবা, বা বিধবা।

৩. স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা।

অর্থাৎ এই অনুমতি বঞ্চিত অসহায় নারী জাতিকে রক্ষার জন্য, মোটেই সম্ভোগের জন্য নয়।

তবে এ ক্ষেত্রেও কঠিন শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তা হল, সকল স্ত্রীর প্রতি সমান ব্যাবহার।

" - কিন্তু যদি আশঙ্কা করো যে, সকলের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না, তবে একটি মাত্র বিয়ে করো।" (সূরা নিসা: ৪:৩)।

এই অনুমতি কেই হাতিয়ার করে কিছু সম্ভোগ বিলাসী পুরুষ একাধিক বিবাহে উৎসাহী হন। অনেক অমুসলিম সুযোগ সন্ধানী পুরুষও একাধিক অবৈধ স্ত্রীকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবে মুসলিম হয়ে যান। আল্লাহর দেওয়া কঠিন শর্তটা উপেক্ষিতই থেকে যায়।

একাধিক স্ত্রীকে সমান চোখে দেখা, বা সমান মর্যাদা দেওয়া রক্ত মাংসের কোনো পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। মহান আল্লাহ সেটা ভালই জানেন। তাই তিনি সূরা নিসা'য় ১২৯ আয়াতে বলেই দিয়েছেন;

"যতো ইচ্ছাই করো না কেন, তোমরা স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না।" (৪:১২৯)।

তাহলে কুরআনের শেষ কথা দাঁড়ালো, একের বেশি বিয়ে করো না।

কুরআনের এই আয়াতটা সমাজে অপ্রচলিত, উপেক্ষিত।

আলেম সমাজ ও ১২৯ নম্বর আয়াতটির উল্লেখ সেভাবে করেন না, এবং সেটা নিজেদের স্বার্থেই। কারণ নিজেরাই তো সমস্ত শর্ত জলাঞ্জলি দিয়ে তিন চারটি বিয়ে করে বসে আছেন!

কেউ থাকেন গাছ তলায়, কেউ থাকেন হাট খোলায়,
তবুও নাকি সব স্ত্রী আছেন সমান মর্যাদায়!

সংগৃহীত।
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on October 23, 2023, 03:36:52 PM
আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির মানে কী ?
একজন বিচক্ষণ মানুষ যাচ্ছিলেন একটি শহরের পাশ দিয়ে। তিনি স্রষ্টাকে লক্ষ্য করে বলে উঠলেন কিভাবে আবার শহরটি প্রাণ ফিরে পাবে। পবিত্র কুরআনের সূরা বাকারায় ২৫৯ আয়াতে বহু আগের ঘটনাটি আল্লাহ উল্লেখ করেছেন। সেটি ছিল একটি বিরান জনশূন্য উল্টে পড়ে থাকা শহর। সেখানে আবার জনবসতি গড়ে ওঠা ওই ব্যক্তির কাছে একটি অসম্ভব ব্যাপার মনে হয়েছিল। আল্লাহ তাকে তাৎক্ষণিক মৃত্যু দিলেন, এক শ’ বছর পর আবার জীবিত করলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি কতক্ষণ ঘুমিয়েছ? তিনি জানালেন এক দিন বা তার কিছু অংশ। মহান স্রষ্টা তাকে জানালেন, না, তুমি এভাবে এক শ’ বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছ। তাকে লক্ষ করতে বলা হলো, তুমি যে খাদ্য ও পানীয় নিয়ে এসেছিলে, তা পচেনি এমনকি স্বাদ সামান্যও বদলেনি।
বলা হলো, ‘তাকিয়ে দেখো, তোমার গাধাটির দিকে। সেটির আর কোনো অস্তিত্ব এখন অবশিষ্ট নেই, ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তবে এখন আমরা এটিকে আবার কিভাবে পূর্ণরূপে ফিরিয়ে আনি সেটি দেখো।’ তিনি সামনেই দেখতে পেলেন, মাটির সাথে মিশে যাওয়া হাড়গোড় অস্তিত্ব পাওয়া শুরু করেছে। একটার সাথে আরেকটা হাড় জোড়া লাগছে। সেগুলোর ওপর পরানো হলো গোশতের পোশাক। তার ওপর মোড়ানো হলো চামড়া। তাতে লেগে গেল চুল পশম ও লোম। তার সামনে এক শ’ বছর আগের গাধাটি হুবহু আগের রূপে হাজির হয়ে গেল। এসব দেখে বিচক্ষণ ব্যক্তি মন্তব্য করেছিল, ‘ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’। আয়াতের শেষে তার মন্তব্যটি সংযুক্ত রয়েছে।
তিনি আসলে কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না, শহরটিতে আবার জনবসতি গড়ে উঠতে পারে। অথচ এ শহরটি আগে একবার শূন্য থেকে গড়ে উঠেছিল, যেখানে এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। এই পুরো মহাবিশ্ব এমনকি চিন্তা করা মানুষটিরও একসময় কোনো অস্তিত্ব ছিল না। আজ তার কাছেই অনেক কিছু অসম্ভব আর অবাস্তব মনে হচ্ছে। তাই তাকে দেখিয়ে দেয়া হলো সব কিছু সম্ভব। আমরা যদি খুঁটিয়ে লক্ষ করি তা হলে দেখতে পাবো, এই পথিকের কাছে থাকা খাদ্য ও পানীয়ের ওপর দিয়ে সময় প্রবাহিত হয়নি। তাই তার খাদ্য পচেনি, পানির রঙ ও গন্ধ পরিবর্তন হয়নি। অন্য দিকে গাধাটির ওপর দিয়ে এক শ’ বছর অতিবাহিত হয়েছে। সে কারণে সেটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে মাটির সাথে মিশে গেছে। আবার সেটিকে এক শহর পুনরুজ্জীবিত করার মতোই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। গাধাটির বয়স ও শক্তিতেও কোনো হেরফের হয়নি। চোখের সামনে এটি পূর্ণ অস্তিত্ব ধারণ করার কারণে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন, ‘ইন্নাল্লাহা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির’।
আরবি বাক্যাংশটির অর্থ হচ্ছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রত্যেক বিষয়ের ওপর ক্ষমতাবান। আরো সহজ করে বলা যায়, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি ব্যাপারে তার ক্ষমতা প্রয়োগে সক্ষম।’
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on November 02, 2023, 03:47:14 PM


মৃত্যু আসবেই। এটা এক অবধারিত বিষয়। কেউ তা থেকে পলায়ন করতে পারবে না। এমনকি কার মৃত্যু কখন হবে, কোথায় হবে এ কথাও কেউ জানে না। মৃত্যুর বিষয়টি শুধু আল্লাহই জানেন। তাইতো তিনি বলেন-
وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَّاذَا تَكْسِبُ غَدًا ۖ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ ۚ إِنَّ اللَّـهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ
কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন স্থানে সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।' (সুরা লোকমান: আয়াত ৩৪)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on November 12, 2023, 03:07:42 PM
আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না; (তারা হল,) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই যুবক যার যৌবন আল্লাহ আযযা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।) সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; যারা এই ভালোবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়। সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ’আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই ব্যক্তি যে দান ক’রে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার উভয় চোখে পানি বয়ে যায়।
(বুখারী ৬৬০, ১৪২৩, ৬৮০৬, মুসলিম ২৪২৭)
Title: Re: History of Muslim'S
Post by: Md. Zakaria Khan on December 07, 2023, 03:31:55 PM
মানুষের হতাশায় আল্লাহ যেভাবে সাহায্য করেন
@মানুষ বলে, আমি ব্যর্থ !
> আল্লাহ বলেন, 'অবশ্যই ঈমানদার সফল হয়' (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১)
@ মানুষ বলে, আমার জীবনে অনেক কষ্ট !
> আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।' (সুরা নাশরাহ : আয়াত ৬)
@মানুষ বলে, আমাকে কেউ সাহায্য করে না !
> আল্লাহ বলেন, 'মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব' (সুরা রূম : আয়াত ৪৭)
@মানুষ বলে, আমি দেখতে খুবই কুৎসিত !
> আল্লাহ বলেন, 'আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে।' (সুরা ত্বীন : আয়াত ৪)
@মানুষ বলে, আমার সঙ্গে কেউ নেই !
> আল্লাহ বলেন, তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি এবং দেখি।' (সুরা ত্বহা : আয়াত ৪৬)
@ মানুষ বলে, আমার গোনাহ অনেক বেশি !
> আল্লাহ বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারীদের ভালোবাসেন।' (সুরা বাকারা : আয়াত ২২২)
@মানুষ বলে, আমার জীবনে আনন্দ নেই !
> আল্লাহ বলেন, আপনার পালনকর্তা শিগগিরই আপনাকে এতা দান করবেন, অতপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন।' (সুরা দোহা : আয়াত ৫)
@মানুষ বলে, আমার কোনো পরিকল্পনাই সফল হচ্ছে না !
> আল্লাহ বলেন, আমিও কৌশল অবলম্বন করেন। মূলতঃ আল্লাহই হচ্ছেন সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী' (সুরা ইমরান : আয়াত ৫৪)
@মানুষ বলে, আমার কেউ নেই!
> আল্লাহ বলেন, 'যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।' (সুরা তালাক : আয়াত ৩)